#প্রেমমানিশা(১৯)
রেস্টুরেন্ট থেকে মাধবপুর লেকে যেতে পনেরো মিনিট সময় লাগে। গাড়িতে দশ মিনিট আর পায়ে হেঁটে পাঁচ মিনিট। ফারহান সানাহ্ গাড়িতে উঠে বসতেই গাড়ি স্টার্ট দিল। গাড়ি যত এগোচ্ছে আশেপাশের প্রকৃতি ততই বদলে যাচ্ছে। আস্তে আস্তে গাড়ি রোদেলা ভূমি ছেড়ে অরণ্যে ঢুকছে। সানাহ্ সেসব নিঃশব্দে দেখছে। কিছু দূর যাওয়ার পরই ফারহান গাড়ি থামিয়ে দিল। ফারহান গাড়ি থামাতেই সানাহ্ ওর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো।
সানাহ্কে এভাবে তাকাতে দেখে ফারহান বললো ‘ আমরা এই পর্যন্তই গাড়ি দিয়ে যেতে পারবো। এরপরে পায়ে হেঁটে যেতে হবে। বেশি না পাঁচ মিনিটের পথ। কষ্ট হবে না ‘
সানাহ্ ফারহানের কথা শুনে কিছু বললো না। অপেক্ষা করতে লাগলো ফারহান কখন গাড়ি ছেড়ে বেরোবে। ফারহান গাড়ি ছেড়ে বের হতেই সেও গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লো। সানাহ্কে বেরোত দেখে ফারহান গাড়ির চাবি জিন্সের পকেটে রেখে সানাহ্কে ইশারা করলো এগোতে, সে সানার পিছন পিছন যাবে।
কিন্তু ফারহানের ইশারা বুঝতে পেরেও সানাহ্ তার জায়গা থেকে এক চুলও নড়লো না। ফারহান এবার বেশ বিরক্ত হলো। মেয়েটা কিছু বলছেও না যে তার মনোভাব বুঝবে ফারহান। ফারহান এগিয়ে গিয়ে সানাহ্কে ইশারায় জিগ্গেস করলো কি হয়েছে ? সানাহ্ তার উত্তর না দিয়ে ফারহানের হাত ধরে এগোতে লাগলো। ফারহান এতক্ষণে সানার বুঝতে পেরে অমায়িক হাসলো যা সানার নজর না এড়ালেও সানাহ্ কিছু বললো না। দুজনে চুপচাপ পথ চলতে লাগলো।
মাধবপুর লেকের আশেপাশের প্রকৃতি নয়নাভিরাম। এই জায়গায় যদি ফারহান সানাহ্কে না আনতো তাহলে হয়তো সানার কোনোদিনই এরকম একটা জায়গাকে নিজ চোখে দেখার অভিজ্ঞতা হতো না। লেকের চার পাশ দিয়েই উচুঁ উচুঁ টিলা আছে যার গায়ে গড়ে উঠেছে চা বাগান। লেকের সামনের দিকে লেকে নামার জন্য সিড়ি আছে তবে লেকে নামা নিষেধ।
মাধবপুর লেকের এক অন্যতম সৌন্দর্য্য লেকের শাপলা ফুল। রয়েছে ছোটো, বড় হরেক রকমের শাপলা ফুল। সেকি লাল নীল রঙে রঞ্জিত শাপলা। দেখলে একেবারে মন জুড়িয়ে যায়। সানার একবার ইচ্ছে করলো হাত বাড়িয়ে দুটো ফুল নিতে কিন্তু পরক্ষণেই মনে পড়লো লেকে আসার সময় লেক নিকটবর্তী ব্যানারে লিখা ছিলো লেক থেকে ফুল তোলা যাবে না। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে নিজের ইচ্ছা শক্তি বিসর্জন দিয়ে লেকের সিমেন্ট বাঁধানো ঘাটে বসে জলের ভিতরে স্বচ্ছ ধারা দেখায় মন দিলো।
