প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব-৩৯

0
818

#প্রণয়_প্রহেলিকা (কপি করা নিষিদ্ধ)
#৩৯তম_পর্ব

লাগাতার কলিংবেল বাজছে। কেউ খুলছে না দরজা। জ্বরে ক্লান্ত দীপ্ত বাধ্য হয়ে উঠলো। গতকালের কান্ডের পর তার জ্বর এসেছে। ধুম জ্বর। সে কোনো মতে উঠে দরজা খুললো। খুলতেই খানিকটা চমকে উঠলো, কারণ বাহিরে ধারা দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখশ্রী শক্ত, চোখ থেকে গেলো জ্বলন্ত অগ্নি বর্ষিত হচ্ছে। ক্ষীপ্ত দৃষ্টিতে সে দীপ্তের দিকে তাকিয়ে আছে। ধারাকে দেখে কিছুসময় বিমূঢ় রইলো দীপ্ত। কারণ ধারার এখানে আসার ব্যাপারটি বেশ আশ্চর্যজনক। নিজেকে কিছুসময় বাদে সামলে দীপ্ত জিজ্ঞাসু কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
“ধারা তুমি হঠাৎ?”

ধারা তপ্ত নিশ্বাস ফেললো, সংযত, শীতল কন্ঠে বললো,
“সেলিম আহমেদ কোথায়?”

ধারার এরুপ প্রশ্নে আরোও একবার থতমত খেয়ে গেলো দীপ্ত। ধারার শীতল কন্ঠে একরাশ ক্রোধ সুপ্ত। দীপ্ত চিন্তিত কন্ঠে বললো,
“ধারা কি হয়েছে? তুমি এরকম বিহেভ কেনো করছো?”
“কি হয়েছে সেটা আমি আপনাকে বলবো না, আমি এখানে সেলিম আহমেদের সাথে কথা বলতে এসেছি। দয়া করে তাকে ডেকে দিন নয়তো আপনাকে ঠেলে ভেতরে ঢুকতে আমি বাধ্য হব”

দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষীপ্ত কন্ঠে কথাটা বললো ধারা। দীপ্ত ও আর কথা বাড়ালো না। আন্দাজ কিছু একটা করেছে ঠিক ই কিন্তু বাবা মেয়ের মাঝে তার প্রবেশ অযৌক্তিক। ফলে সে দরজা ছেড়ে দিলো। মলিন কন্ঠে বললো,
“তুমি ভেতরে এসে বসো, আমি আংকেলকে ডেকে দিচ্ছি”
“আমি এখানে বসতে আসি নি, উনাকে তাড়াতাড়ি ডাকুন”

দীপ্তের কষ্ট করে ডাকার প্রয়োজন হলো না, সেলিম সাহেব নিজেই হেটে এলেন বসার ঘরে। তাকে দেখতেই চোখজোড়া ধপ করে জ্বলে উঠলো। অসামান্য ঘৃণা, ক্রোধে, বিষাদে বিধ্বস্ত হয়ে পড়লো সে। নিজেকে সংযত রাখা যেনো অসম্ভব হয়ে পড়লো। তার মুখোমুখি হয়ে তীব্র কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো,
“আমার সুখের জীবন মূহুর্তের মধ্যে এলোমেলো করে কি লাভ হলো আপনার? অনলভাইকে সকলের সামনে অপমানিত করে কি সুখ পেয়েছেন? একজন সৎ মানুষকে অপবাদ দিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছেন?”
“এতো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কেনো বলছো? সরাসরি জিজ্ঞেস করো”
“তাহলে সরাসরি বলছি, আপনি মাধবীকে কেনো টাকা দিয়েছিলেন? টাকা দিয়ে অনলভাই এর নামে কমপ্লেইন করিয়েছেন আপনি? আপনি ভালো করেই জানতেন এমন কিছুতে তার চাকরি হারাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কি জানতেন না?”

