#নিস্তব্ধ_প্রেমাবেগ
#পর্ব_২৭/২৮
#লেখায়ঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ
🍁
ভাতে হাত দিতেই উপর থেকে একটা চিৎকারের শব্দ ভেসে এলো!সবাই থমকে গেলো কিছু সময়ের জন্য! জয় চেয়ার ফেলে ভাত হাতেই দৌড় দিলো উপরের দিকে!সবাই একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে খাবার রেখে উঠে গেলো!
দরজায় দাঁড়াতেই থমকে গেলো জয়!স্তব্ধ নির্বাক হয়ে গেলো!ফ্লোরে পরে আছে শ্রেয়া!রক্তে পুরো ফ্লোর ভেসে গেছে!
জয়ের কিছু সেকেন্ড সময় লাগলো স্বাভাবিক হতে!
মুখে কোনো কথাই বলতে পারলো না! দ্রুত কোলে তুলে নিলো শ্রেয়াকে সে অবস্থাতেই!
ততক্ষণে সবাই শ্রেয়া জয়ের দরজার সামনে চলে এসেছে!
ভীড় ঠেলে শ্রেয়াকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো জয়!কিছুটা চেচিয়ে বলল রোদ গাড়িটা বের কর!রোদ হ্যা হ্যা বলেই মাথা থেকে পাগরীটা খুলে আদিবার হাতে দিলো।দৌড়ে নিচে নেমে গাড়ি বের করলো!
ঝর্ণা বেগম কান্না জুড়ে দিয়েছে চিৎকার করে! আদিবা কিছুটা শান্ত করার বৃথা চেষ্টা করছে!
জুঁই জিসানের হাত চেপে ধরে আছে!জিসান নির্ব হতবিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেখানেই!
আদিবা এসে বলল ভাই দাদাভাইয়ের সাথে যা!জিসানের যেন হুঁশ ই নেই!বার কয়েক জুঁইয়ের ধাক্কায় সে হ্যা হ্যা বলে উত্তর দিলো!আদিবা আবারও বলল ভাই দাদাভাইয়ের সাথে যা!
আকাশ আহমেদ গিয়ে রোদকে বলল রোদ তুমি ওদের সাথে থাকো!আমি যাচ্ছি!আকাশ সাহেব গাড়িতে ড্রাইভিং সীটে বসল!
জিসান বসলো তার পাশে!পেছনের সীটে শ্রেয়াকে কোলে নিয়ে বসে আছে জয়!শ্রেয়ার কোনো জ্ঞান নেই!জয় জড় পদার্থের ন্যায় চুপ করে আছে!তার গলা দিয়ে কোনো আওয়াজই আসছে না!জিসান বারবার শ্রেয়ার দিকে তাকাচ্ছে! অর্ধেক পথ যাওয়ার পর জিসান শুধু একটা কথাই বলল ভাই সব ঠিক হয়ে যাবে কাঁদিস না!ভাবী তোর বুকেই ফিরবে দেখিস!তুই ভেঙে পড়লে কি করে হবে?
জিসান এটুকু বলেই নিজের কান্না আটকাতে চেষ্টা করলো!সব যেন তার গলায় এসে আটকে যাচ্ছে!
কিছুদূর ড্রাইভ করতেই কল এলো আকাশ মাহমুদের ফোনে!পরপর তিনবার বাজার পর তিনি ফোনটা তুললেন!
বিরক্তি মাখা কন্ঠে হ্যালো বলে ফোনটা কানে ধরলেন তিনি!
কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পরেই তার মুখে ভয় এসে ছেপে গেলো!ব্রেক কষলেন তিনি!এক্সিডেন্ট হতে হতে বেঁচে গেলো সবাই!জিসান কিছুটা আতংকিত হয়ে বললো বাবা হয়েছেটা কি!
আকাশ মাহমুদের চোখগুলো উপড়ে পড়া অবস্থা হয়ে গেলো!সাথে বিভৎস লাল ও!তিনি গাড়ির দরজা খুলতে খুলতে বললেন জিসান তুমি ড্রাইভ করে হসপিটালে যাও!তোমার দাদান একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে!আমায় যেতে হবে বলেই তিনি বেরিয়ে গেলেন!
জিসান সময় নষ্ট না করে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ল!
🍁
হন্তদন্ত হয়ে দাদীর কেবিনে ঢোকে রোদ!সাদা কাপড়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় তাকে দেখে স্তম্ভিত হয় যায় সে!তার পিছু পিছু রোদের মা বাবা আদিবা মামী আত্নীয় স্বজন সবাই কেবিনে ডুকে!মাকে দেখে রোদের বাবার চোখ স্থীর হয়ে যায়!মহিলা সবাই মুখে আঁচল গুঁজে বিলাপ করে কাঁদছেন!
