পাগল প্রেমিকা পর্ব-১০

0
503

#পাগল_প্রেমিকা
#পর্ব_১০
#sharmin_akter_borsha
শুভ ভাইয়ার কথা শুনে চোখ থেকে বেয়ে অটোমেটিক পানি গড়িয়ে পরল এত বড় ধোঁকা….
শুভ ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম!
ভাইয়া দীপ্তর অরিজিনাল নাম কি নিলয়?
শুভ ভাইয়াকে আমার প্রশ্ন শুনে মৃদু হেসে উত্তর দিলেন।
আরে জান্নাত তুমি আমাকে ভাইয়া বলো না আমরা সবাই সবার বন্ধু বুঝেছো। নাহ দীপ্তর রিয়েল নাম রিমন… রিমন হাসান আর দীপ্ত তো বাংলাদেশে নেই মালদ্বীপে আছে। শুভ ভাইয়ার কথা আমার এক কান দিয়ে সুন্দর করে ঢুকলেও অন্য কান দিয়ে আগুনের মতো বের হচ্ছে। মানে কি এক মাস ধরে আমি রিমনকে নিলয় নিলয় করছি। ও বলেছে ওর নাম নিলয় কিন্তু ওর নাম যে রিমন। ভাবতে ভাবতেই কল কেটে দিলাম মিথ্যে কেনো বলল নিলয় ওর নাম ওর পরিচয় কেনো? রাতে নিলয় মানে রিমন কল দিলে ওকে জিজ্ঞেস করি তোমার নাম মিথ্যে কেনো বলেছো আমাকে নিলয়? সে প্রতিউত্তরে বলে আমার নাম নিলয় না আমার নাম রিমন হাসান। ওর কথায় প্রচন্ড রেগে গেলাম আর বললাম। রিমন হাসান তোমার নাম তাহলপ আগে কেনো বলোনি যখন আমি জানতে চেয়েছিলাম এখন কেনো বলছো তোমার নাম আর তোমার নাম আমাকে মিথ্যে কেনো বলেছিলে?
আমার একটা কথারও নিলয় উত্তর দেয় না কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে.! কারণ ছিলো তাই নামটা বলে পারিনি। আমি আবারও জিজ্ঞেস করলাম। কি কারণ ছিলো যে আমাকে নামটা মিথ্যে বলতে হলো। নাম ছাড়া আরও কি কি মিথ্যা কথা বলেছো তুমি আমাকে?
এখন এইসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগছে না।
আমার এদিকে চোখ দিয়ে পানি পরছে যাকে এট বেশি ভালোবাসি তার নামটাই ছিলো মিথ্যে মনে গেঁথে গিয়েছিল নিলয় নামটা সেটা আয়নার মতো এক নিমিষেই ভেঙে গেলো। তারপর আমাদের তেমন কথা হতো না রিমন খুব ভালো করেই বুঝতে পেরে যায় বৃষ্টি রিমন বলতে পাগল বৃষ্টি রিমনকে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছে সেটা বুঝে রিমন বৃষ্টি কে একটু একটু নিজের থেকে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে অবহেলা করে সাথে ইগনোর করে। কিন্তু বৃষ্টি রোজ মেসেজ করে রাইটার বাবু আই লাভ ইউ, মিস ইউ, কেমন আছো, কি করছো, খেয়েছো, ইচ্ছে হলে রিপ্লাই করতো ইচ্ছে হলে করতো না। প্রতিদিন রাত ৩ টা চারটা পর্যন্ত ওয়েট করতে লাগতো বৃষ্টি গ্রুপে কথা শেষ হলে এই বুঝি রিমন ওকে কল দিবে। কিন্তু রিমন গ্রুপে কথা শেষ করতো ৩/৪টায় তারপর ঘুমিয়ে যেতো বৃষ্টি ও গ্রুপ কলে জয়েন্ট হত শুধু রিমনের ভয়েস শোনার জন্য কিন্তু রিমন সেদিকে পাত্তা দিচ্ছে না। ইচ্ছে হলে কল দিতো আবার ইচ্ছে না হলে নাই। নিজের কথাই শেষ কথা নিজে না বুঝবে সেটাই সঠিক বাকিদের কথার কোনো মূল্য নেই৷ দীপ্ত রেগে গেলে গ্রুপের সবাইকে বকতো, আমাকে বকতো না তবে একবার ধমক দিয়ে ছিলো…
আমাকে একটা পিক দিয়েছিল আর আমি পিকটা দেখিনি তাই সে রাগ করে। আমি কিছু বলতে গেলে সে ধমক দিয়ে বলে।।
ওই চোপ……