লেকের আরেকটি সুন্দর দৃশ্য হলো এখানে লেক জুড়ে সাঁতার কাটছে সরালি, পানকৌড়ি আর জলপিপি। সঙ্গে লেকের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া সহস্র পরিযায়ী পাখি তো আছেই। সময়টা শীতকাল বিধায় অতিথি পাখির আনাগোনাও আছে। শীতকালীন সময়টাতে মাধবপুরে লেকে অনেক টুরিস্ট আসে যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজেরা নিজেরা সময় কাটিয়ে যায়। একে অন্যের সঙ্গে আড্ডা দেয়। কেউ কেউ কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে গ্রুপ পিকনিকও করে।
সানাহ্ যখন উদাস মনে লেকের পানির কলকলে ধ্বনি শুনতে ব্যস্ত তখন হঠাৎ ফারহানের চোখে পড়লো লেকের দান দিকের সাইডে দুটো ছেলে দাড়িয়ে আছে যারা সানাহ্কে দেখিয়ে দেখিয়ে একে অপরের মধ্যে কথা চালাচালি করছে। ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারল না ফারহান। বুঝতে না পেরে ফারহানের ভ্রু কুচকে গেলো। ফারহান চুপচাপ দাড়িয়ে থেকে ছেলেগুলো কান্ড কারখানা পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো
আসল কাহিনী কি সেটা তখন বুঝলো যখন ছেলেগুলো সানাহ্কে দেখে তার দিকেই এগিয়ে আসছে। ফারহানের রাগ লাগল। নাহ সানার উপর নয় আর না ছেলেগুলোর উপর। রাগ লাগলো নিজের উপর কারণ সে ব্যর্থ প্রেমিক বলেই প্রেমিকাকে অলক্ষুণে দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে পারছে না। পারছে না বলে তো আর হাল ছেড়ে দিলে হয়না। ফারহান ধুপধাপ পা ফেলে সানার দিকে এগিয়ে গেলো যেটা দেখে ছেলেগুলো সানার দিকে তাদের পদক্ষেপ থামিয়ে দিল। তবে ছেলেগুলো এইদিকে আসা থামালেও ফারহান থেমে নেই।
ফারহান নিজ মনে ছক কষে নিলো কি বলে সানাহ্কে এখান থেকে সরাবে । ফারহান সানার দিকে এগিয়ে গিয়ে সানার উরুতে রাখা ডান হাত টেনে সানাহ্কে তুললো। ফারহানের এহেন কাজে সানাহ্ অবাক। ফারহান সানার মনোভাব বুঝতে পেরে বললো ‘ শুধু পানি দেখলে হবে ? পাহাড় দেখতে হবে তো। এভাবে কচ্ছপের গতিতে একটা জিনিস দেখতে থাকলে সাত রঙের চা আর খাওয়া হবে না। আমার সঙ্গে আসুন। ‘
ফারহানের কথায় এবার সানার ভ্রু কুচকে গেলো। সানাহ্ ফারহানের দিকে ভ্রু কুচকে মুখ ভার করে তাকিয়ে রইল কারণ ফারহান তাকে ইন্ডিরেক্টলি কচ্ছপ বলেছে। সানার মুখ ভার দেখে ফারহান বললো ‘ কি হয়েছে ? মুখ এমন ভার কেন ? ‘
সানাহ্ উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না বিধায় চুপ করে রইলো। সানার এই নীরবতা ফারহান বিশেষ পাত্তা দিলোনা। সে সানার হাত ধরে আপন গতিতে এগিয়ে গেলো। এগিয়ে এসে দাঁড়ালো একটা উচুঁ টিলার সামনে যার গা দিয়ে এগিয়ে গেছে টিলাতে উঠার সিড়ি। ফারহান সানার হাত শক্ত করে ধরে বললো ‘ আমরা এখন এই টিলায় উঠবো তারপর সেখান থেকে লেক দেখবো। আমি আপনাকে ধরছি। আপনি সাবধানে আমার পিছন পিছন আসুন। ‘
