ফিঙের_ডানা পর্ব- ১৭

#ফিঙের_ডানা
পর্ব- ১৭

নতুন বাড়িটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো পেছনের টানা বারান্দা। বৃষ্টির সময় গ্রীলের ফাঁক দিয়ে পানির ছিটে আসতে থাকে। বারান্দায় টুল পেতে বসে থাকলেই হয়। বাইরে যেয়ে ভিজতে হয় না। বারান্দার পাশে একটা গন্ধরাজ গাছ। ফুলের সময়ে ঘ্রাণে ভরে যায় জায়গাটা। তারপর একটা কামিনী ফুলের গাছ। ফুল ফুটলে গাছের নিচের কালো মাটি সাদা হয়ে যায়। এই বারান্দাটা আমার এত পছন্দ যে দিনের বেশিরভাগ সময় এখানেই কাটিয়ে দেই।

মোবাইল ব্যবহারের অভ্যাস এতদিন ছিল না, এখনো তেমন টানে না। লিলি ফেসবুক একাউন্ট খুলে দিয়েছে৷ বন্ধুদের সাথে নতুন করে ভার্চুয়ালি বন্ধু হয়েছি। তাদের রঙঢঙ মার্কা ছবি আর ন্যাকা স্ট্যাটাস দেখে সময় নষ্ট করতে ইচ্ছে করে না। মাঝে মাঝে ফোন হাতে নিলে সোহানের ফেসবুক আইডিতে যাই। এই ফেসবুকে না এলে জানতেই পারতাম না সে এত পপুলার। ফেসবুকে ছোট ছোট কবিতা লেখে। তাতেই এত লোক পাগল। বিশেষ করে মেয়ে। দু’দিনেই বুঝে গেলাম ওর বিয়ের কথা যদি সবাই জানতে পারে তাহলে সত্যি এই ফলোয়াররা কষ্ট পাবে। প্রচুর মেয়ে আছে ওর বন্ধু তালিকায়। সবাই ওকে পছন্দ করে। ওকে নাকি ওর কবিতা? কে জানে! ফেসবুকে দেয়া ছবিগুলো মারাত্মক সুন্দর। দেখলে বুকে ব্যথা করে। নিজেরই বিশ্বাস হয় না এই মানুষটার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। প্রায়ই ভাবি, একটা মানুষের এত গুণ না হলেও পারত। একটা দুটো গুণ আমাকে দিলে কী এমন ক্ষতি হতো?

আমি কবিতা অত বুঝি না। তবু তার লেখা একটা কবিতা আমার ভীষণ প্রিয়। কেন যেন মনে হয় আমাকে নিয়েই লেখা। অনেক আগের কবিতাটা। সময়টা তখনকার, যখন আমরা প্রথম ওই বাড়িতে উঠেছিলাম।

“ক্যানভাসে এখন আর রঙ মাখতে পারি না
তোমার চোখের তারারা সব রঙ শুষে নিয়েছে
ওই চোখে ডুব দিয়ে একটা জীবন কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে হয়
তুমি বোঝো না!
কাছে গেলে এড়িয়ে যাও।
তুমি কি জানো?
তোমার জানার সীমানার বাইরে ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর আছে;
রাতদিন তাতে হ্যাজাক বাতি জ্বলতে থাকে।
একটা ক্যানভাসে ফুরিয়ে আসা পেন্সিলে একটা মুখ আঁকা হয়
মুখটা দেখতে অবিকল তোমার মতো!
হয়তো সেটা তুমিই।
তোমার চুলের গন্ধের মতো
একটা ফুলের গন্ধ আছে
কুড়ের পাশেই ফুলটা ফোটে
আমি তোমায় অনুভব করি।
পুরোপুরি তোমায় কবে পাব?”

নিজের একটা আশ্চর্য বিষয় খেয়াল করলাম, সোহানের ছবি বা কবিতায় মেয়েদের মন্তব্য দেখলে আমার খারাপ লাগে না। দু-একটা মন্তব্যে সোহান উত্তরও দেয়- ভালোবাসা রইল। আমার কিছু মনে হয় না। এক মেয়ে ওর প্রতিটা পোস্টে ‘আই লাভ ইউ’ লিখে রাখে। আমার হাসি পায়। এই আমার বন্ধুরাই তাদের প্রেমিক-প্রেমিকার ছবিতে কেউ লাভ রিয়েক্ট দিয়েও ঝগড়া করে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে বসে থাকে। আমার সন্দেহ হয়, আমার ভালোবাসা কি অন্যরকম নাকি তাদের তুলনায় কম?

