💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Riders special Part – 23
_____________________________
23,,,,
চারদিকে থমথমে পরিবেশ।
কেউ কোনো কথা বলছে না ,,,,,
খাবার গুলো প্রায় ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু এতে কারো কোনো ইন্টারেস্ট ই নেই।
বেশ কিছুক্ষণ পর জিহান বলে উঠলো
– দাদা ভাই। তুমি পরি কে পিচ্ছি কাল থেকে পছন্দ করো।
জিহানের কথা তে নীল মুচকি হাসলো।
সবাই হৈ হৈ করতে লাগলো।
নিশাত বলল
– এর জন্য ই তো রূপার মতো সুন্দরী মেয়ে তোর পেছনে ঘুরঘুর করলে ও তুই তেমন পাত্তা দিতো না।
নীল মুচকি হেসে বলল
– ভালোবাসা দমকা হাওয়ার মতো।
হঠাৎ করেই শুরু হয়ে যায় ,,,,
ভালোবাসাতে তীব্র যন্ত্রণা থাকলে ও দিন শেষে স্বস্তি পাওয়া যায়।
সকল ক্লান্তি দূর হয়ে যায় নিমিষেই।
নবম শ্রেণীতে পা দেওয়ার পর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অব্দি রিলেশন তো কম করি নি।
কিন্তু কাউকে ছুঁইয়ে দেখা তো দূরে থাক একবার ভালো করে চোখের দেখা ও দেখি নি।
সবার সাথে ফ্রেন্ড এর মতোই ছিলাম।
তবে পরি কে দেখার পর জীবনে কারো প্রতি মোহ ও আসে নি ,,,, ওর প্রতি যে মায়া তে পড়েছি সেটার জন্য আমার ইচ্ছে করে হাজার বছর বাঁচতে।
মেয়েটাকে বড্ড বেশি ভালো বাসি রে,,,, বড্ড বেশি।
নীলের কথা সবাই বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনছে।
এমন ভালোবাসা সত্যিই পাওয়া খুব কঠিন।
যে যত বাজে ই হোক না কেন দিন শেষে সবাই চায় একটু স্বস্তি।
আর তার অন্যতম মাধ্যম হলো ভালোবাসা।
রনি টেবিলে দু হাত গুঁজে বসে ছিলো।
রনি নিজেকে সোজা করে বলল
– তাহলে মেয়ে টাকে এতো কেন কষ্ট দিলি ?
আমরা সবাই দেখেছি পরি তোকে কতো ভালোবাসে।
টুর এ গিয়ে টুর ইনজয় না করে শুধু তোর সাথে কথা বলেছে।
হাজার হাজার ম্যাসেজ দিয়েছে ,,,,,,
সারাক্ষণ তোকে নিয়ে মেতে থেকেছে।
পরি না বললে ও যে কেউ বুঝতে বাধ্য ও তোকে ভালোবাসে খুব বেশি ভালোবাসে ।
রনির কথা গুলো বুকে গিয়ে লাগলো নীলের।
সত্যি ই খুব বেশি কষ্ট দিয়েছে পরি কে।
অন্য কোনো উপায় ও ছিলো ,,,, কিন্তু নীল তখন বুঝে উঠতে পারে নি।
অপরাধীর মতো তাকিয়ে নীল বলল
– তখন বুঝে উঠতে পারি নি রে।
অনিক মৃদু হেসে বলল
– সমস্যা নেই ব্রো আল্লাহ্ তোদের কে আলাদা করতে দেয় নি।
উনি চেয়েছেন তাই হয়েছে এখন মন খারাপ করিস না।
আর পরির থেকে দূরে থেকে তুই নিজে কতোটা কষ্টে ছিলি আমি তো দেখেছি তাই না।
এখন যা হবে সব ভালো হবে।
অনিকের কথা তে সবাই সায় দিলো।
হঠাৎ নীলের ফোন কল বেজে উঠলো নীল ফোন রিসিপ করে কথা বলল।
নীলের চোখ দুটো খুশিতে ঝলমল করে উঠলো।
নীল ফোন রাখতেই সবাই জিজ্ঞাসা দৃষ্টি চেয়ে রইলো।
নীল ফোন থেকে কিছু একটা বের করে সবাই কে দেখালো।
সবার মুখেই খুশির ঝলকানি।
নীল মৃদু হেসে শান্ত স্বরে বলল
– এর জন্য ই রে।
আমার জন্য পরির জি এস সি রেজাল্ট খারাপ হয়ে ছিলো।
সারাক্ষণ আমাকে নিয়ে পড়ে থাকতো মেয়েটা।
ছোট থেকে স্বপ্ন মেডিকেল পড়বে ,,,,, অনেক আশা ওর।
আমার খানিকটা কষ্টের জন্য পরির স্বপ্ন কি করে ভেঙে দেই বল ?
