গল্প – প্রেমময় তৃষ্ণা
পর্ব – ২২ (শেষ)
লেখিকা – তানিয়া
_____অবশেষে শুভ ও কলির বিয়ে হয়ে গেলো।শুভর এতো বছরের অপেক্ষা আজ শেষ হলো।কলিকে পাওয়া শুভর জন্য সহয ছিলো না,কিন্তু শুভ সব বাধা অতিক্রম করে আজ কলিকে একবারের জন্য আপন করে নিয়েছে।
______কলির হাজারো বোকামি মার্কা কাজ কর্মের জন্য নিজের ভালোবাসাকে শুভ কখনো কম হতে দেয়নি।
অবশেষে আসলো কলির বিদায়ের মুহুর্ত,এই মুহুর্তটা প্রত্যেক মেয়ের জন্যই অনেক কস্টকর।কলি তার বাবা মায়ের অনেক আদরে বড় হয়েছিলো।তাইতো আজ ছেড়ে যেতেও বেশি কস্ট হচ্ছে।
_____কলির বাবাও নিরবে কান্না কারছে,কিন্তু শুভর হাতে কলিকে তুলে দিয়ে কলির বাবা অনেকটা শান্তি পাচ্ছে,কারন তিনিও জানে তার রাজকন্যার জন্য শুভর থেকে ভালো রাজকুমার আর কোথায়ও হয়তো পাবে না।
গাড়ী চলতে লাগলো,চৌধুরীদের বাগান বাড়ীর উদ্দেশ্যে।দুদিন সবাই এখানেই থাকবে,তার পর সবাই শহরে চলে যাবে।
____কলি গাড়ীতে উঠে শুভকে দেখে আরো বেশি জোরে কাঁদতে লাগলো।শুভ কলির এমন বিহেভিয়ার এ কিছুটা বিরক্ত হলেও আপাতোত কিছু বলছে না।
কিন্তু কলির কান্না জেনো বন্ধই হচ্ছে না তাই শুভ কলির দিকে রুমাল বাড়িয়ে,____চোখ মুছ,চোখ নাকের পানি দিয়েতো সুন্দর মুখটা প্যাঁচার মতো করে ফেলেছিস।
____এর পর শুভ কিছুটা কাছে এসে দাঁতেদাঁত চেপে বলে,কিছুটা চোখের জ্বল বাঁচিয়ে রাখ,বাশরবঘরে তোর কাজে দিবে।
কলি চোখগুলো বড় বড় করে শুভর দিকে তাকিয়ে আছে,আসলে বুঝার চেস্টা করছে শুভর মনের ভেতর কি চলছে।বরাবরের মতো কলি এবারও ব্যার্থ। শুভর মন পড়া বড় দায় কলির জন্য।কলির মতো পুচকি মেয়ে শুভর বিশাল হ্রদয়টাকে দখল করতে সক্ষম হলেও শুভর মনকে পড়তে কলি ব্যার্থ। তাইতো বার বার শুভকে ভুল বুঝে।
||
কলি ও শুভ চৌধুরী বাড়ীতে এসে পড়লো, সবাই এসে নতুন বউকে বরন করে নিলো।শুভর ছোট মা শুভকে ইশারা দেয়ার সাথে সাথে শুভ কলিকো কোলে তুলে নিলো,এটা নাকি এই বাড়ীর নিয়ম।
___শুভ সবসময় কলিকে বলতো,বিয়ের দিন কোলে করে আমার বাড়ীতে নিয়ে যাবো তোকে,এর পর মরার পরই তুই এ বাসা থেকে বিদায় নিবি,তাও আমার কাধে,যদি তোর আগে না মরি…বুঝলি।
কলিকে শুভর রুমে রাখা হলো,রুমটা খুব সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।ফুলের ঘ্রান দিয়ে রুমটা জেনো পরিপূর্ণ।এমনি একটা রাতের স্বপ্ন শুভ ও কলি দেখেছিলো,আর আজ এতো অপেক্ষার পর যেনো এলো শুভ ও কলির মিলনের রাত।ভেবেই কলির মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।
