#প্রাণস্পন্দন
#পর্বঃ৫৮
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি
অনতিক্রম্য ভালোবাসায় আসক্ত পুরুষ যখন তার দুর্বোধ্য ভালোবাসার পিঞ্জিরায় কোনো যোষিতাকে অধিষ্ঠিত করে, তদ্দন্ডে তার তুষ্ণীক অন্তঃকরণে যে তূরন্ত টানের প্রচ্ছন্ন সমীরণের ব্যাত্যার সৃষ্টি হয় তা দমন করা অনিরুদ্ধ, দুর্বার, নীরন্ধ্র। টলতে টলতে অতিক্রান্ত সময়ে তা হয় প্রগাঢ়, অতলান্তিক, ঐন্দ্রজালিক মায়াজাল। পলে পলে উত্তরোত্তর সে মায়াজাল রূপ নেয় ধুম্রজালে, যেথায় দৃশ্যমান মোহিনী হয়ে ওঠে অচেনা, অজানা, অঁচ্ছুত। হৃৎপ্রকোষ্ঠে সুপ্ত প্রণয়ের সম্রাজ্ঞী তখন বিভাসিত চন্দ্রের ন্যায় প্রকীর্ণ করে তার অন্তঃকরণের দ্রাবিত প্রেমবিলাস, তখন ডুবন্ত নাবিকের ন্যায় ঘ্রাণেন্দ্রিয়তে প্রবিষ্ট জলকণার প্রতিচ্ছবিতে সেই সম্রাজ্ঞীর চন্দ্রানন উদ্ভাসিত হতে থাকে।
নিষ্প্রাণ আর আয়েন্দ্রির জীবনটাও তেমনই। এক প্রাণহীন পুরুষ তার হৃদয়চিত্তে এঁকেছে এক সাধারণ নারীর ছবি, যাকে ভালোবেসেছে পাগলের ন্যায়, যার শ্বাসে নিজের শ্বাস খুঁজেছে, যার প্রাণে নিজের প্রাণ বেঁধেছে। মরেছে তার প্রেমে বারংবার, বেঁচেছে তার ভালোবাসার প্রানসঞ্জাবনীতে। আয়েন্দ্রিকে বেঁধেছে এক নিচ্ছিদ্র কুহেলিকা যা চোখের সামনে সব তুলে ধরলেও রয়ে গেছে অগোচরে। আয়েন্দ্রির প্রেম সাগরের এক মাতাল নাবিক নিষ্প্রাণ।
নিষ্প্রাণের হাত থেকে এলবো সাপোর্টিক ওয়াকিং স্টিকটা সরিয়ে নিয়ে বিছানার সাথে হেলিয়ে রাখে আয়েন্দ্রি। তাকে সাবধানে বিছানায় উপনীত করে। নিষ্প্রান সন্তর্পনে বসে চোখে হাসে। আয়েন্দ্রি নিষ্প্রাণের পা দুটো অতি যত্নের সাথে বিছানায় উঠিয়ে দেয়। বিছানার হেডবোর্ডের সাথে দুটো বালিশ দিয়ে নিষ্প্রাণকে হালকা কাত হতে বলে। পিঠটা হেলিয়ে পা দুটো টানটান করে বসে নিষ্প্রাণ। স্নেহার্দ্র গলায় প্রশ্ন করে আয়েন্দ্রি—
“এখন ব্যাথা করছে?”
নিষ্প্রাণ চোখের তারায় প্রসন্নতা ব্যক্ত করল। বলল—
“না।”
“ঔষধ খেয়ে নিয়েছিস?”
“হ্যাঁ।”
নিষ্প্রাণের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের হাড়ে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার দরুন ফ্র্যাংচার হয়েছে। ডক্টর বলেছে সার্জারী করালে সে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু নিজের অপরাধের শাস্তি স্বরুপ সে হ্যান্ডিক্যাপের জীবন বেছে নেয়। মাসে মাসে থেরাপি, মেডিসিন আর ওয়াকিং স্টিক তার সঙ্গি। আর তার প্রাণের প্রশান্তি তার ধ্রুবতারা।
নিষ্প্রাণ আখুঁটে গলায় প্রশ্ন করল—
“তুই কী এখনই চলে যাবি?”
