বালির নীচে জলের শব্দ পর্ব ৩৮

0
2070

বালির নীচে জলের শব্দ
শেষ পর্বের প্রথম অংশ

চারপাশ থেকে শুধু চাপা আ’র্তনাদ কানে আসছে। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু আর্তনাদ শুনেই আন্দাজ করা যাচ্ছে কি পরিমান অ’ত্যা’চার করা হচ্ছে তাদের উপরে। ভেতরটা ভ’য়ে শুকিয়ে আসছে রফিকের। শুকনো ঢোক গিলেও ভেজানো সম্ভব হলো না। আবারও তীব্র আ’র্ত’নাদ কানে আসতেই কেপে উঠলো সে। নিশ্বাসের গতিটাও বেড়ে গেছে। দরজায় আচমকা শব্দ হতেই আবারও কেপে উঠলো। হাত বা চেয়ারের সাথে বাধা থাকায় পুরোটা ঘুরতে পারলো না। তাই ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে দেখার চেষ্টা করলো। কিছুই দেখতে পেলো না। পায়ের শব্দটা ধীরে ধীরে কাছে আসতেই মাথার উপরে জ্বালানো আলোয় মুখটা দেখতে পেলো। সম্পূর্ণ অপরিচিত। এই থানার কোন অফিসার হবে হয়তো। অফিসার ঠিক সামনের চেয়ারে বসলেন। রফিক আপাদমস্তক ভালো করে একবার দেখে নিল। বয়স কম। তাই অফিসার নিজেই আপনি সম্বোধন করে বলল
— ভ’য় পাবেন না। আমি আপনার সাথে শুধু কথা বলতে এসেছি। আপনাকে প্রশ্ন করবো আর আপনি উত্তর দেবেন। ঠিক আছে?

রফিক ক্লান্ত মাথা নাড়লো। অফিসার রফিকের চেহারার দিকে তাকিয়ে বলল
— আপনাকে কে মে’রে’ছে এভাবে?

রফিক জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলে অগোছালো ভাবে বলল
— ওই যে মেম্বারের ভাই। ওই শা’লা’য় আমারে মা’র’ছে। মা’র’তেই তো এই হানে আনছে। সব বুদ্ধি ওই মেম্বারের। আমারে না আনলে যে হের সব কি’ছু ফাঁ’স হইয়া যাইবো।

অফিসার একটুও অবাক হলো না। তার কাছে এসব খুবই সাধারণ ব্যাপার। অ’প’রা’ধী কখনো নিজের অ’পরা’ধ স্বী’কার করে না। আবার কাউকে মিথ্যা মা’ম’লা’য় ফাঁ’সা’নো হয়। তাই খুব সাভাবিক ভাবেই বলল
— কি ফাঁ’স হয়ে যাবে? আপনি কি এমন জানেন মেম্বার স’ম্প’র্কে?

রফিক ক্লান্ত মাথাটা চেয়ারে এলিয়ে দিলো। চোখ বন্ধ করে বলল
— পানি।

অফিসার দ্রুত পানির ব্যবস্থা করলেন। রফিকের হাত খুলে দেয়া হলো। রফিক পানি খেয়ে মুখ মুছে দ্রুত বলল
— গেরামে যতো অ’কা’ম হয় সব ওই মেম্বার আর পোলা করে। গেরামের মানসে সবাই জানে। কিন্তু কেউ কয়না। ভ’য়ে কইতে পারে না। মেম্বার সবাইরে মা’ই’রা ফেলার ভ’য় দেহায়। আর চেয়ারম্যানের লগে হে’র ভালো সম্পর্ক তাই বা’ইচা যায়। থানার বড়ো অ’ফি’সার হের ভাই লাগে। তাই তো থা’না’য় গেরামে যায় না।

