প্রেম_পাগলামি #নিহীন_রুবাইয়াত #পর্ব:২১

0
361

#প্রেম_পাগলামি
#নিহীন_রুবাইয়াত
#পর্ব:২১

আমি চিপ্সগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি,আপু দররজাই দাড়িয়ে গলা ঝাড়া দিলো।আমি ওর দিকে তাকালাম।ও মিচকা শয়তানের মতো হাসি দিলো।
–কে সে কে সে?কে সে কে সে???হু ইজ হি???
–আই ডোন্ট নোওওওওওওওও
–নিহী মিথ্যা বলবি না তো বারবার।ভালো লাগে না একদম।
–সত্যি বলছি,গড প্রমিস…

আমার মুখে গড প্রমিস শুনে আপু থেমে গেলো কারন এতো বড় মিথ্যা কথা আমি বলবো না।ওউ এবার চিন্তিত হয়ে আমার কাছে আসলো,,
–আচ্ছা নিহী এমন কেউ না তো যে তোকে মনে মনে লাইক করে কিন্তু বলতে পারে না??
(আপুও কথা শুনে বিষম খেলাম,এরকম একজন তো আছে যে এই দেড় বছর ধরে আড়ালে আছে।না না আপুকে এখন বলা যাবে না এ কথা)
–কি যে বলিস না তুই?কেউ নেই এমন
–থাকতেও তো পারে।
তোর–না নেই।
আপুকে মা ডাক দিলো আপু চলে গেলো।

আমি মাথায় হাত দিয়ে ভাবছি এতো চিপ্স কে দিলো??
–আচ্ছা ওই লোকটা দিইনি তো?

বিকালে মীরার ডাকে ঘুম ভাংলো।
–মীরু তুই?আমার বাসায়?(চোখ ডলতে ডলতে)
–আমি মানে?তুই তো আসতে বললি?
–আমি কখন?
–নিহুউউউউউউউ(ও আমাকে ধরে ঝালমুড়ি মাখানোর মতো ঝাকালো।আমার হুশ ফিরলো)
–ও হ্যা হ্যা।
–তোরো ঘুম!বাবা রে বাবা।এবার বল কেন এত জরুরি তলোপ।

আমি বেলকনিতে নিয়ে যেয়ে ওরে বস্তাটা দেখায়।কেউ রুমে এসে দেখলে ঝামেলা হবে তাই বেলকনিতে রেখে দিয়েছি।এতো চিপ্স দেখে মীরার তো চোখ বেরিয়ে আসার মতো।ওরে সব ঘটনা বললাম।ওউ বোকার মতো তাকিয়ে থাকে।দুজন ঘরের দরজা লাগিয়ে বসে আছি,গালে হাত দিয়ে ভাবছি।
–দোস্ত এটা তোর ওই সিক্রেট আশিকেরই কাজ।
(আমি আড়চোখে তাকালাম)
–না তুই একবার ভাব যখনি তোর কোন বিপদ হয় বা কোন স্পেশাল ডে বা তুই কিছু আবদার করিস সেটা পুরন হয়ে যায়।আর বেশির ভাগ সময়েই যখনি সৌভিক ভাইয়ের সাথে ঝামেলা হয় তখন।
–উফফ!!আবার ওই ইডিয়েটটার কথা,একদম ওই অসভ্যটার কথা বলবি না।আজ ওই অসভ্য,বদমাসটার জন্য আমার চিপ্স পড়ে গেছে মাটিতে,শুধু কি তাই আমার রেজাল্ট নিয়েও কথা শুনাইছে।ব্যাটারে তো খুন করতে মন চাই আমার।
–ওয়েট ওয়েট।ওনার জন্য তোর চিপ্স পড়ে গেছে।
–হ্যা
–নিহুউউউউউউউউউ(চিল্লিয়ে ওঠে মীরা)
–কিক কি হয়েছে?(আমি লাফ দিয়ে উঠি)
–তোর সিক্রেট আশিক কে পেয়ে গেছি?
–কে কে??
–সৌভিক ভাআআআআআইইইইইইই..
–হোয়াট??
–হ্যা।
–ফাউ বকিস না
–ফাউ না সত্যি।তুই ভাব যখনি ওনার সাথে তোর ঝামেলা হয় তুই কষ্ট পাশ আর তখনি তোর সিক্রেট আশিক হাজির হয়।আই এম ড্যাম শিউর এটা ভাই ছাড়া আর কেউ না..
–তোর কি মাথা টাথা খারাপ হয়ে গেছে উনি কেন হবেন?উনি ক্যাম্পাসের ক্রাশ বয়।
–তো?ক্রাশ বয়রা কি প্রেমে পড়ে না।
–না তা না।
–তাইলে?
–প্রেমে পড়ে কিন্তু তাই বলে আমার প্রেমে?ইমপসিবল।হতেই পারে না
–কেন হতে পারে না?
–আমি বলছি তাই।তুই এত বেশি বুঝিস না তো।
–নিহু তুই মানিস বা না মানিস আমার সন্দেহ হচ্ছে।

