#নিস্তব্ধ_প্রেমাবেগ
#পর্ব_২১+২২
#লেখায়ঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ
🍁
আজ বেশ কয়েক দিন হলো জুঁই তার শ্বশুর বাড়ি এসেছে!তখন হয়ত মাথায় ছিলো না এর বাড়ির সবাই ব্যপারটা কিভাবে নিবে!কিন্তু যখন মাহমুদ ভিলায় পা রাখল তখনই রাজ্যের চিন্তা এসে জড়ো হলো!পা কাঁপছিলো ভেতরে যেতে!
কিন্তু ভেতরে যেয়ে জুঁইয়ের ধারনা পাল্টে গেলো!ঝর্ণা বেগম সানন্দে তাকে বরণ করে নিলো!পাশে ছিলো শ্রেয়া…
আজ বিকেলে জুঁই জানতে পারলো একটা বড় সত্যি! আর সেটা জিসান নিজে বলেছে…বিয়ের ১৬-১৭ দিনে আজ জুঁইয়ের সাথে ঠিকভাবে কথা বলেছে জিসান!
জিসানের ভালোবাসার মানুষটা আর কেউ না শ্রেয়াই..
সাথেও এটা জানতে পারলো শ্রেয়া জয়কে ভালোবাসে যার কারনে জয়ের সাথে বিয়েতে দ্বিমত করে নি…আর এখন তো নিজেই দেখে তারা একে অপরকে কতোটা ভালোবাসে…
সবটাই জানতে পেরে গেছে জুঁই!স্বাভাবিক ভাবে নেওয়ার চেষ্টা ও করছে!কিন্তু তবুও মনের কোথাও একটা খুঁত খুঁত রয়েছে গেছে!
🍁
শ্রেয়ার লম্বা লম্বা খোলা চুলে ধীরে ধীরে বিনুনি করার চেষ্টা করছে জয়!শ্রেয়ার কাছে তা নিছক হাস্যকর মনে হলেও বউয়ের চুল বেঁধে দেওয়ার ব্যপারটা বেশ এনজয় করছে জয়!
“ক্রমশ এ গল্পে আরো পাতা জুড়ে দিচ্ছি
দু মুঠো বিকেল যদি চাও ছুঁড়ে দিচ্ছি
আরো কিছুক্ষন যোগাযোগ ধরে রাখছি
আঙুলে আঙুল যেন ভুল করে ডাকছি
এ ছেলে মানুষী তুলে দিয়ে আঁকছি”
জয়ের কন্ঠে গান শুনে চমকে উঠলো শ্রেয়া!জয় মুচকি হাসলো!শ্রেয়ার ঠোঁটে চুমু খেয়ে চুলে মুখ ডুবালো!
জিসানের রুমের পাশের রুমটাই জয়ের!জুঁই আনমনে ভাবছিলো আর ধীর পায়ে হেঁটে আসছিলো ঘরের দিকে!গানের গলা পেয়ে থেমে যায়!বাকি দৃশ্য টা চোখ এড়ায় নি জুঁইয়ের! মাথা নিচু করে সরে আসলো জুঁই!
পুরে ঘর জুড়ে জিসানের ছবি!ঘরটা অনেকটাই এলোমেলো ছিলো একয়েকদিনে কিছুটা গুছিয়েছে জুঁই!
পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে বারান্দায় গেলো!বারান্দা থেকে বাগানটা পুরোটা দেখা যায়!বেশ মনোরম পরিবেশে বাড়িটা রয়েছে! মন খারাপ লাগতে শুরু করলো জুঁইয়ের বাবার জন্য!আকাশের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেললো সে!
আসরের আযান হতেই জুঁই ওয়াশরুমে চলে গেলো!
ওযু করে নামায আদায় করে নিলো!জায়নামাজটা ঘুছিয়ে রেখে বেতের চেয়ারে বসলো এসে!
ক্লান্ত শরীরে ঘরে ফিরলো জিসান!আজ কয়েকদিন যাবৎ অফিস জয়েন করছে সে!উপায়ন্তর তো নেই!জীবনের মোড় ঘুরে গেছে যে..!
