#নতুন_তুই_আমি#
💜💜💜💜💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹
পর্ব:-২…………………………
কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খোলে সিয়ামের আম্মু।মনে হয় সিয়ামের আসার অপেক্ষা করে বসেছিলো।
ভেতরে প্রবেশ করার আগেই ছেলেকে দরজায় দ্বাড় করিয়ে রেখে প্রশ্ন করেন,
“তামান্না কোথায়??”
রাগ হয় সিয়ামের।নিজের ছেলে সারা দিন ভার্সিটি থেকে ক্লান্ত হয়ে ফিরেছে।
তার খবর না নিয়ে অন্য লোকের মেয়ের খবর নিচ্ছে।
মায়ের প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে ভেতরে ডুকে সিয়াম।নিজের রোমের দিকে যাচ্ছিলো পেছন থেকে মা বলে উঠে,
“ফ্রেস হয়ে তামান্নাকে কল কর।আসতে বল এখানে শপিং এ যাবি ওকে নিয়ে…”
থেমে যায় সিয়াম।বিষ্ময় নিয়ে মায়ের দিকে তাঁকিয়ে আছে।
“হাবলার মতো তাঁকিয়ে না থেকে যা তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে নে।রাইয়ান আসছে সে ও তোদের সাথে যাবে…….”
সিয়াম বিরক্ত হয়ে জানতে চায়,
“কেনো,আম্মু।তামান্না কে নিয়ে আমি শপিং এ কেনো যাবো।”
“আমি বলেছি তাই।”
“ওফফফ,আম্মু।ও কি বাচ্চা যে ধরে ধরে শপিং করাতে হবে।ওর কিছু কেনার দরকার হলে ও নিজে কিনতে পারে….
আম্মু কেনো শুধু শুধু ওকে শপিং এ নিয়ে যাবো।অনেক ট্রায়াড আমি,পারবো না।”
“শোন,ওর না কিছু দরকার নেই।তুই যাওয়ার সময় আমার কার্ড নিয়ে যাবি।ওকে দামী কয়েকটা শাড়ি।আর যদি ও জুয়েলারি কিনে তাহলে সেটাও কিনে দিবি।ও যদি মুখ দিয়ে বলে,ওর এটা ওটা ভালো লাগছে…..তাহলে সাথে সাথে কিনে দিবি…..”
সিয়াম এবার মায়ের কথা শোনে বড় রকমের একটা শকড খেলো।
যে মায়ের কাছে হাজার বায়না করলেও একটা বন্দুক পায় নি ছোট সময়।সে মা আজ তামান্না না চাইতেও যেটার জন্য ভালো মন্তব্য করবে সেটা ই কিনে দিতে বলছে।ধপাস করে সোফায় বসে পড়ে বেচারা।
“আমি পারবো না।দরকার পড়লে তুমি যাও……আমাকে তো কখনো এভাবে কিছু ওফার করো নি…….”
“ঐ তোর মতো কি তামান্না মা মনি বদমাইশ নাকি রে??কত ভালো একটা মেয়ে।এমন মেয়েকে দেখলে ই তো মন প্রাণ জুড়িয়ে যায়।আর তুই নাকি ওকে বিয়ে করতে চাস না…….কোন পেতনিকে ঘরে তুলতে চাস,হ্যাঁ???
আর শোন তুই চাস বা না চাস তামান্নাকেই আমি ঘরের বউ করে আনবো।
আর আজকে তুই ওকে নিয়ে শপিং এ যাবি তো যাবি।আমি তামান্নার মাম্মাকে ফোন করে বলছি ওকে পাঠিয়ে দিতে।তোর আর ফোন করতে হবে না।”
সোজা সাপ্টা কথাগুলো বলে দিয়ে সিয়ামের মা চলে যান।
আর কিছক্ষণ পর ফিরে এসে সিয়ামকে আগের মতোই ড্রয়িং রুমে বসে থাকতে দেখে এমন এক কথা বলেন।পিলে চমকে যায় সিয়ামের।
“শোন,বাবু।তোকে বলতে চাইছিলাম না।কিন্তু তোর যা ভাব ভঙ্গি।আমার সুবিধা ঠেকছে না।তাই বলে দিচ্ছি…”
“কি কথা বলবে তো??”
“আজ সকালে তোরা ভার্সিটিতে যাওয়ার পর,তোর আব্বুর সাথে তামান্নার পাপা আর ওর জেঠাতো বড় ভাই টা আছে না ঐ যে রাফিন আর কি।ওদের সাথে কথা হয় আর কি।তো ওরা তিন জন মিলে আমার আর তামান্নার মায়ের সম্মতি নিয়ে আগামী আট তারিখ মানে সামনের শ্রুকবার তোর আর তামান্নার রেজিস্ট্রি হবে…..”