আমার আগে ওর স্বপ্ন ওর জীবনে এসেছে।
আমি ওকে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি ,,আমার দায়িত্ব তো ওর সব স্বপ্ন পূরন করা।
আর আমি ও এড়িয়ে যেতে চাই না রে।
সবাই খুশি হয়ে বলল
– কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট তো কাল কে দেওয়ার কথা ।
আজ কি করে পেলি?
নীল ডেবিল হেসে বলল
– সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম।
রেজাল্ট কনফার্ম হলেই যেন আমাকে জানিয়ে দেয়।
আর কালকে পরি কে সারপ্রাইজ দিবো ,,,,,,
রিহান বলল
– দাদা ভাই ভাবি তো গোল্ডেন প্লাস পেয়ে গেল এখন বলো এর জন্য কি ট্রিট দিবা।
নীল – বল তোদের কি চাই।
সবাই একযোগে বলল
– সত্যি তো ।
নীল হেসে বলল
– আরে হ্যাঁ
রিহান কিছুক্ষণ ভেবে
বলল
– আমরা শপিং করবো যার সমস্ত বিল তুমি পে করবে।
কি সবার চলবে তো?
সবাই তালি দিয়ে বলল
– চলবে না দৌড়াবে।
নীল মুচকি হেসে বলল
– হয়েছে এবার খাবার টা শেষ করুন।
খাবার তো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে,,,,,
______________________
সন্ধ্যার দিকে মেহমানরা যে যার বাসায় ফিরে গেছেন।
দুদিন পর নীলের নানা বাড়ির লোকজন আসবেন।
আপাতত বাসা টা ফাকাই বটে ,,,,,,,,
বিশাল বড় বাড়ি নীলদের ,, কিন্তু পরির ঘোরা হয় নি।
এই অবস্থা তে ঘোরা টা অবশ্য শোচনীয় ও নয়।
পরি নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে আছে।
পরিবারের কথা মনে পড়ছে খুব ,,,,
ইসসস তারা কেমন আছে?
তারা কি খুব রেগে আছে নীলের উপর ?
যখন নীলের সব ডিটেলস পেয়ে যাবে তখন কি তাদের আলাদা করে দেওয়া হবে ?
আচ্ছা নীলের কোনো ক্ষতি করবে না তো ?
হাজারো চিন্তা মাথায় ভর করে আছে।
পরির বাবা উচ্চ বৃত্ত মানুষ,,, ভালোই চেনা জানা আছে।
নীলের অবস্থা ও ভালো ,,,, কিন্তু গত তিন বছরের ব্যবধানে যে বিশাল মাপের বাড়ি পরি দেখতে পাচ্ছে তাতে নীলের পাওয়ার বেশ ভালো তা বোঝাই যাচ্ছে।
কিন্তু তা ও যদি নীলের কোনো ক্ষতি করে দেয় ?
