গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ১৩
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” সেতু: এই ফালতু মেয়ে এভাবে জরিয়ে ধরে আছেন কেন?
বান্ধবী: শুভ কে রে এই মেয়ে?
আমি: ও হলো….
সেতু : আমি হলাম ওর বিয়ে করা বউ।
বান্ধবী: তুই বিয়ে করলি কবে। আমাকে একটু জানায়লিও নি
সেতু: আপনারে জানায়া কী হবে? ওর থেকে দুই ফিট দুরে গিয়ে দাড়ান।
বান্ধবী :শুভ ভাবি এরকম করে কথা বলছে কেন
আমি : ওর একটু রাগ বেশী তো । পরে তোর সাথে কথা বলিরো
পরে বান্ধবী চলে গেল
সেতু :ঐ মেয়েটা আপনাকে জরিয়ে ধরল কন? ছিহ ছিহ আপনার লজ্জা করে নাহ ঘরে বউ রেখে অন্য একটা মেয়ের সাথে এসব করতে। না জানি কত মেয়ের সাথে এই রকম করেন
আমি : আমাকে দেখে কী লুচ্চা মনে হয় হ্যা। ইর কোন মেয়ের সাথে কী করি আর কী না করি সেটা আমার একান্ত ব্যাপার
সেতু : এখন আর তোমার একান্ত ব্যাপার নাই কারন তৌমার বউ আছে। আর বউটা হলাম আমি।
আমি : তুমি তো আমাকে স্বামী হিসেবে মানোই না।
কিছুক্ষণ চুপ থাকল সেতু……….
সেতু : আচ্ছা আমাকে মাপ করে দেও। আগের ব্যাবহারের জন্য দুঃখিত। আমিদের বাচ্চা না হলো আমরা একটা বাচ্চা কিনে নিয়ে আসব।
আমি ভাবতে লাগলাম সেতু এসব বলতেছো কেন? আগে তো খারাপ ব্যাবহার করত। না ওহ জেনে ফেলছে আমি ওর কাছে মিথ্যা বলছি ।
সেতু : কী ভাবো
আমি : মাকের্টে চলে আসছি। চলো শপিং করি
পরে কিছু কেনা কাটা করলাম। আর আফরিন এর জন্য একটা গিফ্ট কিনলাম। সেতুও জামা কাপর কিনল। কিনে বাসিয় এসে আমাদের রাখা জিনিস গুলো রেখে সরাসরি চলে গেলাম আফরিন দের বাড়ি।
গিয়ে দেখি অনেক সুন্দর করে সাজানো। যদিও জম্মদিন পালন করান আমি পছন্দ করি নাহ। আমরা বাড়ির ভেতরে ডুকতে আঙ্কেল আনটি আফরিন আমাদের দেখে খুশি হয়ে গেছে। সেথূকে দেখে আরো বেশি খূশি হইছে।
সেতু আফরিন এর সাথে চলে গেল আর আমি একা একা বসে আছি। কারন আমার পরিচিত কেউ নাই। বসে থেকে গল্প লেখতে ছিলাম। অবসর সময় পেলে গল্প লিখি। তখনি একটা মেয়ে এসে বলল আপনি শুভ ভাইয়া না
আমি : হুম আমি শুভ। আপনাকে চিনতে পারলাম না।
মেয়েটি : আমি আপনার একজন গল্প পাঠক আপনার সাথে অনেক কথা হয়ছে মেছেজ এ
আমি : মনে মনে আমি তো অনেক মেয়ের সাথে কথা বলি এটা আবার কে?
