#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা : #ohona_akther
#পর্ব : ১৩
🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ ~
প্রিয়া খান আর চৈতী শপিং করতে গিয়েছিল। চৈতী সদর দরজার মুখে পা রাখতেই আরশকে দেখতে ফেলো। অবনিরও চোখ গেলো চৈতীর দিকে। চৈতী হাতের শপিং ব্যাগ গুলো ফেলে টানা টানা কন্ঠে আরশ বেইবিইইই করে দৌড়ে আরশের দিকে আসছিল আর ওমনি অবনি নিজের পা বাড়িয়ে দিলো। চৈতী স্পিডে দৌড়ে আসছিল তাই লেংচি খেয়ে তাল সামলাতে না পেরে ধপ করে নিচে পড়ে গেলো। সবাই আহাম্মক হয়ে চৈতীর দিকে চেয়ে রইলো৷ অবনির তো হু হা করে হাসতে ইচ্ছে করছে কিন্তু সবাই বুঝে যাবে বলে প্রান খুলে হাসতেও পারছেনা। আরশ তো ফিক করে হেসে দিলো সেই সাথে জাহানারা খান বাকি নেই বিদ্যুৎও। সবার মুখে হাসি থাকলেও হাসি নেই প্রিয়া খানের মুখে। তিনি দ্রুত এগিয়ে এসে চৈতীকে ফ্লোর থেকে উঠিয়ে বলল-
” তোমরা কি মানুষ? দেখছো মেয়েটা পড়ে গেছে যেখানে তাকে টেনে তুলবে সেখানে তা না করে সবাই হাসছো! ”
.
অবনি হাসি থামিয়ে নিজের হাসি কন্ট্রোল করে গলা জারি দিয়ে বলল-
” সেই তো! সবাই এরকম হাসাহাসি করছো কেনো? আর ননদিনী তুমিই বা এরকম ঝরের বেগে তড়িৎ গতিতে ছুটছিলে কেনো! আহা গো তোমাকে এভাবে পড়ে যেতে দেখে আমার সত্যিই খুব কষ্ট লেগেছে যা বলে বোঝাতে পারবোনা। ”
.
সবার সামনে এভাবে অপমানিত হয়ে চৈতীর মনে প্রতিহিংসার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো অবনির উপর। রাগে ফুঁসছে চৈতী।
অবনি যে কথাটা গা জ্বালানোর জন্য বলেছে সেটা প্রিয়া খান খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন। তাই তিনি কড়া কন্ঠে বলল-
” থাক। তোমাকে আর এতো আলগা দরদ দেখাতে হবেনা। ”
চৈতীকে বলল-
” এখানে দাঁড়ানোর কোনো প্রয়োজন নেই। রুমে চল দেখি কোথায় লেগেছে তোর। ”
তারা যেতেই সবাই হু হা করে হেসে দিলো। এতোক্ষণ সবাই খুব কষ্টেই হাসি কন্ট্রোল করেছিল। একটা কথা চিরন্তন সত্যি আমরা যখন কাউকে চোখের সামনে ধপ করে পড়ে যেতে দেখি তখন তাকে উঠানোর চিন্তা মাথায় আসার বদলে মুখে হাসিটা আসে সবার আগে। এই দৃশ্যটি হলো বিনা টিকিটে হালকা বিনোদন।
.