সেলিম সাহেব উত্তর দিলেন না শুধু শান্ত চিত্তে তাকিয়ে রইলেন মেয়ের দিকে। ধারা রীতিমতো কাঁপছে, তার রাগ সংযমহারা হয়ে উঠেছে। ক্রোধ, বিশ্বাসভাঙ্গার কষ্টে জর্জরিত ধারা আজ উ’ম্মা’দ প্রায়। তার কণ্ঠ কাঁপছে। ঠোঁট কামড়ে কিছু সময় ঘনঘন শ্বাস নিলো সে। তারপর কাঁপা স্বরে বললো,
“আমি একটা বই তে পড়েছিলাম জানেন, “পৃথিবীতে অনেক খারাপ পুরুষ রয়েছে কিন্তু একটাও খারাপ বাবা নেই” লেখক ভুল ছিলেন। আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বাবা। যে নিজের মেয়ের সুখ দেখতে পারেন না”
“আমি তো বলেছিলাম, আমি তার পরীক্ষা নিব। পরীক্ষা কি সহজ হয় ধারা?”
“কি প্রমাণ করতে চাইছেন বলুন তো? আপনি আমাকে খুব স্নেহ করেন? আমার জন্য আপনি খুব চিন্তিত? এসব করে কিচ্ছু প্রমাণিত হয় না সেলিম আহমেদ। আরোও আমার চোখে আজ নিচে নেমে গেছেন আপনি। আমি আপনাকে ঘৃণা করতেও ঘৃণা করি। আফসোস হয় আমার আপনি আমার বাবা। কোথায় ছিলো এই স্নেহ যখন আমি পা ভেঙ্গে বিছানায় পড়ে ছিলাম? এই ভালোবাসাগুলো কোথায় ছিলো যখন আমার মার মৃ’ত্যুর পর পর ওই মহিলাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন? কোথায় ছিলো যখন আমি আমার জন্মদিনে আপনার অপেক্ষা করতাম? কোথায় ছিলো এই ভালোবাসা? ভালোবাসা জোর করলেই হয় না, সেটা অনুভূতির ব্যাপার। যা আপনি কখনোই বুঝবেন না। এখন এই সব আমার বিরক্তিকর লাগছে। বিরক্তিকর। আচ্ছা, একটিবার আপনার মনে হলো না সেই মানুষটিকে তো আমি ভালোবাসি, এখন আমি কিভাবে তার সম্মুখে দাঁড়াবো? আজ আমার জন্য মানুষটিকে এতোটা অপমানিত হতে হচ্ছে। অনলভাই এর মুখোমুখি কিভাবে হবো আমি?”
“সে যদি সত্যি তোমাকে ভালোবাসে তবে কি এসবে কিছু যায় আসবে?”

এবার মুখ খুললেন সেলিম সাহেব। তার কন্ঠ শান্ত, তার কপালে ভাঁজ নেই। শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে সে। তার উক্তিটি শুনে যেনো আরোও নিয়ন্ত্রণহারা হয়ে পড়লো ধারা, সুপ্ত রাগগুলো অগ্নিরুপে ঝড়লো,
“ভালোবাসা আপনি শিখাবেন আমাকে? যে কিনা শুধু আমার মা একটু সেকেলে, সরলসোজা ছিলো বলে তাকে ঠ’কা’তে একটিবার ও ভাবে নি। আপনি আমাকে শিখাবেন? লজ্জা করছে না? আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় মার বদলে আপনি মা’রা গেলেন না কেনো? অনাথ হওয়াও অনেক ভালো ছিলো এর চেয়ে”
“ধারা, কি বলছো?”

দীপ্ত সাথে সাথে বাঁধ সাধলো। ধারা কঠিন চোখে তার দিকে তাকাতেই সে চুপ হয়ে গেলো। সেলিম সাহেব এখনো শান্ত। সে মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন শান্ত দৃষ্টিতে। ধারা দু হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো, অশ্রুরা বাঁধ মানছে না। ডুকরে কেঁদে উঠলো সে। অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলো,
“আমি কিভাবে অনলভাইকে মুখ দেখাবো, কিভাবে চোখে চোখ রাখবো? পরীক্ষার নামে আমাদের সম্পর্কে ছেদ করিয়ে শান্তি পেয়েছেন আপনি? এটাই তো চেয়েছিলেন। আজ অনল ভাই হারে নি আমি হেরে গেছি। আমি হেরে গেছি”
“কেনো মুখ দেখাতে পারবি না তুই? কেউ কি তোর মুখে কালি লাগিয়ে দিয়েছে? নাকি আমার চোখে নে’বা হয়েছে?”

