#প্রেম_পাগলামি
#নিহীন_রুবাইয়াত
#পর্ব:১৭
ঘুমের মাঝেই মনে হলো কেউ আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে খুব যত্নে।আমার খুব চোখ খুলতে ইচ্ছা করছে,কে এতো যত্নে আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে জানতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমি তাকালাম না।আমার বেশ ভালো লাগছে,হাতের স্পর্শটা খুব চেনা লাগছে আমার,যেন এই স্পর্শ আমি আগেও পেয়েছি।চোখ মেলে দেখতে ইচ্ছা করছে আবার চোখ বন্ধ কড়ে তার স্পর্শ পেতে ইচ্ছা করছে।আস্তে আস্তে আমার মাথার থেকে হাতটা সরে গেলো মনে হলো,তারপর আমার কপালে কে যেন আলতো করেই ঠোট ছোঁয়াল,আমি ঘুমের মাঝেই কেপে উঠলাম।কিছুক্ষন পর কিছু বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ আর হৈচৈ এ ঘুম ভেঙে গেলো।আমি আস্তে আস্তে চোখ খুললাম,আমি তো গাড়ির ভিতরেই বসে আছি।কিন্তু পাশে তো উনি নেই,কোথায় এসেছি আমরা?চারপাশে এতো বাচ্চা।গাড়ির দরজা খোলাই ছিলো,তাই সাথে সাথে বের হয়ে গেলাম।গাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি একটু দূরেই সৌভিক ভাই বেলুন হাতে দাড়িয়ে আছে আর ওনাকে ঘিরে ৮-১০ টা বাচ্চা।তারা সবাই ভাইয়া বেলুন দাও বেলুন দাও করছে,উনি হাসতে হাসতে একেক করে সবাইকে বেলুন দিচ্ছে।বেলুন পেয়ে বাচ্চা গুলো অনেক খুশি,সবাই ওনার গালে একটা করে চুমু দিলো,উনিও বাচ্চাদের গালে চুমু দিচ্ছে।আমি দূর থেকে দাড়িয়ে এসব দেখছি,বাচ্চাদের সাথে এভাবে ওনাকে মজা করতে দেখে খুব ভালো লাগছে,আমি আপন মনেই হাসছি।উনি হটাত আমার দিকে তাকান,আমাকে হাসতে দেখে উনিও মুচকি হাসেন।আমার হাসি থেমে যায়,এই লোকটার মুচকি হাসিটাই যে কি আছে বুঝি না যখনি মুচকি হাসবে মেয়েরা ক্রাশ খেতে বাধ্য হবে।আমি ওনাদের দিকে তাকিয়েই আছি উনি আবার তাকিয়ে বাচ্চাদের কি যেন বলে আর সাথে সাথে সব বাচ্চারা আমার কাছে ছুটে আসে।বাচ্চাপার্টির এভাবে ছুটে আসা দেখে আমি তো ঘাবড়ে যায়।আমার কাছে এসেই বাচ্চাগুলো,
–ভাবি চকলেট দাও,ভাবি চকলেট দাও করতে থাকে।আমার মাথায় কিছুই আসছে না।এরা আমাকে ভাবি বলে কেন ডাকছে আর আমি চকলেটি বা কোথায়??বাচ্চাগুলো কথাটা বলেই যাচ্ছে বারবার।
–বাচ্চারা তোমরা আমাকে ভাবি বলে ডাকছো কেন আজব??কে তোমাদের ভাবি??
–কেন তুমিই তো আমাদের ভাবি..
–আমি??তোমাদের ভুল হচ্ছে সোনা আমি তোমাদের ভাবি না।
–কিন্তু আমরা তো জানি তুমিই আমাদের ভাবি।
–কি?এ কি বিপদে পড়লাম আবার?(মনে মনে)
–দেখো আমি তোমাদের ভাবি না আর তাছাড়া আমি তোমাদের কোন ভাইয়ার বউ হবো?