রফিক থেমে যেতেই অফিসার বলল
— আপনার কাছে এসবের কোন প্র’মা’ণ আছে? নাকি শুধু শুধু নিজের দো’ষ ঢাকতে অন্যকে অ’প’রা’ধী বানাবার অ’পচে’ষ্টা চালাচ্ছেন।

রফিক চোখ মেলে তাকাল। র’ক্তিম দৃষ্টি স্থির করে বলল
— এই রফিক যা জানে এই গেরামের কেউ সেটা জানে না। তাই আমার কথা আপনের বিশ্বাস করতেই হইবো।

— আপনি বর্তমানে একজন অ’প’রা’ধী। খু’নে’র আ’সা’মী। আপনার কথা বিশ্বাস করার কোন যু’ক্তি আসেনা। আপনার বি’রু’দ্ধে যা প্র’মা’ণ পা’ওয়া গেছে সেটা যথেষ্ট। এরপর আর কোনো কথা বলার প্রয়োজন নেই।

রফিক কথার উত্তর দিলো না। চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকলো। সে এতটাই ক্লান্ত যে কথার উত্তর দেবার মতো অবস্থায় নেই। গত রাত থেকে তার উপরে নি’র্যা’ত’ন অ’ব্যা’হত ছিল। খেতে দিয়েছে কিনা কে জানে? অ’ফিসা’র আবারও জিজ্ঞেস করল
— আপনি কি এখনো বলছেন যে শামীম কে আপনি খু’ন ক’রেন নি?

রফিক চোখ মেলল। তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঝাঁঝালো গলায় বলল
— হের ম’ই’রা যা’ওনের সময় হইছিলো। তাই ম’র’ছে। হের মতো ব’জ্জা’ত পোলার বা’ই’চা থা’কনের অধিকার নাই। হেয় বা’ই’চা থা’কলে গেরামের একটা মা’ই’য়াও বাঁ’চ’বো না।

অ’ফিসা’র চেয়ারে গা ছেড়ে দিয়ে বলল
— কি করেছে সে? কেনো সে বাঁ’চ’লে মেয়েরা বাঁ’চত না?

— হের মা’ই’য়া’র নে’শা আছিলো। গেরামের মা’ইয়া’রা ওর হাতেই ম’র’ছে। কিন্তু মানসের সামনে ভা’লা সা’ইজা আছিলো। ওর শা’স্তি ক’ম হইছে।

অ’ফিসা’র আর কথা বাড়ালো না। সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো। থা’নায় সেলিম হিমেল আর রুশা অপেক্ষা করছে। অ’ফিসা’র বাইরে আসতেই ও’সি দাড়িয়ে স্যা’লুট জানালো। খুব সুক্ষ ভাবে মাথা নাড়িয়ে রুশার দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল
— উনি ওনার মতই কথা বলছেন। সত্য মিথ্যা বিষয়টা কোন প্র’মা’ণ ছাড়া যা’চা:ই করা সম্ভব না। আমাদের এখন গ্রামের লোকজনদের সাথে কথা বলতে হবে।

সেলিম ভীত কণ্ঠে বললো
— উনি কি স্বী’কার করেছেন খু’ন ক’রার কথা?

অফিসার কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বলল
— স’রা’সরি স্বী’কার না করলেও ওনার কথার ই’ঙ্গিত কিন্তু প’জি’টিভ ছিলো। এমন কি এই কাজ করার পর ওনার মাঝে কোন অ’নু’শো’চনা নেই। উনি বারবার একই কথা বলছিলেন। শামীমের শা’স্তি মৃ’ত্যু। কারণ জিজ্ঞেস করলে শুধু বলল যে বেঁ’চে থাকলে গ্রামের মেয়েরা বাঁ’চ’তো না।

হিমেল এর কপালে ভাঁজ পড়ে গেলো। কিছু একটা হিসাব মেলাতে চেষ্টা করলো। কিছুক্ষণ নিরব থেকে বলল
— মেম্বার কে এনে জি’জ্ঞা’সা’বা”দ করা উচিত। তাহলে হয়’তো কি’ছু ক্লু পা’ওয়া যেতে পারে।

হিমেলের কথাটা সেলিমের পছন্দ হলো না। কথাটার তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলো
— মেম্বার চাচাকে কেনো? উনি কি করেছেন?

