গল্প – প্রেমময় তৃষ্ণা
পর্ব – ১১
লেখিকা – তানিয়া
কলির বাবা উঠানে বসে পত্রিকা পড়ছে।হঠাৎ কি মনে করে কলির মাকে ডাক দিলো এক কাপ চায়ের জন্য।কলির মা এককাপ চা হাতে নিয়ে উঠানে আসলাম আমীরের দিকে গেলো।কলির বাবা আসলাম আমীর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে চাটা নিলো।চায়ের মুখে চুমুক দিয়ে,জানো কলির মা,তোমার হাতের চায়ের স্বাদ আমি এখনো আর কারো হাতে পাইনি।কেমনে বানাও এমন চা কওতো।__আপনে একটু বাড়ায়া কইতাছেন,এ এমন কি আর,চাপাতি,চিনি দুধ হয়ে গেলো চা।আপনার কাছেতো আমার হাতের সব রান্নাই ভালালাগে।
|
___এটারে ভালোবাসা কয় বুজছো ।__হইছে বুড়া বয়সে ভিমরিতি শুরু করছেন মনে হয়।___কলির বাবা হেসে দিলো কলির মার কথায়।একটা কথা শুনছো।____কোন কথা।
শুভর বিয়া ঠিক হইয়া গেছে।আমাগো চেয়ারম্যান কে এংগেসমেন্ট এর দাওয়াত দিয়া গেলো চৌধুরী নিজে এসে।ভালাই হইছে,বিয়ার বয়সতো পার হয়ে যাইতাছে আর কতো।হঠাৎ ভিতরের রুম থেকে কিছু পরার শব্দ হলো।কলির মার বুঝতে বাকি রইলো না,কলি সব শুনে ফেলেছে।কলির মা দেখোত,কি পরলো।___কলির মা তারাতারি করে কলির রুমের দিকে গেলো।কলি মাটিতে বসে আছে।চোখ দিয়ে অনবরত জলগুলো পরেই যাচ্ছে। কলির মা দৌঁড়ে গিয়ে মেয়েকে বুকে জরিয়ে ধরে।কলি মায়ের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে থাকে।মা এটা সত্য হতে পারে না।কাল রাতেও কথা হইছে তার সাথে,সেতো আমায় বলেনি,সে বিদেশে যাচ্ছে কিছুদিনের জন্য।কিন্তু বিয়া!!!বিয়ার কথা বলে নাই আমায়।এসব মিথ্যা, সব মিথ্যা।আমি বিশ্বাস করি না মা বলেই কাঁদতে লাগলো।___কি বলে মেয়েকে শান্তনা দিবে,কলির মা জানে না।মেয়ের খুশির কথা চিন্তা করেই তো, মেয়ের থেকে দ্বিগুন বড় শুভকে মেনে নিয়েছিলো মেয়ের জন্য। কিন্তু এখন কি হবে……………।
|
আজ তিনদিন হলো শুভকে ফোন করে পাচ্ছে না,পাবে বা কি করে, শুভতো আগেই বলেছে ওকে কিছুদিনের জন্য লন্ডনে যেতে হবে প্রজেক্ট এর কাজের জন্য।শুভ অবশ্য বলেছিলো ফোন দিবে,কিন্তু তিনদিন ধরে ফোন দেয়নি কলিকে।কলি সারাদিন ফোন হাতে বসে থাকে শুভর সাথে একটিবার কথা বলার জন্য,কোনটা সত্য,আর কোনটা মিথ্যা।তিনদিন ধরে অপেক্ষা করার পর কলি কিছুটা অধৈর্য হয়ে,রিহাকে কল করে জানার জন্য,কিন্তু তেমন কোনও লাভ হলো না।রিহা শুধু জানে শুভ অনুষ্ঠানের দিন সকালে বি ডি তে আসবে।
তিনদিন ধরে কলির নাওয়া খাওয়া সব বন্ধ হয়ে গেলো,রুম থেকে বের হয়না,সারাদিনই বসে বসে কাঁদে।
কলির বিশ্বাসই হচ্ছে শুভ ওকে ধোকা দিবে।
|
