#পবিত্র_ভালোবাসা ❣️
#Writer_ইসরাত_জাহান_মাওয়া
#পর্ব_৩৩(শেষ পর্ব)
ঈশান কে কবরের তিনটি প্রশ্ন করা হলো….
কিন্তু সে একটার ও উত্তর দিতে পারলো না।তখন তার শাস্তি শুরু হয়ে গেলো। অনেক বড় বড় সাপ এসে তাকে ছোবল দিতে লাগলো। সে চিৎকার দেওয়া শুরু করলো আর বার বার বললো আমাকে আরেকবার দুনিয়াতে পাঠাও আমি এইবার একজন খাটি ঈমানদার ব্যক্তি হয়ে আসবো আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
কিন্তু কেউ তার চিৎকার শুনছে না। তার পুরো শরীলে আগুনে দাউ দাউ করছে সে জোড়ে জোড়ে চিল্লিয়ে বলছে আম্মু আব্বু আমাকে বাঁচাও তোমাদের ছেলে ভালো নেই ইসরাত আমি সত্যিই বুঝতে পরী নাই যে তোমার মতো স্ত্রী হলো একজন স্বামীর গর্ব ।ইসরাত তোমাকে অপমান করার শাস্তি ভোগ করছি আমি। দুনিয়াতে নামাজ না পড়ে বাবা মার কথা না শুনে তোমার কথা না শুনে আমি যে কি বড় ভুল করেছি তা আমি এখন বুঝতে পারছি। দুনিয়ার জীবন তো কিছুই না এই কবরের জীবন তার জন্য আমাদের দরকার দুনিয়াতে ভালো কাজ করা কিন্তু আমি তা করি নাই তার শাস্তি পাচ্ছি আমি। হে আল্লাহ আমায় মাফ করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
ঈশান কে খাবার দেওয়া হচ্ছে কাটা যুক্ত ফল পানি হিসেবে রক্ত আর পুচ।তার শরীল একদম দেখতে বাজে রকমের। যখন তার পাপ পুণ্যের হিসাব করা হচ্ছিল তখন তার পাপের পাল্লা ভারী হয়ে গিয়েছিলো যখন সে পুলসিরাত পার হচ্ছিলো তার পুরো শরীর কেটে টুকরো টুকরো হচ্ছিলো আর শেষে সে জাহান্নামের আগুনের পড়ে গেলো…..
আমি পারছিনা আমায় বাঁচাও বলে সে বিছানা থেকে উঠে পড়লো আর চারদিকে তাকিয়ে দেখে ও হসপিটালে শুয়ে আছে আর ইসরাত ওর মাথার কাছে বসে আছে ওর চিৎকার শুনে ইসরাত বললো….
কি হয়েছে আপনার এইভাবে ঘামছেন কেনো? রুমে তো এসি ছাড়া তাহলে এইভাবে ঘামছেন কেনো আর আমি এক্ষুনি সবাই কে ডেকে নিয়ে আসছি…
ঈশান এতক্ষণ বুঝতে পারলো যে ও স্বপ্ন দেখেছে ও ইসরাতের হাতে ধরে বললো….
ইসরাত একটু আমার পাশে বসবে…
ইসরাত ঈশানের বসে বললো …..
কিছু কি বলবেন…
আমায় মাফ করে দিও ইসরাত আমি তোমার #পবিত্র_ভালোবাসা বুঝতে পারি নাই। আমাকে মাফ করো। আমি ও তোমাকে ভালোবাসি ইসরাত(ইসরাতের কপালে অসংখ্য চুমু দিয়ে)
ইসরাতের খুশিতে চোখে পানি চলে আসলো….
ইসরাত আমায় একটা নামাজের বিছানা এনে দিতে পারবে? নামাজ পড়ব আমি
কিন্তু আপনি তো এখন অসুস্থ্য….
আমি এখন ভালো আছি প্লিজ এনে দাও….
