#নীলকণ্ঠা
৩১|
নিস্তব্ধ, নিশ্চল রাতের আধারে জঙ্গলে যেন ডাকাত পরেছে। হৈ হৈ করে এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ। তিন চাকার ভ্যানে ঠাঁই হয়ে পাঁচজন করে। সবার হাতেই হয় হারিকেন নয় টর্চ। জঙ্গলের সরু রাস্তা ধরে শাঁই শাঁই শব্দে এগিয়ে চলছে তিন তিনটে ভ্যান। হুতুম পেঁচারা ডালে বসে আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। গাছের পাতাদের তন্দ্রা কেটে গেল। চোখ মুখে ফুটে উঠলো একঝাক বিরক্তি। ভ্যান থামলো মইনুর শেখের বাড়ির উঠানে। বাড়ির সদর দরজার উপর শুভ্র বাতি জ্বলছে। মইনুর শেখ রাতের খাবার খেয়ে ঘরে এসেছেন মাত্র। খাবার পরের ওষুধ আছে তিনটা। ওষুধের বাক্স হাতে নিতেই বাড়ির বাহিরে একাধিক মানুষের কন্ঠস্বরে ভ্রু কুচকালেন। দেয়াল ঘড়িতে বাজে তখন নয়টা চার। হাতের ওষুধের বাক্স বিছানায় রেখে জানালা দিয়ে উকি দিলেন। তার বাড়ির উঠানে মানুষের সমাগম। পনেরো থেকে বিশজন হবে। মইনুর শেখ চিন্তায় পরলেন। এতজন মানুষ এই রাতে তার বাড়িতে কি করছে। তিনি ফের চাইলেন জনসমাগমে। ভীড় ঠেলে ফায়াজ বেরিয়ে এলো। ফায়াজকে দেখেই মইনুর শেখের কুচকানো ভ্রু সোজা হয়ে গেল। তারমানে ফায়াজই এদেরকে এখানে নিয়ে এসেছে।
ফায়াজের বাড়তি সাহস কমাতে হবে। ঘর থেকে বেরিয়ে পরলেন মইনুর শেখ। সদর দরজার কাছে যাওয়ার আগেই বাহির থেকে ডাক পরলো তার। আতর আলি বসার ঘরেই ছিল। আমেনা খাবারটেবিল পরিষ্কার করছিল। বাহিরে শোরগোলের আওয়াজ তারাও শুনেছিল কিন্তু কারন উদ্ধার করতে পারে নি। মইনুর শেখকে ক্ষীপ্রগতিতে এগিয়ে আসতে দেখেই স্থির হয়ে দাঁড়াল। এর মধ্যে বাহির থেকে মইনুর শেখের নামে ডাক পরেছে কয়েকবার। মইনুর শেখ সদরদরজা খুলে দাঁড়ালেন। বাহিরে তাকাতেই সর্বপ্রথম ফায়াজের সাথে দৃষ্টি বিনিময় হয়ে গেল। আক্রোশে ফেটে পারছেন মইনুর শেখ।
অশ্রাব্য কিছু গালি দিতে যেয়ে আশেপাশে তাকিয়ে নিজেকে দমিয়ে নিলেন। স্বগম্ভীর কন্ঠে ফায়াজকে প্রশ্ন করলেন,
এসব কি? আবার এখানে এসেছো কেন?
নিজের কথা রাখতে এসেছি। মইনুর শেখের চোখের দিকে তাকিয়ে ফায়াজের সহজ স্বীকারক্তি। মইনুর শেখ সরু চোখে তাকালেন। জিজ্ঞাস করলেন,
কিসের কথা?
পরীকে এখান থেকে নিয়ে যাবো বলেছিলাম।
এই…
মইনুর শান্ত হও।
মইনুর শেখ উচ্চকন্ঠে ফায়াজকে কিছু বলতে যাবে এর আগেই কারো কথায় মইনুর শেখ চুপ হয়ে গেলেন। তাকিতে দেখলেন কালাম মীর। কালাম মীরের সাথে মইনুর শেখের দা কুমড়ার সম্পর্ক। মইনুর শেখ দু চোক্ষে দেখতে পারেন না তাকে। মইনুর শেখের মতে কালাম মীর মানুষের সামনে এক পেছনে আর এক। মইনুর শেখ কালাম মীরের মুখে ঝামটা মেরে চোখ সরিয়ে নিলেন। কালাম মীর ততক্ষণে এগিয়ে ফায়াজের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শিতল কন্ঠে মইনুর শেখকে বললেন,
তোমার সাথে কথা আছে। বসবো।
মইনুর শেখ নিজের গাম্ভীর্যপূর্ণ দৃষ্টিফেলে জিজ্ঞাস করলেন,
আমার জানামতে আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই।
কালাম মীর মনে মনে হাসলেন। মইনুর শেখের গাম্ভীর্যতা তার হাসির কারন। তিনি বললেন,
কথা তোমার সাথে আছে।
কি কথা? মইনুর শেখ দ্রুত প্রশ্ন করলেন।
বাহিরের দাঁড় করিয়ে রাখবে আমাদের?
