#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#পর্ব : (৮)
🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ ~
জাহানারা খান অবনিকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে দিতে বললেন-
” বিদ্যুৎ আমার আরেক দাদু ভাই। র’ক্তে’র কোনো সম্পর্ক নেই তবুও খুব আপন। বিদ্যুৎ আর দাদুভাই বাল্য কালের বন্ধু। এক বন্ধু তো আরেক বন্ধুর জন্য জীবন দিতেও রাজি। মানে ওরা শুধু বন্ধু নয় একেবারে প্রানের বন্ধু । বিদ্যুৎ কেও আমরা পরিবারের একজন সদস্য মনে করি। বিজনেসের কাজে বিদ্যুৎ দেশের বাইরে গিয়েছে। তাই তোমাদের বিয়েতে প্রেজেন্ট হতে পারেনি। বিদ্যুৎ আর আরশ সব সময় সব কিছুতেই ফাস্ট সেকেন্ড হতো৷ কিন্তু বিদ্যুৎ শতো চেষ্টা করেও আমার দাদুভাই কে কোনো কিছুতেই সেকেন্ড বানাতে পারেনি। ”
কথাটা বলে জাহানারা খান হেসে দিলেন। অবনিকে সাজানো শেষে জাহানারা খান অবনিকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে বলল-
” বাহ! আমার মিষ্টি কে তো দেখছি একেবারেই মিষ্টি লাগছে। দাদুভাই তো আজ তোমার উপর থেকে চোখই ফিরাতে পারবেনা। ”
জাহানারা খানের কথায় অবনি লজ্জা পেয়ে গেল। অবনি পেছনে ফিরে জাহানারা খান কে বলল-
” দাদু তুমিও না! কি যে বলো তুমি৷ ”
তখনই আরশ রুমে প্রবেশ করলো। আরশ যেখানে দাঁড়ানো ছিলো সেই জায়গাতেই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে অবনির দিকে তাকিয়ে রইলো । অবনিও আরশের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে৷ তাদের দুজনকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে জাহানারা খান ঠোঁট চেপে হেসে খুক খুক করে হলকা কাশি দিলো। ফলস্বরূপ দুজনেরই হুশ ফিরে আসে দুজনেই লজ্জা পেয়ে গেল। অবনি তো লজ্জায় আর চোখ তুলেই তাকালোনা।
” দাদু ভাই, তুমি তো দেখছি মিষ্টির থেকে চোখই ফিরাতে পারছনা। দেখে তো মনে হচ্ছে তুমি ওর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছ। অবশ্য আমার মিষ্টি কে যা সুন্দর লাগছে প্রেমে না পড়ে উপায় আছে! ”
আরশ অবনির দিকে আড় চোখে তাকিয়েই জাহানারা খান কে বলল-
” আরে দূর দাদু সেরকম কিছুই না। ওকে লাগবে সুন্দর! হাউ ফানি! দেখতে তো কেমন পেত্নীর মতোই লাগছে৷ দেখছনা ঘোড়ার ডিমের মতো চোখজোড়া, টিক টিকির মতো ঠোঁট জোড়া, একেবারে জোকারের মতো লাগছে৷ আমি তো সেজন্যই তাকিয়ে ভাবছিলাম একটা মানুষ কে এতোটা ভয়ংকর কি করে লাগতে পারে! ”
আরশের কথা শুনে অবনির এতোক্ষণের লজ্জায় মরি মরি অবস্থা এবার রা’গে পরিনত হলো। অবনি আরশের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে জাহানারা খান কে বলল-