–কেন সুফিক ভাইয়ার বউ না তুমি?
সুফিক নামে কাউকেই তো চেনা লাগছে না।এরা কার কথা বলছে রে বাবা।
–সুফিক?এটা আবার কে??
বাচ্চাগুলো হাত দিয়ে সৌভিক ভাইকে ইশারা করলো,উনি দূরে দাড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো।বাচ্চাদের ওনার দিকে হাত করা দেখে আমার চোখ তো আকাশে উঠে গেছে প্রায়।বাচ্চাগুলো কি খেয়ে ওনাকে আমার বউ ভাবে।আজব!!আচ্ছা উনি আবার বলেননিতো।কিন্তু উনিই বা কেন বলবেন?ওনার সাথে তো আমার ওমন কোন সম্পর্ক নেই।আচ্ছা উনি আবার আমাকে লাইক টাইক করেন না তো?লাইক করার কথাটা ভেবেই লজ্জা লাগলো।পর মুহুর্তেই হুশ ফিরলো।ছি ছি!এসব আমি কি ভাবছি,ছি!উনি কেন আমাকে লাইক করবেন?নিহী তুই পাগল হয়ে গেছিস।বাচ্চাগুলো আমার হাত ধরে ঝাকাতে লাগলো।
–ভাবি ও ভাবি দাও চকলেট।ভাইয়া বলেছে তোমার কাছে আছে।
–এই বদমাশরা তোরা ওকে ভাবি কেন বলছিস?
(আমি কিছু বলার আগেই উনি বাচ্চাদের কাছে এসে বলেন)
–ভাইয়া এটা তো তোমার বউ,তুমিই তো….
–চুপ একদম চুপ।ও আমার বউ না,ও ও কেন আমার ব বউ হতে যাবে?নিহীন তুমি ওদের কথাই কিছু মনে করো না প্লিজ।ওরা আসলে বুঝতে পারিনি,আমার সাথে আগে কোন মেয়েকে দেখিনি তো তাই আর কি।আমি বলেছিলাম আমার সাথে যদি কোনদিন কোন মেয়ে আসে তাহলে সেটা হবে তোদের ভাবি মানে আমার…..(উনি লজ্জা পেয়ে মাথা চুলকালো)তাই হয়ত ওরা ভেবেছে…আচ্ছা আমি ওদের বকে দিচ্ছি।এই ওরে তোরা আপু বলে ডাক,বুঝলি।ভাবি বলবি না একদম।
–আচ্ছা ভাইয়া।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে একটু ফেইক হাসি দিলো।ওনার যুক্তিটা আমার বিশ্বাস হলো না তেমন কারন বাচ্চারা এতোটাও বোঝে না যে ওনার ওই কথা মতো আমাকে ভাবি বলবে।কিন্তু উনিই বা কেন বলবেন আমাকে ভাবি ডাকতে।বাচ্চাগুলো আবার চকলেট নিয়ে বায়না শুরু করলো।
–আপু চকলেট দাও আপু চকলেট দাও।
–আমার কাছে তো কোন চকলেট নেই।
–না আছে,দাও না।
–নিহীন ওদের চকলেট দিয়ে দাও।তুমি কি বাচ্চা যে ওদের চকলেট দিচ্ছো না নিজে খাবে বলে(ওনার কথা শুনে আমি ভ্রু কুচকে তাকায়)
–আমার কাছে তো কোন চকলেট(আমার কথা শেষ করতে দেন না উনি)
–গাড়ির পিছনের দরজা খোল,চকলেটের বক্স আছে।নাও আর ওদের জিনিস ওদের দাও,তুমি চাইলে একটা নিজের জন্যও রাখতে পারো।হাহাহাহাহাহহহ
–আমার কোন দরকার নেই।
আমি গাড়ির পিছনের দরজা খুলি।সিটের ওপর একটা বক্স।আজব তো এটা কোথা থেকে আসলো আগেতো খেয়াল করিনি।তাহলে এটা কখন আসলো?বাচ্চারা আরো বাহানা শুরু করলো।আমি তাড়াতাড়ি বক্সটা নিয়ে তার থেকে চকলেট দেয়া শুরু করলাম।সবাই চকলেট পেয়ে তো অনেক খুশি,আমার জামা টেনে ধরে আমার গালে চুমু দিলো।আমার বেশ ভালো লাগল,চকলেট নিয়া হয়ে গেলে বাচ্চাগুলো দৌড়ে চলে গেলো একটু দূরে গিয়ে খেলা করছে।উনি বাচ্চাগুলোকে দেখে আপন মনে হাসছে।উনি এবার আমার দিকে তাকালেন।
–এরা কারা সেটাই ভাবছো তো?এরা আমার মন ভালো করার ওষুধ।
–ঠিক..(কথা শেষ করতে দিলেন না)
–ঠিক বুঝলে না তাই তো?
