পরিশিষ্ট পর্ব_২১

0
5966

#গল্পের_নাম: পরিশিষ্ট
#লেখিকা: অজান্তা অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব_২১ (অন্তিম অধ্যায়–প্রথম অংশ)

গ্রামের নাম বদলগাছি।অনেকটা আধুনিক,কারেন্ট আছে!থেকে থেকে কদাচিৎ ইট, সিমেন্টের ঘরবাড়ি দেখা যায়।চারিদিকে সবুজের সমারোহ।মাঠে সবুজ ধানগাছের সারি আর গাছপালার সবজত্ব চারিদিকে ঠিকরে পড়ছে যেন।সবুজ রঙ চোখে অন্য ধরনের প্রশান্তি এনে দেয়!

অহিরা বদলগাছি গ্রামে যখন পৌঁছাল তখন শেষ বিকেল।সূর্য পশ্চিম কোণে ডুবুডুবু!বাস থেকে নেমে মাটির রাস্তা ধরে সবাই সারি সারি হাঁটা ধরলো।মিনিট বিশেক হাঁটলেই বাড়ি পাওয়া যাবে।

ছিনজা খিলখিল করে হাসছে আর দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে।পড়ে টড়ে হাঁটু ছিলে ফেলতে পারে এই ভয়ে রোদেলা চুপসে আছে।সে একটুপর পর ছিনজাকে বারণ করছে।কিন্তু ছিনজা কোনো বারণ শুনছে না।সে কারো হাত ধরে হাঁটবে না।একা একা হাঁটবে,লাফাবে!

রোদেলা পেছন ঘুরে তাকাল।সাদিদের যেন মেয়ের দিকে নজর নেই।সে এখন অহির বাবা আর তার বাবার সাথে হাত নেড়ে নেড়ে গল্প করতে ব্যস্ত।ভালোই ভাব জমে গেছে।

অহি ছিনজাকে থামানোর চেষ্টা করছে।রোদেলা দ্রুত হেঁটে অহির কাছাকাছি হলো।কুটি এখন ছিনজার সাথে সাথে দৌঁড়াদৌঁড়ি করছে।

অহি রোদেলার দিকে চেয়ে হাসিমুখে বলল,

—“আপু কেমন লাগছে?”

রোদেলা অহির হাত চেপে ধরে বলল,

—“অহি রে!আমি ঠিক আছি!অনেক ভালো লাগছে।তোর কি হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে?”

—“না আপু!সামান্য একটু রাস্তা!আপু তোমার খবর বলো!সাদিদ ভাইয়ের সাথে কেমন সময় কাটছে?”

রোদেলা লজ্জা মিশ্রিত চোখে একবার পেছন ঘুরে সাদিদের দিকে তাকালো।সাদিদ তখন তার দিকেই চেয়ে ছিল।চোখে চোখ পড়তে রোদেলা সামনে তাকাল।অহিকে বলল,

—“পিচ্চি!তুই কিভাবে বুঝতে পারলি যে আমার সেই স্বপুরুষ সাদিদ?”

—“আপু সেদিন রিসেপশনে সাদিদ ভাইকে দেখে অজ্ঞান হয়ে যেতেই আমার মনে কিছুটা খটকা লাগে।সাদিদ ভাইয়ের চোখেও কিছু একটা ছিল।তোমাকে নিজের বুকে আগলে নেয়া দেখে আমার কেমন যেন লাগে।তারপর একটু খোঁজ খবর নেই!সব ইনফরমেশন মিলে যায়!তোমাকেও সাদিদ ভাইয়ের ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করলে কেমন ছটফট করো।ব্যস!বুঝে গেলাম।তারপর সাদিদ ভাইয়ের সাথে সরাসরি কথা বলে আরো সিউর হলাম।রোদ্দুর ভাইকেও সব জানালাম।বাকিটুকু রোদ্দুর ভাই সাহায্য করলো।”

রোদেলা হাসলো।মাথা নিচু করে বিড়বিড় করে বলল,

—“তোদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো না।তোদের সাহায্য ফিরিয়ে দিবো।তোদের জন্য সারপ্রাইজ আছে!”

