নিভৃতে_যতনে পর্ব ৪৪

0
2822

#নিভৃতে_যতনে
#Part_44
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat

বনানীর এক বাফেট রেস্টুরেন্টে আরহান ভাইয়ার জন্য পাত্রী দেখতে এসেছি আমরা সকলেই। সকলে বলতে আমি, রোয়েন, তানিয়া ফুপু, রিশাদ ফুপা, আরহান ভাইয়া,জেরিন, ছোট ফুপু ও ছোট ফুপা। ঘটা করে নাহলেও মোটামুটি আয়োজন করেই এসেছেন তানিয়া ফুপু ছেলের পছন্দের মেয়েকে দেখার জন্য। একমাত্র ছেলে হওয়া সুবাদে আরহান ভাই কাউকে পছন্দ করে শুনে ফুপু তৎক্ষনাৎ মেয়ে পক্ষের সাথে দেখা করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সরাসরি দেখা করে সকল তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে যাচাই-বাচাই করবে বলে ভাইয়াকে বাড়তি কিছুই জিজ্ঞেস করেননি। শুধু মেয়ে কিসে পড়ে, কি করে তা নিয়েই একটু জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এর ব্যতীত কিছুই না। এমনকি মেয়ের ছবি পর্যন্ত দেখেননি। অবশ্য ছবি না দেখার পিছনে যথার্থ কারণও লুকায়িত আছে। তার ভাষ্যমতে, এখনকার সকল মেয়েরাই ফিল্টার দিয়ে বেশি ছবি তুলে। যার দরুন তাদের ছবি আর বাস্তবে পুরোই পৃথক দেখায়। তিনি প্রথমে ছবি দেখে মেয়েকে পছন্দ করে পরে হতাশ হতে চান না বলেই ছবি দেখতে চাননি।
পাত্রীপক্ষ এখনো আসেনি। আরহান ভাইয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারলো, রাস্তায় নাকি জ্যাম তাই আসতে তাদের একটু দেরী হচ্ছে। সকলেই অপেক্ষা করছে আর নিজেদের মধ্যে টুকটাক কথা বলছে। আমিও মাঝে মধ্যে তাদের সাথে তাল মিলাচ্ছি। আরহান ভাইয়া আমার সাথে ভাব জমাচ্ছে। কেন না, আমার বিয়ের সময় তিনি দেশে ছিলেন না। আমার বিয়ের পর এই প্রথম দেশে এলেন। তাকে আমি প্রথম দেখছি সেও আমায়। তাই আমার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন বেশ। অবশ্য ভাইয়ার মজার মানুষ তাই কথা বলতে খারাপ লাগছে না। সকলে কম-বেশি কথা বললেও রোয়েন আমার পাশেই চুপটি মেরে বসে আছেন। দৃষ্টি তাঁর নত হাতে থাকা মুঠোফোনের জন্যে। ভাবভঙ্গী দেখেই বুঝা যাচ্ছে তিনি এই পরিবেশে এসে বেশ বিরক্ত। তাই নিজের মনোযোগ মুঠোফোনের মাঝে নিবদ্ধ করে রেখেছেন। ক্ষণেই আমি চাপা কন্ঠে বলে উঠি,

— বিরক্তবোধ করছেন?

রোয়েন সচকিত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে মৃদুস্বরে বলে,

— তা নয় তো কি? পাত্রী দেখার নামে যে সার্কাস চলছে তাতে নিশ্চয়ই আমার খুশিতে আপ্লূত হওয়ার কথা না?

আমি বিস্মিত সুরে জিজ্ঞেস করি,

— সার্কাস কই পেলেন?

— চারপাশে অভাব আছে?

— আপনিও না! কি হয় একটু সকলের সাথে কথা বললে? এত চুপচাপ কিভাবে থাকে মানুষ?

রোয়েন আমার দিক থেকে নজর সরিয়ে মুঠোফোনের দিকে নজর বুলাতে বুলাতে বলেন,

— কি জানি!

আমি বিরবির করে বলে উঠি,

— খারুশ কোথাকার।

— তোমার বরই।

হঠাৎ রোয়েন কথাটা বলে উঠায় আমি পিলে চমকে তাকালাম। তার মানে তিনি শুনে ফেলেছেন। হায় আল্লাহ! তাঁর শ্রবণশক্তি এত তীক্ষ্ণ কেন? হুয়াই? এর জন্য বিরবির করে কথা বলাও দায় আমার। হুহ!

