#প্রেমাচার
কলমে: #অপরাজিতা_মুন
#পর্ব_১১
[কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ]
“মাশরিফ ভাই, টাকা দেন তো এক হাজার।”
হঠাৎ উচ্চস্বরে মেয়েলি ডাকে চমকে উঠে মাশরিফ। এতোক্ষণ ফোনের স্কিনে ধ্যানমগ্ন ছিলো সে। হুট করে মেহনুভা এক প্রকার দৌড়ে এসে চেঁচানো স্বরে ডেকে উঠেছে। অমনোযোগী থাকায় মাশরিফ মেহনুভার কথা পুরোপুরি বোঝে না। ভ্রু উঁচিয়ে প্রশ্নাত্নক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। মেহনুভা এতোক্ষণ গাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলো। মাশরিফের আবভাব দেখে দরজা টেনে ভেতরে ঢুকে। পাশের সিটে বসে ডান হাত টা মাশরিফের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে পুনরায় বলে,
“টাকা দেন এক হাজার। আমার পার্স ফাঁকা।”
“কি কিনবি?”
“খুব সুন্দর মিরর ওয়ার্ক করা একটা ফুলের টব।”
“একটা ফুলের টব এক হাজার টাকা!”
বিস্মিত কন্ঠ মাশরিফের। মেহনুভা ভ্রুকুটি করে। শুধায়,
“এমন কিপটা হইছেন কবে থেকে মাশরিফ ভাই? আপনার না অনেক টাকা। এক হাজার দিলে কি হবে?”
“অনেক কিছু। তুই একটা ফুলের টব কিনতে আমার হাজার টাকা যদি বিলিয়ে দিস তাহলে জিজ্ঞাসা তো আমি করবোই।”
“থাক নিবো না। এক হাজার টাকা দিবে তবুও দুনিয়ার কথা।”
মেহনুভা মুখ গোমড়া করে। সে তো ফুলের টবটা কিনেই ফেলছে। শুধু টাকা দিতে গিয়ে পার্স হাতিয়ে দেখে টবটার মূল্যের চেয়ে তার কাছে দু’শ টাকা কম আছে। মাশরিফের কাছে টাকা নিতে আসবে এমন সময় চোখে পরে একটা ছোট্ট ল্যাম্প। দাম সে জানে না। কিন্তু আন্দাজে একটা দাম ধরে একেবারে এক হাজার টাকা চেয়েছে। ভুল কি করেছে? মাশরিফ ভাই এর এতো জেরা শুনে ভালো লাগে না মেয়েটির। গোলগাল উজ্জ্বল বর্ণের অদলটিতা অভিমান জমে মূহুর্তেই। কোমল হৃদয়টায় বিষাদ নামে, গাড়ি থেকে নেমে পরতে উদ্যত হয়। মাশরিফ বাঁধা দেয়। মেহনুভার পনি টেইল স্টাইলে বাঁধা চুলের গোছা খপ করে ধরে ফেলে। মন খারাপ করা মেহনুভার চলে যাওয়া বাধাগ্রস্ত হয়। বের হতে পারে না। মাশরিফ চুলের গুছি ধরে তার দিকে টানে, মেহনুভা ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠে। রেগে গিয়ে মাশরিফের উপর ধমকে উঠে, কিন্তু নোভার মাশরিফ ভাই চুল ছাড়ে না। উপায়ন্তর না পেয়ে মেহনুভা নিজের জায়গাতেই বসে। মাশরিফ ওয়ালেট থেকে চকচকে এক হাজার টাকার নোট বের করে। কি মনে করে সেই চকচকে নোট টা আর দেয় না। ওয়ালেটে ঢুকিয়ে প্যান্টের পকেটে পুরে। মেহনুভা মাত্র হাত বাড়িয়ে নিবে এমন সময় মাশরিফের এহেন কার্য দেখে থতমত খায়। মাশরিফ বলে,
“নাম। আমিও যাবো। দেখি কি কিনিস।”
“না না। আপনি কেনো যাবেন। আমি নিজেই কিনতে পারবো।”
