নিভৃতে_যতনে পর্ব ৪২

0
2959

#নিভৃতে_যতনে
#Part_42
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দের মাঝে কাঙ্ক্ষিত মানুষটির কন্ঠ প্রতিধ্বনি হতেই আমি পীলে চমকে উঠি। সচকিত দৃষ্টিতে ঘুরে দাঁড়াই। দরজার ঠিক একটু সামনে কাকভেজা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে রোয়েন। তাঁকে দেখামাত্র আপনা-আপনি ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠে সরু হাসি রেখা। স্থির হয়ে দৃষ্টি। হালকা আকাশী রঙের শার্ট লেপ্টে আছে গায়ে। ভেজা চুলগুলো এলোমেলো হয়ে লেপ্টে আছে কপাল জুড়ে। চিবুকের ধার ঘেঁষে চুয়ে চুয়ে পড়ছে পানি। চোখে মুখে ছেয়ে আছে ক্লান্তির ছোঁয়া। মানুষটা দূরত্ব ঘুচে বৃষ্টিতে ম্লান করে একমাত্র আমার জন্য ভাবতেই মনের ভিতর খেলে যায় প্রশান্তির ঢেউ। আমি তাঁর দিকে কয়েক কদম এগিয়ে আসতেই জিজ্ঞেস করি,

— আপনার না ইন্টারভিউ ছিল?

রোয়েন নিজের চুলে হাত গলিয়ে চুল ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলেন,

— ক্যান্সাল হয়ে গিয়েছে।

আমি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে স্বগতোক্তি কন্ঠে বলি,

— এই বৃষ্টির মধ্যে আসার কি প্রয়োজন ছিল বলুন তো? পুরো ভিজে গিয়েছেন।

— ছিল বলেই এসেছি।

কথাটা বলেই তিনি আমার ওরনার শেষাংশ টেনে সামনে নিয়ে এসে চুলগুলো মুচতে শুরু করেন। মুহূর্তেই আমি ভড়কে যাই। বোকা বোকা চাহনিতে তাকিয়ে থাকি তাঁর পানে। মানুষটা শান্ত হলেও কিছুটা পাগলাটে ধরনে। এইভাবে বুঝা না গেলেও তাঁর কর্মকাণ্ড খুবই সুক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই সেটা বুঝা সম্ভব। আমি নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে তাঁর হাত সরিয়ে দিয়ে নিজেই তাঁর চুলগুলো মুছে দেই। অতঃপর স্মিত হেসে বলি,

— উপরে এসে বসুন না-হয়। বৃষ্টি তো থামার কোন নাম-গন্ধ দেখছি না।

তিনি সটান হয়ে দাঁড়িয়ে বলেন,

— বৃষ্টিতে ভিজেই না-হয় যাবো।

আমি অবাক হয়ে বলি,

— মানে?

— যা বুঝলে।

কথাটা বলে তিনি আমার হাত চেপে ধরলেন। তৎক্ষনাৎ আমি মৃদু চিৎকার দিয়ে বলি,

— সম্ভব না! আমার ব্যাগে কিছু দরকারী কাগজ আছে। সেগুলো ভিজলে পরে সমস্যা হবে।

রোয়েন আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবেন। অতঃপর কিছু না বলে হাতটা ছেড়ে দেন। বা পাশের পকেটে হাত দিয়ে একটা পলিথিন বের করে আমার দিকে এগিয়ে বলেন,

— অন্যদের শিক্ষা দান করার সাথে সাথে কি নিজের বুদ্ধিও দান করে দিচ্ছ নাকি? ষ্টুপিড!

কথাটা শুনে আমি গাল ফুলিয়ে তাঁর দিকে তাকাই। তেতো মুখে বলি,

— আসলেই আপনি একটা খাটাশ।

রোয়েন আমার দিকে ভ্রু কুঞ্চিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই আমি ভেংচি কেটে তাঁর হাত থেকে পলিথিনটা নিয়ে নেই।

