#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#স্পেশাল_পার্ট
🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ
অবনি ফটো ফ্রেম দেখছিলো তখনি অবনির মোবাইল ভেজে উঠলো। মোবাইলটি হাতে নিয়ে দেখলো আরশের কল। অবনির মুখে হাসি ফুটলো তারপর আবার মুখ ভার করে কল রিসিভ করে বলল-
” এতোক্ষণে আমার কথা মনে পড়লো? কোথায় ছিলেন এতোক্ষণ? মোবাইল রিসিভ করেননি কেনো? কতোগুলো কল দিয়েছি হিসেব আছে আপনার? ”
অবনির কথা শুনে আরশের মুখে হাসি ফুটলো।
” তা মেডাম কি আমাকে মিস করছিলেন? ”
অবনি এবার থতমত খেয়ে বলল-
” মমোটেই না। আমি কেনো মিস করতে যাবো হুমম৷ ”
” ওকে। তাহল আর কি করার মিস যখন করছিলে না তাহলে এবার কলটা রাখি কেমন? ”
আরশের কথা শুনে অবনি তড়িঘড়ি করে বলল-
” এই না না। কল রাখবেন না৷ ”
অবনির কথা শুনে আরশ বিরবির করে বলছে-
” মহারানী ভাঙ্গবে তবু মচকাবে না। ”
” কিছু বললেন? ”
” ননা কিছু না। ”
তারপর দুজন আরোও কিছুক্ষণ কথা বলে কল রাখলো৷ আরশ বিছানায় শোয়ার কিছুক্ষণ পরই চোখে ঘুম নেমে এলো। হঠাৎ আরশের মোবাইল ভেজে উঠলো৷ আরশ বেডশিটে মুখ গুঁজে হাত বাড়িয়ে টেবিল থেকে মোবাইল নিলো।
মেবাইল কানে দিয়ে আরশ ঘুম ঘুম কন্ঠে বলল-
” কি হয়েছে অবনি? একটু আগেই তো কথা হলো! আবার কেনো কল দিলে? ”
ওপাশ থেকে শব্দ এলো-
” আরশ আমি মেঘনা। ”
কথাটা কানে আসতেই আরশের কপালে ভাজঁ পড়লো। আরশ মাথাটা উঁচু করে বলল-
” হোয়াট? কি চাই? ”
” এভাবে কেনো বলছো? কল দিতে পারিনা? ”
” ম্যানার্স বলে যে কিছু একটা আছে আপনি মে বি তা ভুলে যাচ্ছেন। এতো রাতে একজন পুরুষের মোবাইলে কল দেওয়াটা ম্যানার্সের মধ্যে পড়েনা নিশ্চয়ই! তার মধ্যে যখন জানেনই সেই পুরুষটি বিবাহিত । আর আপনি থেকে ডিরেক্ট তুমি বলছেন কোন সাহসে? আমি কি আপনাকে সেই পারমিশন দিয়েছি? ”
” কাম অন আরশ। প্রথম দেখাতেই তোমার উপর ক্রাশ খেয়ে ফেলেছি। তুমি তো আমার মনটা চুরি করে ফেলেছো। তোমাকে ভালোবাসি তোমার ব্যাপারে একটু খোঁজ নিবো না! আমি জানি তোমার বউয়ের সাথে তোমার সম্পর্কটা ভালো নেই৷ আর সম্পর্ক ভালো হবেই বা কি করে এমন একটা গাইয়া ক্ষেত …… ”
” এনাফ ইজ এনাফ। ডোন্ট ক্রস ইউর লিমিট। আপনার স্পর্দা দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। আপনার সাহস কি করে হয় আমার অবনিকে নিয়ে এভাবে কথা বলার? নেক্সট টাইম যদি আর একটা কল আমার নাম্বারে আসে আপনি ভাবতেও পারছেন না আপনার কি অবস্থা হতে পারে। ”
কথাটা বলে আরশ কল কেটে দেয়। এদিকে মেঘনা রাগে মোবাইল টাকে ফ্লোরে ছুঁড়ে মারলো। সারা শরীর রাগে রি রি করছে মেঘনার। এই মুহূর্তে ভাঙচুর করলেই তার এই রাগ থামবে। যেই ভাবা সেই কাজ মেঘনা সারা রুমে জিনিসপত্র ভাঙচুর শুরু করলো।