ইসরাত ঈশান কে নামাজের বিছানা দেয় আর ঈশান ফ্রেশ হয়ে এসে ওযু করে নামাজ পড়তে লাগলো…..
ঈশান প্রায় দু ঘণ্টা ধরে নামাজ পড়ছে আর তার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে….. আর বলছে কবরের আযাব যে এত কঠিন সইতে আমি পারিবো না …..
ঈশানের বাবা মা ইসরাতের বাবা মা জান্নাত অর্ণিল তিয়াস সবাই ঈশান কে দেখে চলে গিয়েছে আর সবার মুখে সুখের হাসি।
দুই মাস পর…..
ঈশান এখন অনেক সুস্থ্য হয়ে গেছে। ঈশান আর আগের মতো নেই অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আর ইসরাতের কাছ থেকে আবার নতুন করে কুরআন তেলাওয়াত করা শিখছে ওর আব্বুর অফিসে যাওয়া কার কি প্রয়োজন সব ও এখন দেখছে। গরীব মানুষের দান করছে আর ও একটা গরিবদের জন্য আশ্রম খুলার কাজ করছে এখন সে একজন ঈমানদার ব্যক্তি আর এরেই মাঝে নাঈম আর মেরি ওদের অপরাধ স্বীকার করেছে আর ঈশান ও ক্ষমা করে দিয়েছে….. ঈশান এখন আর ক্লাবে যায়না ইসরাতের সব কথা শুনে। ওরা দুই জন একসাথে নামাজ পড়ে গভীর রাতে আবার মাঝে রাতে ছাদে গিয়ে জোসনা বিলাস করে বৃষ্টি আসলে বাড়ির পিছনে গিয়ে তারা বৃষ্টিতে ভিজে ইসরাত এখন খুব খুশি।
একদিন ইসরাত বাসার কিছু কাজ করছিলো…..
ঈশান এসে ইসরাত কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে….
ইসরাত সালাম দেয় ঈশান ও সালামের জবাব নেয়।
ঈশান ইসরাতের চুলে মুখ গুঁজে দিয়ে বলছে …..
ঈশান: ইসু পাখি তোমার চুলে কি তেল আর সেম্পু ইউজ করো?
ইসরাত: কেনো?
নাহ এত সুন্দর ঘ্রাণ তাই বলছি
আবারো শুরু হয়ে গেছে তাই না ফাইযলামি করা
তো কি করবো বলো। তোমার ওই মায়াবী মুখ দেখলে মন চায় সারাজীবন তাকিয়ে থাকি।
তাই বুঝি
হুম। আজ তোমার জন্য আমি বুঝতে পেরেছি জীবন কি। এই দুনিয়া তো হলো শস্য ক্ষেত্র আর এর ফল তো হবে পরকালে। আল্লাহ তাআলা আমাকে স্বপ্নের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে। স্বপ্ন যদি এত ভয়ানক হয় তাহলে বাস্তবে কি হবে। ইসরাত তুমি তোমার #পবিত্র_ভালোবাসা দিয়ে আমায় বুঝতে শিখিয়েছো । তুমি যে আমার লাইফ এ কি তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না। আল্লাহ তাআলা যেনো ওই হাশরের ময়দানে তোমাকে আমার সাথে মিলিয়ে দেয়।আমি তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি ইসু পাখি।
হুম। আমিন। আমি ও তো আপনাকে খুব ভালোবাসি নিশানা ।
ঈশান ইসরাত কে জড়িয়ে ধরে আর চলে যায় ওদের #পবিত্র_ভালোবাসা এই ভালোবাসায় আজ কেউ বাধা দিবে না। আজ ওদের এই #পবিত্র_ভালোবাসা রূপ নিবে অন্য এক ভালোবাসায়….
