#প্রেমাসুখ
#পর্ব_৩৩ (প্রথম আলিঙ্গন)
#লেখনীতে_নবনীতা_শেখ
তীব্র খুশিতে সাঁঝ খাটের উপর উঠে নৃত্য শুরু করেছে। এত এত খুশি হয়তো অনেক দিন পরেই হলো। তার এখন কিছুক্ষণ চিৎকার করতে ইচ্ছে হচ্ছে। বার বার একটা কথাই বলে যাচ্ছে, সে পেয়েছে! নিজের সবচেয়ে জরুরি মানুষটাকে পেয়েছে! এর চেয়ে খুশির কী আছে? সাঁঝের অবস্থা দেখে মন হচ্ছে, বিয়ে ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তাকে কে বোঝাবে? যে মাত্র বিয়ের খবর উঠেছে!
দৌড়িয়ে গিয়ে দরজার সামনে দাঁড়াল সাঁঝ। বসার ঘর থেকে বাবা মায়ের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। উপমা কিংবা অর্ণব, কেউ নেই এখানে। সাঁঝ শুনতে পেল সুমিতা বেগম ও আরিফ সাহেবের কথোপকথন।
ছেলে পক্ষ নাকি বলেছে, এই সপ্তাহেই বিয়েটা করে নিতে চায়। সামনে ছুটি পাবে না। ঢাকায় থাকে তারা। তাছাড়া মাস কয়েক বাদেই সাঁঝের ফার্স্ট সেমিস্টার আছে। তখন সাঁঝ নিজেও ব্যস্ত হয়ে পড়বে, বিয়ে বিষয়ক অনুষ্ঠানাদির সময় পাবে না। তাই এখনই করে নিতে চাচ্ছে। আপাতত ঘরোয়া ভাবে বিয়ে, পরে বড়ো করে রিসেপশন হবে।
সাঁঝ রুমের দরজা আটকিয়ে দিল। সর্বাঙ্গে শীতল এক হাওয়া বয়ে যাচ্ছে তার। বাবা-মায়ের এসকল কথা শুনে সে নিশ্চিত হলো, বিয়েটা হৃদের সাথেই হচ্ছে। আবারও উরাধুরা নাচা শুরু করল। গায়ের ওড়নাটা কোমরে বেঁধে ফোনে গান ছেড়ে দিল, “তুমি দিও না গো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া। আমি অন্ধকারে বদ্ধ ঘরে যাব মরিয়া।”
সাঁঝের এলোমেলো নাচের তালে নেচে উঠল তার খোলা চুলগুলো। ইশ! কী একটা গান!
হঠাৎ গানের টিউন পরিবর্তন হলো। এটা আরও জোরে বেজে চলেছে। সাঁঝ এটাতেও একটা উচ্চমানের নাচ দিল। কিছুক্ষণ বাদে টিউনটা থেমে যাওয়ায় সাঁঝ নিজেও থেমে গেল। ফোনটা হাতে নিতেই, আবারও বেজে উঠল। দেখল, হৃদের কল। সাঁঝ শব্দ করে হেসে উঠল। সে এতটাই খুশি! যে কলিং টিউনেও নাচা শুরু করেছে!
রিসিভ করে কানে তুলতেই হৃদ বলল, “কী ব্যাপার! খেতে এতক্ষণ লাগে?”
সাঁঝ হেসে বলল, “আসলে খেতে এতক্ষণ লাগেনি। ভাবতে লেগেছে।”
“আচ্ছা! কী ভাবছিলে?”
“ভাবছিলাম, বিয়েতে শাড়ি পরব না কি ল্যাহেঙ্গা!”
“এতে এত ভাবাভাবির কী আছে? আমার শাড়ি পছন্দ। লাল টুকটুকে শাড়ি পরিহিতা বউ লাগবে আমার।”
“ওকে, ডান।”
“তো, কী করছিলে মিস… মানে আমার ভার্চুয়াল মিসেস?”