___পরক্ষনেই কলির শুভর কথা মনে পরে ভয় পেতে লাগলো। আজ কলি শুভর নামটা শুনেও ভয় পাচ্ছে।কারন কলি ভালো করেই জানে এতোদিন শুভকে যা যা কস্ট দিয়েছে,তা শুভ কলি থেকে সুদে আসলে তুলে নিবে।এর থেকে ভালো হতো ওই শাহিনের সাথেই বিয়ে হতো,এ হিংস্র মানব থেকে তো বাঁচা যেতো।আজ তো আমাকে চাবিয়ে খেয়ে ফেলবে,পালাতেও দেবে না।
______হঠাৎ দরজা খুলার শব্দে কলি যেনো ভয়ে আতকে উঠে।____শুভ রুমে প্রবেশ করেছে।আস্তে আস্তে কলির সামনে এসে দাঁড়ালো। কি রে বাশরবঘরে স্বামীকে যে সালাম করতে হয় তা কি জানিস না।খুব রাগান্বিত সাউন্ড শোনা যাচ্ছে।
কলিরও মনে পরে গেলো,আাসার সময় মা বার বার এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলো শুভর চক্করে ভুলে গেলো।তাই তারাতারি বিছানা থেকে উঠে সালাম করে নিলো।
_____শুভ আর কিছুই বললো না,আয়নার সামনে গিয়ে নিজের শেরআনির বোতাম গুলো খুলতে লাগলো,আর আয়না দিয়েই কলিকে দেখতে লাগলো।
আজ কলিকে অনেক সুন্দর লাগছে,আগেও লাগতো তবে আজ ওর এই মানানসই সাজ-সজ্জা,লজ্জা মাখা মুখ,গভীর কাজল কালো চোখের ভয় পাওয়া চাওনী, সুকোমল বদনখানি আমাকে পাগল করে দিচ্ছে ওর স্পর্শ পেতে।ওকে কাছে পেতে, ওর সাথে ভালোবাসার সাগরে ডুব দিতে মন চাইছে।
____আগে তো এমন মনে হয়নি কখনো।এমন অস্থিরতা কাজ করেনি কখনো,এতোটা পিপাসিত নিজেকে আগে কখনো মনে হয়নি।এটা কি তাহলে কবুল বলারি একটা টান।শুভর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি কলির দিকে।আর কলি সে তো ভয়ে শুভর দিকে তাকাচ্ছেই না।
কিছুক্ষন পর শুভকে কলির কাছে আসতে দেখে কলিও পেছনে যেতে নিলে বিছানার কারনে বেড এ বসে পরে।শুভ কলির একদম কাছে এসে কানের সামনে বলে,শাহিন ছেলেটা দেখতে কেমন রে,শুভর কথায় কলি কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।
_____ আ…আ মি তো শাহিনকে দেখিইনি।শুধু ক কন্ঠ শুনেছি।
____আর এতেই পাগল হয়ে গিয়েছিস।এতো মধু ছিলো কন্ঠে, ওওও বুঝতে (শুভ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে)পারছি তুইতো আবার গায়িকা তাইতো কন্ঠ শুনে পাগল হয়ে বিয়ে করতে রাজি হয়ে পরেছিস তাইনা।হঠাৎ শুভ হাত দিয়ে কলির দুগাল চেপে ধরে।বল… বলছিস না কেনো।এতোদিনের ভালোবাসার এই প্রতিদান দিলি তুই।আমি না হয় বাধ্য ছিলাম আরুশীর সাথে নাটক করার জন্য তাহলো তুই কেনো করলি কলি, কথা বল।চেঁচিয়ে….
