পদ্মদিঘি পাঠ-৫

#পদ্মদিঘি_ [১ম পরিচ্ছেদ]
০৫.

[কপি সম্পূর্ণ নিষেধ]
তিক্ত মনে জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করলো শাদবিন শাহীর। তার প্বার্শে ছায়ার মতো লেগে আছে তার ভৃত্য জাহিদ। অন্দরমহলে প্রবেশ করতেই সকলের আয়োজন লক্ষ্য করলো শাদবিন। দাসীরা এদিক সেদিক ছূটাছুটি করছে। শাদবিনের দিকে নজর গেলেই সকলে দৃষ্টি নত করে সালাম জানালো। শাদবিন গম্ভীর হয়ে চেয়ে রইলো শুধু, সালামের উত্তর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করলো না। হয়তো সে অনুমান করতে পারছে এই আয়োজনের কারণ! তখনই বেগম আকলিমার খাঁস দাসী নিতু আসলো জমিদারের নিকট। নিয়ম অনুযায়ী সালাম জানিয়ে বেগম আকলিমার পয়গাম জানালো।

শাদবিন ঘাড় বাঁকিয়ে ভৃত্যকে দৃষ্টির ইশারায় চলে যেতে বললো। জাহিদও আদেশ মোতাবেক সালাম জানিয়ে অন্দরমহল প্রস্থান করলো। শাদবিন গলা খাঁকারি দিয়ে বেগম আকলিমার কক্ষের দিকে অগ্রসর হয়।

–“আসসালামু আলাইকুম, দাদীজান। আমায় ডাকার কারণ?”

–“কারণ তো অবশ্যই আছে আমার শের। তার পূর্বে আমায় উত্তর দেও, কেন তোমায় অন্দরমহলে দেখা যায় না? কোথায় থাকছো আজকাল, আমার শের?”

–“প্রয়োজনে তো আমায় কতো জায়গায় যেতে হয় দাদীজান। আর অন্দরমহলে আমি দীর্ঘদিন আছি, আপনার এই যুক্তির ভিত্তি বোধগম্য হলো না!”

বেগম আকলিমা গম্ভীর দৃষ্টিপাত নিক্ষেপ করলেন প্রিয় পৈত্রের প্রতি। সে মূলত আন্দাজ করেছে তার এই পৈত্র কোন পথে হাঁটছে। তাও সেই উক্তি বহিঃপ্রকাশ না করে পৈত্রের উদ্দেশ্যে বললো,

–“ছাড়ো, এসব কথা। জমিদার তালুকদার পত্র পাঠিয়েছেন। খুব শীঘ্রই শাহাজাদী ইফফাত আসছে আমাদের অন্দরমহলে। আমি চাই তুমি নিজে তাকে অন্দরমহলে অভ্যর্থনা জানাও।”

শাদবিন শাহীর নিরুত্তর। সে উক্তিগুলো কর্ণধারে নিলেও তার মুখশ্রীতে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ হলো না। এতে বেগম আকলিমা তেঁতে উঠলেন!

–“কী হয়েছে শাদবিন? শুনো নি আমি কী বলেছি? মনে রাখবে শাদবিন, তুমি যোগ্য বলেই তোমায় এই জমিদারীর ভার দিয়েছি। আমি চাইলেই তোমার চাচার হাতে সব তুলে দিতে পারতাম, কিন্তু তুমি অবগত কেন আমি তাকে এই সম্রাজ্য তুলে দেইনি। তুমি জমিদার, এই ছোট্ট শব্দটি মস্তিষ্কে ভালোভাবে এঁটে নেও। এখানে ভালোবাসার মূল্য নেই, ভালোবাসা তোমায় খাওয়াবে না, এই কাশিমপুরের ভালো-খারাপও দেখবে না। তাই এই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখো।”

শেষোক্ত বাক্যটি শাদবিনকে নিবিড়ভাবেই নাড়িয়ে তুললো। তার নত দৃষ্টি ক্রোধে পরিণত হয় এবং সে উষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো বেগম আকলিমার ওপর! শাদবিনের এরূপ ধ্বংসাত্মক দৃষ্টি দেখে বেগম আকলিমা স্তম্ভিত হলো!