“নাচছিলাম।”
“কোন খুশিতে?”
“আমার চাচির বোনের ছেলের একমাত্র খালাতো বোনের দাদার একমাত্র মেয়ের প্রতিবেশীর সাথে আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার খুশিতে।”
সাঁঝের একদমে বলা পুরো কথাটার আংশিকও হৃদ বুঝতে পারল না। তবে সাঁঝের এমন মজার সাথে সে পূর্ব পরিচিত বিধায় কিছুটা হাসল।
কিছুক্ষণ কথা বলার পর এক পর্যায়ে হৃদ জিজ্ঞেস করল, “সবচেয়ে ভালোবাসো কাকে?”
সাঁঝ তৎক্ষণাৎ জবাব দিল, “আমার পুরো পরিবারকে এবং আপনাকে।”
“উত্তরটা আমার একবচনে চাই।”
সাঁঝ এবারও ভাবল না। বেশি ভাবতে গেলেই দোটানায় পড়বে। তাই ঝটপট উত্তর দিল, “আমার বাবাকে।”
“মাকে নয় কেন?”
“কারণ মেয়েরা বাবার ভক্ত হয়। তাছাড়া বাবার থেকে এক্সট্রা ভালোবাসা পেয়েছি আমি।”
“ভাইকে নয় কেন?”
“কারণ বাবা আমাকে সবচেয়ে ভালো বোঝে। আমাদের আড্ডা জমে।”
“আমি নই কেন?”
সাঁঝ ভাবনায় পড়ে গেল। হৃদ বলার জন্য তাগিদ দিতেই সাঁঝ বলল, “কারণ আপনি আমার অর্ধ বর্ষের ভালোবাসা আর বাবা আমার উনিশ বছরের ভালোবাসা।”
“ভালোবাসায় সময় ম্যাটার করে?”
“সামান্য হলেও করে। ভালোবাসার প্রথম স্টেজ হচ্ছে মায়া। এটা সময়ের তালে বিশালাকার এক জাল বোনে। সময় যত এগোয়, এর বুননও তত মজবুত হয়। মানুষ আচ্ছাদিত হয়ে যায় এই জালের মাঝে।”
হৃদ নিঃশব্দে হাসল। হৃদকে চুপ থাকতে দেখে সাঁঝ বলল, “এ্যাই! আপনি রাগ করলেন? রাগবেন না প্লিজ! আসলে ভালোবাসার মানুষদের মাঝে যে-কোনো একজনকে চুজ করাটা ভীষণ ডিফিকাল্ট। আপনিই তো বলেন, ভালোবাসা মানেই ভালোবাসা; এর কম-বেশি হয় না। তবে কী করে পরিমাপ করব– কাকে বেশি ভালোবাসি আর কাকে কম ভালোবাসি? জীবনে একাধারে সবার প্রয়োজন। যেমনটা চোখ, নাক, কান, হাত-পা; প্রতিটি অঙ্গের আলাদা আলাদা কাজ। যে-কোনো একটাকে চুজ করা যায় না। ঠিক তেমনই, আপনাদের যে-কোনো একজনকে চুজ করতে পারব না। আমার জীবনে আপনাদের একেকজনের একেক ভাবে প্রয়োজন। একটা না থাকলে, অপূর্ণ আমি। আর আপনি তো আমার অর্ধাঙ্গ। আমার যেমন আপনাকে প্রয়োজন, তেমনই বাবাকে, মাকে, ভাইকে, উপমাকে, অদিতিকে সবাইকে প্রয়োজন। আমার ছোটো জীবনটাতে আপনারাই আমার সব।”
হৃদ গভীর মনোযোগে পুরো কথাটা শুনল। কত গহীন ছিল এর প্রতিটি শব্দ! তার সন্ধ্যাবতীর কথ্য ভান্ডারে এমন মূল্যবান কথাও আছে!
সাঁঝ জিজ্ঞেস করল, “রাগ করেছেন?”