কলির এমন অবস্থা দেখে,কলির মা মামুনকে ফোন দিলো,কলির মা জানে মামুনই পারবে ওকে এখন স্বাভাবিক করতে।এছাড়া কলির এসব পাগলামির কথা যদি কলির বাবা জানতে পারে তাহলে,নিঃসন্দেহে কলির বিয়ে তারাতারি দিতে চাইবে,যাতে শুভর ভূত কলির মাথা থেকে সরে যায়।এছাড়া কলি এখানে একা থাকলে আবার যদি নিজের কোনও ক্ষতি করে বসে,তাই কলিকে মামুন তার নিজের বাসায় নিয়ে গেলো।এভাবে আরো বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলো।কিন্তু কলি শুভর কোনও খবর পেলো না।
|
আজ ১০ দিন পর শুভ দেশে ব্যাক করলো,আর এসেই কলিকে কল করলো।কিন্তু কলির ফোন বন্ধ পেলো।শুভর একটু চিন্তা হলো,কারন কলি শুধু স্কুলে গেলে ফোনটা বন্ধ করে রাখে,আর বাকি সময় সাইলেন্ট মুডে থাকে।কিন্তু আজ কি হলো।এখন তো কলির স্কুল বন্ধ। শুভর মনটা ছটফট করছে একটিবার কলির সাথে কথা বলার জন্য।চাইলেও কলির সাথে দেখা করতে যাইতে পারবে না।কারন শুভর বাবা মার আজ marriage anniversary….
|
শুভও রেডি হয়ে চলে গেলো পার্টি এটেন্ড করতে।বাসার সবাই অলরেডি এখানে উপস্থিত।শুভকে আসতে দেখেই, শুভর বাবা এগিয়ে এলো,ও মাই সান, I was waiting for you..শুভকে টেনে স্টেজ নিয়ে গেলো আজমাল চৌধুরী।যেখানে অলরেডি আরুশী আর তার পরিবার দাঁড়িয়ে ছিলো।আরুশীকে অনেকটা বউ বউ লাগছে শুভর কাছে।শুভ ভাবছে,পার্টি ওর বাবা মার অথচ আরুশী এতো সাজা সাজছে মনে হয় পার্টির কেন্দ্র বিন্দু ওই।কিন্তু শুভ বুঝতে পারছে না শুভকে কেনো এখানে আনা হলো।আবার তার পাশে আরুশী ও দাঁড়িয়ে আছে,শুভর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।তবে হাসছে কম লজ্জা পাচ্ছে বেশি।শুভ বুঝতে পারছে না এভাবে লজ্জা পাওয়ার কারন টা কি।শুভ ওর ভাইদের চোখের ইশারা দিয়ে জানতে চায় এখানে কি হতে চলছে।কিন্তু সবাই হাত উঠিয়ে ফেলে,তার মানে তারাও কিছু জানে না।
শুভর টেনশন হচ্ছে এই ভেবে যে আসলে কি ঘটতে চলছে। শুভর বাবা কিছুক্ষন পর সবার সামনে শুভ আর আরুশীর এংগেসমেন্টটা announcement করলো।
এটা শুনে শুভর মাথায় জেনো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।শুভ খুব রাগী একটা লুক নিয়ে____এসব কি হচ্ছে বাবা।____আগে আরুশী মাকে আংটিটা পড়া,পরে সব কথা হবে।আজমাল চৌধুরী শুভর হাতে আংটিটা দিয়ে বলে।____শুভ কিছুক্ষন নিরব থেকে নিজের রাগটা কোন্ট্রল করার চেস্টা করছে,এখানে এতো লোকের সামনে কোনও সিনক্রিয়েট করতে চায় না শুভ।কিন্তু তবুও বাবার সম্মান বাঁচাতে শুভ কলির সাথে এতোবড় অন্যায় করতে পারেনা।