#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#সারপ্রাইজ_পার্ট
🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ
রুপা চলে আসার পর অবনি বসে বসে ভাবছে কিভাবে আরশকে কথাটা জানাবে।
.
আরশ অবনি খাবার টেবিলে বসে আছে। অবনি আরশকে খাবার সার্ভ করে নিজে খাবার না নিয়ে আচারের বোয়াম নিয়ে বসেছে৷ আর আরশকে দেখিয়ে দেখিয়ে আচার খাচ্ছে।
ব্যাপারটি আরশ লক্ষ্য করলো।
অবনি খাবার না নিয়ে আচার নিয়ে বসায় আরশ আশ্চর্য হয়ে বলল-
” তুমি খাবার না নিয়ে আচার নিয়ে বসলে কেনো? এখন কি আচার খাওয়ার সময়? তুমি তো আচার খুব একটা পছন্দ করোনা তো হঠাৎ কি হলো? শরীর ঠিক আছে তো তোমার? ”
.
অবনি তো মনে মনে খুশি হয়ে গেলো। তার প্ল্যান কাজে দিচ্ছে৷ অবনি বলল-
” আমার এখন আচারই খেতে ইচ্ছে করছে। তাছাড়া এই সময় সবারই আচার খেতে ইচ্ছে করে। ”
” হোয়াট? মাথা কি পুরোপুরি খারাপ হয়ে গেছে তোমার? ভাত খাওয়ার সময় কারো আচার খেতে ইচ্ছে করে? আবার বলছো এই সময় সবারই আচার খেতে ইচ্ছে করে! কই আমার তো এসব আচার টাচার খেতে ইচ্ছে করছে না! ”
আরশের কথায় অবনি ভ্যবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।
অবনি মনে মনে বলছে-
” কি বলদ মার্কা লোকরে বাবা! মাথায় তো দেখছি বিন্দু মাত্র বুদ্ধিও নেই! ”
অবনি দাঁতে দাঁত চেপে বলল-
” আপনার ইচ্ছে দিয়ে আমি কি করবো হুমম। আমার ইচ্ছে করছে তাই আমি খাবো। আপনি আপনার খাবার খান না! আমি আপনার প্লেট আটকে রেখেছি নাকি? ”
আরশ অবনির থেকে আচারের বোয়ামটা কেড়ে নিয়ে বলল-
” এখন ভাত খাবার টাইমে এসব আচার খাওয়ার দরকার নেই৷ ”
অবনি আরশের থেকে আচারের বোয়ামটা নেওয়ার চেষ্টা করছে আর বলছে-
” এদিকে দিন বলছি। আমি ভাত খাবো না বলছি তো৷ ”
” আমি যখন বলেছি তুমি এখন আচার পাবে না তখন পাবেই না। অযথা নেওয়ার চেষ্টা
চালিও না। ”
অবনি গাল ফুলিয়ে টেবিলে বসে রইলো। আরশ অবনির মুখের সামনে ভাত তুলে ধরলো। কিন্তু অবনি রাগ দেখিয়ে ভাত মুখে তুলছে না দেখে আরশ অবনির গাল টিপে ধরে মুখের ভেতর ভাত পুড়ে দিলো। অবনির আবারও বমি ফেলো।
অবনি বমি করায় আরশ রাগ দেখিয়ে বলল-
” খাওয়া দাওয়া অনিয়ম করে শরীরের কি হাল করেছো দেখেছো? ভাত খাওয়ার সময় আচার নিয়ে বসলে কেনো? এখন দেখছো তো খালি পেটে বমি আসছে। ”
” চুপ করবেন আপনি? এই সময় সবারই বমি পায়। ”
” এই তোমার সমস্যা কি বলো তো৷ তখন থেকে এই সময় এই সময় করছো। নিজে যতোসব উদ্ভট আচরণ করছো আর এসব ভুলভাল কথা বলে যাচ্ছ? আমি ডক্টর আঙ্কেল কে কল দিয়ে বলবো বিকেলে যেনো আসে। এখন তুমি রেস্ট নাও। আমি তোমার জন্য স্যুপ বানিয়ে আনছি। ”
” কি যাতা বলছেন। ডক্টর ডাকার প্রয়োজন নেই। আমি ঠিক আছি। ”
” চুপ! একদম চুপ। কীরকম ঠিক আছো তা তো দেখতেই পাচ্ছি। চলো এখন রেস্ট নিবে। ”
আরশ অবনিকে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিলো।
.