” দাদু তোমার দাদুভাই কিন্তু আমাকে বিনা কারনে অপমান করছে। তোমার দাদুভাইকে বলে দাও সে নিজে যতোটা নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে থাকে কিন্তু দিন শেষে তাকে হিরো আলমের মতোই লাগে৷ ”
” এই কি বললে তুমি? আমাকে দেখতে হিরো আলমের মতো লাগে? ”
” তা নয়তো কি! নিজেকে কখনো আয়নাতে দেখেছেন? ”
” আমি হিরো আলমের মতো হলেও মানুষ আমাকে তোমার হাসবেন্ডই বলবে। রানু মন্ডলের জামাই বলবেনা নিশ্চয়ই! ”
” আরে তোরা দুজন কি শুরু করেছিস! তোরা যদি এরকম ঝগড়া করতে থাকিস তাহলে তোদের মাঝে প্রেম ভালোবাসা তৈরি হবে কিভাবে! ”
জাহানারা খানের কথায় দুজন একসাথে বলে উঠলো –
” প্রেম! তাও আবার ওর সাথে? ইম্পসিবল।
” দাদু তোমার দাদু ভাইয়ের মতো এরকম ঝগড়ুটে ছেলেকে ভালোবাসা যায় বলে তোমার মনে হয়! ”
ওদের দুজনের এরকম ঝগড়া করতে দেখে জাহানারা খান হতভম্ব হয়ে যায়।
” হায় আল্লাহ! নতুন বর বউ এরকম ঝগড়া করতে আমার বাবা তো দূরে থাক দাদাও দেখেনি কখনো! এমন ভাবে ঝগড়া করছিস যেনো তোরা দুজন দুজনকে কতো আগে থেকে চিনিস! ”
দাদুর কথায় আরশ বলল-
” চিনবোনা? ওকে তো আমি হারে হারে চিনি৷ ”
নাতির এমন কথা শুনে জাহানারা খান বিষ্মিত হয়ে বলল-
” কিহ! তোরা দুজন দুজনকে আগে থেকে চিনিস? ”
আরশের এবার হুশ ফিরে এলো কি থেকে কি বলে ফেলেছে। আরশ এবার কথা ঘুরিয়ে বলল-
” আরে কি বোকা বোকা কথা বলছো! আগে থেকে কিভাবে চিনবো। আমি তো কথার কথা বললাম। ”
” সত্যি বাবা! তোরা দুজন একই রকম। বিচার মানি কিন্তু তাল গাছটা আমার! দুজন যতোই ঝগড়া করিস আমি কিন্তু খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি দুজনেরই ঝগড়ার আড়ালে লুকিয়ে আছে একটি সুপ্ত ভালোবাসা। শুধুমাত্র নিজেদের ইগোর জন্য ভালোবাসাটা দেখতে পাচ্ছিসনা। সেজন্যই ভালোবাসাটা মনের আড়ালেই চাপা পরে আছে। ”
দাদুর কথা শুনে আরশ বলল-
” দাদু তুমি সব বিষয়ে বিচক্ষণ হলেও এই বিষয়ে ভুল বললে। আমি জাস্ট তোমার কথাতেই বিয়েটা করেছি। কিন্তু ভালোবাসা! অসম্ভব৷ ”
আরশের কথাটা কেনো যানি অবনির বুকে বাঁধলো৷ এতক্ষণ সব কথা মজা হিসেবে নিলেও এ কথাটা কেনো যানি অবনি মানতে পারলোনা। কেনো মানতে কষ্ট হচ্ছে তা জানা নেই অবনির৷ ওর তো কষ্ট পাওয়ার কথা নয় তবুও কেনো কষ্ট হচ্ছে! কেনো নিজেই নিজেকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আর আর পাঁচটি সম্পর্ক আর তাদের সম্পর্ক এক নয়৷ তাদের সম্পর্ক যে অন্যদের মতো স্বাভাবিক নয় সেটা তো অবনি জানে। এমনকি অবনি নিজেও যানে তাদের মধ্যে শুধু ঝগড়াটাই মানায়। যেখানে ভালোবাসারই কোনো অস্তিত্ব নেই সেখানে এরকম কথা শুনে কেনো অবনির এতোটা খারাপ লাগছে!
