না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ২০
জাহান আরা
“চন্দ্রাবতী,
আকাশের ওই চন্দ্রের মতো তুমি।তোমায় আমি দেখি,অথচ ছুঁতে পারি না।তোমাকে ছোঁয়ার অসুখ আমাকে দিন-দিন পাগল করে দিচ্ছে।
আমি যদি হৈমন্তীর অপু হতাম,তবে হয়তো বলতাম,তুমি আমার সম্পত্তি নও,তুমি আমার সম্পদ।
যদি পারতাম তোমাকে আমি একেবারে বুকের মাঝখানে লুকিয়ে রাখতাম,একটুও দূরে থাকতে দিতাম না।
চন্দ্র,আমার ভীষণ অসুখ অসুখ লাগে,আমার সব অসুখের ওষুধ শুধুমাত্র তুমি চন্দ্র।
তুমি যখন হোস্টেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশ দেখো,ঠিক তখন রাস্তার উল্টোপাশে ল্যাম্পপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে আমি তোমায় দেখি।হুহু করে উত্তরের বাতাস বয়ে যায়,তুমি শক্ত করে চাদর জড়িয়ে ধরো গায়ে,আমি তখন হিংসে করি তোমার চাদর ‘কে।কি ক্ষতি হতো যদি আমি চাদর হতাম?
তবুও তো তোমায় জড়িয়ে রাখতে পারতাম।চন্দ্র এই যে রাতের পর রাত আমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকি,এই ল্যাম্পপোস্টের নিচেই আমার সূর্যাস্ত হয় আবার এখানেই আমার সূর্যোদয় হয়,তোমার কি একটু ও করুণা হয় না? আমার জন্য ভালোবাসা না থাকুক,একটু তো করুণা দেখাতে পারো।
আর কতো পোড়াবে আমায় তুমি?
লোকে আগুনে পুড়ে যায় আর আমি চন্দ্রের জোছনায় পুড়ে যাই।আমার ভীষণ ভীষণ ভীষণ কষ্ট হয় চন্দ্র।
কি ভীষণ ভালোবাসা তোমার জন্য বুকের বা পাশে জমে আছে তা হৃদয় ছিঁড়ে যদি দেখাতে পারতাম তবে বুঝতে হয়তো।
তোমার জন্য কৃষ্ণচূড়ার লাল,
তোমার জন্য জমিয়ে রাখা
অভিমানের অযুত কোটি কাল।
তোমার জন্য পুড়ে যাওয়া মন,
তোমার জন্য পুষে রাখা
একশো আকাশ সেই সে কথা
আরও না-হয় ‘থাকো কিছুক্ষণ’।
তোমার জন্য বৃষ্টি মূখর দিন,
তোমার জন্য জমিয়ে রাখা বুকে
হয়নি বলা ‘অনেক কথার ঋণ’।
তোমার জন্য আকাশ দেখা বিকাল,
তোমার জন্য ঘুমভাঙা ভোর
রাত্রি শেষের স্নিগ্ধতম সকাল।
তোমার জন্য হৃদ মাঝারে টিপ,
তোমার জন্য আলোর মিছিল
শহর জুড়ে জ্বলে উঠা সন্ধ্যাকালীন দীপ।
তোমার জন্য ‘ভালোবাসি’ বলা,
তোমার জন্য আকাশ হয়েও
‘অনিয়ম’ এর নিয়ম করে চলা।
তোমার জন্যেই ‘যাই পুড়ে যাই রোজ,
তোমার জন্যেই চিঠির ভাঁজে লিখি;
‘অভিমানের দিন ফুরালে একটু নিয়ো খোঁজ’।”
মাটির ব্যাংক ভর্তি চিঠিতে,একটা পড়েই চন্দ্র কান্না করতে থাকে।তারপর পাগলের মতো সবগুলো চিঠি খোলে,গোগ্রাসে গিলার মতো সব পড়ে ফেলে।কতো হাজার অভিযোগ লিখে রেখেছে নিষাদ।
সবগুলো চিঠি পড়ার পর চন্দ্র যেনো স্ট্যাচু হয়ে যায়।কেউ একজন কখনো তাকে এরকম ভীষণ ভালোবাসবে তা চন্দ্রর ভাবনাতেও ছিলো না।
আনন্দ বেদনা সব একইসাথে চন্দ্রকে আচ্ছন্ন করে দেয়।
উঠে জামা পাল্টে নেয়,তারপর লাগেজ থেকে নিজের পার্স নিয়ে বের হয়ে নিচে নামে।গেইটের কাছে যেতেই গ্যারেজ থেকে একটা গাড়ি বের হয়ে চন্দ্রর সামনে আসে।
জানালার কাঁচ নামিয়ে ড্রাইভার বলে,”ম্যাডাম উঠে বসুন,স্যার বলে গেছেন আপনি ভার্সিটিতে গেলে যাতে পৌঁছে দিয়ে আসি।”
চন্দ্র আরো অবাক হয়ে যায়।নিষাদ এতো খেয়াল রাখছে তার অথচ সে কি করলো নিষাদের জন্য!
