ফেরারি প্রেম পর্ব -৪

#ফেরারি_প্রেম
#পর্ব_৪
#নিশাত_জাহান_নিশি

“তবুও নিজের বোনের দোষটা স্বীকার করবেন না তাইনা? তার বোকামিকে বড়ো করে দেখবেন না? নিজের বেলায় ষোলো আনা আর পরের বেলায় এক কানা কড়িও না?”

অসময়ে নীহারিকার এহেন উস্কানিমূলক কথা বার্তায় পূর্বের তুলনায় আরও অধিক তেঁতো গেল রূপল! নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে সে তার ডান হাতটি তুলে ফেলল নীহারিকার গালে ঠাস করে চ’ড় মারার জন্য! রূপলের এই অপ্রতিরোধ্য ভয়ঙ্কর কাণ্ড দেখে অতি আশ্চর্যিত হয়ে নীহারিকা তার মুখে হাত দিয়ে ফেলল। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রকাণ্ড চোখে সে রূপলের দিকে তাকিয়ে রইল। পরক্ষণেই দাঁতে দাঁত চেপে রূপল তার হাতটি নামিয়ে ফেলল! জেদ দমন করতে না পেরে সে ঝাঁজালো গলায় বলল,

“বুদ্ধির আগেই আপনার জবান চলে বেশী! শুনতে পাননি তখন পিয়াসা কী বলছিল? সেদিন অমি তার সাথে খারাপ কিছু একটা করেছিল যা সে আমাকে মুখ খুলে বলতে পারছেনা। যা জানেন না তা নিয়ে এত কথা বলতে আসেন কেন? পিয়াসার সাথে যা ঘটছে তা মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর পেছনেও অনেক ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে! যেহেতু আমার কিংবা আমার পরিবার ঘটিত সব বিষয়ে আপনার জানা নেই সেহেতু এখানে আপনার নাক গলানোরও কোনো প্রয়োজন নেই।”

বলেই রূপল হনহনিয়ে নীহারিকার সামনে থেকে প্রস্থান নিলো। রূপলের যাওয়ার পথে তাকিয়ে নীহারিকা নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। রূপলের প্রতিটি কথা সে মাথায় ঢুকিয়ে তব্ধ শ্বাস ফেলল! আকাশ কুসুম ভেবে বিড়বিড়িয়ে বলল,

“আমি কী সত্যিই বেশী বাড়াবাড়ি করছি? কিন্তু মিস্টার রূপলকে কীভাবে বুঝাই আমি সম্পূর্ণ সত্যিটা জানতে চাই। আদারওয়াইজ ভাবি এবং ভাইয়ার ডিভোর্সটা আমি আটকাতে পারব না! মা আর বাবা যেভাবে তাদের ডিভোর্সের পেছনে ওঠে পড়ে লেগেছে এনি টাইম তাদের ডিভোর্সটা হয়ে যেতে পারে! পিয়াসা ভাবিও যা আলাভোলা! তাকে যা করতে বলা হবে সে তাই করবে। নিজের অধিকার নিজে বুঝে নিবেনা। এই দুইদিনে যা বুঝলাম ভাবি অত্যন্ত সরল এবং বোকা মনের মানুষ। তার একটু বোকামির জন্য আজ কতকিছু ঘটে গেল। হয়ত একটা নির্দোষ ছেলে মা’র খেলো। নিজের জীবনটাকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলো। কিন্তু আমি চাইনা তাদের ডিভোর্সটা হোক! সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাদের নতুন সংসারটা এভাবে ভেঙে যাক। আমি চাই সব সত্যি সামনে আসুক। পিয়াসা ভাবি পাপ মুক্ত হোক। আর এর জন্য মিস্টার রূপলকে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কথা বের করতে হবে আমার। এবার তিনি আমাকে ভুল বুঝলেও কিছু করার নেই আমার!”

রাত আটটায় অপারেশনের টাইম ফিক্সড করা হলো। এই দিকটার সব কাজ সামলে রূপল অমির জবানবন্দি নেওয়ার জন্য রওনা হলো। নীহারিকা ও এই সময় ইচ্ছে করে রূপলের আশেপাশে ঘুরছিল। রূপলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য। তড়িঘড়ি করে রূপল যেইনা হসপিটাল থেকে বের হতে যাবে অমনি নীহারিকা ছুটে এসে রূপলের মুখোমুখি দাঁড়ালো। হাঁপিয়ে ওঠা গলায় বলল,

“এই কোথায় যাচ্ছেন আপনি?”

যাত্রাপথে বাঁধা পড়ে যাওয়ায় বিরক্তবোধ করল রূপল। তিরিক্ষিপূর্ণ গলায় বলল,

“আপনাকে বলে যেতে হবে কোথায় যাচ্ছি?”