_____________________

জৈষ্ঠ্যমাসের তপ্ত রৌদ্রময় দুপুরে গাছে গাছে ফুটে উঠেছে অগ্নিঝরা ন্যায় কৃষ্ণচূড়া। মৃদু বাতাসের দোলানীতে দোল খাচ্ছে ফুলের পাপড়িগুলো। কয়েকটা আবার ঝরে পড়ছে মসৃণ মাটির বুকে। নীলাভ আকাশের বুকে বিরাজমান করেছে শুভ্র রঙ্গের মুগ্ধতা। সেই সাথে আমার মন জুড়েও। শুভ্র রঙ্গের মুগ্ধতা নয় প্রণয়ের মুগ্ধতা। এই মুগ্ধতার উৎপত্তির কারণ হচ্ছে আজকের দিনটা। আজ রোয়েন আর আমার দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী৷ আগেরবারের আমি দিনটা ভুলে গেলেও এইবার আমি দিনটা ভুলিনি। মনে রেখেছি। সেই সাথে বাসায় বিশেষ কিছু করার উদ্যোগও নিয়েছি। কিন্তু এইবার রোয়েনের দিনটা মনে আছে কি-না জানি না। কেন না, কোন বিশেষ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি তাঁর মাঝে। বাকি দিনকার মতই তিনি একদম স্বাভাবিক ছিলেন। তার উপর আজ তিনটে-চারটে ইন্টারভিউ আছে বলে সকালেই বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাই বেশি কথাও হয়নি। অবশ্য আজ তিনি সারাদিন বাইরে থাকবে বলে আমার জন্য ভালোই হয়েছে। নিজের কাজগুলো নিরদ্বিধায় সম্পন্ন করতে পারবো আমি। টাকা-পয়সার সমস্যা এখন তেমন একটা না-হলেও ঘটা করে কিছু করার ইচ্ছে নেই আমার। মানুষটা সবকিছু সাদামাটা পছন্দ করে বলে সেভাবেই সবটা করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রোয়েনের সকল পছন্দের খাবারই আজ নিজ হাতে রান্না করেছি আমি। সেই সাথে রোয়েনের রেড ভেলভেট কেক প্রিয় বলে সেটাও এখন বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেক-এর মিক্সটা চুলায় বসিয়ে দিয়ে আমি ফ্রেশ হতে চলে যাই। ফ্রেশ হয়ে এসে কেকটা নামিয়ে ফেলি আমি। অতঃপর ক্রিম চিজ ফ্রস্টিং দিয়ে সাজিয়ে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দেই।
রোয়েনের আসার আগে আমি একটু পরিপাটি হয়ে নিলাম। সব রুম আরেকবার গুছিয়ে নিলাম। সব কাজ শেষে আমি ক্ষান্ত হলাম। সোফায় গা একটু হেলিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে থাকলাম। অপেক্ষা প্রহর গুনতে থামলাম তাঁর আসার।
সন্ধ্যা গড়িয়ে পড়তেই রোয়েনের আগমন হলো। সজাগ ছিলাম বিধায় দরজার বেল চাপতেই আমি দৌড়ে দরজা খুলে দিলাম। ক্ষণেই ভেসে উঠে তাঁর ক্লান্তিমাখা চেহেরা। আমি স্মিত হেসে দরজার পাশ থেকে সরে দাঁড়াতেই তিনি ঘরে প্রবেশ করেন। এদিক-সেদিক না তাকিয়ে সোজা রুমে চলে গেলেন। আমি আগে থেকেই বিছানায় তাঁর কাপড় রেখে দিয়েছিলাম বলে তিনি সেটা নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলেন। ফ্রেশ হয়ে আসতেই আমি তাঁর দিকে এক গ্লাস লেবুর শরবত এগিয়ে দিলাম। তিনি একপলক আমার দিকে তাকিয়ে গ্লাসটা হাতে নিয়ে নিলেন। অতঃপর অর্ধেকটা খেয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলেন,

— খাও!

আমি কিছুক্ষণ গ্লাসটার দিকে তাকিয়ে থেকে প্রশান্তির নিশ্বাস ফেলি। এইটা তাঁর নিত্যদিনের অভ্যাস। তাঁকে একগ্লাস শরবত দিলে তিনি অর্ধেকটা খেয়ে আমাকে বাকি অর্ধেকটা দিয়ে দিবেন। অবশ্য এইটা শুধু শরবতের বেলায় তা কিন্তু নয়। তাঁর সবকিছুতেই যে আমার একাংশ ভাগ বরাদ্দ আছে তা তিনি অপ্রকাশিত ভাবেই বেশ বুঝিয়ে দেন আমায়। আমি গ্লাসটা হাতে নিয়ে বলি,

— প্রতিবার নিজের ভাগের অর্ধেকটা আমায় না দিলে হয় না?