আরশ যেতেই অবনি শোয়া থেকে উঠে বসলো। অবনি নিজে নিজেই বলছে-
” ধ্যাত! এই লোক তো পুরোই বুদ্ধু। মাথায় তো একটুও বুদ্ধি নেই। কি করে উনাকে বোঝাবো উনি বাবা হতে চলেছে৷ ”
হঠাৎ অবনির মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। অবনি খুশিতে ফুরফুরে হয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল-
” ইয়েস। উপায় পেয়ে গেছি। এটা নিশ্চয়ই কাজে দিবে। ”
অবনি কাবার্ড থেকে বেবিদের ছবি নিয়ে চেয়ারের উপর দাঁড়িয়ে দেয়ালের সাথে ছবি লাগাচ্ছে। তখনই আরশ পেছন থেকে বলল-
” কি করছো তুমি ওখানে। ”
আচমকা কথার আওয়াজে অবনি চেয়ার থেকে পা ফসকে নিচে পড়ে যেতে নিলে আরশ অবনিকে ধরে ফেললো। সাথে ছবিটাও বিছানার উপর পড়ে গেলো।
.
আরশ এবার ভ্রু কুঁচকে রাগ দেখিয়ে অবনিকে ধমকের সুরে বলল-
” এই তোমার সমস্যা কি হ্যাঁ? কি শুরু করেছো তুমি? এখনি তো কতো বড় এক্সিডেন্ট হতে পারতো। কোমড় ভাঙ্গার শখ জেগেছে দেখছি তোমার। ইস্টুপিট একটা। ”
আরশের ধমকে অবনির মুখটা চুপসে গেলো। কিন্তু নিজেও অনুতপ্ত হয়ে আছে। সত্যিই তো যদি আরশ না ধরে ফেলতো তখন কি হতো।
” আম সরি। আমি তো ওই ছবিটা লাগাতে…. ”
” শাট আপ! ইডিয়ট। বিন্দুমাত্র কমনসেন্সে নেই তোমার? আমি তোমাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে বলেছিলাম। আর তুমি কি করছিলে আমি যেতে না যেতেই তিড়িং বিরিং শুরু করে দিলে? তুমি চুপচাপ খেয়ে নিবে বসো। ”
” কিন্তু আমার কথা তো শু….”
আরশ অবনির ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে বলল-
” বলেছি না আর কোনো কথা নয়। চুপচাপ খাবে আসো।”
আরশ অবনিকে স্যুপ খাইয়ে দিলো।
.
অবনি জামাকাপড় গুছিয়ে রাখছে আর গাল ফুলিয়ে রেখেছে। সাথে আরশের উপর রাগও জন্মেছে।
” আপনি যখন শুনতেই চান না তাহলে আমিও আর আপনাকে জানাবোনা হুহ। ”
কথাটা বলে অবনি আবারও জামা কাপড় গুছানোয় মনোযোগ দিলো। আরশ ফ্রেশ হয়ে ড্রেসিন টেবিলের সামনে দাঁড়াতেই তার চোখে পড়লো মেডিকেল রিপোর্টের উপর। আরশ রিপোর্টটি হাতে নিয়ে দেখতেই অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেলো। আরশ যেনো বিশ্বাসই করতে পারছেনা। আরশের চোখে মুখে খুশির চাপ স্পষ্ট।
আরশ রিপোর্টটি ড্রেসিন টেবিলের উপর রেখে দ্রুত অবনির কাছে গিয়ে অবনির বাহু টেনে নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে বলল-
” অবনি আমি যা দেখলাম তা কি সত্যি? তুমি কি এটাই আমাকে বারবার হিং দিতে চেয়েছিলে যে আমি বাবা হতে চলেছি? ”
অবনি উপর নিচ একবার মাথা নেড়ে বলল-
” যাক বাবা! অবশেষে বুঝতে পেরেছেন তাহলে। ”
” অবনি তুমি আর আমি বাবা মা হতে চলেছি? আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না। সব কেমন স্বপ্ন স্বপ্ন লাগছে। তুমি আমাকে একটা চিমটি কাটো তো। ”
অবনি সত্যি সত্যি আরশের হাতে জোরে চিমটি বসিয়ে দিলো।
” আউচ। ”
অবনি হেসে বলল-
” এবার বিশ্বাস হলো মিস্টার আরশ খান যে আপনি সত্যিই বাবা হতে চলেছেন। ”
আরশ হুলস্থুল হয়ে বলল-