আরশ আর বিদ্যুৎ বেরিয়ে পড়লো। আজকে অবনি নিজে দুপুরের রান্নার দায়িত্ব নিলো৷ অবনির মন আজ খুশিতে ফুরফুরে হয়ে আছে। একটা পাতানো ভাই পেয়েছে। তাই সকলের দুপুরের খাবারের দায়িত্ব অবনি নিজেই নিলো। আপন মনে বাহারি রকমের খাবার রান্না করছে অবনি। মারিয়া কে কিছুই রাঁধতে দেয়নি৷ তবে টুকটাক এটা ওটা এনে দেওয়া, সবজি, মাছ, মাংস এসব মারিয়াই কেটে দিয়েছে। অবনি মারিয়াকে পাঠিয়ে দিয়েছে বিশ্রাম করতে। রান্না শেষে অবনি খাবার গুলো ঢেকে রেখে জাহানারা খানের রুমের দিকে পা বাড়ালো খোশগল্প করবে বলে। অবনির রান্নার ফাঁকে ফাঁকে জাহানারা খান এসে দেখে গেছিলো তাকে। মারিয়ার সাথেও অবনির খুব ভাব হয়ে গেছে। এই বাড়িতে অবনির এই দুজন মানুষকেই বেশি ভালো লাগে। আর তার শশুর আছে কোনোরকম। আর আরশ তো এই ভালো তো এই খারাপ। আরশকে বোঝা অবনির পক্ষে অসম্ভব। অবনি জাহানারা খানের দরজার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে বলল-
” দাদু আসবো?”
.
” আরে এসো এসো। তোমাকে কতোবার বলেছি আমার ঘরে আসতে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ”
.
অবনি স্বভাবসুলভ হাসি দিলো। তারপর অবনি জাহানারা খান কে তাদের বাড়ি যাওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে আসার পথ পর্যন্ত সব ঘটনা বললো। সব শুনে জাহানারা খানের হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে। তাদের গল্পের মাঝেই আরশের ডাক পড়লো তারা ফ্রেশ হয়ে নিচে আসছে।টেবিলে খাবার রেডি করতে৷
.
বিদ্যুৎ আর আরশ ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলো। একে একে সবাই টেবিলে বসেছে। ঘ্রানে সবার পেট ভরে গেছে। নানান রকম খবারের ঘ্রানে সবার পেটের ক্ষুধা যেনো গুরুতর ভাবে নাড়া দিয়ে উঠলো। চৈতী এসে আরশের পাশের চেয়ারটায় বসে পড়লো। চৈতীকে নিজের পাশে দেখে আরশ বলল-
” কি ব্যাপার এতোগুলো চেয়ার খালি থাকতে তুই আমার পাশে এসে বসলি কেনো? তোকে না ওইদিন বারন করেছিলাম আমার চোখের সামনে না আসতে। ”
” কাম অন আরশ বেব। আমি তো বলছি আমি ভুল করে ফেলেছি। সেদিন জন্য আমি তোর কাছে ক্ষমা চাইনি বল? সামান্য একটু খাবার টেবিলে বসেছি। এতে এতো রিয়্যাক্ট করার কি আছে?”
” অবিয়েসলি এটা রিয়্যাক্ট করার বিষয়। কারন, আমার পাশের চেয়ারটা তোর নয়৷ তুই অন্য চেয়ারে গিয়ে বোস। ”
.
” এভাবে কেনো বলছিস আরশ! অবনি এ বাড়িতে বউ হয়ে আসার আগে তো আমি তোর পাশের চেয়ারটায় বসতাম তাইনা। ”
.
” সেটা ও এ বাড়িতে আসার আগে৷ এখন যেহেতু ও চলে এসেছে সো তুই অন্য চেয়ারে গিয়ে বোস। ”
চৈতী রাগে কটমট করতে করতে চেয়ার ছেড়ে উঠে গেলো। অবনি সবাইকে খাবার বেড়ে দিলো। জাহানারা খান অবনিকেও বসতে বলল। অবনি বলল সবার খাওয়া হয়ে গেলেই সে খেয়ে নিবে। আরশ হাতে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে বলল-
” আমার খাবারটা ঢেকে রাখো তো। আমার একটা জরুরী কল করার আছে। ”
আরশের উঠে যাওয়াটা অবনির সন্দেহ হলো সত্যি জরুরী কল নাকি অন্যকিছু। এদিকে জাহানারা খান কিছু একটা আচঁ করে ঠোঁট চে’পে হাসলো। সবাই খাওয়া শুরু করলো। সবাইকে এরকম মজা মজা করে খেতে দেখে চৈতী একটু আশ্চর্য হলো। চৈতী এতোক্ষণ খাবারে হাত দেয়নি। তার উদ্দেশ্য ছিলো সবাই আগে খাবার মুখে নিয়ে রিপোর্ট দিবে। নিঃসন্দেহে অখাদ্য কুখাদ্য এসব মন্তব্য করবে। কিন্তু তার কিছুই ঘটলো না। সবাই এতো মজা মজা করে খাচ্ছে দেখে চৈতীও খাওয়া স্টার্ট করলো। একটু মুখে নিতেই ঝাল ঝাল বলে লাফিয়ে উঠলো। প্রিয়া খান চৈতীর পাশেই বসেছিল। তিনি দ্রুত চৈতীর দিকে পানি এগিয়ে দিলো। চৈতী গড়গড় করে এক জগ পানি নিমিষেই শেষ করে ফেললো কিন্তু তবুও ঝাল কমার নাম নেই।
.