রিমনের ফাস্ট ধমক খেয়ে আমি তো পুরাই গলে গেছিলাম জমে গেছিলাম বরফের মতো আল্লাহ এত ভয়ংকর শোনা গেছে কি বলবো আমার চোখ দিয়ে তো পানিও চলে আসছিলো। কান্না চলে আসছিলো অভিমানি সুরে রিমন বলে। ওই চোপপপপ…. (ধমক ছিলো এইটা ধমক দিয়ে বলে) অন্য কিছু বল একদম চুমু দিবি না। আমি আনলিমিটেড চুমু দিতে ছিলাম তখন আর ঠাস কইরা ধমক খাইয়া ঠুসস কইরা চুপ হয়ে যাই। খুব কষ্ট লাগে একদম কলিজায় গিয়ে লাগে ধমক টা কি বলবো অন্য কিছু ধমক খেয়ে কেঁদে দিছি কোনো কিছুই বলছি না দু’জনেই নিরবতা পালন করছি
বেশ কিছুক্ষণ দু’জনেই চুপ করে থাকি। এখনও মাঝেমধ্যে আমি রিমনকে নিলয় বলে ডেকে ফেলি। আমি এতদিনে এখনও রিমনকে দেখিনি। ফাজিলটার ছবি তো চেয়েছিলাম কিন্তু দেয়নি৷ এদিকে রিমন এর প্রতি আমার ভালোবাসা দিনদিন বেড়েই চলেছে। মাথায় সারাদিন রাত ঘুমের মধ্যেও শুধু রিমন ঘুরে মনের মধ্যে রিমন এর প্রতি তীব্র ভালোবাসা জাগে। রিমনকে কপি করে ওর দীপ্ত চৌধুরী আইডি কপি করে সেম দিয়া চৌধুরী আইডি নামে আইডি খুলি আর রিমন হাসান আইডি নামে রোমোনা হাসান! আইডি দুইটা খোলার পর অনেক শান্তি লাগছিল। আমার আইডিতে শুধু রাইটার বাবু লিখেই পোস্ট হত গ্রুপের সবাই আমার কাছে এতবার রাইটার বাবু নাম শুনছে যে ওরাও জোর করে আমি জেনো ওদেরকে বলি কে আমার এই রাইটার বাবু যার জন্য আমি এত পাগল সারাদিন ওর নামই জপ করি। কিন্তু রিমন বলেছিল গ্রুপের কেউ যাতে না জানে তাই আর কাউকে বলতে পারছিলাম না। কিন্তু কয়েকটা Over smart আপু গুলা একটু একটু সন্দেহ করে। যে আমার রাইটার ওদের দীপ্ত সিউর হওয়ার জন্য আমাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করে কিন্তু আমি বলি না হিহিহি। এভাবেই আমার লাভ স্টোরি চলতে থাকে আমি সারাদিন রাইটার বাবু করতে করতে মরে যাই। আমার অবস্থা দেখে কাব্যর সন্দেহ বিশ্বাসে পরিনত হয়৷ কাব্য বুঝে যায় হয়তো আমি কারো সাথে প্রেম করছি। বর্ষা রিমাকে একদিন ছাঁদে নিয়ে যায়। ছাঁদের দরজা আটকে দিয়ে হাতে একটা মোটা লাঠি নিয়ে নিজের পায়ে মারতে মারতে ওদের সামনে যায় আর জিজ্ঞেস করে।
বৃষ্টি প্রেম করছে তাই না আর এটা তোরা দু’জন জানিস সত্যি টা এখন তোরা বলবি আর নয়তো এই লাঠি তোদের গায়ের উপর পরবে।
আমরা সবাই জানি কাব্য দুষ্টামির সময় দুষ্ট হলেও যখন কোনো সিরিয়াস কথা বলে তখন ও সিরিয়াস মুডে থাকে তখন ওর কথা মত সব না হলে কাব্য অনেক রেগে যায়। আর উল্টা পাল্টা কাজ করে ফেলে। রিমা ওরা কাব্য কে না বললে সত্যি কাব্য ওদের মারতো। বর্ষা চুপ করেছিল কিন্তু রিমা লাঠির ভয় পেয়ে কিছুটা একটু একটু কাব্য কে বলে। যেমন-
ভাইয়া আমরা বেশি কিছু জানি না শুধু এতটুকু জানি বৃষ্টি একটা ছেলেকে সত্যি অনেক বেশি ভালোবাসে আর তার জন্য অর্ধেক পাগল হয়ে গেছে ছেলের সম্পর্কে কিছুই জানে না। ছেলেটা কে রাইটার বাবু বলে ডাকে। কথাগুলো বলে রুমা বুকে হাত রেখে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলছিল। কাব্য রিমার কথা কিছুটা বিশ্বাস না করলেও পরে বলে।
ছেলেটা কি লেখক? কাব্যর কথা শুনে বর্ষা বলল।
হ্যাঁ ভাইয়া সারাদিন ওই ছেলের লেখা গল্পই পড়ে।
বর্ষার কথা শুনে কাব্য আবারও বলল,
লেখক ছেলেটার নাম কি আর আইডির নাম কি? আমি কথা বলবো তার সাথে!