” অবনি তোমার কি লাগবে বলো? তুমি কি খাবে? এই সময় কি খেতে হয়? কি পড়তে হয়? কি কি মেইনটেইন করতে হয়? আমাকে সব জানতে হবে। আর শোনো তুমি এখন রেস্ট নিবে। একদম স্ট্রেস নিবে না। রাত জাগবে না। বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবে। বেশি হাঁটাচলা করবেনা। আর বেশি বেশি রেস্ট নিবে আর ….. ”
আরশ একনাগাড়ে কথাগুলো বলছে। অবনি আহাম্মকের মতো তাকিয়ে আছে। অবনি এবার আরশকে থামিয়ে বলল-
” ব্যাস ব্যাস থামুন এবার। আপনি যদি আমায় এতো রেস্ট্রিকশের মধ্যে রাখেন তাহলে তো আমি দমবন্ধ হয়ে মরেই যাবো। ”
” অবনি তুমি ভাবতেও পারছোনা আমি কতোটা খুশি হয়েছি। ”
কথাটা বলে আরশ অবনিকে কোলে তুলে ঘুরাতে শুরু করলো।
” আরে আরে কি করছেন নামান আমাকে। আরে নামান। ইউ কান্ট ডু দিস। ”
আরশের হুশ ফিরতেই অবনিকে কোল থেকে নামিয়ে বলল-
” সরি সরি সরি। আমার উচিত হয়নি। তুমি চেয়ারে বসো।”
আরশ অবনিকে চেয়ারে বসিয়ে দিলো। আরশ অবনির কাছে হাঁটু গেড়ে বসে বলল-
” অবনি তুমি আজ আমাকে আমার জীবনের বেষ্ট গিপ্ট দিয়েছো। আমি কতোটা হ্যাপি আমি জাস্ট তোমাকে বলে বোঝাতে পারবোনা। ”
আরশ অবনি দুজনের চোখ থেকেই পানি গড়িয়ে পরলো। আরশ অবনির চোখের পানি মুছে বলল-
” একদম কাঁদবেনা। আমরা দুজন মিলে আমাদের সন্তানকে আগলে রাখবো। ”
_______________
আরশ খান বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে গেলো। খান বাড়ি জুড়ে হৈ হুল্লোড় পড়ে গেছে। সকলের মুখে হাসি আনন্দ বিরাজমান। বাড়ির প্রত্যেকে মিলে এক মুহূর্তও দেরি না করে বেরিয়ে পড়লো অবনিদের বাড়ির উদ্দেশ্যে। অবনিকে বাড়ি ফিরে আসতে রাজি করানোর জন্য। অবনি এবার আর না করলোনা। কারন অবনি চায়না তার বেবি সকলের আদর থেকে বঞ্চিত হোক। মানুষ মাত্রই ভুল হয় তাই বলে কেউ যদি বারবার নিজের ভুলটা স্বীকার করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। অবশ্য অবনি সকলকে আরো আগেই ক্ষমা করে দিয়েছিলো কিন্তু নিজের আত্মসম্মানবোধ আর বিবেকবোধ তার খান বাড়িতে ফেরার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। তবে আজ আর অবনি না করলো না। এরকম একটা আনন্দের মুহূর্ত সকলের সাথে ভাগ করে নিলেই আনন্দটা পরিপূর্ণ হয়।
তবে প্রিয়া খান সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজ অবনিকে বাড়ি নিবে না। একেবারে কালকে নিবে। তিনি চায় তার নাতীর আগমনে বাড়িতে ছোটখাটো অনুষ্ঠান হোক। নাতী আর পুত্রবধুকে একসাথে বরন করে ঘরে তুলবেন।
.
পরদিন পুরো খান বাড়িকে নতুন আলোয় সজ্জিত করেছে। একেবারে অন্যরকম সাজে সাজিয়ে তুলেছে বাড়িটিকে। সকলেই নানান রকম কাজে ব্যস্ত। বাড়িটি যেনো কতোদিন পর প্রান ফিরে পেয়েছে। একটি ফুল সাজানো গাড়ি করে অবনিকে আনা হলো। খান ভবনের সামনের সুইমিংপুল মোমবাতির আলোয় আলোকিত হয়ে আছে৷ সাথে গোলাপের পাপড়ি চরানো। পুরো বাড়ি লাইটিং করা। আরশ অবনিকে ধরে গাড়ি থেকে নামালো। আস্তে আস্তে হাঁটিয়ে আনছে। বাড়ির সকলে এমন ভাব করছে যেনো অবনি শিশু বাচ্চা। নতুন করে হাঁটতে শিখাচ্ছে তাকে। সকলের এরকম হুলস্থুল দেখে অবনি হাসবে না কাঁদবে সেটাই ভেবে পাচ্ছে না।
.
