#নাটাই_ঘুড়ি
।।২৫।।
শাহীন এগিয়ে এসে কপালের ঘাম মুছে বলল, “এত রাশ ড্রাইভিং জীবনেও করিনি আর আজকে রাস্তাও ফাঁকা ছিল, তাই তোমার অফিস শেষ হওয়ার আগেই এসে তোমাকে ধরতে পারলাম!”
মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল নাইমা। অথচ এই মানুষটিকে সে বুড়ো ভেবেছিল!
নাইমা কপট রাগ দেখিয়ে বলল, “কী দরকার ছিল বাচ্চা সাথে নিয়ে এরকম রাশ ড্রাইভিং এর?”
“কেন তুমি খুশি হওনি আমাদের দেখে, সারপ্রাইজ পেয়ে?”
নাইমা গাঢ় স্বরে বলল, “খুশি হয়েছি, অনেক অনেক বেশি খুশি হয়েছি!”
“চল আহনাফকে নিয়ে আবার খেলতে যাই?”
“কোথায়, বিগ বাইটে?”
“তাছাড়া আর জায়গা কোথায় এখানে?”
নাইমা কিছুটা বিব্রত স্বরে বলল, “আমার লজ্জা লাগছে!”
“তাহলে কি আমরা চলে যাব?”
“না না, তা কেন। বাসায় নীরা মীরা মাশুক আছে, ওদেরকেও ডাকি?”
“আমার সাথে একা কথা বলতে চাচ্ছ না, তাই তো?’
নাইমা লজ্জা পেয়ে মুখটা অন্যদিকে ফেরাল। শেষ বিকেলের রোদের তেজ মরে এসেছে তখন।
ত্রিশোর্ধ্ব যুবতীর মুখেও এই রোদ পড়ে বিভ্রমের সৃষ্টি করতে পারে। নাইমাকে এই আলোয় কোনো এক লাজুক ষোড়শীর মতই দেখতে লাগছে।
তোমাকে নিজের করে পাওয়ার আগে
কখনো বুঝি নি
একটা নিজের মানুষের জন্য কতটুকু তৃষিত ছিলাম!
“ডাকো তাহলে, ওদেরকেও ডাকো! সবাই মিলে একসাথেই খাওয়া দাওয়া করি!”
বিগ বাইটের টেবিলে বসে নাইমা যখন লজ্জা রাঙা মুখে নীরা মীরা আর মাশুকের সাথে শাহীনের পরিচয় করাচ্ছিল তখন ওরা অবাক হয়ে দেখছিল তাকে।
(গ্রুপ আর পেইজের পর্ব নাম্বারের সিরিয়াল একটু এলোমেলো হতে পারে, আমি কালকে ল্যাপটপ নিয়ে বসে পেইজের পর্ব নাম্বারের সিরিয়াল ঠিক করে দেব ইন শা আল্লাহ্। যারা গ্রুপে আছেন তারা গ্রুপের সিরিয়ালে পড়বেন প্লিজ।)