হাঁটতে হাঁটতে তারা বাড়িতে পৌঁছে গেল।পুরনো ভিটে।চারিদিকে প্রচুর গাছগাছালি আর ছনের বনে ঘেরাও করা অদ্ভুত সুন্দর বাড়ি।শাহিনুরকে দেখেই জামিল আর তার বৌ এগিয়ে এলো।বুকে জড়িয়ে নিল সবাইকে।প্রায় বছর দুই পর তারা গ্রামে ঘুরতে এসেছে।শাহিনুরের বাবার কোনো ছেলে ছিল না।ছোটবেলা থেকে ইয়াতিম জামালকে ছেলের নজরে দেখেছে।টুকটাক কাজ করে দিতো সে!

শাহিনুরের বাবা মা মারা যাওয়ার পর জামাল এ বাড়িতেই বউ বাচ্চা নিয়ে থেকে যায়।এখন তার একটা ছেলে পড়াশোনা করে বিদেশে চাকরি করে।প্রচুর টাকা রোজগার করে।জামাল তার ছোট দুটো ছেলেমেয়ে নিয়ে সুখেই আছে!

শাহিনুর ঘুরে ঘুরে বাড়ি দেখলো।তার সঙ্গী হয়েছে কুটি!বাড়িতে দক্ষিণ দিকে একটা টিনের ঘর।মাঝখানে বেড়া দেয়া।একরুমে চকিতে চকচকে চাদর বিছানো।পাশের সামান্য ছোট রুমে প্রচুর খড়ি,লাকড়ি রাখা আছে।সাথে রান্নাঘর।গ্যাসেরও ব্যবস্থা আছে। পশ্চিম আর উত্তর দিক মিলে বিশাল বড় এক তলা বিল্ডিং!সবমিলিয়ে আটটা রুম।মাঝে মাঝে তারা গ্রামে আসে সেজন্য বেশি করে রুম করা হয়েছে।এর মধ্যে দুটো রুমের সাথে এটাচড্ বাথরুম দেখে শাহিনুর খুশি হলো।

—“বড় মা!এতগুলান মানুষ আটটা রুমে আটবো?”

শাহিনুর স্বাভাবিক ভাবে বলল,

—“না হলে তুই আর তোর বড় বাজান উঠানে ঘুমাবি!বাপ মেয়ে রাতের তারা দেখবি!”

—“আপনে কি যে কন না বড় মা!তারচেয়ে আপনে বাজানের লগে সারাডা রাত উঠানে মাদুর পাইতা জোসনা দেখবেন।”

—“আমার জোসনা দেখার বয়স আছে?চল গাধা!খাতা কলম নিয়ে বসতে হবে।অনেক কিছু লিস্ট করতে হবে।খাতা কলম এনেছিস তো?”

—“জে বড় মা!”

বাড়িতে মোটর আছে।দক্ষিণের টিউবওয়েলের সাথে মোটর সেট করে তার সাহায্যে মদিনা ট্রাংকে পানি উঠানো হয়।সেখান থেকে প্রতিটি ওয়াশরুমে পানির ব্যবস্থা করা আছে।শাহিনুর ফ্রেশ হলো সবার পরে।ওয়াশরুমে ঢুকে অবাক হলো।একদম ঝকঝকে।নাহ!কারো সমস্যা হবে না।সবার দিন ভালো কাটবে।

রাতের খাওয়ার পর সবাই গল্প করতে বসলো।রোদেলা মায়ের থেকে লুকিয়ে অহি আর রোদ্দুরকে মুক্ত করে বাইরে বের করে দিল।ছাদে টাদে গল্পগুজব করুক!