“হুম। কারণ, আমি আপনার সাথে যেতে চাই।”

“হোয়াট?”

“এত হাইপার হওয়ার কিছু নেই। আমি জানি আপনি অমি ভাইয়ার কাছে যাচ্ছেন। ফোনে কথা বলতে শুনেছি। প্লিজ আমাকেও নিয়ে যান। আমিও সত্যিটা জানতে চাই।”

ধৈর্য্য হারিয়ে রূপল কড়া গলায় বলল,

“আরেহ্ কী আজব। সত্যিটা জানার তো কোনো প্রয়োজন-ই নেই। আগা গোঁড়া তলিয়ে না দেখেই যেহেতু আপনারা শুরু থেকেই ডিভোর্স চেয়ে এসেছেন সো আমরাও রাজি আপনাদের এই সিদ্ধান্তে! এখানে আর সত্যি মিথ্যা যাচাই করার কিছু নেই।”

“আছে! ডিভোর্স বলে দিলেই তো হয়ে গেল না। রাগের মাথায় তো মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার উপরও অভিযোগ করে! সেখানে ডিভোর্স তো খুবই সামান্য ব্যাপার। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? ভাইয়া কতটা ঘাবড়ে গেছে ভাবির অপারেশনের কথা শুনে? আমি সেই তখন থেকে লক্ষ্য করছি ভাইয়া কেমন মনমরা হয়ে আছে। ভাবির বেডের দিকে কাতর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হয়ত ভাবছে কখন ভাবির জ্ঞান ফিরবে। আর কখন ভাইয়া ভাবির সাথে একটু কথা বলতে পারবে। যেখানে ভাইয়া ভাবির প্রতি এতটা দুর্বল হয়ে গেছে সেখানে আমি বা আমার পরিবার হাজার ডিভোর্স ডিভোর্স বলে চ্যাচালেও লাভ কিছু হবেনা এতে! তাই আমি চাই সত্যিটা জানতে। আমি চাই সবাই সবার দিক থেকে শতভাগ পরিষ্কার থাকুক। সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য এই দিকটা ভীষণ জরুরি।”

“কিন্তু আমার মনে হয়না এই সম্পর্কটাকে আদো জিইয়ে রাখা উচিৎ! যেখানে আপনার পরিবার চায়না সম্পর্কটা টিকে থাকুক। ইভেন আপনার মা-বাবা তো লিটরেলি আমার বোনের দোষটাই দেখে যাচ্ছে। সেখানে কীভাবে সংসারটা টিকে থাকার আশা করা যায়? এতে বরং রোজ রোজ অশান্তি হবে। আমি চাইনা ভবিষ্যতে আমার বোন কারো খোঁটা শুনুক! কারো দয়ায় বেঁচে থাকুক।”

বলেই রূপল নীহারিকাকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে হাঁটা ধরল। কিছু একটা ভেবেচিন্তে রূপল আবারও পিছু ফিরে তাকালো! গম্ভীর গলায় নীহারিকাকে সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে সে বলল,

“আসুন। আমার বোন আপনাদের সংসারে থাকুক বা না থাকুক সত্যিটা ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন।”

মৃদু হাসল নীহারিকা। ছুটে গেল সে রূপলের কাছে। সন্তোষজনক গলায় বলল,

“থ্যাংকস রূপল। আপনি আমার কথাটা বুঝতে পেরেছেন।”

দুজনই হসপিটাল থেকে বের হয়ে গেল। বাইকে চড়ে তারা অমির হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল। অমিকে একটি সরকারি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। যেখানে চিকিৎসার মান তুলনামূলক ভাবে অনুন্নত। মূলত অমিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই সরকারি হসপিটালটিকে বেছে নেওয়া তার! তবে অমির ক্লাস নেওয়ার জন্য রূপল আলাদা একটি কেবিন ভাড়া করেছে।

রূপলের পিছু পিছু হেঁটে নীহারিকাও অমির কেবিনে ঢুকে পড়ল। রূপলকে দেখামাত্রই অমির মা-বাবা দাঁড়িয়ে পড়ল। করুন দৃষ্টিতে তারা রূপলের দিকে তাকিয়ে রইল। আকাশ এবং সজল এসে রূপলের মুখোমুখি দাঁড়ালো। দুজনই চিন্তিত গলায় রূপলকে শুধালো,

“আপু এখন কেমন আছে ভাইয়া?”

বিষণ্ন গলায় রূপল বলল,

“ভালো না।”

মিইয়ে আসা গলায় সজল বলল,

“অপারেশন কখন?”

