#প্রাণস্পন্দন
#পর্বঃ৫৬
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি
জোর হাওয়া বইছে। গাড়ির জানালা দিয়ে আসা সেই হাওয়া হানা দিচ্ছে আয়েন্দ্রির চোখে। সে নীরব,নিশ্চুপ। ড্রাইভিং সিটে মিশকাত। তার উদ্বিগ্ন, উদ্বেলিত মস্তিষ্কে চঞ্চল ফড়িং এর মতো টিকটক করছে প্রশ্নেরা। আয়েন্দ্রি তার নীরবতা ভাঙল। সরব গলায় বলল—
“প্রাণ ইন্টারসিটেন্ট এক্সপ্রেসিভ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। এটা একটা মানসিক রোগ। যার দরুন প্রাণ হুটহাট রেগে যায় আর ওর রাগের মাত্রা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটু বেশিই হয়। ও চিকিৎসা করালেই সুস্থ হয়ে যাবে।”
মিশকাত সন্দিগ্ধ গলায় ছোট্ট করে বলল—
“আর ইউ শিওর আয়েন্দ্রি? আমার তা মনে হয় না।”
আয়েন্দ্রি ঝনাৎ করে উঠে বলল—
“কেন মনে হয় না আপনার? আমি ওর রিপোর্ট দেখেছি। ঠিকমতো বিহাভিয়ার থেরাপি আর মেডিসিন নিলেই প্রাণ ঠিক হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে এক্সপোজার এড রেসপন্স প্রিভেনশন পদ্ধতি ব্যবহার করলে ও দ্রুত সুস্থ হবে, এমনটা উল্লেখ আছে সেখানে।”
মিশকাত সন্দেহ নিয়ে হেয়ালি গলায় বলল—
“যদি তাই হয় তাহলে তুমি পালাচ্ছ কেন?”
আয়েন্দ্রি শক্ত কণ্ঠে ঘোষণা করল—
“কারণ, আমি ওর কাছে থাকলে এ কখনো বুঝতে পারবে না ও সত্যিই অসুস্থ। আপনারা প্লিজ ওর পিছু ছেড়ে দিন। ও কাউকে খুন করেনি। ওর পরিবারের মৃত্যু একটা অ্যাকসিডেন্ট ছিল। যেখানে ওর কোনো হাত নেই। রোমানকে ও ওর অসুস্থতার কারণে খুন করেছে। ও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনি।”
“তার মানে তুমি বলতে চাচ্ছ নিষ্প্রাণ মানসিকভাবে অসুস্থ, কিন্তু সে সাইকোপ্যাথ নয়?”
আয়েন্দ্রি কঠোর গলায় বলল—
“হ্যাঁ। ওকে চিকিৎসা করালেই ও ঠিক হয়ে যাবে। আপনারা প্লিজ ওকে ওর মতো থাকতে দিন। ”
মিশকাত শ্লেষাত্মক গলায় বলল—
“রোমানের খুনের জন্যও কী ওর সাজা পাওয়া উচিত নয়? ও তো কারো সন্তান?”
আয়েন্দ্রি ঝাঁঝিয়ে উঠে বলল—
“মানছি প্রাণ অন্যায় করেছে। কিন্তু ভাবুন তো, সেদিন প্রাণ না আসলে আমার কী হতো! কাকে মুখ দেখাতাম আমি? যে মানুষ এক দেখায় কোনো মেয়ের সম্ভ্রম ছিনিয়ে নিতে চায়, না জানি আরো কত মেয়ে তার স্বীকার হয়েছে! আমি বলছি না প্রাণ ঠিক করেছে। কিন্তু, আপনার আইন কী আদৌ রোমানকে সাজা দিতে পারত?”