নীলের কথা ভাবতেই পরির বুকের ভেতর ছ্যাত করে উঠলো।
পরি আচমকাই কাঁদতে লাগলো।
পরি একটু কাঁদলেই হিচকি উঠে যায় সাথে নাকের ডগা লাল হয়ে যায়।
নীল সন্ধ্যার পরে বাড়ি ফিরেছে।
সেই দুপুরে পরি কে দেখেছিলো,,, একনজরে দেখার জন্য মন উসখুস করছে তার।
নাহহ এই মুহূর্তে ই পরি কে দেখা লাগবে।
নীল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে টাইম দেখে নিলো।
8 টা বাজে ,,,,, অতএব পরি নিজের রুমের আছে।
কারন হাফসা যে কোর্স করছে তাতে সাড়ে সাতটার থেকে অনলাইন এ সেই ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।
নীল সব কিছু মিলিয়ে উপরে উঠে গিয়ে পরির রুমের দিকে পা বাড়ালো।
রুমের দরজা টা হালকা ভেজানো ,,,,, নীল নক না করেই ভেতরে ঢুকতে গেল কিন্তু পরক্ষণেই নক করলো।
হাজার হোক নিজের বউ ,,, পরি এখনো স্বাভাবিক নয়।
পরির সাড়া না পেয়ে নীল ভ্রু কুঁচকে রুমে ঢুকল।
রুমে ঢুকে চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিলো।
পরি কে দেখতে পেল না ,,, বারান্দার দরজা খুলা দেখে নীল বারান্দায় গেল।
পরি পেছন ঘুরে আছে ,,,,, মাঝে মাঝেই হিচকি উঠছে।
নীল পরির কাছে গিয়ে পরির কাঁধে হাত দিতে গিয়ে হাত সরিয়ে নিলো।
মুচকি হেসে পরির দু বাহু ধরে ঘুরিয়ে দিলো।
পরির মুখ টা দেখে নীলের বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠলো ।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেঁদেছে ,,,,,
নীলের মনের ভেতর অজানা আশংকা কাজ করছে।
নীল কি তবে পরি কে জোর করে ফেলেছে ?
কোনো ভুল হলো না তো ?
পরি যে নীল কে ভালো বাসে এতে সন্দেহ নেই।
কিন্তু এই মুহূর্তে বিয়ে করে নেওয়ার জন্য পরি কষ্ট পায় নি তো ?
নাকি বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য,,,,,
নীল আর ভাবতে পারলো না।
পুরু পৃথিবী যেন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে,,,, নীল নিজেকে সামলে নিলো।
পরি কে নীল ভালোবাসে ,, পরি যা চাইবে তাই হবে।
নীল শুকনো ঢোক গিলে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল
– পরি কাঁদছো কেন ?
তুমি কি কষ্ট পেয়েছো ?
আচ্ছা যদি তাই হয় তো আমি কাল ই তোমাকে তোমার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসবো।
তোমার কাছে আর যাবো না আমি ,,,, তবু ও প্লিজ কোঁদো না।
এই কথা গুলো বলার সময় নীলের গলা ধরে আসছিলো।
নীল কি করে থাকবে পরি কে ছাড়া ?
