#প্রেম_হয়ে_এলি_তুই
#লেখিকা: #ohona_akther
#পর্ব : ২৩
🚫 কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ
প্রিয়া খানও তাল মিলিয়ে বলল-
” সত্যিই তো! আমরা কি করে বুঝবো তুমি এই মেয়েটার সাথে হাত মিলিয়ে এমন করছো না? চৈতী তো ঠিকই বলেছে এমনও তো হতে পারে এই মেয়েটা তোমাকে সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে আমার ছেলে সাজিয়ে এনেছে। দেখো তুৃমি নিজেই বলেছিলে তুমি সঙ্গীত শিল্পী মীর মুগ্ধ আমার ছেলের মতো দেখতে।তাহলে হঠাৎ কি মনে করে আমার ছেলে সেজে এ বাড়িতে পা দিয়ে মাস্তানি শুরু করে দিয়েছো? ”
আরশ তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল-
” আমি আগেই জানতাম তোমরা ঠিক এটাই বলবে৷ টেনশন নেই আমি এমনি এমনি আসিনি। প্রমান নিয়েই এসেছি। ”
কথাটা শুনে চৈতীর অন্তর আত্মা কেঁপে উঠল। চৈতী কাঁপা কাঁপা গলায় বলল –
” ককি পপ্রমানের ককথা বলছিস ততুই? ”
” রিলাক্স! রিলাক্স! এতো হাইপার হচ্ছিস কেনো? এতো অল্পতেই হাইপার হলে চলে! ”
আরশ পেছনে ঘাড় বাঁকিয়ে পেছন ফিরে বলল-
” অফিসার ভেতরে আসুন। ”
আরশ কথাটা বলার সাথে সাথে কতোগুলো পুলিশের পোশাক পরিহিত লোক ভেতরে প্রবেশ করলো। আরশ তাদের উদ্দেশ্য করে বলল-
” সবাইকে একটু আসল কালপ্রিটদের চেহারাটা দেখিয়ে দিন। ”
পুলিশের একজন লোক টিভিতে একটা মেমোরি সেট করে দিলো। সবাই কৌতূহল নিয়ে তাকিয়ে আছে টিভির দিকে। ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কিছু কালো পোশাক পরিহিত লোক বিদ্যুৎকে আটকে রেখেছে। আরশ তাদের হাতে একটা সুটকেস এগিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎকে ছাড়িয়ে নিয়েছে। সুটকেস হাতে নিয়ে লোকগুলো চলে যায়। আরশ বিদ্যুৎকে জড়িয়ে ধরে। এতো টুক পর্যন্ত ঠিক ছিলো। কিন্তু এরপর যা দেখলো তাতে কেউ যেনো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা। কারন ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আরশ আর বিদ্যুৎ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরার পর বিদ্যুৎ আরশের পিঠে ছুরি মেরে দিয়েছে। পর পর দুই / তিন বার একই ভাবে আঘাত করেছে। সে সময়ের পরিস্থিতিটা আরশের বেশি অসহায়ত্ব মনে হয়েছিলো। যাকে নিজের বন্ধু ভেবেছিলো সেই তাকে এভাবে পেছন থেকে আঘাত করলো! সেই সাথে বাড়ির সকলের চোখও বেরিয়ে আসার উপক্রম। যেই ছেলেটাকে এতোটা ভালোবাসা দিয়েছে সে কিনা তাদের বাড়িতে এভাবে শোকের ছায়া ফেলে দিয়েছে! অবনিও যেনো কিছুতেই মানতে পারছেনা ব্যাপারটা। যাকে নিজের ভাই ভেবেছিলো সে কিনা তার এতো বড় সর্বনাশ করলো। পরক্ষনেই সকলের চোখে পড়লো আরেকটি দৃশ্য। আরশ যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলো বিদ্যুৎ চলে যায়৷ আরশ পেছন থেকে হাত বাড়ালেও পেছন ফিরে তাকায়না৷ তখনই আরশের সামনে উপস্থিত হয় চৈতী।
.
চৈতীর তো এবার রীতিমতো কাঁপা-কাঁপি অবস্থা। বাড়ির সকলে তো একের পর এক অবাকের চরম পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চৈতী এসে আরশকে ধরে দাঁড় করালো। আরশ চৈতীর কোলে হেলে পড়ে নিভু নিভু চোখে তাকাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর চৈতী আরশকে ধাক্কা দিয়ে খাদের দিকে ফেলে দেয়।
.