কিছুসময়পরই নার্স এসে তাড়া দিলেন কান্নাকাটি না করার জন্য!আশে পাশের কেবিনের পেসেন্টদের ডিস্টার্ব হচ্ছে!
রোদ আদিবার দিকে তাকালো!আদিবা ও কাঁদছে! কাজল লেপ্টে একাকার অবস্থা!
রোদ কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো সব ফর্মালিটিস পূরণ করে লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে হবে!একেক কদম হাঁটছে আর ওর মাথায় ঘুরছে দাদীর বলা কথাগুলো!কি সুন্দর হেঁসে হেঁসে কথা বলছিলো ঘন্টাখানিক আগে!বলছিলো বউ যেন পরহেজগার হয়!ওরকম ন্যাকা টাইপের বউ বিয়ে করে ঘরে তুলিশ না যেন দাদুভাই!রোদ হেসে পা ছুঁয়ে সালাম করে বলেছিলো একদম তোমার মনের মত নাত বউ হবে দাদী!বাচ্চা মেয়ের মত একদম!
তিনিও খিলখিল করে হেসে বলেছিলো আজ তোদের বাসর করতে দিবো না রাতবর গল্প করে তাকে ব্যস্ত রাখবো!বুঝবি ঠ্যালা!
রোদের মা বাবা আদিবা ঝর্ণা বেগম সবাই এক গাড়িতে করে হসপিটালের উদ্দেশ্যে বেরুতে চেয়েছে জয়দের গাড়ি বেরুবার পর পরই!দরজা অব্দি আসতেই ফোন এলো রোদের ফোনে!তারপরই…..
🍁
রোড এক্সিডেন্ট করেছেন আমজাদ সাহেব আর তার প্রাণ প্রিয় বন্ধু রহমত আলী!
আদিবার বিয়ের কথা শুনেই রওনা হয়েছিলেন তারা!মাঝে পথে বাস এক্সিডেন্ট করে!নিকটবর্তী হসপিটালে ভর্তি করানো হয় সবাইকে!তাদের এক পরিচিতা মহিলাই ফোন করে এ দুর্ঘটনার কথা বলেছিলো!
সেখানেই এসেছেন আকাশ মাহমুদ!ছন্নছাড়া অবস্থা তার!চুল উসকোখুসকো! হাতে পায়ে ময়লা কিছুটা!পুরো হসপিটাল জুড়ে স্বজনদের আহাজারি! বাসের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই নিহত হয়েছেন!আর ্যারা আহত তাদের অবস্থা ও করুন!
এ কেবিন ও কেবিন খুঁজে বাবার কেবিন পেলে আকাশ মাহমুদ! পুরো চাদর বেড রক্তে মাখামাখি! অনেক আহত মানুষও রক্তাক্ত অবস্থায় এদিক সেদিক ছুটোছুটি করছে কেউ বা ফ্লোরে বসে আছে!সরকারি হাসপাতাল কি না!তাই…
আকাশ মাহমুদ বাবার শিওরে যেয়ে বসলেন!একজন কম বয়সী নার্স এসে বললেন আংকেল এ কেবিনের সব পেসেন্ট মৃত!আর ওনারাও!
কথাটা যেন তার কানে ঝনঝন শব্দে বেজে উঠলো! মাথা ঘুরে গেলো তার!চোখ জোড়া স্থির হয়ে এলো!
🍁
বারবার সেন্স হারাচ্ছেন ঝর্ণা বেগম!জুঁই তাকে সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে! তার বিলাপের সাথে আর্তনাদ করে কান্না জানান দিচ্ছে কতগুলো মানুষ আজ পৃথিবীর মায়াত্যাগ করে পরপারে চলে গেছেন!এ বাড়ির প্রত্যেকটা দরজা জানলা আসবাব পত্র যেন চিৎকার করে শোনাচ্ছে মৃত্যুর সংবাদ!
চলবে_
#নিস্তব্ধ_প্রেমাবেগ
#পর্ব_২৮
#লেখাঃস্বর্ণালি_আক্তার_শ্রাবণ
🍁
চুলোয় ভাত বসিয়ে শাড়ির আঁচলে মুখ মুছে ছোট্ট বারান্দায় গিয়ে বসল শ্রেয়া!আর কতদিন ঘরের চালে যাবে তা বুঝতে পারছে না!
নয়মাস মাস পার হতে চলল.. এসময় আর ধান ভাঙা সম্ভব না!যে করেই হোক একটা চাকরির খুব প্রয়োজন!সংসারের কাজের চাপে অর্নাসটা তো কমপ্লিট করা হয় নি।তাই চাকরির আবেদন করারটা খুব সহজ নয়!তারপর প্রায় শেষ সময়..