নীলের মুখে আষাঢ় এর কালো মেঘ চলে আসলো।
বড্ড কষ্ট হচ্ছে,,,,, বুকের ভেতর একরাশ ক্লান্তি আর কষ্ট ঘোরা ফেরা করছে।
পরির হিচকি থামছে না ,,,,, নীল পরির দু বাহু ছেড়ে বলল
– কেঁদো না পরি আমি তোমাকে কাল ই পৌছে দিবো।
প্লিজ পরি ,,,,,,,
এই টুকু বলেই নীলের পা থরথর করে কাঁপছিল।
কাঁপা শরীরে নীল চলে যেতে নিলেই পরি নীলের শার্টের হাতা খামচে ধরে।
পরির চোখ দুটো ঝলঝল করছে ,,,,,,,,,
নীল পরির মুখে হাত দিয়ে বলল
– কি হয়েছে বলো আমায়।
পরির হিচকি নিয়েই বলল
– আপপপনি যাবেন না।
আমমমি চাই না যেতেতত
,, আমাকেক ছেড়ে যাবেন নাসহ প্লিজ।
আমি মরে যাবোওও আপনাকে ছাড়া।
শেষ হয়ে যাবো আমি
পরির প্রতিটা কথা নীলের কলিজায় বিধে গেল।
ভালোবাসার মানুষটার মুখ থেকে এই প্রথম প্রেমময় কথা।
নীলের ক্লান্তি ভরা শরীরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল।
আচমকাই পরি নীল কে জড়িয়ে ধরলো।
পরি ঝরঝর করে কেঁদে দিলো।
অসপষ্ট স্বরে বলতে লাগলো
– আমি পারবো না আপনাকে ছাড়তেতত।
পারবো না ,,,, আমি আপনার থেকে দূরে যেতে চাই নাহহ।
আমাকে দূরে সরিয়ে দিবেন নি প্লিজ।
অনেক কষ্ট দিয়েছেন আর কষ্ট নিতে পারবো না আমি।
আমি আপনাকে চাই খুব করে চাই।
আপনাকে ছাড়া নিশ্বাস ভারী হয়ে উঠে আমার।
খুব বেশি ই ঘৃনা করতাম আপনাকে,,, কিন্তু এই ঘৃনা কখন যে,,,,,,,,,, পরি আর কিছু বলতে পারলো না।
তার আগেই সেন্সলেজ হয়ে নীলের বুকে পড়ে গেল।
নীল পরি কে এক হাতে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলল
– আর কষ্ট দিবো না তোমায়।
নিজের কাছে খুব যন্ত করে রাখবো তোমায়।
আর তোমার পরিবার কে ও এনে দিবো।
তোমার সমস্ত কষ্ট আমি শুষে নিবো।
আমার শুধু তুমি হলেই চলবে।
ভালোবাসি খুব খুব বেশি ই ভালোবাসি।
এই ভালোবাসার দহনে আমি ও যে পুরেছি ,,,,
আর আমি সারাজীবন তোমার হাতে হাত রেখে এই ভালোবাসার স্বাদ নিতে চাই।
প্রেমের দহনে পুরে শেষ হয়ে যেতে চাই ।
তোমার হাতে হাত রেখে সব কিছু জয় করতে চাই।
ভালোবাসি ,,,হুমমম এই পিচ্ছি টাকেই ভালোবাসি।
_______________________
ভোরের পাখিরা কিচিরমিচির করছে।
বাড়ির পেছনে বিশাল বাগান,,,,
এই বাড়িটা নীল অনেক স্বপ্ন নিয়ে করেছে।
সকাল সাড়ে পাঁচটা বাজে ,,,, নীল আজকে রাত টা ও নির্ঘুম কাটিয়েছি।
তবে দুঃখ কষ্ট ক্লান্তি নিয়ে নয়,,একরাশ স্নিগ্ধ ভালোবাসা নিয়ে।
পরি কে ভাবতে ভাবতেই নীল রাত্রি কাটিয়ে দিয়েছে।
মেয়েটা কোনো এক অদৃশ্য মায়াতে জড়িয়ে নিয়েছে।
মনে হচ্ছে দূরে গেলেই শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।
নীল একটা শর্ট হাতা ট্রি শার্ট পড়ে নিলো।
পরি তো বাড়ির বাইরেই যায় নি ,,,,, স্নিগ্ধ সকাল টা পরি কে নিয়ে উপভোগ করতে চায় নীল।
শীতের হালকা ছোঁয়া পাওয়া যাচ্ছে,,,
ইসসস যদি শিশির ভেজা বিন্দু কনা গুলো পরি কে ছুঁইয়ে দেয়।
নাহহ নাহহ পরি কে স্পর্শ করবে কেন ?
মোটে ও না পরি শুধু নীলের ,,,,,
আজব ভাবনা নিয়ে নীল আনমনে হাসতে লাগলো ।
করিডরে এসে নীল থমকে গেল ,,,, কারন পরি ঘুম থেকে উঠে করিডোর দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে।
নীল মৃদু হেসে পরির পাশে দাঁড়ালো।
পরি নীল কে দেখে খানিকটা লজ্জা পেল।
কাল রাতে আচমকাই নীল কে জড়িয়ে ধরে ছিলো।
ইসসস নীল কি ভাবলো,,,
নীল হালকা হেসে বলল
– স্নিগ্ধ সকাল দেখছো ?