–“সবকিছু আবেগ হয় না দাদীজান। আবেগের দিন আমি বহু পূর্বেই পার করে এসেছি। আপনি আমার সম্পর্কে অবগত তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। শুধু একটি বাক্য মনে রাখবেন, আমার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার চেষ্টাও করবেন না। আমি কেমন জেদী, সে সম্পর্কে আপনি অবগত। আসছি, আসসালামু আলাইকুম!”

বলেই শাদবিন শাহীর এক মুহূর্তও দাঁড়ালো না। ধপধপ পা ফেলে দ্রুত প্রস্থান করলেন। বেগম আকলিমা সেখানেই পূর্বের ন্যায় বসে রইলেন। সে অবগত তার এই প্রিয় পৈত্র কেমন বদ মেজাজী। বেগম আকলিমা তপ্তশ্বাস ফেললেন। অতঃপর শয্যা ছেড়ে নেমে দাঁড়ায়। উত্তরিয়োটি গায়ে ভালোভাবে জড়িয়ে বেরিয়ে গেলেন কক্ষ হতে। এই বৃদ্ধ বয়সেও বেশ শক্তপোক্ত আছেন বেগম আকলিমা। যেমন তার চরণ ধ্বনির তেঁজ তেমনই তার চলাফেরা। তার এক হুংকারে এখনো অন্দরমহল কেঁপে ওঠে। সে তার দুর্বলতা কারো নিকট প্রকাশ করা বরাবরের ন্যায়-ই অপছন্দ করেন। অন্দরমহলের আয়োজন পরিদর্শন করার মুহূর্তেই বেগম শর্মিলার দর্শন পেলেন বেগম আকলিমা। তিনি তখন দাসীদের আদেশ করতে ব্যস্ত।

শর্মিলা বেগমকে দেখতেই অমায়িক হাসলেন। অতঃপর বেগম আকলিমাকে সালাম দিলেন। বেগম আকলিমা বিনয়ী হেসে সালামের উত্তর দিলেন।

–“আয়োজন কতদূর? রন্ধনশালায় সব বলে রেখেছো তো?”

–“নিশ্চিন্তে থাকুন আম্মাজান। রন্ধনশালা ভাবীজান দেখছেন।”

মুহুর্তেই বেগম আকলিমার মুখশ্রীর ভঙ্গিমা বদলে যায়। মুখশ্রীতে গাম্ভীর্য এনে ছোট উত্তর দিলেন, “হুম!”

শর্মিলা বেগম আকলিমার এরূপ ভঙ্গিমা লক্ষ্য করলেও প্রশ্ন করার স্পর্ধা দেখালেন না। সে নীরবে কাজের তত্ত্বাবধায়ন করতে মনোযোগী হয়ে পরলেন।

———————

পিটপিট করে নেত্রপল্লব মেলে তাকায় সেহনাত। চারপাশে নজর বুলিয়ে মাথার প্বার্শে শবনামকে আবিষ্কার করলো রমনী। কিশোরী উঠে বসার প্রচেষ্টা চালালো কিন্তু সেই জোর-শক্তি পেলো না। প্রচন্ড দুর্বল লাগছে তার। পায়ে জ্বালা অনুভূত হতেই সেহনাত সেদিকে তাকায়। বৈদ্য তার পায়ে ওষুধি কিছু লাগাচ্ছেন।

–“বাজান, আপনের ভাগনির জ্ঞান ফিরসে। মা, এহন কেমন লাগতাসে?”