হিমেল খুব সাভাবিক ভাবে বলল
— রফিক সাহেব খু’ন করেছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে। আর কেউ খুব জ’টিল কা’রণ ছাড়া এভাবে কাউকে খু’ন ক’রতে যাবে না। লা’শে’র অ’ব’স্থা যতটা ভ’য়ং’ক’র ছিলো তাতে আ’ন্দা’জ করাই যায় যে তার উপরে অনেক পুর’নো আ’ক্রো’শ ছিলো। বারবার যখন ভি’কটি’ম’কে দো’ষা’রো’প করা হচ্ছে। তখন আমার মনে হয় তাদেরকেও জি’জ্ঞা’সা’বা’দ ক’রা উচিত। এতেই হয়তো আ’সল কা’রণ খুঁ’জে পাওয়া যাবে।

সেলিম ভাবুক হয়ে বলল
— আপনার কথা মানতে পারছি না হিমেল সাহেব। একে তো পু’ত্র’শো’কে জ’র্জ’রি’ত অবস্থা ওনার। তার উপর উনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। ওনাকে এই মুহূর্তে হ’য়’রানি করাটা ভালো দেখায় না।

— আপনার কথা অনুযায়ী রফিক সাহেবও ভালো এবং নি’রীহ মানুষ ছিলো। কিন্তু এখানে তো ঘটনা উল্টা। তাই আমার মনে হয় আপনার জানার বাইরেও অনেক কিছুই আছে। তাছাড়া যদি রফিক সাহেব খু’ন করেই থাকে তাহলে প’রী’র ব্যাপারটা এখ’নো ক্লিয়ার না। নিজের বাড়ির মেয়েকে উনি কেনো মা’র’তে যা’বেন। সে থেকে বোঝা যায় খু’নি একজন ন’য়। আর বাকিরা এখনো বাইরে।

সেলিম ভাবনায় পড়ে গেলো। হিমেল এর কথা মানতে না চাইলেও এখন তাকে সেটা ভাবাচ্ছে খুব করে। এতদিন রফিকের সাথে ওঠা বসা করেও তাকে চিনতে ভুল করেছে সে। তাহলে কি হিমেলের কথাই ঠিক? সেলিমের কোন কথা না শুনেই অ’ফি’সার অনুমতি দিলো মেম্বারকে তু’লে আনতে। হিমেল সস্তি পেলো যেনো। প্র’শা’স’নের দু’র্ব’ল’তা দেখেই হিমেল রাতেই গো’প’নে রুশাকে বলে প্র’শা’স’নে’র ঊ’র্ধ্বতন ক’র্মক’র্তা কে ফোন করে জানাতে। যাতে তারা এই বিষয়টাতে হ’স্তক্ষেপ করে। এ’ন জি ও’র বড়ো ক’র্মী হিসেবে রুশার অনেক লোকের সাথে পরিচিতি আছে। তাই সে সময় নষ্ট না করে দ্রুত খবর দেয়। আর সকাল বেলাতেই চলে আসে অ’ফিসা’র।

