উপন্যাসঃ পাহাড়ে মেঘের ছায়া
পর্ব – ৩৫
(নূর নাফিসা)
.
.
মেঘ রুমে এসে নাফিসাকে জানালার পাশে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বললো,
– এখনো এখানে দাড়িয়ে আছো। ঠান্ডা লাগছে না?
– ভালো লাগছে।
মেঘ দরজা লাগিয়ে এসে জানালার গ্লাস লাগিয়ে পর্দা টেনে দিলো। নাফিসার হাত ধরে খাটের দিকে যেতে যেতে বললো,
– সারাদিন জার্নি করেছো, এখন বিশ্রামের প্রয়োজন।
মেঘ কম্বল নামিয়ে আনলো আলমারি থেকে। এতো ঠান্ডা না হলেও পাশে রাখবে। রাত গভীর হলে ঠান্ডা কতটা বাড়বে বলা যায় না। শীতকাল আসেনি তবুও মাঝে মাঝে বৃষ্টি নেমে আবহাওয়া একেবারে শীতল করে যায়। কখনো ঠান্ডা কখনো গরম! আবার গরমও না ঠান্ডাও না! যাকে বলা হয় নাতিশীতোষ্ণ!
মেঘ বৃষ্টির কাছে থেকে মাথা ব্যাথার মলম নিয়ে এসেছে। নাফিসার মাথায় মালিশ করে যাচ্ছে। নাফিসা মেঘের মুখেই তাকিয়ে আছে।
স্বামী বলেই কি এতো যত্ন নিচ্ছে তার? সব নারী কি এমন স্বামী পায়? এমন একজন মানুষকে দূরে ঠেলে দিচ্ছিলো ভাবতেই নাফিসার ভেতরটা কেপে উঠে! সবসময় কি সে এই মানুষটাকে কাছে পাবে এভাবে!
পলকহীন তাকিয়ে থাকতে দেখে মেঘ বললো,
– কি দেখো গো এমন করে?
– আমার জনাবকে দেখি।
অজান্তেই নাফিসার মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে কথাটা! সাথে সাথেই মেঘের ঠোঁটের কোনে ফুটে উঠেছে দুষ্টুমি হাসি! নাফিসা লজ্জা পেয়ে চোখ বন্ধ করে মেঘের মাঝেই লুকিয়ে গেলো। মেঘ শরীর কাপিয়ে নিশব্দে হেসে কম্বলটা টেনে দুজনের দেহ সম্পূর্ণ ঢেকে শুয়ে পড়লো।
খুব সকালেই ঘুম ভেঙে গেছে আযানের শব্দে। নাফিসা বুঝতে পেরেছে মসজিদ কাছেই হবে। তাইতো এতো বেশি ধ্বনি ভেসে আসছে। রাতে লাইট অফ করেনি মেঘ। মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখলো খুব গভীর ঘুমে আছে মেঘ। মনে হচ্ছে আজ কতোদিন পর ঘুমাচ্ছে সে। হবেই না কেন! এতোদিন যে বিয়ের কথা জানানোর জন্য মেঘের মাথায় খুব বড় টেনশন চেপে ছিলো সেটা নাফিসার অজানা নয়! অবশেষে আজ নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমাচ্ছে, সেটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। নাফিসার মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো। মেঘকে কি নামাজ পড়ার জন্য ডাকবে? থাক, আরেকটু ঘুমাক। নামাজ পড়ে না হয় ডেকে দিবে। আস্তে আস্তে মেঘের হাত সরিয়ে সে উঠে পড়লো। ওযু করে এসে ব্যাগ থেকে ওড়না বের করে মেঝেতে বিছিয়ে নামাজ আদায় করে নিলো। মোনাজাত শেষ করে উঠতে যাবে তখনই দেখলো মেঘ তার দিকে তাকিয়ে আছে। নাফিসা ওড়না ভাজ করতে করতে বললো,
– এই মাত্র দেখলাম গভীর ঘুমে, এতো তারাতাড়ি ঘুম ভেঙে গেলো!
