নীড়
রেশমী রফিক
১০।।
তুবা ঘুমোচ্ছে। ওর চেহারা দেখে মনে হচ্ছে যেন কতকাল ঘুমায়নি। খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। গরমের কারণে কিছুটা বিধ্বস্তও লাগছে হয়তো। কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির ফুড কোর্ট যেই ভীড় ছিল। ওর মধ্যে কীভাবে বসে থাকতে পেরেছে তুবা, ভাবতেই অবাক হচ্ছে শারার। সে নিজে ওই ফ্লোরে পা দিয়ে একদণ্ড টিকতে পারেনি। তখনই তুবাকে নিয়ে বের হয়ে এসেছে ওখান থেকে। এরপর একটা রেস্টুরেন্টে খেতে যাবার কথা ছিল। রেস্টুরেন্ট বলতে গতানুগতিক ধারার কিছু নয়। খিলগাঁও পেরিয়ে বিশ্বরোডের উপর খানিকটা এলাকা জুড়ে নিরিবিলি নির্জনতা বিরাজ করে। সাঁই সাঁই করে গাড়িঘোড়া ছুটে চললেও নিস্তব্ধতার এতটুকু ব্যাঘাত হয় না। তেমনই এক জায়গায় সম্প্রতি একটা রেস্টুরেন্ট খোলা হয়েছে। নাম, স্বর্ণপাতার থালা। এই অদ্ভুত নামের পেছনে কী শানে নূযুল, শারারের জানা নেই। এক বন্ধুর পরিচিত রেস্টুরেন্টের মালিক। নতুন বিধায় দাওয়াত করেছিল বন্ধুকে। ওরা ছয়-সাতজনের একটা দল গিয়েছিল। মালিকের সাথে পরিচয় হয়েছে তখনই। কর্মচারী আছে যথেষ্ট। মালিক নিজেও রেস্টুরেন্টে কাজ করে। প্রফেশনাল শেফ সে। সবথেকে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, মালিক একজন মেয়ে, নাম স্বর্ণ। নামটাও অদ্ভুত। স্বর্ণা নয়, স্বর্ণালী নয়। শুধু স্বর্ণ! এরকম কি কারও নাম হয়? জানা নেই শারারের। কৌতুহলবশত বন্ধুকে বলেছিল, এ আবার কেমন নাম? বন্ধু বলল,
– আরে, ওর আব্বা-আম্মার শখ লাগছিল মেয়ের জন্য আনকমন নাম রাখবে। মানুষজন এই নাম, সেই নাম বলে। কোনোটাই পছন্দ হয় না। এদিকে মেয়ের বয়স বাড়তেছে। প্রায় ছয়-সাত মাস চলে। নামের কারণে আকিকাও হয় নাই। শেষে মেয়ের দাদি গেছে ক্ষেপে। বলছে, মরার আগে মনে হয় না আকিকা খেতে পারব। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম নিয়েছে আদরের নাতনী, অথচ এখনো তার নামই খুঁজে পাওয়া গেল না। কথায় কথায় মনে হয় আন্টিকে খোঁচা দিয়েছে। কারণ নাম নিয়ে আন্টি নাক উঁচু করতেছিল। আংকেলের দুই-একটা নাম পছন্দ হলেও আন্টির কোনোটাই পছন্দ হয় না। শেষে, শাশুড়ির খোঁচা খেয়ে আন্টি রেগেমেগে নাম রাখল, স্বর্ণ।
– বাপরে! বিশাল স্টোরি!
– মেয়েও বিশাল খানদানের। ঢাকা শহরের অর্ধেকের মালিক বলা যায়। কীসের বিজনেস নাই আংকেলের, তাই বল। গুড়াগাড়ি থেকে শুরু করে আদার ব্যাপারী শেষমেশ জাহাজের বিজনেসও করতেছে। আরেকটা ব্যাপার কী জানিস? আংকেলের হাতে সোনা ফলে। যেখানে হাত দিবে, সেখানেই মনে কর ধুন্ধুমার প্রফিট। আর এই মেয়ে হইতেছে উনার একমাত্র মেয়ে। সমস্ত প্রপার্টির একলাই মালিক।
– যাহ, চাপা মারিস না।
– আরে, চাপা না দোস্ত। সত্যি বলতেছি।
– এত প্রপার্টি যার বাপের, ঢাকা শহরের অর্ধেক মালিক নাকি। সেই মেয়ে এইখানে বইসা রেস্টুরেন্ট চালায়? এই গরমের মধ্যে কিচেনে শেফগিরি করে? তার তো আসমানে বইসা এসির বাতাস খাওয়ার কথা।
– আরে ব্যাটা শুন। বাপের যত যাই থাকুক, স্বর্ণ চায় নিজের আইডেন্টিটি। এইজন্য বাপের রেডিমেড বিজনেস বাদ দিয়ে সে এই রেস্টুরেন্ট বিজনেস শুরু করছে। কারণ, তার রান্নার হাত ভালো। খুব ছোটবেলা থেকেই রান্নাবান্না নিয়ে আগ্রহ ছিল। অল্প বয়সেই মনে কর, দুনিয়ার কোর্স-মোর্স করে ফেলছে রান্নার উপর। সে তো পড়াশুনাও করছে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। এরপর আবার প্রফেশনাল শেফের কোর্সও করছে।
– বাপরে। বিশাল অবস্থা!
