গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০২
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” সেতুর বান্ধবী বলল, আমি তো ভাইয়ার সাথে কালেকেও কথা বলছি। ভাইয়া তো বললো বিয়ে এর জন্য পাত্রী খুঁজা হচ্ছে।
আমিঃ আরে তোমাকে বলছি মানে, আর তোমাকে তো আমি চিনিই না।
মেয়েটাঃ ভাইয়া আমার আইডি নাম হলো (মেয়ে আমি মন্দ না)
আমিঃ ওহ্, তুমি সেই মেয়ে! ( সেতুকে রাগানোর জন্য ) তোমার সাথে বলার সময় ভেবেছিলাম তুমি হইতো সুন্দরী না। কিন্তু এখন দেখে মনে হচ্ছে আসমান থেকে পরী নেমে এসেছে।
(এটা বলে সেতুর দিকে তাকাতেই দেখি সেতু আমার উপর রাগে কটমট করছে মনে হইতেছে আস্ত খেয়ে ফেলবে )
মেয়েটি : ভাইয়া ঐ ভাবে বলিয়েন না লজ্জা লাগে ( একটু মুচকি হাসি দিয়ে )
এটা বলার সাথে সাথেই সেতুর যত রাগ আমার উপর উঠেছিল সব রাগ উঠেছিল,, সব রাগ ঐ মেয়েটির উপর জারার জন্য
সেতু : ইতি দারা তোর রাগ ছুটাইতাছি।
এটা বলে গিয়ে ইতিকে স্কুল ব্যাগ দিয়ে বাড়ি শূরু করল আর বলল,সালা তূই আর আমার হবু স্বামী কে মেছেজ দিবি না । যদি দেস তাহলে তোর 24 টা বাজাবো। এটা বলে আমার দিকে আসতে আসতে বলতে লাগল,, তুই আর আজে বাজে মেয়ের মেছেজ রিপলে দিবি নাহ আর ব্লক করে দিবি।
আমি নিশ্চুপ হয়ে শুন লাম আর কিছু বললে আমাকেই ব্যাগ দিয়ে বাড়ি শুরু করত।
স্কুল থেকে সরাসরি শপিংমল এর দিকে রওনা দিলাম। স্কুল থেকে বের হয়ে ওটো ডাকলাম
সেতু : ওটো তে যাবো নাহ রিক্সা তে যাবো তুমি রিক্সা ডাকো।
আমি : রিক্সায় গেলে শরীরের সাথে সাথে শরীর লাগবে আর মানুষ দেখলে প্রবলেম হতে পারে।
সেতু : আমরা প্রেম করি তাই এক রিক্সাতে যেতেই পারি। লোকে কী বলে বলূক তাতে আমার যাই আসে না
আমি : পাগল হয়ছো নাকি আমরা প্রেম করলাম কবে।
সেতু : আচ্ছা বাদ দাও ওসব। রিক্সা ডাকো শপিং করতে যাবো।
পরে বাধ্য হয়ে রিক্সা নিয়ে শপিং এর উদ্দেশ্য বের হলাম। রিক্সায় আনেক বিরক্ত ফিল হচ্ছে। কারন সেতু আমার শপিংমল এ যাওয়ার আগ পর্যন্ত রিক্সা এর ভিতর আমার হাত ধরে ছিল মনে হইতাছে স্বামী ঈস্ত্রী যাচ্ছি।
পরে শপিংমল এ ডুক এটা কেনে ওটা কিনে কিনার কোনো শেষ নাই, মামা টাকা দিছিলো 5000 আর কিনতে মোট খরচ হলো 7000 । দুই হাজার টাকা পকেট থেকে গেল। টাকার জন্য মন টা খারাপ হয়ে গেল।
ভাইরে ভাই মেয়েদের নিয়ে কখনোও শপিং খরতে যাইস না। জীবন ত্যানা ত্যানা বানাই ফালাই দেই ।
শপিং করা শেষ হলে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। শপিং করতে করতে ৩ টা বেজে গিয়েছিল। টাইমের দিকে খেয়াল ছিল না। ক্ষুদাও লাগছে তাই ভাবলাম রেষ্টুরেন্ট এ যায়া কিছু খেয়ে নেই।
