পাগল প্রেমিকা পর্ব-১৬

0
1037

#পাগল_প্রেমিকা
#sharmin_akter_borsha
#পর্ব_১৬
________
আর জোর করে ডাইনিং টেবিলে খাওয়ার জন্য নিয়ে গেলে সবার প্রশ্ন শুরু হয়।
এইভাবে চলছে কেনো খাচ্ছে না কেনো নিজের যত্ন কেনো নিচ্ছে না চোখ মুখ এমন দেখা যায় কেনো কি হয়েছে!
কারো প্রশ্নের কোনো উত্তর কারো কাছে নেই!
কেউ কাউকে না দেখে এত ভালোবাসতে পারে বৃষ্টি কে দেখলে বুঝতেই পারতাম না। বৃষ্টির ভালোবাসা জেনো দিন দিন বেড়েই চলেছে প্রতিদিন বৃষ্টি রিমনের হাতে পায়ে ধরতো মেসেজেই একটু কথা বলার জন্য কিন্তু রিমন বলতো না।৷ এদিকে বৃষ্টি রিমনের এতটা অবহেলা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। সব সময় শুধু কেঁদেই যেতো খাবার টেবিলে খেতে বসলে সবার সামনেই রিমন এর কথা ভেবে কেঁদে ফেলে সবাই অবশ্য অবাক হয় কাব্য বেপারটা সামলে নেয়। কিন্তু বৃষ্টির এমন আচরণে সন্দেহ হয় বৃষ্টির বাবার কারণ উনি উনার মেয়েকে সব থেকে বেশি ভালো করে চিনেন এমনি এমনি কখনো বৃষ্টি কাঁদে না আর কয়েক দিন ধরে ওকে দেখেও মনে হচ্ছে না বৃষ্টি ঠিক আছে।
সেদিন রাতে ঠিক কয়টা বাজে মনে নেই।
বর্ষা, রিমা, কাব্য, নাহিদ, অপূর্ব বসে কথা বলছে কি এমন করছে বৃষ্টি আগের মতো হবে। পাঁচ জনে পাঁচ রকমের আইডিয়া দিলো কারো টাই কারোর ভালো লাগলো না। এমন সময় অনেক জোরে শব্দ আসলো বৃষ্টির রুম থেকে সবাই দৌঁড়ে বৃষ্টির রুমের সামনে যায় রুম ভেতর থেকে আটকানো। কিন্তু ভেতরে অনেক কিছু ভাঙচুরের শব্দ আসছে কি ভাঙছে ভেতরে সবাই বাহির থেকে দরজা ধাক্কাচ্ছে বারবার ডাকছে দরজা খোলার জন্য কি হয়েছে এমন কেনো করছে? কাব্য, নাহিদ, অপূর্ব অনেকবার দরজা ভাঙার চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি। ততপর অপূর্ব বলল.
বেলকনি দিয়ে বৃষ্টির রুমে যাওয়া যায় আমি গিয়ে দরজা খুলছি! অপূর্বর কথায় নাহিদ বলল। আমিও যাবো। বৃষ্টির আম্মু কাঁদতে কাঁদতে বলল.! তোরা তারাতাড়ি গিয়ে দরজা খোল কি হয়েছে আমার মেয়েটার!
