#নীরবতা
#নাইমা_জাহান_রিতু
#পর্ব_২০
সকাল থেকেই প্রচুর ব্যস্ততার মাঝে সময় কাটাচ্ছে উল্লাসী। অসুস্থতা কাটিয়ে উঠেছে সে দিন পাঁচেক হলো। ঠিক অসুস্থতাও নয়, উনি বলেছেন মাসিক কোনো অসুস্থতা নয়৷ তবে যেটাই হোক সেটি ভেজাল ছাড়া দ্বিতীয় কিছু মনে হয় না তার। তল পেটে ব্যথা, হাটতে অসুবিধা, কোমর টেসে আসা.. এত কিছুর মুখোমুখি হবার পরও এই প্রথমবার নিজেকে বেশ ফুরফুরে লাগছে তার। উৎফুল্ল মনে ব্যাগের সব কাপড়চোপড় বের করে একেএকে আলমারিতে গুছিয়ে রাখলো উল্লাসী। তারপর পা বাড়ালো রান্নাঘরের দিকে। দুপুরের রান্নাটা দ্রুত সেরে মুন্নি ভাবির কাছে যেতে হবে। দুজনে মিলে আজ সিনেমা দেখার কথা রয়েছে। তবে তা মোটেও জানানো যাবে না উনাকে। মুন্নি ভাবির বারণ আছে। সব কথাই নাকি স্বামীকে জানাতে নেই। তাতে স্ত্রীর গুরুত্ব তাদের কাছে কমে যায়। ভাতের চাল ধুয়ে তা চুলোয় দিল উল্লাসী। তারপর ফ্রিজ থেকে মাছের পোটলা বের করে বেসিনের দিকে এগুতেই কানে এল কলিংবেলের শব্দ। নিশ্চিত মুন্নি ভাবি ডাকতে এসেছেন তাকে। তবে রান্নাই তো হয়নি এখনো! সব ফেলে এখন কী করে যাবে সে সিনেমা দেখতে? নিরাশ মনে মাছের পোটলা ভিজিয়ে রেখে দরজার দিকে এগুলো উল্লাসী। তবে দরজা খোলার মাত্র নিমেষেই মুখের ভঙ্গির পরিবর্তন হয়ে এল তার। মুন্নি ভাবি নয়.. মৌমিরা এসেছে!
প্রতি রাতের উল্লাসীর ভিন্ন ভিন্ন আবদারগুলোকে বেশ উপভোগ করে মেসবাহ। তার বলা কথা এবং কার্যক্রমগুলো বেশ আনন্দ দেয় তাকে। মাঝেমাঝে আবদারগুলো নিয়ে কোথাও একটি ভয় কাজ করলেও তা উপেক্ষা করে উল্লাসী বোঝানোর চেষ্টা করে সে। যা কিছুসময় পেরে না উঠে পিচ্চি আদর দিতেই হয় তাকে। তাছাড়া সে নিজে যেখানে শক্ত আছে সেখানে উল্লাসীর ছোট ছোট আবদার পূরণ করাই যায়! তবে সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যা অন্যখানে। উল্লাসীকে একা বাসায় ফেলে হাসপাতালে এসেও কাজে মন দিতে পারে না মেসবাহ। উদ্ধত মন সারাক্ষণ আনচান করে মেয়েটির জন্য। কখন রাত হবে সেই প্রহর গুনে। মেয়েটি মায়াজালে যে বেশ শক্তপোক্ত করে আঁটকে পড়েছে সে তা বুঝেও মনকে হাজারটা কারণ দেখিয়ে বুঝ দেয় মেসবাহ। কেনো যেনো বিবেক কোনোভাবেই সায় দেয় না এ কথায়…
নিউরো সাইন্স হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ল্যাবএইডের উদ্দেশ্যে রিক্সায় উঠে মুন্নি সরকারের নাম্বারে ডায়াল করলো মেসবাহ। উল্লাসীর জন্য একটি ফোন নিতে হবে। বারবার তার খবর নিতে মুন্নি সরকারের কাছে কল করায় বড্ড সংকোচ বোধ হয়। তাছাড়া উনার নানান প্রশ্ন তো রয়েছেই! সবমিলিয়ে ফোনের ওপাশ থেকে মুন্নি সরকারের আওয়াজ শোনামাত্র অজস্র অস্বস্তি এসে চেপে ধরে তাকে।
-“হ্যালো, মেসবাহ?”
-“জ্বি, ভাবি। একটু উল্লাসীকে ডেকে দেবেন?”