প্রথম উক্তি কর্ণগোচর হতেই কিশোরীর মামু ফিরোজ ছুটে ভেতরে প্রবেশ করলেন। ততক্ষণে মায়ের সাহায্যে উঠে বসে কিশোরী। মামুর দর্শন পেতেই কিছুটা ভড়কে যায় সেহনাত। রমনী যথাসম্ভব চেষ্টা করে মায়ের বাহুডোরে লুকিয়ে থাকতে। শবনাম অশ্রুসিক্ত হয়ে বলে,

–“ভয় পাস না আমার মা! কেউ কিছু বলবে না তোকে!”

মায়ের বচনে কিছুটা আশ্বস্ত হলেও তাকে আতঙ্ক ভালোভাবেই ঘিরে ধরেছে। কিশোরী চারপাশে নজর বুলিয়ে বুঝতে পারে সে এখন বৈদ্য শালায় অবস্থান করছে। মামুজান বৈদ্যের সঙ্গে কথা শেষ করে শবনামের বিপরীত প্বার্শে বসে সেহনাতের হাত পায়ের ক্ষতগুলো নিবিড়ভাবে দেখতে লাগলো। এদিকে কিশোরী আতঙ্কে বারংবার ঘামছে!

–“এখন কেমন লাগছে?”

ফিরোজের সরল অভিব্যক্তিতে কিছুটা চমকে উঠলো সেহনাত। অতঃপর আতঙ্কমিশ্রিত কন্ঠে বলে ওঠে,

–“জ্বী কিছুটা ভালো!”

কিছুক্ষব নিরবতা।
–“কী এমন হয়েছিলো? কোনোক্রমে কী তুই আত্মহত্যা করতে গেছিলি?”

ফিরোজের বচনে সেহনাত ঘেমে একাকার। অতঃপর আটকে গলায় বলে,

–“নাউজুবিল্লাহ, মামুজান! আমি তো…”

কিশোরীর কন্ঠে ভয় বিদ্যমান। শবনাম কন্যাকে বুকে জড়িয়ে থমথমে গলায় বলে,

–“নির্ভয়ে বল। ভয় পাচ্ছিস কেন আমার মা? তুই তো জানিস, তুই কোনো অন্যায় করিসনি! লক্ষীটি আমার, একদম ভয় পাবি না। তোর আম্মিজান তোর প্বার্শেই আছে!”

আবেশে কিশোরীর চোখ বুজে এলো। স্মরণে এলো এই দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বের পরিকল্পনা। কিশোরী মায়ের সাথে লেপ্টে উঁচু গলায় বলে ওঠে,

–“আমি আসতেই নিচ্ছিলাম, তখনই ভুলবশত আমার হাত থেকে ক্ষুদ্র দর্পণটি পরে যায় আর সেখানে চরণ ফেলতেই আমি বেসামাল হয়ে পরে যাই। অতঃপর ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা। অনেক ডেকেছি তোমাদের কিন্তু তোমরা কেউ শুনোনি!”

এসব বলার সময় কিশোরীর ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলছিলো। খুব কষ্টে এই বানোয়াট কথাগুলো বলেছে। অন্তঃপুরে হাজারবার আল্লাহ’র দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছে এই অঢেল মিথ্যে বলার জন্যে। প্রণয় একজন মানুষকে কতটা বদলে দেয়। হ্যাঁ বদলেছে সেহনাত, বদলেছে তার স্বভাব। কিছুদিন পর হয়তো দেখা যাবে আপাদমস্তক বদলে গেছে এই কিশোরী, বদলে যাবে তার জীবনের ধারাবাহিকতা। এমনটাই যে জানিয়েছে তার শাহীর বাবু।