সেতু কে বললাম সেতুও রাজি হয়ে গিয়েছে। দুজোন খেতে গেলাম। রেষ্টুরেন্টে ডুকার সাথেই কে জেন মেয়েলি কন্ঠে শুভ কঈয়া ডাক দিল।
আমি এদিক ওদিক তাকাতেই দেখি কেউ নাই তখনি আমার সামনে ডাক আসতেছে কিন্তু চিনতে পারছি না। মুখ টাও ভালো করে দেখা যাচ্ছে না। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখি আমির প্রাইমারি ঐবং হাই স্কুলের বান্ধবী জুলেখা। আমি জুলেখা কে দেখেই অনেক খূশি হয়ে গেলাম। পরে ভালো মন্দ জিগ্গেস করলাম। কূশল বিনিময় করলাম।
পরে আমি জুলেখার পাশেই বসলাম আর সেতুকে জুলেখার বান্ধবী এর পাশে বসতে বললাম। কিন্তু সেতু দারিয়ে আছে। তাও আবার রাগি দৃষ্টিতে।
আমি : কী হলো বস
জুলেখা : কেরে মেয়েটা
আমি ; আমার মামাতো……(আর বলতে পারলাম না )
সেতু : আমি ওর হবু বউ আর এখন ওর প্রেমিকা। আর আপু আপনি আপনার বান্ধবীর পাশে বসুন আমি আর উনি একসাথে বসব। আপনার সাথে বসলে আমার ভালো লাগবে নাহ। উঠুন উঠে এই পাশে আসুন
অনেক মানুষ কিছুই বলতেও পারছি না তাই সেতুর কথা মতোই চলতে লাগলাম।
আমি আর সেতু বসলাম এবং জুলেখা আর ওর বান্ধবী বসল। খাবারের ওয়াডার দিল। খাবার আসতে সেতু ঊঠে হাত মুখ ধুইতে গেল।
জুলেখা : কেরে কবে থেকে শূরু করলি
আমি : আরে ওসব কিছুই নাহ। আমার মামাতো বোন। আমাকে অনেক ভালোবাসে। তাই এই রকম করে
জুলেখা : something something mama
আমি : Hmm
এর মধ্যেই সেতু চলে এসেছে তাই চুপ হয়ে গেলাম। টেবিলে খাবার দিয়ে গেছে। খাবার খাওয়া শুরু করলাম খাবার খেতে খেতে জুলেখা সেতুখে জালানোর জন্য বলতে লাগলো।
জুলেখা : শুভ তুই তো অনেক সুখিয়ে গেছিস । আয় তোকে খাওয়াই দেই, স্কুলে থাকতে তো অনেক খাওয়ে দিছি। হাই স্কুল পাস করে চলে গেলি আর খাওয়াই দিতে পারি নাই।
আমি : কী বলিস এসব । তুই কবে খাওয়াই দিলি, মিথ্যা বলিশ কেন?
একটা চোখ মেরে জুলেখা বলল আর গার্লফ্রেন্ড সামনে ওতো বোকা সাছতে হবে নাহ।
সেতু আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মানুষের জন্য কিছু বলতে পারছে না।
সেতু : ঐ উঠ আর খেতে হবে না অনেক খেয়েছিশ চল বাড়ি চলে যাব।
আমি : খাওয়া তো হয় নাই। এখনি যাব মানে
সেতু : যাবে কী না বল। না গেলে ফুফুআম্মু কে বলে দিব তুমি শুধু মেয়েদৈর সাথে মিশ আর মেয়েদের সাথে ই কর
আমি বুঝতে পারছি চলো খেতে হবে নাহ। উঠার আগে সেতু জুলেখা কে বলল টাকা টা দিয়ে দিয়েন।
জুলেখা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে।
পরে রেষ্টুরেন্ট থেকে চলে এসে রিক্সা নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। রিক্সায় উঠার সাথে সাথেই সেতু বলা শুরু করলো..
(চলবে)