রোয়েন আমার দিকে তাকিয়ে বলেন,

— আমার সবকিছুর অর্ধাংশের অধিকারপ্রাপ্ত সে। তাঁকে যে কিছু থেকে বঞ্চিত করার দুঃসাহস আমার নেই।

আমি কিছুটা না বলে প্রসস্থ এক হাসি উপহার দেই তাঁকে। অতঃপর শরবতটুকু খেয়ে সাইড টেবিলে গ্লাসটা রেখে কাবার্ডের সামনে চলে যাই। আমার সাইডের কাবার্ডটা খুলে কাপড়ের ভাঁজ থেকে একটা টাই-এর বক্স বের করি। সেই সাথে রোয়েনের পছন্দের একটা পারফিউমের বক্সও। তাঁকে দেখে যতটুকু অনুমান করলাম তিনি আজকের দিনটার কথা ভুলে গিয়েছেন। এত ব্যস্ততা আর চিন্তার মাঝে ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। তাই নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই। আগের বার তিনি আমায় ভড়কে দিয়েছিলেন এইবার না-হয় আমি দেব।
তাঁর দিকে একবার সতর্ক দৃষ্টিতে তাকাতাম। তিনি আধশোয়া হয়ে চোখ দুইটি বন্ধ করে শুয়ে আছেন। তা দেখে আমি বক্স দু’টি কাপড়ের উপরে রেখেই চট জলদি ফ্রিজ থেকে কেকটা নিয়ে আসি৷ অতঃপর রোয়েনের দিকে এগিয়ে যাই কেকটা নিয়ে। তাঁর পাশে গিয়ে বসে মৃদুস্বরে বলি,

— শুভ বিবাহবার্ষিকী!

ক্ষণেই রোয়েন চোখ খুলে সচকিত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায়। আমি হাসিমুখে তাঁর দিকে কেকটা এগিয়ে দেই৷ তিনি কিছুক্ষণ সেই দিকে তাকিয়ে থেকে হালকা হেসে বলেন,

— শুভ বিবাহবার্ষিকী!

তাঁকে ভড়কে দিতে পেরেছি কি-না জানি না কিন্তু তাঁর ঠোঁটের কোনে ফুটে হাসিটা যেন আমার সবচেয়ে প্রাপ্তি। আমি চোখের ইশারায় করলাম কেকটা কাটতে। তিনি আমার হাত থেকে কেকটা নিয়ে বিছানার উপর রাখেন। অতঃপর ছুড়িটা নিজ হাতে নিয়ে আমার হাতটাও টেনে নেন তাঁর হাতের মাঝে। নিঃশব্দে কেটে ফেলেন কেকটি। কেকের প্রথম পিসটা আমার মুখের সামনে ধরতেই আমি সেটা খেয়ে নেই। তাঁকেও খায়িয়ে দেই কিছুটা। কেক খাওয়া শেষে কাবার্ড থেকে সেই বক্স দু’টো বের করে রোয়েনের সামনে এগিয়ে দেই। তিনি আলতো হাতে সেটা গ্রহণ করেন। আমি তাঁর পাশে বসতেই তিনি আমার হাতটি টেনে নিয়ে তাঁর সামনে ধরেন। অতঃপর নিজের বা পকেট থেকে একটা বেলীফুলের মালা বের করে খুবই সপ্তপর্ণে সেটা আমার হাতে পড়িয়ে দেন। বিস্ময়ে আমার ঠোঁট দুইটি আপনা-আপনি নিজেদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে নেয়৷ আমি নিষ্পলক দৃষ্টিতে যখন আমার হাতের পানে চেয়ে আছি ঠিক তখনই রোয়েন বিছানা থেকে নেমে পড়েন। নিচে হাটু গেড়ে বসে আমার পা টেনে ধরতেই ভড়কে যাই আমি। দ্রুত নিজের পা সরিয়ে নিয়ে অস্ফুটস্বরে বলে উঠি,

— এইসব কি করছেন আপনি? পায়ে হাত দিচ্ছেন কেন?

রোয়েন বিরক্তিতে ভ্রু কুটি কুঞ্চিত করে বলেন,

— পা কেটে ফেলার জন্য। কোন সমস্যা?

আমি তাঁর কথার পিঠে কিছু বলতে যাব তার আগেই তিনি তাঁর হাতের তর্জনীটা আমার ঠোঁটের মাঝে চেপে ধরে বলেন,

— হুসসস! কোন কথা না।

আমি ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাঁর দিকে তাকাতেই তিনি হাতটা সরিয়ে নেন। পুনরায় পকেটে হাত গলিয়ে দিয়ে এক জোড়া পায়েল বের করেন। পায়েলটা ঠিক কিসের তৈরি তা আমার জানা নেই। কিন্তু বর্ণনা দিতে হলে বলবো, সোনালী রঙ্গের প্রলেপের উপর সাদা পাথরের সরু কাজ। তার নিচে ঝুলছে লম্বাটে পাতার আকৃতির মত, এদের মাঝে কিঞ্চিৎ দূরত্ব। পায়েলটা দেখতে সাধারণের হলেও এ যেন হাজারের মধ্যে অনান্য। রোয়েন খুবই সপ্তপর্ণে আমার পাটা তাঁর হাটুর উপর রেখে পায়েলটি পড়িয়ে দিতে থাকেন আর আমি শুধু ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি তাঁর পানে। চোখের মনিতে কিঞ্চিৎ বিস্ময়তা বিরাজমান। তার মানে মানুষটা আজকের দিনের কথাটা ভুলে নি? তাঁর মনে ছিল। আর সেই আমাকে ভড়কে দেওয়ার জন্য এইসব করে বসে আছে? অথচ আমি কি-না ধরতেই পারিনি। আমি তাঁকে আর কি ভড়কে দিব তিনি তো নিজেই আমাকে ভড়কে দিয়েছেন। আসলেই মানুষটাকে বাহিরে ভাব-ভঙ্গি দেখে তাঁর অন্তরের কথাটা বুঝা বড় দায়।
দুই পায়ে পায়েল পড়ানো শেষে তিনি মাথা তুলে জিজ্ঞেস করলেন,