কথাটা কর্ণপাত হতেই পেছনে তাকালো ধারা, ঝাপসা নয়নে দেখলো দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে অনল। ধারা বিস্মিত নজরে তাকিয়ে থাকলো অনলের দিকে। অনলকে দেখে সেলিম সাহেবের ভ্রু কুঞ্চিত হয়। মাহিকে ফোন করতেই মাহি সবকিছু খুলে বলে অনলকে। এবং এটাও বলে ধারা রাগ মাথায় ভার্সিটি ছেড়েছে। অনলের বুঝতে বাকি নেই তার বউটি কোথায়! সময় নষ্ট না করেই সে সেলিম সাহেবের বাসায় উপস্থিত হয়। দীপ্ত দরজা না দেবার কারণে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতেই ধারা এবং সেলিম সাহেবের অনেক কথোপকথন ই শুনতে পায়। বাবা মেয়ের মাঝে প্রবেশ করার ইচ্ছে তার ও ছিলো না। কিন্তু ধারাকে এভাবে বিধ্বস্ত ও দেখতে পারছে না সে। তাই বাধ্য হয়েই কথাটা বলে। অনল কারোর অনুমতি ছাড়াই ভেতরে প্রবেশ করে, ধারার ডানহাতটা নিজের হাতের ফাঁকের মাঝে গলিয়ে দৃঢ় কন্ঠে বলে,
“আমার ভালোবাসা এতোটা ঠুঙ্কো নয়, সামান্য ব্যাপারে তার ভিত্তি নড়ে যাবে। যখন বলেছি ভালোবাসি তার মানে শেষ নিঃশ্বাস অবধি ভালোবাসি তোকে”

আর সেলিম সাহেবের দিকে তাকায় সে। তার চোখে চোখ রেখে নির্লিপ্ত কন্ঠ বলে,
“আমার বউকে নিয়ে যাচ্ছি। আর থাকলো পরীক্ষা– আমি সারাজীবন প্রথম হওয়া ছাত্র, হারতে আমি শিখিনি। আপনার পরীক্ষাতেও ফুল মার্ক নিয়েই পাশ করবো”

বলেই ধারাকে নিয়ে বেড়িয়ে যায় অনল। অনলরা চলে গেলে দীপ্ত উৎকুন্ঠিত হয়ে বলে,
“সত্যটা কেনো বললেন না আংকেল?”
“সত্য সবসমইয় আপেক্ষিক দীপ্ত, এটা ব্যাক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে। তোমার কি মনে হয় ধারা বুঝতো? উলটো ওর ক্ষোভ বাড়তো। তবে তুমি ঠিক বলেছিলে, অনল ছেলেটার দম আছে। হয়তো এবার আমি হেরে যাবো”

সেলিম সাহেবের ঠোঁটের কোনায় মলিন হাসি ফুটে উঠলো। দীপ্ত সত্যি বুঝে না, লোকটি এমন কেনো? এভাবে মেয়ের চোখে নিচে নেমে কি সুখ?

********
ধারাকে নিয়ে নিজ ঘরে আসলো অনল। ধারা কেঁদেকেটে ফোলা মুখখানার জন্য বসার ঘরে দাদাজানের কাছে প্রশ্নের স্বীকার হতে হয়েছে অনলের। সুভাসিনী তো ধারার মুখ দেখেই চিন্তায় এক শেষ। বারবার একই প্রশ্ন,
“এই অনল, তুই কি করেছিস? সত্যি করে বল নয়তো আমি কিন্তু বয়স দেখবো না এখনই আমার বেলন নিয়ে আসবো”

বেলনটা সুভাসিনীর প্রিয় অ’স্ত্র। ছোটবেলায় এই বেলনের মা’র কম খায় নি অনল। যখন ই তিল থেকে তাল খসেছে সুভাসিনীর হাতে বেলন আর অনলের পা দৌড়ানোর জন্য প্রস্তুত। জামাল সাহেবও কম নন। তিনি তো ত্যাজ্য নাতী করার হুমকি দিয়েই বসলেন,
“ওর বাপ একটা হা’রা’মী, আমার ধারারাণীরে শান্তি দিচ্ছে না। আর তুই ও ওরে কষ্ট দিচ্ছোস? আমি এখনো ম’রি নি। রুবি আমার লাঠি কই?”

এই পাগল পরিবারকে কি করে বোঝায় কান্ডটিতে তার হাত নেই। একটা সময় বিরক্ত হয়ে অনল বলে উঠলো,
“তোমরা কি থামবা? আমার বউ একেই কেঁদে ভেসে যাচ্ছে উপর থেকে তোমরা এক এক জন কি শুরু করছো? আগে আমি জানি আমার বউ কাঁদছে কেনো? তারপর না হয় তোমরা আমাকে পি’টা’ও”

বলেই ধারাকে নিয়ে নিজের ঘরে চলে এসেছে সে। ধারা এখনো নিঃশব্দে কাঁদছে। ঠোঁট কামড়ে মাটির দিকে তাকিয়ে আছে সে। অনল তার কাছে যেতেই সে অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলো,
“আমাকে ক্ষমা দিও”

