#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#পর্ব : ৪
🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ ~
“ এই আপনি আমাকে এভাবে অপমান করছেন কেনো? নিজেই আমাকে বিছানায় ঘুমাতে বললেন। এখন আবার নিজেই কথা শোনাচ্ছেন!”
“ তোমাকে বিছানায় ঘুমাতে বলেছিলাম। সারা বিছানায় হাত পা ছড়াছড়ি করতে বলিনি। এতোকথা না বলে তোলো আমায়। ”
আরশ উঠে দাঁড়িয়ে বালিশটা হাতে নিলো।
“ কি ব্যপার আপনি বালিশ হাতে নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? সিনেমায় তো দেখেছিলাম নাইকারা বিছানা ছেড়ে সোফাতে ঘুমায় এবার কি আপনি বিজনেস ছেড়ে ইউনিক টাইপের সিনেমা আবিষ্কার করতে চাইছেন
নাকি! ”
“ তোমার মতো মেয়ে যদি বউ হয়ে আসে তাহলে সব কিছুই ইউনিক হবে। তোমার মতো ইস্টুপিটের সাথে এক বিছানায় ঘুমানো জাস্ট ইম্পসিবল। ”
তারপর আরশ সোফায় শুয়ে পড়লো। অবনি মুখ ভেংচি কে’টে আবারও শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ পর বাঁধলো আরেক বিপত্তি। শুরু হয়ে গেলো অবনির ভুবন কাঁপানো নাক ডাকা। আরশ মাত্রই একটু শান্তিতে ঘুমাবে বলে শুয়েছিলো কিন্তু অবনির নাক ডাকার আওয়াজ যেনো তার কান ভেদ করে ব্রেনে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। আরশ কানে বালিশ চে’পে ধরলো তাও লাভ হলো না। হাত দিয়ে কান চে’পে ধরলো তাতেও যখন লাভ হলো না আরশ এবার শোয়া থেকে উঠে বসলো।
“ ইয়া মাবুদ, এ তুমি আমাকে কোন বিপদের মধ্যে ফেলে দিলে!”
আরশ বিছানার দিকে এগিয়ে গেলো। আরশের ইচ্ছে করছে অবনির গলা টি’পে সারাজীবনের মতো নাক ডাকা বন্ধ করে দিতে। তা না পেরে আরশ অবনির নাক টি’পে ধরলো। শ্বাস নিতে না পেরে অবনি ” কে কে ” বলে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলো। চোখ মেলে আরশকে দেখে ভরকে গেল।
“ ওমা গো কে আছো গো, আমাকে বাঁচাও । এই রাক্ষসটা আমায় মেরে ফেললো গো। কে কোথায়…..”
আর কিছু বলার আগেই আরশ অবনির মুখ চে’পে ধরলো। অবনিকে এরকম চেঁচাতে দেখে আরশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো।
“ এই মেয়ে সমস্যা কি তোমার? এরকম ষাঁড়ের মতো চেঁচাচ্ছো কেনো? সবাই কি তোমার জন্য আমার মতো রাতে না ঘুমিয়ে জেগে থাকবে নাকি! আর একটা সাউন্ড করলে কোলে তুলে ছাদে নিয়ে ধপ করে নিচে ফেলে দিবো মাইন্ড ইট। ”
অবনি আরশের কথা শুনে চোখ বড় বড় করে ‘ উমম উমম ‘ করছে। আরশ ব্যপারটা লক্ষ্য করতেই হাতটা সরিয়ে নিলো। হাত সরাতেই অবনি বললো-
“ কি বলতে চাইছেন আপনি? আপনি আমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলবেন আর আমি চুপচাপ দেখবো! আপনি জঘন্য জানতাম। কিন্তু এতোটা জঘন্য সেটা জানতাম না। ভাগ্যিস আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিলো। না হলে তো আগামী কাল ব্রেকিং নিউজ আসতো স্ত্রী হত্যার দায়ে বাংলাদেশের টপ বিজনেসম্যান আরশ খান কে গ্রেপতার করা হলো। তারপর জেল, ফাঁ…..”