আমি আর মীরা অনেকক্ষন তর্ক করলাম।মীরা যাওয়ার সময় মীরাকে চিপ্সের বস্তা টা দিয়ে দিই,ওর বাসায় রাখার জন্য।মা তো জিজ্ঞেস করছে এটার কিসের কি।মাকে মিথ্যা বললাম যে মীরার জিনিস।মা হয়তো বিশ্বাস করলো না।রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবছি,মীরার কথাটা কি সত্যি?ওটা কি সত্যিই উনি?না না উনি কেন হবে?ওনাকে দেখে তো ওমন মনে হয় না।উনি তো একটা অসভ্য।আমার রেজাল্ট নিয়ে খোটা দিলো।ব্যাটা খাটাস।জীবনে বিয়ে হবে না তোর।

পরের দিন আমি আর মীরা চিপ্সগুলো নিয়ে মীরার ঘরে বসে আছি।ওর বাসায় কেউ নেই শুধু ও আর কাজের মহিলাটা তাই বস্তাটা নিয়ে কোন ঝামেলা হয়নি।কিন্তু করবো টা কি?২০০ টা চিপ্স কম না।আর কে না কে দিয়েছে আমি এটা খেতেও পারবো না।অবশেষে ঠিক করলাম গরিব কোন ব্যাক্তিকে দিয়ে দেবো।সে এগুল বিক্রি করে যে টাকা পাবে তারি লাভ হবে।যেমন ভাবা তেমন কাজ।এক অসহায় ব্যাক্তিকে দিয়ে দিলাম প্রথমে উনি বেশ অবাক হয়েছিলেন এরকম কেউ করে?কিন্তু পরে আর কিছু বলেনি।যাক চিপ্স গুলো বিদায় করে এখন খুব শান্তি লাগছে।আমি আর মীর পার্কে এসে বসলাম।দুজন হাওয়ায় মিঠাই খাচ্ছি আর গল্প করছি হটাত মীরা ইশারা করলো,,
–নিহু নিহু দেখ….
আমি ওর হাতের ইশারার দিকে তাকালাম,একটু দূরেই অসভ্যটা বসে আছে,ল্যাপটপে কি যেন করতেছে।ব্যাটারে দেখে কালকের কথা মনে পড়ে গেলো,শালা আমার রেজাল্ট নিয়ে খোটা দিছে।
–নিহু ওনার দিকে ওইভাবে রেগে তাকিয়ে আছিস কেন?
–…………..
–অরেঞ্জ টি-শার্ট আর থ্রিকোয়াটার প্যান্টে ওনাকে একদম আগুন লাগছে।বল?
–……………..
–কি রে কথা বলছিস না কেন??
–নিহু চল না ওনার কাছে যাই যেয়ে জিজ্ঞেস করি উনিই তোকে চিপ্সগুলো দিয়েছে কিনা?
–তার কোন দরকার নেই।
–আছে চল তো