অন্যদিকে…
ফাজিল বর আপনাকে তো আমি কুচি কুচি করে কেটে সুকেজে সাজিয়ে রাখবো(রেগে বললো জান্নাত)
কেনো কি করেছি আমি হুম।
কি করেন নাই তাই বলেন । আপনি আমাকে না বলে কেনো আবার শাড়ি আনলেন। আমি তো বলেছি আমি শাড়ি পড়তে পারি না তারপর ও আবারো শাড়ি এনেছেন।
তো কি হয়েছে আমি পড়িয়ে দিবো
আপনার পড়ানো মানেই তো এ বি সি ডি।
এইটা আবার কি
আপনার মাথা আর আমার কল্লা।
তাই
হুম।
লজ্জা সরম কিছুই তো নেই আপনার।
যেহেতু নাই তাহলে আর বলে কি করবে(জান্নাত কে খুলে তুলে নিয়ে খাটে শুয়িয়ে)
এই কি করছেন কি আপনি
আমার না বলে লজ্জা নাই তাই আর কি…
আপনাকে তো….
জান্নাত কে আর কিছু বলতে না দিয়ে মেতে উঠলো তারা তাদের #পবিত্র_ভালোবাসায়…..
এই দুই মাসে তিয়াস আর মিশুর বিয়ে হয়ে যায়…..
মিশু: আচ্ছা আমাদের তো একটা ছোটো প্রিন্সেস দরকার তাই না
তিয়াস: হুম।
মিশু: কিন্তু তুমি তো জানোই আমার প্রবলেম।
তিয়াস: আরে এইটা কোনো সমস্যা না। আল্লাহ তাআলা চাইলে সব হবে। এখন ওইসব নিয়ে মন খারাপ করবে না আমার কিউটি।
মিশু: ঠিক আছে….
পাঁচ বছর পর….
একটি ছোট্ট মেয়ে লং জামা আর মাথায় কালো হিজাব চোখ দুটো তে কাজল বয়স হবে ৪ এসে বলছে….
মাম্মী মাম্মী আজ আমি একটা সূরা শিখেছি…
ইসরাত: কি সূরা মামুনি…
আলিফ লাম মীম…
ইসরাত: মাশাআল্লাহ। তাহলে তো তোমার এগোরা আর এখন একটা তো বারোটা সূরা হলো। আর মামুনি আলিফ লাম মীম এইটা কিন্তু তুমি পুরোটা শিখো নাই তুমি কিছু আয়াত শিখেছো। আসতে আসতে পুরোটা শিখতে পারবে বুঝেছো।
হুম…..
ঈশান এসে তার পিচ্ছি পরী কে খুলে নিয়ে বললো….
আমার মামুনি তো দেখছি খুব বড় হয়ে গেছে।
আমি তো বড়ই । আমি তো তোমার তিন নাম্বার মা। তুমি জানো না। আমি তো এখন বড় হয়ে গেছি হিহিহিহি….
ঠিকই তো বলেছে ওনি তো আমাদের ছোটো আম্মু একদম পাকনি একটা(কেউ একজন পিছন থেকে বলে উঠলো)
ছোটো মেয়েটি দৌরে চলে গেলো…
ফুফি ফুফি কেমন আছো তুমি? ও সল্লি সল্লি আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু…
ওলাইকুম আসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারকাতুহু। খুব ভালো আছি। আমার কিউটিপাই উম্মাহ তুমি কেমন আছো?
আমি ও ভালো ভালো আছি ফুফি। কিন্তু ভাইয়া আর ফুফা কই ওলা কেমন আছে।
ওরাও ভালো।
ওই পেত্নী একদম বেশি বকবক করবি না চল আমরা গিয়ে বাড়ি তৈরি করি (একটা পিচ্ছি ছেলে এসে বললো)
আরেহ ভাইয়া তুমি। আর শুনো একদম পেত্নী বলবা না।তুমি কি হুম…
জান্নাত : আবারো শুরু হয়ে গেলো ওদের ঝগড়া।
ভাইয়া চলো আমরা গিয়ে জিকির পড়ি। আম্মু বলেছে জিকির পড়লে ভালো। চলো চলো….