কথাটা শোনা মাত্রই সিয়ামের মাথায় পুড়ো মঙ্গল গ্রহ ভেঙে পড়লো মনে হয়।চোখ দুটো অক্ষিকোটর থেকে এই বুঝি বেরিয়ে আসবে………..
ছেলের মুখের এমন অসহায় অবস্থা দেখেও মায়ের মনে একটু মায়া পর্যন্ত হলো না।কার্ড টা ছেলের সামনে রেখে বললেন,
“ফ্রস হলে হ।না হলে না হ…
আসরের নামায পড়ে তামান্না আসছে।ওকে নিয়ে বের হবি…….”
চলে গেলেন মা জননী।
কিন্তু সিয়ামের মাথার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে,বেচারা নিজেই বুঝতে পারছে না।
!
“মাম্মাম,কেনো জোর করছো??আমি বললাম তো যাবো না আমি….কি শপিং করবো আমি???”
“উঠো আগে তুমি।এসেই শুয়ে পড়ো।বাজে অভ্যাস তোমার।”
“ওফফফ।মাম্মাম ভালো লাগছে না আমার…….”
“আচ্ছা!!কি হয়েছে সেটা তো বলবে??কখন থেকে মন খারাপ করে শুয়ে আছো।এসে তো খাও নি কিছু।তোমার ভাবী(রাফিনের বউ)বললো তুমি না কাঁদছিলে??”
“মাম্মাম,আমি কি খুব বড় হয়ে গেছি???ভাবীর যখন বিয়ে হলো ভাবীর তখন ছাব্বিশ বছর ছিলো মাম্মাম।তাহলে তোমরা কেনো এতো আগে আমাকে বিয়ে দিচ্ছো???আমি কি কাউকে লাইক করি যে পালিয়ে যাবো এই ভয়ে আগে ভাগেই বিয়ে দিচ্ছো??আমি কি বুঝা হয়ে গেছি??আর বিয়ে দিচ্ছো তো দিচ্ছো…..সিয়ামের সাথে…..ও তো আস্ত একটা বদ ছেলে………”
“মা ছিঃ ছিঃ কি সব বলো।তুমি আমাদের কাছে কখনো বুঝা না।আমাদের মা তুমি।বাট মাম্মাম সিয়ামের আম্মু খুব উঠে পড়ে লেগেছে তোমাকে ওনার ছেলের বউ বানানোর জন্য…….”
“তাই তো বাসা থেকে তাঁড়িয়ে দিচ্ছো??”
“পাগলী,আমার।তাঁড়িয়ে কেনো দিবো।আর শোনো আমরা তো অপরিচিত কারও সাথে তোমার বিয়ে ঠিক করি না।সিয়াম অত্যন্ত ভালো একটা ছেলে।তোমার সাথে কত ভাব ওর।তোমাদের ভালোর জন্যই আমরা এই কাজ করছি।আর আগে বিয়ে দিচ্ছি এটা যদি বলো তোমাকে তো আর ওদের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ঝামেলায় যেতে হবে না।অন্য পরিবার হলে সমস্যা হতো এই বয়সে মানিয়ে নিতে।বাট মাম্মাম তুমি তো ওদের পরিবারে এতো ইজিলি চলেছো যে অনেক আগেই তুমি ওদের পরিবারের সদস্য হয়ে গেছো।সো এটা তোমার জন্য দারুণ একটা প্লাস পয়েন্ট।…….”
“বাট মাম্মাম।সিয়াম তো আমাকে লাইক ই করে না।ও তো সব সময় বলে আমি নাকি কুৎসিত!!!আজও তো বললো,আমার নাকি কোনো গুণ নেই।আমি দেখতে খুব বাজে…..”
“হা হা হা হা হা।।।।বোকা মেয়ে আমার……কার কপালে কটা চোখ আছে বলো তো??যে আমার মেয়েকে কুৎসিত বলবে???আর আমার মেয়ের মতো গুনবতী মেয়ে কয়টা আছে???”
“মাম্মাম,তবুও এখনি কেনো বিয়ে করতে হবে আর চার মাস পর তো এক্সাম।আর সিয়ামকেই কেনো করতে হবে….”
“আমিও ভেবেছিলাম যে কেনো এখনি বিয়ে করতে হবে।বাট পরে উত্তরও পেয়ে গেছি।তোমাদের অনার্স শেষ প্রায়।এমন হতে পারে তোমার বাবা অন্য কারও সাথে তোমার বিয়ের কথা বলে দিলো বা তোমার ভাইয়া কারও সাথে কথা বলে ফেললে।সাধারণত এই সময়েই তো বিয়ের কথা বেশি হয়।তাহলে তো সিয়ামের সাথে তোমার বিয়ে টা হবে না…”
“বাট মাম্মাম সিয়ামকে কেনো এতো লাইক করছো তোমরা??”