– তুমি পাশে থাকলে আরও ঘুমাতে পারতাম। উঠে গেছো বলেই ঘুম ভেঙে গেছে আমার। ওয়ারড্রোবে জায়নামাজ ছিলো। একা একা নামাজ পড়লে, আমাকে ডাকলে না কেন?
– ঘুমটা খুব প্রিয় মনে হয়েছিলো। তাই ভাঙতে ইচ্ছে করেনি। এখন ডেকে দিতাম। নামাজ পড়বে না?
– হুম।
মেঘ উঠে পড়লো বিছানা ছেড়ে। নাফিসা ওড়না ভাজ করে ব্যাগে রাখতে গেলে মেঘ তার কাছে এসে কপালে ঠোঁটের ছোয়া দিয়ে সকালটা মিষ্টি করে বললো,
– কাপড়চোপড় আলমারিতে তুলে ব্যাগ খালি করো। ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে দেখো চাবি রাখা আছে। নিজ দায়িত্বে সবকিছু খুটিয়ে দেখো। রুম এখন আমার একার নয়, এটা তোমারও। এটা কিভাবে সজ্জিত করবে সম্পূর্ণ তোমার ইচ্ছে। সজ্জিত হলেও তোমার, বিশৃঙ্খল অবস্থা হলেও তোমারই।
নাফিসাকে ছেড়ে দিয়ে বাথরুমের দিকে যেতে যেতে বললো,
– মেঘা, আমার একটা বদ অভ্যাস আছে। আমি মাঝে মাঝে তাড়াহুড়ো করে কিছু খুজলে সব এলোমেলো করে ফেলি। এতোদিন তো মা, না হয় বৃষ্টি গুছাতো। এখন সেটা তোমার দায়, মিষ্টি করে বকা দিতে ভুলো না!
নাফিসা মুচকি হেসে ব্যাগ থেকে কাপড়চোপড় নামিয়ে মেঘের কথামতো আলমারিতে তুলে রাখলো। মেঘ নামাজ পড়ছে আর নাফিসা বিছানাপত্র গুছিয়ে রুম থেকে বের হলো। নামাজ পড়ার জন্য ওড়না মাথায় পেচিয়েছে এখনো সেভাবেই আছে। রুম থেকে বেরিয়ে এখন বাড়িতে চোখ বুলালো। চার কোনে চারটা রুম, দুই রুমের মাঝামাঝিতে একদিকে একটা কিচেন অন্যদিকে একটা বাথরুম। মাঝখানটা ফাকা, এখানে ডাইনিং টেবিল বসানো। নিজেদের রুম আর ড্রয়িং রুম চিনেছে কিন্তু বাকি দুটোর মধ্যে কোনটা বৃষ্টির আর কোনটা মা বাবার জানা নেই। নাফিসা কিচেনের এক কোন থেকে ঝাড়ু নিয়ে এলো। তাদের রুম ঝাড়ু দিয়ে ড্রয়িং রুমও ঝাড়ু দিলো। মোহিনী রুম থেকে বেরিয়ে দেখলো নাফিসা ডাইনিং টেবিলের সামনের ফাকা জায়গা ঝাড়ু দিচ্ছে। মোহিনীকে বের হতে দেখে নাফিসাই বললো,
– মা, রুম ঝাড়ু দিবো?
– দাও।
– বাবা কি রুমে আছে?
– না, মসজিদে গেছে। বৃষ্টি উঠেছে?
– দেখিনি আমি।
– মেঘ নামাজ পড়তে গেছে?
– ঘরে পড়েছে।
– এই মেয়েটা একটা দিনও ঠিকমতো নামাজ পড়ে না!