গাড়িতে বসে ড্রাইভার কে বলে,”আপনার স্যারের অফিসে চলেন।”
চন্দ্রর নির্দেশ মতো ড্রাইভার অফিসের দিকে যায়।
★
অফিসে বসে নিষাদ মনোযোগ দিয়ে ফাইল দেখছে,কিছুক্ষণ পরে লাঞ্চ টাইম হবে,চন্দ্রর জন্য খাবার পাঠাতে হবে।একবার ভাবে চন্দ্রকে কল দিবে।কিন্তু তারপর আবার মত পালটায়।
কি লাভ হবে কল দিয়ে!
একটু পরেই সাদেক আলী কেবিনে ঢুকে,মাথা নিঁচু করে বলে,”স্যার,আপনার সাথে একজন মহিলা দেখা করতে এসেছে।”
“কোন মহিলা?নাম বলেছে? ”
“জ্বি,বলেছে চন্দ্র।”
চন্দ্রর নাম শুনে নিষাদ ধড়ফড়িয়ে উঠে দাঁড়ায়, তারপর ডিভান থেকে ফাইল সরিয়ে রেখে সাদেক আলী কে বলে,”তাড়াতাড়ি নিয়ে এসো ওকে এখানে,আর লাঞ্চের ব্যবস্থা করো।”
সাদেক আলী অবাক হয়ে তাকায় নিষাদের দিকে।একটা মহিলা এসেছে তার জন্য স্যার এতো ব্যস্ত হচ্ছে কেনো সাদেক আলীর মাথায় ঢুকে না।
সাদেক আলীর দিকে তাকিয়ে তার মনের কথা বুঝতে পারে নিষাদ,তারপর হেসে দিয়ে বলে,”যে এসেছে সে অন্যকেউ নয় সাদেক আলী,তোমাদের ম্যাডাম,আমার স্ত্রী।”
চোখ বড় করে সাদেক আলী তাকায় নিষাদের দিকে।নিষাদ বিয়ে করেছে অথচ কেউ জানেই না সেটা।
থেমে নিষাদ আবার বলে,”আচ্ছা তুমি খাবারের ব্যবস্থা করো,আমি-ই নিয়ে আসছি ওকে এখানে।”
বলে নিষাদ বাহিরে বের হয়ে যায় দ্রুত।নিষাদ চলে যেতে সাদেক আলী ও বের হয়ে বড় সাহেবের কেবিনে যায়।গিয়ে তাকে বলে আসে নিষাদের বিয়ের কথা।
সাদেক আলীর কথা শুনে শামসুজ্জামান খান বের হয়ে আসে।নিষাদ তার অত্যন্ত স্নেহের পাত্র,নিষাদের কাজের উপর তিনি এতোটাই সন্তুষ্ট যে তাকে নিয়ে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করে রেখেছেন তিনি।
ওয়েটিং রুম থেকে হাটতে হাটতে চন্দ্র অফিসের মাঝখানে
চলে এসেছে।চারপাশে অসংখ্য মানুষ কাজ করছে,দু-একজন চোখ তুলে তাকিয়ে আবার কাজে মন দিচ্ছে।নিষাদ কে আসতে দেখে চন্দ্র থমকে দাঁড়ায়।শামসুজ্জামান খান নিষাদের ১০ হাত পিছনে, তখনই চন্দ্র নিষাদ কে জড়িয়ে ধরে হঠাৎ করে।চন্দ্রর এই কাজ নিষাদের কাছে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো।
অফিসের সবাই ফাইল থেকে চোখ তুলে তাকায় ওদের দিকে।নিষাদের বুকে কান্না শুরু করে চন্দ্র।
সবার আগে শামসুজ্জামান খান হাততালি দিয়ে উঠে,তার সাথে সাথে একে একে সবাই বসা থেকে উঠে হাততালি দেওয়া শুরু করে।
লজ্জায় চন্দ্র আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিষাদ কে।ভালো লাগায় ভরে উঠে নিষাদের বুকে।
মনে হচ্ছে যেনো আজ চন্দ্রকে পেয়েছে,পুরোপুরি পেয়েছে চন্দ্রকে সে।
চন্দ্রর চুলে হাত বুলিয়ে দেয় নিষাদ।
তারপর চন্দ্রকে বুক থেকে সরিয়ে,বা’হাত দিয়ে বা’পাশে জড়িয়ে ধরে সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে,”লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান,সি ইজ মাই ওয়াইফ,আই কুড নট টেল এনি ওয়ান বিকজ আই গট ম্যারিড সাডেনলি।”