–হুম।
–ওই যে দেখছো বাচ্চা গুলো ওরাই আমার মন ভালো করার ওষুধ।ওরা একসময় রাস্তায় থাকতো,আমার বাবা ওদের আনে রাস্তা থেকে তারপর এইখানে রাখে।বলা যায় এটা ওদের বাড়ি,এখানে কিছু বুড়ো বাচ্চাও আছে,যাদের বয়স ৮০ কিন্তু মন ৮ বছরের।আর এই সবাইকে দেখার জন্য আছে মিস সুমা আর বিজয় ভাই।অবশ্য আরো দুজন আছে যারা সবার খেয়াল রাখে।ভিতরে চলো বুঝতে পারবে।
উনি আমার হাত ধরে হাটতে যায়।কিন্তু আমি দাড়িয়ে থাকি।উনি পিছু ঘুরে,
–কি হলো চলো…
আমি ইশারা করে হাতটা দেখায়।উনি তাড়াতাড়ি আমার হাত ছেড়ে দেই।মাথা চুলকে বলে,
–সরি।
উনি আগে আগে যাচ্ছে আর আমি ওনার পিছু পিছু।আমরা এতোক্ষন গার্ডেনে ছিলাম,মাঝারি সাইজের গার্ডেনটা বেশ সুন্দর এখন একটা ছোটখাটো বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম।ছোট্ট একটা ড্রয়িং রুমে ৮/৯ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বসে আছে।ওনাকে দেখে সবাই সুন্দর একটা হাসি দিল।ওনাদের মধ্য থেকে একজন বয়স্ক মহিলা বলে উঠলো,
–তোমার সাথে কথা নেই আমাদের।তুমি এতোদিন আসোনি কেন?(উনি যেয়ে পাশে বসে পড়লেন)
–রাগ করো না ডার্লিং,এইতো আজ এলাম।খুব ব্যস্ত ছিলাম গো তাই আসা হয়নি।(উনি কথা শেষ করেই কানে হাত দিয়ে সরি বলে মুচকি হাসি দেয়)
–নায়ক কি তোমাকে আর সাধে বলি?তোমার এই হাসিতেই তো এই বুড়িগুলো পাগল হয়ে যায়,রাগ করে থাকতে পারিনা।
উনি আরো একটু হাসে ওনার সাথে সাথে বাকিরাও হাসে।আমি দরজার কাছে দাড়িয়ে এসব দেখছি।বয়স্ক একজন লোক আমার দিকে ইশারা করে বলে,
–নায়ক এটা আবার কে?