-“তাকে আর কোথায় পাই আমি? তোমার ভাই বোনেরা এসেছে না? তাদের নিয়েই পড়ে আছে সে। তুমি একটু লাইনে থাকো। আমি দিচ্ছি…”
হতবাক হলো মেসবাহ। একরাশ বিস্ময় নিয়ে বললো,
-“ভাইবোন এসেছে? আমার? কারা এসেছে?”
-“তোমার বড় ভাই আর ছোট বোন।”
-“বলেন কী! আচ্ছা.. আমি আসছি।”
-“তা এসো.. তবে তোমাদের পরিবার থেকে যে উল্লাসীকে এত সহজভাবে মেনে নিয়েছে তা দেখেই আমার ভালোলাগছে।”
-“হ্যাঁ.. ওইতো। আচ্ছা, রাখছি।”
দ্রুত ফোন কেটে রিক্সা ঘোরাতে বললো মেসবাহ। আপাতত বাসায় যাওয়া তার বেশ জরুরী হয়ে পড়েছে। বড় ভাই এবং অনা যে আসবে তা তো একবারও জানায়নি তাকে! তাহলে এভাবে হুট করে আসার মানেটা কী? অস্থিরতায় চিপের কোণা দিয়ে ঘাম বেয়ে পড়তেই তা মুছলো মেসবাহ। তাদের প্রেমের বিয়ের কথাটি যে মিথ্যে তা হয়তো এখনো জানতে পারেনি মুন্নি সরকার। নয়তো ফোনে এত শান্ত ভাবে কখনোই কথা বলতো না সে। তাছাড়া বড় ভাই গম্ভীর স্বভাবের মানুষ। মুন্নি সরকারের সাথে গল্প জুড়ে দেবার মতো মানুষ তিনি নন। বাদ রইলো অনা, সে গল্প পাগল এক মেয়ে। একবার গল্পের আসর খুলে বসলে তার সকল লুকোনো কথা মুন্নি সরকারের সামনে আসতে দু’সেকেন্ডও লাগবে না সেখানে তার বাসায় পৌঁছানো তো দূরের কথা! আবারও ঘামে সিক্ত কপাল মুছলো মেসবাহ। রিক্সা চালকের উদ্দেশ্যে থমথমে গলায় বললো,
-“ভাই.. একটু তাড়াতাড়ি চালান না!”
-“এর থাইকা বেশি পারমু না! পাও দিয়া রিক্সা চালাই আমি.. এ তো আমার উইড়াজাহাজ না!”
-“ঠিকাছে.. ঠিকাছে। যেভাবে খুশি চালান।”
সারাদিনের ক্লান্তি মেটাতে গোসল সেরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল মেসবাহ। তারপর ধীরেসুস্থে এগুলো পাশের ঘরের দিকে। অনা মৌমির সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত, মাজহারুল চোখবুঁজে শুয়ে রয়েছে। এরমাঝে অনাকে ডেকে তাদের বিয়ের কথা উঠানো ঠিক হবে কিনা ভেবে পেল না মেসবাহ। ঘরজুড়ে কয়েকবার পায়চারী করে সে এগুলো রান্নাঘরের দিকে। এই রাতে আর এদিকটায় আসবে না মুন্নি সরকার। তাই আপাতত ভয় নেই। রাতের খাবার পর না হয় ধীরেসুস্থে পুরো ব্যপারটা বুঝিয়ে বলা যাবে অনাকে।
-“কী করছো?”
রান্নাঘরে ঢুকে উল্লাসীকে প্রশ্ন করামাত্র পিছন ফিরলো সে। মুখ ছোট করে হতাশ গলায় বললো,
-“আমি এতবড় মাছ কখনোই কাটিনি।”
-“মাছ কোথায় পেলে?”
-“আপনার আম্মা পাঠিয়েছে।”
চোখমুখ কুঁচকে বিরক্ত গলায় মেসবাহ বললো,
-“আম্মাও না! কেটে পাঠালেই তো পারতো! দেখি কী মাছ?”
উল্লাসী সরতেই প্রায় তিন কেজি ওজনের রুই মাছ দেখে সেদিকে এগিয়ে গেল মেসবাহ। ভ্রু কুঁচকে বললো,
-“বাড়িতে এতগুলো কাজের মানুষ থাকতে তোমার ভরসায় এই মাছ মা কী করে পাঠায়! আর কী কী পাঠিয়েছে?”
-“মাংস আর কিছু শাকসবজি। ওগুলো অনা আপা ফ্রিজে তুলে রেখেছে।”
-“অহ.. দেখি সরো। আমি চেষ্টা করে দেখি!”
-“আপনি পারবেন?”
