গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ১১
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” সেতু :আমি তো শুভ এর কথা বিশ্বাস করে শুভ এর সাথে অনেক খারাপ ব্যাবহার করছি
আম্মু : শুভ এর কাছে থেকে ক্ষমা চয়ে নিও। তাই হব
পরে সেতু ওই খানে থেকে চলে আসে। আল ঘলে এসে ভাবতে লাগে পুরানো কথা গুলো। এখন শুভ কে কীভাবে পটানো যায় সেইটা ভাবতে হবে। শুভ কে জানানো যাবে নাহ যে আমি এসব জানি।
শুভকে যখন আমি ভালোবাসি এর কথা বলেছিলাম। ও তখন বলেছিল এটা আভেক। আমি তো কত কিছু বলেছিলাম।
তারপর তো আমি কত খারাপ ব্যাবহার করলাম।। এখন শুভ কী আমায় মেনে নিবে। এখন শুভ ভালোবাসার কথা বললে কী ভাববে। শুভ সাথে তো আমি এই কয়দিন কথাও বলে নি। অনেকবার ফোন দিছে আমি তো ওর ফোন টাও দরি নাই। পরে তো আবার ফোন দিবেই তখন কথা বলব।
এখন আমি আর সেতুকে কল দেই নাহ উকিলের সাথেও কথা বলছি ডিফোর্স এর ব্যাপারে। সে যত দ্রুত সম্ভব উকিল কাজটা করে দিতে চাইছে।
সাত দিন চলে যাই তাও সেতূকে একবারই কল দেই নি। সেতু আমাকে কল দেইনি। সেতু এর এখন আর ভালো লাগে নাহ সেতূ এর শুধু ইচ্ছে হয় শুভ এর সাথে কথা বলবে।
সেতু মিস করে ঐ দিন গুলো যে দিন গুলোতে শুভ কে দেখতেই পারে নাই। শুভ কত কিছু বলেছে। যখন সেতুর ফোন টা বেজে উঠে তখনি সেতুর মনে হয় শুভ মেছেজ দিছে বা কল দিছে। কিন্তু শুভ কোনো মেছেজ বা কল দেই নাহ।
সেতু শুভ কে কল দিতে চাই কিন্তু কোনো একটা কিছু কারনে শুভকে মেছেজ বা কল দিতে পারে নাহ।
এখন আর শুভ এর সেতুর কথা মনে পরে নাহ। শুভ এর প্রথম প্রথম অনেক কষ্ট হয়ছে। আর নিজেই নিজেকে দোষ দেই সেতুকে মিথ্যা কথা বলাটি ঠিক হয় নি।
এদিকে সেতু সব সময় মন মরা হয়ে বসে থাকে। কারো সাথে বেশি কথা বলে নাহ শুধু শুভ এর কথা ভাবে। শুভ এর সাথে কথা মন চাই কিন্তূ পারে নাহ। ধৈর্য্য ধরে থাকে শুভ তাকে ফোন দিবে। কিন্তু শুভ এর নাম্বার থেকে কল আসে নাহ।
একমাস হয়ে গেছে কিন্তু শুভ আর সেতুর মাঝে কথা হয় না। সেতু আর থাকতে না পেরে শুভকে কল দেই রাতে। তাও আবার 12 টার সময়।
যে সময় শুভ ঘুমে মগ্ন হয়ে আছে। প্রথম বার ফোন ডোকার পর ফোন রিসিভ করল কারন শুভ তো ঘুম ভাঙ্গেনি। পরের বার কল দিতে শুভ এর ঘুম চোখে দেখে একটা কল এসেছে। পরে নাম্বার না দেখেই কল টা রিসিভ করে বলে। হ্যালো কে
সেতু :আমি
শুভ :আমি টা কে
সেতু :আমাকে চিনতে পারনি। আমি সেতু
শুভ : আরে বোন কোন সেতু আর এতো রাতে ঘুমের ডিস্টাব এর জন্য কল করছো কেন
সেতু : আমি তোমার বউ সেতু
বউ কথা টা শুনে শুভ নাম্বার টা ভালোভাবে দেখল হুম সেতুই কল দিছে।পরে ভাবতে লাগল আব্বু আম্মু এর কোনো কিছু হলো নাকি এত রাতে ফোন দিছে সেতু
শুভ : আব্বু আম্মুর কিছু হয়ছে নাকি। ফোন দিছছে
সেতু :আব্বু আম্মুর কিছুই হয় নাই। কথা বলার জন্য ফোন দিছি।
শুভ : ফাজলামি রাখো। বিএফ লগে ভাইগা গেছ নাকি আবার এখন প্রবলেম হইছে দেইখা ফোন দিছ। আচ্ছা কোনো কিছুই ভেবো না সরাসরি আমার এখানে চলে আসো আমি সবাই কে মেনেজ করে নিব।
সেতু :ঘরে স্বামী থাকতে পালায়ো যাব কেন অন্য পুরুষের সাথে।
শুভ : স্বামী তো শুধু কাগজে কলমে। আচ্ছা বাদ কালকে অফিসে যেতে হবে বাই। আর এত রাতে কোন দিন কল দিবা না। যত্তসব ফালতু।
এটা বলে ফোনটা কেটে দেই দেই আর বন্ধ করে রেখে ঘুমিয়ে পরে।
এদিকে সেতুর মনটা আরো খারাপ হয়ে যাই। আমি কী এত টাই খারাপ ব্যাবহার করছি যে শুভ ভেবে নিতেছে আমার বয়ফেন্ড আছে আছে। ছী ছী নিজেকে নিজের উপর ঘিন্না হচ্ছে। আর ভাবে শুভ আগে মেছেজ দিতো কেমন আছো কী কর। কথা বলার জন্য ফোন দিত। আর এখন কথাই বলল না। ঘুরে ফিরে আমাকে অপমান করল।
সারারাত না ঘুমিয়ে পার করে রাত আর ডিসিশন নেই শুভ এর এখানে চলে আসবে কারন শুভ বলে ছিল বাসা ভাড়া নিছে। আর যেতেও বলছিলো আমাকে।
সকালে উঠে আব্বুর কাছে গিয়ে বলে আব্বূ আমাকে শুভ এর বাসায় রাইখা আসেন আর আমি যাব এটা ওকে বলবেন না।
আব্বুও মেনে নেই আর বিকালের গাড়িতে তারা রওনা দেই। আমার এখানে এসে আব্বু দরজায় কলিংবেল এ চাপ দেই।
শুভ তখন ভাবতে থাকে এই সময় আবার কে আসল । অলসতা নিয়ে দরজা খুলতে যাই। দরজা খুলে তো অভাক শুভ
শুভ তখন আববুকে বলে তোমরা আসবা বলবানা আাস স্টানে আগায়া যেতাম।
আব্বু : সেতু বলল তোকে সারপ্রাইজ দিবে তাই না জানিয়ে চলে আসলাম
শুভ : আচ্ছা বস তৌমাদের খাবারের ব্যাবস্থা করি।
শুভ সেতুর সাথে কোনো কথাই বলে নাই। একবার তাকিয়ে দেখেছিল। সেতু অনেক সূখনা হয়ে গেছে মনে হলো অনেক দিন ধরে খাবার ঠিক মতো খাই নাহ আর ঘুমায়ো না।
সেতুকে দেখেও না দেখার ভান করল…..
(চলবে)