আয়েন্দ্রির অকাট্য যুক্তির নিকট চুপসে যায় মিশকাত। কিন্তু আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। আয়েন্দ্রি মিথ্যে বলছে। নিষ্প্রাণ কোনোভাবেই কোনো ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত নয়। যদি তাই হতো তাহলে রোমানকে এমন করে মারা তার পক্ষে সম্ভব নয়। একজন মানসিক রোগীর হঠাৎ উদ্ভুত রাগ কন্ট্রোলের বাইরে চলে গেলে তাৎক্ষণিক সে এমন কিছু করবে যা ওই মুহূর্তে ওই স্থানে সম্ভব। কিন্তু মিশকাত পুরো বিষয়টা শুনেছে সারকের কাছ থেকে, এমনকি আয়েন্দ্রির পরিবার এবং তার বন্ধু- বান্ধব থেকেও। যা ঘটেছে তা কোনোভাবেই সহসা ঘটা কোনো ঘটনা নয়। পুরোটাই ঠান্ডা মাথায় করা। যা একজন সাইকোপ্যাথ করে থাকে। যদি রাগের বশেই হয়ে থাকে তাহলে কেন সে তার চিকিৎসা করাইনি, তার কেন কোনো অনুতপ্ততা নেই? না, আয়েন্দ্রির যুক্তি মিথ্যে। সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
আয়েন্দ্রি পাশ ফিরে তাকায়। তার ভেতরটা দুমড়ে মুছড়ে যাচ্ছে। ঠোঁট কামড়ে কান্না আবদমন করছে সে। তবুও পারল না। কী করে পারবে সে? নিজের সন্তানের কথা ভেবে যাকে ছেড়ে এসেছে আদৌ তাকে ছাড়া সে থাকতে পারবে! যে হিংস্র মানুষটা বিনা দ্বিধায় মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় সে মানুষটার প্রাণ তার জঠরে নিয়ে ঘুরছে। ওই ভয়ংকর, প্রাণহীন মানুষটাকে ভালো না বেসে পারেনি সে। ঘৃণা করতে করতে কখন যে ভালোবেসেছে তা আয়েন্দ্রি নিজেও জানে না। কিন্তু কী করবে? কোনো মানুষ যদি নিজের অসুস্থতা বুঝতে না পারে তাহলে তাকে বুঝানো দায়। নিষ্প্রাণকে বুঝতে হবে তার এই রাগ, হিংস্রতা এই ভয়াল আগ্রাসন কোনো সাধারণ জীবনধারা নয়।
,
,
,
আয়েন্দ্রির ফুফু তাকে দেখে বিস্মিত। চট্রগ্রামে ছোট্ট এক এলাকায় তাদের বসবাস। তার ফুফু অনেকবার জানতে চেয়েছে ঘটনা। কিন্তু আয়েন্দ্রি কিছুই বলেনি। মিশকাতও মুখ খোলেনি। তিনি চিন্তিত। বসার ঘরে বসে আছেন আয়েন্দ্রির ফুফু লিমা। মিশকাত তার মেয়ের দেবর হয়। মিশকাত সারকের সাথে কথা বলেছে। আয়েন্দ্রির মিশকাতের নাম্বার দিয়ে ভোরেই তার বাবা-মাকে কল করে জানিয়ে দিয়েছে যেন তারা চট্রগ্রাম তার ফুফুর বাসায় চলে আসে। এখান থেকে তারা রাঙামাটি চলে যাবে। সেখানে তাদের দুঃসম্পর্কের এক মামা আছে। নিষ্প্রাণের মোবাইল ড্রেসট্রয় করে রাস্তায় ফেলে দেয় আয়েন্দ্রি। এখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর গড়িয়েছে তাদের। আয়েন্দ্রিকে জোর করেও কিছু খাওয়ানো যায়নি। অনবরত কেঁদেই যাচ্ছে সে। বিকেল থেকে লাগাতার তার বাবার নম্বরে কল করছে মিশকাত। কিন্তু নট রিচেবল বলছে। সারক শহরের বাইরে ছিল। বলেছে ফিরলে কল করবে। কিন্তু তারও কোনো হদিস নেই। সন্ধ্যার দিকে চোখ লেগে এসেছে আয়েন্দ্রির। কাঁদতে কাঁদতে দু’চোখ বুজে আসে মেয়েটার।
,
,
,
কারো অগোছালো স্পর্শে ঘুম ভেঙে যায় আয়েন্দ্রির। চকিতে নিষ্প্রাণের হাস্যোজ্জ্বল মুখটা দেখে ধক করে ওঠে তার বুক। যেন পলকেই তার কলিজা চলে এলো মুখের কাছে। আয়েন্দ্রি সশব্দে শ্বাস ফেলল। মেঝের উপর আসন পেতে একটা নিষ্পাপ বাচ্চার মতো বসে আছে নিষ্প্রাণ। আয়েন্দ্রি ভয়কাতুরে গলায় বলল—
“তুতুতুই? তুই এখানে কী করে এলি?”
নিষ্প্রাণ বিগলিত হাসল। তার চোখ দুটো সুন্দর, নির্মল। আয়েন্দ্রির হঠাৎ মিশকাতের কথা মনে পড়ল। দৌড়ে উঠতে গেলেই নিষ্প্রাণ হাত টান দিয়ে তাকে বিছানায় ফেলে দেয়। আয়েন্দ্রির উপর নির্দিষ্ট দূরত্ব রেখে উবু হয়ে বলল—
“ভয় পাস না। মিশকাতকে আমি কিছু করিনি। ওর সাথে আমার দ্বন্ধ নেই। ও পুলিশ। তাই ওর কাজ ও করেছে, আর আমার কাজ আমি।”
আয়েন্দ্রির বক্ষস্থল উঠানামা করছে সমানতালে। ভয়ে গলা শুকিয়ে গেছে তার। নিষ্প্রাণ হৃদয় ভেজা হাসল।
“এত ভালোবাসা গো জান
রাখিও আঁচলে…..
