না_চাইলেও_তুমি_আমার
পর্বঃ ০৯
জাহান আরা
সকালের মৃদু বাতাস বইছে,সূর্য্যি মামা উঠি উঠি করছে।চন্দ্রর ঘুম ভাঙে আজানের সময়।নামাজ পড়ে নিজের জন্য এক মগ কফি বানিয়েছে চন্দ্র।বারান্দায় দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছে আর বাতাসে শিহরিত হচ্ছে।
ইট-পাথরের এই শহরে ভোরের সূর্য দেখা যায় না।বারান্দায় থাকা শিউলি মাতাল করা সুভাস ছড়াচ্ছে।চন্দ্র ঝরে যাওয়া ফুলগুলো কুড়িয়ে নেয়।
সুই সুতো নিয়েই ফুলগুলো দিয়ে মালা বানিয়ে নেয়।তারপর সযত্নে রেখে দেয় মালা।
ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে।ফেসবুকে ঢুকতেই চন্দ্র দেখতে পায় তুরাগের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট।সাথে মেসেজ রিকুয়েষ্ট ও দেওয়া আছে।
হু করে একটা শ্বাস ফেলে চন্দ্র মেসেজ ওপেন করে।
“বিয়াইন,আমার ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট টা একসেপ্ট করবেন প্লিজ,আর একটা রিকুয়েষ্ট,আজকে একটা নীল শাড়ি পরবেন,প্লিজ,প্লিজ,প্লিজ।”
মুখে অবজ্ঞার হাসি ফুটে উঠে চন্দ্রর,ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট একসেপ্ট করে ফেসবুক থেকে বের হয়ে যায়।
লিপি,সিমি,ইতু,মারিয়া এখনো ঘুমাচ্ছে।সারারাত কেউ ঘুমায় নি ওরা।শুধু ওরা কেনো,বাসায় কেউই ঘুমায় নি।চাঁদেরহাট বসেছে যেনো বাসায়।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে চন্দ্র গুনগুনিয়ে গান গাইছে।
ঘুম থেকে উঠতেই রাত্রির অকারণে মন খারাপ হয়ে গেলো।বুকের ভিতর কেমন শূন্য শূন্য লাগছে,কেনো এরকম হচ্ছে রাত্রি বুঝতে পারছে না।হুট করেই মনে পড়লো রাত্রির,আজই বাবার বাসায় শেষ ঘুম ঘুমিয়ে নিয়েছে সে।কাল থেকে শুরু হবে তার এক নতুন জীবন,যেই জীবনে থাকবে না বাবা ভাইয়ার কড়া শাসন কিন্তু অন্যকিছু থাকবে।
কাল থেকে সে অন্য বাড়ির বৌ হবে,এক পা ফেলতে ও তাকে মেপে ফেলতে হবে।
স্বাধীন জীবনের এখনেই ইতি।
আবার হঠাৎ করেই রাত্রির মনে হয়,স্বাধীন জীবন?
এখন কি আমি স্বাধীন?
হুহ্,মৃত্যু ছাড়া আমি স্বাধীনতা পাবো না।বাবার বাড়িতে তো জেলখানায় বন্দী আসামীর মতো ছিলাম,শ্বশুর বাড়ি ও নিশ্চয় এরকম হবে।নিশান কি সারাজীবন এরকম থাকবে?
এভাবে ভালোবাসবে?
রাত্রি কখনো ভালোবাসা পায় নি,নিশান ‘কে পেয়ে তাই ভীষণ ভয় পাচ্ছে,যদি নিশান বদলে যায়!