“ স্টপ,, জাস্ট স্টপ দিস ননসেন্স। মিনিমাম কনমসেন্সটুকু নেই তোমার? আমার কি কাজ নেই নাকি যে তোমার মতো একটা অপদার্থকে খু’ন করতে যাবো। ”
“ তাহলে এভাবে আমার নাক টি’পে ধরলেন কেনো?”
“ তোমার ভুবন কাঁপানো নাক ডাকার আওয়াজ বন্ধ করার জন্য। বাবা রে বাবা! যেইভাবে ট্যাক্টর মেশিনের মতো নাক ডাকা শুরু করেছো নাক ডাকার কোনো কম্পিটিশন থাকলে তুমি শিওর ফ্রাস্ট হতে। ”
“ ছি ছি ছি! এতো বড় অপবাদ আপনি আমাকে দিতে পারলেন? শেষ পর্যন্ত কোনো কিছু নিয়ে না পেয়ে এবার নাক ডাকার ইস্যু খুঁজে বের করলেন! আপনার কি মনে হয় আমি নাক ডাকলে আমি শুনতে পেতাম না? আমি সর্বোচ্চ একটু জোরে জোরে শ্বাস নিই। আপনি কি চাইছেন বলুন তো? আমি কি আপনার জন্য শান্তিতে নিঃশ্বাস-টুকু নিতে পারবোনা? ”
“ নাহ, তা কেনো পারবেনা। আমাকে জ্বালাতেই তো আমার ঘাড়ে চেপে বসেছো। ইচ্ছে করছে দাদুকে ডেকে বলি তোমার গুণবতী নাতবৌ এর গুনের বাহারে আমি শান্তিতে ঘুমাতেও পারছিনা। শুরুতে বিছানা দখন করেছো। এবার রুমটাও দখল করতে চাইছো! থাকো তুমি রুমের মধ্যে যতো খুশি নাক ডাকো, হাত পা ছড়াছড়ি করো আমি গেলাম। ”
কথাটা বলে আরশ দরজার ছিটকিনি খুলে বাইরে যাবে কিন্তু সেখানেও আরেক সমস্যা৷ তার সয়তান বন্ধুগুলো বাইরে থেকে দরজা লক করে দিয়েছে। আরশের এবার নিজের মাথায় নিজে বারি মারতে ইচ্ছে করছে।
“ ইয়া মাবুদ তুমি আমায় এই কোন ঝামেলায় ফেললে। ”
আরশকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অবনি বললো-
“ কি হলো! এখনো দাঁড়িয়ে আছেন কেনো? নিজেকে খুব চালাক ভাবেন আপনি তাইনা? কি ভেবেছিলেন আপনি রুম থেকে চলে যাচ্ছেন শুনে আমি বলবো ওগো নাগো তুমি যেও না। আমি তোমার স্ত্রী, রুম থেকে যদি যেতেই হয় তাহলে আমিই চলে যাচ্ছি। আপনি যদি আমার থেকে এরকম কিছু আশা করে থাকেন তাহলে সেই আশাকে পদ্মাসেতুতে টুস করে ফেলে আসুন। কারন এরকম কিছুই হবে না। ”
অবনির কথায় আরশের মেজাজটা আরোও বিগড়ে গেলো।
“ এই তুমি থামবে? আমার ধৈর্য্যের সীমা ছাড়িও না বলে দিলাম। আমি রেগে গেলে ঠিক কি হতে পারে তুমি ভাবতেও পারছোনা। তোমার মতো মেয়ের কাছে আমি এমনটা দুঃস্বপ্নেও আশা করি না ওকে? নেহাৎ বাইরে থেকে দরজা লক করা তাই বের হতে পারছিনা। সয়তান বন্ধুগুলো বাহির থেকেই দরজা লক করে দিয়েছে। ”
“ বাই এনি চান্স আপনি আবার তাদের শিখিয়ে দেননি তো বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করতে!”
