পাগল প্রেমিকা পর্ব-৩৪

0
456

#পাগল_প্রেমিকা #শারমিন_আক্তার_বর্ষা [লেখনীতে] #পর্ব_৩৪ নীল বলে ডাক দিলে, নীল বাড়ির ভেতরে ঢুকে নীলকে দেখে রিমন ভ্রুকুটি কুঞ্চন করে তাকায়। সবার সামনে এসে দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশ্য নীল বলল, ‘ আসসালামু আলাইকুম ‘ সবাই সালামের উত্তর দিয়ে জবাবে বলল, ‘ ওয়া-আলাইকুমুস সালাম ‘ সোফার সামনে টি টেবিলের উপর ল্যাপটপ রেখে কিছু পিকচার বের করল। সবাই অবাক হয়ে তা কিছুক্ষণ দেখল, বৃষ্টি সবার উদ্দেশ্যে বলল, ‘ এই ছবি গুলো আমরা সবাই আগেও দেখেছি কিন্তু ছবিগুলো সে ভাবে লক্ষ্য করিনি। সবাই ভালো করে ছবি গুলোর দিকে দেখো। সব গুলো ছবি তে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মেয়েটা রিমনের গায়ের সাথে ইচ্ছে করে গেষে ছবিগুলো তুলেছে। সবার সামনে থেকে আচমকা মিমিয়া বলে উঠল, ‘ তাতে কি প্রমাণ হয়? ‘ ‘ কথার মধ্যে বা হাত ঢুকাবে না মিমিয়া। আর তাতে এটাই প্রমাণিত হয় এতে রিমনের কোনো হুশশ ছিলো না সে বেহুঁশ ছিল। ‘ মা বললেন, ‘ কি বলছিস কিছুই বুঝতে পারছি না। ‘ বুঝবেন মা এখনই একটা ভিডিও দেখারও পর। তারপর একটা ভিডিও অন করল। ভিডিও টা দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে রিমনের দিকে তাকিয়ে আছে। ভিডিও টা তে দেখা যাচ্ছে, একটা মেয়ে এসে বাড়ির সামনে কলিংবেল চাপল, রিমন দরজা খুললে মেয়ে টা বলল, ‘ স্যার আপনার ফোনটা একটু দিবেন আমার ফোনের ব্যাটারি লো আর আমার ইমার্জেন্সি একটা কল করতে হবে। ‘ মেয়েটার কথায় রিমন ফোন দেয় সে পেছনে ঘুরলেই দরজার আড়াল থেকে একটা লোক বের হয়ে রিমনের মুখে রুমাল চেপে ধরে তাতে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। লোকটা আর মেয়ে টা দু’জনে রিমনকে ধরে ভেতরে নিয়ে যায়। বাড়ির দরজার দিকটায় সিসি ক্যামেরা লাগানো ছিল আর সেটা তেই এইসব কিছু রেকর্ড হয়েছে। সবাই বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলে বৃষ্টি আবারও বলল, ‘ এতে প্রমাণ হয় না রিমন নির্দোষ কিন্তু এবার হবে। ‘ বৃষ্টি নীল এর দিকে তাকিয়ে এক ভ্রু কুঞ্চিত করল আরেক ভ্রু উঁচু করে চোখ বাঁকা করে ইশারা করল। নীল দু’বার মাথা উপর নিচ করল। দরজার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ আরহাম ভেতরে আয়। ‘ আরহামকে দেখার জন্য সবাই দরজার দিকে তাকালো সাথে একটা মেয়ে। মেয়েটাকে দেখে সবাই চিনে ফেলল, ভিডিওতে যে মেয়েটা ছিল এই সেই, মেয়েটাকে এনে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে আরহাম সাইড হয়ে দাঁড়ালো। বৃষ্টি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বলল, পুলিশ এর হাত থেকে বাঁচতে চাইলে আমাদের যা যা বলেছো এখানে সেইসব কিছুই সবার সামনে রিপিট করো। ‘ মেয়েটার নাম ইলা সে সবার মুখের দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢোক গিলে সবার উদ্দেশ্যে বলল, ‘ স্যারের কোনো দোষ নেই, আমাকে একটা মেয়ে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বলেছিল এইসব করতে আর আমি এইসব করলে স্যার এর বউ তাকে ছেড়ে চলে যাবে। স্যারকে ওইদিন রুমে নিয়ে বেডে শুইয়ে দেওয়ার পর আমি আর আমার পার্টনার মিলে রুমের সব কিছু এলো-মেলো করি আর চলে আসার সময় স্যারের শার্টে লিপস্টিক এর দাগ যাবতীয় সব