-“দেখি চেষ্টা করে.. তুমি শুধু আমাকে ডিরেকশন দেবে কোথায় কিভাবে কাটবো।”
মেসবাহর কথামতো সরে বসে মেসবাহকে জায়গা করে দিল উল্লাসী। উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মেসবাহর মাছ কাটা দৃশ্যের দিকে।
-“আরে না.. ওইখানে না। এইযে.. এই মাথার কাছে কাটুন। হ্যাঁ.. আরেকটু নিচে। এইতো.. এবার ঠিকাছে।”
উল্লাসীর কথামতো মেসবাহ মাছের মাথা কাটতেই চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো তার। ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটিয়ে বললো,
-“ডিম আছে মাছে!”
-“তাই তো দেখছি…”
-“আস্তেধীরে বের করুন।”
-“তা করছি.. একটা কাজ করো তো।”
-“কী কাজ?”
-“গলার এপাশটা চুলকে দাও। উফ! অসহ্য লাগছে..”
মেসবাহর গলায় হাত রেখে উল্লাসী বললো,
-“এখানে?”
-“হু..”
-“দিচ্ছি.. আপনি এত ঘামেন কেনো? এটুকুতেই ঘেমে টেমে একাকার হয়ে পড়েছেন! দাঁড়ান.. মুছে দেই।”
উল্লাসী এক হাতে পরণের ওড়না তুলে মেসবাহর কপালের ঘাম মুছে দিতেই তার ঠোঁটে ফুটলো মিষ্টি হাসির ঝলক। সুখী সে.. প্রচুর সুখী। এর চেয়ে বেশি সুখী হওয়া আর কোনোভাবেই সম্ভব নয় তার পক্ষে।
ডাইনিং থেকে মেসবাহ এবং উল্লাসীকে দেখে বুকচিরে একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল মাজহারুলের। ধীর পায়ে আবারও সে ফিরে এল ঘরে। তার এবং জ্যোতির বিবাহিত জীবনটাও হয়তো এমন হতে পারতো। তবে হয়নি। আর না কখনোই হবে। বাড়ির বড় বউ হবার কারণে যখন সংসারের সকল কাজ নিজে হাতে একা সামলেছে জ্যোতি তখন সে একমুহূর্তের জন্যও এগিয়ে গিয়ে সাহায্য করেনি তাকে। না তার ছোটছোট চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। কিছু সময় ইচ্ছে করলেও বাবার কারণে করা হয়ে উঠেনি, কিছু সময় নিজের ইচ্ছে করেনি। শুধু জানপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসলেই একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাতে যেমন সম্মান দরকার ঠিক ততটাই দরকার একে অপরকে বোঝা। তার মনে অপরপক্ষকে নিয়ে চলা ক্ষোভকে খুঁজে বের করা। যা খুঁজে পেলেও একজন আত্মমর্যাদাহীন মানুষ হিসেবে তা মুছে দেয়ার ক্ষমতা তার ছিল না…
গাড়ি থেকে নেমে রাশেদ রহমানকে বিদায় জানিয়ে একটি রেস্টুরেন্টের ভেতর ঢুকলো জ্যোতি। সানগ্লাস খুলে অনুসন্ধানী চোখে চারপাশে নজর বুলাতেই দেখতে পেল মাজহারুলকে। বয়স তিনকের মতো একটি মেয়েকে নিয়ে জড়োসড়ো হয়ে বসে রয়েছে সে। এই মেয়েই কি মৌমি? তার মেয়ে?
-“কেমন আছো?”
দূর থেকে জ্যোতিকে দেখেই নিজেকে শক্ত করে নিয়েছিল মাজহারুল। তবে ধীরেধীরে জ্যোতির কাছে আসামাত্র বুকের ভেতরটা টিপটিপ করে উঠলো তার। বড্ড বদলে গেছে জ্যোতি। এই জ্যোতির সাথে কোনো অংশেই মিল নেই আগের সেই অভিমানী জ্যোতির…
-“বললে না কেমন আছো?”
-“আছি একরকম.. তুমি বসো।”
-“হ্যাঁ.. বসছি।”
মাজহারুলের মুখোমুখি বসলো জ্যোতি। হাতে থাকা ব্যাগ এবং ফোন একপাশে নামিয়ে রেখে বললো,
-“কিছু অর্ডার করেছো?”
-“হ্যাঁ.. মৌমির জন্য আইসক্রিম।”
-“তোমার জন্য কিছু করোনি?”
-“না.. আমি বাইরের খাবার খাই না।”
-“তুমি একদমই বদলাও নি.. ঠিক সেই আগের মতোই রয়ে গেছো!”