“হ্যাঁ। দেরি হচ্ছে আমার। ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে।”
নিষ্প্রাণ শিথিল হয়ে বসে রইল। আয়েন্দ্রি কাবার্ড থেকে একটা গাঢ় বেগুনি রঙের সবুজ পাড়ের জামদানি বের করল। আরশিতে প্রতিবিম্ব পড়ছে আয়েন্দ্রির। তার বিয়াল্লিশ বছরের নারী দেহের অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। তার মেদহীন গাল হয়েছে ফুলকো। দুই বাহুর বাজু ফুলেছে। শরীরের অনেক জায়গায় বেড়েছে কিঞ্চিৎ পরিমানে মেদ। নিষ্প্রাণ অনিমেষ চেয়ে রইল। তার কাছে আয়েন্দ্রি এখনো তেইশ বছরের সেই প্রথম দেখা বর্ষণস্নাত উৎপলের ন্যায় যুবতী। নিষ্প্রাণের দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ লড়াই করছে নিভৃতে। আয়েন্দ্রি নিষ্প্রাণের সামনেই শাড়ি পরিবর্তন করল। খোলা চুলে করল খোঁপা। ছোটো দুটো স্বর্ণের দুল দিলো কানে। হাতভর্তি চুড়ি পরতে ইচ্ছে হলো তার। কিন্তু পরল না। ডান হাতে দুটো স্বর্ণের বালা পরল। প্রসাধনীর ব্যবহার এখন অহেতুক ঝামেলা মনে হয়। কে দেখবে তাকে? যে দেখার সে তো এখানেই।
আয়েন্দ্রি নিষ্প্রাণের কাছে এসে দাঁড়ায়। আয়েন্দ্রি যখনই কোথাও যাওয়ার জন্য তৈরি হয় তার পুরো সাজ চলে নিষ্প্রাণে পলকহীন দৃষ্টির সামনেই। চোখের প্রশান্তিতে কাতর নিষ্প্রাণ হৃদযন্ত্রের দহনক্রিয়ায় ঝলসে যায়। প্রেয়সীকে না ছুঁয়ে তার গভীর, অভীপ্সাপূর্ণ মনোহারী রূপ শুধু দেখে নিজের পৌরষসত্ত্বাকে শান্ত করা কতটা কষ্টকর তা পৃথিবীর কোনো পুরুষকে যেন অনুভব করতে না হয় তার নীরব প্রার্থনা করে নিষ্প্রাণ।
বেডসাইড টেবিল থেকে হাতঘড়িটা নিয়ে বাম হাতে পরে আয়েন্দ্রি। তার চোখের নিচে ফোলা জায়গাটা আরো বেশি সুন্দর। নিষ্প্রাণ ফিকে গলায় বলল—
“শাস্তি দিচ্ছিস আমাকে?
আয়েন্দ্রি বালা দুটোতে হাত নাড়িয়ে বলল—
“যা তোর মনে হয়।”
নিষ্প্রাণ ক্লান্ত শ্বাস ফেলে। তারপক্ষে এখন সম্ভব নয় হুটহাট প্রেয়সীকে চুমু খাওয়া, মেঘ ভাঙা অকস্মাৎ বর্ষণের মতো অর্ধাঙ্গীনিকে সিক্ত করা, নিজের হৃৎগহীনে ঝড় উঠলেই তাকে শান্ত করার জন্য প্রিয়তমার কায়ার ঝংকারে নিজেকে সমাহিত করা। হয় না এখন আর ঠোঁটে ঠোঁটে কথা, চকিত করে কায়া কাঁপানো। আবিষ্ট হয়ে একে অপরের শ্বাসে শ্বাসে সহসা মিলিয়ে যাওয়া। আয়েন্দ্রি যতক্ষণে নিজেকে স্বইচ্ছায় নিষ্প্রাণের নিকট সঁপে দেয় ততক্ষণে তার প্রাণসুধায় অবগাহন করে সে। প্রাণপুরুষের চাহিদা প্রাণনারী বোঝে। তবে নিয়ম মেনে প্রেম করা তা ভালোবাসার সংবিধানে নেই। নিয়মমাফিক কাজ তো জীবনে একগেয়েমি! তাতে চঞ্চলতা নেই, নেই প্রাণোচ্ছলতা। আছে এক সমুদ্র অবসাদ। ভালোবাসা হবে প্রমত্তা তরঙ্গমালার মতো। ভাসিয়ে নিয়ে অকুলপাথার। থাকবে না ইহজাগতিক মায়া। একে অপরের নেশায় মগ্ন হবে।
আয়েন্দ্রি নিষ্প্রাণের সামনে বসে। নিষ্প্রাণ একটু এগিয়ে আসে। মোহবিষ্ট নয়নে তাকিয়ে আছে নিষ্প্রাণ। নিষ্প্রাণ ভুলে যায় আয়েন্দ্রি এখন আর যুবতী কন্যা নয়, মধ্য বয়সী এক নারী। আয়েন্দ্রির চোখে অধর ছোঁয়ায় নিষ্প্রাণ। ঘোর লেগে আসে তার। নেশার্ত হয় সে। অধরের ছোঁয়া গাঢ় থেকে প্রগাঢ় হয়। নেমে আসে আয়েন্দ্রির কপোলে, নাকে, চিবুকে। চিবুক ছুঁইয়ে ভিজিয়ে তুলে গলদেশ। শ্বাসে শ্বাসে নিরন্তর দ্বন্ধ। বুকে ওঠে কাঁপন। আয়েন্দ্রি ঝরা গলায় বলল—
