#ধূসর_রঙে_আকাশ
#পর্ব_৫৪
লিখা: Sidratul Muntaz
হঠাৎ তিরানের আগমনে আমীর যথেষ্ট বিরক্ত হয়েই প্রশ্নটা করলো,
” তুই? আবার কেনো এসেছিস এখানে?”
তিরান চোখ বড় করে কাঁধ ঝাঁকিয়ে দায়সারাভাবে বললো,
” এসেছি যখন নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে তাইনা? এমনি এমনি তো আমি তোমাদের মাঝখানে কাবাব মে হাড্ডি হতে আসিনি।”
আমীর নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কিছুটা মারমুখো হয়ে বললো,
” কাবাবমে হাড্ডি মানে?”
আমীরের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি দেখে তিরান ফুলের টবটা দিয়ে নিজের মাথা ঢেকে আতঙ্কিত কণ্ঠে বললো,
” কিছু না, প্রফেসর ট্রুডোর ম্যাসেজ নিয়ে এসেছিলাম। স্পেসশিপ অলরেডি চলে এসেছে। আর কিছুক্ষণ পরেই আমাদের টেক অফ করার সময়। স্যার তোমাকে মিটিংরুমে ডাকছেন।”
” আমাদের টেক অফ করার সময় মানে? তুইও যাচ্ছিস নাকি?”
” অফ কোর্স! আমি না গেলে তো হচ্ছেই না।”
” তুই না গেলে হচ্ছে না মানে? প্রফেসর তোকে পারমিশন দিলেন?”
” উহুম। আমি প্রফেসরকে বলেছি তুমিই আমার পারমিশনের ব্যবস্থা করে দিবে। এজন্যই তো তোমাকে ডাকা হচ্ছে।”
” অসম্ভব। আমি কোনো উটকো ঝামেলায় জড়াতে চাইনা।”
” আমি কোনো উটকো ঝামেলা না হিরো, বরং আমাকে সাথে নিলে তোমাদের লাভই হবে।”
তোহা ওদের কথার প্রসঙ্গ কিছুই বুঝতে পারছে না। তাই কৌতুহলবশত প্রশ্ন করলো,
” তোমরা কোথায় যাওয়ার কথা বলছো?”
তিরান ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটিয়ে কিছু বলতেই নিচ্ছিল তখন আমীর বাধা দিল,
” তির, তুই এখন যা। আমি পাঁচমিনিট পর আসবো।”
” আচ্ছা, আমি কি তোহাকে সাথে নিয়ে যাবো?”
” তোহা মানে কি? ও তোর তিনবছরের বড়। তোহাআপু বল।”
” বড়-ছোট ফ্যাক্ট না। ফ্যাক্ট ইজ উই আর বেস্টফ্রেন্ডস। তাই না তোহা? লেটস গো। যেতে যেতে তোমাকে একটা সিকরেট বলবো।”
তিরান হাত এগিয়ে দিল তোহাকে ধরার জন্য। আমীর রূঢ়ভাবে বললো,
” ও কোথাও যাবেনা। তোকে যেতে বলেছি। তুই যা। ”
তিরান ঠোঁট উল্টে বললো,” ওকে, নো প্রবলেম। আমরা তাহলে পরে দেখা করবো। ”
তিরান তোহার দিকে চেয়ে বামচোখ টিপলো। তারপর চলে গেল। আমীর বিরবির করে তিরানের উদ্দেশ্যে বললো,
” ননসেন্স!”
তোহা বললো,” আপনারা কোথায় যাওয়ার প্ল্যান করছেন আমাকে জানানো যাবে কি?”