ভিডিও ফুটেজটি দেখে সকলে আঁতকে উঠে।
অবনি এতো মর্মান্তিক ভিডিও দেখে নিজেকে আর সামলাতে পাড়লোনা৷ সব অভিমান ভুলে আরশের কাছে এগিয়ে গিয়ে আরশকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। কারন আরশের কষ্টের কাছে তার অভিমান তুচ্ছ্য মাত্র। অবনি আরশের গালে হাত রেখে ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলল-
” আপনার কতোটা কষ্ট হয়েছিল তাইনা। ওরা কেনো আপনাকে এতো কষ্ট দিয়েছে। যেই মানুষটাকে আমি নিজের আপন ভাই ভেবেছি সে কি করে এমনটা করতে পারলো। আমার তো ভাবতেই গা শিউরে উঠছে৷ ওরা কতোটা কষ্ট দিয়ে আপনাকে মারতে চেয়েছিলো। অথচ উনি সকলের সামনে দেখিয়েছে আপনার মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে উনি বিদেশ পারি জমিয়েছে। আল্লাহ অশেষ রহমত আর দয়ার কারনেই আমি আপনাকে ফিরে পেয়েছি। জানেন আমি দেখছিলাম একটা মেয়ে আপনাকে ঠেলে ফেলে দিচ্ছে। আমি সবাইকে বলেছিলাম কিন্তু কেউ আমার কথা বিশ্বাস করেনি। সবাই ভেবেছিলো আমি আপনাকে মেরে ফেলেছি৷ ”
.
কথাটা বলে অবনি আবারও কান্না করে দিলো। আরশ অবনির গালে হাত দিয়ে বলল-
” রিলাক্স অবনি। এই তো আমি এসে গেছি। তোমার আমাদের ভালোবাসার উপর বিশ্বাস নেই? এসব বিদ্যুৎ, চৈতী যে যাই করুক আমাদের সম্পর্কটা এতোটা ঠুনকো নয় যে কেউ চাইলো আর আমাদের আলাদা করে দিলো। একমাত্র মৃত্যু ছাড়া আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবেনা। সেজন্যই তারা মৃত্যুকেই বেঁচে নিয়েছে। চেয়েছিলো আমাদের আলাদা করতে। কিন্তু কথায় আছেনা আল্লাহ যদি হুকুম না করে তাহলে কোনো দুশমনই সফল হতে পারেনা। ”
আরশ এবার তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল-
” তো তোমরা এখন চুপ কেনো? এবার বিশ্বাস হলো? সকলে ভাবছো তো এটা আমি কোথায় পেলাম৷ এটা সেইখানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কালেক্ট করেছি। চৈতী আমাকে ফেলে দেওয়ার পর রুপকথা আর তার বাবা আমাকে বাঁচায়। দুই মাস আমি কোমায় থাকি। যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন সর্বপ্রথম অবনির খোঁজ করি। নিজে সামনে আসিনি কারন আমি জানতাম এই চৈতী মেয়েটা খুব দূরন্ত। আর আমার মা তো তাকে একেবারে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে। রুপার থেকে জানতে পারলাম তোমাদের অবনির প্রতি করা আচরনের কথা। তোমরা সবাই ওর সাথে এমন আচরন করেছো যা কোনো মানুষ মানুষের সাথে করতে পারেনা। খু’নির আশা ফুরিয়ে একজন নিরপরাধ মানুষকে দিনের পর দিন মেন্টালি প্রেশার ক্রিয়েট করেছো। অবশ্য মম আমি তোমাকে কখনোই ভালোবাসতে পারিনি কেনো জানো? সব সময় তুমি আমার চেয়েও এই মেয়েটাকে বেশি প্রায়োরিটি দিয়েছিলে। সবসময় ওর সব অন্যায় ক্ষুদ্র ভেবে ক্ষমা করে এসেছো। আরো আগেই যদি ওর ছোট ছোট অন্যায় গুলোকে প্রশ্রয় না দিতে তাহলে এরকম হতো না৷ কিন্তু দাদু! তুমি তো অবনিকে অনেক ভালোবাসতে তুমি কি করে এমনটা করতে পারলে! ”
চৈতী এবার কাঁপা কাঁপা গলায় বলল –
” মিথ্যে এএসব মিথ্যে। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে খালা……..”