“মা রে।আমাদের কি মনে হয় জানিস???এই পৃথিবীতে সিয়ামের চেয়ে সুখী তোকে আর কেউ করতে পারবে না।একটা সংসার কখন সুখী হয় জানিস??
যখন স্বামী আর স্ত্রীর মাঝে বন্ধুত্ব টা ভালো থাকে তখন।
আর তোদের মাঝে তো এই সর্ম্পকটা খুব ভালো।
আর আমরা যদি তোদের বিয়ে দিয়ে দিই না কিছু সময় পর তোরা নিজেরা নিজেদের বন্ধুত্বের বাইরেও আলাদা সর্ম্পকে চলে যাবি।
কেনো জানিস???
বিয়ে এমন একটা পবিত্র বন্ধন যা একটা ছেলে আর মেয়ের মাঝে সবোর্চ্চ মানসিক আর শারীরিক দুটো সর্ম্পক গড়ে তোলে। এই যে তুই আর সিয়াম এতো ভালো বন্ধু।বিয়ের পর দেখবি তোদের এই মনের সর্ম্পক টা আরোও গভীর হবে।সেটার অবশ্য আলাদা একটা নামও হবে।
আমার মা মনি সেটা ঠিক বুঝে নিবে।তাই আর কোনো অমত না মা।তোর পাপাও সিয়ামকে কত ভালোবাসে।ভাব একবার যার সাথে তোর শৈশব,কৈশর কেটেছে তার সাথে তোর পবিত্র যৌবন কাটবে……..”
মায়ের কথা টা শোনে তামান্নার ভেতরে একটা আলোড়ন বয়ে গেলো।সব মেয়ে নিজের যৌবন,বিয়ে,স্বামী,সংসার নিয়ে ভাবে।তামান্নাও তার ব্যতিক্রম না।কিন্তু সিয়ামকে নিয়ে কখনো এমন ভাবে নি।
অথচ আজ!!!!!অদ্ভুত লাগছে সব কিছু!!!শেষ পর্যন্ত সিয়াম!!!
ভাবতেই পারছে না তামান্না।
ওদের সর্ম্পক টা কি আসলেই নতুন রূপ নিবে???
নতুন আলোর ছোঁয়া পাবে???
কোনো উত্তর খোঁজে পায় না তামান্না।
ওর মা আবারও বলতে শুরু করে,
“দেখো মাম্মাম।আমি তোমার ‘মা’ এর চেয়ে তো আরও গভীর ভাবে তোমাকে বুঝাতে পারবো না।তবে আমার কি মনে হয় জানো???
সারা জীবন তোমার পাশে হাত ধরে হাঁটার মানুষ একটাই।আর সে হচ্ছে অনলি ‘সিয়াম’ তোমার প্রিয় বন্ধু।এখন যেমন ওর সাথে ঝগড়া না করলে,দেখা না হলে তোমার মাথা গরম হয়ে যায়।মন খারাপ হয়!!!
ঠিক তেমন এমন একটা দিন আসবে,যে দিন সিয়ামের সর্প্শ না পেলে তোমার ভালো লাগবে না,অস্থীর হয়ে যাবে তুমি।
এমন একটা দিন আসবে যে দিন আজকের বন্ধুবেশী সিয়াম তোমাকে দুনিয়ার সব চেয়ে বেহায়াপনা কথাগুলো বলবে,আর তুমি লজ্জায় রাঙা হয়ে যাবে।আজকে ওর সাথে ঝগড়া করে জিততে ভালো লাগে তো তোমার??
কিন্তু বিয়ের পর দেখবে,এমনও সময় আসবে,তুমি স্বইচ্ছায় সিয়ামের কাছে হেরে যাচ্ছো।
এটাই হবে মা।বিয়ে হোক তুমি দেখে নিয়ো,তোমার মাম্মাম ভুল কিছু বলে নি।তোমার পরিবার তোমাকে অবশ্যই ভুল কারও হাতে তুলে দিবে না।তোমার মনে তো অন্য কেউ নেই।ভালোবাসার জায়গা টা স্বামী বা প্রেমিক হিসেবে কাউকে দাও নি।তাহলে মা তোমার সে জায়গাটা আট তারিখের পর থেকে সিয়ামকে দিতে শুরু করো।ধীরে ধীরে দেখবে সে দিনের পর থেকে ওর আর তোমার বন্ধুত্ব আরও বেড়ে যাবে,তোমার মনে সব টা জোরে শুধু সিয়াম থাকবে।এখন বন্ধু হয়ে আর তারপর সরাসরি হাসবেন্ড না বানালে প্রেমিক তারপর না হয় হাসবেন্ড!!!!আর মাম্মাম স্বামীর চেয়ে ভালো বন্ধু,প্রেমিক আর কেউ হতে পারে না……..”
