না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ১২
জাহান আরা
আজকের রাতটা ভীষণ লম্বা মনে হচ্ছে নিষাদের,এখন সবে মাত্র সাড়ে ১০টা বাজে।নিষাদের কেমন অস্থির লাগছে।
বারবার চোখ যাচ্ছে টেবিলের উপর রাখা জিনিসগুলোর উপর।
নিষাদ মনে মনে ঠিক করলো আগামীকাল সকালেই মা কে জিজ্ঞেস করবে নিশান সত্যি তার আপন ভাই কি-না। মানুষ নিজের ভাইয়ের সাথে এরকম শত্রুতা কিভাবে করতে পারে!
চন্দ্রর পাশ দিয়ে শুয়ে নিষাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে,আজ আর ঘুম হবে না তার জানে সে।কিছুক্ষণ পর চন্দ্রর দিকে ফিরে আবার,চন্দ্র কে ছুঁতে ভীষণ ইচ্ছে করছে,চন্দ্রর গালের উপর হাত রাখে নিষাদ।চন্দ্র ঘুমের মধ্যেই কেঁপে উঠে খানিকটা।
নিষাদ হাত সরিয়ে এনে চন্দ্রর মাথার উপর রাখে,চন্দ্রর খোলা চুলে হাত বুলায়।
কিছুক্ষণ পর চন্দ্র ঘুমের ঘোরে গায়ের চাদর ফেলে দেয়।নিষাদ নিজেকে নিজে সতর্ক করে তাকাবে না বলে কিন্তু তবুও দৃষ্টি চলে যায় সেদিকেই।
ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নিষাদ,নিজের স্ত্রী,নিজের অধিকার অথচ মনের মিল নেই বলে আজ কতো দূরত্ব।
চন্দ্রর ঘুম ভেঙে যায় ১১টার দিকে,চোখ মেলে তাকাতেই দেখে নিষাদ তাকিয়ে আছে তার দিকে মুগ্ধ হয়ে।হঠাৎ করেই চন্দ্রর মনে হলো,সে কোথায়।
চন্দ্রকে জেগে যেতে দেখে নিষাদ অন্যদিকে ফিরে শোয়,তারপর ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে।পলাশ অনেকগুলো মেসেজ দিয়েছে,মেসেজ চেক করতে যায় নিষাদ।
চন্দ্রর কেমন যেনো অস্থির লাগছে,ইচ্ছে করছে নিষাদ কে জড়িয়ে ধরতে।আচ্ছা,নিষাদকে যদি জড়িয়ে ধরি তাহলে নিষাদ কি করবে?
রাগ করবে?
কেনো,রাগ করবে কেনো?
সে-তো আমার স্বামী,আমার পূর্ণ অধিকার আছে তাকে ছোঁয়ার।
ভাবতে ভাবতে চন্দ্র নিষাদের এক হাত টেনে নিজের পেটের উপর রাখে,নিষাদ কেমন আৎকে উঠে চন্দ্রর এই কাজে।নিষাদের ফোন পড়ে যায় চন্দ্রর অন্যপাশে।
চন্দ্রর দিকে তাকায় নিষাদ,চন্দ্র কেমন কামনীয় ভাবে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
বুঝতে পারছে না নিষাদ চন্দ্র এরকম করছে কেনো।
“হাত ছাড়ো চন্দ্র,ফোনটা দাও”
“আমি পাশে শুয়ে আছি,তুমি ফোন নিয়ে বসে আছো কেনো,ফোন দিবো না।”
“তোমার কি হয়েছে,ঠিক আছো তো তুমি?”
“আমি খুব ঠিক আছি,আমার ক্ষিধে পেয়েছে।”
“চকোলেট আছে,চকোলেট খাবে?”
” উহু,আমি চুমু খাবো”
নিষাদ চমকে উঠে আবারও। কি বলছে এসব চন্দ্র?
“চন্দ্র,ঘুম থেকে উঠায় তুমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছো,কি বলছো এখনো বুঝতে পারছো না।”
“আমি একদম ঠিক আছি,দাও না প্লিইইজ।”
নিষাদের মাথার উপর দিয়ে যায় চন্দ্রর এসব অদ্ভুত কথা,চন্দ্র কেনো এরকম করছে!