চন্দ্রর কথা মনে পড়ে রাত্রির,উঠে যায় চন্দ্রর রুমের দিকে।ছোট বোনটার জন্য রাত্রির মনে অনেক ভালোবাসা।গিয়ে দেখে চন্দ্র গান গাইছে।
তন্ময় হয়ে শুনে রাত্রি,”ফাগুন হাওয়ায়,হাওয়ায় করেছি যে গান”
চন্দ্রর গানের গলা এতো বেশী সুন্দর,এতো দরদী যে রাত্রি কেঁদে উঠে।
চন্দ্র পিছনে তাকিয়ে রাত্রিকে দেখতে পায়। মুচকি হাসি হেসে রাত্রির কাছে যায়।শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখে রাত্রিকে চন্দ্র।
“চন্দ্র,আজকে কিন্তু আমার সাথে তোকে যেতে হবে,নয়তো আমি যাবো না”
খিলখিল করে হেসে উঠে চন্দ্র রাত্রির এরকম কথা শুনে।চন্দ্রর হাসি থামছে না দেখে রাত্রি ভড়কে যায়।বারকয়েক ঝাঁকুনি দিতেই চন্দ্র স্থির হয় যেনো।
চন্দ্রর এই অবস্থা দেখে রাত্রি আরো শংকিত হয়ে যায়,কিছুতেই চন্দ্রকে রেখে যাবে না বলে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়।
আস্তেআস্তে সবাই জেগে উঠে,শুরু হয়ে যায় সবার ব্যস্ততা,মেহেদী বাটছে,গান গাইছে,আবীর মাখা হচ্ছে।চন্দ্রর এসব ভালো লাগে না কিছু,বারান্দায় বসে বসে সাতকাহন পড়ছে। আপাতত দিপার মতো তাকে শক্ত হতে হবে।
★
নিষাদ বাসায় পৌঁছায় ভোর রাতে,এসেই বাবা মায়ের সাথে দেখা করে নিশানের রুমে যায়।বিছানায়,ফ্লোরে ১০-১২ জন শুয়ে আছে,নিষাদ গিয়ে নিশানের গায়ে হাত রাখতেই নিশান জেগে উঠে। খুশিতে জড়িয়ে ধরে ছোট ভাইকে নিশান।
অন্যরাও জেগে উঠে দুই ভাইয়ের চিৎকার শুনে।
তুরাগ উঠেই জড়িয়ে ধরে নিষাদ ‘কে।কতো কথা বলা বাকী আছে নিষাদের সাথে।দুজনেই বের হয়ে যায়
নিশানের রুম থেকে।
তারপর শুরু করে গড়গড় করে সব বলা।নিষাদ মনোযোগ দেয় না তুরাগের কথাতে,ফোন দিতে থাকে নিজের বন্ধুদের।নিষাদ থাকবে না শোনার পর কেউই বিয়েতে আসতে রাজী হয় নি,তাই আবার কল দিচ্ছে নিষাদ।
নিষাদ এসেছে শুনে সবাই রাজী হয় বিয়েতে আসতে।
কিছুক্ষণ পর বাসার নিচে নিশান কে গোসল করাতে নেওয়া হয়,নিচে ভীষণ হৈচৈ হচ্ছে।
নিষাদ উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছে কখন চন্দ্রকে দেখতে পাবে।
“আরে ভাই,তুই শুন না আমার কথা একটু মন দিয়ে,জানিস,ও এতো সুন্দর নাচতে পারে,না দেখলে বিশ্বাস করবি না,এই দেখ আমার ফোনে ভিডিও করা আছে”
“রাতে দেখবো দোস্ত,এখন আমাকে ১ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।”
হতাশ হয়ে তুরাগ নিষাদের রুম থেকে বের হয়ে যায়। তুরাগ বের হতেই নিষাদ লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে দরজা বন্ধ করে দেয়।তারপর চন্দ্রর ছবি নিয়ে বসে,কাজী অফিসে তোলা ছবিগুলো দেখে মনে মনে হাসে।
এই ছবিগুলো তুলেছিলো চন্দ্রকে ভয় দেখানোর জন্য।একটা ছবিতে নিষাদের চোখ আটকে যায়।চন্দ্র আর নিষাদ বসে বসে পাশাপাশি,নিষাদের মুখে রাগের ছাপ স্পষ্ট,চন্দ্রর মুখে আতংক,নিষাদ তাকিয়ে আছে অন্যদিকে,চন্দ্রর দুচোখ ভরা টলমল জল,যেনো একটু হাওয়া এলেই টুপ করে পড়ে যাবে।কি ভীষণ নিষ্পাপ লাগছে চন্দ্রকে,নিষাদ অবাক হয়ে দেখে।
কল্পনায় মুছে দেয় চন্দ্রর চোখের জল,তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বুকের মাঝে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিষাদ,চন্দ্রকে বুকে জড়িয়ে ধরার এই ইচ্ছে কি এই জীবনে পূর্ণ হবে তার?