হৃদ হেসে বলল, “আমাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে যদি আমার নাম বলতে, তবে খুশি না হয়ে রাগতাম আমি। কিন্তু সত্যি বলার জন্য এখন ভালোবাসতে ইচ্ছে হচ্ছে। আরও ইচ্ছে হচ্ছে…”
“কী?”
“ইচ্ছে হচ্ছে টুপ করে তোমার ঐ উষ্ণ ঠোঁটে চুমু…”
“ছিঃ! অসভ্য!”
“আরে! আরে! আগে কিছু করে নিই, তারপর না হয় অসভ্য খেতাব দিও।”
সাঁঝের কান দিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। গাল দুটো টকটকে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। হাত দুটো উশখুশ করছে।
সাঁঝ থামা থামা গলায় বলল, “আপনি… আপনি কি জানেন? আপনি একটা চরম লেভেলের অসভ্য!”
“বউয়ের মুখের গালিগুলোও ভারি মিষ্টি হয়। আবার দাও তো!”
সাঁঝ ‘উফফ!’ বলেই কলটা কেটে দিল। মনে মনে এও বলল, “খাটাশ হৃৎপিণ্ডটা আসলেই ধুরন্ধর হয়ে গিয়েছে।”
_________________
গৌধুলি নেমেছে এই প্রকৃতিতে। সূর্যের লালচে আভা ছড়িয়েছে চারপাশে। সাঁঝ মুগ্ধ হয়ে দেখে যাচ্ছে এটা। ছাদে রাখা দোলনায় গা এলিয়ে দিল। সাঁঝের এখন এক মুহূর্তের জন্য নিজেকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মেয়ে মনে হচ্ছে। তার মুগ্ধ দৃষ্টি যতদূর যায়, সবটা দেখে নিল। আচ্ছা! সমগ্র পৃথিবীর সুখকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়। আদৌ কি ভাগ করা যায়? যদি চেষ্টা করা হয়, তবে কি মন্দ হয়? আচ্ছা, ভাগ করলে পাই, সামান্য কিছু পাওয়ার সুখ, চাওয়ার আগেই পাওয়ার সুখ, হঠাৎ সুখের সান্নিধ্য পাওয়ার সুখ, ইচ্ছে পূরণের সুখ… আর? আচ্ছা! কারো প্রেমিক হওয়াটাও তো সুখের। কারো চাওয়ার মাঝে থাকাটাও সুখের। তবে কারো অপ্রেমিক হওয়াটা কি সুখের? হয়তো সুখেরই হবে। কারণ এটা খুবই বিরল হয়। কেউ চাইলেই প্রেমিক হতে পারে, তবে না চেয়েও অপ্রেমিক হওয়াটা দুষ্কর, দুঃসাধ্য।
আচ্ছা প্রেম! তুমি কী? তুমি কি শুদ্ধ গোলাপের ন্যায়? যদি তাই হও; তবে কেন একজনকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে লাল গোলাপ দিচ্ছ, তো আরেক জনকে ফুল বিহীন কাঁটা? তুমি কি জান? তোমার দেওয়া কাঁটা তাদের বুকটা চিরে ফেলছে। বিরহ যন্ত্রণা সইতে না পেরে কেউ বা গ্রহণ করছে মৃত্য।
আর যাকে দিচ্ছ কাঁটা বিহীন গোলাপ! সে পেল সৌন্দর্যের প্রতীক, এক স্বচ্ছ ভালোবাসা। রঙিন এক জীবন পেল। সেই জীবনটা বড্ড প্রেমময়ী। বেঁচে থাকার মূল মন্ত্র তো সে এতেই খুঁজে পেল।