সাদিদ রুমের এক কোণায় প্লাস্টিকের চেয়ারে অসহায় ভাবে বসে আছে।একটুপর পর রোদেলার দিকে তাকাচ্ছে।রোদেলার মায়ের কড়া হুকুম এখানে জোড়ায় জোড়ায় থাকা যাবে না!সে ভেবেছিল গ্রামে এলে সময় ভালো কাটবে,এই সুযোগে হয়তো রোদেলার একটু কাছাকাছি ও যেতে পারবে।কিন্তু সমীকরণ পুরো উল্টে গেল।

ছিনজা ঘুমিয়ে পড়েছে।রোদেলা তাকে শুইয়ে দিয়ে মায়ের পাশে বসলো।রোদ্দুর আর অহি বাদে সবাই রুমে আছে।রোদেলা গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,

—“আমি এখন একটা কথা বলবো।কারো প্রেশার যেন হাই হয়ে না যায়।”

বেশ কয়েক জোড়া চোখ তারদিকে বড় বড় করে তাকালো।রোদেলা এক নজর সাদিদের দিকে চেয়ে আবার সামনে তাকালো।তারপর এক নিঃশেষে বলল,

—“আমি ভাবছি কি গরু দিয়ে তো সবাইকে খাওয়ানোই হবে।বড়সড় অনুষ্ঠান তো হবেই।এই উপলক্ষে রোদ্দুরের বিয়ে দিয়ে দিলে কেমন হয়?”

শাহানা চাপা স্বরে বলল,

—“মেয়ে কই পাবি রে রোদু?”

—“মেয়ে আছে তো খালামণি।তোমার মেয়ে।অজান্তা অহি।’

সবার মধ্যে পিনপতন নিরবতা।হঠাৎ আশরাফ হোসেন বলল,

—“মা রোদেলা!রোদ্দুরের পছন্দের মেয়ে আছে।ও একটা মেয়েকে পছন্দ করে।মেয়ে নাকি হিরের টুকরো।কিঞ্চিৎ সমস্যা মেয়ের বাবাকে নিয়ে।মেয়ের বাবার মাথায় একটু সমস্যা আছে।”

রোদেলা আমতা আমতা করে বলল,

—“ঘটনা হয়েছে কি খালু!রোদ্দুর আপনার মেয়েকে ভালোবাসে!ওরা দুজন দুজনকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে।”

কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো ব্যাপারটা ধাতস্থ করতে সবার।তারপর ঘরে ছোটখাটো একটা ভূমিকম্প ঘটে গেল।আশরাফ হোসেন বাজখাঁই গলায় বললো,

—“হলি কাউ!রোদ্দুর তাহলে বলেছে আমার নিউরনে সমস্যা আছে?আমি মেন্টাল?কিন্তু মন ভালো?কি সাংঘাতিক!হবু শ্বশুর মশাইকে পাগল বলে?শাহানা!আমার হাত ধরো?আমি চোখে অন্ধকার দেখছি!’

তার কথা শেষ হতে না হতে শাহিনুর ধমকে বলল,

—“কুটি আমার আইস ব্যাগ নিয়ে আয়।এক্ষুনি মাথার সিঁথি বরাবর চেপে ধর।”

কুটি মুখ ভেঁচকে বলল,

—“বড় মা!আমরা গেরামে আছি।আপনের আইস ব্যাগ ঢাকাত রইছে।কলপাড়ে চলেন।মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালমু!”

—————–

অন্ধকার রাত!মিটিমিটি তারা জ্বলছে আকাশে।গ্রামের শীতল হাওয়া চামড়া ভেদ করে ভেতরে ঢুকছে যেন।দূরে যতদূর চোখ যায় ঘন গাছপালা।গ্রাম্য মাটির অদ্ভুত মিষ্টি বুনো একটা গন্ধ নাকে লাগছে।রোদেলা আর সাদিদ ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।

সাদিদ আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,

—“তোমার মনে হয় না আমার শ্বাশুড়ি মা একটু বেশি বেশি করছে?পর্যাপ্ত রুম থাকতেও কেন আমাকে শ্বশুর আর খালুশ্বশুরের সাথে ঘুমাতে হবে?তাও আবার তাদের মাঝে?”