_______________________
অন্ধকার রুমে নিজেকে আবিষ্কার করলো মেঘনা। ভয়ে অন্তর আত্না কেঁপে উঠলো তার। হাত পা ভেঙ্গে গেছে। শুধু ধম নেওয়ার মতো আধমরা হয়ে বেঁচে আছে৷ ছেলেদের মধ্যে একজন মেঘনার চুলের মুঠি ধরে বলল –
” বস আসছে। পারলে নিজের প্রান ভিক্ষা চেয়ে নে। নাহলে এখানেই তোর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হবে। ”
দরজার দিকে একটা ছায়া দেখা গেলো।
মেঘনা কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল-
” ককে আপনি? ককেনো আআমাকে মারতে চাইছেন? কি দোষ করেছি আমি? ”
লোকটি মুখ থেকে মাস্ক সরাতেই মেঘনা চমকে উঠলো –
” তুমি! ”
লোকটি ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে বলল-
” অন্য কাউকে এক্সপেক্ট করছিলে বুঝি!
এতো অবাক হওয়ার কিছুই নেই। রিলাক্স!”
” পপ্লিজ আআমাকে মমাপ করে দাও। প্লিজ আমাকে মেরো না। ”
” এবারের মতো মাপ করলাম। তবে ওয়ার্ন করছি ফিউচারে কিন্তু….. ”
” আআমি আআর কখনো এমন ভুল করবোনা আই প্রমিস। ”
লোকটি একটা ছেলেকে ডেকে বলল –
” একে হসপিটালে নিয়ে ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করো। ”
★★★★★
দেখতে দেখতে আরশ অবনির গায়ে হলুদ চলে এলো। সারা বাড়ি ফুলে ফুলে সজ্জিত। আর সবকিছু বিদ্যুৎ নিজে দায়িত্ব নিয়েছে। বাড়িটাকে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যেনো সে বিদ্যুৎতের নিজেরই বোন। কিন্তু অবনি আজও জানতে পারলোনা বিদ্যুৎতের বোন কিভাবে মারা গেছে। এতো ব্যস্ততার মাঝে আর জিজ্ঞেস করা হয়নি। অবনির মন খচখচ করছে আজ বিদ্যুৎতের থেকে জানবেই৷বিদ্যুৎ অবনির রুমে দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে বলল –
” বোনু আসবো?”
” হ্যাঁ আসো। ”
বিদ্যুৎ হাতে করে খাবার নিয়ে এলো।
” বোস আজকে আমি তোকে নিজ হাতে খাইয়ে দিবো। ”
” ভাইয়া একটা প্রশ্ন ছিল। ”
” হ্যাঁ বল কি বলবি। ”
” তোমার বোনুর কি হয়েছিল ও কিভাবে মারা গেলো। ”
বিদ্যুৎ একটা বিষন্নতার শ্বাস ছেড়ে বলল-
” আজ একটা শুভ দিন। আজকের দিনটা এসব কথা তুলছিস কেনো হুমম? চুপচাপ খাবার খেয়ে নে। ”
অবনির মনটা খারাপ হয়ে গেলো। অবনি নিজে নিজেই বলছে-
” ধ্যাত আজকেও জানা হলো না। ”
সন্ধ্যার দিকে বিউটিশিয়ানরা এসে অবনিকে সাজালো। পড়নে কাঁচা হলুদ রঙের শাড়ি। হাতে, গলায়, কানে মাথায় ফুলের গহনা। মুখে ভারী মেকআপ। ঠোঁটে মেরুন কালার লিপস্টিক। ডাগর ডাগর চোখে আইলাইনার, মাশকারা আর গিল্টার পেয়ে চোখ জোরা আরোও আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে। রুপা অবনিকে বলল-
