# নানান বরণ মানুষ রে ভাই
দ্বাদশ (১২ তম পর্ব)
বড় গল্প
নাহিদ ফারজানা সোমা
শিমুল পলাশকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছিল। দরজার দিকে পিছন ফিরে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জানান দিলো,দরজায় কেউ দাঁড়িয়ে আছে। শিমুল ঝট করে মুখ ফেরালো। আাছে। কচিমুখের ছোট্ট একটি দল। মৌরি, মুকুল, মিথুন, মুমু। পুতুলের মতো একেকটা বাচ্চা। চোখে অপার কৌতুহল। পলাশকে দেখে তারা হাসছে না। ছোট ছোট মুখগুলোতে মমতা।
“ওর কি হয়েছে? ”
“কিছু হয়নি তো।”
“ও নিজে নিজে খেতে পারে না?”
“পারে।কিন্তু ও তো আমার ভাই, তাই আদর করে খাইয়ে দিই।”
” আমিও তো তোমার ভাই। আমাকে এমন আদর করে খাইয়ে দিবে?” প্রশ্নটা মৌরির পরের ভাই মুকুলের,বয়স প্রায় সাত। চোখে লজ্জা মেশানো আকুতি।
শিমুল ভীষণ চমকে উঠলো। “কে বলেছে তুমি আমার ভাই? ”
শিশুদের মধ্যে কলরব উঠলো, “তুমি আমাদের আপা।সবার বড় আপা।”
“কে বললো তোমাদের? ”
“বাবা।”
আরেক দফা চমকানোর পালা।
শিমুল পলাশকে দেখিয়ে বললো,”এ তোমাদের কে হয়,জানো?”
কোরাস উঠলো,”না।তোমার সাথে যে একজন বড় মেয়ে এসেছে, তিনি কে তাও জানি না।”
“তোমরা তোমাদের বাবাকে জিজ্ঞেস করো নি?”
“করেছি তো। বাবা বলেছেন, চুপ করো।যাও এখান থেকে।”
“আবার জিজ্ঞেস কোরো,কেমন?”
“আচ্ছা। তোমাকে কি আপা ডাকবো না বড় আপা ডাকবো?”
“তোমাদের যা ইচ্ছা। ”
“আপা ই ডাকি। ওর নাম কি?”
“পলাশ।”
“ওকে তাহলে পলাশ ভাইয়া বলে ডাকবো?”
“বড় ভাইয়া বলে ডেকো।”
“তুমি তাহলে আমাদের বড় বোম আর ও আমাদের বড় ভাই? ”
“হ্যাঁ। ”
“তোমার সাথে যে বড় একটা মেয়ে এসেছিলো,শাড়ি পরা, ও কে?”
“বড়দেরকে উনি করে বলতে হয়। উনি কে,সেটা তোমাদের বাবাকে জিজ্ঞেস কোরো। ”
“আমাদের বাবা তোমার কি হয়?”
শিমুল দীর্ঘশ্বাস ফেললো। একবার বলতে চাইলো,”কেউ না।” কিন্তু এই অবোধ শিশুগুলোকে মিথ্যা বলতে মন সায় দিলো না। সে চুপ করে রইলো।
পলাশকে খাওয়ানো শেষ হয়ে গিয়েছিল। ওকে কুলি করানোর জন্য শিমুল খাট থেকে নিচে নামালো। শিশুর দলে বিস্ময় ধ্বনি উঠলো।
“বড় ভাইয়া হাঁটতে পারে না?”
শিমুল কঠিন গলায় বললো,”পারে। ”
“এমন ভাবে হাঁটছে কেন?বড় ভাইয়া কি ব্যথা পেয়েছে? ”
শিমুল উত্তর দিলোনা। ওমর খান আর রিয়ার বাচ্চাকাচ্চা তো কেউটের ছানাই হবে। কিন্তু এদের প্রতি কেন যেন কোন ঘৃণা বা বিদ্বেষ আসছে না।বরং বেশ মায়া লাগছে। আদর করতে ইচ্ছা করছে।
মৌরি চিন্তিত ভাবে বললো,”এতোদিন আমি বড় আপা ছিলাম।তাহলে এখন আমি কি হবো?”
“তুমি হবে মেজো আপা, আমি হলাম ভাইয়া,আর পলাশ ভাই বড় ভাইয়া।তাই না আপা?”