– আসলেই বিশাল। তবে ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগছে। আমাদের দেশের মেয়েরা তো এই লাইনে আসতে চায় না। তারা রান্নাবান্না করে ঘরে বসে। কিন্তু স্বর্ণ এই লাইনে ক্যারিয়ার গড়তে ইন্টারেস্টেড। আর কেউ ওকে উৎসাহ দিয়েছে নাকি জানি না, তবে আমি সবসময়ই বলছি গো অ্যাহেড। এই রেস্টুরেন্ট খোলার পর বারবার বলতেছিল, ভাইয়া আসেন একদিন। খেয়ে দেখেন আমাদের খাবার কেমন। এরপর রিভিউ দিবেন। সত্য কথা বলবেন। পরিচিত বলে মিথ্যা রিভিউ দেয়ার দরকার নাই।
– এইজন্য আজকে আমাদেরকে নিয়ে আসছিস?
– হ্যাঁ, খাওয়ার ব্যাপারে একলা রিভিউ দিতে নাই। আমরা সবাই মিলে অনেস্ট রিভিউ দিব।
সত্যি, স্বর্ণর হাতের রান্না খেয়ে ওরা সবাই কমবেশি বিস্মিত হয়েছে। মেয়েটা সত্যিই ভালো রান্না জানে! আর রেস্টুরেন্টের ইন্টেরিয়র থেকে শুরু করে কাস্টমার সার্ভিস বর্তমান যুগে প্রশংসা করার মতোই। হয়তো নতুন বলেই এরা কাস্টমারদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য একটু বেশিই খাতির করে। পরে পরিচিতি পেয়ে গেলে অতটা থাকবে না।
তুবাকে নিয়ে আজ এই রেস্টুরেন্টে খাবে বলেই এসেছে শারার। সেদিন একটা প্ল্যাটার খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল। মুখে এখনো স্বাদ লেগে আছে। এরপর বারকয়েক এখানে আসার কথা ভাবলেও নানা ব্যস্ততায় এদিকে পা বাড়ানো হয়নি। আজ সুযোগ মিলতেই চলে এসেছে।
গাড়িতে উঠেই এসি অন করে দিয়েছিল শারার। তারপর ছুট দিয়েছিল বিশ্বরোডের উদ্দেশ্যে। প্রখর রোদের কারণে রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা ছিল। কেবল মৌচাক-শান্তিনগর মোড়ের যানজট বাদে। তবু অনেকটা সময় লেগেছে, প্রায় ঘন্টাখানেক। তুবা এতই ক্লান্ত ছিল। এর মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েছে। এখনো ঘুমুচ্ছে।
রেস্টুরেন্টটা বেশ বড়সড় জায়গা নিয়ে বানানো হয়েছে। মূল গেটের পাশ দিয়ে পেছনে যাবার রাস্তা আছে। ওদিকে কাস্টমারদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা আছে। শারার একটানে গাড়িটা রেস্টুরেন্টের পেছনে নিয়ে এলেও জায়গা পেতে খানিক সময় লেগেছে। দুপুরের কড়া রোদেও গাড়ির কমতি দেখা যাচ্ছে না। কপাল ভালো বিধায় খানিকক্ষণ একপাশে অপেক্ষা করার পর মাত্রই একটা গাড়ি বের হয়ে গেছে। জায়গা খালি হবার পর ওখানে চলে এসেছে সে।
তুবার ঘর্মাক্ত কপালের উপর কতগুলো চুল এলোমেলো ভঙ্গিতে লেপটে আছে। শারার খুব যত্ন করে সেগুলো সরিয়ে দিল। অবশ্যই অতি সাবধানে। তুবা যাতে কিছুতেই টের না পায়। চুল সরাতে গিয়েই ওর চোখ পড়ল তুবার উপরের ঠোঁটের ঠিক ডানদিকে একটা তিল। অথবা আচিল জাতীয় কিছু হবে। তিল তো চামড়ায় মিশে থাকে। একটা কালো বিন্দু দেখা যায় হয়তো। কিন্তু তুবার এই তিলটা পিচ্চি আচিলের মতো ফুলে আছে খানিকটা। আগে কখনো এই তিল লক্ষ করেছিল বলে শারারের মনে পড়ছে না। এই মেয়ে একবার মুখ খুললে সহজে বন্ধ করে না। বকবক করতেই থাকে। সেজন্যই হয়তো ওভাবে খেয়াল করা হয়নি। ভ্যাবলার মতো একটা মেয়ের ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে থাকাটাও ভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে না। আবার হতে পারে, দূর থেকে এই তিলটা চোখে পড়ে না। কেবল কাছে আসলেই দেখা যায়। কারণ তিলের রঙ পুরোপুরি কালো নয়। খয়েরি রঙের। আর তিলটাও একদম ঠোঁটের বর্ডার লাইনে। এই মুহূর্তে ধবধবে ফর্সা মুখটা লালচে হয়ে আছে। সেজন্যই বুঝি চোখে পড়ল! নাকি এত কাছে এসেছে বলে?
