#প্রেমনোঙর_ফেলে
#লেখনীতে-মিথিলা মাশরেকা
#পর্ব-৫
একহাতে কুড়োল,আরেকহাতে মাথায় থাকা কাঠের টুকরোর বোঝা ধরে বাড়ির দিকে পা চালাচ্ছে খই। সকালে পুবের কাঠবাগানে গিয়ে কাঠ কেটে,বাড়ি বয়ে এনে তবেই খাবার মুখে তোলে ও। তার আগে না। আজকে কুড়োল নিতে গিয়ে হাড়িভর্তি পান্তা দেখেছে ও। বাড়ির নিচে নামতেই ছোট্ট ভিটেটায় লাউ কুমড়োর গাছের সাথে কয়েকটা মরিচগাছ বুনেছে ওর মা। কাঠবাগানে যাওয়ার সময় চকচকে চোখে গাছের মরিচগুলোতে চোখ বুলিয়ে গেছে খই। বাড়ি ফিরে ওই মরিচ দিয়ে পান্তা সাবার করবে বলে। বাড়ির সামনের ঢালু বেয়ে উঠতে গিয়ে শুকনো এক শামুক খালিপায়ে বিধলো খইয়ের। একটু দাড়িয়ে পা উচিয়ে দেখলো একপলক ও সেটা। কুড়োলটা গলা,কাধে ভারসাম্য করে একহাতে পা থেকে খুলে ফেললো শামুকের টুকরো। বেশ অনেকটা গভীরে থেকে রক্ত বেরোতে লাগলো জায়গাটার।
বিন্দুমাত্র পাত্তা না দিয়ে ঘাসে পা ডলা মারতে শুরু করে দিলো খই। বিরবিরিয়ে বার দুয়েক পড়লো,’কাটা বাধায় শঙ্খিনী,দুব্বাঘাসে কাদম্বিনী। কাটা বাধায় শঙ্খিনী,দুব্বাঘাসে কাদম্বিনী!’ মিনিটখানেকের মধ্যেই জ্বালাটা কমেছে। জ্বালা কমানোর এই অমোঘ মন্ত্র খই ওর মায়ের কাছ থেকে শিখেছে। মায়ের কথা আসলেই মিথ্যে হয়না! ব্যথা পুরোপুরি ভুলে,কাঠ মাথায় করে,হেলেদুলে বাড়িতে উঠলো খই। কাঠ নিচে রেখে মাটির বারান্দায় বসে গেলো। পায়ের উপর পা তুলে দেখার চেষ্টা করলো কতোটা কেটেছে শামুকে। সাহেরা বানু দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা গোবরলাঠিগুলো গুছিয়ে নিচ্ছিলো। মেয়েকে দেখে বললো,
-কিরে? পায়ে কি হইছে?
-শামুক বিন্দাইছে মা।
সাহেরা তড়িৎবেগে ছুটে আসলো মেয়ের কাছে। পায়ের কাছে বসে গেলো মেয়ের। খই পা সরিয়ে ব্যস্তভাবে বললো,
-আরে আরে মা! করো কি? দুব্বায় ডলা দিছি,ঠিক হইয়া গেছে তো! পা থাইকা উডো তুমি! উডো!
সাহেরা আগে খইয়ের পা টেনে পরখ করে নিলো কতোটা কেটেছে। রক্তক্ষরন নেই। তবে ক্ষতটা গভীর। নিজেও খইয়ের পাশে রোয়াকে বসে গেলো এবার। পুরোনো কাপড়টার ছেড়া আঁচল কোমড়ে গোজা ছিলো। আঁচল কোমড় থেকে ছাড়িয়ে খইয়ের চোখমুখ মুছিয়ে দিয়ে বললো,
-খিদা লাগে নাই? ক্যান যাস সকালে কাঠতলায়? আমিই যাইতাম নয়?
-তুমি তো জানোই মা,কাঠ না বইলে আমার খিদা লাগে না। ওহন খুব খিদা লাগছে। চারডা বিন্দিমরিচ তুইলা আনি গাছ থাইকা?