ঝালের ছোটে চৈতী কথাই বলতে পারছেনা। চৈতী কোনো রকমে হাঁপাতে হাঁপাতে অবনির দিকে আঙ্গুল তুলে বলল-
” এই মেয়েটা, এই মেয়েটা ইচ্ছে করে আমার খাবারে ঝাল মিশিয়ে দিয়েছে। শুধু ঝালই নয় সাথে অত্যধিক পরিমান লবন। এই মেয়ে তোমার সাথে আমার কি এমন শত্রুতা হ্যাঁ? নাকি আমি এ বাড়িতে থাকছি বলে তোমার সেটা
সহ্য হচ্ছেনা। ”
.
চৈতীর কথায় সবাই অবাক হয়ে একে অপরের মুখের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করছে। তখন অবনি বলল-
” ঠিকই বলেছ তুমি। তবে কথাটার মাঝে একটু ভুল বলেছ আমার তো মনে হচ্ছে আমি না বরং, তোমারই সহ্য হচ্ছেনা আমি এ বাড়িতে থাকছি বলে। ”
.
অবনির কথা শুনে প্রিয়া খান তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।
তিনি শক্ত কন্ঠে অবনিকে বললেন-
” চুপ করো তুমি। অ’সভ্য মেয়ে কোথাকার। ম্যানার্স জানো না? একে তো মেয়েটাকে আজ হিংসের ছোটে মেরে ফেলতে চেয়েছিলে। তার উপর আবার বড় বড় কথা বলছো? ওই যে কথায় আছেনা চোরের মায়ের বড় গলা। তোমার অবস্থা তো দেখছি ঠিক সেরকম। বাড়ির সকলে কেনো যে তোমায় এখনো এ বাড়িতে এলাউ করছে আমি তো বুঝতেই পারছিনা! তোমাকে তো এই মুহূর্তে এ বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত। ”
এতো চেঁচামেচি শুনে আরশ এসে বলল-
” কি হয়েছে এখানে? এতো চেঁচামেচি কিসের? ”
.
প্রিয়া খান মুখ বাঁকিয়ে বলল-
” কি হয়েছে সেটা আমাদের না জিজ্ঞেস করে তোর বৌকে জিজ্ঞেস কর। তোর বউ এর জন্য মনে হচ্ছে এ বাড়িতে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়বে। ”
.
মায়ের এরকম ঘুরানো পেছানো কথা আরশের পছন্দ হলোনা। আরশ চোয়াল শক্ত করে গম্ভীর কণ্ঠে বলল –
” আমি তো এতে ঘুরিয়ে পেছিয়ে কথা শুনতে চাইনি, কি হয়েছে সেটা কেউ ক্লিয়ারলি বলবে আমাকে? ”
.
” বলে কি হবে হ্যাঁ। সব শুনে তুই কি তোর বৌকে এ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবি? ”
চৈতী আরশের কাছে এগিয়ে গিয়ে ন্যাকা ন্যাকা কন্ঠে বলল-
” বেব এই মেয়েটা হিংসে করে আমার খাবারে অত্যধিক পরিমাণ ঝাল আর লবন মিশিয়ে দিয়েছে। ”
.