বেশ কিছুক্ষণ পর আরহান ভাইয়ের ফোন আসলো। পাত্রীপক্ষ থেকে ফোন এসেছে। তারা নাকি চলে এসেছেন কিন্তু ঠিক রেস্টুরেন্টটা চিনতে পারছেন না। আরহান ভাইয়া তাদের এগিয়ে আনতে নিচে চলে যান। অতঃপর গুটিকয়েক মিনিটের মাঝেই আরহান ভাইয়া তাদের নিয়ে আসে। দুইপক্ষ মুখোমুখি হতেই সকলের চোখ-মুখে বসতি স্থাপন করে একরাশ বিস্ময়। সকলে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করলেও আমি স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি সামনে। সকলকে পর্যবেক্ষণ করছি সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে। সময়ের চক্র যে ঘুরে অতীতকেই টেনে আমার সামনে এনে হাজির করবে তা কে জানতো? পরক্ষণেই আরহান ভাইয়ার কন্ঠে সকলে সচকিত তার পানে তাকায়। আরহান ভাইয়া প্রফুল্ল সুরে বলছেন,

— মা ও হচ্ছে হৃদি৷ যার কথা আমি তোমায় বলেছিলাম।

আমি এইবার হৃদিপুর দিকে তাকালাম। হ্যাঁ হৃদিপু! হৃদিপুই হচ্ছে পাত্রী আর পাত্রীপক্ষ হচ্ছে আমার পরিবার। না! আমার পরিবার কথাটা ভুল বললাম। এদের সাথে তো এখন আমার কোন সম্পর্কেই নেই। তাহলে এরা আমার পরিবার কিভাবে হয়? কিন্তু সেটা এখন না চাওয়া সত্ত্বেও জুড়ে যাবে। মিথ্যে জোড়াতালি লাগবে সকলের চক্ষুদ্বয়ের স্বচ্ছ পর্দায়। কেন না, ভিতরের খবর তো আর বাহিরের মানুষ জানে না। আর আমি জানতেও ইচ্ছুক না। হঠাৎ রোয়েন আমার হাত চেপে ধরলেন। আমি ক্ষণেই তাঁর দিকে তাকাতেই তিনি চোখ দিয়ে শান্ত থাকতে ইশারা করলেন। সেই সাথে, আশ্বস্ত করলেন তিনি আছে আমার পাশে। আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে ক্ষান্ত হলাম।
একপলক সকলের দিকে তাকালাম। হৃদিপুর সাথে বলতে বাসার সবাই এসেছে। বড় চাচা,চাচী, ওসমান সাহেব ও মা। তাদের দৃষ্টি অবশ্য আমার উপরই নিবদ্ধ। নিজেকে স্বাভাবিক করতেই তানিয়া ফুপু বলে উঠেন,

— এনারা তো আমাদের পূর্বপরিচিত৷ তোর সিয়াশা ভাবীর বাড়ির লোকজন এনারা। এনাদের সাথে তো আমাদের আত্মীয়তা বেশ পুড়ানো।

কথাটা শুনে আরহান ভাইয়ার মুখ অবিশ্বাস্য ভাবটা জ্বলজ্বল করে উঠে। হয়তো এমনটা আশা করেননি। কিন্তু সেই ভাবটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। পরক্ষণেই আগের চেয়ে দ্বিগুণ প্রফুল্লিত দেখালো তাকে। সকলে উঠে কুশল বিনিময় করতেই মা আমার দিকে এগিয়ে আসে। আমি উঠে মাকে জড়িয়ে ধরলাম। অতঃপর হৃদিপুর কাছে এগিয়ে গেলাম, জড়িয়ে ধরে টুকটাক কথা বললাম। ভদ্রতার খাতিরে ওসমান সাহেব আর চাচা-চাচীকে সালাম দিলাম আর ছোট করে ‘কেমন আছেন?’ জিজ্ঞেস করে সরে আসলাম।
সকলে এইবার মুখোমুখি হয়ে বসে পড়লো। আমি রোয়েনের পাশে বসতেই তিনি আমার হাতটি তাঁর হাতের শক্ত বাঁধনে আবদ্ধ করে নিলেন। নিভৃতেই যেন আশ্বস্ত করলেন, ‘ চিন্তা নেই তিনি আছেন,আমি যাতে দূর্বল না হই।’ আমিও মিষ্টি হেসে একদম স্বাভাবিক থাকি। এইদিকে পূর্বপরিচিত হওয়ায় নতুন করে কিছু জিজ্ঞেস করলো না কেউ। বরং নিজেদের মত কথা বলতে লাগলো। দুইপক্ষই যে এই বিষয়ে অনাগত ছিল তা নিয়েই বেশ আলোচনা হলো। অতঃপর আলোচনা হলো সম্মোধনটা নিয়ে।