মীরা আমার হাত টেনে হিচড়ে ওনার কাছে নিয়ে যায়।
–ভাইয়া কেমন আছেন?
উনি ল্যাপটপ থেকে চোখ উঠিয়ে মীরার দিকে একবার তাকিয়ে আবার ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকাই,
–তোমার সাথে পরে কথা হবে মিমি।বাই

উনি এবার ল্যাপটপটা রেখে মীরার দিকে তাকাই।
–আরে তোমরা এখানে?
–ভাইয়া আপনি কি নিহুর বাসায় চিপ্স পাঠিয়েছিলেন?
–কি?
–ভাইয়া আপনি নিজেই ওরে বলেন,আপনিই ওরে চিপ্সগুলো দিয়েছেন।আমি কাল ধরে বলছি কিন্তু ও আমার কথা বুঝতেই চাইছে না।
–মীরা আমিও তোমার কথা কিছু বুঝতে পারছি না।

মীরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।উনিও জিজ্ঞাসু ভাবে তাকিয়ে আছে।মীরা এবার সব টা বলে উনি হাসতে থাকে।
–আমি কিনা এই চুনোপুঁটি মানে তোমার বান্ধবিকে চিপ্স দেবো তাও আবার ওতো?হাহাহাহহাহহাহাহহাহহহহহ..আমার ওতো টাইম নাই যে ফালতু কাজে ওয়েস্ট করবো।

ওনার হাসি দেখে দেখে খুব রাগ হলো,
–নিজেকে কি মনে করেন আপনি?মানছি দেখতে ভালো,পড়াশুনাই ভালো তাই বলে কি অন্যকে মানুষ বলে গন্য করবেন না?
উনি আমার কথা শুনে হাসি থামিয়ে দিলেন,কিছু বলার আগেই আমি থামিয়ে দিই,
–চুপ একটা কথাও বলবেন না।আজ আমি বলব আর আপনি শুনবেন।আচ্ছা আপনি কেমন মানুষ বলেন তো?সবাই বলে আপনি নাকি অনেক ভালো একজন কিন্তু আসলেই কি ভালো?না আপনি একজন জঘন্য মানুষ,আপনি ভালো হতে পারেন না।আপনি যদি ভালো হতেন তাহলে আমার সাথে দিনের পর দিন এরকম খারাপ ব্যাবহার করতে পারতেন না।আরে ভাই ভুল তো মানুষ মাত্রই হয়,আমার ও হয়েছিলো কিন্তু তাই বলে আমাকে এভাবে শাস্তি দেয়া হবে?
–নিহীন তুমি…
–চুপ,একবার বললাম না আজ শুধু আমি বলবো।আপনি যা করেছেন তা কোন সভ্য মানুষে করে?আপনি খুবি নিচু মনের মানুষ,শয়তান পশু।আমার সাথে পশুর মতো আচারন করেছেন।
–নিহু তুই কি বলছিস এসব?
–মীরা তুই থাম,আমাকে বলতে দে।

–এই যে মিস্টার ক্রাশ বয় মেয়েদের কি ভাবেন হ্যা?তারা সব চুপচাপ মেনে নেবে?না মানবে না।আরে আপনার মুখ দেখলেও আমার ঘেন্না লাগে,একটা মানুষ কিভাবে এতোটা খারাপ হতে পারে?

