গল্প- পিচ্চি মামাতো বোন
পর্ব- ১৫ এবং শেষ
লেখক- ফররুখ আহমেদ শুভ
” পিছনে তাকিয়ে দেখি সেতু দারিয়ে আছে।চোখের জ্বল টা মুছে…
আমি- তুমি এখানে কী কর এত রাতে
সেতু- আপনি কী করেন
আমি- আমার ভালো লাগছে না তাই আমি বসে আছি।
সেতু- আমারো ভালো লাগছে নাহ। তাই আমিও বসে থাকতে এলাম।
আমি- তোমার আবার ভালো লাগবে না কেন?তোমার ভালোলাগার কারনে তোমাকে ছেরে দিতাছি। ডিফোর্স পেপার তো রেডি আছে কালকে সকালে নিয়ে আসবো।মন খারাপ কর না তাও
সেতু- মেয়েদের সাথে ফস্টিনষ্টি করতে পার না বলে আমাকে ডিফোর্স দিবে তাই নাহ।
আমি- এসব কী বল? তুমিও বললা ডিভোর্স দিতে
সেতু আমার কলার দরে বলল ঐ আমি কখন ডিভোর্স চাইলাম বল? আমি তো চুপচাপ ছিলাম।
আমি- আমি বাবা হতে পারব না শুনে তুমি মন খারাপ করে ঘরে দরজা দিয়ে বসে ছিল। তো এটা বুজায় যাই তুমি আমার সাথে থাকতে চাউ নাহ ।ডিফোর্স চাউ
সেতু : আরেক বার ডিফোর্স এর কথা বললে গারটা মটকে দিব বলে দিলাম। আসলে আমি সরি। আমার ভুল হয়ছে। আমিও তোমাকে ছারা থাকতে পারব না আমি তোমার সাথে কাটানো সময় গুলোর কথা ভাবলাম। তুমি আমাকে কতটা কেয়ার কর ঐটা ভাবলাম। বাচ্চা হবে নাত কী হয়ছে আমরা বাচ্চা একটা কিনে নিয়ে আসব।
আমি :সত্তিই তুমি আমাকে ছেরে যাবে নাহ।
সেতু : মরার আগ পর্যন্ত যাব না। আজকের ব্যাবহারের জন্য ক্ষমা প্রর্থি।
আমি : হুম।আমরা আমরাই তো
সেতুকে আমাকে জরিয়ে ধরে আছে। আমিও ধরছি। রোমান্টিক ওয়েদার আমাদের মাজে। সেতু শরীরের সাথে একটু ডান হাত টা লাগলেই উহ বলে উঠলাম।
সেতু : কী হয়ছে তোমার
আমি তখন সেতুকে হাত টা দেখালাম সেতু তো চমকে উঠল।
সেতু :এরকম হলো কেমনে
আমি : আজকে রান্নার করার সময় এরকম হয়ছে।
সেতু এর চোখে জ্বল এসে গেছে
সেতু : আমি আসলে সরি আমার সন্ধার সময় এরকম ভাবে থাকা উচিত হয় নাই।তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই নাহ
আমি :হুম
সেতু : তাহলে তুমি তো ভাত ওহ খাউ নাই তাই নাহ
আমি :হুম
পরে সেতু পেলেটে ভাত নিয়ে এসে আমাকে খাওয়া দিল। আমি খাইতাছি আর মাজে মাজে হাতে কামর দেই।
খাবার খাওয়া শেষ করে আমার বুকের
উপর সেতু সুয়ে আছে। আমি সেতুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। পরে দুজনেই ঘুমিয়ে পরি।
এখন থেকে শুরু হলো রোমান্টিক সংসার হঠাৎ করেই একদিন সেতু মাথা ঘুরে পরে যাই।আর আমি ডাক্তার খানায় নিয়ে যাই।ডাক্তার বলে খুশির খবর আপনী বাবা হতে চলেছেন।
এটা শুনে আমি অনেক খুশি হয় সেতুকে বলতেই সেতূ মুখটা ঘুমরা বানিয়ে বলে। আমার পেটে বাচ্চা আসল কীভাবে। তুমি তো বলেছিলে বাবা হতে পারবে না। আর রিপোটেও লেখা ছিল।
ওহ ঐ সব ছিল সাজানো নাটক। ঐই রিপোর্ট ছিল সাজানো। তুমি আম্মুর কাছে থেকে জানছিলা
আমার কোনো সমস্যা নাই। এটা আমি জানতে পারি আর আমি তোমার ভালোবাসা কত টুকু সত্যি এটা জানার জন্য এসব করছি
সেতু : তুমি ভালো না। তুমি অনেক পচা।
আমি :রাগ কর না লক্ষি সোনা একটু হাসো পিলিজ।
সেতু একটা মিষ্টি হাসি দেই। এই খবর বাড়িতে পোছালে সেতুকে সবাই বাড়িতে আনতে চাই কিন্তূ সেতে বাড়িতে আসবে বলে দেই। আমাকে ছারা বলে সেতু এর ভালো লাগে নাহ।
আমার একটা ছেলে সন্তান হয় আর দেখতে একবারই ওর মায়ের থেকেও সুন্দর। আমি ছেলেকে দেখে ভাবতে লাগলাম। আমার চেহারা ততটা ভালো না। তাই যতো মেয়ে পিছে ঘুরছে।
আর ছেলের চেহারা তো মাশআল্লাহ অনেক সুন্দর। না মেয়েরা আমার ছেলের জন্য কী না করে বসে।
(সমাপ্ত)
[গল্পটা আপনার কাছে কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্ত…..🖤🌸]