কথার ফাঁকে হঠাৎ ওসমান সাহেবের দিকে নজর যেতেই দেখি তিনি নিষ্পলক দৃষ্টিতে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন। দৃষ্টি তাঁর কাতরতাপূর্ণ। আমি তৎক্ষনাৎ দৃষ্টি সরিয়ে নেই। আনমনে ভাবি, ‘এখন এই দৃষ্টির মানে কি? আদৌ কি কোন মানে আছে?”
ক্ষণেই মনের দুয়ারে পুরনো স্মৃতি আঁচড়ে পড়ে, নাসরিন বেগমের মৃত্যুর পরে আমার সাথে কেউ তেমন একটা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি৷ দুই একবার ঘরের ল্যান্ডলাইন থেকে ফোন এসেছিল কিন্তু আমি ধরিনি। আমি এইসবের ধার না ধরে মুভ অন করে গিয়েছিলাম। তিক্ততায় ঘেরা স্মৃতিকে মনের কোন একস্থানে মাটি চাপা দিয়ে নতুন জীবনের সূচনা রটেছিলাম৷ বলা বাহুল্য, আমি একটু হলেও ভেবেছিলাম হয়তো সেই ঘটনার পর সকলে নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হবে, ক্ষমা চাইবে। সম্পর্ক ঠিক করতে চাইবে। কিন্তু নাহ! ধারণা ভুল ছিল আমার,এমন কিছুই হয়নি। বরং সব সেই আগের মতই ছিল৷ কথাটা ভেবেই তপ্ত নিঃশ্বাস ত্যাগ করলাম আমি। আগের ঘটনা মন থেকে ঝেড়ে ফেলে হালকা হাসার চেষ্টা করলাম।
সবাই যখন টুকিটাকি কথা বলছে তখন হঠাৎ জেরিন বলে উঠলো,

— ভাবী, তুমি তো দেখছি এখন দুইপক্ষের লোক হয়ে গিয়েছ। তা তুমি কার পক্ষ হয়ে সব করবে? মানে কোন দলে থাকব?

আমি একবার সকলের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলি,

— অবশ্যই আমি আমার দেবরের দলে। জানোই তো, বিয়ের পর বরের বাড়িই নিজের বাড়ি। এর ব্যতীত তার নিজের বলে কোন স্থান নেই। তো আমি এখন নিজের বরের পক্ষে না থেকে কোন পক্ষে থাকি বলো?

ক্ষণেই জেরিন খুশি হয়ে যায়। আমি অবশ্য, কথাটা কিছুটা রসিকতার সুরেই বললাম যাতে কেউ সন্দেহ না করে। সেই সাথে আড়চোখে একবার হৃদিপুর পরিবারের সকলকে দেখে নিলাম। সকলের মুখ কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছে। হয়তো মজার ছলে বলা আমার কথার ইঙ্গিতটা বুঝতে পেরেছে। আমি সেসব তোয়াক্কা না করে সামনে তাকালাম। এদের নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমার নেই। ফুপুরা কেউ এই বিষয়ে মাথা ঘামান-নি বরং তারা অন্য কথায় চলে গিয়েছে। অতঃপর বড়রা একান্ত কিছু কথা বলবে বলে আমাদের ছোটদের অন্য টেবিলে পাঠিয়ে দেন এবং আমরা যাতে খাওয়া শুরু করি সেই নির্দেশনাও দেন।
আমরাও তাদের কথামত যে যার মত উঠে হাতে প্লেট নিয়ে খাবার নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমি ঘুরে ঘুরে খাবার নিচ্ছি এমন সময় হৃদিপু সামনে এসে দাঁড়ালো। আমি তাকে দেখে মিষ্টি হেসে বলি,

— কিছু বলবে?

হৃদিপু কয়েকবার পলক ফেলে আমার দিকে তাকিয়ে বলে,

— ভালো আছিস?

— খারাপ থাকার কথা বুঝি?

— বড্ড বেশি বুঝিস।

— আচ্ছা সরি। তা তলে তলে এইসব ষড়যন্ত্র করেছ তাই না? সবশেষে বোন থেকে আমার ভাবী হয়ে গেলে? কি ষড়যন্ত্র রে বাবা। একবার আমাকে জানালে কি হতো? তোমার ভাবী হওয়া বয়কট করতাম আমি? এত খারাপ ভাবো আমায়?

শেষের কথা দুঃখী দুঃখী গলায় বললাম। হৃদিপু আমার পিঠ ধুম করে একটা কিল বসিয়ে দিয়ে বলে,

— তুই আর সুধরাবি,না? আর আমি কি জানতাম নাকি ও তোর জামাইয়ের বংশের কেউ? ওর পরিবারকে আমি নিজেও আজ প্রথম দেখছি।

আমি মুখ ঘুচে বলি,

— হ্যাঁ তাও ঠিক। প্রেম তো তুমি ভাইয়ার সাথে করসো, তার ফ্যামিলি বা ১৪ জাতগোষ্ঠীর সাথের না। বুঝবা কেমনে?