” মাশাল্লাহ। ভাগ্যিস স্যার এখানে নেই। তোকে দেখলে তো অজ্ঞান হয়ে যেতো। ”
অবনি রুপাকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বলল –
” আমার কথা রেখে নিজের কথা বল। দেখে তো মনে হচ্ছে বিয়ের কনে আমি না তুই। ছেলেদের ঘুম নষ্ট করার ধান্দা তাইনা! আজকে তো সব ছেলে তোর পেছনে লাইন ধরবে৷ ”
রুপা বিরবির করে বলল-
” সবার লাইন ধরার দরকার নেই। যাকে চাই সে হলেই
হবে৷ ”
রুপাকে বিরবির করতে দেখে অবনি মাথায় টোকা দিয়ে বলল-
” কিরে কোথায় হারিয়ে গেলি। ”
অবনির কথায় রুপার হুশ ফিরে৷ রুপা থতমত খেয়ে বলল-
” ককই না কিছুনা৷ চল নিচে যেতে হবে তো তোকে৷ ”
রুপার এমন কাজে অবনি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। হলুদের অনুষ্ঠানে মেয়ের জন্য হলুদ শাড়ি আর ছেলেদের জন্য হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা পায়জামা আয়োজন করা হয়েছে।
_______________________
খান বাড়ি থেকে সবাই তৈরি হয়ে বেরিয়েছে বিদ্যুৎতের বাড়ির উদ্দেশ্যে। আরশ তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে এসে বলল-
” দাদু তোমরা সবাই তো যাচ্ছো আমাকে কেনো রেখে যাচ্ছো। আমিও একটু যাই প্লিজ । ”
” বাবাহ! এই কয়দিনেই বউয়ের জন্য এতো প্রেম? ”
” দূরর! দাদু তুমি আমার সাথে মজা কেনো করছো। ওটা তো আমার বন্ধুর বাড়ি বলো? আমি কি আমার বন্ধুর বাড়িতে যেতে পারিনা? “
” না যেতে পারো না। চুপচাপ বাসার দিকে যাও। ”
কথাটা বলে সবাই হেসে রওয়ানা দিলো৷ আরশ এদিকে মন মরা হয়ে বসে আছে।
” কি পেয়েছে কি এরা? কিছু বলছিনা বলে এইভাবে সুযোগ নিবে? এটা কেমন নিয়ম আবার যে নিজের বউকে নিজে দেখতেও পারবোনা! ”
অবনির বান্ধবীরা অবনিকে স্টেজে নিয়ে গেলো। সবাই একে একে অবনিকে হলুদ ছোঁয়ালো।
জিসান সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কি যেনো দেখছিলো খুব মনোযোগ দিয়ে।আচমকা গালে ঠান্ডা অনুভব করে ভ্রু কুঁচকে এলো। গালে হাত দিয়ে বুঝতে পারলো হলুদ। জিসান রেগে পেছনে ঘুরে –
” কি আশ্চর্য এসব….. ”
এটুকু বলে জিসান থ হয়ে রুপার দিকে চেয়ে রইলো। জিসানের ধ্যান ভাঙ্গে রুপার কথায়।
” কিরে? আমাকে কেমন লাগছে বললিনা তো! ”
” তোকে একেবারে… ”
রুপা জিসানের দিকে তাকিয়ে লাজুক ভঙ্গিতে বলল-
” আমাকে একেবারে? ”
” তোকে একেবারে রাক্ষসী রানী কটকটির মতো লাগছে। এরকম ভুতের মতো সেজেছিস কেনো? তোকে দেখলে তো একটা তেলাপোকাও ভয়ে পালিয়ে যাবে। ”
জিসানের এমন প্রশংসা শুনে রুপা রাগে কটমট করতে করতে বলল-
” তোকে তো দেখতে বলদের মতো লাগছে৷ একটা পিশাচিনীও তোকে দেখলে পালিয়ে যাবে। আমাকে কেমন লাগছে তা তোর বলার দরকার নেই হুহ। ”