ওরা দুই জন চলে গেলো। এখন ওদের পরিচয় দেই। ছোটো মেয়েটি হলো ইসরাত আর ঈশানের মেয়ে নাম হলো আদারা জেসমিন ইয়ারা যার আর ছেলেটির নাম অনান জিয়াহ জান্নাত আর অর্ণীলের ছেলে।
ওরা দুইজন চলে গেলো জিকির পড়তে….
ঈশান : অর্নিল কই?
ও বসার রুমে আব্বুর সাথে কথা বলছে…
ঈশান: ওকে, আমি যাচ্ছি….
ঈশান চলে গেলো….
জান্নাত: ওই ইসু পাখি জিকির তো আমি পড়ি বাট বেশি কিছু জানি না একটু বল….
ঠিকই বলেছিস জান্নাত আমি ও বেশি কিছু জানি…
ইসরাত আর জান্নাত পিছনে তাকিয়ে দেখে মিশু…..
ইসরাত: মিশু আপু তুমি আর একটা খুশির খবর শুনেছি তা কি সত্যি?
মিশু: হুম। আজ এত বছর পর আল্লাহ তায়ালা আমাদের কথা শুনেছে আর একজন না দুই জন কিন্তু(বলেই হাসা শুরু করলো)
জান্নাত ও ইসরাত: মাশাআল্লাহ….মিষ্টি কই হুম?
মিষ্টি নিচে পড়ে খাবো এখন জিকির সম্পর্কে কিছু বলো…
ইসরাত: আল্লাহর জিকির করা একটি বিশেষ নফল ইবাদত। এ ইবাদতের ধরাবাঁধা সময় নেই। যে কোনো সময়েই তা পালন করা যায়। জিকির সাধারণত তিন প্রকার। প্রথমত, জিকিরে লিসানি বা মৌখিক। দ্বিতীয়ত, জিকিরে কালবি বা আন্তরিক, স্মরণ তথা মনে মনে স্মরণ।
আল্লাহর জিকির করা একটি বিশেষ নফল ইবাদত। এ ইবাদতের ধরাবাঁধা সময় নেই। যে কোনো সময়েই তা পালন করা যায়। জিকির সাধারণত তিন প্রকার। প্রথমত, জিকিরে লিসানি বা মৌখিক। দ্বিতীয়ত, জিকিরে কালবি বা আন্তরিক, স্মরণ তথা মনে মনে স্মরণ। তৃতীয়ত, জিকিরে আমালি বা কার্যত স্মরণ, তথা বাস্তব কর্মের মধ্য দিয়ে আল্লাহকে স্মরণ। তাৎক্ষণিকভাবে আল্লাহর আদেশ-নিষেধ বাস্তবায়ন করাও আল্লাহকে স্মরণ করার নামান্তর।
পবিত্র কোরআন কারিমে আল্লাহতায়ালা ৪০ বার জিকিরের কথা বলেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদাররা, তোমরা বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করো।’ জিকির বিভিন্ন রকমের বা বিভিন্নভাবে করা যায়। এস্তেগফারের মাধ্যমেও আল্লাহতায়ালার স্মরণ বা জিকির করা যায়। সবারই দৈনিক ১০০ বার এস্তেগফার পাঠ করা উচিত। এস্তেগফারের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল।’ এস্তেগফার করতে হবে নিজের গুনাহ ক্ষমা করানোর জন্য। কেউ রিজিক বাড়ানোর উদ্দেশে এস্তেগফার করলে তার এস্তেগফার কবুল হবে না। বান্দা নিজের গুনাহ, নিজের অবাধ্যতার প্রতি লজ্জিত হয়েই আল্লাহতায়ালার দরবারে ক্ষমা ভিক্ষা চাইবে। তাহলে আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন এবং তার রিজিক বাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু এর ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকলে সেটি আর এস্তেগফার হবে না।