আর কিছু বলার আগেই প্রিয়া খান এসে পর পর দুই থাপ্পড় বসিয়ে দিলো চৈতীর গালে।
” খবরদার তুই আমাকে আর কখনো খালামনি বলে ডাকবিনা। তোকে আমি কি না দিয়েছি বল? তোর জন্য কখনো আমি ছেলেটার দিকেও ঠিকমতো খেয়াল রাখিনি। শুধুমাত্র এই ভেবে যাতে তুই কখনো মায়ের অভাব বুঝতে না পারিস। সবার বিরুদ্ধে গিয়ে তোর সাপোর্ট করেছিলাম। তার এই প্রতিদান দিলি তুই? এতোদিন পর্যন্ত আমার তোর জন্য মায়া হতো যদি তুই আমার পুত্রবধু হতিস। কিন্তু আজ আমার মনে হচ্ছে আল্লাহ আমার ছেলেকে তোর মতো একটা ডাইনির হাত থেকে বাঁচিয়েছে। সম্পত্তির এতো লোভ তোর! ছি ছি ছি! আমি কাদেরকে এতোদিন আপন ভেবে এসেছি। ”
প্রিয়া খান অফিসার বলল চৈতীকে যেনো নিয়ে যায়। আর যেনো খু’নের দায়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
পুলিশ অফিসার যাওয়ার সময় আরশকে বলল-
” স্যার খুব শীঘ্রই আমরা আপনার বন্ধু বিদ্যুৎকেও খুঁজে বের করবো।সেই সাথে আপনাকে হত্যা চেষ্টার রহস্যও উদঘাটন করবো।”
প্রিয়া খান ছেলের কাছে গিয়ে ছেলেকে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো।
” আমি খুব খারাপ মা তাই নারে। আমার জন্যই তুই মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিলি৷ আমি তো ভেবেছিলাম তোকে আর কখনো ফিরে পাবোনা বাবুন। ”
জাহানারা খান এগিয়ে গিয়ে বলল-
” দাদুভাই ছোট বেলা থেকে তোমায় নিজ হাতে বড় করেছি। হঠাৎ করে তোমার মৃত্যুর সংবাদ আমরা কেউই মেনে নিতে পারিনি। আমিও তোমাকে হারানোর শোকে বোধ বুদ্ধি সব হারিয়ে অবনির প্রতি ব্যবিচার করেছিলাম আমাদের তুমি ক্ষমা করে দাও৷ ”
আরশ তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল-
” ক্ষমা আমার থেকে নয় যার সাথে অন্যায় করেছো তার কাছে চাও। ”
প্রিয়া খান অবনির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর করুন স্বরে বলল-
” আমি জানি অবনি ক্ষমা চাওয়ার মতো মুখ আমার নেই। তবুও বলছি শেষ বারের মতো একটা সুযোগ দিবে আমাকে? ”
অবনি কেমন পাথরের মতো হয়ে আছে। তার তো আবেগে কান্না আসার কথা কিন্তু কেনো জানি আসছেনা। অবনি শান্ত কন্ঠে বলল-
” আমি তো আপনাদের উপর রাগ করিনি মা। তাহলে ক্ষমা কি করে করবো। ”
জাহানারা খান অনুশোচনা নিয়ে বলল-
” আমাদের উপর খুব অভিমান জন্মেছে তোমার তাইনা মিষ্টি? ”
অবনি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল-
” অভিমান! আমার কোনো অভিমান নেই দাদু৷ রাগ,অভিমান এসব তো শুধু কাছের মানুষদের সাথেই করা যায়। কিন্তু তোমরা কখনো আমাকে কাছের ভাবতে পারোনি। সত্যি করে বলো তো আজ যদি উনার জায়গায় আমার কিছু হয়ে যেতো তোমরা কি উনার সাথেও এরকম আচরণ করতে পারতে? পারতেনা কখনোই পারতেনা। কেনো জানো কারণ উনি তোমাদের আপনজন আর আমি তোমাদের কেউ নই। ”
লজ্জায় সকলের মাথা নুয়ে আছে। কিছু বলার মতো ভাষাও নেই। কারন অবনির কথাগুলো তো মিথ্যে নয়। কথাগুলো বলে অবনি সিঁড়ির পাশের রুমে যেতে নিলে আরশ বলে ওঠে-
” এদিকে কোথায় যাচ্ছো? ”
অবনি থমকে দাঁড়িয়ে বলল-
” আমার রুমে যাচ্ছি। ”
আরশ আশ্চর্য হয়ে বলল-
” কেনো আমাদের রুমে কি হয়েছে? ”
” সেটা মাকেই জিজ্ঞেস করুন। ”
কথাটা বলে অবনি রুমে যেতে নিলে আরশ বলল-
” দাঁড়াও। রুমে যাবেনা তুমি৷ আমার সবাইকে কিছু কথা বলার আছে। ”
সকলে মাথা উঁচু করে আরশের দিকে তাকালো।
.