মায়ের কথাগুলো কেমন অদ্ভুত লাগছে তামান্নার কাছে।
বুকের ভেতরে একটা অজানা শিহরণ বয়ে যাচ্ছে।ভালোবাসা,বয়স,সময়,ছেলে,মেয়ে,বন্ধুত্ব,যৌবন,বিয়ে,প্রেম-ভালোবাসা সবকিছু সমীকরণ কেমন জানি এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
মেয়ের অবুঝ মুখটা দেখে ভেতরের অবস্থা টাও হয়তো বুঝে যায় মা।তাই তো মাথায় হাত রেখে বললেন,
“আমি জানি তোমার মন এখন কতটা অশান্ত!!!কতটা প্রশ্নময়ী!!!তবে চিন্তা করো না খুব তাড়াতাড়ি ই তুমি সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবে।হুম খুব তাড়াতাড়ি।আর অশান্ত মন শান্তও হবে……উত্তর গুলো পেয়ে।এসব ভাবারর সময় আর থাকবে না।তবে মন অশান্ত হবে আবারও আর সেটা তোমার স্বামীর জন্য।স্বামীর চিন্তার জন্য,তাঁকে এক নজর দেখার জন্য…তার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য…..।
এই দেখো এতো কিছুরর মাঝে তুমি হয়তো আমার একটা কথা ধরতে পারো নি।আর সেটা হচ্ছে “আট তারিখ”।আট তারিখে তোমাদের রিং বদল হবে আর তোমাদের বিয়ে টাও সম্পন্ন হবে যেনো তোমরা চাইলেও পালাতে না পারো।
বরং আরও কাছাকাছি আসতে বাধ্য হবে তোমরা।
বাট সে দিন শুধু রেজেস্ট্রি করে বিয়ে হবে।আর মেইনলি অনুষ্ঠান হবে আগামী বিশ মার্চ।তখন তোমরা পবিত্র কালিমা পড়ে পৃথিবীর সব চেয়ে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হবে….”
তামান্না কথাগুলো বুঝার চেষ্ঠা করছে।মাথা ঠিক ঠাক কাজ করছে না।সত্যিই কি হবে এমনটা???যেমনটা মাম্মাম বলছে!!!!!
“এতো তাড়াতাড়ি????”
“হুম সব তোমাদের ফাইনালের আগে।আর আমাদের বিশ্বাস তোমাদের যা প্রিপারেশন তোমাদের বিয়ে তোমাদের রেজাল্ট খারাপ করবে না…..”
“মাম্মাম!!!!তার মানে আমি কি এক্সামের আগে তোমাদের ছেড়ে চলে যাবো???”
মাকে জড়িয়ে ধরে চোখের পানি ছেড়ে দেয় তামান্না।
“এই পাগলী মেয়ে।কি সব বলছো????বিয়ের পর তুমি তো আসবেই এই বাড়িতে….”
“বাট মাম্মাম রোজ তো না??আমি তো পাপার হাতে রোজ সকালে খাই।পাপা না থাকলে তুমি খাইয়ে দাও বাট সেখানে তো কেউ খাইয়ে দিবে না মাম্মাম???”
মেয়ের কথা শোনে মায়ের মনটাও দোমড়ে মোচড়ে যাচ্ছে।কিন্তু এখন যদি ওনি এসব বলেন তাহলে ওনার মেয়ে যে আরও ভেঙে পড়বে।তাই নিজেকে সামলিয়ে নিলেন।
তারপর মেয়েকে স্বাভাবিক করে নিয়ে শপিং এ যাওয়ার জন্য তৈরী হতে বলেন।
!
সময় মতো সিয়ামের বাসায় পৌঁছে যায় তামান্না।
নতুন কিছু নয়।এই বাসায় জীবনে হাজার বার এসেছে তামান্না ছোট বেলা থেকে।
কিন্তু আজ যেনো সিয়ামের মা একটু বেশিই আদর যত্ন করছে।
একমাত্র ছেলের হবু বউ বলে কথা।
সিয়াম যাবে না বলে চুপচাপ রোমে শুয়ে আছে।
এদিকে সিয়ামের খালাতো বোন রাইয়ানও হাজির।
তামান্না আর সিয়ামের বিয়ে হবে শোনে বেচারী মহাখুশি।
বাট ওরা দুজন যে বিয়ে করতে অমত জানিয়েছে সেটা শোনে রাগ হয়েছে খুব।সিয়ামের মা কে তো রাইয়ান সোজা ভাবে বলে দিয়েছে,”চিন্তা করো না খালামনি।তোমার ছেলেকে কিভাবে তামান্না আপুর গলায় বাঁধতে হয় সেটা আমি দেখে নিবো”।
আর এই কাজ টা করার জন্য এই পুঁচকি মেয়ে নাকি নিজের কলেজ বদলাবে!!!!!!