“কিছু লাগলে পিয়ান্তকে বলিস। ওকে বলে যাচ্ছি আমি।”
নিজের লাগামহীন ছোঁয়ায় বেড় লাগায় নিষ্প্রাণ। সরল গলায় বলল—
“সাবধানে যাস। তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস। আমি অপেক্ষা করব।”
গলা থেকে মুখ সরিয়ে আয়েন্দ্রির অধরে মত্ত হয় নিষ্প্রাণ। আয়েন্দ্রি অনঢ়। এইটুকু পাওয়ার অধিকার তার স্বামী রাখে।
নিষ্প্রাণের ঝাঁকড়া চুলে হাত গলায় আয়েন্দ্রি। কপালে চুমু এঁকে বলল—
“আসি আমি।”
নিষ্প্রাণ চোখের পলক ঝাঁকায়। আয়েন্দ্রি কক্ষ থেকে বের হতেই নিজের মুঠোফোন হাতে নেয় নিষ্প্রাণ। কল করে নজরুলকে।
“ধ্রুবতারা বের হচ্ছে। খেয়াল রেখো ওর প্রতি।”
নজরুল দৃঢ় গলায় প্রভুত্ব স্বীকার করে বলল—
“চিন্তা করবেন না ছোটো সাহেব। নয়া বউয়ের ছায়া হয়ে থাকব আমি।”
“হুম।”
নজরুল গত পনেরো বছর ধরে এই বাড়িতে ড্রাইভার হিসেবে আছে। একবছর টানা অনুশীলন করে সে একজন দক্ষতা সম্পন্ন ড্রাইভারে পরিণত হয়েছে। তবে তাকে নিষ্প্রাণের ডান হাত বললে ভুল হবে না। আয়েন্দ্রির পল পল হওয়া সমস্ত ঘটনার রেকর্ড বক্স সে।
,
,
,
দরজাটা লাগানোই বলতে গেলে। তবুও তাতে মৃদু হাতে ধাক্কা দিলো আয়েন্দ্রি। দরজা খুলে যেতেই মুচকি হাসল সে। ডাকল—
“পিয়ান্ত!”
কম্পিউটারের মনিটরের সামনে একাগ্রচিত্তে বসে থাকা কিশোরটি চকিতে ফিরে তাকাল। প্রাণখোলা হেসে বলল—
“আম্মু! তুমি?”
আয়েন্দ্রি চকচকে চোখে তাকায়। পিয়ান্ত চেয়ার ছেড়ে মায়ের কাছে এসে দাঁড়াল। চমৎকার হেসে বলল—
“কিছু বলবে আম্মু?”
আয়েন্দ্রি কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে বলল—
“কী করছিলে?”
“একটা প্রেজেন্টেশন করছিলাম। ন্যাচারাল ডাইজাস্টারের উপরে।”
“ও। আম্মু বের হচ্ছি। আব্বু ঘরেই আছে। তার দিকে খেয়াল রেখো।”
“কোথায় যাচ্ছ তুমি?”
“তোমার আরাজ মামার মেয়েকে দেখতে।”
“কখন ফিরবে?”
“ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ফিরে আসব। আব্বুর দিকে খেয়াল রেখো।”
“তুমি চিন্তা করো না। যাও।”
সিঁড়ি বেয়ে ছোট্ট ছোট্ট পা ফেলে উঠছে পিয়ান্ত। চিত্তে চাপা উচ্ছ্বাস। নিষ্প্রাণের কক্ষের দরজাটা খুলে ঘরময় চোখে বুলিয়ে বাবাকে দেখল না পিয়ান্ত। সে গুটিগুটি পায়ে বারান্দায় গেল। নিষ্প্রাণ দাঁড়িয়ে আছে। পিয়ান্ত ডেকে উঠে—
“আব্বু!”
পেছন ফিরে তাকায় নিষ্প্রাণ। তার তপ্ত হৃদয়ে ছুঁয়ে গেল বসন্তের শীতল সমীরণ। পিয়ান্ত। তারই অংশ। দেখতেও তার মতো। সেই চোখ, সেই নাক। চোখে চশমাও। জুনিয়র নিষ্প্রাণ বললেও কেউ চিনতে ভুল করবে না। উচ্চতাও পেয়েছে বাবার মতো। সাথে তীক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা আর সহনশীলতা, ধৈর্য্য, নিগূঢ়তা। এইটুকু বয়সেই বাবার কাঁধ সমান সে। পিয়ান্ত ঝাঁপিয়ে এসে পড়ে বাবার বুকে। নিষ্প্রাণ চেপে ধরে নিজের অস্তিত্বকে নিজের সাথে।
“হাউ আর ইউ মাই বয়?”