শুভ আংটিটির দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে কি জেনো ভাবলো।____কি ভাবছিস শুভ।আরুশী কে আংটি পড়া।____শুভ আরুশীর দিকে তাকিয়ে,sorry arushi,I can’t do it….বলে আংটিটা ওর মায়ের হাতে দিয়ে হল রুম থেকে বের হয়ে গেলো।হল রুমের সবাই শুভর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।শুভর এমন আচরনে হলভর্তি মানুষ সবাই অবাক হয়ে গেলো।
|
শুভ শুভ,স্টোপ শুভ।শুভ থেমে গেলে।__ওয়াট বাবা।___কি সমস্যা তোমার।____ baba,you don’t understand why I can’t get married now.____but why..তোমাকে প্রপার কারন একটা বলতে হবে।এভাবে বললে হবে না,তোমার সাথের সব বন্ধুবান্ধবদের বিয়ে হয়ে ছেলেমেয়ে হয়ে গেছে।আর তুমি,বিয়ে করবে না,বিয়ে করবে না বলে বেড়াচ্ছো।আরে এখন বিয়ে না করলে কয়েকদিন পরতো মেয়েও পাবো না তোমার জন্য।____ওও বাবা আমি বলেনি আমি বিয়ে করবো না,আমি বিয়ে করবো কিন্তু এখননা।____এখন না তো কখন,আমি মরে গেলে।ব্যাটা তুই পাইছোস টা কি।সত্যি করে বলতো তোর কোনও সমস্যা আছে নি।আমার মনে হয় তোকে ডাক্তার দেখানো দরকার।(আজমাল চৌধুরী র কথা শুনে মাহির আর রাহি হেসেই দিলো।শুভ তাদের দিকে তাকালে,দুজনি চুপ হয়ে যায়)____ও বাবা কি সব বলছো তুমি,মা তুমি কিছু বলছো না কেনো।
|
আরে তোর মা কি বলবে,তুই আগে আমার কথার উত্তর দে,তুই আরুশী কে বিয়ে করবি কিনা____না।___না মানে___না মানে না,আমি আরুশীকে বিয়ে করতে পারবো না।____কিন্তু কেনো।____Because I love one..____ooh really, who she is,what’s the name..details bolo..
|
সময় হলে আমি বলে দেবো বাবা।___সময় হলে মানে আর কতো সময় লাগবে।আরে এই বয়সে আমি দাদা হয়ে যাবার কথা,অথচ আমার ছেলে বলছে সময় হয়নি।
|
শুভ ওর বাবার কান্ড দেখে আজ সত্যি শোকড, এমন আচরন আগে কখনো করেনি।শুভ দেখলো আরুশীর পুরো পরিবারই ওর জবাব শুনার জন্য,তাকিয়ে আছে।শুভ ওর এলোমেলো চুল গুলো দুহাত দিয়ে পেছনে দিয়ে জ্বরে একটা নিশ্বাস নিয়ে বললো,আমি কলিকে ভালোবাসি বাবা।আর বিয়ে করতে হলে ওকেই করবো, আর কাউকে না।
|
কোন কলি,_____শুভর মা আজমাল চৌধুরীর কাধে হাত রেখে বললো,মনে নেই তোমার, গ্রামের সেই পিচ্ছি মেয়েটা।যার কথা তোমাকে বলেছিলাম,আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসলাম আমীর এর মেয়ে।
|
আরে ওটা তো একটা বাচ্চা মেয়ে।তোমার ছেলের হাটুর বয়সের সমান।ওই মেয়েতো নিজেই একটা বাচ্চা, আর একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করলে এই জীবনে আর নায়নাতনীর মুখ দেখে মরার ইচ্ছা ছেড়ে দিতে হবে শুভর মা।