মইনুর শেখের শরীর জ্বলছে। কালাম মীরের সুমিষ্ট কথাগুলো তার সহ্য হচ্ছে না। তিনি রুষ্ট কন্ঠে বললেন,
কথা আপনাদের আমার না। দ্রুত বলে বাড়ি ছাড়ুন আমার। ঘরে এনে বসানোর মতো সময় বা ইচ্ছা কোনটাই আমার নেই।
কালাম মীর ক্ষীণ শব্দ তুলে গলা পরিষ্কার করলেন। একটু নড়েচড়ে দাঁড়িয়ে বললেন, কথাটা তোমার মেয়ের সম্পর্কে।
মইনুর শেখ এটাই ধারনা করেছিলেন। ফায়াজ যেহেতু তাদের নিয়ে এসেছে এর মানে পরী সম্পর্কিত কোন ঘটনা হবে। তার ধারনা সত্যপ্রমাণিত হলো। মইনুর শেখ প্রশ্ন করলেন,
আমার মেয়ের সম্পর্কে কি কথা?
আমরা শুনেছি আপনি আপনার মেয়ের উপর অত্মাচার করেন। কালাম মীরের পাশ থেকে একজন বয়োজ্যেষ্ঠ লোক জবাব দিলেন। তার নাম মোরশেদ সরদার। মইনুর শেখ তাকালেন তার দিকে। তাচ্ছিল্য হেসে বললেন,
কয়েকমাস আগে শুনেছিলাম আপনার বড় মেয়ে কোন ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। মেয়ের খবর পেয়েছেন?
মইনুর শেখের অপ্রত্যাশিত কথায় মোরশেদ সরদার হতভম্ব। তিনি আশা করেন নি ভরা মজলিশে তার মেয়ের প্রসঙ্গ তুলবেন মইনুর শেখ। মোরশেদ সরদারের তিন মেয়ের পরে এক ছেলে। বড় মেয়ে বিয়ের দিন এক ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছে তার খোঁজ পাওয়া যায় নি আজ পর্যন্ত। নিজের মেয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই মোরশেদ সরদার লজ্জায় মিয়িয়ে গেলেন। মইনুর শেখ হাক দিয়ে বললেন,
কি ব্যপার চুপ করে আছেন যে? মেয়ের খোঁজ খবর পান নি?
ভীড়ে মধ্যে থেকে একজন যুবক বলে উঠলেন,
সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার। আপনি জানতে চাচ্ছেন কেন?
তার মেয়ের প্রসঙ্গ যদি ব্যক্তিগত হয়ে থাকে আমার মেয়ের প্রসঙ্গ ভরাট গ্রামে আলোচনার জন্য ব্যক্তিসত্তাহীন নয় অবশ্যই। আমার মেয়েকে আমি খাইয়াই, আমি পড়াই। অত্মাচার যদি আমি করে থাকি এতে আপনাদের সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে?
মইনুর শেখের অর্ধদীর্ঘ বচনের পর সবাই চুপ। সবার ভাবুক দৃষ্টি হলেও ফায়াজের দৃষ্টি মইনুর শেখের দিকে। সবাই পরবর্তী যুক্তি খুঁজে বেড়াচ্ছে। মইনুর শেখ বিজয়ী মনোভাব নিয়ে বুকে হাত বেধে দাঁড়ালেন। ঠোঁটে ধুরন্ধর তীক্ষ্ম হাসি। তবে মইনুর শেখের হাসি বেশিক্ষন স্থায়ী হলো না ফায়াজের কথা শুনে। ফায়াজ বলল,
একটা মেয়েটা জোর করে আটকে রেখে মানসিক এবং শারীরিক অত্মাচার তাও সে নিজের না অন্যের মেয়ে। সেটা কি ঠিক?