কাব্যর কথা শুনে রিমা বর্ষা একসাথে জোট হয়ে দাঁড়ালো দু’জনেই দু’জনের হাত চেপে ধরে আছে। বর্ষা তোতলাতে তোতলাতে বলল।
কাব্য ভাইয়া আমরা আর কিছু জানি না।
কাব্য ভ্রু কুঁচকে তাকালো বর্ষার মুখের দিকে আর ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল!
আর কিছু জানিস না তাহলে এভাবে কাঁপছিস কেন তোরা?
বর্ষা রিমা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনই সেখানে Entry হলো বৃষ্টির। দরজার অপর পাশ থেকে বৃষ্টি বলছে। ভেতরে কে আছো দরজা খোলো! বৃষ্টির কথা শুনে কাব্য একবার ঘুরে পেছনে দরজার দিকে তাকালো তারপর রিমার দিকে ঘুরে ভ্রু দিয়ে ইশারা করল গিয়ে দরজা খুলে দিতে।
রিমা হেঁটে এসে দরজা খুলতেই বৃষ্টি বাদরের মতো লাফ দিয়ে ভেতরে ঢুকে হেব্বি খুশি। ভেতরে ঢুকে বৃষ্টি দেখল কাব্য হাতে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখ দিয়ে ইশারা করলো ওর সামনে যেতে, বৃষ্টি হেঁটে কাব্যর সামনে গিয়ে দাঁড়াল সাথে দুই হাত দিয়ে সামনে আসা চুলগুলো ধরে স্টাইলের সাথে পেছনে ছুঁড়ে মারল আর এটিটিউট নিয়ে বলল। কি বলবি বল আমার আবার অত সময় নেই তোর বকবক শোনার অনেক কাজ। বৃষ্টির কথা শেষ হতে দেরি হয় কিন্তু কাব্যর লাঠি চালাতে নয়। ঠাসস করে লাঠি ঘুরিয়ে বৃষ্টির পায়ে মারে। বৃষ্টি আউচ বলে শব্দ করে চোখ বড়বড় করে দুইহাত কোমড়ে রেখে রাগে কটমট করতে করতে বলে।
সমস্যা কি তোর মারলি কেন? বৃষ্টির কথা শুনে কাব্য বলে, এই যে তুই প্রেম করছিস তাই খুশিতে মারছি। তুই যে প্রেম করছিস তোর বাড়ির লোক জানে? বলবো নাকি তাদের হাড্ডি-গুড্ডি একখানে করে ফেলবে পিটিয়ে।
কাব্যর কথা শুনে বর্ষা রিমা বলে। ভাইয়া প্লিজ বাড়ির কাউকে কিছু বলিস না প্লিজ।
কাব্য একটু স্টাইল নিয়ে বলল৷ আমি তো বলবোই!
বলে চলে যাচ্ছে কাব্য কে চলে যেতে বৃষ্টি পেছন থেকে ডেকে বলল।
ওই দাঁড়া সবাই কে বলার আগে এই ছবিটা তো একটু দেখ। কাব্য বৃষ্টির কথা শুনে আবারও হেঁটে আসে আর বলে কি দেখাবি তারাতাড়ি দেখা। বৃষ্টি মুচকি হেঁসে মোবাইল থেকে কিছু স্কিনশোট আর কাব্যর একটা মেয়েকে জরিয়ে ধরা পিক দেখালো পিকগুলো দেখে কাব্য হয় করে তাকিয়ে আছে বেচারা কি বলবে।
কাব্য কে চুপ থাকতে দেখে বৃষ্টিই বলল।
শোন কাব্য ভাই ভাইয়ের মতো থাক ভুলে যাস না তুই আমারই বেস্ট ফ্রেন্ডের বয়ফ্রেন্ড তাই তোর এইসব ভালোবাসার নেকামি বাড়ির লোককে দেখালে তোর কি হবে ভাবতে পারছিস ঠাসস করে লাথি মেরে বাড়ির বাহিরে তোকে বের করে দিয়ে ঠুসস করে দরজা আটকিয়ে দিবে। তাই তোর জন্য ভালো এটাই হবে তুই চুপই থাক। বলেই চোখ টিপ মারলো। বৃষ্টির কথা শেষ হলে রিমা আর বর্ষা বলে।