শারার ঢোক গিলল কয়েকটা। গাড়ি থেমেছে বহুক্ষণ হয়। তুবার ঘুম থেকে উঠে যাবার কথা যে কোনো মুহূর্তে। কিন্তু সে চোখ সরাতে পারছে না। তিলটা যেন সম্মোহিত করেছে ওকে। আলতো করে একটু ছুঁয়ে দেবে কি? তুবা যদি টের পেয়ে যায়? সে তো আর বুঝবে না, এই তিলটা স্পর্শ করতে চেয়েছে। হয়তো ভাববে ওর ঘুমের সুযোগ নিয়ে শরীরে হাত দেবার পায়তারা চলছে।
অনেক কষ্টে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করল শারার। তিল থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাল। নিজের সিটে বসল ঠিকঠাক। চোখটা হচ্ছে বদের হদ্দ। না চাইতেও বারবার তুবার দিকে চলে যাচ্ছে। ঘুমের ঘোরে তুবার দুই ঠোঁটের মাঝখানে খানিকটা ফাঁক হয়ে আছে। চোখ এবার ওখানে আটকেছে। তারপর চিবুকের তিলটার দিকে নজর পড়ল। এই তিলটা দেখতে কালো। ফর্সা মুখে বেশ গাঢ় লাগছে। আকারে একটু বড়ও। তুবার দিকে তাকালে তিলটা সবার আগে চোখে পড়ে। চিবুকের ঠিক মাঝখানে একটা কালো বিন্দু। একদম সমান্তরাল নয়, একটু ফুলে আছে। এটাকে কি আচিল বলে? শারারের মনে পড়ল, বহু আগে এক ইন্ডিয়ান অভিনেত্রীর চিবুকে এরকম একটা তিল দেখেছিল। নাম মনে নেই। সিনেমা দেখার সময় কেবলই মনে হতো চিবুকের ওই তিলেই তার সমস্ত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। তিলটা না থাকলে সিনেমায় আসার সুযোগ পেত কি না সন্দেহ। তুবার ব্যাপারটাও ওরকম। দেখতে আহামরি কিছু না। কিন্তু তিলটার কারণে মনে হয় অন্য সবার থেকে আলাদা।
ঠোঁট থেকে চিবুক, এরপর চোখ চলে গেল গলায়। সেখানেও ডানদিকে একটা তিল দেখা যাচ্ছে। এই মেয়ের তো দেখা যাচ্ছে, শরীরের জায়গায়-জায়গায় তিল। কারণ তার হাতে বেশ কয়েকটা তিল আছে। এর মধ্যে ডান হাতের বুড়ো আঙুলের মাথায় একটা ছোট্ট আচিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বেশ ফুলে-ফেঁপে আছে। হাত নাড়ালে চোখে পড়ে। তুবা ওই হাতে কলম ধরে কীভাবে, সেটা দেখার ইচ্ছে শারারের। তুবার আরেকটা বিশেষত্ব হচ্ছে, বেশিরভাগ তিল ডানপাশে অথবা মাঝখানে কোথাও। বাদিকে কোনো তিল এখন অবধি চোখে পড়েনি।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তিল দেখতে গিয়ে শারারের চোখ গেল আরেকটু নিচে। তুবার কলেজের ইউনিফর্মে শার্টের মতো কলার দেয়া। কোমর পর্যন্ত সামনে বোতাম। শার্টের সাথে তফাৎ কেবল একটাই, কলারের একদম উপরে কোনো বোতাম নেই। ওদিকে খোলা। বোতাম শুরু হয়েছে বুকের খাঁজ যেখান থেকে শুরু, সেখানে। সেকারণেই বোধহয় চট করে চোখ পড়ল। গাড়ির সিটে মাথা হেলিয়ে ঘুমুবার কারণেই কি না কে জানে, তুবার বুকের খাঁজটা স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। এতক্ষণ আড়চোখে তাকালেও এবার শারার সরাসরি ওর দিকে মুখ ঘোরাল। খাঁজের দিকে তাকিয়ে মনে হলো, ওখানে একটা তিল না থাকলেই নয়! দূর থেকে দেখা যাচ্ছে না। একটু উঁকি দিলে নিশ্চয়ই দেখা মিলবে। উঁকি দেবে কি? দেয়া উচিত হবে কি?