কিছু আমরা করি। ম্যাডাম সেখানে পৌঁছানোর আগে আমার পার্টনার বের হয়ে যায়। আর ম্যাডাম বাড়িতে ঢুকতে যাবেন তখন উনাকে দেখে আমি বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি করে বের হই আর যাওয়ার সময় কথাগুলো বলে যাই। ‘ বলে মাথা নিচু করে রেখেছে। মাত্রাতিরিক্ত রাগ ও ক্ষোভ নিয়ে রিমন দুই হাত মুঠি বন্ধ করে মেয়েটার দিকে এগিয়ে যাবে। সবে এক পা বাড়িয়েছে তখন বৃষ্টি রিমনের হাত শক্ত করে চেপে ধরে আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই বিপরিত পাশ থেকে ঠাসস ঠাসস শব্দ ভেসে আসে। মাথা ঘুরিয়ে দেখল ইলা দুই গালে হাত রেখে ফ্লোরে পরে আছে। কিছুক্ষণ আগে, ছেলে তার নির্দোষ সে ছেলেকে কত কি বলেছে, ছেলের চেহারাও কখনো দেখতে চাইবে না। মরলে পরে যেনো মাটি দিতেও না আসে এটাও বলেছে। এমন চরিত্র হীন ছেলের মা বলতেও নিজের বিবেকে বাধে কত কি বলেছে আর সেসব কথা ছেলে মাথা নত করে শুনে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। নিজের রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সোফা থেকে উঠে ইলার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গালে চড় বসালেন। তাল সামলাতে না পেরে ইলা নিচে পরে গেলো। গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলল, ‘ তোদের মতো নারীদের জন্য আজ নারী সমাজ কলঙ্ক৷ শুধু মাত্র কিছু টাকার লোভে আমার ছেলের চরিত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিস। তোকে তো পুলিশের হাতেই দেওয়া উচিত। ‘ রেগেই কথাগুলো বললেন। পুলিশের কথা শুনেই ইলা দুই পা ঝাপটে ধরে নেকা কান্না জুড়ে দেয়। তাকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য পরেও টাকা দিয়েছিল তবুও নাফরমানি করে ইলা নাম বলল যে এইসব করার জন্য টাকা দিয়েছিল! তার নাম হলো ‘ জমেলা খাতুন ‘ কিন্তু কারোরই ইলার উপর দয়া হলো না, ইলার বলা নামটা যে ভুয়া সেটাও সবার সামনে প্রমাণ করে বৃষ্টি। পুলিশ এসে তাকে হাত কড়া পড়িয়ে সাথে নিয়ে চলে যায়। বাড়ির পরিবেশ কিছুটা নিস্তব্ধ সোফার উপর বসে কপালে হাত রেখে কাঁদছেন। নিজের ছেলের সাথে কি বাজে ব্যবহার টাই না করেছেন তিনি এই চারদিনে। অবশ্য সোহান রিমি দু’জনেই ক্ষমা চেয়েছে ভুল বোঝার জন্য তবে মা চোখ তুলে তাকাতে পারছে না। বৃষ্টি মায়ের পায়ের কাছে বসে বলল, ‘ ভুল তো সবারই হয় মা তাই বলে কি নিজের ছেলেকে ক্ষমা করবেন না। ‘ বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ইতস্ততভাবে বলল, ‘ ভুল তো আমরা করেছি মা ও তো কোনো ভুল করেনি। আমরাই ওকে বিশ্বাস করিনি কতবার বলেছিল ওকে ফাঁসানো হচ্ছে কিন্তু আমরা চোখে দেখা ছবিগুলো কে বেশি পাধান্য দিয়ে নিজের ছেলেকে অবিশ্বাস করেছিলাম। ভুল আমরা করেছি মাফ তো আমাদের চাওয়া উচিত আর মাফ করবে কি না সেটা রিমনের সিদ্ধান্ত হবে। আজ আমার ছেলের চরিত্র হীন এর দাগ গুচে গেলো মা শুধু তোর জন্য তোর মতো বউ জেনো সব ছেলের হয়। ‘ বৃষ্টি ডেভিল হাসি দিয়ে বলল, ‘ ও শুধু আপনার ছেলেই নয় আমার জামাই ও তো হয়। ‘ উপস্থিত সবাই ফিক করে হেঁসে দিলো। বৃষ্টি কে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু একে দিলেন। বসা থেকে উঠে ছেলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল, ‘ বাবা মাফ করে দে