শিমুল হাসিমুখে বললো,”হ্যাঁ। ”
ওদিকে রেখা শাশুড়ি সেবায় ব্যস্ত। মন্জু আফরোজার ভাত নিয়ে এসেছিলো। মুখে তাচ্ছিল্য। শাশুড়ি -বৌ দুজনের প্রতি ই। মন্জু ভালোই জানে,এই দুজনে এই বাড়িতে ভাঙা বাসনের চেয়েও মূল্যহীন। সে ঠাস করে একটা তেপায়া টেবিলে ভাতের থালা আর পানির গ্লাস রেখে চলে গেলো। ঠান্ডা কড়কড়ে ভাত, কুমড়ার তরকারি, ডাল। রেখা সেই খাবারই বড় যত্ন করে শাশুড়ির মুখে তুলে দিলেন। ছোট ছোট লোকমা করে।পানি খাইয়ে দিলেন পরম মমতায়। আফরোজার কথা মনে হলে তাঁর ভীষণ যন্ত্রণা হতো, কষ্ট হতো কিন্তু রাগ বা ঘ্ণা হতো না। আসলে রাগ,ঘৃণা, লোভ,হিংসা অনুভূতিগুলোই তাঁর নেই। এজন্য তিনি কারো কারো চোখে দেবী, আবার অনেকের চোখে তিনি বেশি চালাক, নিজেকে অতি ভালো মানুষ প্রমাণ করতে সদা তৎপর এক চাল্লু মহিলা।
রেখা মতির মা’কে ডেকে আনলেন। হাতে একশো টাকা দিয়ে বললেন,”তুমি একটু আমাকে সাহায্য করো মতির মা। আর কাউকে ডেকে আনো।তাকেও একশো দিবো। কয়েকজন মিলে হাত না লাগালে হবে না। মতির মা কাছের বস্তি থেকে নিজের মেয়েকে ডেকে নিয়ে এলো। তারপরে শুরু হলো রেখার উদয়াস্ত পরিশ্রম। শাশুড়ির জট পাকানো নোংরা চুল সাবান দিয়ে ধোয়া, গু-মুত দিয়ে মাখামাখি শরীরটা পরিস্কার করে নিজের একটা শাড়ি পরানো,কারণ শাশুড়ির একটা ম্যাক্সি বা শাড়িও পরিস্কার না,,ছ্যাদলা পরা দাঁত মেজে দেওয়া, গরম পানিতে সোডা গুলে গুচ্ছের কাঁথা, বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড় কাচা, নোংরা শাড়ি-ম্যাক্সিগুলো কেচে ফেলা, মন্জু রাতে ভাত দিয়ে গেলে খাইয়ে দেওয়া, ঘরের ঝুল পরিস্কার, ঘরের দেয়াল -মেঝে ঝাড়া মোছা সব সেরে বাথরুমটা মেজে নিজের গোসল। ঘরির কাঁটায় রাত তিনটা। টেবিলে রেখার খাবার পড়ে আছে। ভাত,বরবটি ভাজা,আলুভর্তা। দুপুরে রেখাকে খাবার দেয়া হয়নি, আর রাতে এতক্ষণে ভাত-তরকারি গন্ধ হয়ে গেছে। অবশ্য খাওয়ার ইচ্ছা টাও ছিলো না। এসে পর্যন্ত ছেলেমেয়ে দুটোর খবর নেয়া হয়নি। ওদের জন্য তেমন চিন্তা হচ্ছে না। শিমুল খুবই বুদ্ধিমতী,কর্মঠ। সে নিজেও ভালো থাকবে,পলাশকেও ভালো রাখবে।
কাজ করতে করতে মতির মা আর তার মেয়ে সখিনার কাছ থেকে মেলা খবর জানা হয়ে গেছে রেখার। খান সাহেবের ব্যবসার হাল খুবই খারাপ। প্রচুর লোন হয়ে গেছে। খান সাহেবকে দেউলিয়া বানিয়েছেন আর কেউ নয়,রিয়ার দুই ভাই। বড়লোকের অকর্মা দুই ছেলে। দেখেছেন রেখা তাদেরকে। তারা ই দুলাভাই এর ব্যবসা দেখাশোনার নাম করে তাঁকে দেউলিয়া করে ছেড়েছে। ওমর-রিয়ার আমোদ ফুর্তি, পার্টি, ঘন ঘন বিদেশ যাওয়া, বিলাসিতা, ব্যবসায় অমনোযোগ , ওমরের মদ্যপান সব কিছুর সুযোগ নিয়েছে দুই ভাই। ওমর যখন টের পেলেন,বহুত দেরি হয়ে গেছে। রিয়া ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর মায়ের কাছে ভাইদের নামে নালিশ করতে।রিয়ার মা উত্তর দিয়েছেন, “ব্যবসার বিষয়ে আমি কি কিছু বুঝি রিয়া?নিজের ভাইদের সন্দেহ করিস? এখনো যতোটুকু তোদের আছে, সেটা ওদের জন্য ই। ওমর মদ খেয়ে মাতাল হয়ে পড়ে থাকবে, ব্যবসা চলবে কি করে? ” রিয়ার মা-বাবা কোনো সাহায্য করেন নি।ছেলেদের পক্ষ নিয়েছেন। রিয়া শেষ পর্যন্ত ধার চেয়েছিলেন তাঁর বাপ-মায়ের কাছে। তাঁরা দেন নি।বলেছেন, “আমাদের আর কতোটুকুই বা আছে মা?তোমার ভাগ তোমাকে দিয়ে দিবো।সেটা আর কতোটুকুই বা হবে?আমাদের এখন বুড়ো বয়স,কতো অসুখ -বিসুখ হতে পারে, কে দেখবে তখন?এজন্য নিজের সঞ্চয় দরকার।”