অবনি নিজেই নিজেকে মনে মনে বলছে-
” বাই এনি চান্স আমি কি উনার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ছি! না না আমাকে কিছুতেই দূর্বল হওয়া যাবেনা৷ কিছুতেই আমি উনার প্রতি দূর্বল হবো না। ”
অবনি আর একমুহূর্তও না দাঁড়িয়ে সেখান থেকে চলে আসলো। অবনির এমন কাজে আরশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। আরশ ভেবেছিল অবনি তার সাথে ঝগড়া করবে কিন্তু সেরকম কিছুই হলো না৷ জাহানারা খান আরশ কে বলল-
” এটা ঠিক নয় দাদুভাই। অবনিকে তোমার মেনে নিতে সময় লাগবে আমি সেটা মানছি৷ তাই বলে এভাবে তুমি তাকে হার্ট করতে পারো না। ” কথাটা বলে তিনি রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
_______________
জাহানারা খান অবনিকে নিজের কোলের উপর শুইয়ে বলল-
” মন খারাপ করো না মিষ্টি। দাদুভাই একটু ওইরকমই। কখন যে কি বলে বসে তার ঠিক নেই৷ তুমি দেখো দাদুভাই ঠিকই তোমাকে মেনে নিবে। আমার দাদুভাই উপর দিয়ে যতোই রাগী রাগী ভাব দেখাক ওর মনটা কিন্তু খুবই কোমল। একদিন তোমাকে ঠিকই ভালোবাসবে৷ নিজের জীবনের চেয়েও বেশি৷ শুধু সময়ের অপেক্ষা। ”
জাহানারা খানের কথায় অবনি একটা বিষন্নতার শ্বাস ফেলল। আর মনে মনে বলল –
” তোমার সেই অপেক্ষার প্রহর কোনদিনই শেষ হবে না দাদু। আমার জায়গায় যদি অন্য কেউ থাকতো সেটা আলাদা হিসেব। কিন্তু আমার সাথে তোমার দাদু ভাইয়ের প্রনয় কখনোই হবে না। ”
★★★
রাতের খাবার শেষে সবাই সবার রুমে গেলো। অবনি রাগ করে আর রুমে গেল না। সে ভেবে নিয়েছে আরশ যেহেতু তাকে নিয়ে এতোটা বিরক্ত বোধ করে সে আর আরশের সাথে ঘুমাতে যাবে না। তাই অবনি জাহানারা খান কে বলল-
” দাদু আমি একটু তোমার সাথে ঘুমাবো? আমার খুব ইচ্ছে তোমার সাথে গল্প করতে করতে ঘুমানোর। না মানে তোমার যদি আপত্তি না থাকে তাহলেই নাহলে থাক। ”
” দূর বোকা মেয়ে। আমার আবার কিসের আপত্তি থাকবে। আমি তো একাই ঘুমাই সাথে তুমি থাকলে আমার কোনো আপত্তি নেই৷ কিন্তু দাদুভাই আবার যদি রেগে যায়? ”
” আরেহ না! উনি কেনো রাগতে যাবে। বরং আমি না থাকলেই উনি শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। ”
” আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দে। ”
এদিকে আরশ এতক্ষণ বিছানা শুয়ে এপাশ ওপাশ করছিল। আর অপেক্ষা করছিল অবনি কখন আসবে। কিন্তু অবনির আসার নাম গন্ধ নেই। আরশ এবার বিছানা ছেড়ে দরজার বাইরে গিয়ে নিচের দিকে উঁকি দিল।
” কি ব্যাপার! মহারানীর আসার তো দেখছি কোনো হদিস নেই! একবার কি নিচে গিয়ে দেখবো? না না যাওয়া যাবে না। পরে তো আবার দেখা যাবে অহংকারে উনার মাটিতে পা-ই পড়বে না। ”
আরশ রুমের মনে কিছুক্ষন পায়চারি করল। বেশ কিছুক্ষন সময় পেরোনোর পর আরশ আর রুমে মধ্যে থাকতে পারলো না৷