অবনির কথায় আরশ রাগী দৃষ্টিতে তাকাতেই অবনি চুপ হয়ে যায়। কারন অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। পরে যদি আরশ সত্যিই রেগে যায়? তাহলে তার রক্ষে থাকবে না। আরশ একটা কোল বালিশ নিয়ে বিছানার মাঝে রেখে অবনির দিকে আঙ্গুল তুলে বললো-
“ যথেষ্ট সহ্য করেছি আর না। এবার যতক্ষণ পর্যন্ত আমার ঘুম না আসবে ততক্ষণ তুমি জেগে থাকবে। যদি আমার ঘুমে বিন্দুমাত্র ডিস্টার্ব হয় তুমি ভাবতেও পারছোনা তোমার জন্য কতো বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে। আর মাঝে দিয়ে কোল বালিশ দিয়ে দিলাম এপাশটা আমার আর ওইপাশটা তোমার। সীমানা অতিক্রম করে যদি এক ইঞ্চিও এদিকে এসেছো আমি কিন্তু তোমাকে ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দিবো মাইন্ড ইট৷ ”
কথাটা বলে আরশ শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ পর অবনি বললো-
“ মিস্টার খান আপনি কি জেগে আছেন? ”
আরশের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে অবনি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো-
“ শা’লা কি পেয়েছিসটা কি হ্যাঁ? আমাকে কি এখনো নিজের কর্মচারি ভাবিস?অফিসের মতো বাড়িতেও নিজেকে বস ভাবা শুরু করেছিস? এটা কি তোর অফিস নাকি হ্যাঁ? নেহাৎ আজ দয়া করে ছেড়ে দিলাম! নেক্সট টাইম দেখিস আমার সাথে বসগিরি করতে আসলে তোর কি হাল করি৷ অবনি কি জিনিস হারে হারে বোঝাবো তোকে। তোর এসব বসগিরি অফিসে দেখাবি বাড়িতে নয়। ”
কথাটা বলে শোয়ার জন্য পেছন ফিরতেই অবনি চমকে উঠলো। কারন আরশ তার দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে।
“ এএএকি আআআপনি! আপনি না ঘুমাচ্ছিলেন! ঘুম ভাঙ্গলো কিভাবে? কোনো স্বপ্ন টপ্ন দেখছিলেন নাকি? ”
“ ঘুমাতে পাড়লে তো স্বপ্নটা দেখবো! আর এতো রাতে তোমার সাথে তর্ক করার কোনো মোড নেই আমার। তোমাকে তো আমি পড়ে দেখে নিবো অসভ্য মেয়ে কোথাকার। ”
কথাটা বলে আরশ পেছন ঘুরে ঘুমিয়ে পড়লো। অবনি নিজের বুকে থু থু দিয়ে মনে মনে বললো-
“ যাক বাবা এই যাত্রায় বেঁচে গেছি। ”
সকাল বেলা অবনি চোখ মেলে দেখলো তাদের মাঝে কোল বালিশটা নিচে পড়ে আছে সে আরশের বুকের উপর মাথা দিয়ে রেখেছে। অবনি দ্রুত চিটকে সড়ে এলো।
” বাপরে বাপ! এখন যদি খাড়ুস টা দেখতো আমি তার বুকে মাথা রেখেছি নিশ্চয়ই মাথা গর্দান করতো।” অবনি আরশের দিকে তাকিয়ে বললো-
“ কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছে। ইশশ দেখে তো মনে হচ্ছে বাচ্চা একটা ছেলে। কে দেখলে বলবে এই নিষ্পাপ চেহারার আড়ালে সয়তান লুকিয়ে আছে! যদি বজ্জাত লোকটা সব সময় এরকম শান্ত থাকতো কতো সুন্দর লাগতো। ইচ্ছে করছে এই নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকিয়েই থাকি। ”
তারপর অবনির মাথায় আবার দুষ্টু বুদ্ধি এলো-
“ নো নো অবনি বাই এনি চান্স তুই কি এই বজ্জাত বসের প্রেমে পড়ছিস নাকি? না না একদম না। দরকার পড়লে পদ্মাসেতু তে ঝাঁপিয়ে পড় তারপরও এই বেয়াদবটার প্রেমে পড়িস না। আমার ঘুম হারাম করে নিজে শান্তিতে ঘুমানো হচ্ছে তাইনা? চান্দু দেখো এবার আমি কিভাবে তোমার আরামের ঘুমটা হারাম করি। ”
অবনি এক মগ পানি এনে আরশের গায়ে ঢেলে দিলো। আচমকা পানি পড়াতে আরশ হন্তদন্ত হয়ে লাফিয়ে উঠলো।
“ দাদুউউউ ছাদ ফোঁটা হলো কি করে? ”