___গাল দুটো চেপে ধরায় কলি কথা বলতে পারছিলো না, শুধু ঠোঁট দুটো নাড়ছিলো।ব্যাথায় চোখ দিয়ে পানি পরছিলো।কিন্তু শুভর সেদিকে কোনও খেয়ালই নেই।শুভ কলিকে ছেড়ে দিয়ে বারান্দায় চলে গেলো,আর যাওয়ার আগে কলিকে ফ্রেস হতে বলে গেলো।
কলি বসে বসে কাঁদতে লাগলো,কলি জানে শুভ খুব কস্ট পেয়েছে।কলি যদি কস্ট পেয়ে থাকে তাহলে শুভোরও কম কস্ট হয়নি।কারন কলি যেমন শুভকে ভালোবাসে তেমনি শুভও কলিকে সীমাহীন ভালোবাসে।
_____এবার শুভর রাগ উঠে যায়।শুভর ধমকে কলি ওয়াসরুম এ দৌঁড়ে চলে যায়।আর শুভ নিজের রাগটা কোন্ট্রল করতে সিগেরেট এর ধোয়া উড়ায়।এতোদিন পর শুভ নিজেকে অনেকটা রিলেক্স মনে করছে।আজকের পর থেকে কলি শুধু ওর, কলির উপর শুধু ওর অধিকার।আর কারো না।তিলে তিলে ভালোবাসা দিয়ে শুভ যেই রাজপ্রসাদ বানিয়েছিলো সেই রাজপ্রসাদের রানী হলো কলি।আর আজ থেকে কলির বসবাস শুভর মনের সেই রাজপ্রসাদে।হঠাৎ কেউ শুভকে পেছন দিয়ে জড়িয়ে ধরলো।শুভ জানে তাকে জরিয়ে ধরে আছে তারই রাজপ্রসাদ এর সেই রানী।যার জন্য শুভ হাসতে হাসতে মরতেও রাজি।
______স…রি,স…রি। প্লিস আমাকে ক্ষমা করে দিন।আমি জানি আমি আপনাকে অনেক কস্ট দিয়েছি।প্লিস স…রি।
কলির হাত দুটো শুভর পেটকে জরিয়ে ধরে আছে, শুভ সিগেরেটটা ফেলে কলির বাম হাতটা শুভর বুকের বাম পাশে রাখলো।__জানিস তুই ছাড়া আমি নিশ্বাস নিতে পারিনা।এই বুকের ধুকধুক শুনতে পাচ্ছিস,এটা বন্ধ হয়ে যাবে তুই চোখের আড়াল হলে,কেনো করেছিস। আমি কি খুব খারাপ বলতো।
____এবার কলি আবারও কান্না করে দিলো।শুভ কলির হাতটা ধরে নিজের সামনে এনে দাঁড়া করালো।গোলাপি কালারের শাড়ীটা যেনো কলির শরীলের রং এর সাথে মিশে গেছে।চুল গুলো ছারা,মুখে নেই কোনও সাজ সজ্জা তবুও শুভকে কলির দিকে চুম্বকের মতো টানছে। শুভ কলির মুখটা ধরে,___এতো কান্না কই পাস বলতো।এতোক্ষনে তো একটা পুকুর ভরে যেতো,আর আমি সেই পুকুরে ডুব দিয়ে নিজের পিপাসা মিটাতে পারতাম।শুভ কলি কে আলতো করে জরিয়ে ধরলো।
স্টোপ জান।আর কাঁদিস না,আমি জানি তুইও এ কয়েকদিনে অনেক কস্ট পেয়েছিস। তাই আর কোনও কাদাকাদি চলবে না।শুভ কলির চোখের পানি মুছে দিয়ে।কলির কোমড়টা জরিয়ে ধরে,তুই আমাদের বিয়ের মিস্টি খেয়েছিস।কলির মনটা ভালো করার জন্য।