সোহানের ছবিগুলো মোবাইলে সেভ করে রেখেছি। একটু পর পর বের করে দেখি। একটা ছবি আছে বিড়াল কোলে নেয়া। হাসিটা একদম প্রকৃতিক, ঠিক বাচ্চাদের মতো। ছবিটা এত ভালো লাগে! কতদিন ঘন্টার পর ঘন্টা আমি ছবিটার দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি নিজেও জানি না। ছবিটা ওয়ালপেপারে দিতে ইচ্ছে হয়। আবার লজ্জা লাগে। মা যদি দেখে ফেলে?

এই বাড়িতে আসার পর সময় গড়িয়ে গেছে বেশ অনেকদিন। আটটা মাস এখানেই কাটালাম। আমার দাদার বাড়ির মানুষ বিয়ের কথা জানার পর খুবই বিরক্ত হয়েছে। একেকজনের কথা শুনে মনে হয়েছে যেন তারা আমার জন্য ভেবে নিজেদের আয়ু ক্ষয় করে ফেলছে, অথচ আমি তাদের মনেও করি না৷ আমার আর মায়ের বেশি বাড় বেড়েছে। একা মেয়েমানুষ কতদিন থাকব তারা দেখে নেবে। আমার গায়ে লাগে না সেসব। বাবা মারা যাওয়ার পর প্রত্যেকের রূপ ভালো করে চিনে রেখেছি। এমনও ঈদ গেছে, আমার আর মায়ের নতুন জামা হয়নি। বাকি ভাইবোনেরা জামাকাপড়ের সাথে ম্যাচিং জুতো, কসমেটিকস কিনে ঘর ভরে ফেলেছে। বড় চাচা আমার জন্য জামা এনেছে, দেখা গেছে তার মেয়ে সেটা রেখে দিয়েছে। বড় চাচী আমাকে বলছে, “দেখ না, অনুর জামাটা অনেক পছন্দ হয়ে গেছে। ও এটা রাখুক, তোকে আরেকটা এনে দেবে।” আমি কিছুই বলিনি। বড়চাচা জানতেও পারেনি ঘটনা। নতুন জামা কোথা থেকে আসবে? সেই চাচী আমার হঠাৎ বিয়ের খবর শুনে আমার পর হয়ে যাওয়ার দুঃখে একদিন না খেয়ে ছিল এই কথা কে বিশ্বাস করবে? যাকগে সেসব কথা। বড়চাচা আমাকে দেখতে এসেছিলেন। সাথে এনেছিলেন একটা লাল টুকটুকে বেনারসি আর স্বর্ণের ঝুমকা। প্রায় কেঁদে ফেলে বলেছিলেন, “তোর কোনো দায়িত্বই তো পালন করতে পারলাম না। আমার ভাইটা আমাকে মাফ করবে না রে!”

সোহানের সাথে দেখা হয় প্রায়ই। সে কলেজে আসে, আমার ক্লাস শেষে খানিকক্ষণ বসে কথা বলি, কখনো ঘুরতে যাই এই…ওই বাড়িতে আমি আর যাইনি৷ সোহানের মা চলে গেছে। বাচ্চা দুটোকে আর রিশানকে দেখতে ইচ্ছে হয়। এইতো পাঁচ মিনিট লাগবে যেতে। মা বারন করে। শ্বশুরবাড়িতে নাকি হুটহাট যেতে হয় না। তান্নি আপু কিন্তু অনেক বলে। মা তাও রাজি হয় না।

সোহান যে রাত জেগে কথা বলার জন্য মোবাইল কিনে দিয়েছিল সেটা আর হয়ে ওঠে না তেমন। মাঝে মধ্যে আমি ফোন করি। সে অল্প কথা বলেই বলে ঘুমাও এখন, অনেক রাত হয়েছে। সত্যি তখন অনেক রাত। মা ঘুমানোর পর ফোন করতে হয়। মায়ের সামনে কথা বলতে জড়তা কাজ করে। সোহান যখন ফোন রাখে, আমি বারান্দায় চলে যাই। কখনো জ্যেৎস্নায় প্লাবিত রাত থাকে, কখনো বৃষ্টিস্নাত মেঘলা রাত, কখনো বা ঘুটঘুটে আঁধার। আমার সবই ভালো লাগে। সবকিছুতে কেমন একটা গন্ধ পাই। প্রেম প্রেম গন্ধ! মনে হয় সোহান আশেপাশেই আছে। না থাকা অস্তিত্বটা নিজের পাশে সবসময় আবিষ্কার করি। অনবরত মনে মনে কথা বলে যাই তার সাথে। মনের সোহান ঝগড়া করে না, শুধু ভালোবাসার কথা বলে। কী যে অদ্ভূত লাগে নিজেকে!