একে একে সবাই এসে কংগ্রাচুলেশনস জানিয়ে যায় নিষাদ কে।
শামসুজ্জামান খান অপলক তাকিয়ে থাকে চন্দ্রর দিকে,মেয়েটাকে কেমন চেনা চেনা লাগে তার কাছে।
চন্দ্রকে নিয়ে কেবিনের দিকে পা বাড়াতেই নিষাদ বস কে দেখতে পায়।দুজন এগিয়ে গিয়ে সালাম করে তাকে।
শামসুজ্জামান খান দু’জনকে দোয়া করেন।
কেবিনে গিয়ে বসতেই সাদেক আলী খাবার নিয়ে আসে,খাবারের বহর দেখে নিষাদ তাকায় সাদেক আলীর দিকে।
মাথা নিঁচু করে সাদেক আলী আগেই জবাব দেয়,”বসের হুকুমে সব রেষ্টুরেন্ট থেকে আনা হয়েছে,ম্যাডাম আসার উপলক্ষে বস সবাইকে আজকে ট্রিট দিচ্ছেন।”
নিষাদ কিছু বলে না আর,কিন্তু মনের মধ্যে কিসের যেনো একটা খটকা লাগে তার।
চন্দ্র এখনো ফুঁপিয়ে কাঁদছে।নিষাদ কিছু না বলে চন্দ্রকে খাইয়ে দিতে থাকে।
চন্দ্রর কান্না কিছুতেই থামছে না দেখে খাবার প্লেট রেখে চন্দ্রকে জড়িয়ে ধরে,তারপর চন্দ্রর দুই ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে নেয়।
নিষাদের রাগ ভেঙেছে এতোক্ষণে চন্দ্র বুঝতে পারে,মুখে হাসি ফুটে উঠে চন্দ্রর সাথেসাথে।
খাওয়া শেষ করে নিষাদ শামসুজ্জামান খানের কেবিনে ঢুকে চন্দ্রকে নিয়ে।
শামসুজ্জামান খান মনোযোগ দিয়ে একটা এলবাম দেখছেন,অনুমতি না নিয়েই আজ ঢুকে যায় নিষাদ।খানিকটা হকচকিয়ে গিয়ে শামসুজ্জামান খান এলবাম লুকিয়ে ফেলে।তারপর তাদের দিকে তাকায়।
নিষাদের জন্য এই কেবিন অনেকদিন আগে থেকেই উন্মুক্ত,তিনি নিজেই নিষাদ কে সেই হুকুম দিয়েছেন।
তাই নিষাদ ও নক করে ঢুকে না কখনো।
কখনো বসকে এরকম অপরাধী চোখে তাকাতে দেখে নি তার দিকে,তবে আজ কি হয়েছে?
শুকনো গলায় নিষাদকে বসতে বলেন তিনি।
“স্যার,আমার বউকে একবার বলেছিলাম যে আমাদের স্যারের একটা গল্প আছে,খুব গোপন,স্যার কাউকে বলেন নি কখনো,ও সেই গল্পটা শোনার জন্য এতোক্ষণ ঘ্যানঘ্যান শুরু করেছে আমার সাথে।”
চন্দ্র অবাক হয়ে তাকায় নিষাদের দিকে।এরকম কথা নিষাদ কখনো তাকে বলে নি,আর সেও এখানে গল্প শুনতে আসে নি।
কি বলছে এসব নিষাদ!
শামসুজ্জামান খান অপ্রস্তুত হয়ে তাকায় চন্দ্রর দিকে আবার।তার দুচোখে কেমন বেদনার চিহ্ন ফুটে উঠে।নিষাদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় সজাগ হয়ে উঠে।
কিছু একটা গড়বড় আছে কোথাও,স্যারের চোখ দেখেই বুঝেছে নিষাদ সেটা লাঞ্চের আগে।
অনেকদিন ধরেই স্যারকে জানার আগ্রহ নিষাদের,কিন্তু কখনো কোনোকিছুতে তাকে ধরতে পারে নি যে সুযোগ মতো জিজ্ঞেস করবে।আজকে শামসুজ্জামান খানের চোখের দিকে তাকিয়েই নিষাদ বুঝে গেছে আজকেই মোক্ষম সময়।
হালকা কেশে খান সাহেব বললেন,”লোকে কতো কথা-ই তো বলে নিষাদ,সব কথাতে কান দিতে নেই।এরকম কোনো গল্পই নেই আমার।তোমার স্ত্রী খুবই সুন্দরী,কি নাম যেনো?”