_____কলি একটু ভেবে, মাথা নাড়ালো। তার মানে না।
___ছি কি বলিস সবাই খেলো আর তুই পেলি না।তাহলে আমি দি খাবি।
____কলি নাচতে নাচতে হা বললো,হে ও খাবে বিয়ের মিস্টি।____শুভ কলিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে কলির ঠোঁটের মধ্যে নিজের ঠোঁট দিয়ে দিলো।আর পরম আবেশে কিস করতে লাগলো।______কলি এতোক্ষন পর বুঝতে পারলো শুভ এই মিস্টির কথা বলছে।চোখ গুলো রসগোল্লার মতো বড় হয়ে গেলো।কিন্তু আজ কলি আর শুভকে বাধা দেয়নি, নিজেও শুভর সাথে তাল দিয়ে যাচ্ছে।
____শুভ কলির কপালে কপাল রেখে,আই নিড ইউ জান,আজ তোকে আমার খুব প্রয়োজন।আমার এতো বছরের তৃষ্ণা শুধু তুই মিটাতে পারবি।আমি আজ তোকে সারা জীবনের জন্য আপন করে নিতে চাই।আই প্রমেজ জান,আমি তোকে কস্ট দেবো না।বিশ্বাস করিস তো আমায়।
______শুভর মায়াভরা কথায় কলির চোখদুটো ছলছল হয়ে গেলো।শুভকে দুহাত দিয়ে জরিয়ে ধরলো।শুভও কলির কপালে একটা কিস করে,কোলে তুলে নিলো।
শুভ কলিকে নিয়ে ডুব দিলো ভালোবাসার এক অন্য জগতে।আজ শুভর #প্রমময় তৃষ্ণা র নিবারণ হবে শুভ ও কলির মধুর মিলনে।
পাঁচ বছর পর।
ফাহিম ও অর্পা শুভদের বাসায় এলো,সাথে তাদের ৪ বছরের ছেলে সোহান।বাসায় এসে অর্পা দেখে ড্রয়িং রুমে ওর বাবা,বড় আব্বু,বড় আম্মু আর মা বসে বসে গল্প করছে।সোহান নানু বলে ডাক দিয়ে কোলে ঝাপিয়ে পড়ে।ফাহিম অর্পাকে দেখে সবাই অনেক খুশি হয়।রাহি দৌড়ে এসে অর্পাকে জড়িয়ে ধরে,কেমন আছিস আপু,____আমি আলহামদুলিল্লাহ। আগে বল আমার ভাই আর ভাবিগুলো কই।
শুভর মা_____ইনাম ওর বউকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ী গিয়েছে।ওর শ্বাসুড়ী নাকি কিছুটা অসুস্থ। তাই দেখতে গেলো।আর মাহির তার ফ্রেন্ডসদের সাথে কোন পার্টিতে গিয়েছে। _____আর আমার শুভ ভাইয়া আর ভাবি,এই দুজনে কই।
আর বলিস না,সবসময়ের মতো এবারো দুজনে ঝগড়া করছে,
_____এবার কি করণে।
কলি ভাবি তার বাপের বাড়ী জেতে চায়।কিন্তু শুভ ভাইয়া রাজি হচ্ছে না।
এই ছেলেটা না খুব অতিরিক্ত করে,কলিকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখে।কলির ব্যাপারে কাউকে বিশ্বাসই যায় না।জানিস কলিকে নিজেই কলেজে দিয়ে আসবে আবার নিজেই বাসায় দিয়ে যায়।আমি অনেকবার বলেছি ড্রাইভার আছে,না সেই করবে।এই পাঁচ বছরে কলিকে একবারও চুলার পারে যেতে দেয়নি।তোর ভাইয়ের এসব অত্যাচারে দেখবি কলি একদিন পালাবে।____শোনও শুভর মা,আমার বউ মার জায়গায় অন্য কোনও মেয়ে হলে আগেই পালাতো।
_____হয়েছে আমার ভাইয়ের নামে এতো বদনাম করতে হবে না, চলো ফাহিম আমরাই দেখে আসি।
শুভর কলে কলি,আর কলির কোলে সুহানি।শুভ ও কলির মেয়ে।দুবছর বয়স চলছে।মা আর মেয়েকে কলে নিয়েই শুভ কলির সাথে কথা বলছে।ওদের ভাষায় এটা ওদের ঝগড়া না।জাস্ট একটু মান অভিমান।
____বাহ,কেয়া সিন হে।ফাহিম
তোরা কথা থেকে উদয় হলি,____কেনো ভাইয়া আমরা আসতে পারিনা।এদিক দিয়ে কলি বার বার শুভকে ছাড়িয়ে উঠার চেস্টা করছে,তা বুঝে শুভ কলিকে আরো টাইট করে ধরলো।