আমীর তোহার দিকে ঘুরে নিগুঢ় কণ্ঠে বললো,
” সবকিছু কেনো জানতে হবে? কিছু সত্যি অজানা থাকাই ভালো।”
কথাটা বলেই আমীর অকস্মাৎ জড়িয়ে ধরলো তাকে। বিনিময়ে তোহাও জড়িয়ে ধরতে পারলো না। কারণ আমীর এতোই শক্ত করে ধরেছে যে তোহার মনে হচ্ছে ওর হাত-পা স্থবির হয়ে আসবে। কোনোমতে হাত-দুটো নাড়িয়ে আমীরের পিঠ আকড়ে ধরার শক্তিটুকুও পাচ্ছে না সে। আমীর কতক্ষণ এভাবেই তোহাকে ধরে রাখলো। তারপর ছেড়ে দিয়ে ওর একগাল স্পর্শ করে বললো,
” আমার অপেক্ষায় থেকো না কিন্তু। আমাকে ভুলে নিজের মতো জীবন শুরু কোরো৷ মনকে শক্ত কোরো। আর অনেক অনেক ভালো থেকো।”
আমীর আবারও কেনো এসব কথা বলছে? আসলে কি করতে চাইছে ও? আমীর পুনরায় তোহার ঠোঁটে চুম্বন করতে উদ্যত হলো। তোহা এবার চোখ বন্ধ করে সায় দিল। কিন্তু আমীর নিজেকে সংযত করে ঠোঁটের পরিবর্তে তোহার কপালে দৃঢ় একটা চুমু দিল। তোহা চোখ মেলার আগেই আমীর জায়গা ত্যাগ করলো। তোহা কিছুটা আশাহত হয় বটে। তবুও কেনো জানি ওর ঠোঁট হাসি জমে উঠে। তার মনে হয়, এই একটা চুমুর মাধ্যমে আমীর তার অব্যক্ত অসীম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে গেছে।
আমীর ল্যাবরুম থেকে চলে যাওয়ার একটু পরেই তিরান আসলো। কিছুটা গম্ভীরমুখে তোহার সামনে দাঁড়িয়ে তোহার হাত ধরে বললো,
” ডোন্ট বি আপসেট। আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মিশনে যাচ্ছি। তুমি কি আমাদের জন্য ওয়েট করবে?”
” তোমার কোথায় যাচ্ছো? কি এমন মিশন যে এইভাবে বিদায় নিতে হচ্ছে? তোমরা কি যুদ্ধে যাচ্ছো?”
” এক প্রকার যুদ্ধই বলা যেতে পারে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। যদি বলো অপেক্ষায় থাকবে তাহলে আমি তোমাকে একটা জিনিস দিতে পারি।”
” কি জিনিস?”
তিরান এবার পেছনে গুটিয়ে রাখা হাতটা সামনে আনলো। মনে হচ্ছে এই জিনিসটা দিতেই সে এসেছিল। এটা একটা কাঠের ভেতর উপর-নিচ করে আটকানো দুই কাচের গোলক। গোলকদুটি পুরোপুরি গোল না, মাথার দিক থেকে কিছুটা চ্যাপ্টা। এগুলো আগের দিনের সময় মাপার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তিরান জিনিসটা তোহার হাতে দিয়ে বললো,
” এইটা হচ্ছে আওয়ার গ্লাস। উপরের গ্লাসটা যখন খালি হয়ে যাবে আর নিচের গ্লাসটা ফিলাপ হয়ে যাবে তখন বুঝবে আমাদের ফিরে আসার সময় হয়েছে। যদি তখনও আমরা ফিরে না আসি তাহলে এটা একটা মেমোরি হয়ে থাকবে। আমরা আর কখনো ফিরে আসবো না।”
তোহা জিনিসটার দিকে তাকিয়ে বললো,
” এটা তো খুব জলদি ফিলাপ হচ্ছে।”
” হুম, আমরা ফিরলে জলদিই ফিরবো। আর না ফিরলে কোনোদিন ফিরবো না। ”
তোহা একদৃষ্টিতে আওয়ার গ্লাসের দিকে তাকিয়ে রইল৷ তিরান হঠাৎ শান্ত কণ্ঠে বললো,
” একটা কথা মনে রাখবে তোহা, তিরান এন্ড আমীর অলওয়েজ উইল লভ ইউ। দে উইল লভ ইউ ইন এ্যানি সিচুয়েশন অফ লাইফ।”
তিরানের চোখ দুটো ক্রমশ লাল হয়ে যাচ্ছে। সে খুব দ্রুত ল্যাবরুম থেকে বের হয়ে যায়৷ তোহা থামতে বললো, তিরান থামলো না।
স্পেসশীপ যেখানে থামানো হয়েছে সে জায়গায় সকল নভোচারীরা সমবেত হয়ে দাঁড়ানো। প্রফেসর ট্রুডোসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ওদের টেক অফ করার পর কি কি করণীয় সেগুলো বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমীর শুধু মাথা নিচু করে রেখেছে। ও কিছু শুনছে নাকি শুনছে না ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। সানভী আমীরের কাঁধে হাত রেখে বললো,
” দোস্ত, তোর কি মনখারাপ? কি হয়েছে?”