সাহেরা কপাল কুচকে বললো,
–ক্যান? বিন্দিমরিচ দিয়া ক্যান খাবি তুই? ঘরে তো পটল আর বড়মাছের তরকারী আছে। আমি তর লাগি মাছের মুড়ো রাখছি খই!
-বুবু তো সকালে যাওনের সময় মাছের মুড়োডা আমারে দিয়া দিছে বানু মা!
জ্বিভ কেটে বসে ছিলো খই। এই মরিচের কথা বলা মোটেওউচিত হয়নি ওর। কিন্তু মাকে সামলাতে ওর কিছু বলার আগেই পাশ থেকে বছর ছয়েকের এক মেয়ে কথাটা বলে উঠলো। সাহেরা মেয়েটার দিকে বড়বড় চোখে তাকালো। শব্দ করে নিজের কপালেই চড় লাগালো খই। আজকে আবার শনি আছে পুঁটির কপালে। সাহেরা বিস্মিত কন্ঠে বললো,
-মুড়ো তরে দিছে মানে? তুই না রাইতের বেলা আইলি পুঁটি? তরেও তো একটা বড়মাছের চাকা দিছিলাম আমি! আবার সকালে আইসা বুবুর মুড়ো নিছোস তুই?
সাহেরার গলা শুনে গলা শুকিয়ে গেলো পুঁটির। আশেপাশে মার লাগানোর মতো কিছু খুজলো সাহেরা। একছুট লাগিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো পুঁটি। এবার অগ্নিচক্ষু করে খইয়ের দিকে তাকালো সাহেরা। খই কথা ঘোরানোর জন্য বললো,
-ও্ ও মা! খিদা লাগছে! দেও না বিন্দিমরিচ আইনা! যেই গরম পরছে! পান্তা নেতায়া যাইবো কইলাম!
…
-ক্ কইতাছি যে,আমার পুতুলডার কাইল বিয়া। ব্ বদুকাকারে দাওয়াত দেই?
…
-ও্ ওমন করো ক্যান মা? পুঁটিটার ম্ মুড়ো পছন্দ! তাই দিছি! ওর মা তো এতোবড় মুড়ো দিবার পারবো না ওরে! আমি আরেকদিন খামুনে। না খাইয়া তো মইরা…
সাহেরা তৎক্ষনাৎ চড় লাগিয়ে দিয়েছে খইয়ের গালে। গালে হাত দিয়ে ছলছল চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো খই। আর সাহেরা মুখে আঁচল গুজে কাদছে। গালে ব্যথা না পেলেও মায়ের কান্না দেখে বুকের ভেতরটা মুচড়ে উঠছে খইয়ের। মায়ের দিকে এগিয়ে বসে আদুরে গলায় বললো,
-ও মা? মা? কান্দো ক্যান তুমি? ও মা?
-কতোবার কমু তরে? কতোবার কেমনে কেমনে বুঝামু? আমার কথার অমান্য হইস না খই! আমি যা কই,তর ভালোর লাইগাই কই! মন তো চায় তরে আসমানের তারা দিয়া সাজাই,মন তো চায় তরে জমিদারবাড়ির খাওন খাওয়াই,মন তো চায় তরে রাজকন্যার মতন কইরা কোনো প্রাসাদে রাখি! কিন্তু কি করমু ক? তর মায়ে তো অক্ষম! তর মা তো কিছুই পারে না! এল্লাগাই তো তুই মরার কথা কস তাইনা মুখপুড়ি? তুই ছাড়া তো এই সাহেরাও বাচবো না! তাতেই শান্তি তোর তাইনা? তাইলে হুন! পরেরবার মরার কথা কওনের আগে আমারে কইস! আমি কলস নিয়া শুকমরায় ডুব দিমু! তুইও বাচবি,আমিও মইরা শান্তি পামু!