বিছানায় গা এলিয়ে দিলো জিসান!জুঁই এক গ্লাস পানি দিতে পারবে?গলা উঁচিয়ে ডাকলো জিসান!
জুঁই জিসানের কন্ঠ পেয়ে লাফিয়ে উঠলো!
ঘরে এসে বলল কখন এলে তুমি?
এই তো মাত্র!
আমি টেরই পেলাম না!
পানি দিবে?
হ্যা দিচ্ছি! বলেই তাড়াতাড়ি করে পানি এনে দিলো জুঁই!
জিসান পানি খেয়ে গ্লাস রাখতেই জুঁই কিছুটা শাসনের সুরে বলল যাও ফ্রেশ হয়ে আসো!খেয়ে একবারে রেস্ট নিও! আজ এত লেইট হলো যে!
জিসান দায়সারা ভাবে বলল কাজ ছিলো!
জুঁই কিছু বলতে চাইলেও জিসান তাকে পাশ কাটিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো!
.
.
.
.
.
ওয়াশরুমের দরজায় বারবার জোড়ে বাড়ি পরতে থাকায় ভেজা শরীরে দরজা খুলে দিলো জিসান!
মুখে হাত দিয়ে ঢাকা অবস্থায় জিসানকে সরিয়ে বেসিংয়ে গরগর করে বমি করে দিলো জুঁই!
জিসান দ্রুত এগিয়ে গেলো।ভেজা হাতেই জুঁইয়ের মাথা চেপে ধরলো!
ফ্রেশ হয়ে বিছনায় এসে বসলো জুঁই!
জিসান কোনো রকম টাওয়াল পেঁচিয়ে রুমে এলো!মাথা চেপে ধরে বসে থাকতে দেখে জুঁইয়ের পাশে বসলো জিসান!
কি হয়েছে জুঁই?কোনো সমস্যা?
হঠাৎ গা গুলিয়ে এলো! আর…
ফুড পয়জেনিং এর জন্য হয়ত…!
একটা প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট এনে দেবে?
মান্থলি মিস হয়েছে?
মাথা নিচু করে ফেললো জুঁই!
জিসান ভ্রু কুঁচকে তাকালো জুঁইয়ের দিকে!
জুঁই!আমি তোমার হাসবেন্ড..
জুঁই কিছু বলছি…
হু মহয়েছে..
সিরিয়াসলি জুঁই!
জুঁই একদম চুপ করে রইলো!জিসান মুচকি হাসলো শুধু!জুঁই সে হাসি দেখলেও তার অর্থ বুঝে উঠতে পারলো না..!
এনে দিবো!এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই!এটা স্বাভাবিক ব্যাপার!আমাদের ফিজেক্যাল হয়েছে যেহেতু!
মুখ নুয়িয়ে নিলো জুঁই।একটা শব্দ ও করলো না!জিসান নিচে চলে গেলো!জুঁই কেঁদে ফেললো নিঃশব্দে।
🍁
সন্ধ্যার পর রহমত মিয়া কিছু ফল মিষ্টি নিয়ে। এসেই খুব উদ্বিগ্ন হয়ে শ্রেয়াকে ডাকলো সে..
শ্রেয়া খুব তাড়াহুড়ো করে নিচে নামতে নিলে হোঁচট খেলো! জিসান এসে ধরে ফেললো! এরকম একটা কান্ড ঘটলো জুঁই জয় ঝর্ণা বেগম রহমত মিয়া আমজাদ সাহেব সবার সামনে!
লজ্জায় দ্রুত সরে গেলো শ্রেয়া!জুঁই উপরে দাঁড়িয়েছিলো।সে ও ঘরে চলে গেলো!ব্যাপারটা চোখ জিসানের এড়ালো না!
জয় হেসে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিলো!
জিসান চলে গেলো উপরে!
রহমত মিয়া একটা কাগজ হাতে দিলো শ্রেয়ার!কাগজটা খুলে তাতে চোখ বুলিয়ে একদম হতবাক হয়ে গেলো শ্রেয়া….!