মোহিনী বিড়বিড় করে বৃষ্টিকে বকা দিতে দিতে বৃষ্টির রুমে গেলো ডেকে তোলার জন্য। নাফিসা একে একে সব রুম ঝাড়ু দিলো।
তারপর কিচেনে এলো মোহিনীর কাছে। মোহিনী তাকে তরকারি কেটে দিতে বললো। নাফিসা কেটে দিচ্ছে। মেঘ এসে একবার ঘুরে গিয়েছিলো কিন্তু কিছু বলেনি। পরক্ষণেই বৃষ্টি এসেছে। কিছু না বলে ডাইনিং টেবিলে এসে বিস্কুট খাচ্ছে। তার কাছে মায়ের কর্মকাণ্ড একদমই ভালো লাগছে না। নতুন বউ বাড়িতে এসেছে, দু তিনদিন পর থেকে কাজ দিলে কি হতো!
মোহিনী নাফিসাকে সবজি রান্না করতে বললে নাফিসা সেটা পরিপূর্ণ করলো। এখন আবার রুটি বেলতে দিলো। নাফিসা এতো সুন্দরভাবে রুটি বেলেছে যেটা মোহিনীর মতো পাক্কা গৃহিণীকেও হার মানাতে বাধ্য! মোহিনী জোর গলায় বৃষ্টিকে ডাকলো। বৃষ্টি কিচেনে আসতেই মোহিনী নাফিসাকে এক ধমক দিলো! নাফিসা কেপে উঠেনি, কিন্তু বৃষ্টি কেপে উঠেছে!
– এই মেয়ে! সব কাজে এতো দক্ষতা নিয়ে কেউ শ্বশুর বাড়ি আসে! আমাকে কিছু শিখাতে দিবি না নাকি! কোথায় ভেবেছি ছেলের বউকে নিজ হাতে সব শিখিয়ে দিবো, সেখানে কিছুই শিখাতে পারলাম না!
নাফিসা রুটি বেলতে বেলতে মুচকি হেসে জবাব দিলো,
– শিখেছি তো, কিভাবে ছেলের বউকে পরীক্ষা করা যায়!
– মেঘ এ কোন পাগলীকে বউ করে নিয়ে এসেছে! তাইতো বলি, এমনি এমনি কি আমার ছেলে পাগল হয়েছে!
মোহিনী মুচকি হেসে নিজের হাতের স্বর্নের বালা দুটো খুলে নাফিসার হাতে পড়িয়ে দিলো। নাফিসার মাথাটা কাছে টেনে কপালে একটা চুমু দিলো। নাফিসা ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে মোহিনীর দিকে! মোহিনী মুখে হাসি ফুটিয়ে বললো,
– এই দেখ মেয়ের কান্ড! এতোক্ষণ বকা দিয়েছি আর সে হেসেছে, আর এখন আদর করেছি এখন কাদছে! চোখে পানি কেন, হুম? বালা জোড়া খুলবি না কখনো, আমার আদেশ! এবার বল, ছেলের বউ হয়ে থাকবি নাকি মেয়ে হয়ে থাকবি আমার কাছে?
নাফিসা অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়েও মুখে হাসি ফুটিয়ে তুললো। মোহিনী পেয়ে গেছে তার উত্তর। হাত বাড়িয়ে দিতেই নাফিসা মোহিনীকে জড়িয়ে ধরে নিরবে কান্না করতে লাগলো! মোহিনীকে পুরোই তার আম্মির মতো মনে হয়। বয়সে আম্মি একটু ছোট হলেও বেশে অনেকটা একইরকম। কারণ মোহিনীও প্রকৃত বাঙালি মেয়েদের মতো শাড়ি পড়ে।
এদিকে বৃষ্টি তো নির্বাক হয়ে গেছে শ্বাশুড়ি আর বউয়ের কান্ড দেখে! মোহিনী সোজা হয়ে দাড়িয়ে বললো,
– ভয় পাসনি কেন, আমি যে ধমকে উঠলাম!