“চন্দ্র ওর নাম।”
“মানুষের সাথে নামের খুব মিল আছে,দেখতেও চাঁদের মতো তোমার স্ত্রী।”
মুচকি হেসে নিষাদ বলে,”আপনি যদি গল্পটা বলতেন তবে হয়তো হালকা হতে পারতেন কিছুটা।আচ্ছা আমি আসি স্যার,আজ আর অফিস করবো না।”
শামসুজ্জামান খান জবাব না দিয়ে সিগারেট বের করলেন প্যাকেট থেকে,তারপর সিগারেটে টান দিয়ে সিলিঙের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
নিষাদ বের হয়ে যেতেই তিনি আবার ডাক দিলেন।নিষাদ কেবিনে উঁকি দিতেই বললেন,”আমি কি আগামীকাল সন্ধ্যায় তোমার বাসায় চা’য়ের নিমন্ত্রণ পেতে পারি নিষাদ?”
মুচকি হেসে নিষাদ জবাব দেয়,”আপনার ডিনারের দাওয়াত রইলো স্যার।”
“আগামীকাল আমি তোমাদের আমার জীবনের লুকোনো গল্পটি শোনাবো তাহলে।”
মুচকি হেসে নিষাদ চলে যায়।
চন্দ্রর ভীষণ মেজাজ খারাপ লাগছে,নিষাদ এখন কেনো ওনাকে ইনভাইট করতে গেলো?
কয়েকদিন পরে করলে কি হতো!
ততোদিনে চন্দ্র রান্নাটা আরেকটু ভালো করে শিখে যেতো।
চন্দ্রর মুখে রাগ দেখে নিষাদ চন্দ্রকে কোমর জড়িয়ে ধরে টান দিয়ে কাছে টেনে নেয়।তারপর হেসে বলে,”আমার রাগ তো দূর করে দিলে,এবার তোমার অবস্থা কি হবে চন্দ্র?”
চন্দ্র সন্দিহান চোখে তাকায় নিষাদের দিকে,তারপর বলে,”কেনো,কি হবে?”
“আজ পাশা খেলবো রে শ্যাম…..”
চন্দ্র হেসে উঠে নিষাদের গান শুনে।চন্দ্রর হাত ধরে নিষাদ অফিস থেকে বের হবে ঠিক তখনই তুরাগ আসে অফিসে।তুরাগ কে দেখে চন্দ্রর শরীর যেনো জমে যায়।
নিষাদ শক্ত করে কোমর জড়িয়ে ধরে চন্দ্রর।
দুজনের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে তুরাগ বলে,”ওহ আচ্ছা,এজন্যই তাহলে আমার ফোন সরিয়ে আমাকে অন্য ফোন গছিয়ে দিয়েছিলি?”
ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে নিষাদ জবাব দেয়,”সি ইজ মাই ওয়াইফ,তার সব কিছু দেখে রাখার রেসপনসেবলিটি আমার।তোর কাছে ওর অসংখ্য ছবি আছে,তাই তোর ফোন বদলে ফেলে তোকে অন্য ফোন ধরিয়ে দিয়েছি,তুই যদি গাঁধা না হতি তবে অনেকদিন আগেই বুঝতে পারতি এটা।যেদিন তোকে কুকুরের মতো মেরেছি সেদিনই ফোন একচেঞ্জ করেছি।”
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তুরাগ হেসে উঠে বলে,”চন্দ্র যেদিন নেচেছিলো,সেদিন ওর শরীরের একটি বিশেষ অংশের ছবি তুলে আমি আমার টাইম লাইনে অনলি মি প্রাইভেসি দিয়ে রেখেছি নিষাদ,আমাকে কি এতো বোকা পেয়েছিস তুই?”
নিষাদ কিছু না বলে মুচকি হাসি দিয়ে বলে,”লাস্ট কবে ফেসবুকে ঢুকেছিস?”
“গতকাল দুপুরে,কেনো?”
“এখন আবার ঢুকে দেখ,তারপর বুঝবি।”
এটুকু বলেই নিষাদ চন্দ্রকে নিয়ে গাড়ির দিকে যায়।তাৎক্ষণিক ফোন বের করে তুরাগ ফেসবুকে ঢুকার চেষ্টা করে,কিন্তু অবাক হয়ে যায় দেখে যে তার আইডি ডিজেবল হয়ে গেছে।
নিষাদের টেক্সট আসে তুরাগের ফোনে,”তুই যদি চলিস ডালে ডালে আমি চলি পাতায় পাতায়।”
তুরাগ থ মেরে দাঁড়িয়ে থাকে সেখানেই।
তুরাগের মাথায় ঢুকছে না নিষাদ কিভাবে জানলো সে আইডি তে কি রেখেছিলো?
চলবে…???
কবিতাঃ সালমান হাবিব ভাইয়ের লিখা