কথা বলতে দেরি হলেও সানার পা চালাতে দেরি নেই। সানাহ্ ফারহানের কাছ থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে দ্রুত বেগে টিলার সিড়ি দিয়ে উঠতে লাগলো।কি থেকে হয়ে গেলো বুঝতে ফারহানের সময় লাগলো। যখন বুঝতে পারল তখন সানাহ্ অনেকটা উঠে গেছে। ‘ আরে আরে আমার জন্য দাড়ান। আমাকে ফেলে যাচ্ছেন কেন ? ‘ বলতে বলতে ফারহানও সিড়ি দিয়ে এগোল ।
সানাহ্ টিলার চূড়ায় উঠে দেখলো সত্যিই ফারহান ভুল কিছু বলেনি। এই উচুঁ টিলা থেকে লেক দেখতে আরও বেশি সুন্দর। সানাহ্ যখন মুগ্ধ হয়ে সেই দৃশ্য দেখতে ব্যস্ত ফারহান তখন সবে সবগুলো সিড়ি পেরিয়ে চূড়ায় উঠে এসেছে। প্রকৃতির মুগ্ধতায় ব্যস্ত সানাহ্কে হাপাতে হাপাতে বললো ‘ রাগ করেছেন নাকি ? এভাবে আমাকে ফেলে চলে এলেন যে ? ‘
সানাহ্ এবার প্রকৃতির দিক থেকে চোখ ফারহানের দিকে নজর দিল। ফারহানের গলা এই শীতকালেও ঘামে ভিজে জবজবে হয়ে আছে। মাথা দিয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে। প্রশস্ত বুকে দুটো হাপরের মতো উঠানামা করছে। ফারহান বড্ড হাপাচ্ছে…. প্রয়োজনের চেয়েও বেশি হাপাচ্ছে। সানাহ্ এই দৃশ্য দেখলে গম্ভীর গলায় বললো ‘ বয়স হচ্ছে জানার পরেও এত উচুঁ টিলা বেয়ে উঠতে গিয়েই এই অবস্থা তাহলে আপনার হাঁটুর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করে আপনার কি অবস্থা হতে পারে ভাবতে পারছেন ? ‘
ফারহান যেন হতভম্ভ সানার কথা শুনে। তার কয়েক মুহূর্ত লাগলো সানার গম্ভীর ভঙ্গিমায় তাকে নিয়ে করা মজা ধরতে। ফারহান সানার কৌতুক ধরতেই বুঝতে পারলো সানাহ্ গম্ভীর মুখে সরাসরি তাকে বুড়ো বলে সম্বোধন করেছে। ফারহান সানার মজা ধরতে পেরে বললো ‘ শুনেছি বাঘের বউ বাঘিনী হয় আর সিংহর বউ সিংহী হয়। তারমানে বুড়োর বউ বুড়ি হয়। ‘
সানাহ্ যখন বুঝতে পারল ফারহান তারই করা মজার উত্তর দিয়েছে তখন রাগে সানার মুখ থমথমে হয়ে উঠলো। গম্ভীর গলায় বললো ‘ বুড়ির বর যদি বুড়ো হয় আর বাঘিনীর বর যদি বাঘ হয় তাহলে কচ্ছপের বর কি হবে ? কচ্ছপী ? ‘
এবার ফারহান বুঝতে পারলো সানার রাগটা কোথায় ? মেয়েটা তার ওই সময় অন্যদের উপর রাগ করে তাকে কচ্ছপ বলায় অভিমান করেছে । আসল রহস্য ধরতে পেরে ফারহান অজান্তেই হেসে দিলো।
সানাহ্ দাড়িয়ে আছে চূড়ার সমতল জায়গায়। অভিমানে তার মুখ ভার। অভিমানের বশে তার এখন ফারহানের চেহারাও দেখতে ইচ্ছা করছে না। ইচ্ছে করছে আবার সব ছেড়েছুঁড়ে চলে যেতে। কিন্তু পারছে না কারণ এই ফারহানের অদৃশ্য মায়াজালেই সে আবদ্ধ। এই মায়াজাল মাকড়সার জাল থেকেও কঠিন। বড় বড় মানুষরাও পারেনি এই জাল ছেড়ে বের হতে তাহলে সে কি করে পারবে ?
আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে আমি পাই নি।
তোমায় দেখতে আমি পাই নি।
বাহির-পানে চোখ মেলেছি, আমার হৃদয়-পানে চাই নি ॥
অভিমানিনী সানাহ্ যখন ফারহানের গলায় গান শুনল তখন আর সে তার অভিমান ধরে রাখতে পারল না। তার অভিমান অশ্রু হয়ে ঝড়ে পড়লো। সে অপলক চোখে তাকিয়ে রইলো ফারহানের দিকে। ফারহান তার দিকে অমায়িক হেসে তাকিয়ে আছে আর গান গাইছে…
আমার সকল ভালোবাসায় সকল আঘাত সকল আশায়
তুমি ছিলে আমার কাছে, তোমার কাছে যাই নি ॥
গান গাইতে গাইতে ফারহান সরে গেলো তার জায়গা ছেড়ে। এগিয়ে এলো সানার দিকে। সানার সামনে হাঁটু মুড়ে বসলো। পকেট থেকে কিছু একটা বের করলো। তারপর সেটা সানার সামনে ধরলো। সানাহ্ লক্ষ করলো ফারহানের হাতে গাছ লতা পাতা দিয়ে বানানো এক সুন্দর আন্টি। ফারহান আবারও সুর ধরলো….
তুমি মোর আনন্দ হয়ে ছিলে আমার খেলায়–
আনন্দে তাই ভুলেছিলেম, কেটেছে দিন হেলায়।
গোপন রহি গভীর প্রাণে আমার দুঃখসুখের গানে
সুর দিয়েছ তুমি, আমি তোমার গান তো গাই নি ॥
নিজের এত সুখ সইলো না সানার। তার একেবারই বিশ্বাস হচ্ছে না কেউ তাকে ভালোবেসে এতকিছু করছে। অবাধ্য চোখের অবাধ্য জল বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছে কিন্তু সানাহ্ ভয় পায় তার অশ্রু নামক দূর্বলতা প্রকাশ করতে। সানার বাবাই আফজাল করিম বলতেন ‘ মানুষের কান্না হলো তার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা। এই দূর্বলতা যার তার সামনে প্রকাশ করতে নেই। একমাত্র কাছের মানুষই এই কান্নার সাক্ষী হতে পারে। ‘
সেই কথা আজ পর্যন্ত সানাহ্ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে। দেয়নি কারোর সামনে নিজেকে ভেঙে পড়তে। সবসময় পাথরের মত কঠিন হয়ে সামলেছে নিজেকে। নিজ প্রয়োজনে নিজেকে বানিয়েছে কঠোর। হয়েছে কঠিন শিলা। বিসর্জন দিয়েছে সব ধরনের অনুভূতি। কিন্তু এই একটা দিন তাকে ভেঙে দিচ্ছে। বের করে আনছে তার চিরকালীন সত্তা থেকে।
‘ আমার ধারণা ভুল ছিল। আমি ভেবেছিলাম কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠার জন্য পছন্দ অপছন্দের মিল থাকা আসল । কিন্তু আসল হলো মনের মিলটা। আই থিঙ্ক সেটা আমাদের মধ্যে আছে। আমি চাইবো না আপনি নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের মনে কথা বলুন। বরং আমি চাই আপনি নিজের মতো করে কোনো এক বিশেষ দিনে বিশেষ কথাটা বলে আমার সেই দিনকে স্মরণীয় করে রাখুন। আমি অপেক্ষা করবো ততদিন…
‘