সিয়ামের মা জোর করে তামান্নাকে হাতে কিছু গহনা পড়িয়ে দিচ্ছে।এ বাসায় আসলে জোর করে খাওয়ানো হতো তামান্নাকে।পরশু দিনও জোর করে কত কি খাইয়েছে সিয়ামের মা।আর আজ জোর করে পড়িয়ে দিলো একজোড়া বালা।
“শোন,খুলবি না এটা।তোর থ্রি-পিসের সাথে এই দুটো বালা পড়লে খারাপ লাগে না।তুই তো আর বেশি ওভারস্মার্ট মানে বদমাইশ টাইপ মেয়ে না যে শার্ট পেন্ট পরিস।সব সময় তো জ্যানারেল আর মাথায় হিজাব দিস তাই এগুলোর সাথে বালা পড়া নো ম্যাটার।তবে খুব মানিয়েছে কিন্তু তোর হাতে।শাড়ির সাথে আরও মানাবে……এখন যা ঐ বদ টা ঘর থেকে বের কর…..”
তামান্না যেতে চাচ্ছিলো না।কিন্তু সিয়ামের মা হার মানার পাত্রী নয়।দুটো কে এক করেবেই ওনি।রাইয়ানকে ইশারা করতেই রাইয়ান তামান্নাকে টেনে সিয়ামের রোমে নিয়ে যায়।
“ঐ,ভাইয়া উঠো।দেখো আপু তোমার রোমে আসতে চাইছিলো না…”
আজ কেনো জানি এই রোমে আসতে মন চাইছিলো না তামান্নার।তবে যেদিন এই বাড়িতে আসতো সে দিন এই ঘর ই ওর আবাসস্থল ছিলো।
আজ কেনো এমন অগোছালো লাগছে সব বলতে পারবে না তামান্না।
সিয়াম রাগী চোখে তামান্নার দিকে তাঁকিয়ে বললো,
“ভাবিষ্ট নাকি???ভাব নিস??
কবে আমার রোমে আসিস না তুই???”
“দেখ,বেশি বক বক করবি না।তোর রোমে আসতে আমার। বয়েই গেছে।বদমাইশ একটা….আর আমি মোটেও ভাব নিই নি।তোর রোম যা অগোছালো থাকে তাই আমি আসতে চাই নি……”
“ওহ হু।আবার ঝগড়া শুরু!!!! থামো তো।এই ভাইয়া দেখো না আপুর হাতে কি সুন্দর বালা খালা মনি পড়িয়ে দিয়েছে।”
তামান্নার হাত দুটো টেনে সিয়ামের সামনে ধরে বললো রাইয়ান।এক পলক হাত দুটো দেখলো সিয়াম।ভালোই মানিয়েছে হাতে বালা দুটো।তবুও ওর স্বভাব বজায় রাখতে বললো,
“বাঁশের মতো দুটো হাত ঐ হাতে আবার বালা লাগে।হু,চুঙ্গা চিনিস???ঐ চুঙ্গার মতো লাগতেছে……”
তামান্না রেগে পুরো আগুন।সিয়াম টা সব সময় এমন করে।আজ পর্যন্ত কোনো দিন কোনো প্রশংসা করে নি মেয়েটার।
“সিয়াম!!!!!!কুত্ত,বিলাই,ইন্দুর….গরু….মর তুই….হারামি…..”
তামান্নার চেঁচামেচি শুনে সিয়ামের মা রোমে আসে।সব শোনে ছেলেকে কান মুলে দিতে থাকেন।
“ওহ।আম্মু,ছাড়ো…..বেশি বেশি।ওর জন্য আমাকে মারলে কিন্তু ওকে আমি দেখে নিবো….”
সিয়ামের মা মারতে লাগলো সিয়ামকে।
“ঐ কি বলিস তুই।দেখে নিবি??হ্যাঁ…দেখ না দেখার জন্য ই তো এনে দিলাম।বদ ছেলে কিচ্ছু বুঝে না হিরা আর কাঁচ চিনিা না এখনো…..তাড়াতাড়ি রেডি হ।রাত করবি না কিন্তু ওকে বাসায় দিয়ে আসবি তাড়াতাড়ি।তোর জন্য আজকে প্রথম রাতে বাসায় যেতে হবে মেয়েটার।বদমাইশ……যা তাড়াতাড়ি”
সিয়ামের আর কি করার।বাধ্য হয়ে যেতেই হলো।
গাড়িতে উঠবে,তামান্না রাইয়ানের সাথে বসবে চাচ্ছিলো।কিন্তি রাইয়ান তামান্নাকে জোর করে সিয়ামের সাথে বসিয়েছে।
শপিং মলে যাওয়ার পুরো রাস্তা রাইয়ান বকবক করেছে একা একা।এমন ছিলো ওর বলবকানিগুলো,
“ভাইয়া,তুমি কি একটা জিনিস খেয়াল করেছো??তামান্না আপুর হাতের গঠন টা কিন্তু খুব সুন্দর।গায়ের রং একদম হলুদ সাদা।ওয়াও আমার যে কি ভালো লাগে আমি জাস্ট বলে বুঝাতে পারবো না।ইশশশশশ,তুমি তো আপুর চুল দেখো নি গো ভাইয়া।আমি দেখেছি কি যে সুন্দর।তুমি দেখলে পুরো ফিদা হয়ে যাবা……..”