উনি কোন উত্তর দেই না।মুচকি হেসে মাথা চুলকাই,সবাই আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দেই
–ভালো বেশ
–মাহশাল্লাহ,
–নায়ক ফাটায় দিছো একদম
একেকজন একেক কথা বলে।উনি কিছু একটা ইশারা করাই সবাই চুপ হয়ে যায়।আমার মাথায় তো এসব কিছুই ঢুকছে।ওনারা এমন বিহেভ কেন করছে?আমি বোকার মতো দাড়িয়ে ওনাদের কান্ড দেখছি শুধু।এমন সময় এক দীদা আমাকে ডাক দেই,,
–বুবু এদিকে আই।
আমি এখনো দাড়িয়ে আছি,ওনার দিকে একবার তাকালাম উনি চোখ দিয়ে ইশারা করে আসতে বলেন।আমিও সবার সাথে গিয়ে বসি।সবাই আমার নাম জিজ্ঞেস করেন।তারপর নিজেরা আমার সাথে পরিচিত হয়,ওনাদের জীবনের গল্প এখানে কিভাবে সময় কাটে সব বলতে থাকে।আমি মনযোগী স্রোতার মতো শুনছি।ওনারা নিজেদের মাঝেই ঝগড়া করছে ইয়ারকি করছে মাঝে মাঝে ওনার কাছে একে অপরের নালিশ করছে উনি আবার বকা দিয়ে দিচ্ছে।আমার বেশ ভালো লাগছে,উনি ঠিকি বলেছিলেন এনারা বাচ্চাদের মতোই।ওনাদের গল্পের মাঝেই এক অল্প বয়সী মহিলা আসেন বয়স ৩০-৩২হবে।
–কি হচ্ছে এখানে?
মহিলাটাকে দেখে সবাই চুপ চুপ বলে মুখে হাত দেয়।উনি আমাদের কাছে আসে।
–কেমন আছো সৌভিক?
–আমি ভালো আছি মিস সুমা।আপনি কেমন আছেন?
–আমিও ভালো আছি।তা তোমার ডার্লিংরা আমার নামে আজ কি কি বদনাম করলো?
–না না মিস সুমা কেউ আপনার নামে কোন নালিশ দেইনি।
–যাক তাহলে তো ভালোই।
উনি এবার আমার দিকে তাকান।আমাকে চিনতে না পেরে,
–তোমাকে তো ঠিক চিনলাম না।
–মিস সুমা ও নিহীন,আমার ভার্সিটিতেই পড়ে।
–হাই নিহীন
–হ্যালো
–কেমন আছো তুমি?
–ভালো আছি।আপনি?
–আমিও ভালো আছি।আমার পরিচয় টা দিই।আমার নাম সুমা আক্তার।এই যে দেখছো সৌভিকের সব ডার্লিং আমি এদের কেয়ার টেকার।আবার বলা যায় সৌভিকের বাবার এমপ্লই।
–নাইস টু মিট ইউ।
উনিও মুচকি হাসি দেন।এরপর সবার দিকে তাকিয়ে বলেন,দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেছে সবাই ডাইনিং এ যাও।ওনার কথা মতো সবাই ডাইনিং এ চলে যায়।উনি এবার সৌভিক ভাইর দিকে তাকিয়ে বলেন,
–তোমরাও এসো।
–না মিস সুমা আমরা এখন খাবো না।
–আচ্ছা বাই নিহীন
–বাই
উনি চলে যায়।এবার সৌভিক ভাই নিজে থেকেই বলেন,
–মিস সুমা কিন্তু এতোটাও স্ট্রিক্ট না।আসলে এই বুইড়াবুড়ি গুলো খুব দুষ্টুমি করে তো তাই মিস সুমা ওদের সাথে একটু স্ট্রিক্টলি বিভেব করে।
–আচ্ছা উনিও কি এখানে থাকে?