রোয়াকের বাঁশ জরিয়ে হুহু করে কাদতে লাগলো সাহেরা। খই ফাকফোকর খুজে,শিশুর মতো মায়ের বুকে মুখ গুজলো আস্তেধীরে। সাহেরা কান্না থামিয়ে ফোপাতে লাগলো। এই মেয়ে ওর কোলে মাথা রাখলেই ওর কোল জুড়িয়ে যায়। খই গোজাস্বরে বললো,
-মরার কতাখান আর কোনোদিনও কমু না মা! এইবারের মতো মাফ কইরা দেও?
মুহুর্তেই সব দুঃখ বিলীন সাহেরার। আঁচলে ও চোখমুখ মুছলো নিজের। উঠে গিয়ে পান্তার সাথে নিজের জন্য রাখা মাছ নিয়ে আবারো খইয়ের সামনে বসলো। খই বললো,
-এইডা তো তুমি খাইবা!
-একলগে খাই। নে হা কর!
মেয়েকে খাওয়াতে খাওয়াতে নিজেও খাচ্ছিলো সাহেরা। খই খুশিমনে খেতে লাগলো। সাহেরা বললো,
-কাইল মুন্সীবাড়ি শহর থাইকা লোকজন আইবো। তুই কাইল থাইকা মুন্সীবাড়ির ওইদিক যাবি না। গেরোস্তবাড়িতেও যাইবি না। মনে থাকবো?
খাবার না চিবিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো খই। এই পুরো গ্রামে পাখির মতো উড়ে বেরানোর অনুমতি আছে ওর। কিন্তু মাঝেমধ্যেই যখন কোনো কাছারীবাড়িতে শহুরে কেউ আসে,মা তখনই ওকে ঘরবন্দি করে দেয়। কেনো এমনটা করে, কতোবার জিজ্ঞাসা করেছে ও মাকে। জবাব মেলেনি। আজও মিলবে না। ফোঁস করে একটা শ্বাস ছেড়ে আবারো ভাত চিবোতে লাগলো। মেয়ের মনভারি দেখে সাহেরা বললো,
-গোলাম মুন্সী কইলো,হ্যাগো রান্দনের লোক লাগবো নাকি। ভাবতাছি আমি যামু।
খইয়ের চোখ চকচক করে উঠলো। সাহেরা স্বাভাবিককন্ঠে বললো,
-কেউ যদি চাঁদ দেখা ম্যাশিন আনে,আমি লইয়া আনুমনে তর লাইগা। এবার খুশি?
-হ হ! মেলা খুশি!
চেচিয়ে মাকে খুশিতে জাপটে জরিয়ে ধরলো খই। এই একটাই শখ ওর। যবে থেকে স্কুলের কাজল আপা চাঁদকে কাছ থেকে দেখা যায় ওমন মেশিনের নাম বলেছে,মন প্রান সব ওই মেশিনের নামেই করে দিয়েছে খই। যে করেই হোক,কাছ থেকে চাঁদ দেখা চাই ওর। মেয়ের পাগলামি দেখে মৃদ্যু হাসলো সাহেরা। পরপরই হাসি মিইয়ে গেলো তার মুখ থেকে। এটুকোতেই খুশি হয়ে যাওয়া এই মেয়েকে কিছুই দিতে পারলো না ও। মনে হয় এই আফসোসগুলো আস্তেআস্তে জড়ো হয়ে ওকে দমবন্ধ করে মেরে দেবে একসময়। কঠোর বাস্তবতা আর নিজের মৃত্যুতে ভয় নেই সাহেরার। ভয়টা একজায়গায়। ওর কিছু হয়ে গেলে,তখন খইয়ের কি হবে? কে দেখবে খইকে?
•
সারারাত ভর জেগে জেগে,লিখনের প্রেজেন্টেশন কভার করে,সকাল এগারোটায় বাসায় ফিরলো রাকীন। গাড়ি পার্ক করে কপাল দু আঙুলে চেপে ধরে ভেতরে ঢুকলো ও। ড্রয়িংরুমে রাজীব মাহমুদ পেপারে মগ্ন ছিলেন। ছেলেকে বাসায় ঢুকতে দেখে স্বাচাবিক গলায় বললেন,
-সারারাত ইনিশাতে ছিলে রাকীন?