বলছি প্রেম, তোমার দুটো মুখোশ অগণিত প্রেমিক-অপ্রেমিকের জীবন নিচ্ছে। এক রূপেই থাক না। হয়তো সুখ কিংবা অসুখ।
সাঁঝের হুট করেই অসুখের কথা মনে পড়ে গেল। সেই যে কাল সকালে কথা হয়েছিল! এরপর আর হয়নি। এত খারাপ লাগছে কেন? সে জন্যই কী ছাদে বসে এমন উদ্ভট চিন্তায় মেতে উঠেছে! ফোন হাতে নিয়ে বাইশ বারের মতো কল দিল হৃদকে। ফোন সুইচ অফ। মনটা বিষিয়ে গেল। ইচ্ছে হচ্ছে এই মুহূর্তে ছুটে ঢাকা যেতে। রাতের মধ্যে কথা না বললে সকালেই চলে যাবে। ভালো লাগছে না কিছুই তার।
ধীরে ধীরে সমগ্র আকাশ নীলচে রঙে ছেয়ে গেল। মাঝে দেখা যাচ্ছে লাল, গোলাপী রঙের সংমিশ্রণ। এটাই বুঝি সাঁঝ প্রহর! সাঁঝ সেদিকে তাকাল। কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন হতেই একটা দমকা হাওয়া তাকে কাঁপিয়ে দিল। প্রচণ্ড শীত লাগছে সাঁঝের। তবে পরনের কাপড়টা একদম পাতলা। ইচ্ছে হচ্ছে না, উষ্ণ কিছু গায়ে জড়ানোর। কিছুক্ষণ আগের সুখী মেয়েটি এখন অসুখে ভুগছে। বলতে হয়, এখন সাঁঝের ভীষণ মন খারাপ।
হঠাৎ কোলের উপরের ফোনটা বেজে উঠল। মুহূর্তেই শ্যামমোহিনীর হাসির ঝংকারে প্রকৃতি নেচে উঠল। বাতাসের উত্তাল বেড়েছে। সাঁঝের প্রতিটি লোমকূপ দাঁড়িয়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত শীতে সাঁঝের ভেতরটা অস্থির লাগছে। তড়িঘড়ি করে ফোনটা ওঠাতে গিয়ে ছাদের মেঝেতে পড়ে গেল। তেমন কিছু হয়নি। সাঁঝ উঠিয়ে রিসিভ করল।
ক’ঘণ্টা হলো? ত্রিশ ঘণ্টা নিশ্চয়ই! কল রিসিভ করতেই হৃদ বলল, “কোথায় আছো?”
“কথা বলব না আপনার সাথে। একদম কথা বলব না।”
হৃদ আলতো হাসল। ছোটো করে বলল, “কথা নাই বললে। দেখা দাও।”
“আপনি এমন করছেন কেন? কোথায় ছিলেন? কতবার কল দিয়েছি?”
“আসলে ফোনটা অফ ছিল, খেয়াল করিনি।”
“কাল কল রিসিভ করেননি কেন?”
“একটা জরুরি কাজ পড়ে গিয়েছিল হসপিটালে। ফিরতে ফিরতে গভীর রাত। তাই আর কল দেওয়া হয়নি।”
“মিথ্যে বলবেন না একদম। শর্মীর সাথে ছিলেন? কয়টা কল দিয়েছি আপনাকে? আজ না শুক্রবার! তবুও কেন কল রিসিভ করলেন না? আমি নেই বলে কি যা ইচ্ছে হবে তাই করবেন? আপনি কী করছিলেন, বলুন তো! আমি কালকেই ঢাকা ফিরব। আপনার জ্বালায় বাঁচতে পারছি না আমি। কী হয়েছে, কথা বলুন না!”
“আর কোনো অভিযোগ আছে?”