সানভীর এমন প্রশ্নে আমীরের মেজাজও খারাপ হয়ে যায়। সানভীর দিকে তাকাতেই মনে পড়লো তোহার স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে ওকে মিথ্যে বিয়ের ফালতু আইডিয়াটা সানভীই দিয়েছিল। আমীর তাই এক মুহুর্ত দেরি না করে সানভীকে খুব জোরে একটা চড় মারলো। সানভীসহ উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে আমীরের দিকে তাকায়। আমীর শুধু এটুকুতেই ক্ষান্ত হলো না। সানভীর কলার ধরে ওকে একের পর এক ঘুষি মারতেই লাগলো। কেউ আমীরকে থামাতে পারলো না। সানভী রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে, আমীর তবুও থামছে না। সে সানভীকে শুধু মেরেই যাচ্ছে। অবশেষে প্রফেসর ট্রুডো এসে আমীরকে খুব জোরে একটা ধাক্কা দিলেন। আমীর কয়েক কদম পিছিয়ে গেল আর সানভী মেঝেতে লুটিয়ে পড়লো।
নীলাভ্র সিকরেটরুম থেকে বের হতেই আচমকা রিম্মি এসে ওর গলা জড়িয়ে ধরে বললো,
” আমাকে ক্ষমা করো নীল। সারাজীবন তোমার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমি সেটা রক্ষা করতে পারলাম না। খুব বেঈমান আমি। তোমার সাথে বড় বেঈমানি করে ফেলেছি৷ এই বেঈমানকে ভুলে যেও।”
নীলাভ্র ভ্রু কুচকে দাঁড়িয়ে আছে। জবাব দিতে গিয়েও দিতে পারেনা। রিম্মি চোখের পানি মুছতে মুছতে যেভাবে এসেছিল সেভাবেই দৌড়ে চলে যায়। নীলাভ্র তখনো পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিল। হৃদয়ের কোনো একটা জায়গায় তুমুল ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়ে গেছে।
ল্যাবরুম থেকে বের হয়ে ডানে-বামে তাকায় তোহা। দুই সাইডে একইরকম রাস্তা। তোহা কোনদিকে যাবে? ঠিক এই সময় নীলাভ্রর সাথে দেখা হলো। নীলাভ্র তোহাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” তোহা, তুই এখানে কি করিস?”
তোহা বিচলিত হয়ে বললো,
” আমীরকে দেখেছো ভাইয়া?”
নীলাভ্র মৃদু হেসে বললো,
” আমীরের সাথে বোধহয় আর কোনোদিন দেখা হবে না তোর।”
তোহার গলাটা ভেঙে আসতে চায়। চোখ টলমল হয়ে আসে। সে ভেজা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,”কেনো?”
নীলাভ্র বললো,” এদিকে আয়।”
প্রফেসর ট্রুডো সবাইকে যে মিটিংরুমে ডেকেছেন নীলাভ্র সেদিকেই তোহাকে নিয়ে যেতে লাগলো। যাওয়ার পথে রিম্মির কাছে যা কিছু শুনেছিল সবকিছু তোহাকে বুঝিয়ে বললো৷ তোহা রুদ্ধ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
” তাহলে কি তুমি বলতে চাইছো আমীর আর ফিরে আসবে না? সেদিন ওর মিথ্যে মৃত্যুটাই সত্যি ছিল?”
” হ্যা, এইতো বুঝতে পেরেছিস।”
” কিন্তু আমীরকে কে মেরে ফেলেছে? সে নিশ্চয়ই সেদিন আমার কাছে ফিরে এসেছিল। কারণ আমার কিনে রাখা পাঞ্জাবীটা তখন ওর গায়ে ছিল। তাহলে ওই অবস্থায় ওকে কে খুন করেছে? কার এতো সাহস?”
” জানিনা। এসব নিয়ে আর ভাবতে হবে না। ওরা বলেছে আমাদের এখান থেকে বের করার আগে মেমোরি ক্লিন করা হবে। তারপর আমাদের এমনিতেও কিছু মনে থাকবে না। ওদের কথা চিন্তা করে কষ্টও পেতে হবেনা। এটাই সবার জন্য ভালো। কারণ আমাদের তো কিচ্ছু করার নেই, ভুলে যাওয়া ছাড়া।”
” না, আমি ভুলে যাবো না। আমি আমীরকে যেতেই দিবো না। ও যদি যায় তাহলে আমাকেও ওর সাথে নিতে হবে। আমি ওর সাথে যেতে চাই ভাইয়া।”
” অবুঝের মতো কথা বলছিস কেনো? এটা কি কখনো সম্ভব? নভোচারী হতে গেলে কমপক্ষে আঠারো বছর হওয়া লাগে। তোর তো এখনো আঠারোও হয়নি। আর তোর মতো সাধারণ একটা মেয়েকে এতোবড় অভিযানে নিয়ে ওদের লাভ কি? ওরা কেনো নিবে তোকে?”