নাহিদ একটু সাস্থ্য ভালো হওয়ার জন্য পাইপ বেয়ে উপরে উঠতে পারেনি কিন্তু অপূর্ব পাইপ দিয়ে উপরে বৃষ্টির রুমের বেলকনিতে চলে যায়। বেলকনি থেকে রুমে ঢুকে অপূর্ব যা দেখলো সেটা মোটেও দেখার জন্য অপূর্ব প্রস্তুত ছিলো না। দৌঁড়ে গিয়ে অপূর্ব বৃষ্টি কে ধরে এক হাত আর টানতে টানতে দরজার সামনে নিয়ে আসে তারপর অন্য হাত দিয়ে দরজা খুলে দেয় বৃষ্টি অপূর্বর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে অপূর্ব হাত ছুটে যায় আর বৃষ্টি ফ্লোরে পরে যায় ওর এক হাত গিয়ে কাঁচের উপর পরে ইশশ😖 যা অবস্থা হয়ে ছিলো বলার বাহিরে কাব্য ও সবাই রুমে ঢুকতে দেখল পুরো জঙ্গল বানিয়ে ফেলেছে রুম টাকে। বিছানার উপরের বালিশ কোলবালিশ কম্বল বিছানার চাদর সব কিছু নিচে ফেলে রাখছে ডেসিনটেবিলের সবকিছু ফেলে দিয়েছে ওয়ারড্রবের উপরে রাখা সব কিছু নিচে ফেলে দিছে ওয়াল সুকেসের কাচ ভেঙে ফেলছে আর সেই কাঁচের উপরেই হাত পরেছে। বর্ষা রিমা বৃষ্টির আম্মু গিয়ে বৃষ্টিকে ধরে তুলতে দেরি হয় কিন্তু কাব্যর বৃষ্টির দিকে তাকাতেই রাগে শরীর ফুলে যাচ্ছিল আর তখনই এসে….
কাব্য এসে বৃষ্টির হাত ধরে টান দিয়ে ওর দিকে ঘুরিয়ে কষে বৃষ্টির আম্মু গালে দেয় এক থাপ্পড়, থাপ্পড় টা এত জোরেই মেরেছিল যে বৃষ্টি তাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পরে গিয়েছিল সাথে সাথে ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছিল তখন কাব্য অনেক রেগে ছিল বৃষ্টি কে তুলে আবারও অন্য গালে দিলো আরেক থাপ্পড় বৃষ্টি আবারও পরে গেলো। বৃষ্টি কে আবার মারতে আসলে পেছন থেকে নাহিদ অপূর্ব কাব্যকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে এদিকে বৃষ্টির আম্মুকে বৃষ্টি কে জরিয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে। এইসব কি কেনো করছে আর চুল. এত লম্বা লম্বা চুল কোমড় ছাড়িয়ে ছিলো বৃষ্টির খুব প্রিয় ছিলো ওর চুল আর সেটাই কেটে গাড় পর্যন্ত ছোট করে ফেলেছে আর তা দেখেই কাব্য এত রেগে যায় রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরেই বৃষ্টির গায়ে হাত তুলে প্রথম। কাব্য কে নাহিদ অপূর্ব ধরে রেখেছে, কাব্য রাগে চিৎকার করে বলে।