“বেশি বুঝলে কিন্তু এক টাকাও দিবো না।”
মাশরিফ নেমে হাঁটা ধরে। মেহনুভা পিছু পিছু মুখ গোমড়া করে হাঁটে। বিরবির করে কয়েক শত কটু কথাও শুনিয়ে দিতে ভুলে না। মাশরিফ পিছু ফিরে মেহনুভার বিরিবির করা মুখটা দেখে গোপনে স্মিত হাসে। মেহনুভাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“বকা দেওয়া শেষ হলে সামনে আয়। আবার দাদাভাই কে নালিশ দিবি যে আমি তোকে পেছনে ফালায়ে রেখে গেছি।”
ধরা পরে যায় মেহনুভা। তার গোমড়া মুখ আরো গোমড়া হয়। হাঁটার গতি বাড়ে না, উল্টো কমে। মাশরিফ কয়েক কদম পিছিয়ে কাছে আসে। মেয়েটির নিচু করে রাখা গোমড়া গাল ফুলোনো অভিমানী মুখটা দেখে মাশরিফের মস্তিষ্ক হুট করে অস্বাভাবিক বার্তা পাঠায়। সুপরিচিত গোলগাল মুখটা আকস্মিক ভালোলেগে যায়। অন্যরকম ভালোলাগা, ভালোবাসায় রুপান্তরিত হওয়ার পূর্বের ভালোলাগা। অন্যসময় হলে মেহনুভার এমন আচরণে মাশরিফ নিশ্চিত একটা ধমক দিতো, কিন্তু এখন কেনো যেনো দিতে পারছে না। কঠিন আচরণ যেনো ভেতর থেকে আসছেই না। মেহনুভা মাশরিফের দিকে তাকায় না, সমনে হাঁটা ধরে। গম্ভীর মাশরিফ মেহনুভার গমন পথে শান্ত চোখে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। মেহনুভার প্রতি এমন ভালোলাগা দেখে নিজের প্রতি নিজে বিস্মিত হয়। আপনমনে মুচকি হাসে। তৎক্ষনাৎ মেহনুভার বিপরীত ধর্মী আচরণ মনে হতেই নিজেকে নিজে বোঝায়, অদ্ভুত চিন্তা গুলোকে আর প্রশ্রয় দেয় না।
________
একটা দুইটা করতে করতে মাশরিফ কে সাথে পেয়ে আবদারের ঝুলি খুলে বসেছে মেহনুভা। এক হাজার টাকা চেয়ে এতোক্ষণে পনেরো শত টাকার জিনিস কিনে ফেলেছে। রাত গভীর হচ্ছে। বাসায় ফেরার উদ্দেশ্যে মুবিন, মেহরুন এবং মায়মুনা গাড়িতে বসেছে। মাশরিফ ও চলে আসার জন্য পা বাড়ায় তখনি মেহনুভা পিছু হতে ডেকে ওঠে। মাশরিফ কিছুটা বিরক্ত হয়, পিছু ফিরে। মেহনুভা হাতের ইশারায় কাছে ডাকে। হাতের ওয়ালেটটা পকেটে ঢুকতে চেয়েছিলো মাশরিফ, আর ঢুকায় না। মেহনুভা ডেকেছে মানে ওয়ালেট টা আবার খুলতে হবে। মেয়েটার কাছাকাছি যায় মাশিরফ, বিরক্তি নিয়ে বলে,
“আবার কি?
মেহনুভা মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে তাকায়। আবদারের সুরে বলে,
“এই ল্যাম্প টা কিনে দিবেন মাশরিফ ভাই?”
“এখানকার ল্যাম্প ভালো না। মার্কেট থেকে নিস।”
“আমার পছন্দ হইছে। আপনি আমাকে এখান থেকে একটা কিনে দেন, বাড়িতে গিয়ে আমি আপনাকে টাকা দিয়ে দিবো। প্রমিস”
মাশরিফ অবাকের উপর অবাক হচ্ছে মেহনুভার কথা শুনে। ওর কাছে টাকা চেয়েছে কে? আচ্ছা দিতে যখন চেয়েছে তখন কিছুক্ষণ সে মেহনুভাকে ঘাটবে।
“শুধু এটার টাকা দিবি? আগের গুলার দিবি না?