ওনার চোখ টলমল করছে,এই বুঝি কেদে দেবে।ওনার ওই চোখে তাকানোর পর আমি আর কথা বলতে পারলাম না কেন জানি না।অনেক কিছু বলার আছে তাও আমি যেন ভাষায় খুজে পাচ্ছি না।শেষ পর্যন্ত মীরার হাত ধরে ওখান থেকে চলে আসতে যাবো।কিন্তু এক পা বাড়াতেই কেউ যেন হাতটা টেনে ধরলো,,আমি ঘুরে তাকিয়ে দেখি উনি হাত ধরে আছে।
–এক্টাবার আমার কথা শুনবে নিহীন?
–আমার হাত ছাড়ুন কোন কথা নেই আপনার সাথে।
–প্লিজ একটাবার।
–হাত ছাড়ুন
–নিহীন
–হাত ছাড়তে বলছি না।(আমি এবার বেশ জোরেই কথাটা বলে উঠলাম,আশেপাশের লোক তাকিয়ে পড়লো)
–নিহীন আমি যাস্ট একটা কথা বলবো
–হাত ছাড়ুন আমার।
–নিহীন আস্তে কথা বলো আশেপাশের সবাই তাকিয়ে আছে অন্যকিছু ভাববে তো।
–ভাবুক যে যা ভাবে ভাবুক,কেন কেউ কিছু ভাবলে বুঝি মি. আশহাদ আরিয়ান সৌভিকের ইমেজ নষ্ট হবে??
–সেটা না আসলে নিহীন,,

উনি কথা শেষ করতে পারে না তার আগেই একটা লোক ওনার টি-শার্টের কলার চেপে ধরে ওনার ডান গালে দেই এক থাপ্পড়।উনি আমার হাত ছেড়ে দিয়ে সোজা গিয়ে পড়ে মাটিতে,হটাত থাপ্পড় খাওয়ায় ব্যালেন্স ঠিক রাখতে পারিনি।ওনাকে কে থাপ্পড় মারল দেখার জন্য তাকাতেই দেখি আমাদের ঘিরে ১৫/১৬ জন লোক জড় হয়ে গেছে।উনি মুখ উচু করে তাকানোর আগেই আরেক জন ওনার কলার টেনে দাড় করাই,শক্ত করে চোয়াল ধরে বলে,
–এই যে হিরো,সুন্দরি মেয়ে দেখে ইভটিজিং হচ্ছে?
–কি? কি বলছেন এসব?ছাড়ুন আমায়,আমাকে মারলেন কেন?
(উনি লোকটার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে।তখনি যেই লোকটা আগে থাপ্পড় মেরেছিলো সে ওনার হাত ধরে)
–তোর মতো ছেলেগুলোর জন্যেই দেশে এতো রেপের কেস,নারী উত্তক্ত করিস?দেখে তো ভদ্র ঘরের ছেলে বলেই মনে হয়।বাপ মা শিক্ষা দেইনি?
–আরে আমি ভদ্র ঘরের ছেলেই।আপনারা কি উল্টা পাল্টা বলছেন?ছি!আমি কেন ওকে ডিস্টার্ব করতে যাবো?আমরা তো পরিচিত যাস্ট কথা বলছিলাম।নিহীন তুমিই বলো ওনারা যা ভাবছে তা ভুল।

উনি আমার দিকে তাকিয়ে বলেন কিন্তু আমি চুপ করে থাকি।ওই লোকগুলোও আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি ওনাকে চিনি কিনা কিন্তু আমি এখনও চুপ।আমাকে চুপ দেখে ওনারা আবার সৌভিকরে ধরে,
–কি রে হিরো মেয়েটা নাকি তোর পরিচিত তা কথা বলে না কেন?
–আমি সত্যি বলছি আমরা একি ভার্সিটিতে পড়ি ইভেন ওর বোনের সাথে আমার ভাইয়ের বিয়ে হবে।
–সব জানা আছে,ধরা খাইলে কতো মিথ্যা কথায় বলে তোর মতো ছেলেরা।শালা লুইচ্চা,বা*****
–গালি দিবেন না।দেখুন আপনাদের এই ননন্সেস অনেক্ষন ধরে সহ্য করছি।আমি চাইলে কিন্তু উল্টা আপনাদের মেরে শুইয়ে ফেলতে পারি কিন্তু আমার বাবা মা আমাকে বড়দের গায়ে হাত দিয়ার শিক্ষা দেইনি।
উনি কথাটা শেষ করার সাথে সাথে ওনার গালে পড়ল এক থাপ্পড়,ওনার ঠোট কেটে রক্ত বের হয়ে গেলো
–কি?নিজে ইভটিজিং করে আমাদের মারার হুমকি দিশ?তোরে তো আজ মেরেই ফেলবো।