ফিরোজ সাহেব তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললেন। তার ভাগনির এই করুণ অবস্থার জন্যে কোনো না কোনো ভাবে সে দায়ী। তার উচিত হয়নি এভাবে রাগের মাথায় কিশোরীকে ওভাবে বলার। লোকে ঠিকই বলে, রাগ সকল ধ্বংসের কারণ! আজ গুরুতর কিছু ঘটে গেলে সে নিজেকে কখনোই ক্ষমা করতে পারতো না। কিন্তু আর কতদিন-ই বা ঘরে বসিয়ে রাখবে ভাগনিকে? বয়স সতেরো হতে বেশিদিন নেই, কে নিবে এই বড় মেয়েকে বউ হিসেবে? এছাড়াও প্রতিবেশিদের কটু-বাক্য তো আছেই।

ফিরোজ উঠে দাঁড়ালেন। অতঃপর সেহনাতের নিকট গিয়ে কিশোরীর মাথায় স্নেহের সাথে হাত রাখলেন।

–“মাফ করিস তোর এই ব্যর্থ মামুকে।”

বলে আরেকবার মাথায় হাত বুলিয়ে তিনি প্রস্থান করলেন। মুহূর্তেই মামুর জন্যে বুকের অভ্যন্তরে জোরালো ব্যথা অনুভূত হলো, সঙ্গে একরাশ অপরাধবোধ! কী এমন পাপ হতো, একটিবার এই মানুষটির কথা শুনলে? ছোট থেকে কম ভালোবাসা তো পায়নি এই মানুষটির থেকে। আব্বা হুজুরের অনুপস্থিতিতে এই মানুষটি-ই তাকে নিজের আরেক মেয়ের আসনে বসালেন। আর সেহনাত? সে কী করলো এই মানুষটির সঙ্গে? কিন্তু কিশোরী নিজেও যে নিরুপায়! বিরাট এক মাকড়শার জালে বন্দি কিশোরী। সেই মাকড়শা অর্থাৎ শাদবিন শাহীর কখনোই তাকে ছাড়বে না, এ বিষয়ে কিশোরী কঠিনভাবে অবগত। শাদবিন শাহীর একদিকে আর তার পুরো দুনিয়া আরেক দিকে।

—————————–

–“সেহনাত মা! আমি জানি তুমি কিছু একটা লুকাচ্ছো আমার থেকে!”

শবনামের উক্তিতে থতমত খেয়ে বসে কিশোরী। আবারও তাকে ভয় আঁকড়ে ধরে। তোঁতলানোর স্বরে বলে ওঠে,

–“ক..কী লুকাবো আম্মিজান?”

শবনাম দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। অতঃপর কন্যার এক হাত নিজের মুঠিতে নিয়ে থমথমে গলায় বললেন,

–“আমাদের এই কক্ষের গোপন দরজার আঙিনায় আমি আয়নার টুকরো পেয়েছি। সাথে কড়া আতরের ঘ্রাণ! আমি এও জানি এই দুর্ঘটনা অনিচ্ছাকৃত নয় বরং ইচ্ছাকৃত! আমি শুধু সঠিক হাকিকাত জানতে চাই। হাকিকাত জানাও আমায়। আর যেই আতরের সুবাস আমি পেয়েছি সেটা আমার জানামতে খুব দামী আতর। বলো আমাকে, কে ছিলো সেই আগন্তুকটি?”

কিশোরী তার ধূর্ত পরিকল্পনায় ঠিকই মায়ের নিকট ধরা খেয়ে গেলো। নিজেকে আর সংবরণ করতে পারে না কিশোরী। হুঁ হুঁ করে কেঁদে দেয়। শবনাম মেয়েকে বুকে টেনে নেয়। সেহনাত কাঁদতে কাঁদতে বলে,

–“এছাড়া যে আমার কোনো উপায়ন্তর ছিলো না আম্মিজান! উনি আমায় যেতে দেননি। উনি বড্ড সাবধান আমার ব্যাপারে আম্মিজান, তিনি চাননি আমি কোনো পরপুরুষের নিকট যাই৷ তিনি সব ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখেন আম্মিজান, বড্ড ভয় পাই আমি তাকে!”