– সতর্ক বার্তা আগে থেকে জানা থাকলে দুর্যোগকে কেউ তেমন ভয় পায়না!
– কিভাবে জানলি?
নাফিসা আবার রুটি বেলতে বেলতে বললো,
– আমাকে আগেই জানানো হয়েছে এ পরিবারের সদস্য সম্পর্কে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমি সবটা মিলিয়ে নিয়ে ৯০ ভাগ নিশ্চিত হয়েছি আমার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
– বাহ! এতো কাজ কে শিখিয়েছে শুনি?
– সবই আম্মির কাছে শেখা।
– বৃষ্টি, শুধু খেতে জানো! শ্বশুর বাড়ি পাঠালে দিনে একশো একটা খোটা আসবে আমি মেয়েকে শুধু খেতে শিখিয়েছি! আর কিছুই শিখাতে পারিনি!
বৃষ্টি জবাব দিলো,
– এমন করে বলছো মনে হচ্ছে আমি কিছুই পারি না!
– কি পারো শুনি! ঘর ঝাড়ু দিলে অর্ধেক ময়লা থেকেই যায়! রুটি বানাতে দিলে এক মাথা পশ্চিমবঙ্গে আরেক মাথা উত্তরবঙ্গে চলে যায়! রুটি তায়ে দিলে খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়!
– এভাবে ইনসাল্ট করছো ভাবির সামনে! আর জীবনে কোনো কাজের কথা বলে দেখো! হুহ!
বৃষ্টি হনহন করে বেরিয়ে যাচ্ছে। মোহিনী বললো,
– এমন জেদ করে করেই তো কোনো কাজ শিখতে পারলি না আজ পর্যন্ত!
– শিখতে হবে না, তোমাদের মেয়ের জামাই ই সব রান্না করে খাওয়াবে দেখো!
– হ্যাঁ, তোর জন্য রেস্টুরেন্টের কুকারই ঠিক করবো।
মা মেয়ের কথা শুনে নাফিসার মুখে হাসি লেগে আছে। মোহিনী রুটি ছেকার জন্য তা বসাতেই বললো,
– মা, আমার রুটি বানানো শেষ। দিন, আমি ছেকে দিচ্ছি।
– আমি মেয়ে বানাতে চাইলাম আর মেয়ে আমাকে পর করে দিচ্ছে!
– সময় লাগবে অভ্যাসে পরিবর্তন করতে।
– আচ্ছা দিলাম সময়। কাল থেকে এসেই অনেক কাজ করেছিস, এবার হাতমুখ ধুয়ে কিছু খেয়ে নে। বিস্কুট, কেক আছে বক্সে। এইটুকু কাজ আমি একাই করতে পারি, শুধু মাত্র ধৈর্যের পরিক্ষা নিলাম। এইটুকুতেই আমি খুশি। আর সেদিকে মহারাজ গাল ফুলিয়ে বসে আছে!
– মা, ঘরের কাজ করে আমি অভ্যস্ত। না করলেও ভালো লাগে না। আর মেয়েদের কাজ তো এতোটুকুই।
– হয়েছে, আমি যতদিন আছি তোর এতো চাপ নিতে হবে না। সংসার পরে সামলে নিবি, এখন নিজের ক্যারিয়ার গঠন কর। এইটুকু বয়সে সংসারে মনযোগী হলে বাকি সব তুচ্ছ মনে হবে। কাল প্রোগ্রাম। আজ মেহমান আসবে। একটু হাসিখুশি থাকবি সবসময়। আম্মির সাথে কথা হয়েছে?
নাফিসা মাথা নেড়ে “না” জবাব দিলো।
– আমি কিন্তু বলেছি কাল রাতে। যা কথা বলে আয়, কান্নাকাটি করবি না একদম!
