#পরাণ_প্রিয়া
#রাবেয়া_সুলতানা
#৩০
সকালে থেকে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।নিবিড় অফিসে যায়নি।ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এসে ইজিচেয়ারে ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়েছে।প্রিয়তাকে রুম থেকে বের হতে দেখে আড় চোখে তাকিয়ে, সিঁড়ি দিয়ে সাবধানে নেমো।তোমার তো আবার অভ্যাস খারাপ। হাঁটতেও হোঁচট খেয়ে পড়ো।
প্রিয়তা কথাটা শুনে মুচকি হেসে বেরিয়ে গেলো।রিসাদ অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে রুম থেকে বের হতেই প্রিয়তা সামনে পড়লো।
প্রিয়তা না দেখার ভাণ করে নিচের দিকে তাকিয়ে, সিঁড়ি দিয়ে নেমে যেতেই রিসাদ এইদিক সেদিক তাকিয়ে, নতুন নাটকটা তো ভালোই চালিয়ে যাচ্ছো দেখছি।টিভি সিরিয়ালে কাজ করছো নাকি কখনো?
প্রিয়তা কথাটা শুনেও উত্তর না দিয়ে আরেক সিঁড়ি পা দিতেই,প্রিয়তা তুমি যে আমাকে এতো ভয় পাও আগে তো জানতাম না।আচ্ছা বাচ্চাটা কি সত্যিই নিবিড়ের নাকি অন্য কারোর?
প্রিয়তা কিছু বলতে পিছনে ফিরেই দেখে রিসাদের পিছনে নিবিড় দাঁড়িয়ে আছে।নিবিড় মাথা নাড়লো কিছু না বলার জন্য।
প্রিয়তাও কিছু না বলে নিচের দিকে নেমে চলে গেলো।
নিবিড় পিছন থেকে এসে নিবিড়ের কাঁধে হাত দিতেই রিসাদ চমকে উঠে, পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে নিবিড় গম্ভীরমুখে তাকিয়ে আছে।
রিসাদ ঢোক গিলে,কিছু বলবে?
নিবিড়ের হাতে থাকা ফাইলটা এগিয়ে দিয়ে, এইটা তোমার নেওয়া কথা ছিলো।
-ওহ্ স্যরি আসলে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।
নিবিড় হাতের কফির মগে চুমুক দিয়ে,মন যদি এদিক সেদিক থাকে তাহলে তো নিশ্চয়ই ভুল হয়।তোহ্ আমাদের নতুন কনস্ট্রাকশনের খবর কি? যার জন্য সেদিন তুমি ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছো।
রিসাদ টাইটা একটু নাড়িয়ে, আমি আছি তো সব সামলে নিবো।আমার উপর কী তোমার ভরসা নেই?
নিবিড় কিছুক্ষণ তাকিয়ে,হুম আছে তো।না থাকলে আমার বোন কী এখনো তোমার কাছে থাকে?
-মা,,মা,মানে?
নিবিড় কফির মগটা রিসাদের হাতে ধরিয়ে, রিসাদের টাই ঠিক করে দিয়ে, আজ পর্যন্ত এটাও শিখলে না?
সমস্যা নেই আমি আছি তো এখন অনেক কিছুই শিখিয়ে দিবো। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে সাবধানে যেও। বলা তো যায় না কোন মেয়ে আবার এই বৃষ্টির সময়,,,,,,,
নাদিয়াকে দেখে নিবিড় কথা ঘুরিয়ে,গুড মর্নিং।
-গুড মর্নিং ভাই।অফিসে যাবি না?
-না আপু,মাহিদকে সব বুজিয়ে দিয়েছি।
-আচ্ছা।রিসাদ তুমি যাও নাশতা করে নাও।
নাদিয়া নেমে এসে প্রিয়তাকে দেখে কিছু না বলে নিজের হাতে রিসাদের জন্য নাশতা টেবিলে নিয়ে এসেছে।মোশারফ হোসেন চেয়ার টেনে বসতে বসতে, মা তো অনেক দিন হলো উনার বাড়িতে চলে গেছে।আমরা না হয় একটু পর সবাই গিয়ে সারপ্রাইজ দিয়ে আসি।
সালমা বেগম মাথা নাড়িয়ে, তুমি ঠিক বলেছো, নাদিয়া তুই কি বলিস?
-আমি কি বলবো? তোমরা যা ভালো মনে করো।
মোশারফ হোসেন নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে, তুই কি বলিস?
-বাবা আপনি যেহেতু চাচ্ছেন তাহলে আর কি? যাবো।
সালমা বেগম প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে, তুই যাবি না?