রাকীন চমকে উঠে সোফার দিকে তাকালো। এ সময় ওর বাবার বাসায় থাকার কথা না! প্রতিদিনই ইনিশায় ন’টার মধ্যে পৌছে যান রাজীব মাহমুদ। আজকে যাননি দেখে বিস্মিত না হয়ে পারলো না রাকীন। শার্টের হাতাটা টেনে বোতামটা লাগাতে যাচ্ছিলো ও। রাজীব মাহমুদ বললেন,
-ফ্রেশ হয়ে নাও গিয়ে। আমি খাবার রুমেই পাঠাতে বলছি তোমার মাকে। খেয়ে ঘুম দেবে। বুঝেছো?
রাকীন ঠোট কামড়ে হাসলো। ও কতোটুকো বুঝেছে,সেটা বিষয় না। বিষয়টা হলো,ওর বাবা ওকে কতোটা বোঝে। বেশ টের পেয়েছে ওর ওপর দিকে ঠিক কতোটা গেছে যার জন্য সারারাত ইনিশাতে থাকতে হয়েছিলো ওকে। আর এজন্যই এসব বললো ওর বাবা। ওর গর্ব হয় ওর বাবাকে নিয়ে। অঢেল সম্পত্তির উত্তোরাধিকার কথার বিপরীতে,মানুষ হতে গেলে যা যা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়,সবটা ওর বাবা ওর জন্য তৈরী করে রেখেছে। এজন্যই রাজীব মাহমুদ এক সম্মানের নাম। এক শ্রদ্ধার নাম। আসছি বলে চলে আসছিলো রাকীন। রাজীব মাহমুদ বলে উঠলেন,
-প্রেমের বয়স পার করে বিয়ের বয়স হয়ে গেলো। প্রেম তো করলে না। বিয়েটিয়ের কথা কি ভেবেছো? নাকি ইনিশাকে নিয়েই সংসারধর্ম পালন করবে?
রাকীন থেমে গেলো। বাবার দিকে না ফিরে হেসে দিলো ও। কপালে হাত রেখে খানিকক্ষন নিশব্দে হেসে পেছন ফিরে বললো,
-আমার যে বিয়ের বয়স হয়েছে,সেটা ইচ্ছে দেশে ফেরার পর কেনো তোমার মনে পরলো তোমার বাবা?
-আমি বিয়ের কথা বলতেই তুমি তার সাথে ইচ্ছের দেশে ফেরাকে কেনো রিলেট করছো রাকীন? তাছাড়া ভুল কি বললাম আমি? সত্যিই কি বিয়ের বয়স হয়নি তোমার?
রাকীন পা বাড়ালো। রাজীব মাহমুদ বললেন,
-উত্তর না দিয়েই যাচ্ছো যে? মৌনতাকে সম্মতির লক্ষ্মন ধরবো?
-ঘুমোতে বললে না? যাই! স্বপ্নযোগে আগে তোমার বউমার সাথে আলোচনা করে আসি। উভয়পক্ষের মতামত তো জরুরী তাইনা?