রোদেলা মুচকি হাসলো।তার মায়ের মাথায় যত্তসব অদ্ভুত অদ্ভুত বুদ্ধি।তিনি কুটিকে সাথে নিয়ে খাতা কলমে একটা লিস্ট করেছে।সুবিশাল সে লিস্ট।যে কয়েকদিন গ্রামে থাকা হয়, রাতের বেলা কে কার সাথে ঘুমাবে সে লিস্ট!লিস্টে সাদিদের নাম পড়েছে তার শ্বশুর দের সাথে। রোদ্দুর আর অপূর্বকে টিনের ঘরটাতে থাকতে বলা হয়েছে।কারণ পরশু দিন রোদ্দুর আর অহির বিয়ে।বিয়ের পাত-পাত্রীদের কাছাকাছি থাকতে দেয়া যাবে না।একজন উত্তর দিকে তো আরেকজন দক্ষিণ দিকে।তার মায়ের কথা সবাই মানতে বাধ্য!

কেমন সব ছেলেমানুষী করে তার মা।কে বলবে এই মেয়ে ছোটবেলায় টপ স্টুডেন্ট ছিল!তার বাবার সাথে দেখা হবার পর তাকে এমন ভালোবাসলো যে পড়াশোনা সব ছেড়ে দিল।তাকে হাজার চেষ্টা করেও পড়ানো যায় নি।রোদেলা হেসে বলল,

—“আমার মায়ের মধ্যে থেকে কিশোরী ভাবটা এখনো যায় নি।দেখলেন না হুট করে গরু জবাই করে গ্রামের মানুষ দের খাওয়াতে চাইলো।আমার বাবাও রাজি হয়ে গেল!”

—“তুমি কার সাথে ঘুমাবে?”

—“ছিনজা, আমি আর অহি!”

—“তাহলে শ্বাশুড়ি মা?”

—“মা কুটির সাথে ঘুমাবে।সাথে হয়তো ফজিলা খালা।কোনো এক অদ্ভুত কারণে মা আ কুটি সবসময় ঝগড়া করে।আবার দুজন কাছাকাছি ও থাকে।”

সাদিদ অসহায়ের মতো বলল,

—“গ্রামে কতদিন থাকতে হবে এভাবে?”

—“চার পাঁচদিন হয়তো বা!কেন আপনার ভালো লাগছে না?”

—“হা হা।অনেক ভালো লাগছে।”

সাদিদের অদ্ভুত হাসির শব্দে রোদেলা তার দিকে তাকাল। তারপর সামান্য একটু এগিয়ে যেতে সাদিদ সাবধান করে বলল,

—“ছাদে রেলিং নেই।এত কিনারে যাবে না!”

রোদেলার পরণে পাতলা শাড়ি।প্রচুর শীত লাগছে তার।অনেক্ক্ষণ হলো দুজন ছাদে।সে শাড়ির আঁচলে দু হাত ঢেকে বলল,

—“নিচে চলুন!আমার শীত লাগছে প্রচুর!”

সাদিদ রোদেলার দিকে তাকালো।আজ আকাশে অর্ধ বৃত্তের মতো চাঁদ।সেই চাঁদের আবছা আলো রোদেলার মুখে এসে পড়েছে।তাকে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে।চুলগুলো হাত খোঁপা করা।কিঞ্চিৎ আলো চুলে পড়েও চিকচিক করছে।তাকে কেমন আলোময়ী লাগছে।সে বার বার সাদিদের জীবনে ফিনিক আলো নিয়ে আসছে।

সাদিদ কেমন ঘোরের মধ্যে চলে গেল।তার অদ্ভুত এক ইচ্ছে জাগছে মনের কোণে।ইচ্ছে টাকে প্রাধান্য দিয়ে দু পা এগিয়ে গিয়ে রোদেলাকে পেছন থেকে জড়িয়ে নিল নিজের বুকের মাঝে!

রোদেলা চমকে উঠলো।তার মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।হাত পা ঠকঠক করে কাঁপছে।তার আটাশটা বসন্তে প্রথম কোনো ছেলে এত কাছে।সেই ছেলেটা আর কেউ নয়! তার ঝাকড়া চুলের স্বপ্ন পুরুষ!

সাদিদ রোদদেলার কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে করে বলল,

—“শীত একটু কমেছে?”