মেয়েটি : আপনার গল্প গুলো অনেক সুন্দর। আমি তো আপনার প্রেমে পরে গেছি
আমি : আমার প্রেমে মানে
মেয়েটি : আসলে আপনার গল্পের প্রেমে পরে গেছি। এখন তো তুমি পিচ্চি মামাতো বোন গল্প লিখতেছো। এই গল্প টাও অনেক অনেক সুন্দর।
আমি :সুকরিয়া
মেয়েটি : আপনার সাথে একটা সেলফি তুলি
আমি : আমি কী কোনো ভি আই পি ব্যাক্তি নাকি যে সেলপি তুলতে হবে
মেয়েটি : হুম তুলতে হবে।
মেয়েটি যেই সেলফি তুলতে এলো তখনি সেতু এসে ঐ মেয়েকে একটা থাক্কা দিয়ে ফেলে দেই। আর বলে এই তোমার সমস্যা কী হ্যা এতক্ষণ কথা বলছো ভালো কথা তাই বলে শরীরের উপর এসে এভাবে সেলফি তুলতে হবে।
মেয়েটি : ((অভাক দৃষ্টিতে ))ভাইয়া কে উনি
আমি : পিচ্চি মামাতো বোন আমার বউ
মেয়েটি : আপনি লিখেছিলেন সেতু আপনাকে দেখতে পাই নাহ আর ভালোবাসে না।ভালো না বাসলে তো এরকম রিয়েক্ট করত না।
আমি : এখন হইতো ভালোবাসে
মেয়েটি চলে গেল
সেতু : আমি চলে গেছি আর অন্য মেয়ের সাথে টাঙ্কি মারা শুরূ করছো। এখন থেকে আমার সাথেই বসে থাকবা।
রাত এগারো টার সময় আমি সেতু আফরিন আর আফরিন কিছু বন্ধু বান্ধবী বসে থেকে মজা করছি।
আফরিন : হ্যালো ফেন্ডস তোমাদের একটা কথা বলব। তোমাদের কে বলেছিলাম আমি কারো প্রেমে পরেছি। কিন্তু নাভ টা বলি নাই। আজকে নামটা আমি বলব। তাকে আমি প্রথম দেখেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম। শুভ সেতু আমার এখানে আসো তো একটু
আমি আর সেতূ গেলাম তখন
আফরিন : আমি শুভ এই যে একে দেখছো একে দেখে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু ভালোবাসা টা মনে রয়ে গেছে কারন এই যে মেয়েটা সেতু। সেতু হলো শুভ এর বউ।
আমার মনের ভালোবাসা মনেই রয়ে গেল। ভালোবাসার মানুষকে আপন পেলাম না। সেতু বেষ্ট অফ লাখ। তোমাদের সংসার সুখের হোক।
শুভ রাএী।
এটা বলে আমি আফরিন ডুলতে ডুলতে চলে গেল। অনেক ডিংক করেছে হইতো। ওর কথা গুলো নিজের উপর নিজেরী অনেক রাগ উঠে গেল।সালার কেন জে ঐসব করতে গেলাম।
সেতু :চলো বাড়ি চলে যাব
পরে আমরাও চলে আসি। আর ভাবতে লাগি। সেতু কী সত্যিই আমাকে ভালোবাসে। যদি ভালো না বাসতো তাহলে তো মেয়েদের সাথে কথা বলার সময় জেল্লাসী ফীল করত না।
ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসি পরেরদিন অফিস বন্ধ ছিল। আমার মাথায় একটা কথা ঘুরপাক খাচ্ছে সেতু কী সত্যিই ভালোবাসে আমাকে
পরের দিন অফিস বন্ধ থাকায়। সেতূ বলে চলো একটু ঘুরে আসি । তুমি তো আমাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাও না।
আমিও রাজী হয়ে যাই। ঘুরতে যাই। সেতুর সাথে ঘুরতে ভালোই লাগছিল । সেতুকে ফুচকা খাওয়া দিছি আরো আনেক অনেক রোমান্টিক ভাবে দিনটা পার করলাম।
দুইদিন কেটে গিয়েছে কিন্তু সেতুর সাথে খারাপ ব্যাবহার করিনি বরং রোমান্টিক ভাবে দিন গুলো পার করছি।
হঠাৎ করেই একদিন অফিস থেকে তারাতারী চলে আসি.,কারন বাড়িতে এসে ফ্রেস হয়ে আবার কম্পানির কাজের জন্য বাইরে যাব।
দরজায় এসে থাক্কা দিতেই দরজা খুলে গেল। ঘরে ডুকে দেখি সেতু মনে হয় কারো সাথে কথা বলছে মিষ্টি মিষ্টি হেসে। কথা শুনার জন্য কোনো রকম শব্দ না করে ওর কাছে গেলাম।
সেতু : জানিস শুভ তো মনে হয় আমাকে মেনে নিয়েছে। শুভ জানেনা যে আমি ওর মিথ্যা কথা ধরে ফেলেছি। আমি জানি ওর কোনো সমস্যা নেই।
আমি এই কথা শুনে বুজতে পারলাম ওহ সবকিছু জেনে ফেলেছে যে আমি সন্তান জম্ম দিতে পারব না এটা মিথ্যা কথা।
আমি নতুন একটা আইডিয়া বের করলাম। কারন সেতু আমাকে এখনও ফূলফিল ভাবে ভালোবাসেনি।
কোনো শব্দ না করে। একটু পিছিয়ে এসে সেতুকে ডাক দিলাম। সেতু ফোন টা কেটে দিয়ে আমাকে জিগ্যেস করল। তুমি এতো তারাতারি আসছো
আমি : আসাতে সমস্যা হয়ছে।
সেতু : না সমস্যা হবে কেন। আমি আরো খুশি হয়ছি তোমার সাথে বেশী সময় কাটাতে পারব।
এসব বলতে বলতে সেতু এসে আমকে জরিয়ে দরল জরিয়ে ধরে ঠোটে একটা শুকনা চু/মু দিলো….
(চলবে)