প্রিয়তা ধীরে গলায় বললো,মা আসলে আমার শরীরটা ভালো লাগছে না।আপনারা যান আমি অন্য একদিন যাবো।
নিবিড় প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছে,ওর শরীর ভালো নেই ও আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি! এখন তো জিজ্ঞেসও করতে পারছি না।আপু আবার বেঁকে বসবে।
নাদিয়া নিবিড়ের দিকে চোখ পড়তেই দেখে নিবিড় প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে আছে।
-ভাই তুই নিশ্চয়ই এখন আর যাবি না।তোর বউয়ের শরীর ভালো নেই তুই যাবিই বা কি করে তাই না?
নিবিড় নাদিয়ার দিকে ফিরে,আপু তুই ভুল ভাবছিস।ওর শরীর খারাপ তাতে আমার কি আসে যায়।এই বাড়িতে থাকতে দিয়েছি এটাই তো অনেক।
মোশারফ হোসেন নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে, নিবিড় যা বলছিস ভেবে বলছিস তো? তোর মুখ থেকে আমি এসবের আশা করিনি।সালমা আজ আমরা যাচ্ছি না।প্রিয়তার যেহেতু শরীর ভালো নেই আমরা অন্য একদিন যাবো।
প্রিয়তা এগিয়ে এসে মোশারফ হোসেনের পাশে দাঁড়িয়ে, বাবা তোমরা যাও।আমার ওতোটাও মারাত্মক কিছু হয়নি যে তোমাদের আমার পাশে বসে থাকতে হবে।আর শেফালী আপা তো আছেন।
নাদিয়া প্রিয়তাকে ঝাঁড়ি দিয়ে,আর কতো ড্রামা করবে শুনি? বাবা আমি বলে দিচ্ছি আমরা কিন্তু আজকেই যাচ্ছি!
কথাটা বলে নাদিয়া উঠে চলে গেলো।নিবিড়ও উঠে চলে যেতেই প্রিয়তা পিছন থেকে ডেকে, আপনি না খেয়ে চলে যাচ্ছেন?
নিবিড় গম্ভীর গলায় বললো, তোমার আমাকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে।
নিবিড় রুমে গিয়ে পায়চারী করছে এপাশ থেকে ওপাশ।এই মেয়েটা কি কখনো আমায় বুজবে না?ভালোবাসা তো কখনোই দিতে পারে না।তাই বলে নিজের প্রতিও এতো অবহেলা? কত করে বলে যাচ্ছি নিজের যত্ন নাও।কাজ করার জন্য তো লোক আছেই।দরকার হলে আরও দশটা রাখবো। তারপরও সবার জন্য উনি রান্না করতে গেছেন।থাকো তুমি তোমায় নিয়ে,কে ভাবতো তোমার কথা? শুধু আমার বাচ্চাটা তোমার মাঝে। না হলে দেখতে আজ নিবিড় তোমায় কি অবস্থা করতো।
প্রিয়তা এসে নিবিড়কে বিড়বিড় করতে দেখে,জামা কাপড় ভাঁজ করতে করতে, কি ব্যাপার জীনে ধরেছে?
নাকি দাদীর সাথে কীভাবে প্রেম করবেন সেটা নিয়ে ভাবছেন?
নিবিড় রাগন্বিত টকটকে লাল চোখে তাকিয়ে আছে প্রিয়তার দিকে।
-আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি আপনার জামা কাপড় বের করে দিচ্ছি বলে প্রিয়তা আলমারির দিকে এগুতেই নিবিড় প্রিয়তার হাত টেনে নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে,ঝাঁঝালো স্বরে বললো, আমাকে কি তোমার মানুষ মনে হয় না?কেনো শুনো না তুমি আমার কথা? কি করলে তুমি আমার সব কথা শুনবে?
প্রিয়তা দ্বিধা গলায় বললো, কি হয়েছে আপনার?
-কি হয়েছে তুমি বুজতে পারছো না? কথাটা বলে প্রিয়তার দিকে এগিয়ে যেতেই প্রিয়তা পিছাতে লাগলো।তুমি আবার আমার কথার অবাধ্য হচ্ছো।তোমাকে এক কথা কতবার বুজাতে হবে?
প্রিয়তা ভয়ে ভয়ে, আপনি রাগ দেখাচ্ছেন কেনো? কি করেছি আমি?
-তুমি অসুস্থ তুমি আমাকে আগে জানাওনি কেনো? কেনো জানাও নি, আনসার দাও?