চৈতীর কথা শুনে আরশ কোনো রিয়াকশনই দিলোনা। আরশ মোবাইলের দিকে মনোযোগ দিলো। আরশের হেয়ালি পনা দেখে প্রিয়া খান বলল-
” কি হলো বাবুন? এখন চুপ করে আছিস কেনো? নাকি তোর বউ কাউকে খু’ন করে ফেললেও তোর কাছে সেটা অন্যায় নয়৷ ”
.
মায়ের কথা শুনে আরশ মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে বলল-
” এখন তুমি কি বলতে চাইছো মম? একটা বাইরের মেয়ের জন্য অবনিকে আমি বাড়ি থেকে বের করে দিবো? প্রথম কথা হচ্ছে অবনি এরকম কিছু করতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করিনা। আর তাছাড়া কাজটি যে অবনিই করেছে তার উপযুক্ত প্রমান কি তোমাদের কাছে আছে? শুধুমাত্র সন্দেহের উপর ভিত্তি করে একজনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে কি করে বলতে পারো তুমি মম! ”
.
প্রিয়া খান এবার তাচ্ছিল্যের স্বরে বললেন –
” ওওও আচ্ছা আচ্ছা! মানে এখন তোর বউয়ের নামে নালিশ দিতে আমাদের আগে প্রমান যোগাড় করতে হবে? ”
প্রিয়া খান জাহানারা খানের দিকে তাকিয়ে বলল-
” কি ব্যাপার শাশুড়ী মা? আপনার মুখটা এখন বন্ধ কেনো? নাকি আপনার রসগোল্লা না জানি মিষ্টির বেলায় সাত খু’ন মাপ! আপনি নাকি পেশায় জাজ তো এবার বিচারটা করুন। ”
.
অবনি এতোক্ষণ পূর্নদৈর্ঘ্য ছায়াছবি দেখছিল। আর দেখতে চেয়েছিল আরশের রিয়াকশন কি হয়। অবশেষে অবনি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে বলল-
” অনেকক্ষণ যাবৎ তামাশা দেখছিলাম। কিন্তু আমি এটাই বুঝে উঠতে পারছিনা যে একটা মানুষ এতোটা নিখুঁত ভাবে অভিনয় কি করে করতে পারে। ”
.
অবনির কথা শুনে চৈতীর মনে ভয় সৃষ্টি হলো। চৈতী মনে মনে বলছে-
” এইরে এই মেয়েটা কি কিছু দেখে ফেললো নাকি? দেখলেই বা কি ওর কাছে তো কোনো প্রমান নেই তাইনা। নাহ ভয় পাওয়া চলবেনা। দোষটা ওর ঘাড়েই চাপাতে হবে। ”
চৈতী অবনিকে বলল-
” এই মেয়ে, ককি বলতে চাইছো ততুমি? ”
.
” একটা জিনিস খুবই হাস্যকর দোষ করলাম আমি আর তোলাচ্ছ তুমি! এখন আমি সবাইকে একটা ভিডিও প্লে করে দেখাবো আশা করছি তাহলে আর আমায় কষ্ট করে কিছু বলতে হবেনা। ”
.
ভিডিও ফুটেজ দেখে সবাই ভরকে গেলো। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে চৈতী খাবার থেকে ডাকনা সরিয়ে মরিচের গুঁড়ো আর কতো গুলো লবন ঢেলে দিয়েছে। চৈতীর চোখে মুখে ভয় স্পষ্ট। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ভিডিও শেষ হতেই অবনি বলল-
” মনে হচ্ছে আমার ননদিনী স্টার জলসা, জি বাংলা বেশি বেশি দেখে আর খল নায়িকাদের ফলো করে। তো ননদিনী তুমি বরং এ বাড়িতে থেকে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে সিনেমার কাজে লেগে পড়ো। ”
অবনি ঘাড় ঘুরিয়ে প্রিয়া খান কে উদ্দেশ্য করে বলল-
” আর শাশুড়ী মা আপনাকে বলছি। আপনি শাশুড়ীই রয়ে গেলেন মা আর হতে পারলেন না। ”
চৈতী তোতলিয়ে বলল-
” সসব মিথ্যে এই মেয়েটা আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে। এই মেয়ে তুমি এই ভিডিও কোথায় থেকে আনলে। তোমারাই বলো যদি আমি এসব মিশিয়ে দিতাম তাহলে শুধু আমার প্লেটেই কেনো এমন হলো সবার বেলায় তো ঠিকই ছিলো। ”
.