“কি পেয়েছে টা কি ও ওর যা ইচ্ছা তাই করবে কখনো হাত কাটবে কখনো মোবাইল ভাঙবে কখনো রুমের জিনিসপত্র ভাঙচুর করবে আর চুল কেটে ফেলবে সমস্যা কি ওর কি পেয়েছে কি ও ওই চরিত্রহীন ছেলের
মধ্যে যার জন্য এত পাগলামো করছে দেখেছে একবারও ওর চেহারা আয়নাতে পুরো রাস্তার পাগল লাগছে ও কি বুঝে না অবুঝ ও একটা ছেলের জন্য নিজের ক্ষতি করছে এটা জেনেও ছেলেটা ওকে ভালোবাসে না, একটা খারাপ ছেলের জন্য এত কিছু কেনো করছে ও ওকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো!”
বৃষ্টির চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পরছে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কাব্যর দিকে এত কিছু কি করে জানলো কাব্য এদিকে বৃষ্টির দুই গালে হাত দিয়ে বৃষ্টির আম্মু জিজ্ঞেস করল কোন ছেলে কাকে ভালোবাসে আর এত কিছু কি ওই ছেলের জন্যই করছে? বৃষ্টি ওর আম্মুর দিকে দুইচোখ ফেলফেল করে তাকায়। ওর আম্মুর দিকে তাকিয়ে বৃষ্টি চিৎকার করে কেঁদে দেয়। বৃষ্টির আম্মু ও ওকে জরিয়ে ধরে। কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টির রুমে ওর আব্বু চলে আসে অফিস থেকে ফিরতে আজ একটু লেইট হয়ে গিয়েছিল। আর এসেই ক্লান্ত শরীর বিছানার সাথে হেলিয়ে দেয় বিছানায় শুতে ঘুমিয়ে পরেম বৃষ্টির রুমে এত চেচামেচি শুনে ঘুম ভেঙে যায় আর বৃষ্টির রুমে আসেন আর রুমে প্রবেশ করতেই উনার মাথায় জেনো আকাশ ভেঙে পরে। রুমে ঢুকে কাব্যর কাছে সব জানতে চায় কাব্য ও চাচ্চু কে সব বলে দেয়। বৃষ্টির আব্বু বৃষ্টির পাশে হাঁটু গেঁড়ে বসেন আর বলে।
“কাব্য যা বলে সব সত্যি? ”
বৃষ্টিও মাথা নাড়িয়ে হাবোধক ইশারা করে। বৃষ্টির হা উত্তর পেয়ে বৃষ্টি কে কিছু কথা জিজ্ঞেস করে।
“ছেলের নাম কি, বাড়ি কোথায়, থাকে কোথায়, কি করে এইসব..”
কিন্তু বৃষ্টি ওর আব্বুর একটা প্রশ্নের ও উত্তর দিতে পারে না কারণ ও শুধু ওর নামটা জানে আর বাসা গাজীপুর এতটুকুই আর কিচ্ছু জানে না আজ পর্যন্ত দেখেওনি। বৃষ্টি উত্তরে তুতলিয়ে বলে।
“আ.. আমি চিনি না জানি না কখনো দেখিওনি শুধু ফোনে কথা হয়েছে.! শুধু জানি গাজীপুর এ কোথাও বাড়ি আর জব করে দেশের বাহিরে! ”
বৃষ্টির আব্বু ছেলের নাম জিজ্ঞেস করলে বৃষ্টি নাম বলে।
“দীপ্ত চৌধুরী”
এই নামটা যে রিয়েল না ফেইক সেটা শুনেই সবাই বুঝতে পেরেছে। রিয়েল নাম বৃষ্টি জানে কিন্তু কাউকে বলেনি কারণ কেউ জানতাম না তখন।
বৃষ্টির এমন অবস্থা দেখে চাচ্চু আর কথা বাড়ায় না। রিমা কে ইশারা করে ফাস্টএইড বক্স নিয়ে আসতে। নিজে হাতে মেয়ের ক্ষত জায়গায় ঔষধ লাগিয়ে দেয়।
বৃষ্টি কে নিয়ে অন্য রুমে চলে যায়। পুরো রাত কেউ ঘুমায়নি সবাই বৃষ্টি কে অনেক কিছু বোঝায়।
বৃষ্টি ওর আব্বুকে জরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। ওর আব্বু ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় বাকিরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিল কাব্য এখনো রেগে আছে। সব শেষে বৃষ্টি ওর আব্বুকে বলে আর কখনো ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করবে না। সামনেই ছিলো বৃষ্টির HSC EXAM আর তার আগে এমন ঘটনা মনের অবস্থা বুঝা বড় দায়। বৃষ্টি সেদিনের পর আর ওই ছেলের সাথে যোগাযোগ করে না কিন্তু বৃষ্টির মন থেকে ছেলেটার প্রতি ভালোবাসা কোনো ভাবেই কমছিল না। কোনো ভাবেই ভুলতে পারছিল না বৃষ্টি ওর রাইটার বাবুকে Exam Hall এ এক হাত দিয়ে Question paper লিখছিল অন্য হাত দিয়ে চোখের পানি। রাতের আঁধারে সবার আড়ালে বালিশে মুখ গুঁজে কেঁদে অনেক রাত মাঝরাতে একা ভয়কে জয় করে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখেছে সাথে ছিল ওর সঙ্গী চোখের পানি। অনেক মিস করতো ছেলেটা কে প্রতিদিন প্রতি সেকেন্ড কিন্তু কোনো অধিকার ছিল না তার প্রতি যাকে এত ভালোবাসে পাগলের মতো ভালোবেসে ছিলো কিন্তু সে বুঝেনি। হাজার বারেরও বেশি ভালোবসি ভালোবাসি বলেছিল বৃষ্টি রিমনকে কিন্তু রিমন প্রতিউত্তরে বলেছিল I HATE LOVE…. বৃষ্টির ফিলিংস এর কোনো মূল্য দেয়নি রিমন দেরিতে হলেও বৃষ্টি সেটা বুঝতে পারে।