মাশরিফের কথা শুনে মেহনুভা যেনো আকাশ থেকে পরে। নাক কুঁচকে বল,
“ছিহ মাশরিফ ভাই। এতো কিপটার কিপটা আপনি! আগে জানলে নিতাম ই না।”
“এখন তো জানলি। তাহলে কেনা বাদ দে।”
“ইনসাল্ট যখন হইছি, তখন না কিনে যাচ্ছি না। এদিকে আসেন।”
মাশরিফ পুনরায় অবাক হয় মেহনুভার কথা শুনে। প্যাঁচিয়ে প্যাঁচিয়ে জবাব দিবে তবু হার মানবে না। কিনেই ছাড়বে। চতুরতার সহিত কেমন তর্কও করছে। মেহনুভাকে অনুসরণ করে সে দোকানের দিকে যায়। যেতে যেতে বলে,
“তোর জামাই এর কপালে শনি আছে।”
“শুধু শনি? থাকলে বেশি থাকবে। রবি, সোম, মঙ্গল সব ই থাকবে।”
💠💠💠
একটা চমৎকার কালারফুল ল্যাম্প পছন্দ হয়েছে মেহনুভার। কারুকার্য শোভিত হরেক রংয়ের ছোঁয়া দেওয়া ল্যাম্প টার সুইচ অন করলে অন্ধকার রুমে আলাদা আবেশ সৃষ্টি করবে। ছোট্ট ছোট্ট গোলাকৃতির বিভিন্ন রংয়ের আলোকিত ছাপ ছড়িয়ে যাবে পুরো রুমে। এতো সুন্দর জিনিসটা পেয়ে মেহনুভার চোখজোড়া খুশিতে চকচক করছে, কিন্তু মাশরিফ এর মোটেও ভালো লাগছে না। এমন চকচকে রং বেরঙের জিনিস তার একেবারেই পছন্দ না। তার তো হালকা রং এর সাধারণ জিনিস ই ভালো লাগে। যত সাদামাটা হবে তত তার মন:পুত হবে। মেহনুভা মাশরিফ এর দিকে আগ্রহের সহিত তাকায়, মাশরিফ দুদিকে মাথা নাড়ায়। মেহনুভা ফের ঠোঁট ফুলায়। মাশরিফ দ্বিমত করে বলে,
“এটা না, ওটা নে। এটা ভালো না।”
“ওইটা আমার পছন্দ না।”
“এটা আমার পছন্দ না।”
“আপনার পছন্দ দিয়ে কি হবে? এটা তো আমি ইউজ করবো।”
“কিনবি তো আমার টাকা দিয়ে।”
“কথায় কথায় এতো টাকার খোঁটা। আমি কিনবোই না। ”
“না কিনলি। আয় তাহলে।”
“না, যাবোও না।”
“আসিস না। থাক।”
কাঠখোট্টা মাশরিফ সত্যি সত্যি চলে যেতে ধরে, ফট করে মেহনুভা মাশরিফের শার্টের কোণা টেনে ধরে। মাশরিফ থামে। মেহনুভার সাথে কিছুক্ষণ থেকেই তার মাথা ধরেছে। দরদাম না করেই দোকানদারকে প্রাপ্ত মূল্য দিয়ে ল্যাম্পটা মেহনুভার হাতে ধরিয়ে দেয়। চোখ গ’রম করে গাড়িতে ওঠার নির্দেশ দেয়। মেহনুভা প্রতিত্তোর করে না। চুপচাপ এগিয়ে যায়। পথিমধ্যে স্টোন বসানো নান্দনিক ডিজাইনে তৈরি চুড়ি নজরে পরে, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। দাঁড়ানোর সাহস পায় না। পিছে এবার একটা রাম ধমক না কপালে জুটে।
💠
সৈয়দ বাড়ির সব গুলো রুমের লাইট নিভে গেছে। শুধু লিভিং রুমে আলো জ্বলছে। সোফায় মুখোমুখি বসে সৈয়দ পরিবারের দুই বধু আয়েশা সিদ্দিকা এবং সানজিদা খানম। পরিবারের সবাই নিজ নিজ রুমে শুয়ে পরেছে, এতোক্ষণে হয়তো ঘুমিয়েও গেছে। জেগে আছে এই দুই মা। দুজনের চোখে মুখে ছেলে-মেয়েদের ফেরার অপেক্ষা। আয়েশা সিদ্দিকা দেয়াল ঘড়িতে চোখ বুলালেন। প্রায় এগারোটা বেজে যাচ্ছে। ধৈর্যের বাঁধ তার ক্রমাগত ভেঙ্গে যাচ্ছে। এতোক্ষণ অনেক বার কল দিয়েছেন, কোথায় আছে শুনেছেন তবুও ফের সানজিদা খানমের উদ্দেশ্যে বললেন,
“আবার কল দাও তো সাঞ্জি।”
আদর করে ভালোবেসে আয়েশা বেগম ছোট জা কে সাঞ্জি বলে ডাকে। বোনের মতো ভালোবাসে, স্নেহ করে। বলা বাহুল্য, আয়েশা সিদ্দিকা এবং সানজিদা খানম একই কলেজে পড়েছে।
“আবার কল দিলে জায়ান রেগে যাবে আপা। বলেছে তো জ্যামে আছে।”
“জায়ান কে না, মেহনুভা কে দাও।”
“মেহনুভা তো এতোক্ষণ কল রিসিভ করল না। এখন দিচ্ছি, সুইচড অফ বলছে।”