আর একজন ওনাকে থাপ্পড় দিতে যায় কিন্তু আমি লোক্টার হাত ধরে ফেলি।
–থামুন আপনারা।আমি চিনি ওনাকে আর উনি আমাকে ডিস্টার্ব করছেন না।দয়া করে ওনাকে মারা বন্ধ করেন।

আমার কথায় সবাই আমার দিকে তাকাই।লোকগুলো ওনার কলার ছেড়ে দেয়।
–কি চেনো তুমি ওরে?
–হ্যা চিনি।আমাদের নিজেদের মধ্যে একটু ঝগড়া হচ্ছিলো এই যা।
–তাহলে আগে বলোনি কেন?আর নিজেদের মধ্যে ঝামেলা বাড়িতে মিটাতে পারো না।পার্কের মাঝে এমন করলে লোকে তো উল্টা ভাববেই।যত্তোসব….

লোকগুলো কিছু কথা শুনিয়ে চলে গেল।আমি ওনার দিকে তাকালাম
–থ্যাঙ্কস নিহীন।তুমি যদি না বলতে আজ তো আমাকে রাম ধোলাই খেতে হতো

উনি একটু মুচকি হাসলেন।কিন্তু আমি এখনো রেগে আছি।
–মার খাওয়া থেকে বাঁচিয়েছি মানে এটা না আমি সব ভুলে গেছি।

আমি আর দাড়ালাম না চলে আসলাম উনি কয়েকবার ডাকলেন কিন্তু আমি তাকাইনি।বাসায় এসে খুব রাগ হলো আর কান্নাও পেলো।কেন কান্না পেল জানি না।শাওয়ার নিলাম খাটে এসে শুয়ে পড়লাম।ঘুম এসে গেলো।পরের দিন উঠলাম একেবারে ভার্সিটি যাওয়ার টাইমে।না খেয়ে ভার্সিটি তে চলে গেলাম।খুদা পেয়েছে কিন্তু রাগে খাওয়ার ইচ্ছা নেই তাও মীরার জোরাজুরি তে কিছু খেতেই হবে। ক্যান্টিনে আমি আর মীরা।মীরা বার্গার অর্ডার দিলো আমার জন্য।ক্যান্টিনে যে ছেলেটা কাজ করে সে আমার বার্গার দিয়ে গেলো।তবে আজকের বার্গারটার লুক একটু অন্যরকম।বার্গারের ওপরে স্মাইলি আকা।আমাদের ক্যন্টিনে এমন তো দেই না।বার্গার টা খাওয়ার জন্য হাতে নিতেই দেখি প্লেটে এক্টা ট্যিসু আর তাতে লেখা সরি।আমি তো আর এক রাউন্ড অবাক।ওয়াটারকে ডাকার জন্য চোখ তুলতেই দেখি সৌভিক ভাই দাড়িয়ে আছে।মুচকি একটা হাসি দিয়ে উনি আমার সামনের চেয়ারটাই বসে পড়েন
–কি হলো খাও,আমি স্পেশালি তোমার জন্য অর্ডার করেছি আর তুমি যেটা অর্ডার করেছিলে ওটা আমি খেয়ে নিয়েছি।

উনি ক্লোজ আপের এডের হাসিটা দিলেন।

চলবে………..

(অনেকেরি অভিযোগ নিহীন কেন কিছু বলে না।আজকের পার্টটা স্পেশালি তাদের জন্যে।এবার খুশি তো?কোন ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর নেক্সট নেক্সট না করে গল্পটা কেমন লাগছে সেটা জানালে বেশি খুশি হবো।ধন্যবাদ)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here