পেটে হাত বুলিয়ে বাহিরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে উঠে দাঁড়ালো রান্না ঘরে যাওয়ার জন্য!
🍁
আজ সাত মাস হলো মাহমুদ ভিলা ছেড়ে নিজের গ্রামের ছোট্ট কাঠের বাড়িটায় এসে উঠেছে শ্রেয়া!
তারপিছনে একটা লম্বা গল্প জুড়ে আছে…..
যেদিন মাহমুদ বাড়িতে দুর্যোগ নেমে আসে!শ্রেয়ার অনাগত সন্তানের সাথে সাথে অনেকগুলো মানুষ দুনিয়া ছেড়ে চলে যায়!তার ঠিক সাতদিনের মাথায় প্যারালাইজড হয়ে যায় আকাশ মাহমুদ!শ্রেয়া পুরো পাগলের মত দিশাহারা হয়ে উঠে বাচ্চা হারিয়ে!তার সাথে এতগুলো মানুষ…
পরিবারে যেন একটা আঁধার নেমে আসে! সে সংকা কাটাতে প্রায় বছর খানিক সময় লাগে মাহমুদ বাড়িতে!
দ্বিতীয় বারের মত কনসিভ করে শ্রেয়া!আগের থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়!যার সবটাই জয়ের জন্য!
জুঁই-জিসানের একটা ফুটফুটে ছেলে বাবু হয়!শ্রেয়া-ই বাবুর নাম রাখে জিহাদ!
বেশ ভালোই কাটছিলো কিছুদিন!কিন্তু হঠাৎ শ্রেয়ার চারমাসের বাবুটা পড়ে যায়!শ্রেয়ার অবস্থা হয় করুন!তার দিন পনেরো না যেতেই আকাশ মাহমুদ স্টোক করেন!
এটাই যেন ছিলো শ্রেয়ার জীবন শেষ হওয়ার একমাত্র কারন!ঝর্ণা মাহমুদ ভেঙে পড়েন!তিনি দোষারোপ করেন শ্রেয়াকে!তার ধারনা শ্রেয়া অলক্ষী অপয়া!ও যেদিন থেকে এ বাড়িতে পা রেখেছে সেদিন থেকে কিচ্ছু ভালো হচ্ছে না!এতগুলো মানুষের মৃত্যুর জন্য শ্রেয়া দায়ী!তার অনাগত সন্তান চলে গিয়ে সাথে সবাইকে পরপারে নিয়ে গেছে!তিনি চাননা শ্রেয়া এ বাড়িতে থাকুক!
জয় তখন সর্বোত্তম সাপোর্ট করেছে শ্রেয়াকে।শ্রেয়া সব ভুলে নতুন করে সংসারের হাল ধরতে চেষ্টা করছে!সবাইকে একটু ভালো রাখার চেষ্টা করতে শুরু করে!
জয় তার বাবার মৃত্যুতে নিজেও ভেঙে পড়ে।কিন্তু মায়ের ধারনা বদলাতে শ্রেয়ার অনিচ্ছা সত্বেও দৈহিক সম্পর্কে জড়ায় শ্রেয়ার সাথে!শ্রেয়া চায় নি সে আর মা হোক!সে আবার কনসিভ করুক!কিন্তু জয় চেয়েছে!সে চায় সে বাবা হোক!
তৃতীয়বারের মতো কনসিভ করে শ্রেয়া!ব্যাপারটা বেশি অবাক করার মত ছিলো!কারন ডক্টর আগের বার বলেছিলেন শ্রেয়া আবার মা হতে বেশ সময় লাগতে পারে!আবার না ও হতে পারে!বেশ ইনফেকশন হয়ে গেছিলো জরায়ু ঘাত্রে!তাই ব্যাপারটা খুব রিস্কি…
জয় শ্রেয়া ছাড়া আর কেউই জানতো না!কিন্তু কথায় আছে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়! এক সন্ধ্যায় শুটকি মাছের গন্ধে সবার সামনেই হরহর করে বমি করে দিলো শ্রেয়া!ঝর্ণা বেগম কিছুটা সন্দেহের দৃষ্টিতেই তাকিয়েছিলেন সেদিন শ্রেয়ার দিকে!