আরশের অবস্থা দেখে অবনি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি৷ অবনির হাতে মগ দেখে আরশের আর বুঝতে বাকি রইলোনা পানিটা অবনিই ঢেলেছিলো। আরশ রাগী দৃষ্টিতে অবনির দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে হন হন করে ওয়াশরুমে গেলো। আরশের এমন কাজে অবনির হাসি যেনো আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর আরশ ওয়াশরুমে গিয়ে এক বালতি পানি এনে অবনির গায়ে ঢেলে দিয়ে অবনিকে পুরো কাক ভেজা করে দিলো৷ এবার আরশ হাসতে হাসতে বললো-
“ কি হলো মেডাম? খুব হাসি পাচ্ছে তাইনা? এবার হাসছো না কেনো হাসো! তুমি তো আমার অর্ধাঙ্গিনি বলে কথা। আমি ভিজবো আর তুমি হাসবে তাতো হতে পারেনা তারচেয়ে বরং দুজন একসাথে হাসি। ”
আরশের হাসি দেখে অবনির রাগে গা জ্বলে উঠলো। অবনি রাগে ফোঁস ফোঁস করতে করতে বললো-
“ এটা কি করলেন আপনি? আমার গায়ে পানি ঢেলে দিলেন কেনো? ”
“ কেনো! পানি ঢালা তো খুব মজা তাইনা! তাই আমিও একটু অংশীদার হলাম৷ ”
“ আপনি বেলা করে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিলেন তাই তো আমি আপনার ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য পানি ঢেলে ছিলাম। আপনি কেনো আমাকে কাক ভেজা করে দিলেন? ”
“ আমি কি তোমাকে বলেছিলাম আমাকে সকালবেলা জাগিয়ে দিও? নিজেকে খুব চালাক মনে করো তাইনা? তুৃমি নিজেকে যতোটা চালাক ভাবো ততোটা চালাক তুমি নও। চালাকি করতেও মিনিমাম নলেজ থাকা প্রয়োজন যেটা তোমার নেই। শুধু শুধু বেকার আমার পেছনে লাগতে এসো না৷ আমার পেছনে যতোবারই লাগতে আসবে ততোবারই এরকম ফল হবে। ”
কথাটা বলে আরশ রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। অবনি নিজে নিজে বলছে-
“ আমার বুদ্ধি নেই তাই না? বুদ্ধি নেই তো কি হয়েছে সয়তানি বুদ্ধি তো আছে। আপনাকে যদি আমি নাকানি-চুবানি না খাইয়েছি তো আমার নামও অবনিকা অবন্তী নয় হুহ! ”
কথাটা বলে অবনি চেঞ্জ করতে গেলো। ফ্রেশ হয়ে অবনি বাইরের দিকে পা রাখলো সিঁড়ির পাশের রুমটা আরশের বাবা মায়ের। অবনি ওদিকটায় যাচ্ছিলো হঠাৎ অবনির পায়ের সামনে ফুলের টবের ভাঙ্গা অংশ পড়লো। মনে হচ্ছে কেউ ছুঁড়ে মেরেছে। অবনি যেদিক থেকে টব’টা এলো সেদিক অনুসরণ করে পা বাড়ালো। গিয়ে যা শুনলো তাতে অবনি ভরকে গেলো। অবনি আড়িঁ পেতে শুনছে –
ভেতর থেকে একটি মেয়ে বলছে-
“ নো নো নো! আমি এটা কিছুতেই মানতে পারছিনা খালামনি। তুমি কি করে এটা হতে দিলে? তুমি বিয়েটা কোনো ভাবে আটকাতে পারলেনা? শুধুমাত্র তোমার উপর ভরসা করে আমি বিদেশে পড়তে গিয়েছিলাম আর তুমি কিনা আমার আরশকে অন্য একটা মেয়ের জীবন সঙ্গী করে দিলে?তাও আবার একটা মিডেল ক্লাসের মেয়েকে খান বাড়ির বউ করে নিয়ে এলে! ”
“ আরে আমি কি চেয়েছি নাকি! তুই তো জানিস ওই জাহানারা খান আমার স্বামী আর ছেলেটাকে নিজের হাতের পুতুল বানিয়ে রেখেছে। আমি তোর কথা বলেছিলাম কিন্তু ওই জাহানারা খান কিছুতেই তোর সাথে বিয়ে দিতে মত দেয়নি। শান্ত হ মা, আমায় ভুল বুঝিস না। আমি কম চেষ্টা করিনি। ”
“ শান্ত হবো! ইম্পসিবল। আমার ভালোবাসার মানুষটি অন্য একজনের ঘরে সংসার করবে আর আমি তা হতে দিবো বলে তোমার মনে হয়? ওই বুড়িটাকে তো আমি সেদিনই গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলতে চাইছিলাম। একটা মানুষের ভাগ্য কতোটা ভালো হলে এরকম জমের মুখ থেকে ফিরে আসে!”