|
ও বাবা,প্লিস স্টোপ, এতোই বাচ্চা না ও।so just relaxed.. তুই কি পাগল শুভ,একতো মেয়ের বয়স কম,তার উপর চৌধুরী পরিবারের পুত্রবধূ হবার কোনও যোগ্যতাও নেই সেই মেয়ের মধ্যে।তুই কি দেখে এমন মেয়ের জন্য পাগল হয়েছিস।মানুষজন শুনলে সবাই ছিঃ ছিঃ করবে।কারো কাছে আমি মুখ দেখাতে পারবো না।সেটা কি তুই বুজতে পারছিস না।
|
শুভর রাগটা এখন চরম সীমায় পৌছে গেলো,তাই বাবার একদম সামনে গিয়ে চোখে চোখ রেখে বললো,ওর হয়তো চৌধুরী বাড়ীর পুত্রবধূ হবার যোগ্যতা নেই,কিন্তু এই শুভর বউ হবার সব গুন আছে।আর এটাই আমার জন্য যতেষ্ট। যদি ওকে মেনে নিতে না পারো,তাহলে আমাকেও তোমার ভুলে যেতে হবে।ভুলে যেতে হবে শুভ নামের কোনও ছেলে আছে তোমার।কোনও দিন আমার মুখও দেখতে পাবে না।আর এটা এই শুভ চৌধুরীর প্রমিজ তোমার কাছে।
শুভ চলে গেলো কথাটা বলে,ফাহিমও শুভর পিছে পিছে গেলো।
|
শুভর বাবা পাসের একটা চেয়ারে বসে পরলো। আজহার চৌধুরী ভাইয়ের কাধে হাত রেখে বললো,ভাই আমাদের এখন ভেতরে যাওয়া দরকার,হল রুম ভরা মেহমান।আর আমরা সবাই এখানে, তারা কি মনে করছে।
|
আজহার তুইও কি জানতি,এসব।____মাথা নেড়ে সায় দিলো।___আমাকে কেনো বলিসনি।আর তোরা সবাই শুভকে বাধা দিলি না কেনো।___কিভাবে দেবো ভাই কলির প্রতি শুভর পাগলামি দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিলো,সবাই ওকে কলি থেকে দূরে থাকতে বলায়,নিজেকে নেশার মধ্যে ডুবিয়ে দিতে লাগলো।ছেলের এই অধঃপতন দেখেও কিছুই করতে পারছিলাম না।আপনাকে বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু এমনেই আপনে ব্যবসা নিয়ে বিষন টেনশনে থাকতেন,তাই আমরা চাইনি শুভকে নিয়ে আপনে আরো টেনশন করেন।কিন্তু কয়েকদিনে ওর চেন্জ দেখে আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম,এর পর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম,ওই মেয়েটাও শুভকে ভালোবাসে।তাইতো শুভ তার বাজে অভ্যাস সব ছেড়ে দিয়েছে।এসব দেখে শুভকে আর কিছুই বলতে পারিনি।
|
আরুশী আপমান আর লজ্জায় পার্টি থেকে চলে গেলো,ওর পরিবার ও পিছে পিছে চলে গেলো।বাড়ীতে গিয়ে সব ভাঙ্গচোর করতে লাগলো।শুভর প্রতি ওর ভালোবাসা এখন অভিমানে পরিনিত হলো।___আমি তোমাকে ছাড়বো না শুভ।এই অপমানের প্রতিশোধ আমি নিয়ে ছাড়বো।
|