এদিকে অবনি আর জাহানারা খান মিলে একসাথে নানান রকম গল্প করছে। জাহানারা খান অবনিকে নিজের জীবন কাহিনী শুনাচ্ছে । তাদের নানান রকম কথার মাঝেই দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হলো। এতো রাতে কে আসবে পারে ভেবেই দুজনই অবাক হলো। শেষে অবনি বলল-
” দাদু তুমি বসো আমি দেখছি। ”
অবনি দরজার দিকে এগিয়ে ছিটকিনি টানতেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে দেখতেই অবাক হয়ে গেলো। অবনি তো ভাবতেই পারছেনা সত্যিই আরশ এসেছে! অবনি স্বপ্ন নাকি সত্যি তা বোঝার জন্য নিজেই নিজেকে চিমটি কাটলো। কিন্তু না এটা তো কোনো স্বপ্ন নয়৷ সত্যিই আরশ তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু পরক্ষণেই অবনি নিজেকে সামলে রুমের ভেতর চলে এলো। অবনি ভেতরে আসতেই আরশও হুড়মুড়িয়ে রুমের ভেতর চলে এলো।
” কি ব্যাপার? রুমে না গিয়ে এখানে কি করছো তুমি? আমি কতক্ষণ তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম তার ধারণা আছে তোমার? ”
” আশ্চর্য আমি কি আপনাকে বলেছিলাম আমার জন্য অপেক্ষা করতে! ”
” এই শোনো একদম মুখে মুখে তর্ক করবে না। চলো আমার সাথে। ”
কথাটা বলে অবনির হাত ধরতেই অবনি হাত ছাড়িয়ে বলল-
” আমি যাবো না। ”
” যাবে না মানে? ”
” বললাম তো আমি যাব না। আমি আজকে দাদুর সাথেই ঘুমাবো। তাছাড়া আপনি তো আমাকে সহ্যই করতে পারেন না৷ আমি না থাকলে তো আপনারই মঙ্গল। আপনার শান্তির ঘুম হবে। আপনি বরং শান্তিতে ঘুমাতে যান। আমি আজকে দাদুর সাথেই ঘুমাবো। ”
” দাদুভাই মিষ্টি যখন আমার সাথে ঘুমাতে চাইছে তাহলে থাকনা৷ একটা রাতেই তো ব্যাপার। ”
” অসম্ভব দাদু। আমাকে এতোক্ষণ ধরে যেহেতু অপেক্ষা করতে হয়েছে আমি এমনি এমনি কিছুতেই ফিরে যাবো না। ”
” আপনি বললেই হলো নাকি! আমি যখন বলেছি আমি আজকে দাদুর সাথে ঘুমাবো তাহলে আমি দাদুর সাথেই ঘুমাবো৷ ”
” দাদু তোমার মিষ্টিকে বলে দাও আমি এক কথা বার বার বলা পছন্দ করি না৷ ”
” দাদু তোমার দাদুভাই কে বলে দাও আমি কারো পছন্দের ধার ধারি না! ”
” তুমি আমার সাথে যাবে না তাই তো? ”
” আশ্চর্য এটা আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে! আমি তো বলেই দিয়েছি আমি যাব না৷ ”
আরশ আর কিছু না বলে হুট করে অবনিকে কোলে তুলে নিলো। অবনি তো অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আরশ তাকে একটার পর একটা কাজে অবাক করিয়ে দিচ্ছে।
অবনিকে কোলে তুলে আরশ বলল-
” নিজে থেকে না গেলে কিভাবে নিতে হয় সেটা আরশ খান খুব ভালো করেই জানে। ”
কথাটা বলে আরশ দাদুকে গুড নাইট বলে সামনের দিকে পা বাড়াল।
জাহানারা খান তো নাতির এমন কাজে পুরোই অবাক তিনি নিজে নিজে বলছেন-