চলবে_
#নিস্তব্ধ_প্রেমাবেগ
#পর্ব_২২
#লেখায়ঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ
🍁
এ মেয়ের পেটের সন্তান আমার বাড়ির নয়!একে আমি কিছুতেই মেনে নিবো না!কার পাপের ফসল কে জানে!আমার ছেলেটাকে ফাঁসিয়েছে!এতিম বলে সবটা মেনে নিয়ে ছিলাম!তাই বলে বিয়ের ১ মাসের মাথায় সে দেড় মাসের প্যোয়াতি!এটা কেমন কথা!
আসুক জিসান!হয় এ বাড়িতে এ অস্বতি থাকবে নয়ত আমি…ঝাঁঝালো গলায় ঝর্ণা বেগমের কথা গুলো শুনে অঝরো চোখের পানি ফেলছে জুঁই! সিঁড়ির রেলিংয়ের কোণা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে আধঘন্টা যাবৎ! ঝর্ণা বেগম নিজের মত বলে ঘরে চলে গেলেন!জুঁইয়ের কাছ থেকে কিচ্ছু শুনতে চাইলেন না!আদিবাও জানে জিসান শ্রেয়াকে ভালোবাসতো..তাহলে এ বাচ্চা জিসানের?তাও বা কি করে হয়?সে যুক্তি বুঝে মায়ের বিপরীতে কিছু বলতে পারলো না শুধু
জিসান সকালেই টেস্ট কিট এনে দিয়েছে জুঁইকে!দুপুরবেলা যখন টেস্ট কিটে পজেটিভ দেখে কান্না করছিলো জুঁই তখনই ঝর্ণা বেগম ঘরে প্রবেশ করে!কান্না করতে দেখে সে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কান্নার কারন কি তা জানতে..
কিন্তু বিছানার এক পাশে টেস্ট কিট দেখে তার সব মায়া মুখ থেকে উবে যায়!হাতে নিয়ে তা তীক্ষ্ণ নজরে দেখে জুঁইয়ের হাত ধরে হিরহির করে টেনে নিচে নিয়ে আসে!নিচে তখন আদিবা বসা!
বাড়িতে আর কেউ নেই!
🍁
অত্যাধিক কাঠের পাকা বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে শ্রেয়া-জয়!দাদার থেকে এমন কিছুর আশা কোনো কালে স্বপ্নেও ভাবে নি শ্রেয়া!সেই পরিচিত গ্রাম-বাড়ি-ভিটে!
শুধু একটু পরিবর্তন হয়েছে..আগের টিনের ঘরগুলো আর নেই!সেখনে এখন মস্তবড় একটা দোচালা বাড়ি!
বিক্রমপুরে ঐতিহ্য এসব বাড়ি!পুরো বাড়িটাই কালো খয়েরী রঙের কাঠ আর অন্যরকম টিন দিয়ে তৈরী করা হয়!দেখতেও খুব সুন্দর! অনেকটা বাগান বাড়ির মতই!
দুচোখ বেয়ে অঝোর ধারায় পানি পরছে শ্রেয়ার!তারপাশে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে জয়!সে নিষ্পলক চোখে দেখছে তার স্ত্রীকে!কিন্তু কান্নার কারন জানতে পারছে না!আর না থামচ্ছে!
অনেক্ষন বাড়িটার দিকে তাকিয়ে থেকে ভেতরে ডুকল শ্রেয়া!তার পিছুপিছু জয়ও গেলো!ঘরের ভেতর ডুকে দেখলো সামনের রুমটা অর্থাৎ ড্রয়িং রুমটার চারপাশে থাকার ঘর।মাঝে খানে বড় ঘরটাই ড্রয়িং রুম!তাতে একসেট বেতের সোফা!একটা বেতের টেবিলের উপর টিভি!মোট তিনটে ঘর থাকার মত!সব ঘরেরই সাথেই এটাচ্ বাথরুম!প্রত্যেকটা রুমে বেতের একটা করে পোক্ত খাট!একটা করে আলনা টেবিল!একদম সামান্যতার মধ্যেও অসাধারণ বলা যায়!