রোদেলা চোখ বন্ধ করে বলল,

—“আমায় ছাড়ুন।দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না!প-পরে যাব কিন্তু! ”

রোদেলার শরীরের কাঁপুনি সাদিদ টের পেল।রোদেলা কেমন নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।সে এক হাতে রোদেলাকে ঘুরিয়ে নিজের বুকে শক্ত করে জড়িয়ে নিল।রোদেলা দুহাতে সাদিদের শার্ট আকড়ে নিজের সম্পূর্ণ ভর তার উপর ছেড়ে দিল।

——————-

আজ অনুষ্ঠান!গরু জবাই করে যোগাড় যন্ত্র হবে।সাথে সন্ধ্যায় গ্রামের মানুষের আশীর্বাদে রোদ্দুর আর অহির বিয়েটা হবে।কিন্তু সূর্যের আলো ফুটার আগেই একটা অঘটন ঘটে গেল।অনুষ্ঠান উপলক্ষে জামাল দূরের গ্যাসের হাট থেকে সে গরুটা এনেছিল, জবাইর আগে পরীক্ষা করে দেখা গেছে গরুর পেটে বাচ্চা।পরে সেটা আর জবাই করা হয়নি।এখন জামাল ছুটছে নতুন গরুর খোঁজে!

শাহিনুর সিঁড়িতে গালে হাত রেখে বসে আছে।কুটি তার পাশে গিয়ে মিনতি স্বরে বলল,

—“বড় মা!মাথায় পানি ঢালমু?”

শাহিনুর চেঁচিয়ে বললো,

—“তোর মাথায় ঢাল যা!”

—“বড় মা!মন খারাপ করচেন ক্যা?এইডা তো শুভ!পীরসাবগো নেক নজর পড়ছে হিম দাদার জীবনে।সেজন্যি গরু পেরেগনেন্ট হইছে।গরুর সংসার হইবো।গরু মা হইবো!এইডা তো ভালা।”

শাহিনুরের মন খারাপ ভাব অনেকখানি কমে গেল।সত্যি তো!গরুটা মা হচ্ছে এটা তো সুখবর!তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বলল,

—“কুটি,এদিকে আয়!তোকে একটা চুমা দেই।”

—“লাগতো না বড় মা!বাজান ডাহে আপনেকে!”

কুটি চলে যেতেই জামাল বিশাল বড় এক ষাঁড় নিয়ে হাজির হলো।কসাইরা সোৎসাহে ছুরিতে ছুরি ঘঁষা দিল।

রোদ্দুর এখনো ঘুম থেকে উঠেনি।সারা রাত শক্ত চৌকিতে তার ঘুম হয়নি।ভোর রাতের দিকে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিল।অহি সবার থেকে লুকিয়ে এক কাপ চা আর বাটিতে একটু নুডলস নিয়ে রোদ্দুরের রুমে ঢুকলো।

রোদ্দুর ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমিয়ে আছে।মুখটা তেলে চিকচিক করছে।আজ তাদের বিয়ে।আজকের সকালটা অহি অন্য ভাবে শুরু করতে চাইলো।সে মুখটা নিচু করে রোদ্দুরের কপালে চুমু খেল!

সরে আসতে নিতে রোদ্দুর চোখ বন্ধ রেখেই তার হাত চেপে ঘুমজড়ানো কন্ঠে বলল,

—“আমি তোকে অনেক অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি রে অজান্তা!”

(চলবে)

গল্পের সমাপ্তিতে এসে গেছি।আজ রাত আটটায় শেষ পর্ব পোস্ট করবো।সাদিদ-রোদেলার বিয়েটা হুট করে হয়ে গেছে। সেজন্য কাউকে দাওয়াত করতে পারিনি।এবার আর ভুল করিনি।রোদ্দুর+অজান্তা(রোজান্তা) এর বিয়েতে সবার দাওয়াত রইলো।আপনাদের সবার বাসায় বহু আগেই কুরিয়ার করে বিয়ের কার্ড পাঠানো হয়েছে।আজ বিকেলের মধ্যে রাজশাহীর বদলগাছি (যদিও এই নামে গ্রাম আছে কি না সন্দেহ) গ্রামে চলে আসবেন!🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here