রিয়ার ভাগে যে সামান্য সম্পত্তি জুটেছিল, সেটাও বিক্রি করতে হয়েছে। রিয়া তাঁর বাপের বাড়ির সাথে সম্পর্ক রাখেন নি। আফরোজাকে সব গহনা দিয়ে দিতে বলেছিলেন ওমর সাহেব। আফরোজা দেন নি। পরেন না,কিন্তু গয়না তাঁর প্রাণ। কতো গয়না ব্যাংকের ভল্টে আছে, তার হিসাব ওমর সাহেব জানেন না। মায়ের কাছে বহু কাকুতি মিনতি করেছেন গয়নাগুলোর জন্য, আফরোজা দেন নি। বলেছেন,”এগুলো হাতে পেয়েও তোর কোনো লাভ হবে না। বৌকে নিয়ে আহ্লাদ করে, মদ খেয়ে,বন্ধু -বান্ধব নিয়ে হৈহৈ করে সব টাকা উড়িয়ে দিবি।তোকে আর তোর বৌকে আমরা হাড়ে হাড়ে চিনি। ”
বৌএর উপরে আফরোজার দারুণ রাগ। প্রথম থেকেই মেয়েটা তাঁকে পাত্তা দেয় নি। মেয়েটার অন্য পুরষের সাথে সম্পর্ক আছে, এটা তিনি টের পেয়ে গিয়েছিলেন এবং ছেলেকে সাথে নিয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলেছিলেন। তখন মৌরি,মুকুল দুজনেই ছোট ছোট। বেদম মার মেরেছিলেন রিয়াকে ওমর। রিয়াও পাল্টা মেরেছিলেন ওমরকে।তালাক দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিপদ টের পেয়ে প্রেমিক পুরুষ সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন। দুই বাচ্চাওয়ালা মেয়েকে কেন তিনি বিয়ে করবেন? যে কারণেই হোক,ওমর-রিয়ার বিয়েটা টিকে যায়। কিন্তু সম্পর্ক একেবারেই ভালো না তখন থেকে। রিয়া শাশুড়িকে এমনিতেই পছন্দ করতেন না,আর এই ঘটনার পরে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন।
মায়ের কাছে খানসাহেব ক্রমাগত গয়না দাবী করতে লাগলেন। মায়ের আলমারি, তোষক, বালিশ , সিন্দুক তন্ন তন্ন করে খুঁজলেন। টুকটাক জিনিস পাওয়া গেলো। একটা মফ চেইন, একটা নেকলেস, দুইজোড়া ঝুমকা,দুইটা বালা।ওমর রিয়া ওগুলোতো নিলেনই,আফরোজার সবসময় পরে থাকা লম্বা হার, কানপাশা, ছয়গাছা চূড়ি,তিনটা আংটিও নিয়ে নিলেন।”জানে মেরে ফেলবো” ছেলের মুখে এই কথা শোনার পরে তাঁর স্ট্রোক হয়। তেমন ভালো চিকিৎসা তাঁর হয়নি। ওমর তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন মনে করলেন গয়না আর বাড়ির দলিলের সন্ধান পাওয়ার জন্য। কিন্তু শত অত্যাচারেও বৃদ্ধা নীরব। রাগের চোটে ওমর-রিয়া তাঁকে নিচের তলায় একটা পলেস্তরা খসা ঘরে পাঠিয়ে দেন। নামকাওয়াস্তে খাবার -পানিটা পাঠান যেন সবকিছু গুপ্ত রেখেই বুড়িটা মরে না যায়। রেখাকে আনার উদ্দেশ্য সেবাযত্ন করে বুড়িকে বাঁচিয়ে রাখা আর মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে গয়না আর দলিলের হদিস বের করা।
রেখা শাশুড়ির বিছানায় বসলেন। আফরোজা জেগে আছেন। কাঁপা গলায় বললেন,”পেশাব করবো।” রেখা গামলা নিয়ে এলেন। দুটো গামলা তিনি আনিয়ে রেখেছেন মতির মা’কে দিয়ে। আফরোজা এতো দুর্বল,তাঁকে বারবার বাথরুমে নিলে তিনি বড় কাহিল হয়ে যান। হাঁপরের মতো বুক উঠানামা করে। গামলাটাকে বেডপ্যানের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবারই রেখা গামলার পেশাব ফেলে দিয়ে সেটাকে ভালো করে ধুয়ে আনেন। ভেজা ন্যাকড়া দিয়ে শাশুড়িকে পরিস্কার করে দেন।
“রেখা, আমাকে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবে?”