“আই এম ফাইন। তুমি কেমন আছ আব্বু?”
নিষ্প্রাণ এক সমুদ্র ভালোবাসা নিয়ে ছেলের কপালে আদর মাখে।
“আমি ভালো আছি।”
পিয়ান্ত আবারও জড়িয়ে ধরে নিষ্প্রাণকে। গাঢ় মায়ায়। আজ একমাস পর আবার সে বাবাকে এভাবে পেয়েছে। আয়েন্দ্রি বাইরে গেলেই নিষ্প্রাণ তার বলয় থেকে বেরিয়ে আসে। তার পা সুস্থ, স্বাভাবিক। অনেক বছর আগে ছোট্ট পিয়ান্ত বাবাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে দেখে বিস্মিত হয়। নিষ্প্রাণ তার চতুরতার শেষ চাল চালে। পিয়ান্তকে বোঝায় সে একটা ভুল করে ফেলেছে। যেমনটা পিয়ান্ত করে। একদিন মায়ের অগোচরে দামি ফুলদানি ভেঙে ফেলেছিল পিয়ান্ত। কিন্তু সেই দোষ নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিল নিষ্প্রাণ। ঠিক তেমনভাবে সেও একটা ভুল করে ফেলেছে। যার দরুন তার মা তার বাবাকে ছেড়ে চলে যেতে চাইবে। তাই নিষ্প্রাণ নিজের অসুস্থতার নাটক করছে। ছোট্ট পিয়ান্তের মনে ভয় ঢুকে যায়। সে তার বাবা-মাকে কখনো আলাদা দেখতে চায় না। তাই চুপ হয়ে যায়। আয়েন্দ্রি যখনই দূরে কোথাও যায় বাবা, ছেলে তাদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
,
,
,
নিজের পার্স হাতাতেই আয়েন্দ্রির মনে হলো সে মস্ত বড়ো ভুল করে ফেলেছে। আরাজের মেয়ের জন্য যে চেইন কিনেছিল তা ভুলে বাসায় রেখে এসেছে। নজরুলকে গাড়ি ঘোরাতে বলে আয়েন্দ্রি। বাসার সামনে এসে তটস্থ হয়ে ঘরে ভেতর ঢোকে। সিঁড়ি বেয়ে উঠছে আয়েন্দ্রি।
শরতের শান্ত দ্যুলোক। তুলোর মতো তুলতুলে অরঞ্জিত গুচ্ছ গুচ্ছ জীমূতের অপ্রতিবন্ধ বিচরণ। চিত্রভানুর সন্তপ্ততা অপ্রভ। অপ্রকট সদাগতিতে আবেশিত বসুমাতা। চোখের সম্মুখের খর্বকায় শাখীতে লেগেছে প্রাণের উল্লাস। মন্থরগতিতে দোদুল্যমান সে। অপ্রভ চিত্রভানুর চিলতে আলোকচ্ছটায় গেয়ে উঠছে শাখী। কচি পত্রপল্লবে মৃদু কম্পন।
নিষ্প্রাণের উদাস, অরব, মলিন দৃষ্টি অদূরে। বাবার দিকে চেয়ে আছে পিয়ান্ত। বারান্দার দোলনায় বাবা,ছেলে পাশাপাশি। এই মানুষটাকে খুব ভালোবাসে পিয়ান্ত। নিষ্প্রাণের কাছ থেকে দূরে থেকেও যেন তার প্রাণের কাছে বসবাস পিয়ান্তের। তার নির্লিপ্ত, ম্লান ঠোঁটের হাসি পিয়ান্ত। বাবার দিকে তাকিয়ে থেকে সচল গলায় প্রশ্ন ছুড়ে সে—
“আব্বু!”
নিষ্প্রাণ নিষ্প্রভ গলায় বলল—
“হু।”
“আম্মু যদি কখনো জানতে পারে তুমি সুস্থ, তাহলে কী আম্মু তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে?”
নিষ্প্রাণ ছেলের দিকে তাকাল। দিনের রোশনাইয়ে নিজের প্রতিফলন দেখল ছেলের চশমার গ্লাসে। নিষ্প্রাণ শিথিল চোখে নমনীয় গলায় বলল—
“আমি ধ্রুবতারার প্রাণ হলে ও আমার স্পন্দন। প্রাণকে ছাড়া তার স্পন্দন কোথায় যাবে?”
নিষ্প্রাণের রহস্যচ্ছলে বলা কথায় পিয়ান্তের স্থির, নিষ্কম্প, সতেজ দৃষ্টি।
—————সমাপ্ত———–
Khub bhalo laglo golpota.. onek din por ekta bhalo golpo porlam kono prejudice chara.. thanks..