পরী আমার মেয়ে। মইনুর শেখের ভরাট কন্ঠ।
পরীর বয়স বাইশ থেকে তেইশ আর পরীর মা অর্থাৎ সোফিয়া খানমের সাথে আপনার বিয়ের বয়স পরীর বয়সের অর্ধেক। হিসাব তো মিলছে না মইনুর সাহেব।
মইনুর শেখ কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেলেন। ঢোক গিলে গলা ভিজিয়ে বললেন,
পরী আমারই মেয়ে। এর থেকে বেশি আর কিছু না।
এবার ফায়াজেত হাসির পালা। সে মইনুর শেখের দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে হাসছে। ফায়াজের হাসি মইনুর শেখের পরাজয়ের নিশানা। ফায়াজ হাসি রেখেই বলল,
আপনি যে পরীর বাবা না। এটা পরীও জানে। ডাকুন ওকে জিজ্ঞাস করুন।
মইনুর শেখ ফায়াজকে ধমক দিয়ে উঠলেন।
এসব বাজে বকার জন্য রাতবিরাতে বাড়ির সামনে তামাশা করছো? এটা ভদ্রলোকের বাড়ি। এখনই এদের নিয়ে বেড়িয়ে যাও।
পরীকে না নিয়ে কোথাও যাব না। ফায়াজের দৃঢ় কন্ঠ।
মশকরা করছো আমার সাথে? নাকি বোকা মনে হয় আমাকে। পরীকে তোমার সাথে যেতে দিব ভাবলে কিভাবে?আর আমার মেয়ের মানসিক অসুস্থতাকে ব্যবহার করছো? এরপর বাকিদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
আপনারা তাহলে ন্যায় বিচার করবেন না তাই তো? ফায়াজকে দেখিয়ে বলল,
এই ছেলের পক্ষ নিয়ে এসেছেন। আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য? চেনা জানা নেই যে কারো সাথেই একটা মেয়েকে কি করে পাঠাতে চান আপনারা? আপনাদের মেয়ে হলে পারতেন? আপনারা মানু…
পরী যদি আমার সাথে যেতে চায় তবেই পরীকে আমার সাথে নিয়ে যাব নয়ত না।
মইনুর শেখের অপূর্ণ কথার মাঝেই ফায়াজের বলে উঠলো। মইনুর শেখ ফায়াজের কথার ধারায় বললেন,
সে তো তোমার সাথে যেতে চাইবেই। কারণ তুমি সব বন্দোবস্ত করেই এখানে এসেছো। দেখ আমি এত কথা শুনতে চাই না। আমার মেয়ে কোথাও যাবে না। আমি যেতে দিব না।
পারলে আটকে দেখান আমায়। বলে ফায়াজ এগিয়ে যেতেই মইনুর শেখ তেড়ে এলো ফায়াজের দিকে। ফায়াজের বুকে ধাক্কা দেয়ার আগেই গ্রামের মানুষ ঘিড়ে ধরল মইনুর শেখকে। মইনুর শেখ তর্জনী তুলে শাসিয়ে বললেন,
ভালো হবে না কিন্তু। সবাইকে দেখে ছাড়বো আমি।
মইনুর শেখের শাসানি সম্পূর্ণ এড়িয়ে ফায়াজ কয়েক কদমে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করলো।
এই এই আপনি ভেতরে কোথায় যাচ্ছে? রেনুকা দ্রুত ফায়াজকে থামানোর চেষ্টা করে বলল কিন্তু এতে ফায়াজকে থামানো গেল না। সে একপ্রকার দৌড়ে পরীর ঘরের দিকে গেল। দরজায় দাঁড়াতেই দেখলো পরীর ঘর খালি। সেখানে সে নেই। ফায়াজ আবার ডৌড়ে প্রায় বাহিরে এলো। তার বুক দুরুদুরু কাঁপছে। আমেনাকে জিজ্ঞাস করল,
পরী কোথায়?
আমেনা কিছু বললে এর আগেই রেনুকা আমেনাকে ধমক দিয়ে বলল,
এই তুমি এখানে কি করো? যাও ভেতরে যাও।
ফায়াজ ভ্রু কুঁচকে তীক্ষ্ম চোখে তাকালো রেনুকার দিকে। প্রথম থেকে মেয়েটা তার কাজে বাধা দিয়ে আসছে। সময় সুযোগ আসুক তাকেও দেখিয়ে দিবে ফায়াজ কি জিনিস। আমেনা মাথা নামিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমেনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রেনুকা দাঁতে দাতঁ পিষে বলল,
কি বললাম কানে যায় কি? ভেতরে যাও।
আমেনার চোখে জল চলে এলো। রেনুকার ধমকে নয় বরং পরীর কষ্ট মনে করে। আমেনা শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে ফায়াজকে বলল,
সাহেব, পরী মায়েরে এরা আবার আটকায় রাখছে আগের ঘরে। পরীমায়ে অনেক কানছে তাও ছাড়ে নাই। হেয় কানছে আর আপনারে ডাকছে। পরী মায়েরে এক জাহান্নাম থেকে নিয়া যান সাহেব।
আমানা খালা। আমেনার কথা শেষমাত্র রেনুকা গর্জে উঠল।
ফায়াজ দাড়ালো না। পরীর আগের বদ্ধ ঘরে যেয়ে দরজাখুলে মৃদু স্বরে পরীকে ডাকলো। ঘরের ভেতর অন্ধকারাবৃত। ফায়াজ দরজা ধরে ভেতরে উকি দিয়ে আবার মৃদু স্বরে পরীকে ডাকলো।
পরী, পরী শুনছো? তোমাকে নিয়ে যেতে এসেছি। পরী?