“রাত আটটায়।”

মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে পড়ল আকাশ এবং সজল। তাদের মন খারাপ হওয়ার কারণ বুঝতে পেরে রূপল তাদের শান্তনা দিয়ে বলল,

“আরে শান্ত হ। মন খারাপ হওয়ার কিছু নেই। ইনশাআল্লাহ্ আমাদের বোন সুস্থ স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কাছে ফিরে আসবে।”

রূপলের কথায় ভরসা পেল দুজন। স্বস্তির শ্বাস ফেলে রূপলের দিকে তাকালো। দুই ভাইকে শান্ত করে রূপল এবার অমির মা-বাবার মুখোমুখি দাঁড়ালো। হাতের ইশারায় তাদের চেয়ারে বসতে বলল। তারাও কাতর হয়ে চেয়ারে বসে পড়ল। ভাঙা হাত-পা নিয়ে অমি রূপলের ভয়ে ইন্তেজার হয়ে বিছানায় পড়ে রইল! চেয়ার টেনে রূপল অমির মা-বাবার মুখোমুখি বসল। তাদের দিকে কঠিন প্রশ্ন ছুড়ে বলল,

“কেমন লাগছে হুম? ছেলেকে এই আ’হ’ত অবস্থায় দেখে?”

অমনি অমির মা চোখের জল ছেড়ে দিয়ে বললেন,

“আমি জানিনা বাবা। আমার ছেলে কী করেছে। ঠিক কী কারণে তার আজ এই অবস্থা। গ্রাম থেকে ছেলেকে শহরে পাঠিয়েছি পড়াশোনা করার জন্য। কিন্তু ভাবতে পারিনি শহরে এসে আমার ছেলের আজ এই অবস্থা হবে। লোকের হাতের মা’র খেতে হবে!”

“শুধু তাই নয় আন্টি। আপনার ছেলে তো এখন নেশাও করে! কলেজের বড়ো বড়ো নেতাদের সাথে থেকে গু’ন্ডা’মিও করে। লোকের পিছনে পিছনে ষ’ড়’য’ন্ত্রও করে। মেয়েদের সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে! বিশ্বাস না হয় তো জিজ্ঞেস করুন না আপনার ছেলেকে সে আমার বোনের সাথে কী করেছে?”

ছেলের কুকীর্তি শুনে অমির বাবা এবার বেশ তেঁতো ওঠে অসুস্থ অমিকে জিজ্ঞেস করলেন,

“কী শুনছি এসব অমি? ছেলেটা যা বলছে তা কী সত্যি অমি? ছেলেটার বোনের সাথে তুই কী করেছিস?”

ভয়াল গলায় অমি ছোট ছোট আওয়াজে বলল,

“আমি উনার বোনের সাথে সত্যিই কিছু করিনি আব্বা! আমিতো উল্টো পিয়াসাকে ভালোবাসতাম। বরং পিয়াসা আমাকে ভুল বুঝে দুইমাস আগে আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে! সম্পর্কটা ভেঙে দিয়েছে।”

কথার জালে অমিকে এবার চেপে ধরল রূপল! দাঁতে দাঁত চেপে রূপলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,

“বল পিয়াসা তোকে কেন ভুল বুঝে দূরে সরে গিয়েছিল?”

“পিয়াসা ভেবেছিল আমাদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে! ভেবেছিল আমি তার জুসের সাথে কিছু খাইয়ে তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছি। যদিও প্ল্যান এটাই ছিল! কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি তা করতে পারিনি রূপল ভাই! পিয়াসার ক্ষতি আমি করতে পারিনি। হয়ত তাকে সত্যিকারের ভালোবেসে ফেলেছিলাম তাই!”

“কে তোকে এই কাজ করতে বলেছিল বল?”

চুপ হয়ে গেল অমি। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সে। রূপলের মাথা এবার আরও গরম হয়ে গেল। সে অসুস্থ অমিকে আরও মারধর করতে গেল! পেছন থেকে নীহারিকা এসে টেনে ধরল রূপলকে! উত্তেজিত গলায় বলল,

“আরে কী করছেন কী আপনি? প্লিজ থামুন। এটা একটা হসপিটাল। এখানে অহেতুক ঝামেলা করা যাবেনা।”

অমির মা-বাবা অমিকে দুদিক থেকে জাপটে ধরলেন। কাঁদতে কাঁদতে অমিকে তারা বললেন,

“সত্যিটা স্বীকার করে দে বাপ। তাহলে আর ছেলেটা তোকে মা’র’বে না।”

দোটানায় ভুগে অমি চোখের জল ছেড়ে বলল,

“সত্যিটা বললে আমাকে আরও আগে ম’র’তে হবে মা!”