দোলাও তুমি, দুলি আমি, জগত বাড়ি দোলে।”
নিষ্প্রাণ তার অধরের স্পর্শ আঁকে আয়েন্দ্রির গলদেশে। তার উপর থেকে সরে এসে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। সিলিং এর দিকে তাকিয়ে সরল গলায় বলল—
” তোকে যেতে দেবো তুই ভাবলি কী করে? তুই এত কিছু করবি আর আমি জানব না?”
আয়েন্দ্রি কোনো উত্তর করল না। সে স্থির দৃষ্টিতে শূন্যে তাকিয়ে রইল। নিষ্প্রাণ উঁচু হয়। আয়েন্দ্রির দিকে ফিরে হাতের কনুইতে ভর দিয়ে মাথা রাখে। আত্মবিশ্বাসী গলায় বলল—
“তোর শ্বাসে আমি, তোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে আমার বসবাস। তোর প্রতিটি পলকে আমি, তোর শিরায় শিরায় আমার জয়গান। তোর প্রতি লোমকূপে আমি, তোর হৃৎকম্পনে আমার ত্রাস। সেই তুই আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইছিস? ধ্রুবতারা, তুই এখনো আমাকে বুঝতে পারলি না।”
নিষ্প্রাণ দৈবাৎ ওঠে দাঁড়ায়। আয়েন্দ্রির হাত টেনে এক ঝটকায় তাকে দাঁড় করায়। আয়েন্দ্রি থমকে যায়। নিষ্প্রাণের বাড়ন্ত পদযুগল রুখে যায়। নিষ্প্রাণ পেছন ফিরে তাকায়। চোয়ালের পেশি শক্ত করে বলল—
“চল।”
আয়েন্দ্রি দাঁপিয়ে উঠে বলল—
“যাব না আমি।”
নিষ্প্রাণের মস্তিষ্কে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হলো। তবে নিজেকে শান্ত রেখে বলল—
“ঝামেলা করিস না ধ্রুবতারা। চল আমার সাথে।”
“বললাম তো যাব না আমি। মুক্তি দে আমাকে। বাঁচতে দে আমাকে।”
“আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবি?”
মেঘের আঁধার জমে গেল আয়েন্দ্রির মুখে। তার অন্তঃকরণে ঝড় শুরু হলো। প্রলয়কারী ঝড়! কিন্তু উপরিভাগ নির্মেঘ আকাশের মতো ঝকঝকে। শান্ত গলায় বলল—
“পারব। পারতে হবে আমাকে। তুই চলে যা এখান থেকে। ”
নিষ্প্রাণ শ্লেষমিশ্রিত হেসে বলল—
“কিন্তু আমি তো তোকে ছাড়া থাকতে পারব না। আমার সন্তানকে ছাড়া থাকতে পারব না। আসলে কী বলতো, তুই কখনো আমাকে ভালোবাসিসনি। তুই আমাকে তারাকে ভুলে যেতে বলেছিস। আমার তারা মরে গিয়ে আমার কাছে ফিরে এসেছে। আর তুই! কী করিনি আমি তোর জন্য? তুই ভালোবেসেছিস এক কলের পুতুলকে। যাকে তুই তোর দখলে রাখতে চেয়েছিস। কিন্তু আমি তা নই। ”
ফোঁস করে দম ছাড়ল নিষ্প্রাণ। ক্রুর কণ্ঠে বলল—
“তারাকে আমি নিজ হাতে মেরেছি। ওকে এই পৃথিবী থেকে মুক্তি দিয়েছি। কিন্তু তোকে! তোকে আমি মারিনি। আমার তারা বলেছে তুই আমাকে ভালোবাসিস। তারা মিথ্যে বলে না। ”
“তোর তারা মিথ্যে বলেছে। আমি তোকে ভালোবাসি না। চলে যা তুই এখান থেকে।”
নিষ্প্রাণের প্রতিটি শিরায় রক্তেরা তড়িৎ বেগে ছুটতে লাগল। দাঁত, মুখ খিঁচে গরগর করে আবার নিজেকে শান্ত করে নিল নিষ্প্রাণ।
মোহনীয় গলায় বলল—
“মেনে নিলাম। তবুও তোকে আমার সাথেই যেতে হবে। আমার সাথেই আমৃত্যু থাকতে হবে।”
আয়েন্দ্রি খেঁমটি মেরে বলল—-
“বললাম তো যাব না আমি।”
নিষ্প্রাণ অনুদ্বেগ চোখে তাকায়। নিরুত্তাপ ভঙ্গিতে বিছানায় বসে। মোবাইল বের করতেই আয়েন্দ্রি ভয়ার্ত শ্বাস ফেলে। নমনীয় চোখে হাস্যোজ্জ্বল গলায় নিষ্প্রাণ বলল—
“আমার মোবাইলটা ফেলে দিয়েছিস তাই না? তুই কী ভেবেছিলি মোবাইল ছাড়া আমি তোকে খুঁজে বের করতে পারব না?”