ডাকার পর কিছু সেকেন্ড চলে গেল। নিরব, নিস্তদ্ধ ঘরের ভেতর থেকে হুট করে পরী দৌড়ে এসে ফায়াজকে ঝাপটে ধরলো। এত দ্রুত সবকিছু হলো যে অসাবধানতাবসত ফায়াজ পরীকে নিয়ে দুকদম পিছিয়ে গেল। পরী ফায়াজকে এমনভাবে ধরে আছে যেন ছেড়ে দিলেই উড়ে যাবে। ফায়াজ পরীর মাথায় হাত রাখলো। কোমল কন্ঠে বলল,
শান্ত হও পরী। আমি আছি।
পরী কতক্ষন যেন ফায়াজকে একই ভাবে ঝাপটে ধরে রাখলো। এরপর যখন বুঝলো ফায়াজ যাবে না তখন কিছুটা শান্ত হলো। ফায়াজ পরীকে সামনে এনে মুখের উপর থেকে চুলগুলো সরিয়ে দিল। কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে এখনও পরীর চোখে জল। ফায়াজ সযত্নে পরীর চোখের জল মুছে দিল। দুহাতে পরী মাথা আগলে বলল,
ভালো মেয়েরা কাঁদে না। পরী তো গুড গার্ল তাই না? আর কাঁদবে না পরী।
এরপর মনে মনে বলল, আর কাঁদার কোন সুযোগ দিব না তোমায়। আই প্রমিজ।
ফায়াজ পরীর জামা ওড়না ঠিক করে চুলগুলো পেছনে ঠেলে দাঁড়াতেই পরী ফায়াজের বাহু দুহাতে পেঁচিয়ে ধরলো। ফায়াজ হাসলো। পরীকে পাশে এনে কাঁধ জরিয়ে ধরে বলল, চলো।
_______
বাহিরে কোলাহল। মইনুর শেখ সবার সাথে তর্ক করছেন। এটা কি মগের মুল্লুর? যে কেউ এসে পরীকে নিয়ে যেতে চাইবে আর সে দিয়ে দিবে। মইনুর শেখ কারো যুক্তি শুনতে নারাজ। তার এক কথা পরী এ বাড়ি থেকে এক পা নড়বে না। ফায়াজ পরী নিয়ে বাড়ির বাহিরে বেরিয়ে এলেই মইনুর শেখ পরীর কব্জি চেপে নিজের কাছে টেনে নিলেন। উঁচু গলায় রেনুকাকে ফোন নিয়ে আসতে বলে সবার উদ্দেশ্যে রোষপূর্ন কন্ঠে বললেন,
অনেক হয়েছে তামাশা আর না। আমি এখনই পুলিশ কমপ্লেইন করবো দেখে ছাড়বো সবাইকে।
ওদিকে মইনুর শেখের মুঠো থেকে পরী নিজের হাত ছাড়ানোর জন্য নড়াচড়া করছে। মইনুর শেখ বিরক্ত হয়ে পরীকে ধমক দিলেন।
চুপ। একদম কোন নড়াচড়া না।
মইনুর শেখের ভারী ধমকে পরী বিড়াল ছানার মতো মিয়িয়ে গেল। ঠোঁট উল্টে চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো ফায়াজের দিকে। ফায়াজ কালাম মীরকে যেন কি বলল। মইনুর শেখ সেদিকে অগ্রাহ্য করে রেনুকাকে উঁচু গলায় ডাকলেন। রেনুকা ফোন হাতে বাহিরে আসতে নিলেই কয়েকজন রেনুকাকে ভেতরে ঠেলে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দিল। মইনুর শেখ চেঁচিয়ে উঠলেন,
এই দরজা আটকেছো কেন? দরজা খোল।
তারা মইনুর শেখের কথা শুনলো না। মইনুর শেখ রাগে ফেটে পরছেন। মাথায় যন্ত্রণা দিচ্ছে। তিনি দরজার দিকে এগিয়ে যেতেই পরী তার হাত থেকে ছুটি ফায়াজের দিকে ছুট লাগালো। পাশ থেকে জড়িয়ে ধরলো ফায়াজকে। মইনুর শেখ হতভম্ব আর ফায়াজের ঠোঁটে বিস্তর হাসি।
চলবে…
®উম্মে কুমকুম.
(রিচেক হয় নি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)