-আমি তো একদম ঠিক আছি।তখন তো মিথ্যা বলেছিলাম।কি করে বুজবো আপনি এতোটা রেগে যাবেন?
– মিথ্যা!
– হ্যাঁ মিথ্যা।
-কিন্তু কেন?
-আসলে আমার যেতে ইচ্ছে করছিলো না।আর এতোটা পথ জার্নি আমার একদম সহ্য হয় না।
নিবিড় নিজেকে কিছুটা সংযত করে,এখন তুমি বাড়িতে একা থাকবে?
-শেফালী আপা আছে তো।
-আমিও কি বুজে বাবাকে তখন হ্যাঁ বলে ফেললাম।ওকে প্রবলেম নেই, আমি বাবাকে বলে দিচ্ছি আমার যাওয়া হচ্ছে না।
নিবিড় পা বাড়াতেই প্রিয়তা হাত ধরে টেনে নিবিড় কে দাঁড় করিয়ে তার বুকে মাথা রেখে,আপনি না গেলে আপু সন্দেহ করবে।ভাববে আপনি আমার জন্যই যাচ্ছেন না।
-কিন্তু প্রিয়তা ওই বাড়ি থেকে আজ আর আসা সম্ভব নয়।রাতে তুমি একা থাকবে কী করে?
-আমি পারবো।আপনি চিন্তা করবেন না।একটা রাতেরই তো ব্যাপার।
নিবিড় প্রিয়তার কপালে চুমু দিয়ে, তোমার অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে শুধু আমার জন্য তাই না।আমার খুব ভয় হয়।
-কেনো?
-ও তুমি বুজবে না।
-আমি জানি।
-কী?
-আপনার ভয় হয় যদি আমি আপনাকে ছেড়ে সত্যিই চলে যাই।
কথাটা বলতেও নিবিড় প্রিয়তার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে,এই কথা আর কখনো আমার সামনে বলবে না।
প্রিয়তা আস্তে করে আঙ্গুল সরিয়ে, ফ্যাসফ্যাসে গলায় বললো, এই যুগে এতো ডিভোর্স কেনো জানেন?
কারণ আমাদের ধৈর্য নেই।ধৈর্য ধরে ভালোবাসার মানুষটার পাশে থাকারই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পারি না।আমাদের জীবনে খুব তাড়া।আমরা মনে করি একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গেলেই মুক্তি। হয়তো নতুন করে নতুন মানুষটার সাথে গুছিয়ে নিবো।কিন্তু আমরা এইটা ভাবি না, মানুষ ফেরেশতা নয়।ভুলত্রুটি সবার মাঝেই আছে।মানুষ দূর থেকে কাউকে দেখলে মনে করে ওই দম্পতিটা খুব সুখেই আছে। শান্তিতে আছে। কিন্তু আমি মনে করি কেউই শান্তিতে নেই।কারো জীবনে কিছু না কিছু দিয়ে অপরিপূর্ণ আছে।দূর থেকে কিছু আন্দাজ করা যায় না।আপুর কথায় যদি আমি আপনাকে ছেড়ে চলে যাই তাহলে সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।আপুর জায়গা থাকলে আমিও করতাম।ইমপ্যাক্ট আমি তনুসার সাথে করেছিও।যখন আপনি আমায় অধিকার দেননি কিন্তু তবুও আমি ছাড় দিইনি তনুসাকে।তেমনি আপুও তো রিসাদকে ভালোবাসে।আমি যদি আপনাকে তখন ভালো না বেসেও তনুসার সাথে খারাপ ব্যাবহার দেখিয়েছি তাহলে আপু তো কমই দেখাচ্ছে সে জায়গায়। আপনি চিন্তা করবেন না।আমি আপুর কথায় যাবো না।আমি গেলে যে এই রাক্ষসটার ভালোবাসা আর পাবো না।জানেন মেয়েরা যদি সত্যিকারের ভালোবাসার স্বাদটা ঠিক মতো বুজে যায় তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত সেই ভালোবাসার জন্য তিলে তিলে নিজেকে ধ্বংস করে দিতেও পারে।হাসতে হাসতে মরতেও পারে।তাই আমি চাই আপনাকে ভালোবেসে সারা জীবন কাটিয়ে দিয়ে।আপনাকে ছাড়া যেনো আল্লাহ আমাকে একটা দিনও দুনিয়াতে না রাখে।
নিবিড় মুগ্ধ চোখে প্রিয়তার দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনছিলো।এই মেয়েটা কীভাবে পারে সবাইকে এতোটা বুজে নিতে? মানুষ সত্যিই কী এতোটা ভালো হয়? হ্যাঁ হয় যদি প্রিয়তাকে না দেখতাম সেটা হয়তো আমার কখনো জানা হতো না।বাবা আজ আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, সেদিন তোমার ডিসিশন ভুল ভেবেই আমি প্রিয়তাকে আপন করতে পারিনি।বাবা তুমি ভুল করোনি। জীবনে বড় ভুল করে ফেলেছি আমি।প্রিয়তাকে দূরে সরিয়ে রেখে।আল্লাহ আপনার কাছে শুকরিয়া আপনি এমন একটা মেয়ে আমার জীবনে দিয়েছেন।
সবাই রেডি হয়ে ড্রইংরুমে নিবিড়ের জন্য অপেক্ষা করছে।নিবিড় রেডি হয়ে জুতা পরছে আর বার বার প্রিয়তাকে সাবধানে থাকার জন্য বলছে।
-আপনি কেনো এতো চিন্তা করছেন বলুন তো? আমি ঠিক সামলে নিবো নিজেকে।
নিবিড় উঠে এসে প্রিয়তাকে জড়িয়ে কপালে চুমু দিয়ে, ভালো থেকো।
প্রিয়তা মোশারফ হোসেনের সাথে কথা বলছে।নিবিড় সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে হাতের ফোন বাজতেই,হ্যাঁ মাহিদ বলো?