কথাটা বলে রুপা পেছন ফিরতেই একটা ছেলের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে নিলে ছেলেটি তাকে ধরে ফেলে। ছেলেটা রুপার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বিরবির করে বলল-
” ইউ আর লুকিং সো গর্জিয়াস৷ ”
জিসানের হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে গেলো। জিসান অজুহাত দেখিয়ে সেখান থেকে যাওয়ার ভান করে ছেলেটিকে ধাক্কা দিলো। যার দরুন দুজন দু’দিকে চিটকে পড়লো৷
জিসান রুপাকে ক্ষেপানোর জন্য বলল-
” কিইই-রে তুই! ব্রয়লার মুরগির মতো ঠিকঠাক হাঁটতেও পারিসনা। যেখানে সেখানে ঢুলে পড়িস। ”
রুপা বুঝতে পারছে জিসান তাদের ইচ্ছে করেই ফেলে দেওয়ার জন্য ধাক্কা দিয়েছে। রুপা রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বলল-
” হারামি টেনে তোল আমাকে। ”
জিসান হাসতে হাসতে রুপার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো । রুপা আর জিসান চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালে ছেলেটি পেছন থেকে বলল-
” আমাকে এভাবে ফেলে রেখেই চলে যাবে ঝাঁসি কি রানী?”
ছেলেটার এমন কথায় রুপা একটু ইতস্ততবোধ করলো। জিসান চোয়াল শক্ত করে বলল-
” কেনো রে ভাই? নিজের পায়ে চলতে জানেন না? কেমন পুরুষ আপনি? যে উঠে দাঁড়ানোর জন্য একটা মেয়ের সাহায্য লাগবে! ”
কথাটা বলে জিসান রাগে কটমট করতে করতে রুপা হাত ধরে টেনে সেখান থেকে নিয়ে এলো।
অনুষ্ঠান শেষে সবাই নিজের রুমে চলে এলো। অবনির মনটা খারাপ হয়ে আছে। সে এতো সুন্দর করে সাজলো অথচ আরশ তো তাকে দেখতেই ফেলো না। আরশের মোবাইলে কলও দিয়েছিলো কিন্তু মেবাইল সুইচ অফ। অবনি মন মরা হয়েই ঘুমিয়ে পড়লো।ঘুমের মধ্যে অবনি গালে ঠান্ডা অনুভব করলো। কারো গরম নিশ্বাস মুখের উপর পড়তেই অবনি চোখ মেলে তাকালো৷ সামনে পুরুষ কাউকে দেখে অবনি চিৎকার করতে নিলে লোকটি তার মুখ চেপে ধরে ফিসফিস করে বলল-
” আস্তে চিৎকার করছো কেনো? সবাই জেগে যাবে তো! ”
আরশকে দেখে অবনি চমকে গেলো। অবনি যেনো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা।
” আপনি? আপনি এখানে এলেন কি করে? ”
” বারান্দা দিয়ে। ”
” বারান্দা দিয়ে! ”
অবনি কিছু ভেবে বলল-
” এই সত্যি করে বলুন তো আপনি কি বারান্দা দিয়ে আপনার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যেতেন? আমি সিনেমায় দেখেছি নায়করা নায়িকাদের সাথে দেখা করার জন্য বারান্দা দিয়ে আসে। তারমানে আপনিও! ছি ছি ছি! অথচ আপনি কি বললেন আমাকে আমি নাকি আপনার প্রথম ভালোবাসা! আমি যদি আপনার প্রথম ভালোবাসা হই তাহলে আপনি বারান্দা দিয়ে আসা যাওয়ার অভিজ্ঞতা পেলেন কিভাবে?”