শান্ত হয়ে এলো রূপল। বুঝতে বেশী বেগ পেতে হলোনা এটা কার কাজ! সঙ্গে সঙ্গেই রূপল অমিকে ছেড়ে দিলো। অমির মা-বাবাকে বলল যত দ্রুত সম্ভব অমিকে নিয়ে তাদের গ্রামের বাড়ি ফিরে যেতে। এখানের ঝামেলা সেরে হসপিটাল থেকে রূপল, নীহারিকা, আকাশ এবং সজল একসাথে বের হয়ে এলো। সজল এবং আকাশ একটি রিকশা করে পিয়াসাকে দেখার জন্য হসপিটালে চলে গেল। রূপল এবং পিয়াসাও বাইকে ওঠে হসপিটালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেল। সব জেনেও রূপলের হঠাৎ চুপ হয়ে যাওয়াকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারল না নীহারিকা। বেশ কৌতূহলী ভাব নিয়ে নীহারিকা রূপলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,

“আচ্ছা? আপনি হঠাৎ থেমে গেলেন কেন? এখন তো সব ক্লিয়ার হয়ে গেল যে পিয়াসা ভাবি এবং অমি ভাই নির্দোষ। আই গেইস আপনি এটাও জানেন এখানে আসল কার্লপ্রিট কে! সব জেনেও আপনি চুপ করে আছেন কেন? তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নিবেন না?”

“আপাতত না! সব জায়গায় অ্যাকশন নেওয়া যায়না। সবার জীবনেই কিছু দুর্বল জায়গা থাকে, আমরা চাইলেও সেই দুর্বল জায়গাগুলোতে আঘাত করতে পারিনা! এতে আমাদেরই ইমোশন হার্ট হয়!”

রূপলের কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারল না নীহারিকা। এই মুহূর্তে রূপলকে ঘাটাতেও ইচ্ছে হলোনা তার। তাই বিরক্তি স্বরূপ সে রূপলকে একটা ভেংচি কেটে রাস্তার ডানে বায়ে তাকালো। বিশাল বড়ো জ্যাম পড়ে গেছে সামনে। প্রাইমারী স্কুল ছুটি হয়েছে সবে। এই সময় এই রাস্তাটিতে লম্বা জ্যাম পড়ে যায়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তখন রাস্তা পাড় হয়ে যায়। স্কুলের গেইট বরাবর রাস্তার পাশ ঘেঁষে রূপল জ্যাম ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করছিল। বিশাল বড়ো এই জ্যাম দেখে নীহারিকা তিক্ত গলায় বলল,

“ধ্যাত। এরচেয়ে ভালো হেঁটে চলে যাওয়া। না জানি ঐদিকে ভাবির কী অবস্থা। ছাতার জ্যাম এখনই লাগতে হলো?”

রূপল আছে তার নিজের খেয়ালে ব্যস্ত। নীহারিকার বকবকানি শোনার সময় নেই তার। ভেতরে ভেতরে কিছু করতে না পারার ক্ষোভে সে ফেটে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে নিজেকে তার পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় ছেলে বলে মনে হচ্ছে! রূপলের এটেনশন না পেয়ে নীহারিকা এবার অস্বস্তি নিয়ে স্কুলের গেইট বরাবর তাকাতে অমনিই খেয়াল করল একটি চার/ পাঁচ বছরের ছোট্টো মেয়ে তার মায়ের হাত ধরে দৌঁড়ে আসছে তাদের দিকে! চোখে মুখে তার হাসিখুশি যেন উপচে পড়েছে। মেয়েটির মা ও মেয়েটিকে সামলে রাখতে পারছে না। এতটাই উচ্ছ্বসিত সে! রূপলকে উদ্দেশ্য করে ছোটো মেয়েটি বলল,

“বাবা বাবা!”

ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল নীহারিকা। উদ্ভট দৃষ্টিতে সে মেয়েটির দিকে তাকালো। পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সে তার ডান হাতের একটি আঙুল দ্বারা রূপলকে ইঙ্গিত করে মেয়েটিকে ইশারায় বলল,

“তুমি কী তাকে ডাকছ?”

মেয়েটিও মিষ্টি হেসে মাথা দুলিয়ে বলল,

“হুম!”

মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো নীহারিকার! হতভম্ব হয়ে সে বিড়বিড়িয়ে বলল,

“হায় আল্লাহ্! এই বান্দায় আবার বিয়ে করল কবে? এত বড়ো বাচ্চাও আছে তার? অথচ আমরা এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না! না-কী চাচা, মামা টাইপ কিছু হবে?”

#চলবে…?

[বাচ্চাটি কে গেইস করুন সবাই। আর ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত গল্পটির পাশে থাকুন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here