ধারার কথায় বিস্মিত হলো অনল। বিমূঢ় কন্ঠে বললো,
“কেনো?”
“আজ আমি যদি ঐ লোকটাকে চ্যালেঞ্জ না করতাম তোমার সাথে এমন হতো না। আজ আমার জন্য তোমার জীবনে এতো ঝড়। আমাকে ক্ষমা করে দাও। আসলে আমি ই অপায়া, যার জীবনের সাথে জড়াই তার জীবনেই দূর্ভোগ বয়ে আনি। তাই তো মাকেও হারিয়েছি। আজ যদি তোমার জীবনে আমি না থাকতাম তোমার সাথে এমন কিছুই হতো না। সব আমার জন্য। এর চেয়ে তো আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াটাই শ্রেয় ছিলো…”

কথাটা শেষ হবার আগেই অনলের উষ্ণ ঠোঁটজোড়া চেপে ধরলো ধারার পাতলা ঠোঁটজোড়া। আকস্মিক ঘটনায় থমকে গেলো ধারা। উষ্ণ ঠোঁটের ছোয়ায় কেঁপে উঠলো সে। মেরুদন্ড বেয়ে বয়ে গেলো উষ্ণ রক্তের প্রবাহ। হৃদস্পন্দন হয়ে উঠলো বেসামাল। আবেশে চোখ বুঝে এলো। সাথে সাথে গড়িয়ে পড়লো জমে থাকা নোনা বিষাদ। তপ্ত অনুভূতির প্রহর কাঁটলো। অনল তার কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললো,
“বড্ড বেশি বকিস, এর পর থেকে এই প্রক্রিয়াটাই খাটাবো আমি”

ধারা কিছু বললো না। শুধু নতমস্তক দাঁড়িয়ে রইলো। অনল আলতো হাতে তার মুখখানা তুললো। ঘোরলাগা মাদকতাপূর্ণ কন্ঠে বললো,
“তোর জন্য সব পরীক্ষা সই। এমন হাজারো অপবাদ নিতে পারি আমি। যদিও একটু ফিল্মী ডায়ালগ, কিন্তু আমি সত্যি পারবো। আর কোনোদিন আমার থেকে আলাদা হবার কথা বলবি না। আর আমার কাছে উত্তর চেয়েছিলি না, উত্তরটা হলো, আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে””

ধারা মাথা তুলে তাকালো অনলের গভীর নয়নজোড়ায়। অবাধ্য মায়া, কিছু দূর্লভ ইচ্ছে, নিষিদ্ধ আবেগ। ধারার হৃদয়ও হয়ে উঠলো নড়বড়ে। পায়ের পাতায় ভর করে বাহুর বেষ্টনীতে বাঁধলো অনলের গলা। তপ্ত ঠোঁটের স্পর্শে ছুয়ে দিলো অনলের কপাল, মুখশ্রী। স্পর্শ প্রগাঢ় হলো। নিয়ন্ত্রণ হারা হলো কামনা। অধৈর্য্য হলো দুটো হৃদয়। আদিমলীলায় মাতলো তারা। বাহিরে কেবল সাঁজ। চন্দ্রমাও মেঘের কোল থেকে বের হয় নি। মেঘেদের গর্জন শোনা যাচ্ছে। আবারো বৃষ্টি নামবে আঁধারে ঘেরা নগরীতে। অন্যপাশে প্রণয়লীলা মত্ত হৃদয়জোড়ার হুশ নেই। কিছু তপ্ত নিঃশ্বাস, কিছু আর্তনাদ আর একসমুদ্র সুখ। তাদের প্রণয় প্রহেলিকা ডূবন্ত শীতল কক্ষ_______

ক্লান্ত ধারার ঘুমন্ত মুখখানায় অপলক মায়া নিয়ে তাকিয়ে আছে অনল। কাঁদার জন্য ঈষৎ ফুলে গেছে মুখ, তবুও যেনো অসামান্য মায়া জড়িয়ে আছে। আলো আধারের মায়ায় এক অদ্ভুত মাদকতা। যে মাদকতায় অনল শতবারো ডুবতে রাজি। ভাঁজ পড়া কপালে চুমু খেলো সে। কানে মুখ ঠেকিয়ে ধীর স্বরে বললো,
“তোরে ছেড়ে আমিও যে অপুর্ণ ধারা, কিভাবে আলাদা হই?”

তখন ই নিস্তব্ধতা বেধ করে বেজে উঠলো মোবাইলটা। বিরক্ত হলো অনল। ধারাও নড়ে উঠলো। সাথে সাথেই ফোনের সাউন্ড কমিয়ে দিলো অনল। ধারা শান্ত হয়ে গেলো। ভাঁজটা মিলিয়ে গেলো কপালের। অনলে নিঃশব্দে হাসলো। তারপর টিশার্ট্ এ গলা ঢুকিয়ে ফোনটা নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। রিসিভ করে সালাম দিতেই অপরপাশ থেকে শুনলো,
“অনল, তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে”……………………………

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here