নিষাদ চন্দ্রর গায়ের উপর দিয়ে অন্যপাশ থেকে নিজের ফোন নেয়।
পলাশ কে একটিভ দেখেছে সে, ওকে মেসেজ দিবে দরজা খোলার ব্যবস্থা করার জন্য।
চন্দ্র নিষাদের গায়ের সাথে সেঁটে যায়,নিষাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিষাদের বুকের উপর উঠে যায়।
নিষাদ বুঝতে পারছে না কি করছে এসব চন্দ্র,পলাশ কে মেসেজ দিতে গিয়ে নিষাদ বড় রকমের শক খায়।পলাশ এতোগুলা এডাল্ট ভিডিও,পিকচার পাঠিয়েছে তাকে যার হিসেব নেই।
চন্দ্র চোখ বড় বড় করে তাকায় সেদিকে।
নিষাদ তাড়াতাড়ি ফোন লক করে সোফার উপর ছুঁড়ে মারে।লজ্জায় কান লাল হয়ে উঠে নিষাদের। বন্ধুদের সবার ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করে ফেলে নিষাদ।মনে মনে বলে,এরকম হারামি বন্ধু যেনো আল্লাহ শত্রুকেও না দেয়।
চন্দ্র কেমন আদুরে ভঙ্গিতে বলে,”তুমি আমাকে একটুও আদর করো না কেনো?
আমাকে দেখতে কি খারাপ লাগে?”
কি উত্তর দিবে নিষাদ বুঝতে পারছে না,চন্দ্র যে স্বাভাবিক নেই এটুকু বুঝেছে সে।তাই চন্দ্রকে নিরুৎসাহিত করতে বলে,”হ্যাঁ তোমাকে আমার মোটেও ভালো লাগে না।”
চোখ আরো বড় করে চন্দ্র জিজ্ঞেস করে,”তুমি কি আমাকে ভালো করে দেখেছো কখনো?তাকাও আমার দিকে।”
নিষাদ চন্দ্রর দিকে তাকায়,কেমন অস্বাভাবিক দেখায় চন্দ্রকে,এতো উদভ্রান্ত কেনো চন্দ্র নিষাদ বুঝতে পারছে না ।
আবার ও বলে,”এই যে তাকালাম,মোটেও ভালো লাগে নি তোমায় আমার।”
নিষাদের এরকম সরাসরি প্রত্যাখ্যান চন্দ্রকে রাগিয়ে দেয়,নিষাদের উপর থেকে উঠে বসে বিছানায়,তারপর কি চিন্তা করেই টান দিয়ে শাড়ি খুলে ফেলে।
নিষাদ চোখ বন্ধ করে রাখে,পাগল হয়ে যাবে চন্দ্রর দিকে তাকিয়ে থাকলে সে।
“এবার দেখো আমাকে কেমন লাগে,বলো আমাকে তোমার ভালো লাগে কি-না?”
দুই হাত দিয়ে নিজের দুচোখ চেপে ধরে নিষাদ জবাব দেয়,”তোমাকে আমার মোটেও ভালো লাগে না চন্দ্র,শাড়ি পরে নাও তুমি।”
আগুনে ঘি ঢালার মতো নিষাদের এই কথা চন্দ্রকে আরো বেশি রাগিয়ে দেয়,নিজের দিকে তাকায় চন্দ্র,তারপর ব্লাউজ খুলে ফেলে বিছানায় উঠে বসে।নিষাদ চোখ থেকে হাত সরাচ্ছে না।
চন্দ্র উঠে নিষাদের চোখ থেকে দুই হাত টেনে সরায়,তারপর বলে,” তাকাও আমার দিকে,তাকাও বলছি”
“না,তাকাবো না”
“না তাকালে আমি এখন চিৎকার করে আপাকে ডাকবো।”
চন্দ্রর এই কথা শুনে চোখ মেলে তাকাতেই নিষাদের কথা বন্ধ হয়ে যায়,মাথা চক্কর দিয়ে উঠে নিষাদের,চন্দ্র কি সত্যি চায় তাদের মধ্যে কিছু হোক!