এরকম আরও কত কি।কিন্তু সিয়াম আর তামান্না দুজনেই রেগে ছিলো।তাই ওরা রাইয়ানের কথায় বেশি কান দেয় নি।তবে চুলের কথাটা ভালো লেগেছে সিয়ামের।
সিয়াম তামান্নার ক্লোজ হলেও লাস্ট ক্লাস সেভেনের দিকে তামান্নার চুল দেখেছিলো।তখনি তামান্নার চুল বেশ ছিলো।সব মেয়ে বন্ধুরা তামান্নার চুল নিয়ে নিজেরা খুব আপফোস করতো।
আর এইটে উঠে তামান্না হিজাব পড়া শুরু করে।
কোনো ছেলের সামনে চুল খুলে নি তখন থেকে।তাই সিয়াম দেখি নি আর কখনো।
বাট কোনো দিন ইচ্ছাও জাগে নি তামান্নার চুল দেখার জন্য।
কিন্তু আজ!!!!রাইয়ানের কথায় একটু ইচ্ছা জাগছে তামান্নার চুল গুলো দেখতে।
কি জানি রাইয়ান সত্যি না মিথ্যা বলছে!!!তবে সিয়াম আন্দাজ করতে পারছে,কম বয়সেই যা সুন্দর ছিলো তামান্নার চুল এখন হয়তো আরও সুন্দর হয়েছে!!
.
শপিংমলে ডুকে রাইয়ান ওর খালামনির কথা মতো,সিয়াম আর তামান্নাকে শাড়ির দোকানগুলো তে নিয়ে যাচ্ছে।
বাচ্চা মেয়ে হলে কি হবে এই রাইয়ান একটু বেশিই চালাক।
সতেরো বছর বয়সে অনেক চালু।পচ্ছন্দও ফাটাফাটি।
তবে এখনো আবেগে গা ভাসায় নি বুদ্ধিমানও বটে তাই।
তামান্নার জন্য অনেক দোকান ঘুরে রাইয়ান নিজেই বেশ কয়েকটা শাড়ি কিনলো।
বাকী দুজন তো নিরব দর্শক।
বাধ্য হয়ে রাইয়ান ই সব করছে।
!
“আমি আর পারবো না,তোরা দুজন শপিং কর……”
“ভাইয়া,কিসব বলছো???আমরা একা যাবো??”
“রাইয়ান,ছাড়ো না……তুই যা তোর থাকা লাগবে না…….”
“তুই বেশি কথা না বাড়িয়ে,তাড়াতাড়ি কর…..তাহলে ঝামেলা দূর হয়….”
“কি???আমি তোর কাছে ঝামেলা???তুই নিজে ঝামেলা……বদ কোথাকার…..”
“ওফফ…..তোমরা থাম…… আপু,শাড়ি চার টা এনাফ……গহনা??”
“না না….গহনা কেনো??”
“কিন কিন……তোর হবু শাশুড়ী মায়ের টাকা……বেশি বেশি খরচ কর…..অন্যের টাকা খরচ করবি আবার গাঁয়ে লাগবে নাকি???যত পারিস শপিং কর তোর পকেট সরি তোর ব্যাগ তো ফাঁকা হবে না,আম্মাজানের কার্ডে ডিজিট কমবে আর কি…..কিন যত পারিস কিন……”
সিয়ামের কথা শোনে তামান্নার গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে।
মেয়ে টা কি বলেছিলো কিনে দিতে!!!জোর করেই তো আনা হয়েছে ওকে।সিয়ামের আম্মু না বললে কি আসতো???খুব খারাপ লাগছে তামান্নার সিয়াম এভাবে টাকার খোটাও দিতে পারলো!!!!!
বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টিয়ে দিলো তামান্না,চোখে পানি এসে গেছে,
“আমি বলেছি তোর আম্মুকে আমায় শপিং করে দিতে????