তোর মা’কে? ‘ রিমন মা’কে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘ কি সব বলছো মা। তুমি তো আমার মা এইসব বলো না প্লিজ আমার লক্ষী মা। আমার মনে তোমাদের কারো জন্য কোনো ক্ষোপ নেই। আনন্দ হচ্ছে বৃষ্টি আমার নির্দোষ হওয়া প্রমাণ করেছে প্রমাণ হয়েছে আমি এইসব কিছুই করিনি সবটাই আমাকে ফাসানোর জন্য করা হয়েছিল। ‘ বলে নীল এর দিকে তাকালো। ডাক্তার নীল এর সামনে গিয়ে কোনো কিছু না বলেই তাকে জড়িয়ে ধরল৷ অনেক ধন্যবাদ জানালো। ডাক্তার নীল কে চেম্বারে যেতে হবে সে বিদায় নিয়ে চলেগেলো। বৃষ্টি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছে যখন ইলা কে নিয়ে আসা হয়েছিল তখনই মিমিয়া তার রুমে চলে গেছে। সবাই বৃষ্টি কে তাদের মধ্য খানে বসিয়ে অনেক কথাই বলছে ও জিজ্ঞেস করছে। শুরু থেকে সবকিছুই সে বলে কিভাবে নীল তাকে সাহায্য করেছে। শুরু তে রিমনকে বৃষ্টি ও ভুল বুঝেছিল পরে ভুলটা নীল নিজ হাতে ধরিয়ে দেয় সেদিন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে বৃষ্টি কে সবটা জানানোর পর সব ক্লিয়ার হয় সোহানের ফরওয়ার্ড করা এমএমএস গুলো দেখে। তারপর থেকেই তিন দিনে দু’জনে গোয়েন্দা গিরি করে তথ্য বের করে ইলাকে খুঁজে বের করে। (ওইদিন হাসপাতালে ডাক্তার নীল এর সাথে মিমিয়া দেখা করতে গিয়েছিল। প্রস্তাব রেখেছিল বৃষ্টি কে সারাজীবনের জন্য তার কাছে রেখে দেওয়ার জন্য ফলে সে রিমনকে অনায়াসে পেয়ে যাবে। এজন্য টাকাও সেধেছিল মিমিয়া তবে তা প্রত্যাখান করে দিয়েছিল ডাক্তার নীল আর গড়া কন্ঠে কেবিন থেকে বের হয়ে চলে যেতে বলে।) বৃষ্টি সবার কাছ থেকে উঠে যায় একটু দরকার আছে বলে। রিমন ও পিছু পিছু আসছিল তবে সেটা বৃষ্টি খেয়াল করেনি। নিজেদের রুমে যেতে না দেখে মিমিয়ার রুমে ঢুকতে দেখে ভ্রু কুঞ্চিত করল। কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ভেতরে ঢুকলো রুমে কেউই নেই তবে বারান্দা থেকে কথার আওয়াজ আসছে। তাই বেলকনির দরজার সামনে যেতেই পা থমকে গেলো। বৃষ্টি বলছে, ‘ দেখো মিমিয়া এর আগেও তুমি আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছো আমি তোমাকে কিছু বলিনি এমনকি কাউকেই কিছু বলিনি চুপ করে ছিলাম কিন্তু এবার তুমি আমার স্বামীর চরিত্রের দিকে আঙুল তুলেছো। তার জন্য আমি তোমাকে ইলার সাথেই পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারতাম কিন্তু আমি সেটা করিনি কারণ আমি চাইনি তোমার জন্য রিমনের সাথে তার বেস্ট ফ্রেন্ড এর রিলেশন নষ্ট হয়ে যাক। তুমি তার বেস্ট ফ্রেন্ডের বোন বলেই তোমাকে ছেড়ে দিচ্ছি আর নয়তো ‘ বৃষ্টি কে চুপ করিয়ে দিয়ে মিমিয়া বলল, ‘ এত কথা বলছো কিসের জোড়ে? ‘ ‘ ওইদিন ওই পুরানো বাড়িতে আমাকে রেখে বাহিরে আগুন তুমি জ্বালিয়ে ছিলে আমি ওইখানে তোমাকে দাঁড়িয়ে হাসতে দেখেছিলাম। আর ইলাকে ৩০ হাজার টাকা তুমি দিয়েছো শুধু রিমনের জীবন থেকে আমারে সরানোর জন্য তুমি যেভাবেই হোক আমাকে ওর জীবন থেকে বের করতে চেয়ে ছিলে তাই এই জঘন্য পথ বেছে নিয়েছিলে। ‘ মিমিয়া চিৎকার দিয়ে বলে, ‘ হ্যাঁ আমিই করেছি সব কারণ আমি রিমনকে ভালোবাসি আর তোমাকে ওর পাশে সহ্য করতে পারি না। চলে কেনো যাচ্ছো না তুমি আমার রিমনকে মুক্ত করে দিয়ে? ‘ কথা গুলো বলে মিমিয়া দুই হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির গলা চেপে ধরতে নিলে। বৃষ্টি মিমিয়ার হাত ধরে গালে কষে এক থাপ্পড় মারে যার ফলে মিমিয়া মাটিতে পরে যায়। গালে হাত দিয়ে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রাগে ফুসতে শুরু করে। বৃষ্টি আঙুল তুলে মিমিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘ আমাকে মারার চেষ্টা করার জন্য আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম কিন্তু আমার কলিজায় আঘাত করার জন্য এই চড় টা তোমাকে মারলাম রিমন আমার শুধুই আমার। আমার কলিজা, আমার আত্মা, আমার হৃদপিণ্ড হচ্ছে রিমন আর তাকেই সবার সামনে ছোট করার জন্য এই চড়টা তোকে মারলাম। কিন্তু এর থেকেও বেশি শাস্তি ডিজার্ভ করিস তুই থার্ডক্লাশ মেয়ে, ভালো চাস তো আমাদের কে ছেড়ে চলে যা। নয়তো আমার ভয়ংকর রূপের সাথে পরিচয় করাতে বাধ্য হবো। রিমনের জন্য আমার পাগলামির কোনো সীমা নেই। আমি রিমনকে ভালোবাসি আর আমার ভালোবাসা হচ্ছে সীমাহীন । এই ভালোবাসার মধ্যে যে আসবে তাকে উপড়ে ফেলতে আমি দু’বার ভাববো না মিমিয়া। ভুলেও নিজের বিপদ ডেকে আনিস না। ‘ বলেই বেলকনি থেকে বের হয়ে চলে গেলো। রিমন পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে সবটা শুনেছে তবে বৃষ্টি তাকে দেখেনি। মিমিয়া উঠে দাঁড়িয়ে গালে হাত রেখে দাঁত খিঁচিয়ে বলল, ‘ এই চড়ের জন্য তোকে পস্তাতে হবে বৃষ্টি ‘ বলে পেছনে ঘুরতে দেখে রিমন দাঁড়িয়ে আছে। মিমিয়া মনে মনে ভাবলো ও আবার শুনে নেয়নি তো তাই হাসার চেষ্টা করে বলল, ‘ তুমি কখন এসেছো? ‘ রিমন নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করে গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলল, ‘ আমি সবটা শুনেছি মিমিয়া আমি তোকে কিছু বলবো না যা বলার কাল তোর বাবা মা’য়ের সাথেই বলবো। এক ঘন্টা সময় দিচ্ছি, আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবি। কাউকে কিছু না বলেই আর যদি তামাশা করিস তোকে পুলিশে তুলে দিতে আমি দু’বার ভাববো না। এক ঘন্টা পর জেনো তোকে দেখতে না পাই। আর এখন যে বললি বৃষ্টি কে পস্তাতে হবে তাহলে শোন আমার বৃষ্টির যদি চুল ও বাকা করার কথা চিন্তা করিস তাহলে আমি রিমন তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করবো। আর খুব ভালো করেই জানিস আমি কি কি করতে পারি। দূর হয়ে যা আমার চোখ আর আমার বাড়ি থেকে। ‘ বলে রুম ত্যাগ করল। রাগে দেয়ালে এক লাথি মারল মিমিয়া এতে উল্টো সেই পায়ে ব্যাথা পেলো। মিমিয়া সবার কাছে বিদায় নিয়ে চলে যায়। রাতে সবাই ডিনার কমপ্লিট করে যার যার রুমে চলে আসে। ___________ বড় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুলে চিরুনি করছে বৃষ্টি পরনে সেই পিংক টি শার্ট, বাহির থেকে এসে রুমে প্রবেশ করল রিমন। বৃষ্টি কে এভাবে চুলে চিরুনি করতে দেখে তার অনেক ইচ্ছে করছে পেছন থেকে গিয়ে জরিয়ে ধরতে বৃষ্টির চুলে মুখ গুঁজে দিয়ে নাক কষতে, বৃষ্টির চুলের ঘ্রাণ নিতে, খুব ইচ্ছে করছে আজ সব বাধা ভেদ করে বৃষ্টিকে নিজের করে নিতে কিন্তু সেটা কখনো সম্ভব কি না আধোও জানা নেই তার। তবুও রিমন রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করে দিয়ে বৃষ্টি কে পেছন থেকে… চলবে? [কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here