একদম কারুকার্যে শোভিত পুরো বাড়িটা!জয় শ্রেয়ার সাথে পুরো বাড়িটা ঘুরে দেখলো!
তারপর একটা রুমে ডুকল!বিছানায় বসেই শব্দ করে কেঁদে দিলো শ্রেয়া!এবার জয় আর চুপ থাকতে পারলো না!শ্রেয়া কেনো কাঁদছো তুমি এভাবে?কি হয়েছে বলবে তো?
কান্নার বেগ বেড়ে গেলো শ্রেয়ার!জয় শ্রেয়ার সম্মুখে বসল!দুহাতে আলতো করে মুখটা উঁচু করে চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে কোমল কন্ঠে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে শ্রেয়া?আমায় খুলে বলো?এভাবে তোমার কান্না আমার সহ্য হচ্ছে না!প্লিজ বলো না….
আমি তো এসব চায় নি! কেনো এসব দিলো দাদা আমায়?আমার মা বাবা ভাইয়ের জীবনটায় অভাব অনটন টেনে দিয়ে আমায় কেনো এসব করে দিলো দাদা।কি করবো আমি এসব দিয়ে?যদি তারা না খেয়ে মরে যায়!যদি দুবেলা খেতে না পারে!
অবাকের উচ্চস্থানে পৌঁছে গেলো জয়! তোমার মা বাবা মানে কি বলছো তুমি?
আপনি জানেন না আমার মা বাবা আছে?
না তো!
বিয়ের সময়ও জানেন না?
শুনেছিলাম নাকি তাও মনে নেই!
আমার মা ছোট বেলায় মারা যায়!তারপর দাদা বাবার দ্বিতীয় বার বিয়ে করান!কিন্তু সৎ মা ভালো হয় নি!আমায় খুব অত্যাচার করতো!তাই দাদান আর দাদা মিলে আমাকে আপনাদের বাসায় নিয়ে যায়।তারপর তো জানেনই!আমার একটা সৎ ভাইও আছে!
ওহ!
শুধু এটুকু বলেই ঘরের বাহিরে চলে যায় জয়!সে মনে করতে পারছে না সে কি জানতো শ্রেয়ার এ অতীত নাকি কোনদিন শোনেই নি!মনে করতে পারছে না জয়!কিন্তু এ বাড়িটা ওর নামে করে দেয়ায় আর এত টাকা খরচ করায় যে শ্রেয়া বেশ কষ্ট পেয়েছে তা বুঝেছো জয়!কিন্তু মনে নানা রকম প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে! শ্রেয়ার সৎ মা ভাই বাবা কোথায়?তারা কেনো এ বাড়িতে নেই?বিয়েতে কেনো এলো না?কই আছে এখন?জয়ের মনে হচ্ছে সে জানে শ্রেয়ার সৎ মা আর বাবার ব্যাপারে!কিন্তু কবে শুনেছে ঠিক মনে করতে পারছে না!
এব জিজ্ঞেস করার উপযুক্ত সময় এখন না!তাই প্রশ্ন গুলো নিজের মনেই রেখে দিলো জয়!
.
.
.
.
.
.
.
বাড়ি থেকে দশ মিনিট হাঁটলে একটা হোটেল আছে!সেখান থেকে ভাত আর মুরগির মাংসের তরকারি কিনে আনলো জয়!দুটো দিন তাদের এখানেই থাকতে হবে!আর শ্রেয়ার এ অবস্থায় কিছুতেই রাতের রান্না করতে বলতে পারবে না জয়!আর সেও পারে না রাঁধতে!
খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরে মেইন দরজা আটকে দিলো জয়!শ্রেয়া যে ঘরে বসেছিলো সে ঘরে গেলো জয়!
মাগরিবের আযান হয়েছে অনেক্ষন!
এখনো শ্রেয়ার শুয়ে শুয়ে কাঁদছে! তবে নিঃশব্দে নিরবে!
জয় সব রান্না ঘরে রেখে আসতে গেলো!চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিজেই হেসে দিলো!সিলিন্ডার গ্যাস আছে!আর তার চারপাশে ছোট ছোট পাতিল!মাটির ঢাকনা। মাটির থালা!গ্লাস! বাড়িটাই যেন একটা কারুশিল্প!