শারারের মাথা হয় কাজ করছে না, গরমে তার মাথা এমনিতেই আউলে যায়। নয়তো নিশ্চিত কোনো একটা সমস্যা হয়েছে। জীবনে বহু মেয়ের সাথে মিশেছে সে। কিন্তু কখনোই কারও দিকে চোরা নজরে তাকায়নি। তাকানোর দরকারই হয়নি। কারণ, মেয়েরা সেঁধে পড়ে মিশেছে ওর সাথে। বন্ধুত্ব করতে কিংবা এর বাইরে আরেকটু গভীর সম্পর্কে যেতে তাদের কারওই আপত্তি ছিল না কখনো। তবে শারার প্রতিবারই নিজেকে সামলে রেখেছে। আর যাই হোক, তাকে দুশ্চরিত্র বলা যায় না। আর দশজন মানুষের মতো তার মনে সু এবং কু দুই ধরনের প্রবৃত্তিই আছে। তবে সে জানে, সুপ্রবৃত্তি মেলে ধরতে হয় আর কুপ্রবৃত্তিকে লুকিয়ে রাখতে হয়। তাই তার নামে কোনো মেয়ে আজ অবধি খারাপ কথা বলতে পারেনি। প্রশ্নই আসে না। কিন্তু এই মুহূর্তে সে যা করছে, অথবা তাকে দিয়ে অদৃশ্য একজন যা করিয়ে নিচ্ছে, অথবা কুপ্রবৃত্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে আপন শক্তিবলে, তাতে চোখ বন্ধ করে তাকে খারাপ ছেলেদের তালিকায় ফেলে দেয়া যায়। ভাগ্যিস, নির্জন দুপুরে আশপাশে কেউ নেই। গাড়ি পার্ক করে সবাই যে-যার মতো রেস্টুরেন্টের ভেতর চলে গেছে। নয়তো কী যে হতো।
সম্মোহিতের মতো শারার আলতো করে হাত রাখল তুবার ইউনিফর্মের বোতামে। খুব সাবধানে দুটো বোতাম খুলে ফেলল। ভেতরে গোলাপি রঙের ব্রা দেখা যাচ্ছে। যা ভেবেছিল, তাই। খাঁজের একটু গভীরে, একটা কালো তিল জ্বলজ্বল করছে। আলতো করে সেই তিলটা ছুঁয়ে দিল শারার। সেই মুহূর্তে তুবা চোখ মেলল। শারারের মনে হলো কারেন্টের শক প্রবল গতিতে ওর শরীরের ভেতর দিয়ে চলে গেছে। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল সে। তবু সরতে পারল না চট করে। তুবার তখনো ধর্তব্যে আসেনি কিছু। চোখ মেলে শারারকে দেখামাত্র অবাক হলেও চমকে যায়নি। কারণ ঘুমুবার আগে শারার ওর সাথে ছিল। তাই ঘুম ভাঙ্গার পরও তাকে দেখবে, এটাই স্বাভাবিক। রেশ কাটেনি বিধায় শারারকে এতটা কাছে দেখেও তার মাথা কাজ করল না।
ঠিক তখনই, জানালার বাইরে উঁকি দিল একটা মুখ। একজন লোক এসে দাঁড়িয়েছে গাড়ির পাশে। উবু হয়ে দেখছে ভেতরে। তুবা-শারারকে দেখামাত্র বেরসিকের মতো চিৎকার করে উঠল সে,
– গাড়ির মইদ্দে এইগুলান কী চলতাছে, হ্যাঁ? এইসব করতে আইছেন এইহেনে? মনে করছেন আশপাশে কেউ নাই। ইচ্ছামতো চালান যাইব। ফস্টিনস্টি করন যাইব। খাঁড়ান, মানুষজন ডাকতাছি। আজকাই পুলিশে ধরায়া দিমু। (চলবে)
পরের পর্ব আগামীকাল দুপুর তিনটায়।