জানে না নিষাদ।
নিষাদের রুমের দরজায় নক হচ্ছে,নিষাদ উঠে দরজা খুলতেই দেখে লিমন,পলাশ,শুভ,ময়ুখ এসে হাজির। ময়ুখ এসেই নিষাদ কে কাঁধে তুলে নেয়।
“দোস্ত,তোমার লাইন তো ক্লিয়ার হয়ে যাবে আজ,চন্দ্র ভাবীরে কবে আনবা বলো?”
“ওরে ভাই,তোর আল্লাহর দোহাই লাগে আগে আমারে নিচে নামা,তারপর ভাবা যাবে”
ময়ুখ নিচে নামিয়ে আনে নিষাদ কে।বাহিরে ভীষণ তোরজোড় চলছে,সবাই রেডি হচ্ছে।নিষাদ ও ওয়াশরুমে ঢুকে গোসল করতে।
হঠাৎ করেই পলাশের চোখ পড়ে বিছানায় উল্টো করে রাখা ছবির উপর।
হাতে নিতেই দেখে সব চন্দ্রর ছবি।পলাশের হাত থেকে কাড়াকাড়ি করে বাকীরাও ছবি নিয়ে যায়।
সবার মুখে হাসি ফুটে উঠে।এবার আর কোনো ভয় নেই,মারিয়ার ভূত সত্যি যে কাঁধ থেকে নেমেছে বন্ধুরা সবাই নিশ্চিত।
★
পার্লার থেকে সবাই সেজেগুজে এসেছে চন্দ্র ছাড়া,চন্দ্র শুধু শাড়ি পরেছে আর চুল বেঁধেছে।চুলে পরেছে শিউলি ফুলের সেই মালা,যেটা সকালে গেঁথেছে চন্দ্র।
সবাই অপেক্ষা করছে পাত্রপক্ষ আসার।স্টেজে ফিতা লাগানো হয়েছে।স্টেজের উপর দাঁড়িয়ে আছে চন্দ্র,লিপি,সিমি,ইতু,মারিয়া,রাত্রির ৪ বান্ধবী আর কাজিনরা।
নিচে শোরগোল শোনা যাচ্ছে বর চলে এসেছে,তাড়াতাড়ি একজন গিয়ে শরবতের গ্লাস সবগুলো নিয়ে এলো।
নিশানের দুইপাশে তার বন্ধুরা,নিষাদের বন্ধুরা,কাজিনরাসহ প্রায় ২০-২৫ জন ছেলে,স্টেজে দাঁড়ানো আছে ১৫-১৬ জন মেয়ে।
নিষাদের বন্ধুরা ভীষণ অবাক হয় চন্দ্রকে,চন্দ্রর বান্ধবীদের দেখে,সবচেয়ে বড় ধাক্কা খায় ওরা যখন তুরাগ বলে লিমন কে,”দোস্ত,দেখ,নিশান ভাইয়ের শালী কি জোস!”
“শালী মানে?আপন বোন?”