হাদিস শরিফে আছে- লা হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ- এটি জান্নাতের ভাণ্ডারগুলোর একটি। এটি দৈনিক ১০০ বার পড়তে হবে। যে কোনো দরুদ শরিফ ১০০ বার পড়লে ১০০টি রহমত পাওয়া যায়। শুদ্ধ করে দরুদ শরিফ পড়তে হবে। অশুদ্ধ দরুদ শরিফ পড়লে হবে না। কেউ ১ হাজার বার দরুদ শরিফ পড়লে ১ হাজার নেকি পাবে, তার ১ হাজার গুনাহ মাফ হবে এবং সে ১ হাজার প্রমোশনও পাবে।
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করব।’ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু জিকিরের মানে হচ্ছে, লা ইলাহা বলার সময় মনে করতে হবে, আমি দুনিয়ার সবকিছু আমার হৃদয় থেকে বের করে দিলাম। আর ইল্লাল্লাহ বলার সময় মনে করতে হবে, আমি আল্লাহর সবটুকু ভালোবাসা আমার হৃদয়ে ঢুকিয়ে নিলাম। এ জিকির দৈনিক ৩০০ অথবা ৫০০ বার পড়তে হবে। যে হৃদয়ে আল্লাহর জিকির আছে, সেটি জীবিত হৃদয়, আর জিকিরহীন হৃদয় হলো মৃত হৃদয়ের সমান।
জিকিরকারীকে শয়তান সহজে খারাপ কাজের দিকে নিয়ে যেতে পারে না। জিকিরকারীর হৃদয়ে গুনাহ করার মজা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। সে ভালো কাজের দিকে আগ্রহী হতে থাকে। নেকির মজা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে তার। তাকে কুমন্ত্রণা দেয়ার সময় শয়তান পালিয়ে যায় অনেক দূরে।
আমরা নিজেদের আশপাশের মসজিদগুলোর জিকিরে শামিল হতে পারি। আমাদের সবার উচিত, নিজেদের বাড়িতে ইবাদতের জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করে রাখা। এখন যারা ঘরবাড়ি করেন, তাদের ক’জনই আর ইবাদতের জন্য জায়গা রাখেন? আমরা বাড়িতে সবকিছুর জায়গা করতে পারি, আর বাড়ি যিনি করে দিলেন, তার জন্য একটু জায়গা আমাদের হয় না। আমার প্রভুর স্মরণের জন্য একটু জায়গা আমার বাড়িতে হয় না। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফে বলেন, ‘তোমাদের ঘরকে কবর বানিয়ো না।’ কবরে যেমন কোনো আমলের সুযোগ থাকে না, তেমনি নিজেদের ঘর আমলহীন বানিয়ো না। যদি নিজেদের ঘর আল্লাহর রহমত দ্বারা পূর্ণ রাখতে চাও, তবে ঘরে নিয়মিত আল্লাহর জিকির করো।
হজরত রাসূলুল্লাহ বলেন, ‘জিকির করতে করতে যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা সতেজ রাখবে, সে হাসতে হাসতে জান্নাতে যাবে।
কেউ যদি কোনো জিকিরই না পারে, সে আল্লাহর ইসমে জাতের জিকির করবে। শুধু আল্লাহ আল্লাহ বলবে। ওই ব্যক্তিই সফল, যার শেষ কথা হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সমগ্র পৃথিবীর সবকিছু এক পাল্লায় রাখলে আর আল্লাহ শব্দ এক পাল্লায় রাখলে আল্লাহ শব্দের পাল্লা ভারি হয়ে যাবে। আল্লাহতায়ালা আমাদের তার খুশি হওয়ার মতো জিকির করার তওফিক দান করুন। আমিন।
জান্নাত ও মিশু: আমিন…..
আদারা আর অনান দৌরে এসে মিশু কে জড়িয়ে ধরলো আর বললো…
মনি মনি কেমন আছো?
এইতো ভালো আছি বাবাই আর মামুনি। তোমরা কেমন আছো হুম…?