“আছে। আরও অনেক অভিযোগ আছে। আপনার সাথে কথা বলব না আমি। যা ইচ্ছে করুন। আমি কেউ না আপনার। আর কল দেবেন না আমাকে।”
কথাটা বলেই কল কেটে দিল। সাঁঝের অভিমান এখন আকাশ ছুঁয়েছে। সামনে পেলে হয়তো বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদত! আর বাচ্চাদের মতো ঠোঁট ফুলিয়ে বলত, ‘এই মানুষটা আমার। আমি কাউকে দেব না।’ কিন্তু তা পারছে না। এজন্যই মন খারাপটা এত বেশি লাগছে।
আবারও কল এলো। হৃদ কল দিয়েছে। সাঁঝ কেটে দিল। অনেক জ্বালিয়েছে। এখন সাঁঝের পালা। হৃদ আবারও কল দিল। সাঁঝ এবারও কেটে দিল। তখন একটা মেসেজ এলো। হৃদ মেসেজ করেছে।
“সন্ধ্যাবতী! এই সন্ধ্যের সাথে আমিও এলাম তোমার আঙিনায়। দেখা দাও প্লিজ!”
সাঁঝ তৎক্ষণাৎ কল লাগল। দুবার রিং হতেই রিসিভ করল হৃদ। সাঁঝ উত্তেজিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, “কোথায় আপনি?”
হৃদ সাবলীল ভাবে উত্তর দিল, “তোমার বাড়ির উঠোনের পেছনের এই নির্জন রাস্তায়।”
সাঁঝ বিশ্বাস করল না। কপাট রাগ দেখিয়ে বলল, “মজা নিচ্ছেন কেন? দেখুন! আমি মজা করার মুডে নেই।”
“আরে বাবা! মজা করব কেন?”
“মজা নয়তো কী? আপনি আমার বাড়ির এড্রেস কই পাবেন?”
“উপমার কাছে পেয়েছি।”
সাঁঝ কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল, “মানে?”
“মানে, মজা করছি না। প্লিজ এসো। কিছুক্ষণ বাদেই চলে যেতে হবে। কাল ডিউটি আছে।”
সাঁঝ কল কেটে দিল। যেভাবে আছে, সেভাবেই দৌড়িয়ে চলে গেল। এই অসময়ে সবাই নিজ নিজ রুমে, তাই কারো চোখের সামনে পড়তে হয়নি।
সাঁঝ বাড়ির উঠোনের পেছনের রাস্তায় পৌঁছতেই সাঁঝের হাত-পা অবশ হয়ে এলো। মাথাটা ভনভন করছে। রাস্তার পাশের ঐ বড়ো গাছের নিচেই তার অসুখ দাঁড়িয়ে। পরনে হুডি।
সাঁঝ কাঁপা কাঁপা পায়ে এগিয়ে হৃদের সামনে গেল। সাঁঝকে দেখেই হৃদ হাসল। কিন্তু সেই হাসি থেমে গেল সাঁঝকে আপাদমস্তক দেখতেই। এই শীতে শরীরে উষ্ণ কাপড় নেই! এই মেয়েটাও না!
হৃদ রাগী কণ্ঠে বলল, “ইচ্ছে হচ্ছে কষিয়ে এক থাপ্পড় মারি! এই অবস্থা কেন?”
সাঁঝ অশ্রুসজল নয়নে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়ল হৃদের বাহুডোরে। সাঁঝের ছোঁয়া হৃদকে কাঁপিয়ে তুলল। রাস্তাটা নির্জন বলে আশেপাশের কেউ দেখছে না। কিন্তু এভাবে! হৃদ সাঁঝকে নিজের কাছ থেকে ছাড়াতে চাইল। কিন্তু পারল না। সর্বশক্তি দিয়ে হৃদকে আকড়ে ধরে আছে সাঁঝ।
হৃদ হার মানল। বড্ড শীতল ও আদুরে কণ্ঠে বলল, “তোমাকে ছাড়া মস্তিষ্ক অচল হয়ে পড়েছিল। এক মুহূর্ত দেখতে না পাওয়ার তৃষ্ণা কতটা ভয়াবহ, তা কাছ থেকে অনুভব করলাম। এখন দেখতে না পেলে সত্যিই মরে যেতাম।”
চলবে…?