” তোমার মতো কুটনীতি বুদ্ধি ওয়ালা লোক যদি ঘরে থাকে তাহলে তো প্রতি পা সাবধানতা অবলম্বন করেই ফেলতে হবে তাইনা। আমি রান্নাঘর থেকে বের হওয়ার আগেই আচঁ করতে পেরেছিলাম তুমি কোনো না কোনো গন্ডগোল পাকাতে পারো। সেদিন যেভাবে আমার লেহেঙ্গার ব্লাউজ জড়িয়ে ধরার নাম করে ছিঁড়ে দিয়েছিলে। কি ভেবেছিলে আমি বুঝতে পারবোনা। আর আজ আমি কিচেনের সেল বক্সে মোবাইলের ক্যামেরাটা অন করে রেখেছিলাম। কিছু খাবার আমি আগেই সরিয়ে রেখেছিলাম। তারপর রান্নাঘরে এসে আগে ক্যামেরাটা চেক করলাম দেখি আমার সন্দেহটাই ঠিক ছিল। তাই ভালো খাবার গুলো সবাইকে দিয়ে তোমার ভেজালযুক্ত খাবার তোমাকেই দিলাম যেটা তুমি আমাকে অপদস্ত করতে মিশিয়েছ। ”
সবাই তো পুরো স্তব্ধ হয়ে গেলো। শেষে কিনা দু’ধ কলা দিয়ে বাড়িতে কাল সা’প ফুঁসছে। জাহানারা খান বলল-
” ছি ছি ছি! এসব কোনো মানুষের কাজ?”
আরশ তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলল-
” মম তুমি বলেছিলেনা উপযুক্ত বিচার করতে। চৈতীর উপযুক্ত শাস্তি হলো আজকের পর থেকে ও আর এ বাড়িতে থাকবেনা। আমাদের পুরোনো বাড়িতে ওকে রেখে এসো। ওটাই ওর জন্য উপযুক্ত জায়গা। দ্রুত ওর লাগেজ গুছিয়ে দাও। ”
” বাবুন…. ”
.
আরশ তার মাকে থামিয়ে বলল-
” আর কোনো কথা নয় মম। অনেক হয়েছে আর না। এ বাড়িতে হয় আমি থাকবো আর নাহলে চৈতী থাকবে। ”
ছেলের এমন কথা শুনে প্রিয়া খানের বুক ধক করে উঠলো। ছেলের রাগ সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানে। তাই কষ্টটা বুকের মধ্যেই চেপে রাখলো।
.
চৈতী রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাড়ি থেকে বিদায় নিলো ভয়ংকর ভাবে এর প্রতিশোধ নিবে ও।
.
চৈতীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে অবনি একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। এতোদিনে ডাইনিটা কে বিদায় করতে পেরেছে। যা কান্ড ঘটে গেলো এরপর আর কারো খাবার খাওয়ার ইচ্ছে জাগলোনা।
.
নিজের শত্রুকে তাড়িয়ে অবনি একটা শান্তির ঘুম দিলো। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অবনির ঘুম ভাঙ্গালো। দেখতে পেলো আরশ সোফায় বসে মোবাইল টিপছে। ওর দিকে এক নজর তাকিয়ে আবার মোবাইলে কি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আর ঠোঁটে চাপা হাসি। অবনি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ওয়াশরুমের দিকে গেলো ফ্রেশ হতে। আয়নার দিকে নিজের চেহারা চোখে পড়তেই আআআআ করে এক চিৎকার করলো।
#চলবে…
( ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। গঠন মূলক মন্তব্য চাই কিন্তু । 💞)