ওইদিন রাতের ঘটনা…
বৃষ্টি কিছুটা জোর করার পর রিমন ওর সাথে কথা বলবে বলে রাজি হয় আর তারপরেই অন্য একটা গ্রুপে রিমন বৃষ্টি কে এড করে সেখানে অনেক মেয়ে ছিল সাথে ছেলেও ছিল। ওই গ্রুপটাতে রিমন বৃষ্টি কে কলে আসতে বলে আর বৃষ্টি কলে যেতে রাজি হয় না। কারণ বৃষ্টি ওর রাইটার বাবুর সাথে আলাদা কথা বলতে চেয়েছিল একটু তার ভয়েস শুনতে চেয়েছিল সেটা একান্ত কোনো গ্রুপে নয়। আর সেই বিষয়টা রিমনের একটুও পছন্দ হয়নি। রিমন ইনবক্সে বৃষ্টি কে বলে.!

“তোকে কলে আসতে বলছিলাম কলে কেনো আসলি না?”

বৃষ্টি মেসেজের রিপ্লাই করে! “আমি তোমার সাথে একা কথা বলতে চাই গ্রুপে গিয়ে না”

বৃষ্টির কথায় রিমন অনেক রেগে যায় আর বলে।

“তোর সাথে আমার কিসের কথা তুই আর কখনো আমাকে ডিস্টার্ব করবি না. ”

রিমনের মেসেজ সিন করতেই বৃষ্টির রাগে মাথা ফেটে যায় আর নিজেই নিজেকে বলল..
“শুধু মাত্র কলে না যাওয়ার জন্য এই কথা বলল কি পেয়েছে টা কি আমাকে ও যা বলবে সব সময় তাই হবে আমার ফিলিংস এর কোনো মূল্য নেই”
কথাটা শেষ করেই বৃষ্টি বলল।

“ঠিক আছে আমি আপনাকে আর কখনো ডিস্টার্ব করবো না”
Happy?

কথাটা বৃষ্টি অন্য কিছু ভেবে বলেছিল। ভেবেছিল হয়তো বলবে না আমি হ্যাপি না কথা বলতে হবে তোকে কিন্তু রিমনের মেসেজ দেখে বৃষ্টি সত্যিই কেঁদে দেয় মেসেজ.

“হ্যাঁ হ্যাপি..!”