ছিহহহ ভাইয়া তুই আর এইসব আমরা ভাবতেও পারিনি। এতদিন না তুই নিজেকে সিঙ্গেল দাবি করতি তাহলে সেসব ঢং ছিলো বৃষ্টি না বললে তো আমরা জানতামই না। কথাটা বলার সাথে সাথে বৃষ্টি বর্ষা রিমা খিল খিল করে হেঁসে দিলো। ওদের তিনটাকে হাসতে দেখে কাব্য বললো। তবে রে আজকে তোদের তিনটাকে মেরেই ফেলবো। কথাটা বলে কাব্য বর্ষা বৃষ্টি রিমার পেছনে ছুটতে লাগল। বর্ষা বৃষ্টি রিমা উড়াধুড়া দৌঁড় এক দৌঁড়ে সবগুলা ছাঁদ থেকে নিচে চলে যায়। এখনও কাব্য ওদের পেছনে দৌঁড়াচ্ছে বৃষ্টি বর্ষা রিমা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে আর পুরো বাড়ি হাসিতে খিলখিল করছে। দৌড়াতে দৌড়াতে বর্ষা রিমার আম্মুর পেছনে লুকিয়ে পরে রিমা দাদুর রুমে ঢুকে যায় আর রুমের মধ্যে লুকিয়ে পরে। এদিকে বৃষ্টি দৌড়াতে দৌড়াতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে পেছনে ঘুরতে নামতে যাবে তখনই এক পায়ের সাথে আরেক পা লেগে পরে যেতে নেয়। ঠিক তখনই বড় চাচ্চু মানে বৃষ্টির আব্বু হুট করে নিচ থেকে বৃষ্টি কে ধরে ফেলে। আল্লাহ একটুর জন্য বৃষ্টির কিছু হয় নাই আর নয়তো পরলে হাত পা ভাঙতো। চাচ্চু বৃষ্টি কে ধরে কিছুক্ষণ কাব্যর দিকে তাকিয়ে থেকে চলে গেলো।
চাচ্চু যেতে পুরো বাড়িতে আবারও খিলখিল হাসির শব্দ। এবার বাড়ির ছোটো বড় সবাই কাব্যর উপর হাসছে কেনো হাসছে কেউ জানে না হুদ্দাই হাসছে সবাই। শুরু করেছে বৃষ্টি তারপর বর্ষার তারপর রিমা ওদের তিনজনকে হাসতে দেখে কেউ কারো হাসি চেপে রাখতে পারেনি সবাই হাসতে শুরু করে কাব্য নিজের অপমান সহ্য করতে না পেরে হনহনিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলেগেলো। এদিকে সন্ধ্যায় বর্ষা রিমা বৃষ্টি রুমের মধ্যে আড্ডা দিচ্ছিল তখনই রিমার মা ছোট চাচি আসল আমাদের রুমে আর এসে বলল।
কাব্য সবার জন্য মুগলাই এনেছে আর আমাদের ডাকছে। মুগলাই আমাদের তিনজনের খুব প্রিয় কিন্তু বৃষ্টির জন্য যেতে পারছি কারণ তখন কাব্য রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছিল আর এখন ওর আনা মুগলাই খেতে গেলে বৃষ্টি সহ বর্ষা রিমাকে একটু তেরা কথা শুনতে হবে। তাই তিনজনেই যাবে না বলে দিছে।
চাচু ও রুম থেকে বের হয়ে চলে যায়।
কিছুক্ষণ পর রুমের দরজায় কেউ একজন নক করছে। বর্ষা রিমা বৃষ্টি মাথা ঘুরিয়ে তাকালো তাকিয়ে দেখল দরজার সামনে কাব্য নাহিদ অপূর্ব দাড়িয়ে আছে। আর মুচকি হেসে বলছে। আমাদের বোনরা না খেলে আমরা কি খেতে পারি চল। ওদের তিনজনের কথা শুনে বৃষ্টি রিমা বর্ষা হেঁসে দেয় আর ওদের সাথে নিচে চলে যায়। নিচে এসে আরও এক কান্ড এবার তো শুরু হইছে তিন তিন ছয় জনের মুগলাই নিয়ে যুদ্ধ ওরে আল্লাহ এ এটা খাবে ও ওটা খাবে এটা ওর ওই পিছ ওর শেষের পিছ আরেক জনের এ কি মহা যুদ্ধ।
মুগলাই খাওয়ার চেপ্টা শেষ হলেই সবাই বৃষ্টি কে চেপে ধরে এত মোবাইলে কি সারাদিন। বৃষ্টির অবস্থা দেখে বর্ষা রিমা কেটে পরে সোজা এক দৌঁড়ে রুমে চলে যায়। রুমে বসে বসে আড্ডা দিতাছে এদিকে রিমা ওড়নার নিচে ৩পিছ মুগলাই লুকিয়ে নিয়ে আসছে আস্তা চুন্নি।
কিছুক্ষণ পর হঠাৎ বৃষ্টি রুমে দৌঁড়ে ঢুকে আর বলে…

চলবে….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here