নাফিসা মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়ে রুমের দিকে গেলো। মেঘকে পায়নি কিন্তু মেঘের ফোন পেয়েছে। আম্মির নম্বরে ডায়াল করে কিছুক্ষণ কথা বলে নিলো। কান্নাকাটিও করেছে মা মেয়ে উভয়ই।
৩৪.
সকালে নাস্তা করার সময় মোহিনী সবাইকে বললো একসাথে বসতে। নাফিসা নিজেই চাইলো খাবার বেড়ে দিতে। মেঘের প্লেটে খাবার তুলে দেওয়ার সময় নাফিসার হাতে মায়ের বালা দেখে অবাক হলো! তাছাড়া মায়ের মুখটাও হাসিমাখা! বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে মেঘের! সে একবার নাফিসার মুখের দিকে তাকাচ্ছে, একবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে আবার নাফিসার হাতের দিকে তাকাচ্ছে। নাফিসা হয়তো বুঝতে পেরেছে তার দৃষ্টি ভঙ্গি তাই মৃদু হেসে নিজে চেয়ার টেনে বসলো। মোহিনী বললো,
– শপিং করতে যাবি কখন?
মেঘ প্লেটের দিকে তাকিয়েই জবাব দিলো,
– তুমি যখন বলো।
– বাহ! একেবারে বাধ্য হয়ে গেছে! এতোদিন কোথায় ছিলো সেই বাধ্যতা!
– এতোদিন তো এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি তাই বুঝিনি বাধ্যবাধকতা কি জিনিস! চিন্তা করো না, এখন থেকে ফলো করবো।
– এই যে শোনো, তোমার ছেলেকে বলে দাও আগের জায়গায় ফিরে যেতে! না হলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না বলে দিলাম! এটাও জানিয়ে দাও, নাফিসাকে পরীক্ষা করার জন্যই কালকের আচরণটা ছিলো। বাড়ির একমাত্র বউ, না চিনেই সাদরে গ্রহণ করবো!
মেঘ প্লেটের দিকে তাকিয়ে বললো,
– বাবা, আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া মানে কি! বিয়ে করে ফেলেছি এখন সেটা কি কভু সম্ভব!
মোহিনী রেগে তরকারির চামচ হাতে তুলে নিলো মেঘকে মারার জন্য! মেঘ তার আগেই প্লেট নিয়ে পালিয়েছে! রায়হান চৌধুরী ও বৃষ্টি অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছে আর নাফিসা অবাক হয়ে এ পরিবারের সদস্যদের কান্ড দেখছে! মেঘকে তাড়া করতে পেরে মোহিনী নিজেই মৃদু হেসে আবার খেতে বসে পড়লো।
মেঘ ড্রয়িং রুমে বসে খাওয়া শেষ করে এসেছে। কিচেনে গিয়ে নিজের প্লেট নিজেই ধুয়ে রেখে এলো। রুমের দিকে যেতে যেতে বললো,
– মেঘ বৃষ্টির পিতামাতাকে সকাল দশটায় বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে শপিংয়ের জন্য নিমন্ত্রণ করা হলো!
বৃষ্টি হেসে উঠলো, আর মোহিনী উঁচু গলায় জবাব দিলো,
– আমি যাবোনা কোথাও! মেহমান আসবে তাদের আপ্যায়ন করবে কে? তোর বাপের এতো তাড়া এবার তোর বাপকে নিয়ে যা!
রায়হান চৌধুরী বললো,
– বুঝলি! সবই তোর বাপের ঠেলা! ছেলেমেয়ে একা একা দেশ ঘুরে বেড়াতে পারে তাহলে শপিং নিয়ে এতো টেনশন কিসের!
বাবার প্রতুত্তরে বৃষ্টি বললো,
– বাবা তোমাকে টেনশন করতে কে বললো! নিমন্ত্রণ করেছে, ইচ্ছে হলে যাবে আর না হয় ইগনোর করবে! কাজ দেখবে ঠিকই হয়ে গেছে!