” তুমি যতোই অস্বীকার করো দাদুভাই! আমি জানি তুমি মিষ্টিকে নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছ। হয়তো তুমি সেটা মানতে চাইছনা। মানতে না চাইলেও এটা সত্যি। ”
____________
অবনি হাত পা ছড়াছড়ি করছে আর বলছে –
” কি করছেনটা কি! নামান আমাকে, কি আশ্চর্য আপনি কি আমার কথা শুনতে পারছেন না! বলছিতো আমাকে নামিয়ে দিন। ”
” চুপচাপ নড়াচড়া বন্ধ করো। আর একটা শব্দ করলে আমি কিন্তু তোমাকে নিচে ফেলে দিবো৷ ”
আরশের কথা শুনে অবনি চোখ বড় বড় করে চেয়ে রইলো। অবনি আর শব্দ করলো না৷ সে জানে আরশের উপর বিশ্বাস নেই। তাকে ফেলে দিতে দুবার ভাববে না৷ পরে দেখা যাবে এখান থেকে পড়লে একমাস বেডে শুয়ে থাকতে হবে।
আরশ অবনিকে বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিলো। গায়ের উপর ব্ল্যাঙ্কেট জড়িয়ে দিলো। তারপর দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে লাইট অফ করতে যাবে তার আগে অবনির দিকে ফিরে বলল-
” সরি। ”
আরশের মুখে সরি শুনে তো অবনি আরেক দফা অবাক হলো। অবনি তো বুঝতেই পারছেনা তার সাথে আজ এসব কি হচ্ছে৷ আরশ তাকে সরি বলছে! এটাও দেখার বাকি ছিল! আরশ কিভাবে বুঝল সে রাগ করেই রুমে আসেনি!
অবনিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে আরশ বলল-
” এভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেনো? অবাক হওয়ার মতো তো কিছু বলিনি। ”
” অবাক হবো না! ভুতের মুখে রাম রাম! আপনার জায়গায় অন্য কেউ হলে সেটা মানা যায়৷ কিন্তু আপনার মতো অ্যাটিটিউড বয় যদি সরি বলে তাও আবার এই প্রথম! ব্যাপারটা তো অবাক হওয়ারই বিষয়! সত্যি করে বলুন তো আপনার শরীর ঠিক আছে কি’না? আমি তো শুনেছি কিছু মানুষের শরীর যখন অসুস্থ হয় তখন এরকম অদ্ভুত আচরণ করে৷ ”
” শাট আপ! ইডিয়ট, তোমাকে সরি বলাটাই আমার উচিত হয়নি৷ ”
অবনি এবার মনে মনে বলছে –
” যাহ বাবা! আমি কি এমন বললাম যে উনি এভাবে রেগে লেগেন! আশ্চর্য ব্যাপার আমি কি অবাক হওয়া জিনিসে অবাকও হতে পারবোনা! সত্যি বাবা উনার যে মাঝে মাঝে কি হয় উনিই বলতে পারেন৷ মাঝে মাঝে তো মনে হয় উনার শরীরে দুটো আত্মা থাকে। একটা ভালো আত্মা আরেকটা খারাপ আত্মা। যখন ভালো আত্মা সাথে থাকে তখনই ভালো আচরণ করে আর যখন খারাপ আত্মা ভর করে তখনই আর আগের মতো সয়তান হয়ে যায়। না না অবনি এনার এসব ভালো ব্যবহারে মন একদম নরম করবিনা। মনের মধ্যে শক্ত মজবুত বাউন্ডারি তৈরি কর। পরে দেখা যাবে এই ব্যাটায় তোর ছোট্ট মনটাকে এমন ভাবে ভেঙ্গে দিবে মলম দিয়েও জোরা লাগাতে পারবিনা। ”
#চলবে……
( ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গঠনমূলক মন্তব্য চাই কিন্তু 🥹🫰 ❣️)