” আজকের রাতটা পেরোলেই আমি অবনিকে নিয়ে এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো। ”
কথাটা শুনে সকলে চমকে তাকালো। সেই সাথে অবনিও। প্রিয়া খান বিস্মিত হয়ে বলল-
” বাবুন! ”
আরশ শীতল চাহনি দিয়ে অথচ শক্ত কন্ঠে বলল-
” আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছুই তো বলিনি মম। মাত্র কয়েক মাসের দূরত্বেই আমার বোঝা হয়ে গেছে আমার অ্যাবসেন্সে অবনি এ বাড়িতে কতোটা ভালো থাকবে। তোমাদের ভালোবাসা তো শুধুমাত্র আমার জন্য। আমি প্রতিদিন আসবো তোমাদের সাথে দেখা করতে। অবনিকে তো তোমরা কেউই মন থেকে ভালোবাসো না ওর মুখও দেখতে চাওনি। আমি ভাবছি তোমাদের ইচ্ছেটাই পূরন করবো। ”
প্রিয়া খান অশ্রু মিশ্রিত গলায় বলল –
” বাবুন! তুই এটা বলতে পারলি? ”
জাহানারা খান বলল-
” দাদুভাই! আমরা নাহয় মিষ্টিকে একটু ভুল বুঝেছিলাম৷ তাই বলে তুমি এতো বড় ডিসিশন নিয়ে নিবে? ”
আকবর খান বলল-
” তুই আমার ঘরের লক্ষ্মীকে নিয়ে কোথায় যাবি? ”
” সেটা তোমাদের আগে ভাবা উচিত ছিলো। আর কি বললে? ভুল! একই ভুল যে আবারও ঘটবে না তার কি গ্যারান্টি আছে? এই নিয়ে আমি আর কোনো কথা শুনতে চাইনা। আমি যা ডিসিশন নিয়েছি সেটাই ফাইনাল। ”
__________________
বারান্দায় মন মরা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে অবনি। আরশ ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো অবনি নেই। বারান্দায় গিয়ে দেখলো অবনি বারান্দায় গ্রিলের সাথে মাথা ঠেকিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে। আরশ অবনির কাছে গিয়ে বলল-
” মন খারাপ কেনো? বাড়ির ছেড়ে চলে যাবো বলেছি বলে? ”
অবনি নিজেকে স্বাভাবিক করে মাথা নাড়িয়ে না বোঝালো।
.
” তাহলে কেনো? ও আচ্ছা আমি ওইদিন স্টেজে গায়ে হাত তুলেছি বলে?”
অবনি সেখান থেকে চলে আসতে নিলে আরশ অবনির হাত টেনে নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে বলল-
” বিশ্বাস করো তোমার গায়ে হাত তোলায় যতোটা কষ্ট তুমি পেয়েছিলে তার চেয়ে অধিক কষ্ট আমি পেয়েছিলাম। আমি যা করেছি সবই পরিস্থিতির শিকার হয়ে করেছি। তা না হলে তুমি আমি দুজনেই বিপদে পড়তাম। ”
” আমি কিছু মনে করিনি। আপনি যে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন এটাই আমার কাছে অনেক। চলুন ঘুমাতে হবে। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে। ”
আরশ বুঝতে পারছে অবনির কোনো কারনে মন খারাপ। কিন্তু এই মুহুর্তে আরশ আর কথা বাড়ালো না। কারন এখন আপাতত আরশ বিদ্যুৎকে নিয়ে ভাবছে। তাকে হাতের কাছে পেলেই কিছুটা স্বস্থি ফিরে পাবে। তার ব্যবস্থা করেই অবনির অভিমান ভাঙাবে। এই মুহূর্তে অবনিকে নিয়ে আরশ বের হতে চায় না।
.
দুজনই শুয়ে পড়লো। তবে অবনির চোখে কেনো জানি ঘুম আসছেনা। আরশ ঘুমাতেই অবনি বিছানা ছেড়ে টেবিলে বসে কাগজ কলম নিয়ে একটা চিরকুট লিখলো। তারপর টেবিলে মাথা রেখেই কিসব ভাবতে ভাবতে অবনির চোখে ঘুম নেমে এলো।
.
সকাল বেলা আরশ ঘুম থেকে উঠে দেখলো অবনি পাশে নেই। আরশ ভাবছে হয়তো নিচে গেছে। তাই আরশ ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো। ফ্রেশ হয়ে আরশ টেবিল থেকে পানির গ্লাসটি নিতে গিয়ে দেখলো তার নিচে একটা চিরকুট রাখা। আরশ ভ্রু কুঁচকে চিরকুটটি হাতে নিলো।
#চলবে
( ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন। আমার পাঠক পাঠিকারা কতো ট্যালেন্ট আগেই ধরে ফেলেছিলো বিদ্যুৎতের মধ্যে গন্ডগোল রয়েছে 🥹🫶)