_____আরে অর্পা আমরা তোমার ভাইয়ের রোমাঞ্চ সময় এসে ডিস্টার্ব করেছি,বুঝ না কেনো।
____কলি এবার খুব রাগানিত ভাবে শুভর দিকে তাকালো।অথচ শুভর ডোন্ট কেয়ার লুক দেখে,কলি অসহায় ভাবে অর্পার দিকে তাকালো।
_____আপু তোমার ভাইটা এতো বেহায়া কেনো বলতো।
____দেখো কলি আমার ভাইটা শুধু তোমার বেলাই এমন বেহায়া হয়ে পরে।তা না হলে আমার ভাইয়ের মতো ভাই নাই।
____হইছে চলো,ওদের রোমাঞ্চ সিনে আমরা ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়ে আছি কেনো।চল..ও..
_____লাভ ইউ দোস্ত,তুই আমার সত্যিকারের বন্ধু,আমার মনের কথা জেনে গিয়েছিস, এখন আমার আরো একটা উপকার কর,আমার পিচ্ছির পুচকি মানে আমার মেয়েটাকেও নিয়ে যা।____ফাহিম হাসতে হাসতে সুহানি কে কলে নিয়ে চলে গেলো।
শুভর এমন আচরনে কলি বিষন লজ্জা পেলো।____আপনে এমন কেনো বলেনতো।লজ্জা সরম বলতে কিছুই নেই।
_____পুরুষ মানুষের এতো লজ্জা সরম থাকতে হয়না,জানিস না।
_____হুমমমম,কলিও শুভকে একটু ভালো করে জরিয়ে ধরলো। শুভর শার্টের দু বুতাম খুলছে,আর এক বোতাম লাগাচ্ছে।_____কি করছিস।
আমার না একটা জিনিস লাগবে।____শুভ কিছুটা অবাক হলো।কারন কলি কখনো কিছুই চায় না।কিন্তু আজ নিজ থেকে কিছু চাইছে।বল তোর কি লাগবে,আমি এনে দিবো।
_____আমার না।
______তোর,শুভ ভ্রুটা কুচকে। _____আমার না একটা ছোট শুভ লাগবে।____শুভ কলিকে ধপাস করে নিচে ফেলে দিলো।_____কলি ব্যাথা পেয়ে আআআ করে উঠলো।কি হলো এভাবে ফেলে দিলেন কেনো।
_____তো কি করবো,এমনেই সুহানি কে পেয়ে তুই আমাকে একদম টাইম দিস না,সারাক্ষন ঘর সংসার,পড়া লিখা আর সুহানি নিয়ে থাকিস। আর ও একটা বেবি হলে তুই কলি আমাকেতো ভুলেই যাবি।
দরকার নেই,আমি এক সন্তান নিয়েই হ্যাপি।সো মাথা থেকে এসব ঝেড়ে ফেল।
_____কলি রাগ করে উঠে চলে যেতে নিলে,শুভ ধরে ফেলে,কোথায় যাস,আমি রোমাঞ্চ কার সাথে করবো।____জানি না.এএএএ……
তোর জানতে হবে না,আমিই যেনে নি।কলিকে বিছানায় ফেলে,কলিকে বিছানার সাথে চেপে ধরে।কলির ঠোঁটে পরম আবেশে কিস করে,গলায় নেমে আসে।শুভর ঠোঁটের স্পর্শ কলি ঘাড়ে গলায় পেতে থাকে।_____শুভ।
______উমমমমম।মুখ দিয়ে
_____আগে বলুন ছুটির দিনগুলোতে আমাকে আর সুহানিকে ঘুরাতে নিয়ে যাবেন।_____হুমমম,ওকে।
_____এই বছরে বিডির বাহিরে নিয়ে যাবেন________ওওও…কে।
শুভ কলির আচলটা টান দিয়ো সরিয়ে ফেলতে,____বাপের বাড়ী যেতে দিবেন।______নোওওও বলে চিল্লিয়ে উঠে।
শুভ পাশ ফিরে নিজের উপর কলিকে নিয়ে আসে।তুই কি মনে করেছিলি,আমি ওকে বলে দেবো।
____কলি মাথা নাড়ালো। ____জান,আপনে যে কলেজে পরেন সে কলেজের মাস্টার আমি,আমাকে বোকা বানানো এতো সহয নয়।
কলি ও শুভ দুজনেই হেসে দিলো।এভাবেই চলতে থাকে তাদের ভালোবাসার দিনগুলো।এভাবেই পুর্ণ হলো কলি ও শুভর ভালোবাসা।
—————————-সমাপ্ত———————-
#প্রেমময়_তৃষ্ণা #তানিয়া #গল্পের_ডায়েরি #TaNiA #GolperDiaryOfficial