লাগবে না আমার শাড়ি…..আর শোন আমি না এতো লোভী না……বিশ টাকার ফুচকা খাইয়েও তুই আমাকে খোটা দিস…..আর আজ আন্টি ই তো জোরাজোরি করেছে তাই মাম্মাম পাঠিয়েছে…..না হলে তো আসতাম ই না……আমি তো শাড়ি পড়ি ই না কোনোদিন…..তবুও আন্টির কথা নিয়েছিলাম……..”
!
রাইয়ানের হাত থেকে শাড়ির প্যাকেটগুলো নিয়ে হনহনিয়ে শাড়ির দোকানের দিকে যাচ্ছে তামান্না……..রাইয়ান পেছন ডাকলেও শোনে নি তামান্না।
শাড়িগুলো গুলো দোকানে ফেরত দিয়ে রাইয়ান আসার আগেই লিফ্টে করে নিচে নেমে যায়।পেছনে তাঁকায়ও নি একবার।কাঁদছে শুধু…….সাথে সাথে আবার ট্যাক্সিও পেয়ে যায়,তাই উঠে যায়।
আর এদিকে রাইয়ান ইচ্ছামতো ঝাড়ি দিচ্ছে তামান্নাকে।
“তুমি এতো খারাপ ভাইয়া???এভাবে কেউ বলে???আমি খালামনিকে গিয়ে সব বলবো……তুমি আপুকে অপমা করেছো……বেশি সবসময়…….”
“ঐ চুপ কর তো…….কিনবি কিছু???”
“না পরে আবার আমাকে না খোটা দিয়ে বসো…..তোমার আম্মুর কার্ড দিয়ে তুমিই কিনো…..আপু হয়তো চলেও গেছে……দাঁড়ানোর তো কথা না……”
“হ্যাঁ….চলেই গেছে……”
“এতো গাঁ ছাড়া ভাব করো না তুমি!!!অসহ্য……কে যে বিয়ে করবে তোমাকে…..খালামনি শুধু শুধু তামান্না আপুর মতো মেয়েটার জীবন নষ্ট করছে…..”
“ঐ………তামান্নার চেয়ে অনেক ভালো মেয়ে ডির্জাভ করি আমি…….চেহারা তো ওর পুরো বাজে কম্পানি……আর যা মেয়ে,অসহ্য…..”
“কি???তামান্না আপুর চেহেরা বাজে???ভাইয়া,প্লিজ তাড়াতাড়ি চোখের ডাক্তার দেখাও….গিয়েছিলাম তো তোমার ভার্সিটির অডিশনে,দেখেছি তো বাকী মেয়েদের…..হোল ভার্সিটিতে তামান্না আপুর মতো হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র দেখেছি বোধহয়…….আর তুমি কি না!!!!!ধ্যাত…..মুড টাই নষ্ট করে দিলো আমার…..থাকো তুমি যত্তসব……”
চলে গেলো রাইয়ান।ও তো আর একা একা বাসায় যেতে পারবে না।ঢাকায় তো কখনো একা একা চলাফেরা করে নি,তা না হলে একাই চলে যেতো আজ।বাধ্য হয়ে গাল ফুলিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।
“খালামনিকে বলবো সব।কি বদমাইশ হয়েছে ভাইয়া;আপু টা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো….এখনি এভাবে কাঁদায় না জানি বিয়ের পর আরও কত কি করবে…..খারাপ একটা”
রাগে বির বির করে বলছে রাইয়ান।
!
পনেরো মিনিট ধরে বসে আছে রাইয়ান।কিন্তু সিয়ামের আসার নাম নেই।
কিছুক্ষণ পর সিয়াম হাতে এত্তগুলো শপিং ব্যাগ নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো।
রাইয়ান এতগুলো শপিং ব্যাগ দেখে রাগের পরিমাণ কিছু কমিয়ে নিলো।ভেবেছে;সিয়াম নিশ্চয় তামান্নার জন্য শাড়িগুলো আবার নিয়েছে।
“যাক,সুবুদ্ধি হলো তোমার…..”
সিয়াম গাড়ি সার্ট করে বললো,
“কিসের কথা বলছিস??”
“এই যে আপুর শাড়িগুলো নিয়ে নিলে আবার।আর ক কি কিনেছো আপুর জন্য??”