অবনির এমন কথায় আরশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। আরশ দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত কন্ঠে বলল-
” শাট আপ! ইডিয়েট। আমি তোমার জন্য এতো কষ্ট করে এতোদূর আসলাম আর তুমি কি’না এখন আমাকে উল্টো পাল্টা কথা শোনাচ্ছো? এখন তো মনে হচ্ছে আমার আসাটাই উচিত হয়নি। ”
” সরি সরি সরি। আপনি রাগ করবেন না। আসলে আমি ভেবেছিলাম…. ”
” তুমি তো অনেক কিছুই ভেবে ফেলো। ”
” বলছিতো সরি। আপনি এতো কষ্ট করতে গেলেন কেনো? কল ধরলেই তো হতো! ”
” বউয়ের গায়ে হলুদ, আর আমি বর হয়ে হলুদ ছোঁয়াবো না তা কি হয়! ”
আরশের কথা শুনে অবনি লজ্জা পেয়ে গেলো। আরশ অবনিকে লজ্জা পেতে দেখে বলল-
” আরে এতো লজ্জা পাচ্ছো কেনো তুমি? বাই দ্যা ওয়ে তুমি আমাকে হলুদ ছোঁয়াবে না? ”
অবনি চমকে তাকিয়ে বলল-
” আমি তো হলুদ রাখিনি৷ আমি কি করে জানবো যে আপনি আসবেন? ”
” তাতে কি হয়েছে তোমার কাছে তো হলুদ আছেই৷ ”
কথাটা বলে আরশ অবনির গালের সাথে গাল মিশিয়ে দিলো। অবনি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললো।
” তা মিসেস ঝগড়ুটে বউ কালকে তো আমাদের বিয়ে। বলি এবার সালামটা কি পাবো নাকি আগের বারের মতো ধোঁকা খাবো? না মানে আগে থেকেই এলার্ট হতে চাইছি। ”
কথাটা শেষ হতেই দুজন একসাথে হেসে দিলো। তারপর আরশ অবনির কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বারান্দা দিয়ে পুনরায় চলে গেলো। অবনি আরশের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো।
এদিকে বিদ্যুৎ গিয়ে স্টোর রুমের দরজা খুলে দিলো। হলুদের অনুষ্ঠানে চৈতী অবনির হলুদে কেমিক্যাল মিশিয়ে ছিলো। ব্যাপারটি বিদ্যুৎ দেখে ফেলে। বিদ্যুৎ চৈতীকে ঠাসস করে গালে চড় বসিয়ে দিলো। গেস্টরা ছিলো বলে সিনক্রিয়েট না করে চৈতীকে স্টোর রুমে বন্ধি করে রাখলো। স্টোর রুমের দরজা খুলে বিদ্যুৎ চৈতীর কাছে গিয়ে বলল-
” তোর সাহস দেখে অবাক না হয়ে পারছিনা। তুই বোনুর হলুদে কেমিক্যাল মিশিয়ে ছিলি? তোকে আমি লাস্ট বারের মতো ওয়ার্ন করছি ভুলেও যদি বোনুর কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করিস এর ফল কিন্তু মোটেও ভালো হবেনা। বি কেয়ার ফুল। ”
_______________________
বধু সেজে বসে আছে অবনি। সারা বাড়িতে আনন্দে হৈ হুল্লোড়। আয়নাতে নিজেই নিজেকে দেখে ক্রাশ খেয়ে গেছে অবনি। রুপা রুমে ঢুকে অবনির কাঁধে হাত রেখে বলল-
” কি ব্যাপার অবনি? তোর বিয়ে অথচ তোর চোখে কোনো পানিই নেই! দ্যাটস নট ফেয়ার৷ তুই বিয়ে করে শশুর বাড়ি যাচ্ছিস যেখানে আমায় ধরে ডুকরে কেঁদে উঠবি তা না করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সাজ দেখছিস আর হাসছিস! এটা কি ঠিক তুই-ই বল? ”
অবনি পেছন ঘুরে রুপাকে উদ্দেশ্য করে বলল-
” ২৫০০০ টাকা দিয়ে মেকআপ করছি কি কান্দার লাইগা নাকি ধ্যাত! ”
#চলবে…..
(( ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গঠনমূলক মন্তব্য চাই কিন্তু 💞))