প্রিয়া খান অবনিকে বরন করে ঘরে তুললো। মেহমানরা অবনিকে দোয়া করে দিলো। সাথে নানান জনে নানান জিনিস উপহারও দিলো। রুপকথা আর তার বাবাও এসেছে অনুষ্ঠানে। তারাও অবনিকে ডায়মন্ডের জুয়েলারি উপহার দিলো।
অবশেষে খাওয়া দাওয়া শেষে সকল মেহমানকে বিদায় দিয়ে অবনি নিজের রুমে গেলো। সাথে আরশও রয়েছে। আরশ তো এক মুহূর্তও অবনিকে চোখের আড়াল করছেনা।
আরশের ভয় হয় অবনি এমনিতেই কেয়ারলেস। পরে যদি কোনো বিপদ বাঁধিয়ে বসে।
রুমে এসে অবনি পুরোই অবাক। বেডের দুই পাশে ছোট বাচ্চাদের দুটি দোলনা। দোলনাগুলো লাল গোলাপ দিয়ে সাজানো। সাথে লাভ বেলুনও রয়েছে। পুরো রুমে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিছানার বরাবর দেওয়ালের উপর দুটো ছোট বাচ্চার ছবি। অবনি বিস্মিত হয়ে বলল-
” দুটো দোলনা, দুটো বাচ্চার ছবি একসাথে কেনো? ”
আরশ অবনির কাঁধে হাত রেখে বলল-
” কারন তুমি একটা ঝগড়ুটে বউ। আমি যদি বলি আমাদের মেয়ে বাবু হোক তুমি বলবে আমাদের ছেলে বাবু চাই। তাই আমি চাই আমাদের টুইনস বেবি হোক। একটা মেয়ে বাবু আর একটা ছেলে বাবু। ”
অবনি মুখ ভেংচি কেটে বলল-
” এমন ভাবে বলছেন যেনো সত্যিই আমাদের টুইনস বেবি হবে। ”
” দেখবে আমাদের টুইনস বেবিই হবে। ”
আরশ অবনিকে বিছানায় শুইয়ে ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হতে গিয়েছে।
অবনি শোয়া থেকে উঠে রুমের প্রতিটি জিনিস অবনি ছুঁয়ে দেখছে। কতোটা দিন পর আবার এই বাড়িতে পা রেখেছে সে বিশেষ করে এই রুমটাতে।
অবশ্য এ বাড়িতে থাকাকালীন সময়েই তো এই রুমে তারজন্য তালা পড়েছিলো।
কথাটা ভাবতেই অবনির মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে উঠলো। চোখ দিয়ে নিজের অজান্তেই পানি গড়িয়ে পড়েছে অবনির। পরক্ষণেই পানি মুছে নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করলো অবনি।
পুরোনো কথা যতো ভুলে থাকা সম্ভব ততোই মঙ্গল। পিছনের দিনের কথা মনে রাখলে দুঃখ কখনো কপাল থেকে যায়না৷
.
অবনি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। দূর আকাশের চাঁদের দিকে চোখ স্থির রেখে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। বাবার কথা খুব মনে পড়ছে অবনির।
আজ যদি বাবা বেঁচে থাকতো তাহলে হয়তো আজকের দিনটা আরেকটু বেশিই আনন্দের হতো।
অথচ কতো অল্প বয়সেই বাবা মা দুজনকে হারিয়ে ফেলল। অবনির বাবা মা বেঁচে থাকলে তো তার জীবনটাও চাঁদের মতো উজ্জ্বল থাকতো। বাবার কথা আজ খুব মনে পড়ছে অবনির সাথে মায়ের কথাও। যখন তার মা তার আগমনের সংবাদ পেয়েছিলো তখন নিশ্চয়ই তার বাবা মায়ের মনেও আনন্দের আবাস নেমে এসেছিলো। আর একটা ঠুনকো হাওয়া সব এলোমেলো হয়ে গেলো।
.
আরশ ওয়াশরুম থেকে শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে। চুলের পানি মুছতে মুছতে বিছানায় চোখ যেতেই দেখলো অবনি নেই।
#চলবে
( ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গঠন মূলক মন্তব্য চাই। )
আমার গ্রুপ : https://facebook.com/groups/834251051795835/