যদি না চাইবে তবে এরকম করবে কেনো?
কিন্তু চন্দ্রকে স্বাভাবিক ও মনে হয় না নিষাদের।পা দিয়ে বিছানার শেষ প্রান্ত থেকে চাদর টেনে নিয়ে চন্দ্রর গায়ে ছুঁড়ে মারে নিষাদ,চন্দ্রকে এভাবে ১বারের বেশি দুই বার দেখলে নিষাদ নিজেকে সামলাতে পারবে না জানে সে।
চন্দ্র চাদর ছুঁড়ে ফেলে দেয় আবার।
“বলো,আমাকে তোমার ভালো লাগে কি-না নিষাদ?”
নিষাদ বুঝতে পারে সে যদি না বলে তবে চন্দ্র আরো রেগে যাবে,তারপর হয়তো বুকে অবশিষ্ট যা আছে তাই খুলে ফেলবে,তাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে উঠে,”অবশ্যই ভালো লাগে চন্দ্র,ভালো না লাগলে কি বিয়ে করতাম না-কি?
তুমি আমার বৌ,তোমাকে ভালো লাগবে না কেনো বলো?”
চন্দ্র নিজের দিকে তাকায়,তারপর উঠে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ায়,নিজেকে দেখে,তারপর আবার বিছানায় উঠে এসে নিষাদের বুকে মাথা রেখে জিজ্ঞেস করে,”আমি সবার চাইতে বেশী সুন্দরী,আকর্ষণীয়,বলো ঠিক কি-না? ”
“অবশ্যই ঠিক,হে হে,এরকম ঠিক কথা দ্বিতীয় টি শুনি আজ পর্যন্ত বুঝলে,হে হে”
জোর করে হাসার চেষ্টা করে নিষাদ কিন্তু নিজের কাছেই নিজের হাসি নিষ্প্রাণ লাগে।চন্দ্র এতো কিছু বুঝে না,আবার জিজ্ঞেস করে,”আচ্ছা আমাকে এই মেরুন রঙের অন্তর্বাসে কেমন লাগছে?এই যে দেখো আমার বুকে একটা তিল,এই তিলে কেমন লাগছে,এই যে আমার নাভীর নিচে…..”
নিষাদ আর সহ্য করতে পারে না,নিজের পাঞ্জাবি খুলে ফেলে। চন্দ্রর উপর উঠে গিয়ে চন্দ্রর দুই ঠোঁট টেনে নেয় নিজের ঠোঁটের মধ্যে,চন্দ্রর এসব কথা তাকে আজ শেষ করে ফেলবে।চন্দ্র নিজেও সাড়া দেয় নিষাদের আহবানে।
নিষাদ চন্দ্রর ঠোঁট ছাড়তেই চন্দ্র শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিষাদ কে।নিষাদ নিজেও উত্তেজিত হয়ে যায়।
তুরাগ অনেকক্ষণ ধরে চন্দ্রকে খুঁজে যাচ্ছে,নিষাদের রুম থেকে যাওয়ার পর এক রুমে গিয়ে শুতেই চোখ লেগে আসে তুরাগের,জেগে গিয়ে দেখে রাত সাড়ে ১১টা বাজে,কেউ কেউ শুয়ে পড়েছে,কেউ আড্ডা দিচ্ছে,বাবুর্চিরা নিচে মাছ,মাংস সব কেটেকুটে রাখছে,নিশানদের রুমের দরজা আটকানো।
উপর তলা,নিচ তলা কোথাও তুরাগ চন্দ্রকে খুঁজে পাচ্ছে না,নিষাদের রুমেও তালা দেওয়া,তাহলে নিশ্চয় চন্দ্র এখানে নেই,আবারও পুরো বাড়ি খোঁজে তুরাগ।
না কোথাও নেই চন্দ্র,আবারও তুরাগ নিষাদের রুমের সামনে আসে।কি ভেবে দরজায় নক করে তুরাগ,তারপর ডাকে,”নিষাদ,নিষাদ।”
ভিতর থেকে চন্দ্র কিছু একটা বলতে নেয় কিন্তু তার আগেই নিষাদের দুই ঠোঁট আবার নেমে আসে চন্দ্রর ঠোঁটের উপর,চন্দ্রর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়।এক হাতে সোফা থেকে ফোন নিয়ে ফোন সাইলেন্ট করে দেয় নিষাদ।
তুরাগ দরজা ধরে কিছুক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করে,তারপর কল দেয় নিষাদ কে,নিষাদ কল রিসিভ করছে না,নিষাদের বন্ধুদের ও দেখে নি সে।
তবে কি নিষাদ বন্ধুদের সাথে কোথাও গিয়েছে?