— ফাজিল! মজা নিচ্ছিস আমার সাথে?

— নিতেই পারি। একমাত্র বোন প্লাস ভাবী বলে কথা।

কথাটা বলেই দাঁত কেলিয়ে হাসলাম। হৃদিপু মুখ ঘুচে বলে,

— হুহ!

আমি মেকি রাগ দেখিয়ে বলি,

— তা তুমি বিয়ে করছো আমায় জানাও নি পর্যন্ত। এই তোমার ভালোবাসা? ভাইয়ার পক্ষ ছিলাম বিধায় জেনেছি নাহলে ঠুস করে বিয়ে করে ঠাস করে বাচ্চাও পয়দা করে নিতা আর আমি খবরও পেতাম না। হুহ!

হৃদিপু অভিমানী সুরে বলেন,

— এই আট-নয় মাসে একবারও নিজে ফোন দিয়ে খোঁজ নিয়েছিস আমার? যোগাযোগ রেখেছিস যে বলবো? এখন আসছে আমার ভালবাসা নিয়ে প্রশ্ন করতে।

কথাটা বলে হৃদিপু মুখ ঘুচে নিলে আমি অসহায় দৃষ্টিতে হৃদিপুর দিকে তাকাই। আপন ভাবনায় বলি, কিভাবে বলি তোমায় এই কয়েকমাস আমি কিসের মধ্যে ছিলাম। পরিস্থিতি খারাপ ছিল সেই সাথে পুরো সংসারের দায়িত্ব। চেয়ে তো পারি যোগাযোগ রাখতে। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি মধ্যে কাটতো সময়। কতটা চাপে ছিলাম তা শুধু আমি জানি। ফোন হাতে নিয়ে দেখার সময় ছিল নাকি তখন? নেহাৎ রোয়েন পাশে ছিল বলে নির্বিঘ্নে কষ্টগুলো সুখ বলে গণ্য করে নিয়েছিলাম। বিসর্জন দিয়েছিলাম নিজের সকল অভিযোগ,ক্লান্তি। হাসি মুখেই সামলিয়েছি সব। একমাত্র আপন মানুষটার জন্য।
ক্ষণেই হৃদিপুর তেতো কন্ঠ কর্ণধারে এসে বারি খেতেই সচকিত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাই।

— সমস্যা তো আমার সাথে ছিল না। তাহলে যোগাযোগ বন্ধ করলি কেন আমার সাথে? মাঝে মধ্যে ফোন দিলেও তেমন রেসপন্স করতি না। তখন কত খারাপ লাগতো জানিস?

আমি মুখটা ছোট করে বলি,

— সরি আপু! আসলে এই কয়েকটা মাস অনেক ব্যস্ত ছিলাম। তার উপর বাবা মারা যাওয়ার পর সকলের পুরো দায়িত্বটাই আমার উপর এসে পড়েছিল। তাই এইসবে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।

— আঙ্কেল যে মারা গিয়েছে তা জানিয়েছিলি একবারো আমাদের? তোর শ্বাশুড়ির সাথে চাচীর কথা না হলে জানতামও তো না। শেষ দেখাটা নাহলেও দেখে আসতো একবার সকলে। জানি, তুই এই বাড়ির কাউকে আপন ভাবিস না কিন্তু জানানো দরকার ছিল।

— ওসব বাদ দাও। সেই বিষয়ে নিয়ে কথা বলে লাভ নেই৷ আর তুমি রাগ করে থেকো না প্লিজ। আই প্রমিস আর এমন হবে না। এইবারের মত মাফ করে দাও। এমনেও আমার দেবরকে বিয়ে করছো, সো ভ্যাট ইজ প্রযোজ্য। আমার আবার বেশি ডিমান্ড নেই,ভ্যাট হিসাবে মাফ করে দিলেই হবে।

আমার কথা শুনে হৃদিপু ফিক করে হেসে দেয়। আমি পাশ দিয়ে আলতো করে জড়িয়ে ধরতেই হৃদিপু আমায় জড়িয়ে ধরে বলে,

— দিলাম!

ক্ষণেই দুইজনে একত্রে হেসে দিলাম।

#চলবে
কথা দিচ্ছি না কিন্তু তাও রাতে আরেকটি পর্ব দেওয়ার চেষ্টা করবো।

পর্বটা বেশ ছন্নছাড়া হয়েছে জানি। এর জন্য দুঃখিত৷ আর অপ্রাসঙ্গিক কিছু জিনিস উপন্যাসের স্বার্থে লিখতে হয়ে। কেন লিখেছি তা পরবর্তীতে পর্বে বুঝে যাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here