আয়েন্দ্রি কোনো প্রতিক্রিয়া করল না। নিষ্প্রাণ শিমুল কে কল করে বলল—
“হ্যালো, শিমুল!”
আয়েন্দ্রি ছোঁ মেরে মোবাইলটা ছিনিয়ে নিয়ে বলল—
“তুই শিমুল কেন কল করছিস? আমার বাবা-মা কোথায়? কী করেছিস তাদের সাথে তুই?”
নিষ্প্রাণ বিগলিত হেসে বলল—
“এত টেনশন কেন করছিস? কিছুই করিনি। কত রাত হয়েছে দেখেছিস? শিমুলকে বলব তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে। না খেয়ে থাকবে না কি তারা? তোর জন্য সেই সন্ধ্যা থেকে আমার বাড়িতে বসে আছে।”
আয়েন্দ্রি ঝরঝর করে কেঁদে ফেলে। গুমোট শ্বাস ফেলে বলল—
“কেন করছিস এসব? প্লিজ আমার বাবা-মাকে ছেড়ে দে।”
“ফিরে চল আমার সাথে। আমি শুধু দেখতে চেয়েছি তুই আমার থেকে দূরে যাওয়ার জন্য কী করতে পারিস। সুযোগ দিয়েছি তোকে আমি। নাহলে এই পর্যন্ত কী করে আসতি তুই? এবার তো চল। আমার থেকে দূরে যেতে দেবো না আমি তোকে। আজ অনেক খাটনি করিয়েছিস তুই আমাকে। কল সেন্টার, কবরস্থান, চট্টগ্রাম! ”
আয়েন্দ্রি শ্বাসরুদ্ধ করে বলল—
“কবরস্থান কেন?”
নিষ্প্রাণ অনুভূতিশূন্য গলায় বলল—
“দাদু আর নেই ধ্রুবতারা। ”
আয়েন্দ্রি চিৎকার করে উঠে বলল—
“তুই, তুই দাদুকে মেরে ফেলেছিস?”
নিষ্প্রাণ অনঢ় গলায় বলল—
“না। বিশ্বাস কর। আমি দাদুকে মারিনি। দাদু তোর চলে যাওয়া সহ্য করতে পারেনি।”
“তুই মিথ্যে বলছিস!”
নিষ্প্রাণ ওঠে দাঁড়ায়। আয়েন্দ্রির কপালে অধর ছুঁইয়ে বলল—
“তোকে ছুঁয়ে বলছি। আমি কিছু করিনি।”
আয়েন্দ্রির বুক কেঁপে ওঠল। তার কারণে বুড়ো মানুষটা এভাবে মারা গেল!
আয়েন্দ্রির হাত মুঠোবন্ধি নিষ্প্রাণের। তাদের পথ আগলে দাঁড়ায় মিশকাত। বাঁকা হাসল নিষ্প্রাণ। সজীব গলায় বলল—
“যেতে দিন মিশকাত।”
আয়েন্দ্রির ফুফু লিমা চোখ গোল গোল করে বলল—
“ওকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছ?”
“আমার বউ। আমার বাড়ি ছাড়া কোথায় যাবে! ধন্যবাদ ওর খেয়াল রাখার জন্য। বিয়েটা হুট করে হয়েছে। তাই আপনাদের সাথে দেখা হয়নি। বাসায় আসবেন। দাওয়াত রইল। আপনিও আসবেন মিশকাত আর অবশ্যই সারককে সাথে নিয়ে আসবেন। আসি। চল ধ্রুবতারা।”
থানায় গিয়ে মিশকাতের নাম্বার নিয়েছিল নিষ্প্রাণ। মিশকাতের কল লিস্ট থেকে বাকিসব। সব জেনে বুঝেই আয়েন্দ্রিকে তার পরিকল্পনায় সফল হতে দিয়েছে নিষ্প্রাণ। কারণ ধ্রুবতারা জানে না, প্রাণ তার স্পন্দনকে কোথাও যেতে দেবে না।
চলবে,,,