” জানিনা, কিন্তু আমি আমীরকে একা যেতে দিবো না।”
” আমীরকে কেউ আটকাতে পারেনি। যেখানে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও সে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব সেখানে তোর কথা ও কেনো শুনবে?”
” ও নিশ্চয়ই শুনবে।”
নীলাভ্র তোহার কথায় পাত্তা দেয়না। মেয়েটা পুরোপুরি বেসামাল হয়ে গেছে। ওরা ট্রুডোর মিটিংরুমের সামনে এসে দাঁড়াতেই দেখলো স্বচ্ছ কাঁচের দেয়ালের অপর পাশে বিশাল বিস্তীর্ণ মাঠে একটা সাদা রঙের স্পেসশীপ দাঁড়ানো। রকেটটা এতোই লম্বা যে পুরোটা দেখার জন্য ওদের কিছুটা পিছিয়ে যেতে হলো। আমীর, রিম্মি সাথে আরও কয়েকজন নভোচারীর পোশাক পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। নীলাভ্র তখন রোবটদের বড় গাড়ি থেকে যে খাবার,পোশাক, আরও বিভিন্ন জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে দেখেছিল, সবকিছু ওই স্পেসশীপে ঢোকানো হচ্ছে। তোহা জোরে জোরে কাঁচের দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করে। আমীরের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা। কিন্তু ওদের দিকে কেউ একবারও তাকাচ্ছে না। তোহা আমীরের নাম ধরে চিল্লিয়ে ডাকে। আমীর তাকায় না, একবারও তাকায় না। একটু পরেই বিকট শব্দ হলো। ওই শব্দের দমকে এতোবড় দালান সম্পূর্ণটাই যেন কেঁপে উঠলো। কাঁচের দেয়ালে পর্যন্ত ফাটল ধরে যায়। তোহা এক চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে বসে পড়লো। দুইহাতে দুইকান চেপে ধরে থরথর করে কাঁপছে সে। নীলাভ্রও দুইকান চেপে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুমুহুর্তের জন্য নিজেকে বধির মনে হচ্ছে। চারদিকে ধোঁয়াশা, কিছুই দেখা যায় না। স্পেসশীপটা কি তাহলে টেক অফ করেছে? এখন এই জায়গাটা পুরোপুরি নিস্তব্ধ মনে হচ্ছে। নীলাভ্র অনেকক্ষণ পর কিছু একটা চিন্তা করে বললো,
” শোন তোহা, যদিও ওদের ফিরে আসার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবুও বলছি, যদি ফিরে আসে তাহলে আধঘন্টার মধ্যেই আসবে। কিন্তু এর মাঝেও কোটি কোটি বছর কেটে যাবে। অথচ আমাদের মনে হবে মাত্র আধঘণ্টা কেটেছে। আর এই আধঘণ্টার মধ্যেও যদি ওরা না আসে, তাহলে বুঝে নিতে হবে অনন্তকালেও আর ওদের ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই৷ এই হিসাবটা আমাকে রিড বুঝিয়ে দিয়ে গেছিল। ”
তোহা হতবাক দৃষ্টিতে চেয়ে বললো,” ওরা চলে গেছে?”
নীলাভ্র খুব কষ্টে ঘাড় নাড়ায়। ছলছল দৃষ্টিতে বললো,” হুম।”
তোহা হাত-পা ছেড়ে মেঝেতে বসে পড়ে। একটু পর উদাসভাবে বললো,
” আধঘণ্টা? মানে থারটি মিনিটস? তাইনা?”
নীলাভ্র আবারও ঘাড় নেড়ে বলে,” হুম।”
তোহা তিরানের দেওয়া আওয়ার গ্লাসটার দিকে তাকিয়ে কাউন্ট ডাউন শুরু করলো,” ওয়ান, টু, থ্রি, ফোর…”
আমীর স্পেস রকেটের গোল জানালা দিয়ে চেয়ে আছে। মাত্র কয়েক মিনিটেই পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে চলে এসেছে তারা। এখন পৃথিবীটাকে দেখতে ছোট্ট একটা মার্বেলের মতো লাগছে। যে মার্বেলের কিছু অংশ সবুজ, কিছু অংশ নীল। আমীর হঠাৎ করেই আবিষ্কার করে, পৃথিবী মহাবিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম গ্রহ!
চলবে