গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ০৩
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” রিক্সায় উঠার সাথে সাথেই সেতু বলল তুমি এতো লুচ্চা কেন?
আমিঃ আমি লুচ্চা মানে। কী লুচ্চামি করছি তোমার সাথে হ্যা!?
সেতুঃ সকালে এত জুরে কিছ করছ যে আমির ঠৌট টাই কেটে গেছে। আবির ঐ মেয়ে নাকি তোমাকে ভাত খাওয়াই দিছে,, ছী ছী। আমরা তো পড়ি কাউকে তো কিছুই খাওয়াই দেই না। তুমি ছোট থাকতেই খাওয়াই দিছে। এখন অনেক বড় হয়েছো এখন মনে হয় অনেক কিছু খাও মেয়েদের কাছে থেকে।
আমি: আরে আমি তো আগেই মেয়েদের সাথে কথা বলি নাই। আর এখন মেয়েরা কি খাওয়াবে হ্যা
সেতু ; মিথ্যা বল কেন,জুলেখা তো আমার সামনেই বলল
আমি : মিথ্যা বলছে জুলেখা।
আরো সেতু অনেক কথাই বলল। বলতে বলতে বাড়িতে এসে গেছি। পরে ভারা দিয়ে দিলাম।
বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে।একটু বসে আছি আর ভাবছি আমার টাকা গেল 2050 টাকা। সেতু কি মামাকে বলে টাকা টা দিয়ে যাবে। 50৳ টাকা না দিলেউ চলবে কিন্তু আর বাকি টাকা দিলে ভালো হতো।
আরে ভাই ভাবছেন এতো টাকার চিন্তা করছি কেন। আসলে আমি মধ্যবিও ফ্যামিলি থেকে বড় হইতাছি কিন্তু আমার নানা অনেক ধনি ব্যাক্তি। সেই সুবাদে মামাদের ওহ অনেক টাকা।
যারা মধ্যবিও ফ্যামিলি থেকে বড় হইতেছেন তারা জানেন মধ্যবিও দের টাকা টা কী? মধ্যবিও ছেলেদের এক টাকা খরচ করলেও হিসাব করে করতে হয়।
এসব ভাবতেছি তখনি এসে বলল কেরে তোর মন খারাপ নাকী??
আমি : না নানী এমনেই বসে আছি।
এই বলে নানী চলে গেল। তখনি সেতু আসল বলল আম্মু তোমাকে ডাকে। আমি গেলাম যেয়ে মামিকে ডাকলাম। ওহ মামি মামি
মামি : হুম রুমের ভিতর আয়।
রুমের ভিতর যেতেই মামি দেখি টেবিলের উপর নাস্তা রান্না করে রেখেছে কাউনের চাউল দিয়ে।
আমি : মামি ডাকলেন বলে সেতু বলল
মামি : হুম। তোমার জন্য কাউনের চাউল দিয়ে নাস্তা রান্না করছি। বসেক বসে খাও
আমিও খেতে বসলাম। কাউনের চাউল এর নাস্তা খেতে অনেক টেস্ট।
খাইতে খাইতে বললাম সেতু খাইছে?
মামী : না খায় নাই। কই মনে হয় গেল ঘুরতে। এসে খাবে বলল।
খেয়ে উঠে আমিও মামাতো ভাইয়ের সাথে ঘুরতে গেলাম। যে নানীর বাড়ি গেলেই ঐ মামাত ভাইয়ের সাথে ঘুরি।
ঘুরা ঘুরি বাড়ি ফিরে আন্য মামির ঘরে খাবার খেলাম। খেয়ে নানী ঘরে আসলাম এসে সুয়ে ফোন চাপতেছি। কিছুক্ষণ সময় যাওয়ার পর মামা রা সবাই এসে পরেছে। মামা রা সবাই নানীর ঘরে এসে গল্প গুজব করে।
নানীর বয়স হয়ে গেছে আর নানুভাই ওহ মারা গেছে। তাই আরকি,মামিরাও আসে সবাই অনেক্ষণ গল্প করে। ঐদিন ওহ গল্প করতেছি তখনি সেতু এসে বলল ভাইয়া তোমার ফোন টা দেও তো
মামা মামি সবাই বসে আছি তাই ফোন দিয়ে দিলাম কিছু না বলে। আমরা গল্প করতেছি
সেতু তো মোবাইল পেয়ে প্রথমে ডুকল মেছেজ এ ডুকে দেখে অনেক মেয়ে মেছেজ দিছে। মেছেজ দেওয়ার অবশ্য কারন আছে। ওটা বলব না
এর মধ্যে দেখতে পেল ( মেয়ে আমি মন্দ না ) সেতুর এর আইডী থেকে মেছেজ আসছে। ভাইয়া খাবার খাইছেন। আমি তো আফনার প্রেমে পইরা গেছি। সেতু ছিন করল কিন্তু কিন্তু কোনো রিপলে দিল না।
মেছে ছিন করা দেখে আবার মেছেজ দিল কি হলো ভাই। চুপ থাকা মানে কী আমি বুজে নিবি আপনিও আমাকে ভালো বাসেন।
সেতু রীপলে দিল আমি হয়ে( সেতু এর বান্ধবী এর নাম সিমা )
সেতু :কিন্তু আমি তো আমার মামাতো বোন কে ভালোবাসি
সিমা : ভাইয়া সেতুর তো বয়ফেন্ড আছে তাও একটা অনেক গুলা। যেগুলো হিসাব করে শেষ যাবে নাহ।
এই কথা শুনে সেতু এর রাগ তো চরম পর্যায়ে চলে গেছে।
সেতু : আচ্ছা আমি কে তুমি তো জানো না। আমি তোমার ভাবি।
সীমা : মানে
সেতু ওমনি ভিডিও কল দেই । আর ঐদিক থেকে সিমা ধরে। কল ধরার সাথে সাথেই সেতুর এর মুখ দেখতে পেয়ে অভাক হয়ে যাই।
সেতু : ঐ সালি আমার অনেক গুলো বয়ফেন্ড আমার তাই না।?
সীমা : না মানে ইয়ে এমনিই বলছি
সেতু : এখন থেকে আর মেছেজ দিবি না।
এটা বলে কল কেটে দেই। আর আমার মেছেন্জার এ জতো মেয়ে ছিল সব গুলো মেয়েকে ব্লক মেরে দেই এমন কি যেসব আমার ফেন্ডলিস্ট এ ছিল সব মেয়েকেই ব্লক করে দেই।
আর মেছেন্জার এ সব চ্যাট মুছে ফেলে। আর রিলেশিপ স্টাটাস দেই in a relationship.
সেতু : মা ফোন টা শুভ কে দিয়ে দিও
মামি : তুই ওতবড় ছেলেটাকে নাম ধরে বললি কেন। ও তোর ভাই। আর তুই ফোন নিয়াইছোস তুই দিয়াই।
সেতু ; পামু নাহ
মামি আমাকে ফোন দিয়ে গেল ফোন হাতে নিয়ে দেখি ফোনের সব কিছুই চেন্জ। ওয়াল পেপার দিছে সেতুর। আর লেখা ওয়াল পেপার পাল্টালে তুমি শেষ।
পরে ডাটা ওন করে Massanger এ ডুকলাম। massanger একবারে ভিম দিয়ে ঘসে পরিস্কার করে ফেলেছে।
তখনি একটা মেসেজ আসলো অচেনা আইডি থেকে। মেসেজ এ লেখা ছিল…
(চলবে)
ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🖤🌸