সিয়াম রাইয়ানের শোনে হাঁসি থামাতে পারছে না।
রাগ হচ্ছে খুব রাইয়ানের;হাঁসার কথা বলেছে নাকি সে।
সিয়াম ছয় টা শপিং ব্যাগ এনেছিলো সবগুলোই পেছনে ছুড়ে মারলো রাইয়ানকে দেখানোর জন্য।
রাইয়ান অগ্নিদৃষ্টিতে সিয়ামের দিকে একবার তাঁকিয়ে ব্যাগগুলো খুলে দেখতে লাগলো।
প্রত্যেকটা ব্যাগ খুলছে আর মাথাটা ১০০ ডিগ্রী করে বেশি গরম হচ্ছে।
১ম ব্যাগ:দুটো ব্যান্ড গেন্জি।
২য় ব্যাগ:একটা হোয়াইট ব্রান্ডেড এক্লুসিভ ওয়াচ।
৩য় ব্যাগ:থ্রি কর্টার পেন্ট চার টা।(এই ব্যাগ টা দেখে রাইয়ানের মাথা পুরো বিগড়ে গেলো তবুও কিছু বললো না)
চার নম্বর ব্যাগ টা খুললো;
৪)একটা হোয়াইট কালারের সুন্দর একটা শার্ট।বেয় দামী।
৫ম ব্যাগ:স্পাইক জেল,ব্র্যান্ডেড বডি স্প্রে,আফটার সেভিং ক্রিম আরও কিছু ছেলেদের টুকিটাকি।
৬ষ্ঠ ব্যাগ:জুতা।……
জুতাও নিয়ে নিলো শেষ মেষ।কার্ড হাতে পেয়েছে আর সব দামী দামী জিনিস কিনেছে নিজের জন্য।
রাইয়ান রাগে গিজগিজ করছে।নেহাত বড় ভাইয়া,না হলে চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতো।
চুপচাপ মুখ বুজে সব সহ্য করছে।ব্যাগগুলো সাইডে রেখে বাইরের দিকে তাঁকিয়ে আছে।
“কি রে বকবকি,কথা বলছিস না কেনো??”
“…………”
“তুই চলে এলি গাড়িতে।তাহলে তোকেও কিছু কিনে দিতাম…..”
“লাগবে না আমার।তোমার আম্মুর কার্ডের টাকাতে আমি কেনো শপিং করবো??”
“সে টা তামান্নাকে বলেছি।তুই তো চাইলে কিছু কিনতে পারতি,তোর খালা মনির কার্ড তো।তবে আমার আম্মু তো তাই অধিকার আমার বেশি,তুই চাইলে একটা বডি স্প্রে বা একটা ক্রিম কিনতে পারতিস…..”
“ভাইয়া!!!!!!!!!”
“আস্তে গাড়িতে এতো জোরে চিল্লায়……”
“তোমার আম্মুর টাকায় আমায় আমার একটা ক্রিম কিনতে হবে না…..তুমি ই কিনো…..”
সিয়াম আর কথা বাড়ালো না।মনের সুখের গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে সে।
বাড়ি পৌঁছেই রাইয়ান সিয়ামকে রেখে দ্রুত ভেতরে চলে গেলো।
সিয়াম হাঁসতে হাঁসতে নিজের ব্যাগগুলো নিয়ে বাসায় ডুকে যায়।
গিয়ে একটু অবাক ই হলো।
রাইয়ান যে ব্যাগ গুছিয়ে ফেলবে যাওয়ার জন্য; এটা আশা করে নি সিয়াম।
“আরে,মা কি হয়েছে তোর??বল আমাকে….কেনো চলে যাবি…..”
“আমি থাকবো না খালামনি।আজই চলে যাবো…”
“শোনো মেয়ের কথা।আসলি ই তো আজ….আর সিলেটে এখন যাবি তুই??”
“হ্যাঁ যাবো……”
“তোর আঙ্কেল আসুক বাসায়।কাল সকালে দিয়ে আসবে গাড়ি দিয়ে……আজ তো রাত হয়ে গেছে মা….”
“না আমি এখনি যাবো……রাতে থাকলে তো খেতে হবে।আমি তো না খেয়ে থাকি না রাতে,পারিও না…….পরে ভাইয়া আবার খাওয়ার খোটা দিবে……”
এবার বলতে বলতে কেঁদেই দিলো মেয়েটা।
সিয়াম ওদের কথার পাত্তা না দিয়ে রাইয়ানকে চোখ রাঙিয়ে নিজের রোমে চলে যায়।
সিয়ামের আম্মু রাইয়ানকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করলো।
জানতে চাইলো কি হয়েছে।
একে একে সব বললো রাইয়ান শপিং মলে কি কি হয়েছে।সাথে আরও কিছু মসলা মিশিয়ে যেনো সিয়ামকে ভালো ভাবে টাইট দেয় ওর মা।
পিচ্চি ও যেতোই না শুধু শুধু অভিনয় করছিলো যাওয়ার।যাতে ওর খালামনি সিয়ামের প্রতি আরও রেগে যায়।
সার্থক হয়েছে রাইয়ান।
সিয়ামের আম্মু রাইয়ানের ব্যাগ টা ওর রোমে রেখে দিয়ে রাগে অগ্নিমূর্তি হয়ে সিয়ামের রোমে যায়।
আজ সিয়ামের একদিন তো সিয়ামের আম্মুর যতদিন লাগে।😂😂