“হ্যাঁ,রাত্রি ভাবীর বোন চন্দ্র”
লিমন বাকীদের দিকে তাকায়,দেখে সবাই তার মতো অবাক হয়ে গেছে।
“কপাল বলে এটা কে-ই দোস্ত।”
পলাশের এই কথার মানে কেউ বুঝতে পারে না তার বন্ধুরা ছাড়া।
চন্দ্ররা ও অবাক হয়ে যায় নিষাদের বন্ধুদের দেখে বিয়েতে,বুঝতে পারে না ওরা কেনো এখানে।
তুরাগ এগিয়ে যায় স্টেজের দিকে সবার আগে,চন্দ্রর সাথে কথা বলার চান্স সে মিস করতে চায় না।
“আসসালামু আলাইকুম”
“ওয়ালাইকুম সালাম”
সালামের জবাব চন্দ্রর বদলে সিমি দিতেই তুরাগের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়৷ সিমি সোজাসুজি বলে,”দুলাভাই,২৫ হাজার টাকা ছাড়েন,স্টেজে জায়গা দিয়ে দিবো নয়তো দাঁড়িয়ে থাকা লাগবে সারাদিন এখানে”
“২৫ হাজার টাকা কেনো বেয়াইন,আপনার জন্য ৫০ হাজার টাকা দিতেও আপত্তি নেই,আগে আমাদের বসতে তো দিন,একটু জিরিয়ে নিই”
শামিম কে মুখ ঝামটা দিয়ে রাত্রির বান্ধবী বলে,”আগে টাকা দিন,তারপর শুধু জিরাবেন কেনো,আমরা নিজের হাতে শরবত ও খাইয়ে দিবো।এই যে শরবত নিয়ে অপেক্ষা করছি।”
নিশান চারপাশে তাকিয়ে নিষাদ কে খুঁজছে,পলাশ কে কানেকানে সেই কথা বলতেই পলাশ নিষাদকে কল দেয়,টাকা আগেই নিষাদের কাছে দিয়ে রেখেছে নিশান।
নিষাদ নিচে রাত্রি কে দেখতে গিয়েছিলো,যেহেতু আগে দেখতে আসে নি সে,পলাশের কল পেতেই ছাদে আসে। সবাই সরে গিয়ে নিষাদ কে স্টেজের দিকে যাওয়ার জায়গা করে দেয়।
দূর থেকে নিষাদ কে দেখেই চন্দ্রর পুরো শরীর কেঁপে উঠে,মনে মনে বলে,”আল্লাহ,উনি এখানে কেনো?”
চন্দ্রর মুখে ভয়ের স্পষ্ট ছাপ দেখতে পায়,চন্দ্রর পাশে মারিয়া ও আছে,সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নিষাদ গিয়ে সালাম দেয় চন্দ্র কে।
চন্দ্রর গলায় সমস্ত কথা আটকে যায়,নিষাদ কে এভাবে এখানে দেখবে তা চন্দ্রর ভাবনার বাহিরে ছিলো,মারিয়া জবাব দেয় এগিয়ে এসে,”ওয়ালাইকুম সালাম”
মারিয়ার চোখ চকচক করে উঠে নিষাদ কে দেখতে পেয়ে।যেনো হারানো মানিক পেয়েছে সে।
নিষাদের কানে কানে এসে তুরাগ বলে উঠে,”দোস্ত,তোরে বলছি না তোর ভাবী পাইছি,দেখে নে তোর ভাবীকে,নিশান ভাইয়ের শালী চন্দ্রকেই তোর ভাবী বানামু”
তুরাগের কথা শুনে নিষাদ আক্রোশে ফুঁসতে থাকে,ইচ্ছে করতে থাকে তুরাগের গলা টিপে ধরতে।চন্দ্র বাক্যহারার মতো দাঁড়িয়ে আছে,চলে যেতেও পারছে না বান্ধবীরা সন্দেহ করবে বলে,নিষাদের সামনে থাকতে ও পারছে না কেমন মাথা ঝিমঝিম করছে চন্দ্রর।
“আপনাদের ডিমান্ড মানি কতো ছিলো?”