“আমার খুব চিন্তা হচ্ছে সাঞ্জি। তোমার ভাই বার বার নেহার কথা আস্ক করছিলো। আমি বলছি ওর শরীর ভালো না, শুয়ে পরেছে। যদি জানে এতো রাতে এখনও বাড়ির বাহিরে, আমার হাড়গোড় ভাঙ্গবে তো ভাঙ্গবেই, ছেলের হাড়গোড় ও ভাঙ্গবে।”
“মেহনুভার বাবা জানে ওরা বাহিরে। উনার কাছে পারমিশন নিয়েই গেছে। খাবার খাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করেছিলো, বলেছি ওরা চলে আসছে, আর দুই মিনিট লাগবে। উনি এক ঘন্টা হয়ে গেলো খাবার খাইছে, আমার এখনও দুই মিনিট শেষ হচ্ছে না।”
মুখে অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে দুজনেরই। আয়েশা সিদ্দিকা ছোট জা’য়ের কথা শুনে বেশ জোরালো গলায় বলে,
“আজ জায়ান আমার হাতের থাপ্পড় খাবে, তুমি দেখে নিও সাঞ্জি। ওরা না হয় ছোট, তুই তো বড়। কোনো দ্বায়িত্ব জ্ঞান নায় ওর। নিজে রাত করে বাহিরে থাকে বলে বাড়ির মেয়েদের কে নিয়েও ঠ্যাং ঠ্যাং করে ঘুড়বে।”
মন খারাপ হয় সানজিদা বেগমের। বলে,
“মায়মুনার জন্য খুব টেনশন হচ্ছে। বিপদ হলে মেহনুভা-মুবিন সামলাতে পারবে। নেহা, মাশরিফ ও বড়। কিন্তু আমার মায়মুনা তো ছোট, ভয়ে কান্না করবে আপা।”
সানজিদা বেগমের চোখ জোড়া ছলছল করে ওঠে। সন্তানের বিপদ যেনো না আসে আল্লাহর দরবারে এই দোয়া করে। আয়েশা বেগম উঠে সানজিদা খানমের পাশে বসে। এক হাতে আগলে নিয়ে সান্ত্বনার সুরে বলে,
“আল্লাহর রহমতে কিছু হবে না সাঞ্জি। শুধু শুধু চিন্তা করছো। জায়ান আছে তো। সব সামলে নিবে।”
ওড়নার কোণা দিয়ে চোখ মুছে সানজিদা খানম। ভেজা গলায় বলে,
“তাই যেনো হয় আপা।”
কথা সম্পূর্ণ হতেই বাসার বাহির হতে গাড়ির হর্ণ এর আওয়াজ ভেসে আসে। দুই জনেই দরজার পানে তাকায়। ব্যাস্ততার সাথে উঠে দ্রুত সদর দরজা খুলে। ওইতো দেখা যাচ্ছে পরিচিত গাড়ি। পার্কিং লটে দাঁড় করিয়েছে। দ্রুতপদে হেঁটে গাড়ির কাছে যায় দুজনেই। সন্তানদের সহি সালামতে পেয়ে শুকরিয়া আদায় করে। এতো রাত করার জন্য কিছুটা বকাও দেয়। সবাই গাড়ি থেকে নামে। সানজিদা বেগম কোলের ছোট সন্তান মায়মুনা কে সাথে নিয়ে আগে আগে হাঁটে। মেহরুন এবং মুবিন দুজনে আয়েশা বেগমের সাথে হাঁটা ধরে। মেহনুভার ক্রয়কৃত জিনিস পত্র বেশি হওয়াতে কিছুটা পিছিয়ে পরে। অতিরিক্ত জিনিস হওয়াতে এই হাত থেকে একটা নিচে পরছে তো ওই হাত থেকে আরেকটা। এগুলা সামলাতেই তার সময় যাচ্ছে। মাশরিফ গাড়ি ঠিকঠাক করে রেখে মেহনুভার সাথ ধরে। প্যান্টের পকেটে হাত রেখে কিছু একটা বাহির করে। মেহনুভার সামনে বাড়িয়ে দিয়ে বলে,
“ঠিকঠাক কি কিছুই করতে পারিস না? যেখানে সেখানে ফালায়ে রেখে আসিস। এই নে, গাড়িতে রেখে আসছিলি।”
মেহনুভা নিজের ভুল মনে করে। যে হারে এদিকে একটা তো ওদিকে একটা পরে যাচ্ছে, ভুলে রেখেও আসতে পারে। মাশরিফের হাত থেকে জিনিস টা নিতে কোনো রকমে হাত বাড়িয়ে দেয়। মাশরিফ জিনিসটা হাতে দিয়ে মেহনুভাকে পিছনে রেখে আগে আগে চলে যায়। মেহনুভা স্বাভাবিক ভাবে সামনে আগায়। সদর দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে গিয়ে খেয়াল করে মাশরিফের দেওয়া হাতের প্যাকেট টাতে সরু-মোটা মিলিয়ে পাঁচটা চুড়ি। এগুলা সেই চুড়ি, যেগুলো সে শেষ মূহুর্তে দেখেছে, মাশরিফের অগোচরে হালকা করে ছুঁয়েছে, কিন্তু কেনার জন্য দাঁড়ানোর সাহস পায় নি।
চলবে…..
দেড়ি করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। আমি একটু অসুস্থ। প্রেশার লো। দোয়া করবেন আমার জন্য।
ভালোবাসা সকলকে।