#পাগল_প্রেমিকা
#sharmin_akter_borsha
#পর্ব_০৫
___________
রুমে প্রবেশ করার ৪/৫ ঘন্টা পর হঠাৎ যা হলো বলার বাহিরে নিজেরাই পড়ুন.
ওই আমি খেলতাম না তোরা চিটিং করস” (বৃষ্টি)
মোবাইলে আবার চিটিং করে কেমনে? (বর্ষা) [লুডু খেলতেছি আমরা]”
ওয় এহন গেম খাইবো তাই বানাইয়া বানাইয়া মিছা কতা কইতাছে আমরা চিটিং করি” (রিমা)
আমি গেম খামু না রিমঝিমের বাচ্চা তোরে আজকা বলেই দিলো এক লাথি..” (বৃষ্টি)
ধুরধরাম লাথি খেয়ে খাট থেকে পরে গেলো রিমা আর চিল্লাতে শুরু করলো।
ওরে আল্লাহ গো আমার মাজা টা ভাইঙ্গা দিলো রে” (কাঁদো কাঁদো সুরে বলছে রিমা)
রিমার কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো বর্ষার ঘুম থেকে উঠে দুই হাত দিয়ে চোখ ঢলতে ঢলতে বর্ষা রিমাকে জিজ্ঞেস করল!
কি হইছে তোর মাঝরাতে জ্বীন পেত্নীর মতো মাটিতে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া ভেটকাচ্ছিস কেন?
ভেটকাচ্ছি কি সাদে ওই জঙ্গী ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেইহা আমারে মাথি মাইরা খাট থেকা ফালাইয়া দিছে..”
রিমার কথা শুনে বর্ষা হাসতে হাসতে বেহুশ হওয়ার মতো অবস্থা ঠিক তার দুই মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি আরেক পা দিয়ে বর্ষাকে লাথি মারে। এবার বর্ষাও উল্টো দিকে মাটিতে পরে যায়। এবার বর্ষার ভেটকানোর মতো অবস্থা দেখে রিমা হাসছে..! হাসতে হাসতে রিমা বলল…
এবার ঠিক আছে এতদিন তো শুধু আমাকে ফেলে দিতো আর তুই মজা নিতি আজ আমি মজা নিবো”
বলেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পেটে হাত দিয়ে হাসছে রিমা.!
এদিকে বর্ষা মাটিতে বসে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে বৃষ্টির দিকে.!
আজকা তো তোর খবর আছে পেত্নী প্রতিদিন রাতে আমাদের ঘুমের ১২টা থুইয়া ১৩টা বাজাস আর নিজে পরে পরে ঘুমাস জেনো কিছুই হয় নাই। ”
মাটিতে বসে বসে বলল বর্ষা আর শেষে হাতের এক আঙুল দিয়ে নাকে ঘষলো। বর্ষার কথা শুনে রিমা বলল।
তুই কি করতে চাচ্ছিস বলল তো..”
ওইটাই যেইটা আমরা রোজ দিনে করি..”
বলেই একটা ডেভিল হাসি দিয়ে উঠে ঝাপ দিলো বর্ষা আর রিমা ঠিক বৃষ্টির উপরে। বৃষ্টি এক চিৎকার দিয়ে উঠে বসলো।
সাথে সাথে বর্ষা আর রিমা দু’জনে বিছানার উপর থেকে দুইটা বালিশ নিয়ে উড়াধুড়া মারতে শুরু করলো।
বৃষ্টি ওদের দু’জনকে জিজ্ঞেস করলো।
তোরা মারছিস কেন কি করছি আমি..?”
“কি করস নাই আমাকে লাথি দিয়া খাট থেইকা নিচে ফালাইয়া দিছোস..?”
“এটা একটা ডাহা মিছা কথা আমি এইগুলা কিছুই করি নাই মিথ্যা অপবাদ দিবি না কইয়া দিলাম।” (বৃষ্টি)
মিথ্যা অপবাদ না ওই বর্ষা মার ওকে..” (রিমা)
আবারও দু’জনে মারা শুরু করছে..!
এবার বৃষ্টি বলল..
আমার সাথেও হাত আছে দাঁড়া..” (বৃষ্টি)
কথাটা বলেই বৃষ্টিও ওর বালিশটা নিয়ে মারা শুরু করলো এত রাতে ওদের রুম থেকে চিল্লা চিল্লি শুনে ছুটে আসে বর্ষা, বৃষ্টি, রিমার আম্মুরা…
কি করতাছোস কি তোরা এত রাতে..” (বর্ষার মা)
তোদের কি ভূতে ধরছে নাকি পেত্নীয়ে ধরছে এত রাতে এমন করতাছোস” (রিমার মা)
“দিনে তো একটু শান্তি পাই না তোদের তিন বোনের লাইগা আর এহন কি রাতেও একটু শান্তি মতো ঘুমাতে পারমু না নাকি..” (বৃষ্টির মা)
ঘুমাও গা তোমাগো কি আমরা ঘুমাইতে না করছি নাকি..? (বৃষ্টি)
মাঝ রাতে এমনে শেয়ালের মতো ঘেউঘেউ করলে কি ঘুমান যায়..! (বর্ষার মা)
চাচি শেয়াল তো ঘেউঘেউ করে না কুত্তা ঘেউঘেউ করে. কথাটা বলে মুখে হাত দিয়ে হাসছে” (রিমা)
চুপ কর কইলাম আর নয়তো এহন আইলে বেলুন দিয়া পিডামু..! (রিমার মা)
চুপ চাপ ঘুমা আর একবার যদি তোগো ঘেউ ঘেউ শুনি তিনটা কে বাড়ির বাইরে বের করে দেবো পরে সত্যি সত্যি জ্বীন পেত্নী ধরবো। (বৃষ্টির মা)
“চাচী মা…” (রিমা)
“কাকী মা” (বর্ষা)
“আম্মু” (বৃষ্টি)
তিনজনেই করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আর জেনো সাড়াশব্দ না পাই আর যদি পাই তাইলে ভাবি যা কইছে তাই করমু আমরা এহন ঘুমা চুপচাপ। (বর্ষার মা)
তোদের মোটা কান দিয়ে ঢুকাইয়া লো কথা গুলা। (রিমার মা)
কথাগুলো বলে তিন জালে হনহনিয়ে চলে গেলো যাওয়ার আগে ঠাসস করে দরজা আটকে দিয়ে গেলো।
বর্ষা বৃষ্টি রিমা তিনজনেই তিনজনের দিকে তাকিয়ে হাহাহা করে হাসতে হাসতে বিছানার উপর বসে পরে বসা থেকে শুইয়ে পরে। বৃষ্টি বর্ষার উপর বর্ষা রিমার উপর আর রিমার বেডের উপর হাসতে হাসতে ঘোরাঘুরি খাচ্ছে।
তারপরে তিনজনেই যার যার জায়গায় শুয়ে ঘুমিয়ে পরে।
পরেরদিন সকালে যা ঘটলো পুরাই টাস্কি খাইয়া গেছি বলার বাহিরে।
চলবে?