“২৫ হাজার”
নিষাদ ৩০ হাজার টাকা গুনে নিয়ে চন্দ্রকে ডাকে নিচে নামতে,টাকা সে চন্দ্রর হাতে দিবে।
চন্দ্র পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে,পিছন থেকে সবাই ধাক্কা দিয়ে চন্দ্রকে নিচে নামায়।
তুরাগ এসে বলে,”দোস্ত,টাকাটা আমার হাতে দে,আমি দিই চন্দ্রর হাতে,এক সুবাদে ওর স্পর্শ পাবো,দে না”
নিষাদের মাথা গরম হয়ে যায় এই কথা শুনে,কোনোমতে দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলে,”তুরাগ,চন্দ্র ভাইয়ার শালী,কোনো টিজ করবি না,ভাইয়ার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসব পছন্দ করে না,স্পেশালি চন্দ্রকে নিয়ে যেনো কোনো কিছু না হয়”
নিষাদের এরকম সতর্কবার্তা শুনে তুরাগ কিছুটা দমে গেলো।
চন্দ্রর মনে হচ্ছে কয়েক জনম পার হয়ে গেছে স্টেজ থেকে নেমে তার নিষাদের সামনে আসতে।চন্দ্রর হাত টেনে নেয় নিষাদ,মারিয়া তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখে নিষাদ চন্দ্রর হাত ধরেছে।
চন্দ্রর হাতে টাকা দিয়ে নিষাদ খুবই আস্তে বলে,”আর যেনো স্টেজের আশেপাশে তোমাকে না দেখি,ভুল করেও তুরাগের সাথে কথা বলবে না,যাও নিচে যাও”
নিষাদের কথাতে চন্দ্র কেমন রাগ খুঁজে পায়,এতো রেগে আছে কেনো নিষাদ?
কোনোমতে টাকাগুলো সিমির হাতে দিয়ে চন্দ্র নিচে নেমে আসে।
মারিয়া অবাক হয়ে নিষাদের দিকে তাকিয়ে আছে,স্বপ্নের মতো লাগছে মারিয়ার।কিন্তু চন্দ্রর সাথে এভাবে কথা বলা মারিয়ার সহ্য হচ্ছে না।কেমন হিংসা হচ্ছে মারিয়ার যেনো,শরীর জ্বলতেছে।
স্টেজ খালি করে দিয়ে মেয়েরা নেমে এলো,ছেলেরা সবাই বসতেই শরবত নিয়ে গেলো খাওয়ানোর জন্য।
প্রথম গ্লাস নিশানের সামনে নিয়ে খেতে বললো সিমি,নিশান তাকিয়ে আছে নিষাদের দিকে।
এই শরবত সাধারণ শরবত না নিষাদ বুঝতে পারে।তারপর বলে,”ভাইয়া খাবে এক শর্তে,ওনার যেকোনো একজন শালী কে আগে খেতে হবে,শালীর খাওয়া শরবত ভাইয়া খাবে নয়তো খাবে না।”
নিষাদের কথা শুনে মেয়েরা রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যায় ছাদ থেকে।
তুরাগ নিষাদের পাশে গিয়ে বলে,”তোর ভাবী হিসেবে কেমন হবে চন্দ্র বল না নিষাদ?
ওর ট্যালেন্টের তো শেষ নেই বুঝলি,কাল হলুদের পরে এতো সুন্দর নেচেছে যে সবাই মুগ্ধ হয়ে গেছে।”
নিষাদের রাগ বাড়তে থাকে,এতোগুলা ছেলের সামনে চন্দ্র নেচেছে!
দাঁতে দাঁত চেপে তুরাগ কে বলে,”আমাকে দেখা তো ভিডিও টা।”
তুরাগ খুশি মনে নিষাদকে দেখায় ভিডিও টা একপাশে নিয়ে।নিষাদের দুই চোখ রক্তবর্ণ ধারণ করে।
“নাচের স্টেপগুলো দেখ,কি জোস না!ফিগার কি দেখেছিস নিষাদ,কি হট ভাইয়ার শালী,আমি তো কাল রাত থেকেই দেখছি বারবার,এরকম সেক্সি ফিগারের মেয়ে আজকাল খুব একটা চোখে পড়ে না।”
নিষাদের ইচ্ছে করছে তুরাগ কে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দিতে,অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করে রাখে নিষাদ।
মনে মনে বলে,এর হিসাব চন্দ্রর থেকে নিবেই নিবে।
চলবে….???