রাকীন নিজের ঘরে চলে আসলো। শাওয়ার শেষ করে খালি গায়ে শুধু ট্রাউজার পরে বিছানায় বসলো। ভেজা চুল একদমই মোছে নি। মুচকি হেসে আগে মোবাইলটা হাতে নিয়ে টেক্সট করলো ইচ্ছেকে। পরে ফোনটা পাশে ছুড়ে মাথায় তোয়ালে চালিয়ে ব্যালকনির দিকে এগোলো। বাগানের ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে গতি কমে আসলো ওর হাতের। মৃদ্যু হাসি ঝুলিয়ে রাকীন চেয়ে রইলো ফুলগুলোর দিকে। হাজাররঙা রঙিন ফুলগুলোর মতো,সত্যিই জীবনেরও অনেক রঙ। কখনো লক্ষ্যকে চিনতে শেখা,কখনো লক্ষ্যের পেছনে ছোটা,কখনো লক্ষ্যকে ভালোবাসা,কখনো ভালোবেসে লক্ষ্যচ্যুত হওয়া,কখনো বা লক্ষ্যকে খুজতে গিয়ে ভালোবাসা পাওয়া। শেষের দুটোর কোনোটাই ঘটেনি রাকীনের সাথে। এই দুটোর অপেক্ষাতেই আছে ও। তবে দুটোতে কমন যেটা,সেটা হলো ভালোবাসা। এই শব্দকে খুজে পেতে গিয়ে রাকীন প্রথমটায় গা ভাসাবে,নাকি দ্বিতীয়টায় প্রেমনোঙর ফেলবে,সেটা তো নিয়তিই জানে…
•
ঘুমের ঘোরে ম্যাসেজের শব্দ কানে আসলো ইচ্ছের। চোখ তুলে তাকালো ও। বাটন ফোনটায় দুটো কল আর একটা আনরিড ম্যাসেজের নোটিফিকেশন। কলদুটো বাবার। ব্রেকফাস্টের এলার্ম যাকে বলে। আর ম্যাসেজটা রাকীনের। এই মোবাইলে কল ম্যাসেজের সুযোগ হাতেগোনা কয়েকজনের আছে। তারমধ্যে রাকীন একজন। ওয়াইফাই বন্ধ করে অন্য মোবাইল এরোপ্লেন মোডে রেখে ঘুমিয়ে যায় ও। তাই সে সময়টায় এই বাটন ফোনে শুধু কয়েকজনই যোগাযোগ করতে পারবে ওর সাথে। উঠে বসে রাকীনের ম্যাসেজটা ওপেন করলো ইচ্ছে। ওতে সুন্দরমতো লেখা,
‘এইযে ইংলিশ মেম? ঘুম ভাঙেনি আপনার? এদিকে আপনার আর আমার বিয়ের তোড়জোড়ে পাড়া প্রতিবেশীর যে ঘুম হারাম সে খবর কি আপনি রাখেন? ইনিশার পর সেইযে আপনার ইন্জেরী গালির প্রেমে পরলাম,আর কোনোদিকে মন বসাতেই পারছি না! আর আমার বাবা সেটা টের পেয়ে আমাকে সেই গালির রাজ্যের শেহজাদা করে দেবে বলে তালুতে তালু ঘষে চলেছে। এবার আপনিই বলুন,আমার কি করনীয়? দেশে ফিরে তো একবারও দেখা করলেন না। আমার বেচারা হৃদয়খান যে কতোশত টুকরায় টুকরায়িত হয়ে গেলো,তার কি হবে? তো তার দায় নিতে হলেও একবার দেখা করবেন কেমন? এখন আমি ঘুমোতে যাবো। সন্ধ্যায় দেখে হচ্ছে। ততোক্ষন ভালো থাকিয়েন হবু বউটাহ্! আপনার দিনটি সুখময় হোক!’
নিশব্দে হেসে দিলো ইচ্ছে। এই ছেলেটা পারেও। ম্যাসেজ দেখে মন ভালো হয়ে গেছে ওর। খুশিমনে বিছানার পাশে হাত বাড়িয়ে গিটার খুজলো প্রতিদিনের মতো। খুজে না পেয়ে ধক করে উঠলো ওর ভেতরটা। পাশ ফিরে বসলো ইচ্ছে। মনে পরলো,আগেরদিন প্রাপ্ত ওটা ভেঙে ফেলেছে। নিমিষেই বিস্বাদ নেমে আসলো ওর চেহারায়। শক্ত চোখমুখে ফুটে উঠলো প্রতিত্তরের তীক্ষ্মতা।
#চলবে…