— দেখো তো পছন্দ হয়েছি কি-না।

আমি ধরা গলাই বলি,

— অনেক! ভীষণ সুন্দর পায়েল দু’টো।

তিনি কিঞ্চিৎ হেসে বলেন,

— তোমার দেওয়া টাই-টা আমাকেও মানাবে দারুণ।

কথাটা কর্ণপাত হতেই আমি কিঞ্চিৎ হাসি৷ মিইয়ে যাওয়া স্বরে বলি,

— আজকের দিনটার কথা আপনার তাহলে মনে ছিল?

রোয়েন সটান হয়ে এক হাত চুলের মধ্যে গলিয়ে চুলগুলো সামনে থেকে পিছনের দিকে ঠেলে দিয়ে বলেন,

— ভুলেছিলাম কখন যে মনে রাখবো।

কথাটা কর্ণধার হতেই ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠে দীর্ঘ হাসি। মানুষ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও স্বল্প কথার ভাঁজে আর কাজের মাধ্যমে অপ্রকাশিত কথাগুলো ঠিকই বুঝিয়ে দেন।

__________________

খাওয়া-দাওয়া শেষে রোয়েন আমায় নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ফাঁকা রাস্তায়। দিনটা একসাথে কাটাতে না পারলেও রাতটা ঠিকই হয়ে উঠে একান্ত আমাদের। আমি রোয়েনের পেট জড়িয়ে ধরে মাথা এলিয়ে দিয়েছি তাঁর পিঠে। চুপটি মেরে বসে থেকে অনুভব করছি রাতের নির্জীব ঢাকা শহর। বায়ুতে নেই এখন কোন বিষাক্ততা। আছে শুধু শুদ্ধতা। দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে বাইক উঠে পড়ে পুরান ঢাকার পোস্তোকলা ব্রিজের উপর দিয়ে। আরও বেশ কিছুটা পথ অতিক্রম করতেই একটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় এসে বিশ্রাম নেয় বাইকটি। রোয়েন বাইকটা সাইডে পার্ক করতেই আমি নেমে পড়ি। ব্রিজের ধার ঘেঁষে দাঁড়াতেই চোখে পড়ে সচ্ছ পানির ধারা। চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় জ্বলজ্বল করছে প্রত্যেকটি ঢেউ। যতদূর চোখ যায় ততোদূর নজরে পড়ে পিঁপড়ের ন্যায় বিল্ডিং আর বিল্ডিং। একটা সাথে যেন একটা ঠাসা। বেশ সংখ্যক জানালার ফাঁক দিয়ে দিয়ে বাইরে গড়িয়ে পড়ছে এলিডি লাইটের আলো৷ হিম-শীতল বায়ু সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে যেতেই গা কাটা দিয়ে উঠে আমার। রোয়েন আমার পাশে এসে দাঁড়াতেই আমি উষ্ণতার লোভে তাঁর নিকট ঘেঁষে দাঁড়াই। তিনি একপলক আমার দিকে তাকিয়ে আমার পিছন দিয়ে হাত গলিয়ে আগলে নেন আমায়। ক্ষণেই আমি তাঁর বুকে মাথা এলিয়ে দেই। চোখ দুটি বন্ধ করে অনুভব করতে থাকি মানুষটির উপস্থিতি। সময় খারাপ হোক আর ভালো মানুষটা আমার পাশে থাকলে যে আমার আর কিছু চাই না। অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারি এমন শত কোটি প্রহর। কথায় আছে না, “ভালবাসা থাকার জন্য বিলাসিতার প্রয়োজন নেই, ভালবাসার মানুষটির সঙ্গই যথেষ্ট।”

#চলবে

বিগত ৭ই জুন আমার নানুমনি মারা গিয়েছিল। পরিবেশ আর মনের অবস্থা ভালো ছিল না বিধায় এই কয়েকদিন উপন্যাসটা দিতে পারিনি। সকলেই প্লিজ তাঁর জন্য দোয়া করবেন🙂

রি-চেক করা হয়নি তাই ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here