———
রফিক কে আ’দাল’তে তো’লা হয়েছে। বি’চা’র’কা’র্য শুরু হয়েছে। সবাই সেখানে উপস্থিত। পরিবারের লোকজনের সাথে গ্রামের লোকজন এসেছে। দুই পক্ষের উ’কি’লে’র তীব্র বা’ক বি’তো’ণ্ডা’র পর এক পর্যায়ে এসে পর্যাপ্ত তথ্য প্র’মা’ণে’র অ’ভা’বে রফিকের উ’কি’ল নি’স্তে’জ হয়ে পড়েন। বিপরীত উ’কি’লে’র কাছে যথেষ্ট শ’ক্ত’পো’ক্ত তথ্য প্র’মা’ণ রয়েছে। বি’পরী’ত প’ক্ষে’র উ’কি’ল সাহেব সব খু’নে’র ত’থ্য সং’গ্র’হ করে রেখেছিলেন। যারা হা’রি’য়ে গেছে তাদেরও একটা তালিকা তৈরী করেছেন। ভি’কটি’মদে’র বাড়ি থেকে একজন আ’দাল’তে উপস্থিত আছেন। সব প্র’মা’ণ তিনি আ’দা’ল’তে হ’স্তা’ন্ত’র করলেন। কিছুটা তাচ্ছিল্য করে বললেন
— কারো প্রতি যখন আ’ক্রো”শ জ’ন্মে তখন সেই মানুষটা আর সাধারণ থাকে না। তার তী’ব্র ক্ষো’ভ আর ঘৃ’না তাকে হিং’স্র বানিয়ে দেয়। রফিক সিকদারের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে। তিনি নিজেকে সাধারণ মানুষ হিসেবে পরিচয় দিলেও সেরকম নন। তিনি একজন ক্রি’মি’না’ল। গ্রামের ডা’কা’তি’র ঘ’টনায় এক সময় তিনি জ’ড়িত ছিলেন। আর কোন একটা কারণে ডা’কা’ত দ’লের সাথে তার ম’তের মি’ল না হওয়ায় সেখান থেকে বে’র হয়ে আসেন। আর সেই থেকে শুরু হয় তাদের বি’রো’ধ। একে একে এই বি’রোধ’কে তারা চ’রম শ’ত্রু’তার প’র্যা’য়ে নিয়ে যান। সেখান থেকে একের পর এক খু’ন পা’লা’ক্রমে।

উ’কি’ল আরো কিছু কাগজ পত্র আ’দা’ল’তে হ’স্তা’ন্তর করে বললেন
— এখানে যতো খু’নে’র ত’থ্য আছে তারা সবাই কি’শো’রী। তাদের মা’র্ডা’রে”র’ প্যা”টা’র্ন একই। প্রথমে ধ”র্ষ’ণ তারপর খু”ন। বাকি যারা হা’রি’য়ে গে’ছেন তাদের তা’লি’কাও আছে। তারাও সবাই কি’শো’রী। শুধু শামীম এ’কা’ই একজন কি’শো’র। যে এই নৃ’শং”স’তা’র স্বী’কা’র। তাকে আ’ক্রো’শে’র কারণে মা’রা হয়েছে। আর তা’র খু’নি রফিক শিকদার।

রফিকের উ’কি’ল কথাটার প্রতিউত্তর করলেন। বললেন
— আপনি কিভাবে নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেন? আপনার কাছে ওনার বি’রু’দ্ধে কো’ন প্র’মা’ণ নে’ই।

উ’কি’ল সাহেব মৃদু হেসে বললো
— আমি যথেষ্ট সা’ক্ষী আ’র প্র’মা’ণ জো’গা’ড় করে এনেছি উ’কি’ল সাহেব। একটু সময় দিন। সব প্র’মা’ণ করে দেবো। তার আগে আমি রফিক শিকদার কে কি’ছু প্র’শ্ন ক’রতে চাই।

আ’দা’ল’তে’র অ’নুম’তি নিয়েই উ’কি’ল রফিককে জিজ্ঞেস করলেন
— আপনার ভাতিজি পরী কি’ভা’বে খু’ন হয়েছিলো? ঘটনাটা যদি একটু বলতেন।

রফিক ভী’ত চোখে তাকাল। ঝুম পেছনে বসে সি’ক্ত চোখে এতক্ষণ বাবাকেই দেখছিল। এই প্রথমবার বাবার চো’খে ভ’য় দে’খে সেও ভ’য় পে’য়ে গেলো। বুকের ভেতরে ঢি’প’ঢি’প শব্দটা বেড়ে গেলো। রফিক মৃদু সরে বলল
— জানিনা।

উ’কি’ল কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে বলল
— আপনার মেয়ে ঝুম নাকি কয়েকদিন আ’গে সু’ই’সা’ই’ড এ’টে’ম্প’ট করেছিলো। কা’র’ণ’টা ঠিক কি হতে পারে বলে আপনার মনে হচ্ছে?