ভালো…
আদারা: মনি আমার কিন্তু ছোটো বোন চাই হুম।
অনান: না আমার ছোটো ভাই চাই
না বোন
না ভাই
আমি বলছিনা বোন
আমি বলছিনা ভাই
মিশু: আচ্ছা আচ্ছা ভাই আর বোন দুইটাই এখন খুশি তো….
অনান ও আদারা: সত্যিই
মিশু: হুম…..
অনান ও আদারা চলে গেলো আবারো…..
তিয়াস অর্ণিল ঈশান ও অনেক আড্ডা দিলো আর মিশু জান্নাত আর ইসরাত ওরা তিনজন ও আড্ডা দিলো রুমে।
আদারা ঘুমিয়ে পড়েছে….
ঈশান: ইসু পাখি আমাদের ছোট্ট প্রিন্সেস হলো কিন্তু আমাদের#পবিত্র_ভালোবাসার ফল। একদম কিন্তু তোমার মতো হয়েছে। আর এইটুকু বয়সে কতটা ধার্মিক দেখেছো।
ইসরাত: মহান আল্লাহ তায়ালা যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
ঈশান: এই চলো আমরা আদারা কে একটা ভাই এনে দেই।
ইসরাত: শুরু হয়ে যাচ্ছে আবারো
ঈশান: ভালোবাসি তোমাকে ইসু পাখি
ইসরাত: আমি ও
ঈশান ইসরাতের কপালে চুমু দিলো….
দেখে ফেলেছি আব্বু তুমি মাম্মা কে আদল কলছো…..
ঈশান: হুম মামুনি তোমার আম্মু তো ছোটো মানুষ তাই আদর করছি যেনো বড় হয়ে যায়
আদারা: হিহিহিহি। মাম্মী তুমি ছোটো ঠিকই তুমি ছোটোই (বলে মুখ চেপে হাসতে লাগলো)
ইসরাত ওদের বাবা মেয়ের দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙা করে আবার হেসে দিলো…..
এইভাবে চলতে লাগলো ওদের দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসার খুনসুটি….। ওদের #পবিত্র_ভালোবাসা যেনো অটুট থাকে এই দোয়াই করবেন সবাই।
ভালবাসা,
কখনো প্রত্যাশা,
কখনো আবছা কুয়াশা,
কখনো ঘোর নিরাশা ।
কখনো বর্ণিল প্রভাত,
কখনো মেঘে ঢাকা রাত।
কখনো উচ্ছ্বল হাসির ছলছল,
কখনো বিষাদ ক্লিষ্টতা,
নয়ন ভরা জল।
তবুও ভালবাসার তরে,
হৃদয়ের সকল আকুতি ভরে,
অজস্র অপবাদ সহ্য করে,
বসুধার ঝঞ্ঝাল চূর্ণ করে,
স্বপ্নচূঁড়ায় পাড়িজমায় দুটি মন।
ভালবাসা,
স্রষ্টার অপার করুণার আঁধার,
আবেগ অনুভূতির নৈসর্গিক পাথার।
মর্তে নিঃশ্রিত নির্ঝরধারায়,চিরায়াত সুধা,
আদৌন্ত মর্তলোকে,
প্রেম পুজারীর মেটায় ক্ষুধা।
কিন্তু হায় !
অসাড় এ ধরায়,সত্য ভালবাসে ক’জন,
পলে পলে তাইতো বিরহ বিষাদ,
এত দ্বন্দ্ব সংশয়।
সকল বিঘ্নতা চূর্ণ করে,
বিজয়ের কেতন বক্ষে ধরে,
পূর্ণকরে সকল প্রত্যাশা,
পবিত্র ভালবাসা।
ভালবাসা,
এতো স্রষ্টার খেলা,
মানুষ তার উছিলা ।
বিষাদের প্রখর থাবায় প্রহত হয়না কভু,
সত্য ভালবাসা,
অমর অক্ষয় চির জাগ্রত,
#পবিত্র_ভালবাসা।
**************সমাপ্ত*******
————