গভীর নিঃশ্বাস ফেলে মৌমির দিকে তাকালো মাজহারুল। হুট করে ঢাকায় আসার একমাত্র কারণ তার এই মেয়েটি। পরশু রাতে তার মৃত্যুর স্বপ্নটি দেখার পর কোনোভাবেই শান্তি পাচ্ছিলো না সে। নিঃশ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছিলো। দম বন্ধ বন্ধ লাগছিলো। কেনো যেনো মনে হচ্ছিলো মৃত্যুর আগে একবার হলেও মৌমিকে দেখিয়ে আনা উচিৎ তার মাকে। মা কী তা বোঝে না সে.. তবে সকলের মা আছে তার নেই তা খুব করে বুঝতে পারে। বাস্তবতা বড়ই নির্মম! তবু্ও সেই নির্মমতা দেখেই কাটিয়ে দিতে হয় বছরের পর বছর।
-“আম্মা.. ওদিকে তাকাও। তোমার আম্মু.. আম্মুকে দেখো।”
মাজহারুলের হাতের ইশারায় মৌমি তার দিকে চাইতেই বুকের ভেতরটায় হু হু করে উঠলো জ্যোতির। ঠোঁটজোড়া চেপে পাশ থেকে সানগ্লাস তুলে আবারও চোখে পড়ে নিল সে।
-“এটা আম্মু হলে ওটা কে?”
মৌমির প্রশ্নে কপাল কুঁচকে মাজহারুল বললো,
-“কোনটা?”
-“মেজবাবার বউ.. তুমি তো বলেছিলে ওই আমার আম্মু।”
-“ওটাও আম্মু। তবে এটা আসল আম্মু।”
পাশ থেকে হালকা কেশে গলা ঠিক করলো জ্যোতি। তারপর স্বাভাবিক গলায় বললো,
-“মেসবাহ বিয়ে করেছে?”
ভারী গলায় মাজহারুল বললো,
-“হ্যাঁ.. তুমি কী মৌমিকে একবার কোলে নেবে?”
-“অবশ্যই..”
মাজহারুল মৌমিকে কোলে দেয়ামাত্র তাকে বুকে চেপে ধরলো জ্যোতি। ঠোঁট চেপে খানিকটা সময় চুপচাপ বসে থাকার পর আর নিজেকে সামলাতে না পেরে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো সে। অতীতের পিছুটানকে বুকে চেপে আর পারছে না সে নিজেকে শক্ত রাখতে।
-“তুমি কাঁদছো কেনো আসল আম্মু?”
মৌমির কথায় কোনো জবাব দিল না জ্যোতি। দু’হাতের আঁজলে তার মুখ তুলে চুমুতে ভরিয়ে দিল তাকে। মৌমি নিজেও জ্যোতির বুকে গিয়ে তার ছোট্ট দুটি হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরলো তাকে। ঠোঁটে তার ভুবনভুলানো হাসি ফুটিয়ে বললো,
-“আসল আম্মু.. তুমিও কী ওই আম্মুর মত অন্য কারো ছিলে এতদিন? কেনো ছিলে? আমার কথা কি একবারও মনে পড়তো না তোমার?”
মৌমির একথারও জবাব দিল না জ্যোতি।চোখের সানগ্লাস খুলে সে অশ্রুসিক্ত নয়নে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থেমে থেমে বলতে শুরু করলো,
-“আমাকে মাফ করে দিস মা। আমাকে মাফ করে দিস। আমি জানি তোর ভেতর বুঝ এলে তুই আমাকে ঘৃণা করবি.. কিন্তু আমার কিছু করার ছিল না। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তোর মুখের দিকে তাকিয়েও আমি ওসব সহ্য করতে পারিনি।”
জ্যোতির কথা বোধগম্য হলো না মৌমির। তবে তার ছোট্ট দুই হাত দিয়ে সে মুছে দিল মায়ের চোখের পানি। তার গালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে বললো,
-“কাঁদে না আসল আম্মু। ও বাবা.. আসল আম্মুকে একটা আইসক্রিম কিনে দাও না! আসল আম্মু কাঁদছে..”
ক্রন্দনরত অবস্থায় আরও দৃঢ়ভাবে মৌমিকে নিজের বুকে আঁকড়ে ধরলো জ্যোতি। ঠিক একারণেই ওবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর দ্বিতীয়বার আর মৌমিকেও দেখতে যাবার সাহস করে উঠতে পারেনি সে। সে জানতো, সবকিছুর মায়া ছেড়ে ওবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসলেও নিজের পেটের সন্তানের মায়া কাটানো সম্ভব নয়…
-“মা, আমি তোকেও আমার সাথে আনতে চেয়েছিলামরে। কিন্তু তোর দাদু আনতে দেয়নি। আমাকে মাফ করে দিস মা। বড় হবার পর আমাকে ঘৃণা করিস না।”
(চলবে)