জয় ব্যাপারটা সামলে নিলেও তিন চারদিন পর জিহাদের সাথে দুষ্টুমি করতে গিয়ে অসাবধানতা বশত তলাপেটে কিছুটা আঘাত পায় শ্রেয়া!চাপা আর্তনাদ করে উঠে!পুরোনো ভয় চেপে বসে শ্রেয়ার মনে!দোয়া দুরুদ পড়তে পড়তে ফ্লোরেই বসে পড়ে! একসময় সেন্স হারায়!জুঁই ঝর্ণা বেগমের মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছিলো!জয় অফিসে!জিসান টিভি দেখছিলো!পিচ্চি বাবু জিহাদ তখন বড় মাকে কয়েকবার ডাকে!সাড়া না পেয়ে গুটিগুটি পায়ে নিজেদের ঘরে যায়!মা বাবা কাউকে না পেয়ে
আস্তে আস্তে বেরিয়ে সিঁড়ি ধরে নিচে নামতে চেষ্টা করে!সোফায় বসে থাকা জিসানের চোখ পড়ে জিহাদের দিকে!দ্রুত সিঁড়ি ধরে উঠে বাবুকে কোলে তুলে নেয়!তেমন একটা কথা বলতে শিখে নাই জিহাদ।আধো বুলিতে বোঝায় তার বড় মার ঘরে যেতে..
জিসান ছেলের কথায় পাত্তা না দিয়ে নিচে নামতে চাইলে বাবার কোলে থেকেই কান্না জুড়ে দেয় জিহাদ!
তারপর কান্না থামাতে শ্রেয়ার ঘরের দিকে নিয়ে যায় জিসান!দরজায় দাঁড়িয়ে শ্রেয়াকে ওভাবে পড়ে থাকতে দেখেই জিহাদ কে কোল থেকে নামিয়ে শ্রেয়াকে ডাকতে থাকে জিসান!কোলে তুলে বিছানায় শুয়িয়ে দিয়ে আগে ডক্টরকে কল করে তারপর জয়কে কল করে!তারপর মা বউকে খুব জোড়ে ডাকতে থাকে!
জয় ডক্টর প্রায় একসময়েই চলে আসে।শ্রেয়াকে চেকআপ করে নতুন সুখবর টা দেয়! এক চাপা আতংক ছিলো জয়ের ভেতর! ডক্টরের কথা শুনে কেঁদেই দেয় জয়!সুখবরটা সবার জন্য সুখবর ছিলো না!ঝর্ণা বেগম আঁচলে মুখ গুঁজে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন!
নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে কাঁদতে থাকেন!
সেদিন পর কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয় শ্রেয়া মাহমুদ ভিলায়!আপ্রাণ চেষ্টা করে শাশুড়ির মন জয় করে থেকেযেতে!কিন্তু ঝর্ণা বেগমের ধারণা এবারও কাউকে হারাবে সে!এবার তার ছেলেদের কপালে খারাপ কিছু আছে!
তিনি খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন!তবুও জয় খুব চেষ্টা করে মাকে বোঝাতে!কিন্তু তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল!একসময় বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন ঝর্ণা বেগম!
অগত্যা গ্রামের বাড়িতে চলে আসতেই হয় শ্রেয়াকে!
বাড়ি থেকে আসারপর প্রায় চারমাস অব্ধি জয় এসে সময় দিতো থাকতো খুব যত্ন করতো শ্রেয়ার!কিন্তু কয়েকটা মাস ধরে একবারেই আসে না!আর না কোনো যোগাযোগ! হয়ত ওর শাশুড়ী যেনে গেছে!তাই আসতে দেন না!
জয়ের উপর কোনো অভিমান অভিযোগ নেই শ্রেয়ার!সে-ই এখন সবটা ছেড়ে দিতে চায়!সংসার-স্বামী!শুধু ভাবতে চায় তার অনাগত সন্তানের কথা!তাই সে-ও আর কোনো রকম চেষ্টা করে না জয়ের সাথে যোগাযোগ করতে!
আগে জুঁই জিসান আদিবা রোদ ও আসতো এখন তারা ও আর আসে না!
🍁
চুলা থেকে ভাত নামিয়ে আলু -ডাল সিদ্ধ করে ডিম সিদ্ধ করে!
আজ খুব ভর্তা খেতে ইচ্ছে করছ তার!পাটায় বেটে ভর্তা খাওয়ার মত অবস্থাতে নেই সে!একা একা বসতেই কষ্ট হয়!
তাই আলু ভর্তা ডিম ভর্তা ডাল ভর্তা করে একে একে সব ঘুছিয়ে রেখে গোসলে যায়!
গোসল সেরে বেরুতেই নিচ থেকে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ কানে আসে!
খুব সাবধানে নিচে নামে!ওড়ানাটা দিয়ে মাথা শরীর ভালো করে ঢেকে দরজা খুলে দেয়!
দরজা খুলতেই পায়ের তলা কাঁপছে শ্রেয়ার!দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হচ্ছে যেন…
চলবে_