“ আরে এমনি এমনি তো ফিরে আসেনি। ওই থার্ডক্লাস মেয়েটাই তো জমের মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে বুড়িটাকে। সেদিন যদি বুড়িটা মরতো তাহলে আজ এই খান ভাবনের মালকিন হতাম আমি। সবকিছু হতো আমার নির্দেশে। ”
“ চিন্তা করোনা খলা মনি আমি যখন একবার এসে গেছি সবকিছু আমিই বুঝে নিবো। ছোটবেলা থেকে আমি যা চেয়েছি তাই পেয়েছি আর নাহলে ছিনিয়ে নিয়েছি৷ আরশ কেও আমি ঠিক চিনিয়ে নিবো। তুমি শুধু দেখো আমি কি করি। ওই মিডেল ক্লাস মেয়েকে আমি সবার সামনে ছোট করে আরশকে বুঝিয়ে দিবো ওই মেয়েটা নয় আমিই তার ওয়াইফ হওয়ার উপযুক্ত হাহাহা করে সয়তানি হাসি দিলো চৈতী। ”
চৈতী প্রিয়া খানের একমাত্র বোনের একমাত্র মেয়ে। চৈতীর জন্মের সময় তার মা মারা যায়। বাবা আরেক বিয়ে করে। প্রিয়া খান চৈতীকে নিজের কাছে নিয়ে আসে তার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আরশের সামনে সামনে চৈতী থাকবে আর চৈতীকেই নিজের পুত্রবধু বানাবে কিন্তু তার সেই আাশায় জল ঢেলে দিলো জাহানারা খান। তিনি বলে দিয়েছেন খান ভবনের ঐতিহ্য ভেঙ্গে তাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে বলে এই নয় যে চিরদিনের জন্য খান বাড়ির ঐতিহ্য মুছে যাবে। আত্নীয়ের মধ্যে আত্নীয়তা খান বাড়ির নিয়ম নয়। মূলত জাহানারা খানের এমনিও চৈতীকে পছন্দ ছিলো না। তার আচার-আচরণ ছিলো উশৃংখল টাইপের।
এতোক্ষণ তাদের দুজনের সব কথাই শুনলো অবনি ওদের কথা শুনে অবনি বলছে-
“ আরে বাহ! আমার শাশুড়ী মা তো দেখছি রিনা খানের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়! নামেও বেশ মিল রয়েছে খান আর খান। এক খান দেখলাম টিভিতে আর আরেক খান আমার সংসারে! আর ওই ডাইনিটার শখ দেখে তো পিত্তি জ্বলে যায়। শখ কতো আমার বরকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিবি। যতোই ওই বজ্জাত বসকে না দেখতে পারি তাই বলেকি নিজের স্বামীকে তোর মতো ডাইনির হাতে তুলে দিবো নাকি! তুই যদি ডাইনি হোস আমি প্রয়োজনে পিশাচিনী হবো। ”
তখনই কেউ একজন অবনিকে হেঁচকা টান দিয়ে সরিয়ে নিলো।
#চলবে……
( ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন৷ গঠনমূলক মন্তব্য চাই কিন্তু 🥲😩)