চন্দ্র এই রুমে একা শুয়ে আছে?
তারপর গলা নিঁচু করে আবার ডাকে,”চন্দ্র,চন্দ্র,আমি এসেছি। বিয়াইন,কই তুমি?
দরজায় তালা কেনো?
চন্দ্র…”
কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছে না তুরাগ।
উফফ,শিট!
বলেই দরজায় লাথি মারে তুরাগ,কেনো চলে গেলো সে রুম থেকে তখন,এরকম একটা সুযোগ কিভাবে মিস করলো।আজ নিষাদ ও নেই,মোক্ষম সুযোগ ছিলো।রাগে নিজের চুল নিজে টানতে টানতে চলে যায় তুরাগ।
তুরাগের পায়ের শব্দ মিলিয়ে যেতেই নিষাদ চন্দ্রর ঠোঁট ছেড়ে দেয়,চন্দ্র আরো হিংস্র হয়ে উঠে।
নিষাদের মাথায় তুরাগের বলা শেষের কথা বাজতে থাকে,তুরাগ চন্দ্রকে ডাকলো কেনো?
তবে কি তুরাগ জানে চন্দ্র এখানে ঘুমিয়ে আছে?
এতো রাতে কেনো আসবে তুরাগ চন্দ্রর কাছে,উদ্দেশ্য কি ছিলো?
চন্দ্র নিষাদের খোলা বুকে মুখ ঘষে যাচ্ছে,নিষাদের মাথায় বারবার এই প্রশ্ন ঘুরছে,তুরাগ কেনো ডাকলো চন্দ্রকে।
নিজেকে শান্ত রেখে নিষাদ খুব আস্তে চন্দ্রকে জিজ্ঞেস করে,”তোমাকে আমার রুমে কে দিয়ে গেছে চন্দ্র?”
“উহুম,বলবো না,আদর করবো।”
“বলো না বৌ,আমার লক্ষ্মী বৌ কিভাবে তার রুম খুঁজে পেলো?”
“তুরাগ নিয়ে এসেছে আমাকে,আমার মাথা ব্যথা হচ্ছিলো তখন ও আমাকে এখানে নিয়ে আসে,মাথা ব্যথার ঔষধ ও খাওয়ায়।”
নিষাদের কেমন যেনো সন্দেহ হয় চন্দ্রর কথা শুনে,জিজ্ঞেস করে আবার,”কি ঔষধ এনেছে তুরাগ?
প্যারাসিটামল? ”
“না তো,অন্য একটা ঔষধ,ছোট,দেখতে অন্যরকম,আমি কখনো খাই নি এরক ঔষধ মাথা ব্যথার জন্য।উফফ,তুমি আমাকে ডিস্টার্ব করো না এখন আর।”
“আর একটা প্রশ্ন শুধু বৌ,ঔষধের নাম তোমার মনে আছে?”
বিরক্ত হয়ে চন্দ্র তাকায় নিষাদের দিকে,তারপর বলে,”এটাই শেষ প্রশ্ন কিন্তু তোমার আর কিছু জিজ্ঞেস করতে পারবে না,ঔষধের নাম আমি জানি না,দেখি নি,ঔষধের খোসা বিছানার নিচের দিকে ছুঁড়ে ফেলেছি আমি, পরে দেখে নিও।”
নিষাদ লাফিয়ে উঠে বিছানা থেকে,চন্দ্র হতবাক হয়ে যায় নিষাদের এই কাজে,বিছানার নিচ থেকে ঔষধের খোসা বের করে বিছানায় বসে নিষাদ,তারপর ঔষধের নাম লিখে গুগলে সার্চ দেয়।
নিমিষেই দেখতে পায় নিষাদ,এটা যৌন উত্তেজক ঔষধ।
তারমানে তুরাগ!
