গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ১৪
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” আমি সেতুকে ছারিয়ে ফ্রেস হতে চলে গেলাম ফ্রেস হয়ে এসে দেখি সেতু টেবিলে খাবার সাজিয়ে রেখেছে। খাইতে বসলাম । সেতুকে বললাম তুমি খাইছো
সেতু : না
আমি :চলো একসাথে খাই
সেতু :নিজের হাত দিয়ে খাইতে ইচ্ছে করছে না।
আমি : আসো আমি খাওয়া দেই।
সেতু খুশি হয়ে গেল। খাবার খেতে সেতুকে জিগ্যেস করলাম আচ্ছা সেতু তুমি তো এখন সত্যিই ভালোবাসে আমাকে তাই নাহ।
সেতু : হুম। অনেক ভালোবাসি
আমি : এই যে আমি বাবা হতে পারব না। এটা যখন তোমার রিলেটিভ রা জানবে তখন তোমাকে অনেক কিছু বলতে পারে। তখন কী তুমি আমাকে ছেরে দিয়ে চলে যাবে
সেতু : লোকে কী বলুক। তাতে আমার কিছুই যায় আসে নাহ। আমি তোমাকে কখনই ছেরে যাব নাহ
আমি দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস নিলাম। কথা বলার মাজেই খাবার খাওয়া শেষ। খাবার খাওয়া শেষ হওয়ার পর রেডি হয়ে সেতুকে একটা চুভু দিয়ে কাজের জন্য বের হলাম
বাড়ি থেকে বের হয়ে একটা বন্ধুর সাথে দেখা করলাম ঐ বন্ধুর বড় ভাই ডাক্তার। আর তাকে দিয়ে একটা মিথ্যা রিপোট বানাবো।
পরে ঐ বন্ধ কে সবকিছু খুলে বলি আর বলি তোর ভাবির ভালোবাসা পরিক্ষা করার জন্য একটা ফেইক রিপোর্ট বের করতে হবে রিপোর্ট টা হলো আমি যে বাবা হতে পারব না এটার রিপোর্ট।।
বন্ধু প্রথমে রাজী হয়নি পরে অনেক জোরাজোরিতে রাজি হয়ছে। পরে সবকিছুই বুজিয়ে দিয়ে চলে গেলাম আমার কাজে। কাজ থেকে আসলাম। আর আসার সময় সেতুর জন্য আইসক্রিম আর ফূচকা নিয়া আসলাম। যা দেখে সেতু অনেক খুশি হয়ে গেল।
প্রতিদিনি অফিস থেকে আসার সময় সেতুর জন্য কিছু না কিছু নিয়েই আসি এটা দেখে সেতু দেখে অনেক খুশি হতো। আর আমাক একটা কিস করত।
সাত দিন যাওয়ার পর রিপোর্ট বের করে। পরে আমি আমি আমার বন্ধুকে বলি। এটা বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসবি। যখন আমি অফিসে থাকব।
বন্ধুউ তাই করে আমি অফিসে থাকা কালিন বন্ধু আমার বাড়িতে যাই আর রিপোর্ট টা দেই। আর সেতু রিপোর্ট টা নিয়ে পড়তে থাকে। পড়ে দেখে শুভ কোনোদিন বাবা হতে পারবে না। ওখানে এসব লেখা আছে।আর কারনও লেখা আছে।
সেতুর মনটা তখন খারাপ হয়ে যাই। কী করবে সে বুজতে পারে না। শুভ এর সাথে করবে না না করবে কীছুই বুজতে পারে নাহ। শুভ সাথে থাকা সময় গুলোর কথা ভাবতে থাকে।
এসব ভাবতে ভাবতে কোনদিক দিয়ে সময় পার হয়ে সেতু জানেই না।আর আমিও অফিস থেকে চলে আসি আর সেতুর জন্য ফুচকা নিয়ে আসি।