লিলির মিলি খালার বিয়ে হয়ে গেছে। খালা প্রতি মাসে একবার এখানে চলে আসে। দু’দিন থেকে যায়। কত যে গল্প তার! সব গল্প স্বামী, সংসার নিয়ে। আমি খালার আসার অপেক্ষা করি সারা মাস। তার গল্পগুলো নতুন করে চিন্তার খোরাক জোগায়। আমার সংসারটাও কি এরকম হবে? আমারও যদি দুটো জমজ বাচ্চা হতো? দু’জনই দেখতে সোহানের মতো হলে কী ভালো হতে! ওর ছবি দেখতে হতো না। ও যতক্ষণ বাড়িতে না থাকত আমি বাচ্চাদের দেখে ওকে দেখার সাধ মিটিয়ে নিতাম।

সারাদিন এসব ভাবতে ভাবতে রাতে স্বপ্নও দেখি। একবার ঘুমের ঘোরে কীসব যেন বলে ফেলেছিলাম। মা আমার অবস্থা বুঝে বলেছিল, “বাস্তব কল্পনার মতো এত সুন্দর হয় না রে! কক্ষনো হয় না!”

আমিও কথাটা জানি৷ কিন্তু ভালো কথা কল্পনা করতে দোষ কী? জীবনে কষ্টের দিকটাও কম দেখিনি। আবার কষ্ট এলে সয়ে নেব। তাই আসলেও আসতে পারে এমন দুঃখের কথা ভেবে মনের আনন্দ কেন নষ্ট করব?

এরকম আধপাগল অবস্থায় অনেকগুলো দিন কাটার পর একদিন জীবনে খানিক পরিবর্তন এলো।

আমি বিকেলে মুড়ি মাখছিলাম। কলেজ থেকে ফিরে লিলি চানাচুর কিনে আমাকে দিয়ে গেছে। গোসল করে এসে একসাথে খাব৷ আমি পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কেটে মুড়ি মাখতে মাখতে চা বসিয়ে দিলাম। আজ আবহাওয়া কেমন মরা মরা। রোদ ওঠেনি ভালোমতো। সারাদিন মন কেমন করছে।

দরজায় কড়া নড়ার শব্দে ভাবলাম লিলি এসেছে। আমাদের কাছে বলতে গেলে তেমন কেউই আসে না। বললাম, “দরজা ধাক্কাচ্ছিস কেন? খোলা আছে, চলে আয়।”

পরিচিত কন্ঠটা বলে উঠল, “ভদ্রলোকেরা নক না করে কারো বাড়িতে ঢুকে পড়ে না।”

আমার বুক কেঁপে উঠল। হাত থেকে মুড়ির টিন পড়ে গিয়ে মুড়ি ছড়িয়ে গেল। দ্রুত যেতে গিয়ে দেয়ালের সাথে ধক্কা খেয়ে কপালের একপাশ আহত হলো, চোখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করলাম। তার মাঝেই দরজার কাছে পৌঁছুলাম। সে এই অন্ধকার দিনেও সানগ্লাস পরে এসেছে। চোখদুটো দেখা যাচ্ছে না৷ কোনোমতে বললাম, “আসুন ভেতরে।”

সে ঢুকল। সোফায় গা এলিয়ে বসে বলল, “আছ কেমন?”

“ভালো। আপনি কেমন আছেন?”

“বেঁচে আছি। এই অবস্থা কেন তোমার?”

আমি নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি সত্যি অবস্থা খারাপ। হাতে তেল মরিচ লেগে আছে, গায়ে ওড়না একপাশের কাঁধ থেকে কোনোমতে ঝুলে আছে, চুলের বাঁধন খুলে ছড়িয়ে গেছে। বললাম, “ঠিক করে আসছি।”

সে কাছে এসে খপ করে হাত ধরে ফেলল। তারপর আমাকে টেনে নিয়ে সোফায় বসিয়ে চুলগুলো নিয়ে কী করতে লাগল আল্লাহ মালুম। তখনই লিলি গান গাইতে গাইতে ঢুকল। আমাদের অবস্থা দেখে প্রথমটায় বিরাট একটা হা করে তাকাল। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে সোহানের দিকে চেয়ে ফিক করে হেসে দিয়ে বলল, “হ্যাপি ডে! কিপ রোমান্সিং!”

বলে চোখ বুজে উল্টোদিকে দৌড়। যাওয়ার আগে দরজাটা ভিড়িয়ে দিতে ভুলল না৷ আমি লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেললাম। সোহান আরও পনেরো মিনিট চুল নিয়ে খেলার পর চুলগুলো বাঁধল। হেসে বলল, “দেখো বেনী করেছি৷ ফার্স্ট টাইম বেনী করলাম৷ কেমন হয়েছে?”

আমি হাসলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “কেন এসেছেন?”

সে কষ্ট পাওয়ার ভঙ্গিতে বলল, “শ্বশুরবাড়িতে আসলে বুঝি অনেক কারন দেখিয়ে আসতে হয়?”