যা দেখার পর বৃষ্টি নিজেকে সামলাতে পারে না। আর সব ভাঙচুর করে। চুল কাটে কারণ রিমন বলেছিল লম্বা চুল ওর অনেক পছন্দ আর চুলের দিকে তাকাতেই রিমনের বলা সেই কথাটা মনে পরে যায় যার ফলে কোনো কিছু না ভেবে চুল কেটে ফেলে। বৃষ্টি ওর পুরো ফ্যামিলির সাপোর্ট পেয়েছিল তাই স্বাভাবিক হতে বেশি সময় লাগেনি কিন্তু মন থেকে বৃষ্টি আজও সেই চরিত্রহীন ছেলেটাকেই ভালোবাসে আজও তার ফিরে আসার অপেক্ষা করে আজও তাকেই কল্পনা করে বৃষ্টির সবটুকু ভালোবাসা আজও ওই রাইটার বাবুকে ঘিরেই. এমন কোনো দিন নেই বৃষ্টি ওর রাইটার বাবুর আইডিতে যায়নি অনেকবার চেয়েছিল রিকুয়েষ্ট দিতে কথা বলতে কিন্তু তখনই মনে পরে যেতো সেই রাতের বলা কথাগুলো প্রতিদিন বৃষ্টি অন্যদের কাছ থেকে সে কেমন আছে জানতে চাইতো যার কাছে জানতে চাইতো সে বলতো তুমি তাকে ভুলে যাও তুমি তাকে ভালোবেসে কষ্ট পাচ্ছো আর সে ওইদিকে বিন্দাস আছে সে শুধু তোমার সাথে টাইমপাস করেছিলো ভালোবাসেনি চরিত্র হীন লুচ্চা ছেলেরা কারো ভালোবাসার যোগ্য না তুমি যত তারাতাড়ি ওকে ভুলে যাবে তোমার জন্যই ভালো। অনেকের সাথে যোগাযোগ করে বৃষ্টি শুধু রিমনকে একটু দেখার জন্য কিন্তু কারো কাছে বৃষ্টি রিমনের ছবি পায়না শেষে একজন বৃষ্টি কে রিমন এর ছবি দেয়। তারপর দীর্ঘ ২মাস ১৩ দিন বৃষ্টি নিজের ভালোবাসার মোহে পরে রিমনকে রিকুয়েষ্ট দেয়। সেও এক্সেপ্ট করে পরে একদিন কথা হয়। ৩/৪ দিন পর একটা কারণে রিমন বলে বৃষ্টি কে ব্লক করে দিবে আর সেটা বৃষ্টির প্রচুর ইগো তে লাগে যার ফলে বৃষ্টিই রিমনকে ব্লক করে দেয়। লাস্ট ওইদিন রিমনকে ব্লক করার পর বৃষ্টি আবারও রিমনের জন্য কেঁদেছিল। যে ভালোবাসা বুঝে না তার কাছে ভালোবাসার দাবী নিয়ে যাওয়া নিজেকে ছোট করা সত্যিই অন্যায়। প্রিয় মানুষ টাকে শুধু ব্লক করলেই তার প্রতি ভালোবাসা কমে যায় না আজও বৃষ্টি সেই চরিত্র হীন লুচ্চা রিমন ছেলেটা কেই ভালোবাসে।

বৃষ্টির রিমনের কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার কারণ হচ্ছে সম্পূর্ণ ওর আম্মু। কারণ বৃষ্টির পাগলামোর জন্য একদিন বৃষ্টি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল আর ওর মা ওকে আটকাতে গেলে সিঁড়ি থেকে পরে যায়। যার জন্য বৃষ্টি নিজেকে দায় করে বৃষ্টির আম্মুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনেক রক্ত ক্ষণন হয় হসপিটালে নিলে কাব্য বৃষ্টিকে অনেক কথা শুনায় আর বৃষ্টি কে ওর আম্মুর সাথে দেখা পর্যন্ত করতে দেয় না। সেদিনও বৃষ্টি অনেক কেদেছিল। তারপরেই বৃষ্টি ওর আব্বুকে বলে ভার্সিটিতে ভর্তি হবে কিন্তু বাড়ি তে থাকবে না ভার্সিটির গার্লস হোস্টেলে থাকবে তেমনই বৃষ্টি চলে যায় আমাদের সবার থেকে দূরে আর আসেনি ফিরে আর না আমাদের কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করেছে। আমরা যোগাযোগ করতে চাইলেও ও করেনি। তাপ্পির বিয়ে আজ হলুদ কিন্তু বৃষ্টি আসেনি ও একাকিত্ব পছন্দ করে একাই থাকে আমাদের ভালোবাসা ওর কাছে কিছুই না।
সব শেষে এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল..
এই ছিলো আমাদের পাগল প্রেমিকা’র গল্প…

হলুদের স্টেজে দাড়িয়ে ও বসে থাকা সবগুলো মানুষ বর্ষার দিকে তাকিয়ে আছে স্পেশালি রিমন “তনিমা” তাপ্পির উডবি নিলয় অভ্র সামিয়া শুভ তিয়া আরও সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে বৃষ্টির পাগলামির গল্প শুনে কয়েকজনের চোখে ফোটা ফোটা পানি জমেছে.! বর্ষা নিচের দিকে তাকিয়ে আছে বর্ষার পাশে এসে ওর কাঁধের উপর হাত রাখলো রিমা আর বলল…

চলবে….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here