” আম্মা, আমি ক্ষমা করার কেউ না।ক্ষমা করার মালিক আল্লাহ।আপনি যদি মনে করেন যে অন্যায় করেছেন,আল্লাহর কাছে মাফ চান।”
“তুমি,শিমুল,পলাশ আমাকে ক্ষমা না করলে আল্লাহ ও কখনো ক্ষমা করবেন না রে মা। যে কোনো সময় ডাক পড়বে। শেষ জীবনে ভীষণ কষ্ট করলাম মা গো, ঐ দুনিয়াতেও কপালে জাহান্নাম জুটবে।আমি বড় পাপী বান্দা।”
“এখন ঘুমান।”
“ঘুমাতে পারি না মা।সারা গায়ে বিষের যন্ত্রণা। মনের কষ্ট তার চেয়েও বেশি। পেটের ছেলে আমাকে মেরেছে, এই লজ্জা কোথায় রাখি?অবশ্য ছেলে নষ্ট হয়েছে আমার জন্য। তোমার শ্বশুর বেঁচে থাকলে ছেলেও নষ্ট হতো না,তোমার কপালও পুড়তো না। কতো মাস যে একটু ভালো করে খাইনি রেখা, খাবার দেয় অল্প করে, পেট ভরে না, আর কি অখাদ্য -কুখাদ্য দেয়,মুখে তুলতে পারিনা। কোনো সন্তান সম্পত্তির জন্য নিজের মা’কে এতো কষ্ট দিতে পারে মা গো, হোক না সেই মা জাহান্নামের কীট।”
“এখন ঘুমান আম্মা।আমি আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিই।”
“রেখা,এরা কেন তোমাকে নিয়ে এসেছে, মতির মা তো বললোই। তুমি ওদের হয়ে কাজ করবে?”
“না আম্মা।আমি কারোর হয়ে কাজ করবো না। আপনি আমার মায়ের মামাতো বোন। আমার শরীরে আপনার রক্ত। আবার আপনি আমার শাশুড়ি মা। অনেক বড় সম্পর্ক। আমি আপনার সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য সব চেষ্টা করবো। ইনারা জোর করলে আপনাকে আমার সাথে নিয়ে যাবো।আপনার বাড়ি,গয়না কিছু আমার দরকার নেই। ”
“ওরা আমাকে জ্যান্ত এ বাড়ি থেকে বের হতে দিবে না।”
রেখার হাসানের কথা মনে পড়লো। তিনি দৃঢ় গলায় বললেন,”আপনার কোনো ক্ষতি আমি হতে দিবো না। আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন।”
“তুমি তো একবারও জিজ্ঞেস করলে না দলিল আর গয়না কোথায়?”
“আমার জানার দরকার নেই, আম্মা।”
পলাশ অঘোরে ঘুমাচ্ছে। ওর মাথার কাছে বসে মশা তাড়াতে তাড়াতে শিমুল মায়ের কথা ভাবছিলো।এই যে তারা দুই ভাই বোন শত্রুপুরীতে এসেছে, তারা কি খেলো না খেলো, কোথায় আছে,কেমন আছে, মা’র কি কোনো খেয়াল আছে? তিনি ব্যস্ত তাঁর সেই শাশুড়িকে নিয়ে যিনি তাঁদের জীবন ছারখার করে দিয়েছেন। শিমুল জানে,মায়ের এই সেবায় কোনো স্বার্থ নেই, সেবা মায়ের কাছে পরম ধর্ম, মানুষ তো বটেই, কুকুর-বিড়াল,গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, পাখি সবাই তার মায়ের কাছে অকৃত্রিম সেবা পায়। মায়ের রাগ নেই, ক্ষোভ নেই, ঘেন্না পিত্তি নেই, প্যাঁচঘোচ নেই, তবু গর্বের পাশাপাশি শিমুলের মাঝেমধ্যে রাগ লাগে। যারা তোমার জীবনটা নষ্ট করে দিলো, প্রতিশোধ না নাও,আদিখ্যেতার দরকার কি? পাপীকে ছাড় দিতে নেই। তাহলে আরও দশজন তার পাপের শিকার হয়।এই কথাটা মায়ের মাথায় ঢুকে না কেন?
চলবে।