আমার লজ্জায় নাকে ঝাঁঝালো অনুভূতি হতে লাগল। বললাম, “না তা নয়।”

“তাহলে? চা খাওয়াবে প্লিজ?”

“হুম আনছি।”

আমি দৌড়ে চা আনতে গেলাম। সে পেছন থেকে চেঁচালো, “আবার ধাক্কা খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিও না। ধীরেসুস্থে বানাও।”

আমি চা বানালাম। মুড়িটাও মেখে নিলাম। ঘরে বানানো দই ছিল, সেটাও নিলাম একটা পিরিচে। গিয়ে দেখি ঘরে প্যাকেটের ছোটখাটো একটা স্তুপ।

“এগুলো কী?”

“শ্বশুরবাড়ি আসলে আনতে হয়।”

“ওহ!”

সে মুড়ি মুখে দিয়ে বলল, “তোমার জন্য একটা শাড়ি এনেছি। ওইটা একটু পরে দেখো তো লাগে কি না।”

“শাড়ি না লাগার কী আছে?”

“আছে আছে। তুমি বুঝবে না। পরতে বলেছি পরো না।”

“এখন না।”

“এখনই। না লাগলে ফেরত দিতে হবে তো। যাও যাও, কুইক!”

আমি একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে শাড়ির প্যাকেট খুললাম। আকাশী নীল রঙের জামদানী। সোনালী পাড়টার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে হয়। আমি সোনালী ব্লাউজ দিয়ে শাড়িটা পরে এলাম।

আসতেই সোহান বলল, “পারফেক্ট!”

ততক্ষণে তার খাওয়া হয়ে গেছে। নিজের আনা একটা প্যাকেট খুলল৷ সেখানে একটা হালকা গোলাপী লিপস্টিক, এক পাতা কালো টিপ আর আর্টিফিশিয়াল ফুলের কিছু গয়না৷ নিজেই সেসব পরিয়ে দিল আমায়। চুলগুলো খুলে দিল। তারপর সন্তুষ্ট মুখে বলল, “একদম ঠিকঠাক।”

তার মতে ‘একদম ঠিকঠাক’ হওয়ার পর সে আমায় দাঁড় করিয়ে পটাপট কয়েকটা ছবি তুলে নিল। ছবি তোলার ফাঁকে ঘরের স্বল্প আলোকে বকল, আজকে মরা দিনটাকে বকাবকি করল, একবার আমাকে ধমকে দিল তার পছন্দমতো ভঙ্গিমায় দাঁড়াতে পারিনি বলে।

অবশেষে গোটা পঞ্চাশেক ছবি তোলার পর দুটো তার মনমতো হলো। ছবি তোলা শেষে শান্ত হয়ে বসল। কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলল। সন্ধ্যা নামার একটু পরে বলল, “এখন যাব।”

আমার চোখে পানি চলে এল। বললাম, “এখন না। খেয়ে যাবেন। আমি এক্ষুনি রান্না চড়াচ্ছি।”

সে আমার কথা পাত্তা দিল না। উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “একটু এদিকে এসো তো।”

আমি কাছে যেতেই কানের কাছে মুখ এনে বলল, “গতরাতে স্বপ্ন দেখলাম তোমাকে। স্বপ্নটা পুরো শেষ হওয়ার আগেই ঘুমটা ভেঙে গেল। তোমাকে দেখতে কী যে ইচ্ছে করছিল! তোমার একটা ছবিও নেই আমার কাছে। তারপর কল্পনা করতে শুরু করলাম তোমায়। ঠিক এভাবে। এরকম শাড়ি পরে, এভাবে সেজে। তখনই ঠিক করেছি এরকম করে তোমার ছবি তুলব। সেজন্য আজ আসা। যাই এখন। যতদিন ঘুম ভেঙে সত্যিকার তোমাকে দেখার সুযোগ না হচ্ছে, ততদিন এই ছবিই ভরসা৷ আর হ্যাঁ, শাড়িটা বদলে ফেলবে এখুনি। এটা শুধু আমার জন্য হুম?”

সোহান চলে যাওয়ার পর আমি নড়তেও ভুলে গেলাম। আমার মন বার বার বলছিল, “ওকে বল, আমাকে নিয়ে যাও তোমার সাথে।” বলা আর হয়নি।

(চলবে)

[কবিতা লিখতে না পারা আমি পাঁচ মিনিটে কবিতাটা লিখে ফেলার পর কেমন খুশি খুশি লাগছে। এটা আদৌ কবিতা হয়েছে কি না জানাবেন। এতদিন পর গল্প পেয়ে কেমন লাগছে? ভালো হচ্ছে তো?]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here