–হ্যা।মিস সুমা সেই প্রথম থেকেই এখানে আছে।ওনার স্বামী ওনাকে বাড়ি থেকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিলো,উনি রাস্তায় বসে কাঁদছিল বাবা তখন ওনাকে দেখে এখানে আনে।উনিই সেদিন থেকে এই বয়স্ক এবং বাচ্চাগুলোকে সামলাচ্ছে নিজের সন্তানের মতো করে।
আমি আর উনি হাটতে হাটতে ডাইনিং এর দিকে আসি বাচ্চা,বয়স্ক সবাই খাচ্ছে একসাথে।মিস সুমা খুব যত্ন করে সবাইকে খাবার দিচ্ছে।খাবার খাওয়া শেষ হলে সবার সাথে আরো অনেক সময় কাটালাম।সবার সাথে বেশ ভালো সময় কাটালাম।কখন যে বিকেল হয়ে গেছে বুঝিনি।উনি এবার বিদায় চাইলো কিন্তু কেউ ওনাকে ছাড়বে না।তাও জোর করে বিদায় নিয়ে আসলাম।উনি ড্রাইভ করছে।খুব হাসিখুশি উনি,ওনাকে এতোটা হাসিখুশি আগে কখনো দেখিনি।আজ সবার সাথে উনি অনেক মজা করেছে,আজ আমি অন্যরকম এক ওনাকে চিনলাম।
–নিহীন পিছনে দেখো খাবারের প্যাকেট আছে,নিয়ে খাও।
আমি ওনার দিকে অবাক হয়ে তাকালাম।উনি চোখ দিয়ে ইশারা করলেন,পিছনে তাকিয়ে দেখি সত্যিই একটা খাবারের প্যাকেট।আমি প্যাকেটটা নিলাম
–খোলো(আমি খুললাম দেখি তেহেরি ভিতরে)
–এটা কোথায় পেলেন?
–বিজয় ভাইকে দিয়ে কিনিয়ে এনেছিলাম।ওটা খাও এখন।দুপুরে তো খাওয়া হয়নি।
–সে তো আপনিও খাননি
–আমি বাসায় যেয়ে খেয়ে নেবো এখন তুমি খাও।না খেলে দুজনি খাবো।
–আরে না কোন সমস্যা নেই।
–সমস্যা আছে কি নেই আমি বুঝবো।আপনি গাড়ি থামান।
–নিহীন
–গাড়ি থামান।
উনি গাড়িটা রাস্তার এক পাশে সাইড করে রাখে।আমি হাত ধুয়ে তেহেরির অর্ধেকটা আর এক সাইডে দিয়ে ওনার দিকে দিই।উনিও হাসি মুখে নেই।দুজনেই খাচ্ছি,
–আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
উনি খেতে খেতে আমার দিকে তাকাই
–করো
–আসার সময় ওমন রেগে ছিলেন কেন?
আমার কথা শুনে হেসে দেই।
–হাসছেন কেন?
–আমি তখন রেগে ছিলাম না,তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য ওমন ভাবে ছিলাম।হাহাহাহহাহহহ
–কি?
–হুম,তুমি একটুতেই ভয় পেয়ে যাও তো,তাই ভয় দেখাতে মজা লাগে।
–ইউ!!এটা ঠিক না।(ওনার ওপর খুব রাগ হলো)
–আচ্ছা সরি।
–ঠিক আছে।আর একটা কথা আপনি কি এখানে প্রায় আসেন?
–হুম তা আসি।তবে অনেকদিন আসা হয়নি।আজ একটা স্পেশাল ডে তাই তোমাকেও আনলাম।
–আজ স্পেশাল ডে?
–হুম।
–কেন কি আজ?
–খাওয়ার সময় এতো কথা বলা ঠিক না নিহীন,চুপ করে খাও।
–কিন্তু
–চুপ করে খেতে বলেছি আমি…
খাবারের দিকে তাকিয়েই উনি কথাটা বলেন আর খেতে থাকেন।ওনাকে জিজ্ঞেস করেও লাভ হবে না তা বুঝে গেছি তাই আমিও খেতে থাকি।
চলবে…………….
(কোন ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর নেক্সট নেক্সট না করে গল্পটা কেমন লাগছে সেটা জানালে বেশি খুশি হবো।ধন্যবাদ)