শুভ গাড়ীতে উঠতে নিলে ফাহিম বাধা দেয়।কোথায় যাস,ইয়ার।কথা শোন আমার।____প্লিস ফাহিম এখন আবার তুই শুরু করে দিসনা।এমনেই আমি টেনশনে আছি।____সবতো শেষ করে দিয়ে আসলি ভেতরে,তাহলে এখন আবার কিসের টেনশন। ____কলির ফোন বন্ধ,ফাহিম।আমার মন বলছে কিছু একটা হয়েছে।____তুই বেশি ভাবছিস, হয়তো তুই এই কয়েকদিন ফোন না করায় রাগ করে ফোন বন্ধ করে রেখেছে।____না ফাহিম আমার মন বলছে,ও কিছু জেনেছে।___যেখানে আমরা জানতে পারলাম,আমাদের সবার জন্যই এটা সারপ্রাইজ ছিলো,সেখানে ও কিভাবে জানবে।তুই এতো কিছু ভাবিস না,এখন রাত অনেক,তুই এখন বাসায় যা।কাল সকালে দেখা করিস।প্লিজ শুভ।
|
সকাল সকাল শুভ চলে গেলো কলির সাথে দেখা করতে,কিন্তু এখনতো কলির স্কুলের ছুটি চলছে,তাই কলি এখন বাসা থেকে বের হবে না,তাহলে।শুভ শিলাকে ফোন দিলো,শিলার কাছ থেকে জানতে পারলো কলি এখানে নেই,ওর ফুফুর বাসায়।তাই শুভ আর দিসা না পেয়ে সোজা কলির বাসায় চলে গেলো
___কলির মা উঠান ঝাড়ু দিচ্ছিলো। এমন সময় একটা গাড়ী বাড়ীর সামনে এসে থামলো।কলির মার বুঝতে বাকি রইলো না গাড়ীটা কার।___শুভ গাড়ী থেকে নেমে কলির মায়ের সামনে দাঁড়ালো। ____শুভ তুমি এখানে।তুমি এখানে কি জন্য এসেছো।____আংটি কলি কোথায়।____কলি,কলিরে দিয়া তুমি কি করবা।শুনলাম তোমার বিয়া ঠিক হইছে,নিজের হবু বউয়ের কথা চিন্তা করো।আল্লাহর অস্তে আমার মেয়েটারে ছেড়ে দেও।________শুভর ধারনাই ঠিক হলো,কলি ওর এংগেসমেন্ট এর কথা জানে।ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেই কি ছেড়ে দেয়া যায় আংটি।কলি নিজে ওর জীবনের সাথে আমাকে জরিয়েছে,আমি বাধ্য করিনি।এখন ও চাইলেও এ বাঁধন থেকে মুক্তি পাবে না।আপনে ঠিকই বলছেন,আমাকে শুধু আমার হবু বউয়ের কথাই চিন্তা করার দরকার।এখন বলুন আমার বউ কই।কোথায় লুকিয়ে আছে।আমি জানি ও রাগ করে আছে আমার উপর, তাইতো ফোন বন্ধ করে বসে আছে।এংগেসমেন্ট এর কথা আমি নিজেও জানতান না,এমনকি আমার পরিবারের কেউ জানতো না,এসব আমার বাবার প্লানিং ছিলো,আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য,কিন্তু আমি সারপ্রাইজ হইনি,শোকড পেয়েছি।আমি সাথে সাথে এংগেসমেন্টটা কেনশালড করে দিয়েছি।___কলির মা সব শুনার পরও বলছিলো না কলি কোথায় তাই শুভ,আংটি আপনে না বললে, ইটস ওকে,আমি স্যারকে ফোন করে জেনে নি।_____কলির মা হতোভম্ভ হয়ে গেলো শুভর কথায়।আরে দাঁড়াও আমিই বলছি।শুভ ঠিকানাটা নিয়ে আর এক মুহূর্তেও দাঁড়ালো না চলে গেলো কলির সাথে দেখা করতে।
আর কলির মা শুভর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,কি সাংঘাতিক পোলা,নিজের হবু শ্বাসুড়ীকেই ব্লাকম্যাল করে।
…………
……………….
[বাকিটা পরবর্তী পর্বে…….]
#প্রেমময়_তৃষ্ণা #তানিয়া #গল্পের_ডায়েরি #TaNiA #GolperDiaryOfficial