পরি মাথা ঝাকালো,,, নীল মুচকি হেসে বলল
– চলো পুরো বাড়িটা ঘুরে আসি।
পরি সম্মতি দিতেই নীল পরির হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগলো।
পরি নীলের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে রইলো।
ভালোবাসার মানুষটা আজ তার ,,,, কতো টা শান্তি এতে।
নীল পরি কে নিয়ে পুরো বাসা টা ঘুরিয়ে নিলো।
নীলদের তিন তলা বাসা ,,,,, নিচের তলার বেশির ভাগ টাই গেরেজ।
এমন স্টিস্টেম করা এতে যে কোনো অনুষ্ঠান ও করা যাবে।
নিচ তলাতে বিশাল মাপের ডয়িং রুম , কিচেন আর দুইটা সার্ভেন্ট রুম আছে।
দোতলাতে বেশ অনেকগুলো রুম , করিডরে সোফা সাজানো,, সাথে একটা ছোট খাটো সিনেমা হল ও আছে।
পুরো সিনেমা হলের মতো করে বিশাল মাপের পর্দা লাগানো আর ছয় সেট সোফা আছে সাথে অসাধারণ লাইটিং এর ব্যবস্থা ।
এটাতে সবাই মিলে সিনেমা দেখতে পারবে ফুল দমে।
তিন তলাতে গেস্ট রুম আর লাইব্রেরি।
পুরো বাসা টাই সৌখিনতার ছোঁয়া,,, বেশ সুন্দর করে গোছানো।
বাসার পেছনে বিশাল বাগান ,,,,, থেকে থেকে ফুল গাছ ও আছে।
আর বাসার সামনের দিকটাতে কয়েকটা রুম করা আছে সেগুলো বিশেষ দরকারের জন্য।
বাসার মাঝে বিশাল মাপের ঝরনার ফোয়ারা।
পুরো বাড়িটা ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের বাসার মতো।
গ্রামের দিকটাতে এতো সুন্দর বাসা না আশা করাটাই স্বাভাবিক।
পরি আর নীল হাঁটতে হাঁটতে বাসার শেষ প্রান্তে এসে পড়েছে।
নদীর পাশেই নীলদের বাড়িটা ,,,, সিঁড়ি ঘাটলা করা আছে।
পরির ইচ্ছে করছে নীলের হাত ধরে নদীর পানিতে পা ভেজাতে।
কিন্তু সংকোচ কাজ করছে মনে।
পরির ভাবনাতে ছেদ কাটলো নীল।
মিষ্টি হেসে নীল বলল
– পরি চলো নদীর পাড়ে গিয়ে পা ভেজাই।
পরির চোখ উজ্জল হয়ে গেল।
নীল হাত ধরেই পরি কে নিয়ে নদীর পাড়ে গেল।
নীল পরির হাত ধরে টেনে সিঁড়ি ঘাটলাতে বসিয়ে দিলো।
তারপর বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে নীল আর পরি পাশাপাশি বসে পা ভেজালো।
নীল থেকে থেকে পরির দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসছে।
আচমকাই নীল পরির কপালে উষ্ণ ঠোঁট শুইয়ে দিলো।
পরি কেঁপে উঠতেই নীল পরি কে এক হাতে জড়িয়ে বলল
– আই লাই ইউ পরি।
নীলের মুখে ভালোবাসার কথা শুনে পরির চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে উঠলো।
সাথে লজ্জা ও লাগছিলো খুব,,,,
নীল পরি কে টেনে খানিকটা কাছে আনতেই পরি নীলের বুকে মুখ লুকালো।
( আসসালামুআলাই রির্ডাস। কালকে সকালে গল্প দিবো না। চেষ্টা করবো বিকালের আগেই গল্প দেওয়ার।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।
💙 হ্যাপি রিডিং 💙
চলবে
ফাতেমা তুজ