চোয়াল শক্ত হয়ে যায় নিষাদের,ইচ্ছে করে এখনই তুরাগ কে খুন করে ফেলতে।চন্দ্র এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে নিষাদ কে।
চন্দ্রর এতোক্ষণ ধরে এসব পাগলামির কারণ তাহলে এই ঔষধ,আর সে কি-না ভেবেছিলো অন্য কিছু।নিজের গালে নিজে থাপ্পড় বসায় নিষাদ।চন্দ্র তা দেখে থাপ্পড় দেওয়া জায়গায় চুমু খায়।
নিষাদ উঠে দাঁড়ায়।তারপর চন্দ্রকে কোলে করে ওয়াশরুমে নিয়ে শাওয়ার চালু করে দেয়,আপাতত চন্দ্রর মাথা ঠান্ডা করার অন্য কোনো উপায় নেই আর।
চন্দ্রকে ওয়াশরুমে রেখে বের হয়ে যেতে যায়,পিছন থেকে তাকে টেনে ধরে চন্দ্র,তারপর সেখানেই জড়িয়ে ধরে রাখে নিষাদ কে।২জনেই ভিজতে থাকে।
একটু আগের সেই আগ্রহ হারিয়ে যায় নিষাদের,ঘোর কেটে গেলেই চন্দ্র বদলে যাবে,ভুল বুঝবে তখন নিষাদকে।
চন্দ্রর ভুল ভাঙাবে কিভাবে তখন সে?
তবুও রক্ষা,হালকা রোমান্স করেছে,তুরাগ যদি আরেকটু দেরিতে আসতো তবে হয়তো সব কিছুই হয়ে যেতো।
নিজেকে কেমন অসহায় মনে হয়।
কি ক্ষতি হতো চন্দ্র যদি মন থেকে একবার কথা বলতো তার সাথে?
হতাশায় ছেয়ে যায় নিষাদের মন।
তোয়ালে পরে ২জন বের হয়ে আসে ওয়াশরুম থেকে।
রুমে গিয়ে নিষাদ ট্রাউজার আর টি-শার্ট পরে,চন্দ্র একটা থ্রিপিস পরে।
নিষাদ অন্যদিকে ফিরে শোয়,চন্দ্র উঠেই নিষাদের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বুকে মুখ গুঁজে জিজ্ঞেস করে,”এই বুকটা শুধু আমার,অন্যদিকে ফিরে কেনো আমার থেকে আড়াল করে দাও তুমি?
আমি সারাজীবন তোমার বুকে থাকবো।”
চন্দ্রর কথা শুনে নিষাদের দুচোখ ভরে যায় জলে,কোনমতে চোখ মুছে নেয়।
চন্দ্র স্বাভাবিক অবস্থায় যদি একবার এই কথা বলে তবে নিষাদের আর কিছু চাওয়ার থাকবে না এই পৃথিবীর কাছে।
নিষাদ জানে না কখনো চন্দ্রর থেকে এই কথা শুনতে পাবে কি-না।
চন্দ্রকে শক্ত করে জড়িয়ে নেয় বুকে,তারপর ঘুমিয়ে পরে দুজন।
সকালে চন্দ্রর ঘুম ভেঙে যায় ফজরের আজানের সময়।চোখ মেলে তাকাতেই দেখে সে নিষাদের বুকে শুয়ে নিষাদ কে জড়িয়ে ধরে আছে,নিষাদ ও তাকে শক্ত করে ধরে আছে।
একটু পরেই চন্দ্রর মনে পড়ে সে এখানে এসে ঘুমিয়েছে রাতে,তারপর কি হয়েছে?
নিষাদ এখানে কেনো?তার চুল ভেজা কেনো,গায়ে থ্রিপিস কেনো?
অজানা আতংকে শিউরে উঠে চন্দ্র।
চলবে..???