-স্যার আপনার এখুনি খুলনায় যেতে হবে।
নিবিড় মাহিদের সাথে অনেকক্ষণ কথা বলে সবার সামনে এসে,স্যরি তোমরা যাও।এই মুহূর্তে আমি খুলনা না গেলে আমার অনেক বড় লস হয়ে যাবে।
মোশারফ হোসেন নিবিড়কে সায় দিয়ে, ঠিক আছে তাহলে তুই গিয়ে ফোন দিস।আর আমরা অবশ্যই সকাল সকাল চলে আসবো।
নাদিয়া এগিয়ে এসে,ভাই সাবধানে যাস। আর হ্যাঁ গিয়েই কিন্তু ফোন দিবি।আল্লাহ তোর সব বিপদ থেকে রক্ষা করুক।নিবিড় সবার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
মোশারফ হোসেন নাদিয়া তারাও সবাই বেরিয়ে পড়লো।রিসাদের কথা উঠতেই নাদিয়া বললো অফিস থেকে রিসাদ ওই বাড়িতে চলে যাবে।এতো চিন্তার কিছুই নেই।কথাটা শুনে মোশারফ হোসেন স্বস্থির নিশ্বাস ফেললেন।
প্রিয়তা সবাইকে বিদায় দিয়ে,উপরে উঠে আসার জন্য পা বাড়াতেই শেফালী এসে,ভাবী তুমি তো তহন কিছু খাও নাই।এহন খাইয়া ফেলো।
-শেফালী আপা,আমি পরে কিছু খেয়ে নিবো।
-আইচ্ছা ভাবী।তয়ে দুপুরে কী খাইবা সেটা তো কইলা না?
-তোমার রান্না করতে হবে না। আমি সামান্য কিছু বানিয়ে দুজনে খেয়ে নিবো।
প্রিয়তা উপরে উঠে চলে গেলো।
নিবিড় কিছুটা পথ যেতেই মাহিদ ফোন দিয়ে মিটিং ক্যান্সেল হয়ে গেছে জানাতেই নিবিড় আবার গাড়ি ঘুরিয়ে বাড়ির পথে রওনা হলো।
রিসাদ অফিসে এসে সকালের কথা মনে হতেই নাদিয়াকে ফোন দিলো।
-নাদু তোমরা চলে গেছো?
– হ্যাঁ রিসাদ।তুমিও অফিস শেষ করে চলে এসো।
-নাদু আমি অবশ্যই আসবো।নিবিড় যায়নি তোমাদের সাথে?
-না। ও তো খুলনায় গেছে দুইদিনের জন্য।আচ্ছা শুনো এখানে নেটের খুব প্রবলেম আমি রাখছি।তুমি তাড়াতাড়ি চলে এসো প্লিজ।
– নাদু আমি অফিস শেষ করেই তাড়াতাড়ি আসছি।
ফোন রেখে রিসাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রিউ মনি আজ তোমার সাথে আমার বুজাপড়াটা যে ফাঁকাফাঁকি ভাবেই করে নিতে হবে। এতো বড় একটা সুযোগ এইভাবে আসবে আমি ভাবতেই পারিনি।কথাটা বলেই রিসাদ অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো।
চলবে,,,,