রফিক এবারও একই উত্তর দিলো। কিন্তু ঝুমের গলা শুকিয়ে কাঠ। দরদর করে ঘামছে সে। উ’কি’ল সাহেব কা’ঙ্ক্ষিত কোন উত্তর না পেয়ে ঝুম কে প্র’শ্ন করার অ’নুম’তি চা’ইলো। অ’নুম’তি পেতেই ঝু’ম এসে কা’ঠ’গ’ড়া’য় দা’ড়ালো। সে শুকনো ঢোক গিলে আচল দিয়ে ঘাম মুছে ফেলছে অনবরত। উ’কি’ল এমন অ’স্থি’র হতে দেখে নরম গলায় বলল
— ভ’য় পাবে না। শুধু আমার প্র’শ্নে’র উ’ত্ত’র দিলেই হবে।

ঝুম মাথা নাড়লো। উকিল বলল
— শামীমের সাথে পরীর প্রে’মে’র স’ম্পর্ক ছিলো?

এবারও ঝুম মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলো।
— সেদিন রা’তে পরী শামীমের সাথে দেখা করতে যায় সেটা কি তুমি জানতে?

একটু সময় নিয়ে ঝুম আবারও উত্তর দিলো সে জানতো।

— তাহলে কাউকে বলোনি কেনো?

— প্রায় রাতেই দেখা করতে যাইতো। আবার চইলাও আসতো সময় মতো।

— তুমি কেনো সু’ই’সা’ই’ড এ’টে’ম্প’ট করেছিলে?

কথাটা শুনেই কে’পে উঠলো ঝুম। ভারী সি’ক্ত চোখ দুটো তুলে বাবার দিকে তাকাল। রফিক মেয়ের দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে। ঝুমের সমস্ত কথা বন্ধ হয়ে গেছে। উ’কি’ল আবারও ধম’কে উঠে বলল
— স’ত্যি কথাটা আমি বলছি। তুমি কোন সু’ই’সা’ই’ড এ’টে’ম্প’ট করনি। তোমাকেও পরীর মতো ভ’য় দেখিয়ে রাতের আঁ’ধা’রে তু’লে নি’য়ে যাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেটা তোমার বাড়ির লোকজন জে’নে যা’ওয়া’য় তোমার বাবা দ্রু’ত সেখানে যায় আর তোমার সাথে তেমন কি’ছু ক’রার সু’যো’গ না পে’য়ে হা’তে’র র’গ কে’টে দেয়। তোমার বাবা তোমাকে বাড়িতে নিয়ে এসে প্রা’থ’মি’ক চি’কিৎসা দেয়ার চে’ষ্টা করে কিন্তু লাভ হয়না। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের ক’মি’উনিটি ক্লি’নিকে ভ’র্তি করায়। আর মুহূর্তেই সেটা গ্রামে জেনে গেলে এমন একটা ঘটনা বানায়।

পুরো সত্যিটা এভাবে সামনে আসায় ঝুম ঘাবড়ে যায়। তার বাবা আর বাড়ির লোকজন এতদিন ধরে যে ভ’য়ং’ক’র ঘটনার কথা ঢে’কে রেখেছিল সেটা আজ সামনে এসেই গেলো। ভয়ে ঝুম নি’য়’ন্ত্র’ণ হারিয়ে ফেলে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here