শ্রেয়ার কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে শুয়ে পড়লো জয়!বিছানাটা একটু শক্ত হলেও বেশ ঠান্ডা লাগলো!
আলতো করে শ্রেয়াকে বুকে টেনে নিলো ধীরে ধীরে! শ্রেয়া ও জয়ের বুকে গুটিসুটি মেরে শুয়ে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগলো!
🍁
জিসান বাড়ি ফিরলো রাত দশটায়!বাড়ির পরিস্থিতি বেশ থমথমে!মা আদিবা জুঁই ছাড়া আর কেউ যে নেই তা জিসান জানে!সকালে শ্রেয়ার দাদা এসে শ্রেয়ার নামে করা বাড়ির উইল দিয়ে গেছে!আর সেখানে যেতে বলেছে আজই!আর শ্রেয়ার দাদা আর তার দাদান রাঙামাটি পর্যটন কেন্দ্রে গেছে তা অফিসের আগেই জেনেছে জিসান! লেইট করে অফিস যাওয়ায় জয় শ্রেয়া যে গ্রামে গেছ তাও জানে সে!
ঘরে ডুকে শার্ট খুলতে খুলতে জুঁইকে ঘরে খুঁজলো জিসান। পেলো না না পেয়ে ডাকলো দুবার!সাড়া না পেয়ে ওয়াশরুমে চেক করে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো! জুঁই জুঁই বলে জোড়ে জোড়ে ডাকতে লাগলো!
আদিবার ঘরের সামনে যেয়েই থেমে গেলো জিসান!বিছানায় জুঁইকে শুয়ে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি করে ঘরে ডুকল!ব্যস্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো জুঁইয়ের কি হয়েছে আদিবা?ও এখানে শুয়ে আছে কেনো?ওকে কেমন যেন অসুস্থ লাগছে..
আদিবা জুঁইয়ের সিওরে বসে ছিলো মাথায় হাত দিয়ে।জিসানকে দেখে মাথা তুললো!
জিসানের কথার কোনো প্রতিত্তুর করলো না!আদিবাকে চুপ থাকতে দেখে জু্ঁইকে ডাকতে হাত বাড়ালো জিসান!থামিয়ে দিলো আদিবা!
জিসান ভাই তুমি ভাবীকে তোমার ঘরে শুয়িয়ে দিয়ে এসো তারপর আমি সবটা বলছি!
ও এখানে শুয়েছ কেনো?কি হয়েছে বলবি তো?
যাও রেখে এসো পরে বলছি তো!
বোনের এমন থমথমে অবস্থা দেখে জিসান কিছুটা আঁচ করতে পারলো।জুঁইয়ের দিকে তাকালো!
শাড়িটা একটু এলো মেলো হয়ে আছে সেই সাথে চুলগুলো!চোখমুখ লাল হয়ে আছে!দেখেই বুঝ যাচ্ছে অনেক কেঁদেছে!ফর্সার তুলনায় একটু বেশিই ফর্সা জুঁই!একটু কাঁদলেও লাল হয়ে যায় চোখ মুখ!তবে আজ অনেক ফুলে গেছে চোখ মুখ!
জুঁইকে আলতো করে কোলে তুলে নিলো জিসান!
ঘরে এনে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে কিছুসময় ওর মুখপানে তাকিয়ে রইলো! তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো জিসান!
আদিবা কি হয়েছে এখন তো বল!
আদিবার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল!আদিবা পিছু ফিরে দেখলো জিসান দাঁড়িয়ে! ভাই ঘরে এসে বসো!
ভনিতা না করে বলবি প্লিজ…
বসো বলছি!
বিরক্তি নিয়ে বসল জিসান!
ভাই ভাবীর কি আগে কারো সাথে রিলেশনে ছিলো?আই মিন ভাবীর কারো সাথে ফিজিক্যাল হয়েছে!এটা তুমি জানতে বিয়ের আগে?
চলবে_