বাড়িতে এসে দেখি সেতু মনটা খারাপ করে বসে আছে। আমি সেতুকে ডাক দেই আর বলি সেতু কী মন খারাপ। তোমার কী তোমার আব্বু আম্মুর কথা মনে পরছে
সেতু কোনো কথা না বলে রিপোর্টের কাগজ টা আমার হাতে নিল। আমি কাগজ টা হাতে নিয়ে বললাম এসব তো তুমি জানোও
সেতু : তাহলে তোমার মা বাবা কে জিগ্গেস করার পর তোমার বাবা মা তাহলে বলল কেন যে তুমি মিথ্যা বলেছো যে তুমি বাবা হতে পারবে না।
আমি :কারন আম্মু জানে না
সেতু এই কথা শুনে মুখটা থেকে রাগি বানিয়ে চলে গেল। আমী ফ্রেস হতে চলে গেলাম ফ্রেস হয়ে এসে কিছু খেয়ে নিলাম। সেতূর সাথে কথা বলার চেষ্টা করতেছি কিন্তু সেতু দরজা খুলছে না।।
পরে আমি বাইরে বসে থেকে ভিডিও দেখছি। ভিডিও দেখতে দেখতে সন্ধা হয়ে গেল। তখনও সেতু ঘর থেকে বের হলো না।
এখন বুঝতে পারলাম সেতু কেন মন খারাপ করেবসে আছে। আমিও ভাবতে থাকলাম সেতু কী তাহলে আসলেই আমাকে ভালোবাসি নি। সেতু এতদিন কী তাহলে মিথ্যা ভালোবাসতো আমাক।
সেতূ তো ঘর থেকে বের হচ্ছে না সন্ধার রান্না টা মনে হয় আমারি করতে হবে। তাই রান্না করতে গেলাম রান্না করার প্রায়ি শেষ তখন ঠান্ডা পানি মনে গরম পানিতে হাত দিছি। আর হাত টা গেল পুরে। পরে ওমা গো বলে চিৎকার দিয়ে উঠি কিন্তু আফসোছ ধরার মতো কেউ নাই।
পরে নিজেই হাত ধরে ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলাম এরপর ডাক্তার এর কাছে গিয়ে হাতটা মেডিছিন লাগিয়ে নিয়ে আসলাম।হাত একবার ছুলে গেছে। দেখতে অনেক বিশ্রি হয়ে গেছে।
রান্নার কাজ শেষ করে সেতুকে ডাক দিলাম বললাম সেতু দুপুরের খাবার খাওনি এখন রাতের খাবার টা খেয়ে নেও। তা না হলে শরীর খারাপ করবে।
তুমি হইতো আমাকে মেনে নিতে পারছো না ঠিক আছে আমার ডিফোর্স পেপার রেডি আছে। তোমাকে দিয়ে দেইরো। তোমাকে মুক্তি দিয়ে দিব। আসো তাও খেয়ে নাও। পরে সেতু বের হলো আমার হাত টা সেতুকে দেখাইয় নি।
পরে সেতু চুপচাপ খেয়ে নিল। আমি আর খেতে পারলাম কারন গুনে গুনে আমার ডান হাত টাই পুরেছে।
হাতারের কষ্টের থেকে মনের কষ্ট অনেক বড়। সেতূকে অনেক টা ভালোবেসে ফেলেছিলাম।
হাত পুরার কারনে হাতে জ্বালাপোড়া করছে আবার মনটাও ভালো নাই।
সেতুর সাথে কাটানো সময়ের কথা গুলো ভাবছি। কত সুন্দর ছিল দিন গুলো।
এসব ভাবতে ভাবতে চোখে জল এসে গেছে। মনে হয়তাছে চিৎকার করে কাদি। ঘুম ধরছেই না এমনিতে হাতে জ্বালাতোন করতেছে আবার ক্ষুদা লাগছে। রাত 12 টা বেজে গেছে। বসে থেকে কান্না করতেছি কষ্ট আর সৈর্য হয়তাছে না। অনেক কষ্ট হয়তাছে যেটা হয়তো লিখে প্রকাশ করতে পারব নাহ
চোখ দিয়ে জ্বল থামছেই না। তখনি কাধে কারো হাতের ছোয়া পেলাম…..
(চলবে)