এক টানে নিজের কথাগুলা বলে উঠে দাঁড়ালো ফারহান। সে চায়না সানাহ্ তার মনের বিরুদ্ধে তাকে মেনে নিক। যতদিন সানাহ্ নিজে থেকে কোনো ইনিশিয়েটিভ না নিবে ততদিন ফারহানও আর এই ব্যাপারে কিছু বলবে।
‘ এত কথা বলতে পারলেন অথচ আংটিটা নিজ হাতে পড়াতে পারলেন না ? আংটি কি আমার নিজেকে নিজে পড়ানোর দায়িত্ত্ব ? ‘
ফারহান যখন তার ভাবনায় ব্যস্ত তখন নীরবতা ভেঙে সানাহ্ কথাগুলো বললো। সানার কথা শুনে ফারহান হতভম্ভ। সে চোখ দুটো বড় বড় করে অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে আছে সানার দিকে। সানাহ্ এবার ফারহানকে আরও অবাক করে দিয়ে নিজের বাম হাতটা এগিয়ে দিয়ে বললো ‘ নিন আমার অনামিকায় পড়িয়ে দিন… আর বাড়ি গিয়ে বলবেন বিয়ের সব ব্যবস্থা করতে। ‘
সানার কথায় অবাক হয়ে বললো ‘ আপনি বিয়ের কথা বলছেন ? আপনি না আমাকে হেট করেন ? ‘
‘ হুম হেট করি বলেই তো বলছি। কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের ঘৃনা করার পরও জীবন সঙ্গী বানানো যায়। আপনাকে আমি ভালোবাসলে জীবনের একসময় এমন আসবে যখন আমি আপনাকে ভুলে যাবো। কিন্তু ঘৃনা করলে কখনও ভুলবো না। ঘৃণার জায়গা ভালোবাসার থেকেও উপরে। তাই আমি যাকে ঘৃনা করি তাকেই বিয়ে করবো। আমাদের বিয়েটা লাভ ম্যারিজ নয় হেট ম্যারিজ। নিন এবার আংটি পড়ান ‘ বলে সানাহ্ তার হাত ঝাঁকি দিল।
ফারহান হতভম্ব অবস্থাতেই সানাহ্কে তার আনা আংটি পরিয়ে দিল। ফারহান এখনও একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে আছে। সে বুঝতে পারছে না সানাহ্ কি করতে চাইছে। একবার মনে হচ্ছে সানাহ্ তাকে ভালোবাসে কিন্তু পরমুহূর্তেই মনে পড়ছে সানাহ্ বলেছিল সে তাকে ঘৃনা করে। তাহলে কোনটা সত্যি ?
ফারহান আংটি পড়িয়ে দিতেই সানাহ্ এগিয়ে এসে ফারহানকে জড়িয়ে ধরে তার বুকে মুখ গুজে বললো ‘ আমাকে তাড়াতাড়ি আপনার কাছে নিয়ে যান। আমার নতুন সংসারে নিয়ে যান যেখানে কেউ আমাকে নিয়ে প্রতি নিয়ত ভয়ে থাকবে না। আমাকে শুধু আপনিই পারবেন সামলাতে, আপনার মায়ায় জড়াতে। আপনার বন্দিনী করে রাখতে পারবেন। ‘
এতক্ষণে ফারহানের ঠোঁটে হাসি ফুটলো। সানাহ্ হয়তো তার মনের কথা বলেনি কিন্তু তার আচার ব্যবহারই হলে দিচ্ছে সে ফারহানকে অনেক ভালোবাসে। ফারহান আলতো হেসে সানাহ্কে জড়িয়ে ধরে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো ‘ খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে যাবো আমার কাছে। ‘
~ চলবে ইনশাআল্লাহ্…