সেহনাত বলতে বলতে হেঁচকি তুলে ফেলে। শবনাম মেয়েকে শান্ত রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালালেন। সেহনাত আবারও হেঁচকি তুলতে তুলতে বলে ওঠে,

–“আমার ভাগ্য-ই এমন নির্মম আম্মি! উনি বলেছিলেন তাকে এসবের কিছু না বলার প্রায়শ্চিত্ত করতে। আমি করেছি, নিজ রক্ত দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করেছি৷ উনি আসলেন না আমার নিকট আম্মিজান! আমি পারবো না, অন্যকারো সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে।”

–“কে সে? কার জন্যে আমার কিশোরী মেয়ের ছোট্ট, নিষ্পাপ হৃদয়টা ক্ষত-বিক্ষত?”

–“জমিদার নবাব শাদবিন শাহীর!”

একমুহূর্তের জন্যে থমকে গেলো শবনাম। “জমিদার” শব্দটা তার কর্ণকাচে বারংবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। হঠাৎ কেমন বিষাক্ত লাগতে শুরু করলো নামটি। তিক্ততায় ললাটে ভাঁজ পরলো তার। মেয়েকে কিছুটা দূরে সরিয়ে কাঠ কাঠ গলায় বললেন,

–“কখনোই সম্ভব না! এরা জমিদার নয় পাষাণ! এরা এক নারী নয় অনেক নারীতে আসক্ত। এদের চিত্তে দয়া-মায়া নেই। এরা নামেই জমিদার, দৃষ্টিভঙ্গিতে এরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট! ভুলে যা ওই প্রাণীকে! সুস্থ হয়ে যা, অতঃপর আমি নিজে তোর জন্যে ভালো পাত্র খুঁজবো। তাও এই নাম নিবি না কখনোই! একজনকে হারিয়েছি, দ্বিতীয়জনকে হারানোর মতোন শক্তি আমার নেই। ভুলে যাও তাকে, এতেই তোমার মঙ্গল আমার মা!”

সবটা বলে থামলেন শবনাম। অতঃপর বিড়বিড় করতে করতে কক্ষ ত্যাগ করলেন। সেহনাত ওভাবেই বসে রইলো। তার ভঙ্গিমা নির্বিকার! মায়ের হঠাৎ এমন অভিব্যক্তি আশা করেনি কিশোরী। মায়ের বলা প্রতিটা উক্তি তার কর্ণধারে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ভাবনায় পরে যায় কিশোরী। অস্ফুট স্বরে বলে ওঠলো,

–“আপনি কী তাহলে অসংখ্য নারীতে আসক্ত শাহীর বাবু? আপনি কী আমায় ধোকা দিলেন? সবটাই ছিলো তাহলে আপনার প্রতারণা?”

~চলবে।

___লাবিবা ওয়াহিদ___

গ্রুপঃ LaBiba’s Typescripts

বিঃদ্রঃ যারা উপন্যাসটি পড়ছেন তারা রেসপন্স করার চেষ্টা করবেন। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। দু’দিন গল্প না দেয়ার জন্যে দুঃখিত। অনেকেই বলছেন গল্পটির কাহীনি আপনারা বুঝতে পারছেন না। বিচলিত হবার কারণ নেই, প্রথমটুকু বুঝতে কিছুটা এলোমেলো লাগবেই। ধীরে-সুস্থে পড়ুন, ইনশাল্লাহ বুঝতে পারবেন। আর এই ঘটনা সূচনা পর্বের প্রথম অংশের থেকে মিলিত। বর্তমান শুরু হয়েছে গত পর্বের শেষ থেকে। যারা তাও বুঝতে পারেননি তারা সূচনা পর্ব পড়ে নিতে পারেন। গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম। আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য পারে আগামী পর্ব লিখার অনুপ্রেরণা জোগাতে! আসসালামু আলাইকুম!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here